নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি আমার রাতবন্দিনী। ধূসর স্বপ্নের অমসৃণ সুউচ্চ দেয়াল তুলে তোমাকে আমি বন্দী করেছি আমার প্রিয় কালোর রাজত্বে। ঘুটঘুটে কালোর এই রাজত্বে কোন আলো নেই। তোমার চোখ থেকে বের হওয়া তীব্র আলো, আমার হৃদয়ে প্রতিফলিত হয়ে সৃষ্টি করে এক অপার্থিব জ্যোৎস্না।

জাদিদ

ব্যক্তিগত ব্লগ।

জাদিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাপিত জীবন: একটি ইন্টার্ভিউ এবং আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান - বাংলাদেশে তাঁদের ফ্যাক্টরি, চায়নার অফিস এবং ঢাকার অফিসের জন্য বিভিন্ন পদে লোক নেয়ার জন্য বিডি জবসে একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলো। সেখানে আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে যোগ্য লোক বাছাই করার জন্য তারা একটি ইন্টার্ভিউ বোর্ড তৈরি করেছিলেন, সেখানে আমি একজন প্রশ্নকর্তা হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলাম।

ইন্টার্ভিউ শুরু হবার পর দেখা গেলো, অধিকাংশ আবেদনকারীর সিভির ফরম্যাট প্রায় একই এবং গৎবাঁধা নানা ধরনের অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ভরা। যেমন পারিবারিক তথ্য, উচ্চতা, ধর্ম বর্ণ, শখ ইত্যাদি। প্রায় ৯০ ভাগ আবেদনকারীর ক্যারিয়ার সামারি বা তিনি ভবিষ্যতে কি করতে চান এমন তথ্যগুলোর অধিকাংশ ইন্টারনেট থেকে কপি করা এবং যার সাথে তার অতীত অভিজ্ঞতার কোন যোগসূত্র নেই।

পাশাপাশি, লক্ষ্য করলাম রেফারেন্স কি বা কেন ব্যবহার করা হয় এই ব্যাপারে অধিকাংশ আবেদনকারীর সঠিক ধারনা নেই। অনেকেই এমন রেফারেন্স ব্যবহার করেছেন, যারা তাঁকে সরাসরি চিনেন না বা আবেদনকারীর সাথে সরাসরি কোন যোগসূত্র নেই। একজন আবেদনকারীকে জিজ্ঞেস করলাম, যার রেফারেন্স ব্যবহার করা হয়েছে তার সাথে উনার কি সম্পর্ক?

তিনি কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, রেফারেন্সের ভদ্রলোক তার বড় ভাইয়ের শশুরের বন্ধু।
আমি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার ক্যারিয়ারের সাথে উনার রেফারেন্সের সম্পর্ক কি? তার সাথে কি আপনার কোন প্রফেশনাল বা একাডেমিক সম্পর্ক আছে?
তিনি বললেন, না, এমন কোন সম্পর্ক নেই।

আরেকজন আবেদনকারীকে দেখলাম প্রায় ৪ বছরের অভিজ্ঞতা। কিন্তু তিনি সব রেফারেন্স দিয়েছেন তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। জিজ্ঞেস করলাম, যেহেতু আপনি ফ্রেসার নন, প্রফেশনালি আপনাকে চেনে এবং আপনার কাজ সম্পর্কে ধারনা রাখে এমন কারো রেফারেন্স কি আপনার আছে?

তিনি বললেন, আছে।
বললাম, তাহলে কি অনুগ্রহ করে তাঁর সাথে আপনি এখন আমাদের সামনে বসে যোগাযোগ করতে পারেন? আমরা তাঁর সাথে আপনার ব্যাপারে একটু কথা বলতে চাই।

তিনি কিছুক্ষণ মোবাইল দেখলেন এবং তারপর জানালেন, আসলে ফোন দিয়ে এইভাবে কথা বলার মত কোন রেফারেন্স তার নেই।

আমি বিষয়টিকে প্রোলঙ করতে চাই নি। তাও তাঁকে একটি সঠিক ধারনা দেয়ার জন্য বললাম, আপনি চার বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। আপনার দেয়া তথ্য অনুসারে আমরা দেখতে পাচ্ছি আপনি গত চার বছরে তিনটি কোম্পানিতে কাজ করেছেন। সর্ব নিম্ন কাজের মেয়াদ ৮ মাস। এই সকল ডাটা থেকে ধারনা করা যায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে গড়ে এক বছরের কিছুটা বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন। আপনার বর্ণিত জব রেকর্ড অনুসারে আমরা আরো দেখতে পাচ্ছি, নতুন প্রতিষ্ঠানে আপনার কাজের দায়িত্ব খুব একটা বৃদ্ধি পায় নি বরং বলা যায় ঘুরে ফিরে আগে যা করতেন, নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোতেও তাই করছেন।

কাজেই ধরে নেয়া যায়, আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতি খুব একটা লয়্যাল নন। সামান্য বেটার অপশন পেলেই আপনি নতুন চাকরীতে চলে যাচ্ছেন। আমি ধরে নিচ্ছি, আপনি আপনার কাজে দক্ষ অর্থাৎ আপনাকে এই পরিবর্তন কাজে দক্ষতার ঘাটতির কারণে করতে হয় নি।
এখন আমরা যদি আরো একটু অ্যানালাইসিস করি, তাহলে দেখতে পাই যে, আপনি যে সকল প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন সেই সকল প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে খুব একটা নাম করা তেমন কোন প্রতিষ্ঠান নেই। এবং আপনি যে রোলে সেখানে কাজ করেছেন সেই রোলে এই ধরনের কোম্পানিগুলোতে যে স্যালারি স্ট্রাকচার থাকে সেটা প্রায় কাছাকাছি হয়ত সামান্য এদিক সেদিক হতে পারে। মানুষ ভালো অপশন পেলে সেখানে সুইচ করবে এটাই স্বাভাবিক, যেমনটা আপনি আমাদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এই চাকরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যদি আগের বেতনের নুন্যতম ২০-২৫% বৃদ্ধি না পায়, তাহলে সেই পরিবর্তন করা সঠিক নয় এবং অনেক ক্ষেত্রে তা উদ্দেশ্যহীনভাবেই হয়ে থাকে। আমরা বিশ্বাস করি, আপনার আগের স্যালারি স্ট্রাকচারগুলোর সাথে বর্তমান স্যালারি স্ট্রাকচারের পার্থক্য বড় জোর ৫% - ৭% হতে পারে।

ফলে আমরা কি এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি, এইভাবে হুট-হাট চাকরি পরিবর্তনের কারণে, আপনার পূর্বের কর্মস্থলে আপনার প্রফেশনাল রেপুটেশন খুব একটা ভালো নয়, তাই দীর্ঘ চার বছরের অভিজ্ঞতা থাকা স্বত্বতেও আপনি কোন প্রফেশনাল রেফারেন্স যুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন?

