নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেসব কথা এই সামু ব্লগে লিখতে পারি না নানা কারনে- সেসব কথা আমার পার্সোনাল জার্নাল ব্লগে লিখি -- https://journalofjahid.com/

জাহিদ অনিক

ভালোবাসি কবি ও কবিতাকে

জাহিদ অনিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটুখানি সিসিফাস -- এবসার্ডিজম - শশবিষান ও অন্যান্য

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭



আলবেয়ার কামুসের দুইটা লেখা আমাকে ভীষণভাবে বিমোহিত করে। একটা হলো The Outsider আরেকটা হলো The Myth Of Sisyphus. দুইটা বই'ই জীবনের অযৌক্তিকতা, অর্থহীনতা, আর শশবিষান নিয়ে কথাবার্তা।

কামুসের লেখায় absurdity বিষয়টা খুব জোড়ালো-ভাবে দেখা যায়। আমার মনে হয় না যে, কামুস এসব নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে লিখেছেন। মনে হয়েছে যে জীবনের প্রত্যেকটা স্তরে স্তরে তিনি এসব অনুভব করেছেন বলেই এই ভাবনা চিন্তাগুলো ওনার মধ্যে এইভাবে এত প্রকটভাবে ধরা দিয়েছে।

১) দ্য আউটসাইডারঃ এবসার্ডিজমের সূচনা



কামুসের এই লেখাগুলো আমাদেরকে জীবনকে বুঝতে যতটা না সাহায্য করে, তারচেয়ে বেশি সাহায্য করে জীবনের অসঙ্গতিগুলোকে বুঝতে বা অনুভব করতে যে- হ্যাঁ এরকমও হতে পারে। যেমন, ধরা যাক; আপনি কোনও কাজের জন্য অনেকদিন ধরে মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, আপনি খুবই কনফিডেন্ট ব্যাপারটা নিয়ে যে কাজটা আপনার হয়ে যাবেই। এবং আপনি এও জানেন যে, আপনি যতটা না চাচ্ছেন যে কাজটা হয়ে যাক, কাজটাও অনেকটা মনে মনে চায় যে- সে আপনার হাতেই এসে হয়ে যাক। অনেকটা ঐ রুমির লাইনের মতন

- “Not only the thirsty seek the water, the water as well seeks the thirsty.”


উভয়পক্ষের এতটা একাগ্রতা আর তীব্রতা থাকা সত্ত্বেও যখন দেখতে পাবেন যে- হলো না আসলে; কাজটা হলো না। কোনও কারণে আপনার হৃদয় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে- তখন আসলে আপনার কোনও সহানুভূতির হাত দরকার হয় না। কারণ সহানুভূতিকে সহানুভূতিসহ গ্রহণ করার জন্য অনেকটা শক্ত নিজেকে হতে হয়। কিন্তু হয়ত ঠিক তক্ষুনি আপনি অতটা শক্ত নন। তখন আমার মনে হয় আপনার সহানুভূতির দরকার না। আপনার দরকার হবে কেউ আপনাকে কিছু উদাহরণ ও বিশ্লেষণ সহকারে দেখিয়ে দিক যে পৃথিবীটা আসলেই খুব শক্ত আর রূঢ়। এখানেই আসে জীবনের অযৌক্তিকতা, অর্থ-হীনতা, আর শশবিষান, absurdity নিয়ে কথাবার্তা।

কামুস এই ব্যাপারগুলো তার লেখায় চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। যদি কামুসের দ্যা আউটসাইডার নিয়ে একটু বলি- এটা একটি কালজয়ী উপন্যাস। এটি আধুনিক সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রচনা। উপন্যাসটি মানুষের অস্তিত্বের অর্থ-হীনতা, বিচ্ছিন্নতা, এবং অবিবেচনামূলক আচরণের পরিণতির মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করে। একটা ঘটনা আমাকে খুবই ভাবিয়েছে - দেখা যায় যে, ঘটনার যিনি প্রধান চরিত্র তার মা মারা গেছেন। বৃদ্ধাশ্রমের মানুষ তাক খবর দিয়েছেন তার মাকে শেষবারের মত দেখবার ও সৎকারে অংশ নেয়ার জন্য।

মায়ের এই মৃত্যুতে চরিত্রটির মধ্যে তেমন কোনও ভ্রূক্ষেপ দেখা যায় না। তার অনেকটা ধারণা এমন যে, মানুষ মারা যাবে এটাই তো স্বাভাবিক। মা হোক, বাবা হোক, স্ত্রী হোক; সবাই মরে যাবে। এটাকে অনেক আগে মনের মধ্যে গ্রহণ করে নিয়েছে। তাই মায়ের এই মৃত্যু শোক তাঁকে খুব একটা শোকায়িত করতে পারে না। কামুস দেখিয়েছেন যে- যেখানেই এই পুরো পৃথিবীটাই সম্পূর্ণ অর্থহীন ও absurd; সেখানে কেউ একজন মারা গেলে পৃথিবীর কিই'বা আসে যায়।

চরিত্রটি তাই নিজের একান্ত অনিচ্ছায় মায়ের শেষকৃত্যে যোগ দিতে আসে, এবং সে নিজের ইচ্ছেমত কাজ করে। সে মায়ের কফিনের কাছে নিয়ে মনের ইচ্ছেয় সিগারেট টানে। শেষপর্যন্ত শেষকৃত্যে যোগ না দিয়ে নিজের গার্লফ্রেন্ড কে নিয়ে সমুদ্রের পাড়ে ঘুরতে যায়।

