নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবিনশ্বর ছায়া, রহস্য ঘেরা, অতি সাধারণ সামান্য মানুষ !জন্ম-জন্মান্তর পৃথিবীতেই পরে আছি !!

জে আর সিকদার

আমার অচেনা আমি

জে আর সিকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হঠাৎ ভ্রমন

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৫১

১ >>

ছবিতে আমি ! (কুয়াকাটা)
ক্লিক: প্রানের বন্ধু !

মেডিকেল ডিপ্লোমা (ম্যাটস) এর ২য় বর্ষের ভাইবা পরীক্ষা শেষ করেই ঘুরতে বেরিয়েছি, আমরা দুজন। আমি একা একা অনেক ঘুরে বেড়িয়েছি। আমার নানান ভ্রমন গল্প শুনে শুনে আমার বন্ধু ভ্রমনে আগ্রহী হয়েছে। দুই বন্ধু তেমন প্রস্তুতি না নিয়েই বেরিয়ে পরলাম , গন্তব্য ভোলা, বরিশাল । আমারা পরন্ত বিকেলে সদরঘাট থেকে লঞ্চ এ রোমাঞ্চকর যাত্রা শুরু করি।

আমার অতীত অভিজ্ঞতা সাথে নিয়ে চললাম, দেখতে দেখতে আঁধার ঘনিয়ে এলো। ততক্ষনে ঢাকার বুড়িগঙ্গা ছেড়ে চলে গেছি অনেকদুর। লঞ্চ এ ঘর মুখী নানান ব্যাস্ত মানুষ আর আমার ২ জন ছাগলের দলে ভেড়া ! এমন করে বলার কারন, লঞ্চ এ সবাই বৃহত্তর বরিশাল এর ভাষায় কথা বলে, আমরা দুজন মুগ্ধ হয়ে শুনি। রাতের ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছিল অনেকেই, আমরা ডিনার সেরে নিলাম। অতপর দুজন গল্প করেই কাটিয়ে দিলাম রাতের দ্বিপ্রহর। পদ্মা নদীর রাতের দৃশ্য হঠাৎ মনটাকে দোলা দিল , পানির উপর দুলতে থাকা জেলেদের আলোর বাতি । নদী তীরের চাঁদপুরে শহর রাতের নদীর সোন্ধর্যে পূর্নতা দেয়। আমাদের মুগ্ধ চোখ ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরে।

ঘুম ভাংতেই, সদ্য ছাড়িয়ে পরা আলো আমাদের নিয়ে যায় লঞ্চ এর ছাদে। ফ্রেশ একটা সকল দেখি, সূর্যের লাল আভা তখন মেঘনার ঢেউ এ খেলা করে। আমরা ভোলা চলে এসেছি ভেবেই উত্তেজিত, লঞ্চ পারে ভিরতেই সবাই নেমে যাওয়ার ভীরে ঠেলা-ঠেলি করছে। আমারা শান্ত হয়ে তখনও লঞ্চ এর দোতলায়, সবাইকে দেখছি।
অনেক অনেক অচেনা মানুষ, অচেনা নদী, গাছপালা, অচেনা প্রকৃতি। আমারা লঞ্চ ঘাট থেকে চরফ্যাশন বাজারে যাই , সকালের নাস্তা করি। ঘুরতে বেরিয়ে পরি, ভোলার আনাচে কানাচে। বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার, চর কুকরীমুকরী, দেউলি, চর মনপুরা, ঢাল চর, তারুয়া দ্বীপ মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং অপরূপ সোন্ধর্যের লীলাভূমি ।


ছবি: মেঘনা নদীর পারে.


ছবি: চর কুকরীমুকরী


ছবি: দেউলি


ছবি: তরুয়া দ্বীপ


ছবি: মনপুরা


ছবি: মনপুরা (সংগৃহীত)

দেখতে দেখতে কেটে গেলো ২ দিন ২ রাত ,পর দিন ফেরার পালা। ভোলা থেকে যথাসময়ে (সকাল বেলা) লঞ্চ না পেলে ঢাকায় ফিরতে দূর্ভোগ পোহাতে হয়। আমারা দূর্ভাগ্যক্রমে লঞ্চে যথাসময়ে পৌছেইতে ব্যার্থ হই, ভোলায় থেকে যেন আমাদের সেদিনই ফিরতে হবে।
ক্লান্ত শরীর নিয়ে এই লঞ্চ ঘাট ওই লঞ্চ ঘাট করে ঘুরতে ঘুরতে দুপুর হলো, আমরা লঞ্চ ঘাটে একটা ট্রলার পেলাম ভোলা থেকে পটুয়াখালীগামী । আমরা ট্রলারে করে রওনা হলাম কুয়াকাটা ঘুরে ঢাকায় ফিরবো উদ্দেশ্য করে। দীর্ঘ ১৪ ঘন্টার স্বাসরুদ্ধকর যাত্রায় আমরা কলাপাড়া,পটুয়াখালি পৌছাই বিনা খরচে ! রাত ৩টা আমাদের কে নামিয়ে দিতে চলে যান ট্রলারের মাঝি মাল্লা। আমরা সরকপথে আবার রওনা হলাম। আমাদেরকেট ও ততদিনে খালি হয়ে আসছে, এক প্রকার চ্যালেন্জ নিলাম কুয়াকাটা ঘুরতে।

(চলবে.)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.