আবেদনকারী প্রচণ্ড নার্ভাস হয়ে গেলেন। তিনি ধারনাও করতে পারেন নি রেফারেন্স নিয়ে তিনি এতটা বিপদে পড়তে পারেন। তিনি আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে চুপচাপ বসে রইলেন। এর পরে তাঁকে অন্য বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হলো।

এরপর আরো বেশ কয়েকজন ক্যান্ডিডেটের সাথে প্রশ্নত্তোর পর্ব হলো। মজার ব্যাপার হলো, যাদের কে নির্বাচিত করা হয়েছিলো তাঁদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাঁদের এ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশনের চাইতে তাঁদের ইন্টার পারসোনাল স্কিলগুলো বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। কথা বলা যে একটা স্কিল - এই ব্যাপারে আমাদের অধিকাংশ ছেলেপেলের নুন্যতম ধারনা নাই। অনেক সময় আমরা ক্যান্ডিডেটকে নার্ভাস বুঝে একটু সাহস যোগাতে চেষ্টা করেছি।

যেমন একজন ক্যান্ডিডেট আসলেন। আসার পর দেখলাম বেচারা প্রচণ্ড নার্ভাস আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছেন। সিভিতে দেখলাম তাঁর পড়াশোনা, অভিজ্ঞতা সবই মার্কেটিং কেন্দ্রিক কিন্তু তিনি এপ্ল্যাই করেছেন ফ্যাক্টরির প্রোডাকশন সুপারভাইজার হিসাবে। আমি তাঁর কাজের জায়গাটা একটু যাচাই করে দেখলাম তিনি কাজ করেছেন বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড ডিভিশনে আর একটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে। ভালো একটি কলেজ থেকে পাস করেও তিনি খুবই নার্ভাস। আমার অভিজ্ঞতায় মনে হলো - এই ছেলেটা মার্কেটিং এ ভালো করবে।

ওর দক্ষতা সম্পর্কে পূর্ণ যাচাই করার জন্য ওকে নার্ভাস থেকে স্বাভাবিক করাই এখন আমার প্রধান কাজ। ফলে আমি খুব স্বাভাবিকভাবে তার সাথে কাজের আলাপ বাদ দিয়ে তার ব্যক্তিগত আলাপ শুরু করলাম। তার দেশের বাড়ি সম্পর্কে জানলাম, তার পরিবার সম্পর্কে জানলাম। ছোট খাটো কিছু সাধারণ বিষয়ে তাঁকে কথা বলতে সুযোগ করে দিলাম। এতে ছেলেটা হারানো মনোবল ফিরে পেলো। জানতে চাইলাম তিনি কেন ইউ টার্ন নিয়ে মার্কেটিং থেকে প্রোডাকশনে আসতে চাইছেন যেখানে তার কোন অভিজ্ঞতা নাই।

বলতে ভুলে গেছি, যিনি এই সিভিগুলো বাছাই করেছিলেন, তিনি ভুলে এই সিভিটা যুক্ত করেছিলেন। যা পরে এসে আমরা জানতে পেরেছিলাম।

ছেলেটা বলল, আসলে কার্ড ডিভিশন আর ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরী করে তার মার্কেটিং এর উপর থেকে মন উঠে গেছে। তাই সে প্রোডাকশনে আসতে যায়।

তাঁকে বললাম সেলস এবং ডিস্ট্রিবিউশনে সব সময় একটা চাপ থাকে অনেক ছোট খাটো প্রতিষ্ঠান সেলসকে মার্কেটিং হিসাবে চালিয়ে দেয়। এরপর তাঁর সাথে বিভিন্ন আলাপ করলাম, মার্কেটিং সম্পর্কে কথা বললাম। দেখলাম মার্কেটিং এর বিভিন্ন কনসেপ্ট এর ব্যাপারে তাঁর বেশ ভালো ধারনা আছে। আমাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে আলোচনা করলাম, কিভাবে তা আমরা কাস্টমারকে পৌঁছবো, তার কাজ কি হবে ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করার পর ছেলেটা খুব আগ্রহ নিয়ে আমার পাশে থাকা এমডিকে বলল, স্যার - কাজটা আমাকে দিন। আমার পছন্দ হয়েছে। আমি করতে পারব।

এমডি সাহেব বেশ মজার মানুষ তিনি বললেন, বেশ বেশ ইন্টার্ভিউ নিচ্ছি আমরা কোথায় আপনাকে আমরা পছন্দ করব, আপনি দেখি উল্টা জব পছন্দ করে বসে আছেন। তবে আপনার আন্তরিকতা আমার ভালো লেগেছে আপনার সততাও আমার পছন্দ হয়েছে। অন্যদেরকে পরে কনফার্ম করলেও আপনাকে এখনই কনফার্ম করছি। তিন মাস আপনাকে আমরা পর্যবেক্ষণ করব। যদি পাশ করতে পারেন, তাহলে ফুল বেতনে যোগদান করবেন আর এই তিন মাসের বাকি অর্ধেক স্যালারিও আপনাকে একসাথে দিয়ে দেয়া হবে।

আমি আনন্দিত, কারণ আমি বিশ্বাস করি, এই ছেলেটার ক্যারিয়ার নতুন ভাবে শুরু হলো এবং এখানে সে ভালো করবে।

এর পর ডিজিটাল মার্কেটিং ম্যানেজার পদের জন্য একজনকে ডাকা হলো। উনার এ্যাপ্রোচটা বা বডি ল্যাঙ্গুয়েজটা বেশ বিরক্তকর। উনার কথাবার্তা শুনে মনে হলো - উনি দুনিয়ার একাই সব কিছু জানেন। তাঁকে প্রশ্ন করলাম, আমাদের সাইটের ক্রলিং এ একটু প্রবলেম আছে বলে মনে হয়, আপনি কি ক্রলিং আর ইনডেক্সিং এর পার্থক্যটা আমাদেরকে সহজে জানাতে পারেন?