অর্থাৎ- কামুস দেখাতে চেয়েছেন যে, যেহেতু পৃথিবীটাই অর্থহীন ও অ্যাবসার্ড; তাই এখানে এমন কিছু করারও কোনও মানে নেই যার খুব গভীর সামাজিক মূল্যবোধ আছে। বরং নিজের মধ্যে সব অসঙ্গতি মেনে নিয়ে নিজেকে সব জায়গায় খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা না করে নিজের সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়ে, নিজের মত করে বাঁচাটাই বরং এই নশ্বর পৃথিবীর একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।

কামুসের মতে- মানুষের ফিলোসফিক্যাল যত সমস্যা আছে সব কিছুই খুব ভালো করে দেখলে উত্তর খুঁজে বের করে সমাধান করা সম্ভব। কেবলমাত্র যে একটা দার্শনিক প্রশ্নের উত্তরে মানুষ সঠিক উত্তর খুঁজে পায় না সেটা হলো- সে তার নিজের অস্তিত্ব'কে কীভাবে দেখছে! সে তার নিজের জীবন নিয়ে হ্যাপি? তার কি বেঁচে থাকা উচিত জীবনের সমস্ত তিক্ত সত্য মেনে নাকি তার মরে যাওয়া উচিত। একমাত্র বেঁচে থাকা সঠিক সিদ্ধান্ত নাকি আত্মহত্যা করাই ভালো; সেটাই একমাত্র মুখ্য প্রশ্ন।

“There is only one really serious philosophical problem,” Camus says, “and that is suicide. Deciding whether or not life is worth living is to answer the fundamental question in philosophy. All other questions follow from that” (MS, 3). One might object that suicide is neither a “problem” nor a “question,” but an act.


যাইহোক, জীবন তো অনেক সহজ কিছু না। অনেক কিছুই এখানে পাওয়া, না পাওয়া আর ছাড় দিয়ে চলতে আর মানিয়ে নিতে শিখে নিতে হয়। অনেক খুব একান্ত নিজের জিনিসপত্রও ছেড়ে দিতে হয় এই মহাবিশ্বের মহাকালে। আমি কেবলই ভাবি, আমি শুধু একা নই, আমার মতন আরও অনেকেই গিয়েছেন এইসব অনুভূতির মধ্যে দিয়ে- তবেই না এসেছে এসব জীবনের দর্শন। তবেই না কামুস ভেবেছেন আর লিখেছেন এসব ফিলোসফি।

২: মিথ অফ সিসিফাস - চূড়ান্ত এবসার্ডিজম

মিথ অফ সিসিফাস কামুসের আরেকটা দারুণ লেখা।

গ্রীক পুরাণে, সিসিফাস ছিলেন কোরিন্থের রাজা। তাকে একটা দুষ্টু এবং প্রতারক রাজা হিসাবে বর্ণনা করা হয়। তিনি তার প্রজাদের উপর অত্যাচার করতেন এবং দেবতাদের সাথে প্রতারণা করতেন। একদিন, তিনি মৃতদের রাজ্য থেকে তার মৃত স্ত্রীর ফিরে আসার জন্য মৃত্যুকে বন্দী করেছিলেন। দেবতারা এই প্রতারণার জন্য সিসিফাসের উপর বিরক্ত হয়েছিলেন এবং তাকে তার পাপের জন্য শাস্তি দিতে চেয়েছিলেন।

দেবতারা সিসিফাসকে পাতালের নিচে পাঠিয়েছিলেন, যেখানে তাকে একটি পাহাড়ের চূড়ায় একটি বিশাল পাথর ঠেলে দিতে হয়েছিল। প্রতিবার যখন তিনি পাথরটি চূড়ায় পৌঁছতেন, তখন তা তার নিজের ভারে নিচে গড়িয়ে পড়ত। তাকে অনন্তকাল ধরে এই কাজ করতে হয়েছিল।


সিসিফাসের শাস্তিটিকে প্রায়শই অসম্ভব কাজের প্রতীক হিসাবে দেখা হয়। এটি এমন একটি কাজ যা কখনও শেষ হবে না এবং কোনও অর্থপূর্ণ ফলাফল তৈরি করবে না। সিসিফাসের শাস্তিটিও প্রায়শই অস্তিত্ববাদী দর্শনের সাথে যুক্ত হয়। অস্তিত্ববাদীরা বিশ্বাস করেন যে জীবনের কোন অন্তর্নিহিত অর্থ নেই এবং মানুষকে নিজেরাই অর্থ তৈরি করতে হয়। সিসিফাসের শাস্তিটি এই ধারণার একটি উদাহরণ যে এমনকি অর্থহীন কাজও করতে থাকার অর্থ থাকতে পারে।

এখন আসা যাক এই সাজা তে সিসিফাস হ্যাপি নাকি আন-হ্যাপি। আমি আপনি বাইরে থেকে দেখলে বলতেই পারি- এই একটা পাথরকে গড়িয়ে উপরে তুলে নিয়ে যাচ্ছে আবার সেটা নিজে নিজে নিচে নেমে আসবে। আবার সেটা সিসিফাস উপরে নিয়ে যাবে, আবার নিচে চলে আসবে; এরচেয়ে মিনিংলেস কাজ তো আর কিছুই হয় না। সিসিফাস নিশ্চয়ই এই কাজে খুব বিরক্ত আর হতাশ, আর সে নিশ্চয়ই এই সাজা পেয়ে মোটেই হ্যাপি নয়।

এখন সিসিফাস হ্যাপি নাকি আন-হ্যাপি সেটা একটু দেখা যাক। এইখানে কামুস লিখেছেন যে -

Each atom of that stone, each mineral flake of that night-filled mountain, in itself, forms a world. The struggle itself toward the heights is enough to fill a man's heart. One must imagine Sisyphus happy.”

