নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর নৈসর্গিক সৌন্দর্য আমাকে কেবলই পিছুটানে!!

কামরুন নাহার বীথি

আমি কিছুটা ভ্রমণবিলাসী আর ফুলের প্রতি আছে আমার আজন্ম ভালোবাসা

কামরুন নাহার বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না, সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি---------------

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫



** সবাইকে নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা!!

মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। ------ কবিগুরু।

বাবা-মার প্রথম সন্তান আমি, জন্মেছি শহরে। বাবার চাকুরীসূত্রে অস্থায়ী নিবাস ছিল ঢাকা শহরে, শিক্ষাজীবনও ঢাকাতেই শুরু হয়েছিল। তখন স্কুলে দু’টো বড় ছুটি হতো, গ্রীস্মের ছুটি (আ্মের ছুটি) আর বার্ষিক পরীক্ষার পরে শীতের ছুটি। যে কোন এক ছুটিতে দাদা বাড়ী অন্য ছুটিতে নানাবাড়ী। নানা বাড়ীতেতো যেতেই হবে। কয়লার ইঞ্জিনের রেলগাড়িতে চড়ে যেতাম, কত যে প্রশ্ন এত আগুন পড়ছে কেন, কোত্থেকে এলো? আবার চাঁদটাও আমাদের সাথে সাথে যাচ্ছে কেন? ট্রেন থেকে নেমে, দুই ঘোড়ার টমটমে চড়ে নানাবাড়িতে যেতাম, ছোট মামা আসতেন স্টেশনে। সব খালাতো, মামাতো ভাই-বোনেরা মিলে প্রায় ডজন খানেক সমবয়সী ভাই-বোন ছিলাম আমরা, আর এক সাথে হতাম ছুটিতে। আমার ছিল সাত মামা, এক খালা, এখন কোন মামাই বেঁচে নেই!! মামাতো ভাইদের মধ্যে সবচেয়ে বড় যিনি, তার বয়স আমার চেয়ে ৬/৭ বছর বেশী। আদরও করতেন আবার শাষণেরও ওস্তাদ ছিলেন। একদিন আমরা ছোটরা শিউলি ফুল কুড়ানো নিয়ে ঝগড়া করেছি। পরদিন সকালে ফুল কুড়াতে গিয়ে দেখি গাছটা আর নেই, নানার নির্দেশে গাছটা কেটে ফেলেছে বড় ভাই। সেদিন কী কান্নাই না কেঁদেছিলাম। আমাদের মন ভালো করার জন্য বড়ভাই, বিকেলে নৌকায় বেড়াতে নিয়ে গেলেন। আমার নানাবাড়ীর পাশের ছোট্ট নদীটার নাম বড়াল নদী। ছোট হলেও গভীর ছিল। বর্ষায় পানি দুইকূল ছাপিয়ে যেত। তখন মালামাল বোঝাই বড় বড় মহাজনী নৌকা চলতো সে নদীতে।


চৈত্র বৈশাখ মাসে বৃষ্টি না হলে এভাবেই ছোট ছেলেরা বাড়ী বাড়ী যেয়ে মাটিতে গড়াগড়ি করতো, বাড়ীর মুরুব্বী মহিলারা তাদের উপরে পানি ঢেলে দিতেন।

গ্রীস্মের দুপুরে গোসল করতে যেতাম পুকুরে। বয়সে বড় ভাই-বোন যারা, তারা ছোটদের সাঁতার শেখাতেন। সাঁতারের প্রতিযোগীতাও চলতো। কে সাঁতরে কতদূর যেতে পারে। তার আবার পুরস্কারও দেওয়া হতো। পুকুরে গোসল শেষে ফিরতাম আম বাগানের ভিতর দিয়ে। মাঝে মধ্যেই টুপ টাপ পাকা আম পড়তো। সেটা কে আগে ধরতে পারবে, এই নিয়ে কাড়াকাড়ী। বিকেলে খেলা চলতো, দাড়িয়া বাঁধা, বৌচি, কানামাছি, সাতগুটি। রাতে বসতো গান, কবিতা, গল্প বলার আসর। সে আসরে নানা-নানীও যোগ দিতেন। ছুটি শেষে একে একে ফেরার পালা। মা তার বাবার বাড়ী ছেড়ে আসতে কেঁদে বুক ভাসাতেন। আমরা বোনেরাও কাঁদতাম, বিচ্ছেদের বেদনায়।
চৈত্র সংক্রান্তিতে হতো চড়ক পূজা সাথে চড়ক মেলা। চড়ক পূজায় পিঠে বাণ [বিশেষ বড়শি] ফুড়িয়ে চড়ক গাছের সাথে বাশঁ দিয়ে তৈরি করা বিশেষ চড়কার ঝুলন্ত দড়ির সাথে বেঁধে দেওয়া হয় পিঠের বড়শি । আর বাণ বিদ্ধ সন্ন্যাসীরা ঝুলতে থাকে শূন্যে । রাতে নীল পূজার পর সন্ন্যাসীরা সবাই থাকে নির্জলা উপোস । পরদিন বিকাল বেলা চড়ক পূজা শেষে উপোষ ভাঙ্গেন তারা ।