সে আমাদের সবাইকে বিষ্মিত করে দিয়ে বলল, স্যার, আসলে আমার নিজের একটা ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি আছে। আপনারা লোক না নিয়ে আমার কোম্পানিকে কাজ দেন। আপনাদের কষ্ট অপটিমাইজেশন হবে। আমি আসলে এখানে পিচ করতে আসছি।

আমি অভিনব এই পিচিং দেখে বাকরুদ্ধ। সামনা সামনি হেসে ফেলেও মনে মনে যথেষ্ট বিরক্ত হলাম। ছেলেটা যদি নিজেকে উপযুক্ত প্রমাণ করে নিজের কোম্পানির ব্যাপারে এ্যাপ্রোচ করত, তাহলে সেটাকে আমি কিছুটা হলেও সম্মান করতাম। তাঁকে হয়ত বললাম, আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক পিচ করুন আমরা ভেবে দেখব।
খুব সহজ ভাষায় তাঁকে বললাম, আপনি অনুগ্রহ করে বেরিয়ে যান। আপনার এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা তৈরি হয় নি।

যাইহোক, এর পরে আরো অনেক সিভি দেখলাম, অনেক ক্যান্ডিডেটের সাথে কথা বললাম। দিন শেষে একটি ভয়াবহ চিত্র পেলাম যা বাংলাদেশের পড়াশোনার মান যে কতটা দুর্বল সেটা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট। আমাদের অধিকাংশ ছেলেপেলেরা নিজেদের স্কিল বিল্ডাপে কোন চেষ্টা করে না। ইউটিউব, ফেসবুকে হাজার হাজার সিভির লেখার কৌশল সম্পর্কে ভিডিও আছে, ইন্টার্ভিউ ফেস করার পদ্ধতি আছে কিন্তু সেই সব বিষয়ে কোন আগ্রহ নাই।

এক ডিজিটাল মার্কেটিং বিভাগে প্রায় ২৫০ টা সিভি পড়েছে। সবাই ১০ টাকার কোর্স করে ডিজিটাল মার্কেটার, এ্যাড ম্যানেজার নিজেকে ডিজিটাল মার্কেটার হিসাবে দাবি করছে। অধিকাংশ ছেলেপেলের নিজেদের ট্যালেন্টের উপর কোন আত্মবিশ্বাস নাই। আমাদের দেশের ছেলেপেলেদের সমস্যা হচ্ছে তারা স্কিল ডেভলপ করার চাইতে তারা কোন স্কিলের বেতন বেশি সেটা খুঁজে এবং হুড়মুড় করে সেই স্কিলের বিভিন্ন কোর্সে টোর্সে ভর্তি হয়ে একটা এলাহি ব্যাপার করে। কিন্তু দিন শেষে কাজের কাজ লবডংকা।

দেখুন আপনি পড়াশোনা জানলে চা সিঙ্গারা বেচলেও সেটার মধ্যে সম্মান এবং টাকা আয় করা যায়। যেমন দেখুন চা এন্ড চিল নামের একটি প্রতিষ্ঠান কি বিক্রি করছে? সিঙ্গারা আর মাসালা চা। একেবারে টং দোকানের প্রোডাক্ট না?

কিন্তু এই উদ্যোক্তা কি করলেন? চা সিঙ্গারা নিয়ে একটু গভীরে চিন্তা করলেন, আমরা সবাই সিঙ্গারার সাথে একটু সস আর পেঁয়াজ পছন্দ করি। তিনি সুন্দর স্বাদের চা আর সিঙ্গারা ডেভেলপ করলেন, পুদিনা আর মেয়োনিজ মিলিয়ে একটা দারুণ সস বানালেন। নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে প্যাকেজিং করলেন এবং হাইজিন রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা নিলেন। এই যে একটা ব্রান্ড ক্রিয়েট হলো এই ব্র্যান্ডিং এর কারণেই আপনি আমি ঐ দোকান থেকে ৩ টা সিঙ্গারা, স্পেশাল সস এবং মাসালা ৫০ টাকায় কিনে খাচ্ছি। এমনভাবে ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে যে একজন ক্রেতা খেয়ে বলবেন না শালার ৫০ টাকা দিয়ে তিন পিস সিঙ্গারা খাইলাম।

এটা হচ্ছে সঠিক পরিকল্পনা মার্কেটিং, ব্র্যান্ডিং এর একটি সমন্বয়। বাজারে যে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স পাওয়া যায় তা দিয়ে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রাথমিক কাজ করতে পারবেন কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী কাজের জন্য আপনাকে প্রফেশনালদের সাহায্য নিতেই হবে। কমনসেন্স, এনালাইটিক এবিলিটি এবং ক্রিটিক্যাল রিজনিং স্কিল ছাড়া আপনি ডিজিটাল মার্কেটর হিসাবে সুবিধা করতে পারবেন না। আপনার কমিউনিকেশন স্কিল ভালো হতে হবে। কমিউনিকেশন ভালো হবার নামে লবা পাকনা হওয়া যাবে না।

কমিউনিকেশনের বেসিক স্কিলগুলো আমাদের স্কুল কলেজেই শেখানোর কথা, সেখানে আমাদের স্কুল কলেজ আর কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার মান ভয়াবহ। বেসিক মানুষ বানানোর মত কার্যক্রম এখন মুখ থুবড়ে উঠার পথে। দেশে চাকরীর বাজার খারাপ না। সমস্যা হচ্ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্রেফ ব্যবসাই করছে, সার্টিফিকেট বিক্রি করছে। নিজেদের স্কিল বিল্ডাপে কোন আগ্রহ নাই। এই ব্যাপারে সরকারের কোন আগ্রহ নাই। কারণ মানুষ অশিক্ষিত থাকতে পারলেই সরকারের লাভ। এটাই শোষকদের বৈশিষ্ট্য।

আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলাও একটা স্কিল। যে শিক্ষা একজন মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে পারে না, সেই শিক্ষার কোন মূল্য নাই। ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে চিন্তিত হবাই স্বাভাবিক।

