নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর নৈসর্গিক সৌন্দর্য আমাকে কেবলই পিছুটানে!!

কামরুন নাহার বীথি

আমি কিছুটা ভ্রমণবিলাসী আর ফুলের প্রতি আছে আমার আজন্ম ভালোবাসা

কামরুন নাহার বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঝটিকা সফর - ১ (এক)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:০৩



ঈদের ব্যস্ততা শেষ হয়ে যাবার পর ঢাকা থেকে বেরোবার তাগিদ অনুভব করছিলাম। বহুত ঝক্কি গেছে ঈদের এ ক’দিন। মুক্ত বাতাশে স্বাস নিতে ইচ্ছে করছিল। ঠিক করলাম মাওয়া যাব, যেখানে পদ্মা ব্রীজ এর হাউজিং। সকালে যেয়ে বিকেলেই চলে আসব। আমার ছোট বোনটাকেও দেখা হয়নি অনেকদিন। ও শ্বশুরবাড়ীতে ঈদ করেছে। ঈদের পরে ফিরেছে মাওয়া ক্যাম্পাসে।

সকালে বের হয়ে এলাম ঝুম বৃষ্টি উপেক্ষা করেই। রাস্তার জ্যাম পেরিয়ে যখন পুরোনো ঢাকায় এলাম, বৃষ্টিটা অনেকটাই থেমে এল। ঝিরঝিরে ঠান্ডা বাতাস বইছে। গাড়ীর কাঁচ নামিয়ে দিয়ে চলেছি আমরা। ভ্যাপসা গরমের পরে বৃষ্টিভেজা বাতাসের পরশ, দারুন ভাল লাগছিল। বুড়িগঙ্গা ব্রীজের উপরে না থেমে পারলাম না। বুড়ীগঙ্গা আর যেন বুড়ী নেই, এখন সে ভরা যৌবনা। বর্ষার ঝকঝকে পানি সে অঙ্গে ধারন করে আছে। সে সৌন্দর্য্য কিছুক্ষণ উপভোগ করে এগিয়ে চললাম মাওয়ার পথে। কেরানীগঞ্জ পার হতেই শুধু সবুজ আর সবুজ। বৃষ্টিস্নাত এই সবুজ সত্যিই মনোহর। দেড় ঘন্টার পথ তিন ঘন্টায় কাটিয়ে চলে এলাম মাওয়া পদ্মা ব্রীজ ক্যাম্পাসে।



বুড়িগঙ্গা নদি, নদিতে বড় বড় লঞ্চের সাথে ছোট্ট ডিঙি নৌকাও তাল মিলিয়ে চলছে


এপাড়ে সদরঘাট


ওপাড়ে কেরানীগঞ্জ


ক্যাপশন নিস্প্রয়োজন :D


ধলেশ্বরী সেতুর কাছে চলে এসেছি আমরা


ধলেশ্বরী সেতু এক থেকে ধলেশ্বরী সেতু দুই দেখা যাচ্ছে


জননেতাদের শুভেচ্ছা নিয়ে ধলেশ্বরী পেরিয়ে এলাম

নতুন মাটিতে গড়ে ওঠা ক্যাম্পাসটি এখন ঘাস লাগিয়ে সবুজ করা হয়েছে। প্রতিটি বাড়ীর সামনে বাগান। দু’একটা করে ফুল ফুটছে। চারিদিকে খোলা সবুজ মাঠে ঝাঁকে ঝাঁকে টুনটুনি, চড়ুই, শালিক, ফিঙে পাখির কিচির মিচির শব্দ, চারিদিকের নিস্তব্ধতার ব্যাঘাত ঘটিয়ে চলেছে। সারাটা দিন ওখানে কাটিয়ে, রাত আটটার দিকে ফিরে এলাম ঢাকার যান্ত্রীক জীবনে।



