নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যর পথে অবিচল আমি থাকব

অন্ধকারে আলোর পথ

অন্ধকারে আলোর পথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হস্তমৈথুন ও যিনা বাচতে চাই

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

হস্ত মৈথুন্য ও যিনা
------------------

সহবাস করা ছাড়াও যিনা হয়ে থাকে,
যা নারী- পুরুষের সাথে ব্যবিচার
করার মত গুনাহ।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, " যে ব্যাক্তি যেনা করে কিংবা
মদ পান করে, আল্লাহ তার কাছ থেকে ঈমান ছিনিয়ে নেন, যে ভাবে কোন ব্যাক্তি তার জামা মাথার উপর দিয়ে খুলে ফেলে । (হাকেম)

হুযুর (সাঃ) বলেছেনঃ
১) চোখের ব্যভিচার, যৌন চাহিদায় দেখা।
২) লালসার বাক্যালাপ জিহবার ব্যভিচার।
৩) কামভাবে স্পর্শ করা হাতের ব্যভিচার।
৪) এ উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের ব্যভিচার।
৫) অশ্লীল কথাবার্তা শুনা কানের ব্যভিচার।
৬) কামনা বাসনা মনের ব্যভিচার।
৭) গুপ্তাঙ্গ-যা বাস্তবে রূপদান করে কিংবা
দমন করে।( যা হস্ত মৈথুন্য)

(বোখারী, মুসলিম,আবু দাউদ, তিরমিযি)

হাদীসে মৈথুনকারীর শাস্তি সম্পর্কে আছেঃ .

• হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন,যে ব্যক্তি স্বীয় হস্তের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, সে অভিসপ্ত।
• আতা (রাঃ) বলেছেন- কিছু লোক এমন ভাবে পুনরুত্থিত হবে যেন তাদের হস্তদ্বয় গর্ভবতী।আমার মনে হয় তারা সেই সব লোক যারা হস্তমৈথুন করে।
• সাইদ বিন যুবাইর হতে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেছেন,আল্লহ পাক এক দল লোককে শাস্তি দিবেন, যারা তাদের যৌনাঙ্গ নিয়ে খেলা করত।
-----ধৈয্য সহাকারে পরুন /বাচতে চাইলে---
হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় / বিষয় গুলো লজ্জাকর হলেও বলতে হয় ।
বাঁচার উপায়(ছেলে,মেয়ে উভয়ের জন্য)

১/ প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর সুরা তওবার শেষ দুই আয়াত পড়ে
গায়ে ফুঁক দিবে প্রতিদিন। (এটা পরীক্ষীত...)
২/ কোন কারণে লিঙ্গ উত্তেজিত হলে হাত দ্বারা স্পর্শ করবেন না।
৩/ অশ্লীলতার ধারে কাছেও যাবেন না এবং খারাপ কিংবা অশ্লীল ছবি দেখবেন না ।
৪/ ফেছবুকে বা অন্য কোথাও অশ্লীল কিছু দেখলে নিজেকে বিরত রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন ।
৫/ সর্বদা আল্লার প্রতি ভয় রাখবেন ।
৬/ কোন মেয়ের দিকে ত তাকেবেন না আবার কোন সুশ্রী ছেলেদের দিকেও নজর করবেন না ।
৭/ টিভি দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে

যেহেতু এটি হারাম তাই আপনার ইচ্ছা শক্তি দৃঢ় রাখবেন,
তাহলেই হারাম থেকে বাচতে আল্লাহও সাহায্য করবেন ।

বিশেষ করে এটার একমাত্র ঔষুধ হলো সূরা তাওবার শেষ দুই আয়াত।
অনুগ্রহ করে মুখস্ত করে নিন।
"লাকদ যা.. আকুম রসূলুম্মিন আংফুছিকুম আঝীঝুন আলাইহি মা...আনিত্তুম হারীছুন
আলাইকুম বিল মু'মিনীনা রায়ুফুর রহীম।" (সূরা তাওবাহ্∞ ১২৮)
"ফা ইং তাওয়াল্লাউ ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা.. ইলাহা ইল্লাহু আলাইহি
তাওয়াক্কালতু ওয়াহুয়া রব্বুল আরশিল আযীম।" (সূরা তাওবাহ্∞ ১২৯)

অর্থঃ
"তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রসূল।
তোমাদের দুঃখ-কষ্ট তার পক্ষে দুঃসহ।
তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, দয়াময়। (১২৮) "
"এ সত্ত্বেও যদি তারা বিমুখ হয়ে থাকে, তবে বলে দাও,
আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কারো বন্দেগী নেই।
আমি তাঁরই ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের অধিপতি। (১২৯)"

আল্লাহ আমাদের কে এমন অভিশপ্ত গুনাহ থেকে হেফাজত করুন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

সুহৃদ আকবর বলেছেন: ভালো লিখেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৮

নাঈম বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট।

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: শিক্ষামূলক একটি পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

অন্ধকারে আলোর পথ বলেছেন: যাযাকাল্লাহ পড়ার জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.