আমাদের ব্লগারদের মধ্যে যারা চাকরী প্রার্থী তারা অনুগ্রহ করে নিজেদের কমিউনিকেশন স্কিলের দক্ষতা বৃদ্ধি করুন। এটা আপনার ব্যক্তি জীবন এবং পেশাদার জীবন সব খানেই কাজে আসবে।

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনার পোস্ট বেশ ভাল লেগেছে।
জীবনে একটাই চাকরি করেছিলাম । তাও ৬ মাসের বেশি করতে পারি নি। চাকরি চলে গিয়েছিল।
এখন অবশ্য আর কোথাও চাকরি করার ইচ্ছে নাই।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৭

জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। চাকরি করতে হবে এমন কোন কথা নেই। একটু উদ্যোমী হলেই দারুন সব ব্যবসা আপনার শহরের আশেপাশে অপেক্ষা করছে। শ্রেফ দরকার একটি পরিশ্রম করার ইচ্ছা।

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আমি আমার জীবনে প্রায় ১৩ বছর এইচ আর/ এডমিনে কাজ করেছি। আমি হাজার হাজার সিভি ও ইন্টারভিউ নিয়েছি। সত্যি সামান্য যোগ্য লোক পাওয়া কঠিন। প্রবেশের পরে কেহ কেহ ভাল কাজ করে মাত্র!

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৮

জাদিদ বলেছেন: আসলে এইচ আর বা এ্যাডমিন বিভাগের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষন আয়োজন করা উচিত ভালো কর্মী খুঁজে বের করার জন্য। নইলে কোম্পানী সাফার করবে।

৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৭

সোনালি কাবিন বলেছেন: জাস্ট অসাধারণ।++++

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

জাদিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত।

৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৫

রানার ব্লগ বলেছেন: আমাদের মতো আসহায় চাকুরী প্রার্থীদের এইভাবে নাকানি চুবানি খাওায়ানর কোন অর্থ নাই ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:৫৫

জাদিদ বলেছেন: দুঃখিত।

৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২১

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: অনেক সুন্দর ভাবে দক্ষতা আর আত্মবিস্মাস বাড়ানোর কথা বলেছেন। ভালো লাগলো ভাই, অনেক সু্ন্দর আর গুছিয়ে লেখেন আপনি।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:৫৬

জাদিদ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাই। আপনি সময় করে পড়েছেন, আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত।

৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রবিারের ক্লাশের জন্য আপনার পোষ্ট থেকে কিছু উপাদান পেলাম।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:৫৬

জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

সোনাগাজী বলেছেন:


রেফারেল হিসেব দিতে হয় বর্তমান কাজ, কিংবা সর্বশেষ কাজের ম্যানেজার, সুপারভাইজার, লীড, কিংরা সহকর্মীর নাম; এন্ট্রিলেেভেল জন্য শিক্ষকদের নাম দেয়া যায়।

জব রেফারেল ( জব রেফারেন্স ) ভেরিফিকেশন/তথ্য নেয়া হয় 'অপার দেয়ার' পরে এবং সেটার দায়িত্ব হিউম্যান রিসোর্সের; আপনি ইন্টারভিউ'এর মাঝে জব রেফারেল নিয়ে টেলিফোন করার কথা বলা সঠিক কাজ হয়নি।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:৫৭

জাদিদ বলেছেন: রেফারেল হিসেব দিতে হয় বর্তমান কাজ, কিংবা সর্বশেষ কাজের ম্যানেজার, সুপারভাইজার, লীড, কিংরা সহকর্মীর নাম; এন্ট্রিলেেভেল জন্য শিক্ষকদের নাম দেয়া যায়

আপনি সঠিক বলেছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যাপারটি তাই। তবে, আমি যে ঘটনাটি বলেছি তা একটি ব্যতিক্রম। আমি এই ব্যাপারে নিচে ১৩ নাম্বার মন্তব্যে বিস্তারিত বলেছি।

৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমাদের মূল প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ইন্টারভিউ বা সরাসরি ইন্টাভিউর ব্যবস্থা নেই। তাই একমাত্র নিজের অনেক অনেক বছর আগের চাকরির ইন্টারভিউ বাদে আর কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তবে দেশে যে পড়ালেখার অবস্থা খুব খারাপ পর্যায়ে চলে গিয়েছে তা হয়তো কিছু কিছু বুঝতে পারি।

মরুভূমির জলদস্যুর দেয়া পোস্ট বিদ্যুৎ বিল বিভ্রাট আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করেছি, এইখানে যে, একটি দরখাস্ত দেওয়ার প্রয়োজন আছে তা কেউ বলেন নি।


২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:০৫

জাদিদ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাই।
আসলে বর্তমানে লেখাপড়ার যে অবস্থা, সেটার ফলাফল বুঝতে আমাদের আর কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে।

বাই দ্য ওয়ে, মরুভূমির জলদস্যু ভাইকে অনেক দিন ব্লগে দেখি না। আশা করি তিনি ভালো আছেন।

৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ইন্টারভিউ বোর্ডের আসল বিষয়টাই কি'আত্নবিশ্বাস?

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:০৬

জাদিদ বলেছেন: আপনার জন্য গেম চেঞ্জার হচ্ছে শুরুতে আপনার সম্পর্কে বলা এবং আত্মবিশ্বাসী থাকা। যা পারেন না সেটা সম্পর্কে বলা আর যা পারেন, সেটার সম্পর্কে সঠিক ভাবে অল্প কথায় জানানো।

১০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

কামাল১৮ বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো।অনেক কিখু জানলাম।অনেক বছর আগে থেকেই অবসর জীবন জাপন করছি।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:০৬

জাদিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কামাল ভাই। পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা। আপনাদের অভিজ্ঞতার তুলনায় হয়ত আমাদের অভিজ্ঞতা কিছুই না।

১১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৬

মিরোরডডল বলেছেন:




কমিউনিকেশন স্কিলের দক্ষতা বৃদ্ধি করুন। এটা আপনার ব্যক্তি জীবন এবং পেশাদার জীবন সব খানেই কাজে আসবে।

এটাই আসলে মূল বক্তব্য এবং ধ্রুব সত্য।

Confidence and strong communication skills পেশাগত এবং ব্যক্তি জীবনের সাফল্যে বিশেষ ভূমিকা রাখে।


২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:০৭

জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। আমি আসলে এই পোস্টে এটাই বুঝাতে চেয়েছি।