চড়কে ঝোলার সময় সন্ন্যাসীদের আশীর্বাদ লাভের আশায় শিশু সন্তানদের শূন্যে তুলে দেন অভিবাবকরা । সন্ন্যাসীরা শূন্যে ঘুরতে ঘুরতে শিশুদের মাথায় হাত বুলিয়ে আশির্বাদ করেন । অনেক সময় কোলেও তুলে নেন । আর উড়ন্ত অবস্থায় দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে বাতাসা ছিটান । যাদের ভাগ্য ভালো তারাই ঐ প্রসাদ ভাগ্য লাভ করেন । পরলোকে এই সন্নাসীদের শিব ঠাকুর স্বর্গে যাবার বর দিবেন বলেই ওদের বিশ্বাস । এগুলো বড়রাই দেখতেন, আমাদের ছোটদের সেখানে নেয়া হতো না, ভয় পাব বলে।

শীতের ছুটিতে যেতাম দাদাবাড়ী। ওখানেও একদল ভাইবোন, মহা আনন্দ, ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করে এসেছি। পড়াশোনার পিছুটান একেবারেই নেই, মজা আর মজা। দাদীর হাতের শীতের পিঠা, ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের। একেক দিন একেক রকমের পিঠা। ভোর বেলায় খেজুরের রস খাওয়া, আবার রসপুলী পিঠাও খাওয়া চলতো।



ট্রেনে যাতায়াতের সময় দেখতাম, ফেরী করে পুঁথি বিক্রি হতো। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো নিয়ে পুঁথি লেখা হতো। আবার ফেরীওয়ালা সুর করে পড়ে শোনাতেন। আমার খুব ভাল লাগতো। আমার দাদী খুব পছন্দ করতেন পুঁথি শুনতে। আমি ট্রেন থেকে কিনে নিয়ে, দাদিকে পড়ে শোনাতাম। ঐ ফেরীওয়ালার পড়া শুনে শিখেছিলাম আমি পুঁথী পড়া।



শীতের যে কোনো পুর্ণিমায় বসতো কবিগানের আসর। শুধু স্টেজে হ্যাজাক জ্বলতো, স্রোতারা শুনতেন খোলা মাঠে চাঁদের আলোয় বসে। কখোনো হয়তো সামিয়ানা টাঙিয়ে দেয়া হতো। পৃথক দুই দলের মধ্যে প্রতিযোগীতা চলতো। দলের প্রধান ছিলেন মূল কবিয়াল। দলের প্রধান কোনো এক বিষয় নিয়ে শুরু করতেন, তারপর চলতো যুক্তি খন্ডনের পালা। একদল হেরে না যাওয়া পর্যন্ত চলতো এই “কবিগান”, এক রাত, দু’রাত এমনকি তিন রাত ধরেও চলতো। দাদা সাথে নিয়ে যেতেন, সেই “কবিগান” শুনতে। আমার বাবা ছিলেন, দাদার একমাত্র সন্তান। তাই আমাদের আদর পাবার সীমা ছিল না।


