নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.সমাজ নিজস্বতাকে প্রশ্রয় দেয় না।। তবু ও নিজ প্রশ্রয়ে নিজস্বতা যৌগিক হয়। যৌগিক নিজস্বতাই মৌল নিজস্বতা- ক্রমশ পরিবর্তনশীল।

খাটাস

অস্তিত্ব আর অনস্তিত্ব সব কিছুই সুত্র মেনে চলে। সুত্র যেখানে, সুত্র স্থাপনে সৃষ্টির প্রসঙ্গ সেখানে। দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়ার সুত্র অজানা হলেও, তা সৃষ্টি তত্ত্বের বাহিরে নয়।

খাটাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

টাইটেল কি দিব বুঝতেছি না। পড়ে আপনি ই বলুন। :| :| :|

০৫ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:৫০

পোষ্ট টা কোন গল্প নয়। তবে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে লেখা হলে ও মুল বিষয় টা মনে হয় সবার মাঝে থাকা উচিত। প্রবন্ধ মুলক পোষ্ট পড়ার ধৈর্য আমদের কম। আপনাদের কত ক্ষণ ধৈর্য থাকবে জানি না।

আমরা যারা ঢাকায় থাকি, তারা প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি, অফিস বা বেবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বাস এর উপর নির্ভরশীল। প্রায় দুই কোটি মানুষের এই ঢাকা শহরে এই লোকাল বাস গুলোতে এত ভিড় হয়, তা যারা যায় তারাই বোঝে। বাসে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অনেক বৃদ্ধ, নারী বা মাঝারি বয়সের অনেক চাকরিজীবী বা বেবসায়ি দাঁড়িয়ে আছেন। অথচ সবাই নিজের মনে বসে আছেন। আপাতত মাঝারি বয়সের বাস যাত্রীদের কথা বাদ দেই। কিন্তু পাশে বৃদ্ধ বা নারী কাও কে দাঁড়িয়ে থাকা দেখে ও সবাই নিজের মনে বসে আছেন। হয়ত বলবেন যে সারাদিন ক্লাস করে, চাকরি করে আমরা ক্লান্ত। প্রথমে যারা ছাত্র তাদের উদ্দেশে বলি, আমরা যারা ছাত্র তারাই তো নতুন প্রজন্ম । আমাদের বয়স এমন বেশি নয় যে একটু দাঁড়িয়ে থাকলে আমরা এত বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ব যে আর পরের দিন চলতে পারব না। আমাদের কি উচিত নয় যে বৃদ্ধ ও নারীদের যারা বাসে দাঁড়িয়ে থাকেন, নিজের সিট টা তাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া? যদি বলি আমরা ক্লান্ত , তাহলে তো আমরা মনে মনেই বৃদ্ধ হয়ে গেছি, কুড়িয়ে গেছি। আমাদের নিয়ে আমাদের দেশ মিছে স্বপ্ন দেখছে। এক জন বৃদ্ধ যেখানে বাসে দাঁড়িয়ে থেকে জীবনের যুদ্ধে টিকে আছেন, সেখানে কোথায় আমাদের তারুণ্য? বলতে পারেন আমাদের শক্তি আছে, কিন্তু আমরা অযথা কেন কষ্ট করতে যাব?

এখানে একটা পুরাতন প্রবাদ বলি প্রথমে,



" Student life is not a bed of roses."

ভাই আমাদের ছাত্র জীবন তো কষ্ট করার জন্যই যাতে আমরা একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে পারি নিজেদের জন্য। সেখানে আমরা যদি আর একটু কষ্ট করি, তাহলে হয়ত আমাদের দেখে আমাদের ছোটরা শিখবে বড়দের আসলে কিভাবে সম্মান দিতে হয়। আমরা ও তো একদিন বুড়ো হব। তখন যদি কোন দিন বাসে দাঁড়িয়ে যাওয়ার সময় দেখি আমার পাশে আমার ই নাতি বা ছেলের বয়সি একজন কানে হেডফোন লাগিয়ে বসে গান শুনছে, বা বন্ধুদের সাথে হাসি গল্প করছে, আর আমার দাঁড়িয়ে মাথা ঘুরে উঠছে। অথচ কেও একটু বসার জায়গা দিচ্ছে না। বসার উপায় ও নেই। কেমন লাগবে আমার? আচ্ছা আমাদের বাবা দাদা বা আপন জন কেও ও তো এমন পরিস্থিতিতে হর হামেসা পরছে হয়ত। আমাদের বয়স্ক কেউ যখন এভাবে দাঁড়িয়ে থাকে, আমরা পাশে থাকলে হয়ত বাসের যাত্রীদের মানবতায় মনে মনে গালি দেই। গালি টা আসলে পরছে কোথায়?