১২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার এই পোস্টটি বহু চাকরি প্রার্থীর কাছে দিশারী স্বরূপ।++

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:০৭

জাদিদ বলেছেন: যদি এই লেখাটি পড়ে কারো উপকার হয়, তাহলে আমি ভীষন আনন্দিত হবো।

১৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২২

জনারণ্যে একজন বলেছেন: ইন্টারভিউ বোর্ডে কখনোই রেফারেন্স নিয়ে কথা বলে উচিত নয়। সাধারণতঃ এইচআর থেকে ইন্টারভিউয়ের আগেই রেফারেন্স চেক করে নেয় কিংবা হায়ারিং ম্যানেজার নিজেই ইন্টারভিউয়ের আগে ফোন/ইমেইল করে কন্ফার্ম হয়ে নেয়, এবং এরপর ডিসিশন নেয় তাকে ইন্টারভিউতে ডাকা হবে কিনা। ইন্টারভিউয়ের মাঝে রেফারেন্স চেক করা চূড়ান্তরকম আনপ্রোফেশনাল একটা কাজ।

এবং তারপর আপনি ইন্টারভিউয়ের সময় ব্যক্তিগত আলাপ শুরু করলেন? দেশের বাড়ি, পরিবার সম্পর্কে জানলেন? হা হা হা। মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

অন্যকে উপদেশ দেয়া সহজ কিন্তু নিজের দিকটাও তো খেয়াল রাখতে হবে!



২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:৫৫

জাদিদ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আপনি যা বলেছেন, সেটাই স্ট্যান্ডার্ড এবং এমনটাই হওয়া উচিত। এই বিষয়ে কোন দ্বিমত নেই। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেক প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি বা মাল্টি-ন্যাশনাল কোম্পানিগুলোতেও অনেক সময় এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে না।

আমি এই ইন্টার্ভিউতে সব ক্যান্ডিডেটের ক্ষেত্রে রেফারেন্সের বিষয়টি লক্ষ্য করলেও এই সংক্রান্ত প্রশ্ন সবাইকে করি নি। যে ক্যান্ডিডেটের কথা বললাম তা একটি ব্যতিক্রম এবং তা করার জন্য আমাদের বেশ কিছু নির্দিষ্ট কারণও ছিলো যা পরবর্তীতে সত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

আর ব্যক্তিগত আলাপের কথা যা বললেন, সেটার কারণ হচ্ছে উক্ত ক্যান্ডিডেটকে কিছুটা সহজ করা, তাঁকে কিছুটা আত্মবিশ্বাস দেয়া। যদিও এই কাজটি করা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না, তাও আমরা চেয়েছি তিনি যেন কিছুটা সহজ বোধ করেন এবং আমাদের জন্য যা জানা প্রয়োজন তা আমরা সহজে তাঁকে প্রশ্ন করে জানতে পারি।

যদি আমরা তাঁকে একটু সহজ না করতাম, তাহলে তিনি প্রথমেই ইন্টার্ভিউ থেকে বাদ পড়তেন তার ল্যাক অফ কমিউনিকেশনের কারণে এবং ভুল পোস্টে এপ্ল্যাই করার জন্য।

মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার নুন্যতম বেসিক বিষয়গুলো ঠিক করে চাকরির ইন্টার্ভিউ বা সাক্ষাৎকার অনেক সময় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়মে হয়ে থাকে, আমরা সেই বিষয়গুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বজায় রেখে কাজ করেছি। কিছু ব্যতিক্রম ছিলো, সেই ব্যতিক্রম গল্পগুলোই এখানে অন্যদের অভিজ্ঞতা লাভের জন্য বলেছি।

আশা করি ব্যাপারটি এখন পরিষ্কার হয়েছে।

আবারো ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

১৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৭

সোনাগাজী বলেছেন:



৭ নং মন্তব্যে টাইপো:

রেফারেল *হিসেবে বর্তমান কাজ, কিংবা সর্বশেষ কাজের ম্যানেজার, সুপারভাইজার, লীড, কিংরা সহকর্মীর নাম দিতে হয়; এন্ট্রিলেেভেল জন্য শিক্ষকদের নাম দেয়া যায়।

জব রেফারেল ( জব রেফারেন্স ) ভেরিফিকেশন/তথ্য নেয়া হয় 'অপার দেয়ার' পরে এবং সেটার দায়িত্ব হিউম্যান রিসোর্সের; আপনি ইন্টারভিউ'এর মাঝখানে জব রেফারেল নিয়ে টেলিফোন করার কথা বলা সঠিক কাজ হয়নি।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:০৭

জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমি এই ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছি।

১৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:৫১

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই লেখাটি মোটামুটি ভালো লাগলো।

আপনার শেষের দিকের বক্তব্যটা ভালো লেগেছে। সিভি তৈরি করা এবং কমিউনিকেশনের শিক্ষাটা আসলে এস,এস,সি থেকে এম এ ক্লাস পর্যন্ত সব ক্লাসেই পাঠ্যক্রমের অংশ হওয়া উচিত - তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীদের মনে বিষয়গুলো মনের ভিতরে গেথে যাবে।

আর বাংলাদেশে স্কিল ডেভলপমেন্টের ব্যাপারটা অনেকটা দারিদ্রের দুষ্ট চক্রের মত। পুরো শিক্ষাজীবন জুড়েই আমদের অর্থ কষ্ট এত প্রবল থাকে যে আমাদের স্কিল ডেভলপমেন্টটা সময়মত হয়ে ওঠেনা। এক মাত্র ভালো বেতনে, ভালো কোম্পানীতে চাকরি করতে পারলেই আমাদের কর্ম দক্ষতা তৈরি হয়।

রেফারেন্স বিষয়টা আমাদের দেশে কখনো চেক করা বলে শুনিনি। উপরে যে দুজন রেফারেন্স নিয়ে মন্তব্য করেছেন তারা বিদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টা নিয়ে বলেছেন, এবং যথার্তই বলেছেন। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আপনার দেশের বাড়ি, পরিবার সম্পর্কে কথা বলার মধ্যে কোন ভুল বা প্রফেশনালিজমের ঘাটতি আমি দেখি না।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:১৬

জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। আমি মনে করি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা হওয়া উচিত কর্মমুখী এবং ডিপ্লোমা টু গ্রাজুয়েশন ক্যাটাগরির।