এইখানে কামুস বোঝাতে চেয়েছেন যে - কোনও কাজের শেষ পরিণতি যদি ভুলে যাওয়া যায়; এবং যদি ঐ কাজে যে পরিমাণ স্ট্রাগল বা পরিশ্রম আছে; সেটার দিকে যদি কেউ তাকায়- তবে কেবলমাত্র ঐ সমস্ত পরিশ্রমই একজন মানুষের হৃদয়কে পরিপূর্ণ করে দিতে সক্ষম।

ব্যাপারটা আরেকটু সহজ করা যাক! আমরা যখন কোনও কাজ করি সেটার শেষ পরিনতি'তে যাওয়ার আগেই কিন্তু আমরা একটা সুখানুভূতি পাই। যেমন ধরা যাক, কেউ ২০ তলা বিল্ডিং সিঁড়ি বেয়ে উঠবে। এই যে সে একটা করে ফ্লোর সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠছে- এতে করে প্রত্যেকটা ফ্লোরে গিয়েই অথবা প্রত্যেকটা সিঁড়িতেই সে একটু করে আনন্দ পাচ্ছে। কিসের এই আনন্দ সেটা সে হয়ত জানে না। কিন্তু সে পাচ্ছে।
এখন এই লোকটা ২০ তলা সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে হয়ত সে দেখবে কিছুই সেখানে নেই। তবুও- সে যে এত কষ্ট করে, এত স্ট্রাগল করে এত উপরে উঠল; এইটাই তার হৃদয়ে কিছুটা পূর্ণতা এনে দেবে।

তাই কামুস বলেছেন - The struggle itself toward the heights is enough to fill a man's heart. One must imagine Sisyphus happy.”


আলবেয়ার কামুস তার "মিথ অফ সিসিফাস" প্রবন্ধে সিসিফাসের শাস্তির একটি বিখ্যাত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কামু যুক্তি দেন যে সিসিফাস তার শাস্তির প্রতি হতাশ হওয়ার পরিবর্তে, তিনি এটিকে একটি অর্থপূর্ণ কাজ হিসাবে গ্রহণ করতে পারেন। তিনি পাথরটিকে চূড়ায় ঠেলে দেওয়ার কাজটিকে একটি শিল্প হিসাবে দেখতে পারেন, বা এটিকে তার স্বাধীনতার প্রতীক হিসাবে দেখতে পারেন। কামুসের মতে, সিসিফাস তার শাস্তির মাধ্যমে জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে পারেন।


সিসিফাসের শাস্তি একটি জটিল এবং বহুমুখী প্রতীক। এটি অসম্ভব কাজের প্রতীক, অস্তিত্ববাদী দর্শনের একটি উদাহরণ এবং জীবনের অর্থের সন্ধান।

শেষ করছি- তবে আমরা যদি আমাদের জীবনের দিকে তাকাই- আমাদের নিজেদের প্রাত্যহিক জীবনে আমরাও তো সিসিফাসের মতন একই সাজা খেটে যাচ্ছি, আর একই মিনিংলেস কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ঘুমাচ্ছি, ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কাজে যাচ্ছি। আবার বাসায় এসে ঘুম। এই একই আবর্তে আমরাও আটকে নেই কি!

সিসিফাস সকাল টু সন্ধ্যা একটা পাথরকে গড়িয়ে উপরে নিয়ে যেত- আবার সেই পাথরটা নিজের ইচ্ছায় নিচে নেমে আসতো। আমরাও আলাদা কিছু করছি না, সকালে উঠে কাজে যাচ্ছি, একটা বড়সড় পাথরের মত কিছু একটা গড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছি। রাতে এসে আবার ঘুমিয়ে যাচ্ছি- আবার সেই পরেরদিন সকালে উঠে একই পাথর আবার গড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

এখন তাহলে আমরা কি হ্যাপি না? আমরা কি আন-হ্যাপি? উত্তর হ্যাঁ অথবা না। বিশাল অর্থে দেখলে আমরা আন-হ্যাপি। কারণ এই কোনও কিছুরই কোনও অর্থ নেই। আবার এই যে জীবনের জগদ্দল পাথর ঠেলতে ঠেলতে আমাদের হৃদয়ে একটু প্রেম আসছে, অনেকটা বিষাদ আসছে, অনেকটা সুখ অসুখ অনেক কিছুই আসছে। এসবই আমাদের হ্যাপি রাখছে, বাঁচিয়ে রাখছে।

তাহলে কি ভাববো? সিসিফাস হ্যাপি?
আদতে সে যাইহোক, One must imagine Sisyphus happy.”

