নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.সমাজ নিজস্বতাকে প্রশ্রয় দেয় না।। তবু ও নিজ প্রশ্রয়ে নিজস্বতা যৌগিক হয়। যৌগিক নিজস্বতাই মৌল নিজস্বতা- ক্রমশ পরিবর্তনশীল।

খাটাস

অস্তিত্ব আর অনস্তিত্ব সব কিছুই সুত্র মেনে চলে। সুত্র যেখানে, সুত্র স্থাপনে সৃষ্টির প্রসঙ্গ সেখানে। দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়ার সুত্র অজানা হলেও, তা সৃষ্টি তত্ত্বের বাহিরে নয়।

খাটাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট গল্প - সাড়ে তিন দিন

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

ইচ্ছে করেই অ্যালার্ম দেই নি রুদ্র । অর্পিতার ফোনে ঘুম ভাংবে ব্যাপারটা সে জানে। ( I will see you again) রিংটোন টা বাজছে। এই ধরনের গান রুদ্র পছন্দ করে না। তবু ও মহা বিশ্বের অদ্ভুত মায়াজালে পড়ে মাত্র কদিন আগে নাকি অনন্তকাল আগে এই গান টাই তার জীবনের সাথে জড়িয়ে গেছে।

জীবন??? নাকি মৃত্যু???

কথা টা ভাবতেই রুদ্রর আত্মা নামক অদৃশ্য স্বত্বা মুহূর্তেই ক্ষুধায় কাঁদতে থাকা সদ্য মারা যাওয়া শিশুর মত নিরব হয়ে যায়। শিশুটি তবু মরে বেঁচে যায়, রুদ্র কে আবার সেই যন্ত্রণায় দগ্ধ হতে হয়। (I will see you again) বেজেই চলেছে। রুদ্র তার মারা যাওয়ার দিন সকালে এই রিং টোন টা সেট করেছে। সে কাজ টা কেন করেছিল, সে জানে না। কিন্তু এখন রিং টোন টাই বারবার তার মারা যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়, আবার চেঞ্জ করতে ও ইচ্ছা করে না, মন যেন কোন এক ছকে বাধা । বই পুস্তকে একটা কথা লেখা থাকে মাঝেই মাঝেই যে প্রচণ্ড কষ্টে মন ভেঙ্গে যায়। কিন্তু রুদ্রর কাছে মনে হয় একটা কষ্টের সাগরে তার মন ডুবে থাকা একটা ছোট্ট মাছের মত, যার বেঁচে থাকার জন্য ওই সাগর ছাড়া কোন জায়গা নেই। আবার জীবন- মৃত্যুর সেই বিরক্তিকর দো টানা।

“ বারবার এই দিন টাতে এই সকাল সাত টা বাহান্ন মিনিটে তোর মরা গাছে গোলাপ ফোটার খবর টা না দিলে হয় না? ” চোখ টা বন্ধ করেই রুদ্র ফোন টা ধরে। রুদ্রর কাছে ব্যাপার টা নতুন না হলে ও অর্পিতা প্রচণ্ড অবাক হয়।

“ তুমি জানলে কিভাবে? আর বারবার মানে? ”

“ভার্সিটি তে আয় তারপর কথা হবে। রাখলাম। ” অর্পিতা রুদ্র কে তুমি ডাকলেও রুদ্র তুই ডাকে। ফোন টা রেখে রুদ্র উঠে হাত মুখ ধুয়ে ভার্সিটির জন্য রেডি হয়ে নেয়। একই কাজ বারবার করতে ভাল লাগে না, কিন্তু কিছুই করার নেই।

খাবার টেবিলে বসে পছন্দের খাবার গুলো দেখেও রুদ্রর বিরক্ত লাগে। এই মরার কারনেই তার আদর টা যেন বেড়ে গেছে। বড় দুই বোন চাকরি করে। বাবা মারা যাওয়ার পর তারাই সংসার খরচ চালায়। এখন ও বিয়ে করেনি। তারা আদরের কোন কমতি রাখছে না। খাওয়া শেষ করতেই মা রাইসা খন্দকার রুদ্রর পাশে বসেন।