এতে অনেক তরুণ তরুণী দ্রুত কর্মজগতে প্রবেশ করতে পারবে এবং নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তারা নিজেদের পড়াশোনার খরচ বহন করতে পারবে।

স্কিল ডেভলপমেন্টের ব্যাপারে আপনি যা বলেছেন সেটা যেমন সত্য তেমনি ফ্রি তথ্য লাভে আমাদের তরুণদের আগ্রহের অভাব রয়েছে। যেমন দেখুন বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে একটা হাইপ চলছে। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে অনেকেই ব্যবসা করছে। বাস্তবতা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করা কোন ইজি টাস্ক নয়। এটার পিছনে উপযুক্ত সময় দিতে পারলে তাহলে কিছু একটা করা হয়ত সম্ভব। কিন্তু আমাদের দেশে তিন মাস ছয় মাস কোর্স করিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখানো হয়।

আমি যে ক্যান্ডিডেটের রেফারেন্স নিয়ে কথা বলেছি, তার ব্যাপারটা ব্যতিক্রম এবং আমরা যা সন্দেহ করেছিলাম, সেটা পরবর্তীতে সঠিক হিসাবে প্রমানিত হয়েছিলো। আসলে আমরা যে পজিশনে লোক নিবো,উক্ত লোকের পিছনে কোম্পানীর কিছু ইনভেস্টমেন্ট এর ব্যাপার আছে যেমন চায়নায় পাঠিয়ে ট্রেনিং করাতে হবে। ফলে এই পোস্টে যদি আমরা স্থির কাউকে না পাই, তাহলে সেটা কোম্পানীর প্রেক্ষাপট থেকে লসের। তাই এই বিষয়ে আমরা একটু খেয়াল করেছিলাম। আমি এখানে যে কেস স্টাডিগুলো বললাম, এইগুলো সবই ব্যতিক্রম।

যদি কারো সাথে এমন হয় বা কারো ব্যাকগ্রাউন্ড এমন হয় তাহলে তিনি যেন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহন করতে পারেন।

১৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:১৪

জনারণ্যে একজন বলেছেন: @ জাদিদ, ধন্যবাদ আপনার ক্লারিফিকেশনের জন্য।

বুঝতে পেরেছিলাম যে ওই ক্যান্ডিডেটকে সহজ করার জন্যই আপনার পারিবারিক বিষয়ের উপর অবতারণা। এখন আমাকে বলুন:

(১) পারিবারিক বিষয়ে কথা বললে ওই প্রার্থীকে যে তার কমফোর্ট-জোনে নিয়ে আশা যাবে, তা কিভাবে বুঝলেন? উল্টোটাও তো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই না? যদি কোনো ক্যান্ডিডেটকে কমফোর্ট-জোনে আনতেই চান - বেটার অপসন হলো তার হবি নিয়ে কথা বলা। কিংবা পড়াশুনা, অথবা কাজের বাইরে কি কি করতে পছন্দ করে তা নিয়ে কথা বলা।

(২) স্পেসিফিক ক্যান্ডিডেটের (রেফারেন্সের) ব্যাপারে যে এক্সপ্লানেশন দিলেন - আমার ধারণা আপনি আগেই বুঝতে পেরেছিলেন যে ওখানে কিঞ্চিৎ গড়বড় আছে। সেক্ষত্রে ক্যান্ডিডেটকে ভয়াবহ অপ্রস্তুত অবস্থায় না ফেলে অন্যভাবেও হ্যান্ডেল করা যেত। আর ফোন দিলেই যে কেউ সাথে সাথে ফোন রিসিভ করবে, এটা ভাবাও বোকামি।

একজন ইন্টারভিউয়ার হিসেবে এগুলি তো অবশ্যই আপনার জানার কথা, তাই না?

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

জাদিদ বলেছেন: আপনাকে আবারো আন্তরিক ধন্যবাদ পোষ্টে ফিরে আসার জন্য।

আমি ইতিপূর্বেও বলেছি আপনি যা বলেছেন সেটা নিয়ে দ্বিমত নেই এবং সেটা অনুসরণ করতে পারলে বলা যেত যে ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুসারে ইন্টার্ভিউগুলো বেশ ভয়াবহ হয় এবং সেখানে আরো অনেক ব্যক্তিগত প্রশ্নও করা হয়। সেটা নিঃসন্দেহে অপেশাদার আচরণ। আমি ইতিপূর্বে বলেছি শুধুমাত্র বিশেষ বা ব্যতিক্রমী ঘটনাগুলোই এখানে সকলের জানার উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে। কারণ ক্যান্ডিডেটের তথ্য সংরক্ষণ করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।

পারিবারিক বিষয়ে কথা বললে ওই প্রার্থীকে যে তার কমফোর্ট-জোনে নিয়ে আশা যাবে, তা কিভাবে বুঝলেন?
- সাধারণভাবে এই ধরনের ফ্যাক্ট বুঝার কোন নিশ্চয়তা নেই বা ছিলোও না। এখানে যে ক্যান্ডিডেটের কথা বলেছি - তার আচার ব্যবহার, আত্মবিশ্বাসের অভাব, বডি ল্যাংগুয়েজ ইত্যাদি দেখে আমার তাৎক্ষনিক-ভাবে মনে হয়েছে তার সাথে একটু ভিন্ন বিষয়ে আলাপ করা প্রয়োজন। তিনি যে আর্থ সামাজিক অবস্থান থেকে এসেছেন বলে আমার কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, সেই প্রেক্ষিতে আমার মনে হয়েছে তাঁর সাথে তার পরিবার বা তাঁর অঞ্চলের আলাপ করলে তিনি হয়ত কিছুটা সহজ হতে পারেন।

উক্ত ক্যান্ডিডেটের সাথে আমার কথোপকথনটি ছিলো অনেকটা এমন:
আপনার দেশের বাড়ি তো নড়াইল, তাই না?
-জি, স্যার।
চমৎকার জায়গা। আপনাদের ঐদিকে বেশ সুন্দর কিছু নদী আছে। আমি একবার একটা নৌকা বাইচের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। খুব ভালো লেগেছিলো। বিশেষ করে গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়ার নদীর সৌন্দর্য সত্যি দারুণ।