প্রায় শেষ করে ফেলেছি লেখাটা এই আনন্দে আমি আনন্দিত! কী জানি আমার ভেতরের সিসিফাস হয়ত এতেই হ্যাপি। যাইহোক, এই দুইটা বই নিয়ে কথা বলতে গেলে অবিচ্ছেদ্যভাবেই চলে আসে স্যামুয়েল ব্যাকেটএর ওয়েটিং ফর গডো এর কথা।
আমরা অনন্তকাল ধরে গডো এর জন্য অপেক্ষা করি। গডো আসবে, সে আমাদের সকল দুঃখ ঘুচিয়ে দেবে। সে আমাদের সব কথা মন দিয়ে শুনবে —-



“The tears of the world are a constant quantity. For each one who begins to weep somewhere else another stops. The same is true of the laugh.”
― Samuel Beckett, Waiting for Godot

-------------------------------------------
জাহিদ অনিক
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪






মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ভালো লিখেছেন।
কামুস ফিলোসফি নিজের জীবনের সাথে মিলিয়ে কোনো গুরুত্বপর্ণ ডিসিশন নিতে চান?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: কামুস ফিলোসফি নিজের জীবনের সাথে মিলিয়ে কোনো গুরুত্বপর্ণ ডিসিশন নিতে চান?
হ্যাঁ চাই বোধয়

ধন্যবাদ শূন্য সারমর্ম প্রথম মন্তব্যের জন্য

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



কামু নিজে সিসিফাস ছিলো বোধ হয়। আপনি সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: হ্যাঁ সে ত নিশ্চয়ই ভাবা যায়। কামুস সিসিফাস ছিলেন কিনা অথবা তিনি নিজেকে সিসিফাস ভাবতেন কিনা - সেটা মূখ্য নয় একদিক দিয়ে দেখলে।

আমি যে কী সাহসী সিদ্ধান্ত নিবো সেটাই ভাবছি। আবার ভাবছি এই যে এসব ফিলোসফি সব বুঝে বুঝে আত্মস্থ করে আবার সেটা একটা পোষ্ট করে দিলাম এও কি কম সাহসের কাজ!!

ফিরতি মন্তব্যের জন্য আবারও কৃতজ্ঞতা রইলো শূন্য সারমর্ম

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালো হয়েছে লেখাটা। কত আগে ভিন্ন চিন্তা করে ফেলেছে।
এক সময় অনেক পড়তাম মুখস্ত ছিল প্রায় ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১১

জাহিদ অনিক বলেছেন: হ্যাঁ কামুস অনেক আগেই অনেক কিছু ভেবে রেখেছেন। অবশ্য আগে ভেবেছেন সেটা বলা ঠিক যায় না। কামুস যে বয়সে এসে ভেবছেন, যে সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়ে ভেবেছেন -- আমরাও ঠিক সেই সময়ে গিয়েই ভাবছি।

এক সময় অনেক পড়তাম মুখস্ত ছিল প্রায় । - কি বলছেন কামুসের লেখা প্রায় মুখস্থ !!

অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন রোকসানা লেইস

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০৬

বাউন্ডেলে বলেছেন: জীবন মুল্যহীন। সার্থকতা নেই কোন কিছুতেই, কোন কর্মেই, কোন অনুভুতি প্রকাশেই। কামুর জীবনবোধ ফলপ্রসু হয়েছে। তাকে আরো কয়েক,শ বছর মানুষ মনে রাখবে। তার জীবন মুল্যমান পেয়েছে। এটাই প্রানী জীবন । ফুলের জীবনের সার্থকতা সৌন্দর্য ও সৌরভ প্রদর্শনে। অনুরুপ অন্য প্রান-অনুভুতি সমুহেরও। মানুষের কর্মই সার্থকতা কর্মফলে নয়। অনভুতির বৈচিত্র বিহীন জীবনে-নীরস পৃথীবি।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

জাহিদ অনিক বলেছেন:
আহা সবকিছুই যেন সেই এবসার্ডজিমের কথাবার্তাই বলে গেলেন। কেবল প্রশ্ন, এও কি আপনারও মনের কথা নাকি এই পোষ্ট পড়লেন বলে বললেন ---

কামুর জীবনবোধ ফলপ্রসু হয়েছে। তাকে আরো কয়েক,শ বছর মানুষ মনে রাখবে।
- হ্যাঁ সে তো ঠিকই। কিন্তু কামু ঠিক মানুষের অন্তরে এইভাবে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকতে চেয়েছেন কি চান নি ইহা জানি না।
একজন সাধারণ মানুষ সে যখন কামুসের লেখা পড়বে তখন - হয় সে নতুন একটা দিগন্ত দেখতে পাবে - অথবা সে কিছুই বুঝতে পারবে না। তখন সে কামুসের লেখাকে গার্বেজ বলবে।

অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা বাউন্ডেলে

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর একটি পোষ্ট লিখেছেন। ধন্যবাদ কবি।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

জাহিদ অনিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই। আপনার দেখা সাক্ষাৎ পেয়ে ভালো লাগছে। আপনার জীবন দেখে মনে হয় বেশ বর্নীল ও বর্নাঢ্য। কামুসের এসব দর্শন আপনার সাথে যায় কি?