আমাদের মা বোন এর মত যারা বাসে দাঁড়িয়ে যায়, মানে যাদের আমরা নিজের বসার সুযোগ করে দেই না, তারা তো নানা মানুষের নানা দৃষ্টির স্বীকার হয়। অনেকে ভীরের সুযোগে একটু হালকা স্পর্শ করে বিকৃত মজা নেয়। আমরা ও কি বসে বসে মজা দেখি ? বেশ তো। আমাদের মা বোন বাসায় আছে, অন্নের মা বোন কে কে কি করল তা সামান্য যদি হয় তাহলে আমরা কিছু বলব না, তাই না? তবে কেও যদি পত্রিকায় ওঠার মত বে ইজ্জতির স্বীকার হয়, তাহলে আমরা ছাত্র সমাজ বিড়ি তে টান দিয়ে অবশ্যই প্রতিবাদ এ ফুসে উঠবো। এখন কি করছি তা বড় কথা না। আমরাই তারুণ্য। আমরাই তো বড় বড় আন্দোলন করেছি, তাই না?

আচ্ছা শুধু বৃদ্ধ আর নারী নয়, সাথে যারা অফিস বা প্রতিস্থান এ সারাদিনের পরিশ্রম শেষে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফেরেন নিজের স্ত্রী সন্তানের কাছে আমরা ছাত্ররা তো বুড়ো হউয়ার আগে তাদের বয়সেই যাব। এখন যারা এই বয়সে আছেন, তাদের জন্য বাসায় ভালবাসা নিয়ে অপেক্ষা করছে তাদের স্ত্রী সন্তান। একটি পরিবারের স্ত্রী অপেক্ষা করে কখন তার ভালবাসার মানুষের সাথে একটু কথা হবে। কিন্তু সারা দিনের ক্লান্তি নিয়ে কি ঐ বাসের মানুষটার তার বউ এর সাথে বাড়ি ফিরে সব সময় মিষ্টি কথা বলতে ইচ্ছা করবে? আবার যেসব কর্মজীবী নারী আছেন, ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে কি পরিবারের জন্য যথেষ্ট সময় দিতে পারেন? ( যেহেতু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীদের কেই পরিবারে বেশি শ্রম ও সময় দিতে হয়, সেই ভিত্তিতে বললাম) মাঝে মাঝে এই ক্লান্ত তা ঝগড়া তে পরিবর্তিত হতে পারে। এখানে কাও কে দোষ দেয়ার কিছু নেই। হয়ত বলবেন পড়ে ঝগড়া ঠিক হয়ে যায়। তা ঠিক। কিন্তু কোন পরিবারের ঝগড়া হয়ত বাড়তেই থাকে। কারন প্রতিটা মানুষের মানসিকতা ভিন্ন। যে পরিবারে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকে, সে পরিবারের শিশু সন্তান কি সুস্থ ভাবে বেরে উঠবে? হয়ত উঠবে। কিন্তু কিছু কিছু বিপথে চলে যাবে অসুস্থ মানসিকতায় গড়ে বেড়ে ওঠার কারনে। এই শিশুরা ও কিন্তু স্কুলে ভর্তি হবে। তাদের সাথেই হয়ত পড়বে আপনার ছোট ভাই বোন বা ভাগ্নে ভাগ্নি। আপনার ভাই বোন, ভাগ্নে ভাগ্নি যত ভাল পরিবেশেই বড় হোক, একটা অসুস্থ মানসিকতার ছেলে বা মেয়ে শিশুর সাথে মিশলে কি মানসিকভাবে খতিগ্রস্থ হবে না?

কথায় তো আছে, "অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।"

হয়ত বলবেন, ঐ অসুস্থ মানসিকতার ছেলের বা মেয়ের সাথে কেও মিসবে না। তাহলে কোথায় আমাদের মানবতা? যতই বলি এভাবেই আমাদের শিশু সম্পদ গুলো বিকৃত রুচিতে বড় হবে। তারাই মদ খাবে, গাজা খাবে, আজেবাজে পোশাক পড়বে.।।। আর কি কি করবে, কি আর আমি বলব? আমরা কি এর জন্য একটু ও দায়ি না।



কথা পেচাই তে পেচাইতে হাস্যকর করে তুলেছি হয়ত। কিন্তু হাসিটার মাঝে কি বাস্তবতা নেই?