চৈত্র সংক্রান্তী, দোল পূর্ণীমায় মেলা হতো। মাঝে মাঝে মেলার জন্যও আমরা দেশে যেতাম । হিন্দু মুসলমান সবাই উপভোগ করতো সেই মেলা, চলতো এক সপ্তাহ ধরে। এতে নাগরদোলা, যাত্রা, সার্কাস ছিল প্রধান আকর্ষণ। আমরা কিনতাম, মাটির হাঁড়ি-পাতিল, মাটির পুতুল, মাটির নানা ধরনের প্রানী, বেলুন সহ আরো কত যে খেলনা। খাবার জিনিষ, ঝুরি-বুন্দিয়া, মিস্রি দিয়ে বানানো নানান রকমের ফুল, প্রানী। তা’ ছাড়া বাড়িতে হতো বিভিন্ন রকমের মোয়া, নাড়ু, মুড়ি, চিড়া, দই, মিষ্টি, পিঠা। সেইসব খাবার খাওয়া আর সবার বাড়ীতে বেড়ানো হতো মেলার দিনে। ঈদের আনন্দের চেয়ে মেলার আনন্দ বেশী হতো। মেয়ে জামাই নাইওর আসতো মেলাতে। জামাই-এর দায়িত্ব ছিল বড় মাটির পাতিল (আমাদের অঞ্চলে বলে কোলা) ভরে ঝুরি-বুন্দিয়া সহ বিভিন্ন শুকনো খাবার মেলা থেকে কিনতে হবে শ্বশুড়বাড়ীর জন্য। সেই খাবার শ্বাশুড়ী আবার বিলিয়ে দিতেন আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে। আমাদের ছোটবেলায় পহেলা বৈশাখ নিয়ে কোন আনন্দ উৎসব ছিল না, তাই আমার স্মৃতিতে নেই। স্মৃতিতে আছে শুধু হালখাতার আনন্দ দেখা। দাদার সাথে যেতাম সে আনন্দে শরিক হতে। আজ স্মৃতিগুলো ধিরে ধিরে ঝাপসা হয়ে আসছে!দিনে দিনে বড় হয়ে উঠেছে অতীত আর ছোট হয়ে আসছে জীবন!




ছবিঃ গুলো গুগোল থেকে নেওয়া।


ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বৈশাখী শুভেচ্ছা রইল আপু। শুভ নববর্ষ।


খুব ভালো লাগলো আপনার স্বর্ণালী স্মৃতিকথা পড়ে।

আসবেনা আর ফিরে কভু যেদিন গেছে হারিয়ে,
অলস ক্ষণে উদাস সময়ে মনে আসে ফিরে ফিরে।
কত স্মৃতিময় আর স্বপ্ন গাঁথা কিশোর ছেলেবেলা!
কত সুখে ভাসলো মন, সেদিন গুলো হয় না ভুলা।

অনেক অনেক শুভকামনা রইল। বৈশাখী রঙে রঙিন হোক আগামী দিনগুলি।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
কে ভেবেছিল এমন করে হারিয়ে যাবে সেইদিন
কে জেনেছিল জীবন পাতায় মুছে যাবে সোনালী দিন
কে বুঝেছিল জীবন্ত হয়ে ধরা দেবে প্রতিটাক্ষণ
ঘুম ভাঙা স্বপ্ন হয়ে কাঁদাবে আজীবন !

------ আমার এক বন্ধুর লেখা। আপনার মন্তব্যে মনে পড়ে গেল। এটাও আমার স্মৃতিই!!!

অনেক অনেক ধন্যবাদ আর নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল!!

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
বাহ দারুণ ! আপনাকে পান্তা মোবারক !


১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই! পান্তা আমি কি দিয়েছি? তাই পান্তা চাইও না!! :)

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: নষ্ট্যালজিক করে দিলেন মনটাকে, নববর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন আপু

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
কিছু স্মৃতি আপনিও মনে করিয়ে দিয়েছেন, আপনার লেখায়!!
অনেক শুভেচ্ছা কামাল ভাই ভাল থাকবেন!

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
স্মৃতির একটি খেলনা দিলাম, যত্ন করে রেখে দিন!! :)

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ পোস্ট। দারুণ লেগেছে। +।

আহ.....যদি পুরনো সময়গুলোকে আমরা ফিরে আনতে পারতাম !!!!!

শুভ নববর্ষ....... !:#P

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
সবার মনে এক আক্ষেপ, যদি পুরনো সময়গুলোকে আমরা ফিরে আনতে পারতাম !!!!!
সেটা যে আর কখনওই হবার নয়, তাই সেদিকে ফিরে ফিরে চাই!