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭

মিথমেকার বলেছেন: দারুণ লিখেছেন! বই দুটি পড়ার আগ্রহ অনেক বেড়ে গেলো।
শুভকামনা।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯

জাহিদ অনিক বলেছেন: দারুণ লিখেছেন! অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা মিথমেকার মন্তব্যের জন্য। অনুপ্রাণিত হলাম। নশ্বর এই পৃথিবীতে আপনার মন্তব্যে কিছুটা অনুপ্রাণিত হলাম, এও বা কম কিসে!

মিথমেকার - সামু ব্লগে স্বাগতম। নতুন নিক দেখে ভালো লাগে। আশাকরি আপনার ব্লগের পথচলা ভালো কাটবে। আপনার লেখালেখিতে মুখরিত হয়ে উঠবে ব্লগের এপাড়া ওপাড়া। নামেই যেহেতু আপনি মিথমেকার - কয়েকটা মাইথোলজিকাল কাহিনী আপনার নামেও আসবে নিশ্চয়ই আশা করছি - হা হা

৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪০

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: সিসিফাস শাস্তি পেয়েছিলো পাথর গড়িয়ে উপরে তোলার। তাই ওটা আলাদা। আর আমরা প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে যেটা করি, সেটা হলো রুটিন কাজ। কোন শাস্তি কিংবা আদেশ না। পার্থক্য অবশ্যই আছে। সিসিফাসের যদি আগ্রহ নাও থাকে, তাহলেও তাঁকে বাধ্যতামূলক কাজটি করতে হবে। আর আমাদের বাধ্যতামূলক না। মনে করেন, আমি একদিন সকালে না উঠে, দুপুরে ঘুম থেকে উঠলাম। উঠেই সকালের সব কাজ করলাম। শুধু নাস্তার বেলায় লাঞ্চ সাড়লাম। এখানে আমাকে কেউই কিছু বলার নাই। কেউ বা বাঁধা দেওয়ারও বলার নাই। সম্পূর্ন নিজের খেয়াল খুশিমত। তাই এই পার্থক্যটা মানতে পারলাম না।

বই সম্পর্কে এই বিশ্লেষণ ছাড়া, বাকি সবই ভালো লেগেছে। সুন্দর বর্ণনা করেছেন। শুধু শেষের পার্থক্যটা পছন্দ হয়নি।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: আহা কতটা সহজ করেই না বললেন -- বই সম্পর্কে এই বিশ্লেষণ ছাড়া, বাকি সবই ভালো লেগেছে। সুন্দর বর্ণনা করেছেন। শুধু শেষের পার্থক্যটা পছন্দ হয়নি।
চমৎকার।

আসলে সিসিফাসের সাজা আর আমাদের বেঁচে থাকাটা একই রকম কিনা। হলে সেটা কতটা সাদৃশ্যপুর্ণ অথবা না হলে কেন নয় - সেসব নিয়ে যুক্তি তর্ক করারও বোধয় কিছু নেই। কিছু কিছু সিসিফাস হয়ত হ্যাপি, কিছু কিছু সিসিফাস হ্যাপি নয়।
এবসার্ড এই জগতে অনেক কিছুই অনেকভাবে কোনও অর্থবহন করবে না হয়ত। এই যে আমি এখন আপনাকে রিপ্লাই লিখছি - আর চেয়ারে বসে বসে দোল খাচ্ছি। ওদিকে আবার ইউটিউবে গান চলছে-- এইসবের আসলেই কোনও মানে আছে নাকি নেই কে জানে! এসব কিছুই পূর্ব-নির্ধারিত কিনা নাকি এসবকিছুই কেবলমাত্র টাইম পাস আর মিনিংলেস--- ! আই কান্ট সে রিয়েলি।


আপনার মন্তব্য ভালো লেগেছে।
শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা রইলো নয়ন বড়ুয়া

৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

মিরোরডডল বলেছেন:




- “Not only the thirsty seek the water, the water as well seeks the thirsty.”

very well said.

সত্যি তাই। পৃথিবীটা আসলেই খুব শক্ত আর রূঢ়!

মারা গেলে শুধু পৃথিবী না, কাছের কিছু মানুষ ছাড়া কারোর কিছুই যায় আসে না।

শেষপর্যন্ত শেষকৃত্যে যোগ না দিয়ে নিজের গার্লফ্রেন্ড কে নিয়ে সমুদ্রের পাড়ে ঘুরতে যায়।
এরকমও হয়?

নিজের মধ্যে সব অসঙ্গতি মেনে নিয়ে নিজেকে সব জায়গায় খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা না করে নিজের সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়ে, নিজের মত করে বাঁচাটাই বরং এই নশ্বর পৃথিবীর একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।

হয়তো তাই কিন্তু মানুষ তার উল্টোটাই করে।


৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: সত্যি তাই। পৃথিবীটা আসলেই খুব শক্ত আর রূঢ়!
মারা গেলে শুধু পৃথিবী না, কাছের কিছু মানুষ ছাড়া কারোর কিছুই যায় আসে না।

হ্যাঁ সে তো বটেই, কেউ চলে গেলে পৃথিবী থেকে অথবা কাছে থেকে দূরে- মানুষ মূলত অভ্যাসের জন্য আটকে থাকে। মরে গেলে কেউ সে আর অভ্যাসের মধ্যে থাকে না। তবে তাকে ভালোবাসা যায় যেকোনো অবস্থাতেই,, জীবিত অথবা মৃত।

শেষপর্যন্ত শেষকৃত্যে যোগ না দিয়ে নিজের গার্লফ্রেন্ড কে নিয়ে সমুদ্রের পাড়ে ঘুরতে যায়।
এরকমও হয়?