এই কথা বলার পর তাঁকে দেখে মনে হলো তিনি বেশ চমকে উঠেছেন এবং তার চেহারায় যে টেনশনের ছাপ ছিলো তা কিছুটা দুর করে বেশ অবাক কণ্ঠে বললেন,
-জি, স্যার, আমাদের এখানে অনেকগুলো নদী আছে, আমার বাড়ির পাশেই চিত্রা নদী। আপনি গিয়েছেন সেখানে?
হ্যাঁ, আপনাদের ঐ দিকে গিয়েছিলাম। যে নদীটা আমি দেখেছিলাম, তা চিত্রা কিনা আমার মনে নেই।
- স্যার আমাদের বাড়ি থেকেই নদী দেখা যায়। আমি বাড়িতে গেলে সময় পেলেই নদীতে নৌকা নিয়ে ঘুরি।
গ্রেট! আপনার ফ্যামিলি কি সেখানেই থাকে না ঢাকায় থাকে?
- না স্যার আমার ফ্যামিলির সবাই নড়াইল থাকে। আমার বাবা, মা.....

এই ধরনের কথাবার্তা আমরা চালিয়েছি। আমার বিশ্বাস তিনি এতে বিব্রত হন নি বা কোন সমস্যা হয় নি। এবং এর পরে তিনি আমাদের অনেক প্রয়োজনীয় প্রশ্নের জবাব বেশ স্বাভাবিক ভাবেই দিয়েছেন।

তাছাড়া আমি আপনাকে আগেই বলেছি, যে বিষয়গুলো এখানে শেয়ার করেছি তা ব্যতিক্রম বা এই ধরনের আলাপচারীটা স্বাভাবিক প্রেক্ষাপটের জন্য প্রযোজ্য নয়। আশা করি আপনি ব্যাপারটি বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।

এবার আশা যাক আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নে। আপনি যেভাবে দেখছেন বা বিষয়টি যেভাবে বলছেন স্বাভাবিক ক্ষেত্রে সেটাই হওয়া উচিত – আমি এটা বার বার বলেছি। কিন্তু তারপরও বিষয়টিকে আপনি দেখতে চাইছেন আমাদের পেক্ষাপট থেকে ভুল হিসাবে। সেই হিসাবে আমার এই বিষয়ে আর কোন বক্তব্য নেই।

যে ঘটনাগুলো এখানে শেয়ার করা হয়েছে তা মূলত কিছু ব্যতিক্রম ঘটনা যা স্বাভাবিক প্রেক্ষাপট দিয়ে যাচাই করা যাবে না। যেমন উক্ত প্রতিষ্ঠান যে ধরনের ও অভিজ্ঞতার লোক খুঁজছেন, সেই হিসাবে উক্ত ক্যান্ডিডেট প্রাথমিক যাচাই এ বাদ পড়ার কথা। যদি আমি ইনিশিয়াল স্ক্রিনিং এর দায়িত্বে থাকতাম, তাহলে এই ক্যান্ডিডেটকে আমি ইন্টার্ভিউয়ের জন্য সিলেক্ট করতাম না। কারণ এটাতে আমার আরওআই শূন্য।

অনেক সময় পরিস্থিতি অনুযায়ী কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। ইন্টার্ভিউ চলাকালীন সময়ে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থাপকের উপস্থিতিতে এবং আগ্রহী প্রার্থীর সম্মতিতে যে কোন ধরনের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সম্ভব। ফলে রেফারেন্স চেক করার মত কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এবং যদি প্রার্থী উক্ত ব্যাপারে ইতিবাচক সম্মতি প্রদান করলে, রেফারেন্সের সাথে যোগাযোগ করাতে পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে কোন সমস্যা হবার কথা নয়।

আমার এই ঘটনাগুলো শেয়ার করার প্রধান কারণ হচ্ছে কিছু ব্যতিক্রম ঘটনা বলা যেন যে কোন পরিস্থিতিতে তারা প্রস্তুত থাকতে পারেন এবং সঠিকভাবে রেফারেন্স ব্যবহার করার গুরুত্ব সম্পর্কে ধারনা পান। এখানে আমার উদ্দেশ্যে কাউকে বিব্রত করা নয় বরং একজন অসতর্ক প্রার্থীকে ধারনা দেয়া যে অনেক সময় একটি সাধারণ বিষয় থেকেও প্রশ্নকর্তা আপনাকে কিছুটা ঝামেলায় বা বিব্রত করতে পারে এবং র‍্যানডম সুইচ করা কোন ভালো ব্যাপার নয়।

সবচেয়ে বড় কথা সাধারণ প্রেক্ষাপটে রেফারেন্স চেক করা বা নির্দেশনা অনুসারে রেফারেন্স প্রদান করা একদম প্রার্থী নির্বাচনের সর্বশেষ ধাপে হয়। রেফারেন্সের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মী নির্বাচনের চূড়ান্ত ধাপ সম্পন্ন করেন। যেহেতু বিষয়টি একটু ব্যতিক্রম তাই এই বিষয়ের অবতারনা হয়েছে। তাছাড়া, আমরা যদি উক্ত প্রার্থীকে সত্যি বিব্রত করতে চাইতাম, তাহলে এই ব্যাপারে আরো কথা বলতাম এবং চাকরী সংক্রান্ত অন্য কোন বিষয়ে প্রশ্ন না করে সরাসরি বিদায় করে দিতে পারতাম।

আপনাকে আবারো ধন্যবাদ, আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য। এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন করে ভালো করেছেন, কারণ আমাদের আলোচনা থেকে নতুন চাকরি প্রার্থীদের জন্য অনেক কিছু জানার থাকতে পারে। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চাকরির ইন্টার্ভিউতে বাস্তব পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ এবং ভিন্ন এবং চূড়ান্ত অপেশাদার।

১৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৩০

জনারণ্যে একজন বলেছেন: @ করুনাধারা - তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আপনার দেশের বাড়ি, পরিবার সম্পর্কে কথা বলার মধ্যে কোন ভুল বা প্রফেশনালিজমের ঘাটতি আমি দেখি না।

(১) সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবই জায়েজ (যেমন সিভিতে পারিবারিক তথ্য, বর্ণ, ধর্ম, উচ্চতা, ছবি ইত্যাদি শেয়ার করা)। এবং এখানে আমাদের এত কথা বলার প্রয়োজনীয়তাও ছিল না (যেহেতু প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ)।

(২) ধরুন কোনো চাকরি-প্রার্থীর পারিবারিক সমস্যা আছে (যেমন বাবা-মা পৃথক হয়ে গেছেন, পরিবারের নিকটবর্তী কেউ সম্প্রতি মারা গেছেন অথবা কারান্তরীণ আছেন, অথবা মনেই করুন বাবা-মা কেউ এমন কোনো এক কাজ করেন যেটা উনি শেয়ার করতে চাইছেন না) - সেক্ষত্রে পারিবারিক বিষয়ে আলাপ করে আপনি তাকে কিভাবে কমফোর্ট-জোনে নিয়ে যাবেন?