অনেক শুভেচ্ছা দাদা ভাল থাকবেন!!

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১১

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার স্মতিচারণ, খুব ভাল লিখেছেন, ছবিগুলোও দারুণ সুন্দর। সব মিলিয়ে খুব ভাল লাগল।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
যে দিনগুলো চলে যায়, সব সময় সেগুলোই ভাল থাকে।
তাইতো স্মৃতি এত মধুর হয়! কিন্তু স্মৃতির সাথে চলে গেছে জীবনের সেই সোনালী দিনগুলো!!
তাই হয়তো লিখতেও ভাল লাগে!!
কিন্তু ভাবতে যে কষ্ট হয়!! :(

নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল ভাই!!

৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: যুগ বদলে গেছে তার সাথে বদলে গেছে আমাদের সংস্কৃতি!!!!!!!! সুন্দর লেখা।

পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা রইলো

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
যে দিন বদলে গেছে, সে দিনগুলো ছিল আমাদের।
তাই বারে বারে মনে হয়, ফিরে আর আসবে কি কখনও!! :( জানি আসবে না!!

নবর্ষের শুভেচ্ছা আপনাকেও!!

৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: শুভ হোক নববর্ষ

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
ঠিক তাই, শুভ হোক নববর্ষ!!

৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: দিন গুলি খুব মিস করি, সেই পুরোনো খেলা গুলো, সেই দিন আর কখনো ফিরে আসবে না।

লেখাটা খুব ভালো লাগলো +++

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
আমাদের সেই খেলাগুলো এখন আর কেউ খেলে না!
দিন কি এভাবেই বদলে যায়! :(

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই!!

১০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট আজকের এই দিনের সেরা পোষ্ট আমার কাছে। নববর্ষের অনেক শুভেচ্ছা জানবেন।


গান শুনুন

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
আমার ভাললাগার স্মৃতিগুলো শেয়ার করেছি সবার সাথে। ভাল লাগবে জানতাম।
আমাদের কাছেই এগুলো এখন স্বপ্ন, নতুন প্রজন্মের কাছে রূপকথা!

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই, ভাল থাকবেন।

১১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: নববর্ষের শুভেচ্ছা !

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
নতুন বছরের শুভেচ্ছা আপনাকেও!!

১২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪২

নীলপরি বলেছেন: স্মৃতিমেদুর পোষ্ট ভালো লাগলো ।

শুভকামনা ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:

অজস্র শুভেচ্ছা আপু, ভাল থাকবেন সব সময়!

১৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৫৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো।। যায় দিন ফিরে আসে না।। সাথে আবার আনন্দের ধরনটিও যে পাল্টে যায়।। সেই শান্তস্নিগ্ধ আনন্দদেরও তো আজ খুজে পাচ্ছি না।।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:

ঠিক তাই আনন্দের ধরণ পালটে যায়!! তবুও অতীতের সেই মধুর স্মৃতিগুলো এখনও আনন্দ দেয়।
এতদিনেও ভুলতে পারিনি সেসব স্মৃতি।

অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভাল থাকবেন!

১৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:২১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আপনার কাঁদামাটর ছবিটি কি আজ পাবেন??

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
সে ছবি এখন শুধুই স্মৃতি!! :(

১৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:০২

করুণাধারা বলেছেন:
লেখাটা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল চোখের সামনে ছবি ভাসছে! অসম্ভব সুন্দর স্মৃতিচারন। ছবি গুলো সুন্দর। উঠানে কাদা মাখা ব্যাপারটা জানা ছিল না। ছবিটা পেলেন কই?

চমৎকার পোস্ট। ++++

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
লিখতেও মনে ভেসে উঠেছিল এসব স্মৃতি।
বৃষ্টি না হলে শুকনো ক্ষেতে পুরুষ মানুষেরা নামাজ পড়তেন আর মোনাজাত করতেন হাতের পাতা উল্টিয়ে।
এটা লিখতে ভুলে গিয়েছি।

কাদামাটি মাখা ছবিটা ফেসবুকে কেঊ পোষ্ট করেছিল।
সেখান থেকেই নিয়েছি!!

১৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:২৩

রাসেল ০০৭ বলেছেন: আমি প্রায়ই, এখনো খুজিঁ সে দেশ,
যার নেই অবশেষ।
মরীচিকা হায়, স্বপ্ন দেখায়।
শৈশবে আর ফেরা যাবে নাতো
নেই পথ নেই, হারিয়ে গেছে সে দেশ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
আমরা এমন দেশ দেখেছি, তাই এখনও তা' খুঁজে বেড়াই!!

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে!!

১৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১১

প্রামানিক বলেছেন: কয়লার ইঞ্জিনের রেলগাড়িতে চড়ে যেতাম, কত যে প্রশ্ন এত আগুন পড়ছে কেন, কোত্থেকে এলো? আবার চাঁদটাও আমাদের সাথে সাথে যাচ্ছে কেন? কয়লার ইঞ্জিন এখন যাদুঘরে।

চৈত্র বৈশাখ মাসে বৃষ্টি না হলে এভাবেই ছোট ছেলেরা বাড়ী বাড়ী যেয়ে মাটিতে গড়াগড়ি করতো, বাড়ীর মুরুব্বী মহিলারা তাদের উপরে পানি ঢেলে দিতেন। এই দৃশ্য আর চোখে পড়ে না।

কতদিন হলো তেলে ভাজা পিঠা খাই না ছবি দেখে লোভ লাগল।


জামাই-এর দায়িত্ব ছিল বড় মাটির পাতিল (আমাদের অঞ্চলে বলে কোলা) ভরে ঝুরি-বুন্দিয়া সহ বিভিন্ন শুকনো খাবার মেলা থেকে কিনতে হবে শ্বশুড়বাড়ীর জন্য।
হুড়ুমের কোলার কথা ভুলে গেলেন নাকি?

ট্রেনে যাতায়াতের সময় দেখতাম, ফেরী করে পুঁথি বিক্রি হতো। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো নিয়ে পুঁথি লেখা হতো। আবার ফেরীওয়ালা সুর করে পড়ে শোনাতেন। আমার খুব ভাল লাগতো। আমার দাদী খুব পছন্দ করতেন পুঁথি শুনতে। আমি ট্রেন থেকে কিনে নিয়ে, দাদিকে পড়ে শোনাতাম। ঐ ফেরীওয়ালার পড়া শুনে শিখেছিলাম আমি পুঁথী পড়া। বুঝলাম যাদের ভিতরে কাব্যিক ভাব আছে তারা ছোট থেকেই আমার মত। কারণ একসময় এরকম পুঁথি কিনে আমি মুখস্থ করতাম।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
হুরুমের কোলার কথা ভুলি নাই ভাই, তবে জামাইকে হুরুম কিনতে হতো না।
মা চাচিরা ঘরেই হুরুম ভাজতেন।

অনেক ভাল লাগলো আপনার সাথে শেয়ার করে।
আমাদের দু'জনেরই এমন স্মৃতি আছে!!

অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভাল থাকবেন!!!

১৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পুঁথিতে দাদরা , কাহারবা, ত্রিতাল নানা ছন্দ থাকতো । এটা সকলে সুর করে পড়তে পারতোনা।
সুন্দর পোসাট করেছেন। নব-বর্ষের শুভেচ্ছা নিন বিথী।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
পথে ঘাটে যেসুব পুথি পাওয়া যেত, সেটা তেমন কোম কঠিন কিছু ছিল না।
বিক্রেতা সুর করে পড়তেন, সেভাবেই শিকগেছিলাম।

এই যেমনঃ

অমূল্য লাহেরি তুমি কাইন্দা করবা কি?
মুখে খাও শবরী কলা গায়ে ঘষো ঘি,
আর কতকাল থাকব আমি বাপের বাড়ীর ঝি
বন্ধু হে..............

১৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শুভ নববর্ষ। সত্যিকারের বাঙালিয়ানার চিত্র আপনার এই পোস্টেই পেলাম। ধন্যবাদ বোন কামরুন নাহার।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
ভাই, মনটা যে এখনও সেদিনেরই আছে, তাই বোধ হয় বাঙালিয়ানা ছাড়তে পারি না।
পারি না একদিনের বাঙালি হতে।

অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভাল থাকবেন!!