চলে এলাম পদ্মা ব্রীজ ক্যাম্পাসে (মাওয়া)। তিন বেড রুমের হাউস এগুলো ।


ক্যাম্পাসের মসজিদ


অফিস বিল্ডিং


ইঞ্জিনিয়ার'স মেস


গাড়ী পার্কিং-এর স্থান


বাস্কেট বল মাঠ


নির্মাণাধিন সুইমিং পুল


ক্রিকেট মাঠ


চিকিৎসা কেন্দ্র


গ্যারেজের সামনের মাঠেই ফুটবল খেলা চলছে

★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

প্রামানিক বলেছেন: আপনার ঝটিকা সফর হোক আর কচ্ছপ সফর হোক। ছবিতে যা দিবেন সেটাই প্রাণ ভরে দেখবো।
ধন্যবাদ নাহার আপা।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: :) তাই? ধন্যবাদ সে জন্য!!

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭

প্রামানিক বলেছেন: আপনি সারা দিন মাওয়া ঘাটে থাকলেন, অথচ পদ্মার ইলিশ খেলেন না, এইটা আমি মেনে নিতে পারছি না।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: খেয়েছি ভাই। ইলিশ যে এত বিস্বাদ হতে পারে না খেলে বুঝতাম না।
মাওয়া ঘাটের ইলিশের স্বাদ এক্কেবারেই বাজে।
আমার ভগ্নীপতি তাই ঢাকা থেকে ইলিশ কিনে নিয়ে যায়।
ওখানকার ছোট মাছগুলো ভাল।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: ঢাকার মানুষ তো মাওয়া ঘাটে গিয়ে ইলিশ কিনে আনে। কয়েক বছর আগেও লঞ্চ পারাপারের সময় লঞ্চে বসে ইলিশ দিয়ে ভাত খেয়েছি, নদীর ঘোলা পানি দিয়ে ইলিশ রান্না করলেও খুব স্বাদই পেয়েছিলাম।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আমি সেই স্বাদ আর পেলাম না! নদির পানিতে হারিয়ে গেছে! :)

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

সুমন কর বলেছেন: ঝটিকা সফর ভালো লাগল।

ক্যাপশন নিস্প্রয়োজন দারুণ।

লাইক।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: :) ধন্যবাদ দাদা!

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

জুন বলেছেন: আমার আম্মার দেশ । অনেক সুন্দর কামরুন্নাহার বিথী । অনেক ভালোলাগলো ।
+

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: তার মানে আপনার নানাবাড়ি!! হায় হায়, আগে জানলে তো ঘুরেই আসতাম আপনার নানাবাড়ি থেকে! :)
অনেক শুভেচ্ছা আপু, ভাল থাকবেন।

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সুন্দর করে লিখেছেন তো
ছবি গুলো ও ভাল লেগেছে :)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু!

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

এস কাজী বলেছেন: প্রথম ছবি দেখে তো ভেবেছিলাম বিদেশ। সুন্দর হয়েছে ছবিগুলো।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা ব্রীজের হাউজিং গুলো বিদেশী স্টাইলেই তৈরী করা।
পদ্মা, যমুনা, লালনশাহ, সব ব্রীজের হাউজিং একই রকম।
ধন্যবাদ ভাই!

৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২২

রিকি বলেছেন: আমিও বিদেশ ভেবেছিলাম--- তিন নম্বর ছবিতে এসে দেখি উপরে ফিটফাট, নিচে সদরঘাট !!!!! ;)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা আপু,আমাদের এই সুন্দর দেশটাকে আমরা আমাদের পছন্দমতো সাজাবো!!
তৃতীয় ছবিতে সদরঘাট -ই রেখেছি!! :)

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১১

আবু শাকিল বলেছেন: রাস্তার ছবি গুলা দারুন ।বিদেশ বিদেশ মনে হয় ।
ধন্যবাদ ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হ্যা, বাড়ীঘরগুলো একেবারেই বিদেশী স্টাইলেই তৈরী।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আসলেই পরিকল্পনা করে সাজালে যে কি দারুন হয় তার উদাহরন এইসব ক্যাম্পাসগুলো।

আমাদের নগরগুলো, আমাদের উপশহর গুলো, আমাদের গ্রাম গুলো কবে এই রকম পরিকল্পনায় সেজে উঠবে!!!