আমি কথা বলছিলাম, বাসে যাতায়াত প্রসঙ্গে । অনেক মানবিক দিক, সামাজিক দিক নিয়ে বললাম। এবার বেক্তি স্বার্থের কথা বলি। আমরা যদি আজ বাসে যাওয়ায় সময় যদি সম্ভব হয় তাহলে বৃদ্ধ, নারী, বা অপেক্ষাকৃত ক্লান্ত কর্ম জীবী মানুষ গুলোকে নিজে কষ্ট করে একটু বসতে দেই। হয়ত আমাদের ছোটরা ও এই সংস্কৃতি ধারন করবে। আমদের বৃদ্ধ আত্মীয় স্বজন, মা বোন, ও অনেকেই উপকৃত হবেন। আসল কথা, এই সংস্কৃতির চর্চায় আমরা ও আরেক টু বয়স হলেই এর সুফল পাব। শুধু তাই নয়, মানুষে মানুষে শ্রদ্ধা বোধ, ভালবাসা , সৌহার্দ হয়ত বেড়ে গিয়ে আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ এর পথে আমরা একধাপ এগিয়ে যাব।



পরিশেষে একটা অবাক করা ব্যাপার এর উদাহরন দেই, আমেরিকান লেখক মেল্কম গ্লাডঅয়েল এর বই, " দা টিপিং পয়েন্ট" বই থেকে নেয়া। একটা সাদা পৃষ্ঠা কে মাঝ বরাবর আমরা যদি একবার ভাজ করি। তারপর ভাজকরা কাগজ টাকে আবার একবার ভাজ করি। এভাবে যদি পঞ্চাশ বার ভাজ করি, তাহলে সেটি কত মোটা হবে?

হয়ত বলবেন একটা ডিকশনারির সমান। কেউ খুব বেশি বিচক্ষন হলে বলবেন যে, একটা ফ্রিজের সমান। কিন্তু সত্যি হিসাব টা হচ্ছে, এভাবে একটা কাগজ কে পঞ্চাশ বার ভাজ করলে তার পুরুত্ত হবে পৃথিবী থেকে সূর্যের দুরুত্তের সমান। বিশ্বাস হচ্ছে না জানি। নিজে খাতা কলম নিয়ে হিসাব করে দেখতে পারেন। একান্ন বার ভাজে পুরুত্ত হবে পৃথিবী থেকে সূর্যে যাওয়া আসার দুরত্তের সমান।

এই উদাহরন দ্বারা যা বোঝাতে চাচ্ছিলাম তা হচ্ছে, একটা কাগজ কে অনবরত পঞ্চাস বার ভাজ করায় যে ফলাফল পাওয়া যায়, তার তুলনায় কাগজের পরিবর্তন খুব খুব খুব বেশি ছোট।

আমাদের ও বুঝতে হবে, সমাজে আমাদের ছোট ছোট পরিবর্তন আমাদের জন্য অনেক বেশি সুফল বয়ে আনতে পারে। সেভাবে ছোট ছোট ভুল সমাজের জন্য অনেক বেশি ক্ষতির কারন হতে পারে। সঠিক উপায়টা আমদের ই বেছে নিতে হবে।



ভাই আমাদের দেশ ছিনেমার মত উড়ে এসে কোন সরকার সোনার বাংলায় রুপান্তর করবে না। আমাদের দেশ কে আমাদের ই সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

কম জ্ঞানে বেশি লিখে ফেলেছি, ভুল মনে করলে নিজ গুনে ক্ষমা করে দেবেন।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৫:৩৬

বোকামন বলেছেন:





মানুষে মানুষে শ্রদ্ধা বোধ, ভালবাসা , সৌহার্দ হয়ত বেড়ে গিয়ে আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ এর পথে আমরা একধাপ এগিয়ে যাব।

শুধু একধাপ নয় হাজারো ধাপ এগিয়ে যাবো

আমাদের দেশ কে আমাদের ই সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

একদম খাটি কথা !

শিরোনামের প্রয়োজন নেই, খাটি কথার শিরোনাম লাগে না ......

“ছাত্র জীবন” বুঝতে হলে তো আগে ছাত্র হইতে হবে তাই না !

অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য। ভালো থাকবেন।

০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১০

খাটাস বলেছেন: নিজের বিবেক থেকে কিছু কথা লিখার চেষ্টা করেছি। ভাই সমর্থন দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

২| ০৫ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৬:৩১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমাদের দেশ কে আমাদের ই সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সহমত।

০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১১

খাটাস বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই।

৩| ০৫ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৬:৩৯

যোগী বলেছেন:
খুব গুরুত্বপূর্ন একটা বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।

০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

খাটাস বলেছেন: ধন্যবাদ যোগী ভাই। আরও অনেক বিষয় গুরুত্ব পূর্ণ ছোট ছোট বিষয় আছে। আমরা আরও সচেতন হলে আলোচনা সমালোচনা করে নতুন পথ খুঁজে পাব ইনশা আল্লাহ।

৪| ০৫ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৬:৪২

ভিটামিন সি বলেছেন: আপনার পোষ্টে মন্তব্য করার জন্যই লগ ইন করলাম। লিখেছেন খুব ভালো। সবাই যদি পালন করি তবেই সুন্দর একটা দেশ গড়ে তোলা। বিদেশে দেখেছি তাদের বাসে ট্রেনে বৃদ্ধ/বৃদ্ধা, বাচ্চাসহ মা, পঙ্গু, গর্ভবতীদের জন্য সিট রিজার্ভ রাখা হয়। সিটের পাশের এইসব চিন্হ দেয়া থাকে। কেউ যদি এসব সিটে বসে সবাই তার দিকে কটাক্ষ করে তাকায়।
আপনি তো আসলেই একটা খাটাশ!!!! বিবেক কে নাড়া দিয়ে গেছেন। জানি না কতজনের বিবেক নড়বে।

০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

খাটাস বলেছেন: আমাদের দেশে তো সিট ফাঁকা হইলেই বসে পড়ে মানুষ, তা নারীদের ই হোক, আর প্রতিবন্ধীদের ই হোক। অন্য কে দোষ না দিয়ে আগে আমাদের নিজেদের একটু করে পাল্টাতে শিখতে হবে। আমার নাম ধরে প্রশংসা করার জন্য ধন্যবাদ। :) :) ভাল থাকবেন ভাই।

৫| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:১৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ৪র্থ ভালোলাগা :)

+++++++++++++++++

শুভ সকাল :)

০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

খাটাস বলেছেন: ধন্যবাদ অপূর্ণ। :) শুভ দুপুর। :)

৬| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৪০

ঘাসফুল বলেছেন: অনেক কথা বলার ছিলো, কিন্তু বলা হবে না। শুধু বলবো সবার আগে দরকার আমাদের নৈতিক মূল্যবোধ (যেটা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে অনেক আগেই)।


০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২০

খাটাস বলেছেন: ভাই মানুষের জীবন ছাড়া কিছুই ছেড়ে চলে যায় না। তলিয়ে যায়। আমাদের অনেকেরই মূল্যবোধ আজ বেক্তি স্বার্থের নিচে তলিয়ে গেছে। অনেক কিছু বলার থাকলে সময় করে বলে ফেলুন। আমরা হয়ত নতুন কিছু জানব। মন্তব্বের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

কালোপরী বলেছেন: :)

০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

খাটাস বলেছেন: :|| :#> :) :)

৮| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫

বাংলার হাসান বলেছেন: ++++++

০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২১

খাটাস বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই।

৯| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার পোস্ট খুব ভালো লেগেছে।
কাগজের উদাহরণটা বুঝি নাই।

০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

খাটাস বলেছেন: আপনি একটা বড় কাগজ কে যদি পকেট এ রাখেন , থলে কাগজ টা কে অবশ্যই ভাজ করে রাখবেন। ভাজ টা সাধারণত দুই বার বা তিন বার করা হয়। ধরুন একটা খাতা থেকে একটা পৃষ্ঠা ছিঁড়ে আপনি যদি সমান ভাবে কাগজ টাকে একবার ভাজ করেন তাহলে পৃষ্ঠা টা আকারে ছোট হয়ে যাবে। এভাবে আপনি আপনি যদি আবার একবার পৃষ্ঠা টা ভাজ করেন, তাহলে পৃষ্ঠা টা আরও ছোট হয়ে যাবে। অর্থাৎ পৃষ্ঠা টা ক্ষেত্রে কমলে ও পুরত্ত বাড়বে। এভাবে পঞ্চাশ বার ভাজ করার কথা বলা হয়েছে। আশা করি বুঝেছেন। না বুঝলে আবার বলবেন, কোন সমস্যা নাই। আপনি আপনার বিছানার চাদর ভাজ করার পদ্ধতি টা মনে করলে একটা আইডিয়া পাবেন। মন্তব্বের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ খেয়া ঘাট ভাই।

