নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন সাধারণ মানুষ।

কাউছার হোসেন

আমি খুবই সাধারণ।নিজের সম্পর্কে এটুকুই।

কাউছার হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫৯



লীলা নাগ আসামের গোয়ালপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা গিরীশচন্দ্র নাগ অবসর প্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। তার পিতৃ-পরিবার ছিল তৎকালীন সিলেটের অন্যতম সংস্কৃতমনা ও শিক্ষিত একটি পরিবার। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে লীলা নাগ বিয়ে করেন বিপ্লবী অমিত রায়কে। তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু হয় ঢাকার ইডেন স্কুলে। ১৯২১ সালে তিনি কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন। পরীক্ষায় তিনি মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং পদ্মাবতী স্বর্ণ পদক লাভ করেন। ১৯২১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল়য়ে ইংরেজি বিষয়ে এমএ ভর্তি হন। ১৯২৩ সালে তিনি দ্বিতীয় বিভাগে এমএ ডিগ্রী লাভ করেন। তিনিই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এমএ ডিগ্রীধারী। তখনকার পরিবেশে সহশিক্ষার কোনও ব্যবস্থা ছিল না বলে লীলা রায়ের মেধা ও আকাঙ্খা বিচার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভাইস চান্সেলর ডঃ হার্টস তাকে পড়ার বিশেষ অনুমতি প্রদান করেন। তার এক ক্লাস উপরের ছাত্র ছিলেন সাহিত্যিক কাজী মোতাহার হোসেন। লীলা নাগ সম্পর্কে তিনি তার স্মৃতিকথা নামক প্রবন্ধ সংকলনে লেখেন, এঁর মত সমাজ-সেবিকা ও মর্যাদাময়ী নারী আর দেখি নাই। এঁর থিওরী হল, নারীদেরও উপার্জনশীলা হতে হবে, নইলে কখনো তারা পুরুষের কাছে মর্যাদা পাবে না। তাই তিনি মেয়েদের রুমাল, টেবলক্লথ প্রভৃতির উপর সুন্দর নক্সা এঁকে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। এই সব বিক্রি করে তিনি মেয়েদের একটা উপার্জনের পন্থা উন্মুক্ত করে দেন।"

বাঙালি নারীদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারে তিনি বিশেষ ভুমিকা পালন করেছেন। তিনি ঢাকার আরমানীটোলা বালিকা বিদ্যালয়, কামরুন্নেসা গার্লস হাই স্কুল এবং শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয় (তৎকালীন নারীশিক্ষা মন্দির) প্রতিষ্ঠা করেন। বিয়ের পর তার নাম হয় শ্রীমতি লীলাবতী রায়। ভারত বিভাগের পর লীলা নাগ কলকাতায় চলে যান এবং সেখানেও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। লীলা রায় ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন নেত্রী ছিলেন । এজন্য কয়েকবার তাঁকে কারা বরণ করতে হয়। তিনি মহিলা সমাজে মুখপত্র হিসেবে “জয়শ্রী” নামে একটি পত্রিকা বের করেন। লীলা রায় ছবি আঁকতেন এবং গান ও সেতার বাজাতে জানতেন। দেশভাগের দাঙার সময় তিনি নোয়াখালীতে গান্ধীজীর সাথে দেখা করেন।তিনি দিপালী সংঘ নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭০ সালের ১১জুন ভারতে এই মহীয়সী নারীর জীবনাবসান ঘটে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

আজ, ১০০ বছর পর, ১১ লাখ বাংগালী লীলা নাগ আপনাদের বাসায় চাকরাণী হয়ে আপনাদের বউ'এর কাজ করে দিচ্ছে।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৩২

রাকু হাসান বলেছেন: জানতাম না ,জানতাম ,ধন্যবাদ ।

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৪০

চাঙ্কু বলেছেন: তখনকার দিনে মেয়েদের এমএ? সেইরাম মেধাবী ছিল!!

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৪৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: এরাই হচ্ছেন প্রকৃত সন্মানের যোগ্য নারী।
মেধা,অাত্মর্যাদাবোধ, দেশপ্রেম-সবকিছুই তাদের মধ্যে ছিলো।
অার এখনকার মেয়েরা দীপিকা-প্রিয়াংকা হতে চায়।
বেগম রোকেয়া,প্রীতিলতা,কল্পনা দত্তদের তাদের ভালো লাগে না।
নিজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেয়ে তাদের বেশীরভাগই সম্পর্কের জন্য ধনী লোক খোজে।

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:১৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়াটাই বিশাল ব‍্যাপার। আর প্রথম ছাত্রী তো কিংবদন্তী। তাকে শ্রদ্ধা জানাই।

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১০

রাজীব নুর বলেছেন: শ্রদ্ধা জানাই।

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়াটাই বিশাল ব‍্যাপারঅতীতে ছিলো,এখন অার না।

৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



প্রচন্ড হতাশাজনক ব্লগিং


পোস্ট করেছি: ৫টি
মন্তব্য করেছি: ৫টি
মন্তব্য পেয়েছি: ১৪টি
ব্লগ লিখেছি: ৩ বছর ৪ মাস




ছ্যাঃ


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.