আমাদের জন্য একটু টাফ কল্পনা করা। কামুস যে জীবনের কথা বলেছেন, সেখানে গ্রাস করে নিয়েছে এবসার্ডিজম। সেখানে খুব তো এমনটা সম্ভব বলেই মনে হয়েছে। পড়তে পড়তে আমি যখন ঐ জগতে ছিলাম, আমার কাছেও অসম্ভব বলে মনে হয়নি।

হ্যাঁ মানুষ অনেক কিছুই বুঝতে পারে, অনেক কিছুই সে ভাবতে ও বিশ্লেষণ করতে পারে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় পারে না। বোধয় মানুষ ইমোশনাল তাই। সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় ইমোশন চলে আসে। ইমোশন কে মোটেও হেয় করে দেখার কিছু নেই। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ আমাদের জীবনের।

হয়তো তাই কিন্তু মানুষ তার উল্টোটাই করে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ মিরোরডডল । পোস্ট পড়ে দেখার জন্য এবং চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা রইলো। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০২

বাউন্ডেলে বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আহা সবকিছুই যেন সেই এবসার্ডজিমের কথাবার্তাই বলে গেলেন। কেবল প্রশ্ন, এও কি আপনারও মনের কথা নাকি এই পোষ্ট পড়লেন বলে বললেন ---

আপনার সুক্ষ অনুভুতির উপলব্ধিতে কামুর জীবনবোধের বিশ্লেষন - এর প্রসংসা করে খাটো করতে চাইনি। জানতে যখন চেয়েছেন, বলেই ফেললাম। কামুর “দ্য আউট সাইডার” যার ফরাসি নাম L'Étranger (The Stranger). আমার প্রথম “কামু পঠন” । কিশোর বয়সের ভাসা ভাসা জ্ঞানে খুব একটা বুঝে সুবিধা করতে পারিনি। তারপরও কি এক অজানা কারনে বইয়ের নামটা নিয়ে ভাবতাম। বড়ো হয়ে জানলাম, কাহিনীটা আমি বুঝেছিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: আহ! অনেক অনেক ধন্যবাদ এই ব্যাকগ্রাউন্ড ইনফো দেয়ার জন্য, বুঝতে সুবিধে হলো কিছুটা।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ বাউন্ডেলে, ভালো থাকবেন।

১০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:২৫

কামাল১৮ বলেছেন: আমার নিজের জীবন দিয়েই আমি বর্তমানকে বুঝতে চেষ্টা করি।যা অতীত হয়ে গেছে তা আর কখনো ফিরে আসবে না।দরকার হলো বর্তমানকে বুঝা।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫২

জাহিদ অনিক বলেছেন: মানুষের সেটাই করা উচিত, নিজের বর্তমান দিয়ে বর্তমান ও আগামীর পথ নির্বাচন করা। অতীত আসলে স্মৃতি আর কখনো কখনো ভুল সিদ্ধান্ত হয়ে থেকে যেতে পারে। সুখকর অতীত কখনো আমাদের কাছে সেই অর্থে অতীত বলে মনেই হয় না।

যাইহোক, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে কামাল১৮ পাঠ ও মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন

১১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ অনিক ,




একটা খুব জটিল বিষয় নিয়ে লেখা।
জীবনের সকল কিছু কাজই, তা পূর্ণ হোক কিম্বা অপুর্ণ তার সবটাই কি "এ্যাবসার্ড" ? ক্যামু যে ভাবে ভেবেছেন, আমরা তো সেভাবে ভাবতে না-ও পারি। ক্যামুর সমাজদর্শন, পরিপার্শিকতা, জীবনবোধ সবার সাথে যেমন মিলবেনা তেমনি যার যার অবস্থান থেকে তাদের উপলব্ধির সবটাই ক্যামুর মতো এ্যাবসার্ড বলে মনে না-ও হতে পারে। কিছু মন্তব্যকারী তেমনটাই বলেছেন।

আসলে ক্যামু যে " এ্যাবসার্ডিজম" এর কথা বলেছেন তা মনে হয় মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে। যে সময়কালের ভেতর দিয়ে ক্যামুকে যেতে হয়েছে সে সময়কালে মানুষ এক নির্বান্ধব, বৈরী বিশ্বে বিচ্ছিন্ন এক প্রানী। লেখক হিসেবে তিনি স্বাভাবিক ভাবে সংবেদনশীল বলেই অভ্যন্তরীণ মূল্যবোধ থেকে বৈরী বিশ্বের সেইসব মানুষের জীবনের মানে খুঁজতে চেয়েছেন, ক্যামুর দেখায় যেখানে মানুষের সামনে কোনো উদ্দেশ্য ছিলোনা, মানুষের দিন যাপনের ছিলোনা কোনো অর্থ । তাই ক্যামু তার গল্পের নৈতিকতা ও অনুভূতিহীন নায়কের মুখ দিয়ে বলিয়ে নিয়েছেন জীবন সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গির কথা। কিন্তু মানবিকভাবে যা অসম্ভব বলেই মনে হবে।

কিছু মন্তব্য এবং তাতে আপনার প্রতিমন্তব্য বেশ ভাবনার খোরাক যুগিয়েছে। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: জীবনের সকল কিছু কাজই, তা পূর্ণ হোক কিম্বা অপুর্ণ তার সবটাই কি "এ্যাবসার্ড" ?