তখন বাংলাদেশ দেখতে নিউজিল্যান্ড থেকে পর্যটকরা আসবে! :)


হঠাৎ ভ্রমনে আমাদেরও সঙ্গী করায় (ভার্চুয়াল) ধন্যবাদ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ঠিক তাই, পরিকল্পনার অভাবে আমাদের দেশটা অগোছালো।
তবে আশা করা যায় এক সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে।

১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০৩

মনুমনু বলেছেন: পদ্মা ব্রীজ এর হাউজিং কি সর্ব সাধারনের জন্য উম্মুক্ত ?

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: মনে হয় না, কারো পরিচয়ে যেতে পারলে ভাল হয়।
কারণ ঢোকার গেটে পরিচয় দিয়ে যেতে হয়।

১২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

মো: আশিকুজ্জামান বলেছেন: ছবি কথা বলে। বুড়িগঙ্গার পানিতে কি এখন দুর্গন্ধ পাওয়া যায়?

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: না ভাই, এখন আর বুড়ীগঙ্গার পানিতে দুর্গন্ধ নেই।
আবার হবে, যখন পানি একেবারেই কমে যাবে।
শুভেচ্ছা আশিক ভাই।

১৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ইদানীং দিনগুলোসব কংক্রিটের চারদেয়ালের মাঝে খুব পানসে আর হতাশাজনকভাবে কাটছে। আপনার মত বেড়িয়ে পড়তে হবে কোন একদিন। দুই/তিন সপ্তাহ পার হয়ে গেলেই মন কেমন আকুপাকু করে, মনে হয় কত বছর যেন বাইরে বেড়াতে যাই না।

আপনার ছবির সাথে ছোট ছোট বর্ণনা ভালো লেগেছে। বুড়িগঙ্গার বুকে নৌকায় করে রিকশা পারাপারের ছবিটি চমৎকার হয়েছে।

পোস্টে +++ সাথে লাইক রইল।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা সতত।

২১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আমারও খুব একঘেয়ে লাগে। বিশেষ করে ঈদের ব্যস্ততার পরে।
ঈদুল আজহায় কোথাও যাওয়া হয় না। গরু হজম করতে সময় লাগেতো, তাই!! :)
গত বছর ঈদুল ফিতর -এর পরে বেরিয়ে পড়েছিলাম কুষ্টিয়া, মেহেরপুর!
মুজিবনগর, আমঝুপি নিলকুঠী,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ী, লালন শাহ্‌ -এর মাজার ঘুরে দেখে এসেছি।
এই ঈদের পরেও বেরিয়েছিলাম।
পাবনার জোড় বাংলা মন্দির, রায় বাহাদুরের বাড়ী (তাড়াশের জমিদার), সিরাজগঞ্জ -এ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাচারি বাড়ী ঘুরে দেখে এসেছি। ভাল লাগে এমন টুকটাক বেড়াতে!!

বেরিয়ে পড়ুন সুন্দর এই বাংলাদেশকে দেখতে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ভাই, ভাল থাকবেন।

১৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

লালপরী বলেছেন: সুন্দর ছবি

২১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: লালপরীকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা!!! :)

১৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২০

শিপন মোল্লা বলেছেন: ছবি ব্লগ বানাতে আইডিয়া পেলাম।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আপনি প্রতিষ্ঠিত ব্লগার!!
আর ছবিব্লগ বানানোর আইডিয়া পেলেন আমার কাছে!?!?!?!?!?!?

১৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

একজন গাঙ্গচিল বলেছেন: মেহেরপুর ঘুড়ে এসেছেন জেনে ভালো লাগলো। তো আপু, কেমন দেখলেন মেহেরপুর?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: কেমন দেখলাম, কেমন লাগল, সব লিখব একদিন!!
অনেক ধন্যবাদ ভাই!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.