২০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৩৬

সোহানী বলেছেন: ভালোলাগা...

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু!

২১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪২

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ছবি এবং বর্ণনা সব মিলে পোস্ট বেশ হয়েছে!:)




প্লাস!:)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
আন্তরিক এ মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই!

২২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: কামরুন নাহার বীথি ,



নষ্টালজিক রোমন্থন ।

জীবনের পথে পথে কুড়ানো ফুলগুলি কিছুই কি আর রইলো না !
পথ যে আমার হাযার স্রোতে লীন,
দিনের পরে দিন চলে যায় বৃথা, কালে কালে ক্ষীণ !

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
চাইলেও সেই সোনালি অতীতে ফিরে যাওয়া আর হবে না।
মাঝে মাঝে তাই এ রীমন্থন!

আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই!

২৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: আপনার জীবন ধন্য । একাল সেকাল দুটোই দেখছেন । তবে সেকালের জন্যই আপনার জীবন অনেক রোমাঞ্চময় ।

অনেক ভাল লাগলো আপনার স্মৃতিচারণ ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
ভাই সবার জীবনেই সেকাল আর একাল থাকে!
আপনারও আছে। ভাবতে গেলে কিছু সুন্দর মুহুর্ত আপনিও খুঁজে পাবেন।
কারণ অতীত যে সত্যিই বড় সুন্দর হয়!!

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভাল থাকবেন!

২৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২০

জুন বলেছেন: কামরুন্নাহার বিথী আপনার লেখায় অনেক কিছুই মনে পড়লো, জানা হলো বিশেষ করে পুঁথি পড়ার কথাটিতে । আমার আব্বা খুব সুন্দর করে পুঁথি পড়তে পারতেন । তার দাদার কাছ থেকে পাওয়া প্রায় আড়াইশো বছরের পুরনো পুথিটি স্মৃতি হিসেবে এখন আমার কাছে আছে । মলিন পৃষ্ঠাগুলো লালচে হয়ে গেছে । অনেক জায়গায় স্কচটেপ লাগানো । তারপর ও ধরলে মুড় মুড় করে ভেংগে আসে হাতে । সে পুথিতে আছে আমাদের যত পয়গম্বরদের জীবনের করুন কাহিনী । সেটা যখন আব্বা কাজের ফাকে ফাকে আমাদের ভাই বোনকে পাশে বসিয়ে সুর করে পড়ে শোনাতেন তখন মুসা নবীর করুন কাহিনী, আইউব নবীর কষ্টের কথা , ইসমাইল আঃ এর দুঃখ শুনে চোখে পানি ধরে রাখতে পারতাম না । আব্বা জড়িয়ে ধরতেন এক হাত দিয়ে ।
কোথায় গেল সেইসব দিন । আপনার মত আমিও বলি হায়রে আমার সোনা রঙের দিনগুলো ।
পোষ্টে অনেক ভালোলাগা রইলো ।
+

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
স্মৃতি সত্যিই কষ্ট দেয়!!
আপনার মত, অনেকের জীবনেই আছে এমন পুথি শোনা বা পড়া!
চমৎকার ছিল সে সব পুথির কাহিনী।
জানিনা সেই ঐতিহ্য আর ফিরে আসছে না কেন।
আপনার মত অনেকের কালেকশনেই হয়তো পুথি আছে!
যা এখনও বিলুপ্ত হয়ে যায়নি, আপু আমরাই কিন্তু পারি সেই ঐতিহ্যকে আবারো প্রতিষ্ঠিত করতে!!

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু, ভাল থাকবেন!

২৫| ২৫ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০

প্রামানিক বলেছেন: নতুন পোষ্ট কই?

০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:৫০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
রোজার মাসে আর সময় কই ভাই, তাইতো কিছু লেখা হয়ে উঠছে না।

২৬| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

প্রামানিক বলেছেন: ঈদের রেসিপি কই?

১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১১

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
ঈদের রেসিপি, ঈদের পরে পাবেন!!! ;)

২৭| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: অনেক দিন পরে ফুলওয়ালীকে মনে হয়, দেখা গেল !! B-)


কেমন আছেন ?

০১ লা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
আবার আরো অনেকদিন পরে দেখবেন!! :)

২৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর +

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.