১০| ০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০১

লাবনী আক্তার বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই। আপনার এমন মন-মানসিকতার জন্য দুয়া করছি আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুক।

পাবলিক বাসেতো মহিলা সিটগুলোতেও পুরুষ বসে থাকে। মহিলা দেখলেও সিট ছেড়ে দেয়না তারা। তবে আমি অনেক তরুনদের দেখেছি যারা পুরুষদের বলে মহিলা সিট ছেড়ে দিন। আর বেশির ভাগ পুরুষরাই বাঁকা চোখে তাকায় কারন মহিলা সিট ছেড়ে দিতে হয় বলে। শুধু তাই নয় অনেক শিক্ষিত ভদ্রলোককেও দেখেছি মহিলা সিটে বসে থাকে উঠে না। এটা যে মহিলা সিট সেটা তারা দেখেও না দেখার ভান করেন। উঠে সিট দিতে চান না।

আর একটা ব্যাপার সেটা হল একটা মেয়ে যখন দাঁড়িয়ে যায় তাকে অনেক কিছু নিরবে সহ্য করে যেতে হয়। যা আপনার লেখায় বলেছেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি মুরুব্বী দেখলে তাকে সিট দিতে। কারন আমার বিবেকে খুব বাধে। আমি একজন অল্প বয়স্কের মানুষ বসে থাকব আর একজন বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে থাকবে এটা মেনে নিতে পারিনা।


পোস্টে +++++++++
৯ম ভাললাগা রইল। শুভকামনা আপনার জন্য।

০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

খাটাস বলেছেন: আপু আমার দর্শন হচ্ছে, শিক্ষা অর্জন যদি শুধু কিছু অর্থ উপার্জন করে নিজের জন্য বাঁচার পথ হয়, তাহলে আমি চুরি ডাকাতি কে বেটার বলব। তাতে বেশি আয় হয়। শিক্ষা শুধু নিজে কে নিয়ে বাঁচা নয়, সমাজের সবাইকে নিয়ে ভালভাবে বাঁচার দর্শন। নারী কে মা বোন ভাবার মানসিকতা আমাদের এখনও গড়ে ওঠেনি। আমদের সবার আরও সচেতন হতে হবে। আপনি বলেছেন, " আমি সবসময় চেষ্টা করি মুরুব্বী দেখলে তাকে সিট দিতে। কারন আমার বিবেকে খুব বাধে। আমি একজন অল্প বয়স্কের মানুষ বসে থাকব আর একজন বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে থাকবে এটা মেনে নিতে পারিনা। " আপনাকে স্যালুট আপু। আপনি হাজার পুরুষের চেয়ে মহান। ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন। শুভকামনা আপনার জন্য।

১১| ০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

ফারজানা শিরিন বলেছেন: আমাদের দেশ ছিনেমার মত উড়ে এসে কোন সরকার সোনার বাংলায় রুপান্তর করবে না। আমাদের দেশ কে আমাদের ই সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে
____ কথাটা সবচেয়ে বড় সতি্য ।

০৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

খাটাস বলেছেন: ঠিক তাই। মন্তব্বের জন্য ধন্যবাদ ফারজানা আপু।

১২| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

চানাচুর বলেছেন: খাটাস ভাই উত্তেজিত হবেন না!! :-/

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১২

খাটাস বলেছেন: আপনারেই তো উত্তেজিত মনে হয়। :#> :#>

১৩| ০৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন:

মানবিক পোস্টটি পড়ে একটা গান খুব মনে পড়ছে ---

----- ঘুঁটে যায় পুড়ে তবু গোবর হাসে -
যৌবন যার নাম
কাল সেতো বুড়ো ভাম
আজকের ফুল মালা
কালকেই বাসি ।
মনে রেখ সব্বাই
পরিনতি একটাই
সবার বয়স হবে আশি ।

০৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

খাটাস বলেছেন: সুন্দর মন্তব্বের জন্য ধন্যবাদ গিয়াসলিটন ভাই। আমার হাবি জাবি লেখার মাঝে স্বাগতম।

১৪| ১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: হুমম

১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

খাটাস বলেছেন: হুমম

১৫| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:২৯

ভূতাত্মা বলেছেন: আনটাইটেলড!!! B-)

১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০১

খাটাস বলেছেন: :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.