এবসার্ডিজম, অস্তিত্বহীনটা আর এই টপিকগুলোই একটু সাদাসিধে হয় না বোধয়। জীবনের সকল কাজ আর সব একটিভিটিই এবসার্ড না। আবার এবসার্ড মানেই যে অর্থহীন, সেও না।

তাই ক্যামু তার গল্পের নৈতিকতা ও অনুভূতিহীন নায়কের মুখ দিয়ে বলিয়ে নিয়েছেন জীবন সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গির কথা। কিন্তু মানবিকভাবে যা অসম্ভব বলেই মনে হবে।

হ্যাঁ, সেটা একদম ঠিক বলেছেন, কামুসের দর্শন ও জীবনবোধ এই সময়ে এসে আমাদের সাথে নাও মিলতে পারে। সেটাই স্বাভাবিক হওয়ার কথা। কিন্তু ঐ যে একটা ফিলোসফি বুঝে রাখতে আর আত্মস্থ রাখতে তো ক্ষতি নেই। হতেও পারে কোনোদিন নিজেকে সামলে নিতে কাজে আসবে। হোয়াট এ গ্রেট স্যাডিস্ট আই মাস্ট সাউন্ড!


কিছু মন্তব্য এবং তাতে আপনার প্রতিমন্তব্য বেশ ভাবনার খোরাক যুগিয়েছে।

এই পোষ্টে আসা সব মন্তব্যকে চেষ্টা করছি নিজের অতি সংবেদনশীল ভাবনা দিয়ে বুঝতে আর উত্তর দিতে। কেবল উত্তর দেয়ার জন্য দিচ্ছি না। নিজে কিছু বুঝতে পারছি আর বলতে পারছি সবার সাথে এমন ভাবনা থেকেই আসছে। সেজন্যই বোধয় এই পোষ্টের মন্তব্য-সেকশনটা দেখতে আমারও ভালো লাগছে।


অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস
আপনার মন্তব্য বরাবরের মতই ভালো লাগলো। সুস্থ থাকবেন।

১২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫১

জাহিদ অনিক বলেছেন: বাহ বেশ! হ্যাঁ এই কাজটা আমিও করি, যেসব পোষ্টে আমার মন্তব্য থাকে সেখানে গিয়ে বাকীদের মন্তব্য পড়া, এটা যেন আমাদের একটা বিশাল বড় কাজ্‌


ধন্যবাদ আবার আসবেন রাজী ভাই !!

১৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১২

মিরোরডডল বলেছেন:




ইমোশন কে মোটেও হেয় করে দেখার কিছু নেই।

ইমোশন কে হেয় করার প্রশ্নই উঠে না,
No matter how practical and realistic people are, in the whole life everyone is more or less driven by emotion.

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৩

জাহিদ অনিক বলেছেন: No matter how practical and realistic people are, in the whole life everyone is more or less driven by emotion. exactly!!

থ্যাংকিউ মিরোরডডল ফিরতি মন্তব্যে আবারও শুভেচ্ছা রইলো

১৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০০

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: খুবই জটিল বিষয় নিয়ে আলোচনা ও কামুকের প্রেক্ষাপটে আলোকপাত করেছেন। আমাদের মনের মাঝে অনেক কিছুই চলে, আমরা সামাজিক প্রেক্ষাপটে কিংবা লোক লজ্জার ভয়ে প্রকাশ করতে পারি না৷

যেমন আমি ঘটা করে ফেসবুকে আমার স্ত্রীর জন্মদিন নিয়ে পোস্ট করি। বিয়ের পরের এক জন্মদিনে, আমার স্ত্রীর পরিচিত এক চাচা মারা গেলেন। আমি তাকে কখনও দেখি নি, কথা হয় নি, আমার তার প্রতি কোনো অনুভূতি নেই। তবু আমার স্ত্রী আমাকে মানা করেছিলো, তার জন্মদিনে যেন ফেসবুকে কিছু না লিখি, ওর আত্মীয় স্বজন এতে মন খারাপ করতে পারে, আমাকে অমানবিক ভাবতে পারে।

আমাদের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মানবিক অনুভূতি না আসলেও, মানবিক সাজার অভিনয় করতে হয়৷ মানুষ কী বলবে, এই চিন্তায় শুধুমাত্র।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০২

জাহিদ অনিক বলেছেন: Kuchh to log kahenge
logon ka kaam hai kehnaa
এই গানটাই মনে এসে গেলো।

মানুষ অনেক কিছু বলবে। সেগুলো না হয় আমরা অনেক চেষ্টা করে এড়িয়ে গেলাম। যাওয়া যায়--
কিন্তু আমাদের নিজেদের ভেতরেও তো একটা 'অন্য মানুষ' থাকে, যে নিজেকে সর্বদা বিচার করতে থাকে -- তাকে এড়িয়ে যেতে পারছি কই! কত কিছুই তো কেবল --- ঠিক হবে কি! হবে না ছাই! এসব ভেবে বাদ দিয়ে যাই-- অথচ জীবন কতটাই না ছোট।