সবক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের সাথে তুলনা করে যদি ভুল কাজকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করেন; তবে ঠিক আছে এবং সেক্ষেত্রে আমার কোনো মন্তব্য নেই। এবং আমাদের এতোক্ষনের আলোচনার আউটপুট জিরো।

১৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:




জনারণ্যে একজন বলেছেন: @ করুনাধারা

করুনাধারা এবং শ্রাবণধারা দুজন ভিন্ন ব্লগার।


১৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: পোস্টদাতা ও @জনারণ্যে_একদিন এর কাছে আমার একটি প্রশ্ন আছে !

প্রশ্নটা হলো রেফারেন্স নিয়ে !!

আমাদের দেশে সাধারণত অফিস পলিটিক্স মাত্রাতিরিক্ত হারে দেখা যায় , এছাড়াও আছে তোষামোদের সংস্কৃতি । একজন চাকরিপ্রার্থীর কাজ কেমন বা সে যোগ্য কিনা এই সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখবে তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা । এখন এমনও তো হতে পারে যে তিনি সেই উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে ভালো বলে পরিগণিত কেউ নন তা তার যতই দক্ষতা থাকুক । সেক্ষেত্রে তো ঐ চাকরি প্রার্থী তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন না । তাছাড়া কোন ব্যবস্থাপক চান না তার কর্মচারী চলে গিয়ে একটা শূণ্য পদ তৈরী হোক । তাই চাকরিপ্রার্থী অনেকেই গোপেনে চাকরি খুঁজেন কিংবা নিভৃতে খোঁজেন সেক্ষেত্রেও তো রেফারেন্স কাউকে ব্যবহার করতে পারবেন না ( মানে যারা তার কর্মস্থানের লোক ) । এক্ষেত্রে কী করণীয় ?


এই দেশের তোষামোদ সংস্কৃতি এতই প্রকট যে সবাই এই দিকেই ঝোঁকে । তাই রেফারেন্সের ব্যক্তি যে সুপারিশ করছে তার পেছনে ঐ চাকরি প্রার্থীর যোগ্যতা ও দক্ষতা কাজ করছে তাওবা নিশ্চিত হওয়া যাবে কী করে ? এখানে তো এমনও হতে পারে তোষামোদে খোশ আমদেদ হয়ে তিনি সুপারিশ করছেন !!


এগুলো কী অযথার্থতাকে নির্দেশ করে না ??

আশা করি উত্তর দেবেন দুজনেই !

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

জাদিদ বলেছেন: যে কোন ভালো প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করার পূর্বে তার কর্মীদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করে। এটা একটি প্রচলিত বা বহুল চর্চিত একটি বিষয়। রেফারেন্সের কাজ সুপারিশ করা নয়। রেফারেন্স চেক করার কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে, প্রফেশনাল ওয়ে আছে, সেভাবে যাচাই করা হয়।

একজন ফ্রেসার যিনি সদ্য পাশ করেছেন তিনি তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে এই রেফারেন্সগুলো মাঝে মাঝে আপডেট করা উচিত। কারণ অনেক সময় শিক্ষকরা অবসরে চলে যান বা এত হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীর মধ্য থেকে তাঁর পক্ষে সবাইকে মনে রাখা অনেক সময় সম্ভব হয় না। তাই যারা শিক্ষকদের রেফারেন্স ব্যবহার করবেন, তাঁদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা একটি প্রয়োজনীয় ব্যাপার।

অন্যদিকে, যাদের কাজের অভিজ্ঞতা আছে, তারা রেফারেন্স দিতে পারেন তাঁদের সর্বশেষ কাজের সহকর্মীকে বা সুপারভাইজারকে।

কর্মক্ষেত্রে পেশাদার আচরণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আপনার কলিগদের সাথে কিভাবে আচরণ করবেন, আপনার সুপারভাইজারের সাথে কেমন সম্পর্ক রাখবেন - এই সবই আপনার পেশাদারিত্বের উপর নির্ভর করবে। কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে তেলবাজ শব্দটিকে আমরা অপেশাদার আচরণ হিসাবে চিহ্নিত করতে পারি এবং এটাকে হ্যান্ডল করার জন্য নিজের পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা তোষামোদ করেন না প্রমাণ করতে গিয়ে চূড়ান্ত আন-প্রফেশনাল ব্যবহার করেন। এই ব্যাপারেও সর্তক থাকতে হবে। নিজের মোরালিটি, ডিগনিটি এবং পেশাদার আচরণ এই সবের উপর ভিত্তি করে যে কোন পরিস্থিতি নৈতিকভাবে বিচার করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিনয়ী হওয়া মানে তেলবাজী নয়।

দিনশেষে আপনার নিয়োগকারী যদি আপনার কাছে কোন প্রফেশনাল রেফারেন্স চায় আর আপনি তা প্রদান করতে ব্যর্থ হন, সেই ক্ষেত্রে দায়ভার আপনাকেই নিতে হবে। বিষয়টিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে ম্যানেজমেন্ট দক্ষতার ঘাটতি হিসাবেই দেখব।

আপনার সহকর্মীর অপেশাদার আচরণের কারণে তাঁদের অর্থাৎ কর্মক্ষেত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট কারো রেফারেন্স না প্রদান করতে পারেন, সেটা আপনার সমস্যা। আপনি প্রফেশনালি বিষয়টি হ্যান্ডল করতে পারেন নি বলেই এই ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিষয়টি আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

২০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৪

জনারণ্যে একজন বলেছেন: ধন্যবাদ, জাদিদ!

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:৪০

জাদিদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:




কেমন আছে জাদিদ।
একটা ইমেইল করেছি।
প্লীজ চেক করবে।

ভালো থাকবে।
থ্যাংক ইউ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.