চেষটা করেছি আলবেয়ার কামুসের বইগুলো পড়া থেকে কিছুটা নির্যাস নিয়ে, নিজের অন্তস্থ ফিলোসফি কিছুটা যোগ করে নিজের মৎ করে কিছু ব্যপারে লিখবার। আপনার এটা ভালো লেগেছে বুঝতে পেরে আমারও ভালো লাগছে।

অনেক ধন্যবাদ

১৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: পাতায় ধরে মুখস্ত ছিল না, সম্ভবও না :) ধারনা গুলো ছিল।
এখন ভুলে গেছি :((

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: হা হা আচ্ছা। বেশ, এসব পড়া অবশ্যি কারও লাইন ধরে মুখস্থ থাকে না। ভাবটা মনে থাকে- সম্প্রসারণ চলতেই থাকে সব সময়।


ফিরতি মন্তব্যে আমারও শুভেচ্ছা জানবেন রোকসানা লেইস

১৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩০

শ্রাবণধারা বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগলো। ক্যামুর সহিত্য-দর্শনের একটা সুন্দর বিশ্লেষণ আপনার এই পোস্টটি।

২০-২৫ বছর আগে পড়া আলবেয়ার ক্যামুকে মনে করিয়ে দিলো আপনার লেখা। ক্যামুর আউটসাইডার আর প্লেগ এই দুটি বই পড়েছিলাম। প্লেগের ডাক্তারের জীবন ছিলো নির্লিপ্ত, অনুসক্ত, পরোপকারী, পরিশ্রমী পেশজীবীর। আউটসাইডার এ এসে সেটা শুধু নির্লিপ্ত আর অনুসক্ত নয় হয়ত জীবন বিমূখী। পড়ার সময় খুব প্রভাবিত হয়েছিলাম, এখন অবশ্য সেই প্রভাব আর নেই।

ক্যামুর প্রসঙ্গে বলতে গেলে জাঁ পল সার্ত্রের কথা এসে পরে। সার্ত্রেকে আমার কাছে অনেক বেশি শক্তিশালী লেখক-দার্শনিক মনে হয়। সার্ত্রের দার্শনিক গ্রন্থ "Being and Nothingness" অপুর্ব সুন্দর সুপাঠ্য একটা বই। বইটা আমি পাবলিক লাইব্রেরীতে বসে পড়েছিলাম। আর সার্ত্রের "দেয়াল" এই ছোট গল্পটি ও অতি সুপাঠ্য, যেটার ভিতরে এবসার্টিজমের চমৎকার বয়ান আছে।


০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: শুরুতেই আমার এই পোষ্টটি আপনার ভালো লেগেছে জানিয়েছেন - খুবই আনন্দিতবোধ করছি।
জাঁ পলএর অনেকগুলো কথাই ভালো লাগে। উনি শক্তিশালী অবশ্যই।

আমায় যেটা বেশি ভাবায় সেটা হলো- এতটা শক্তিশালী ভাবনা নিজের মধ্যে বপন করতে, নিজেকে এতকিছুর মধ্য দিয়ে চালিত করতে হলে --- সেসব লেখক/দার্শনিকদের আমরা পড়ি- তারা কতটা ভয়াবহ মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন।

যেকোনো বই পড়ার আগে একটু রিভিউ আর বইএর কিছু কোট দেখে নেই। "Being and Nothingness" এটা পড়া হয়নি। ভাল লাগলো নেট দুনিয়ার রিভিউ আর কোটস দেখে। পড়ে নিবো সময় করে।

আর সার্ত্রের "দেয়াল" এই ছোট গল্পটি ও অতি সুপাঠ্য, যেটার ভিতরে এবসার্টিজমের চমৎকার বয়ান আছে।
ওহো তাহলে তো এটাও রাখতে হবে পাঠের তালিকায়


চমৎকার আর খুবই প্রেরণামূলক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা দুইই জানবেন শ্রাবণধারা

১৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৯

অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: একঘেয়েমি খুব বিরক্তিকর। পুনরাবৃত্তিও বিরক্তিকর। কিন্তু এসবের জন্য আমাদের স্বাধীনতা খর্ব হয় না। আমি নিজে ব্যাক্তি স্বাধীনতার বিপক্ষে। বরং মনের প্রশান্তি আসে নিজেকে সমর্পনের মধ্য দিয়ে। এটাই চেতনার মৌলিক ভিত্তি।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:
আমি নিজে ব্যাক্তি স্বাধীনতার বিপক্ষে।
কিছুটা আইডিয়া পাচ্ছি ঠিক কোন দিক থেকে বা কী কী বিষয়ে বলছেন। ব্যক্তি স্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বেচ্ছাচারিতা - অথবা ব্যক্তি স্বাধীনতার মুখোশে নিজেকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না দেয়া--- অনেককিছুই হতে পারে।

বরং মনের প্রশান্তি আসে নিজেকে সমর্পনের মধ্য দিয়ে। - হ্যাঁ তো অবশ্যই। হোক সেটা নিজেকে নিজের কাছে সমর্পনে, অথবা অন্য কোনও মানুষ অথবা ঈশ্বর অথবা কোনও সত্তার কাছে সমর্পন

অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা অতন্দ্র সাখাওয়াত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.