“মা, দাও তিনশ টাকা টা দাও, আমার যেতে হবে।” রুদ্রর কথায় তার মায়ের মন যেন গভীর রাতে কুকুরের ডাক শোনা কুসংস্কার বিশ্বাসী মনের মত আন্দোলিত হয়ে ওঠে। প্রতিদিন তিনি রুদ্র কে দেড়শ টাকা দিলে ও আজ তিনশ টাকা নিয়ে এসেছেন তা এখন ও তিনি রুদ্র কে বলেন নি, রুদ্র ও কিছু চায় নি। রুদ্র কে এই ক দিনে খুব বেশি অচেনা মনে হচ্ছে। যদি ও সে কষ্ট দেয়ার জন্য আগের মত কিছুই বলে না। শুধু একটা হাসির কষ্ট মুখে ধরে রাখে। মানুষের কষ্টের হাসি চেনা যায়, কিন্তু এ হাসির অর্থ বোঝা বোধ হয় কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।

টাকা টা হাতে দিতেই রুদ্র মায়ের কপালে একটা চুমু দিয়ে চলে যায়। যে ছেলে টা ড্রাগসের জড়িয়ে পড়ার পর তার আশা ছেড়েই দেয়া হয়েছিল, সেই ছেলের ড্রাগস ছেড়ে এমন লক্ষ্মী হয়ে যাবে- তা কল্পনা কত বড় আনন্দের তা একজন মা ছাড়া কেও বুঝবে না। সেখানে বাস্তবতা এসে ধরা দিলে তা পৃথিবীর সব সুখের সমষ্টির চেয়ে ও বেশি। মায়ের পরাজয় হলেও অর্পিতার প্রতি কৃতজ্ঞতায় মন ভরে ওঠে।



ভার্সিটি তে ভর্তি হউয়ার পর পর রুদ্র ড্রাগস এ জড়িয়ে পড়ে। মেধা তালিকায় চান্স পাওয়া অমায়িক চেহারার এই ছেলেটির ড্রাগস এ জড়ানোর গল্প মোটা মুটি ইংরেজি ডিপার্টমেন্টের সবারই জানা। সব কিছু জেনে ও অর্পিতা প্রথম দেখেই রুদ্র কে ভালবেসেছিল। এডিক্টেড হলে ও সম্ভবত অসাধারন মেধার কারনে রুদ্রর রেজাল্ট সব সময় ই ভাল ছিল, যদি ও সে খুব একটা ক্লাস করত। না ভার্সিটির প্রথম ক্লাস থেকেই প্রত্যেক টা ক্লাসে অর্পিতা অধীর হয়ে থাকত একটি বার রুদ্র কে দেখার জন্য। আমাবস্যার সময় জ্ঞান থাকলে ও রুদ্রর দেখা পাওয়া ভাগ্য বলেই মনে করত অর্পিতা।

প্রথম বর্ষের পরীক্ষার সময় রুদ্রর সাথে পেছনের সিটে বসার সৌভাগ্য হউয়ায় অর্পিতা নিজের অনেক গুলো ভাল কাজের ফল বলেই মনে করে। টুক টাক কথা হলে ও পরীক্ষার শেষের দিন অর্পিতা রুদ্রর কাছে থেকে নিজে চেয়ে ফোন নাম্বার নেয়। তখন থেকেই অর্পিতা নিজে থেকে ফোন দিয়ে রুদ্রর সাথে রাতে কথা বলত। স্নায়ুর নিয়িন্ত্রনে থাকা রুদ্র সব সময় উদাসিন হয়েই কথা বলত অর্পিতার সাথে। স্নায়ুর প্রসাদ নিয়ে রুদ্র বেশির ভাগ সময় নিজের ঘরেই থাকত। একান্তভাবে নারী পুরুষের কথা সম্ভবত ত্রিভুজের ভুমির দুই প্রান্ত থেকে শুরু হয় যা সময়ের সাথে এক বিন্দুতে গিয়ে মিলে মিশে এক হয়ে যায় যেখান থেকে আলাদা করা যায় না।

রুদ্র ও অর্পিতা কে ভালবেসে ফেলে । সময়ের নিয়মিত বৃষ্টির ধারায় অনেক ঝড়ের পর ভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের শুরু তে রুদ্র রিহাবে তিন মাসের চিকিৎসা শেষে নিয়মিত ক্লাস শুরু করে। অর্পিতার ভালবাসায় মায়ের লক্ষ্মী ছেলেটা হয়ে ওঠে। অসহ্য পাপবোধ রুদ্র কে ছিঁড়ে ছিঁড়ে ফেললেও মা প্রচণ্ড ঝড়ের আঘাত গুলো ভুলে নতুন করে সব গুছিয়ে নেন।

রুদ্র এখন থার্ড ইয়ারে পড়ে। অর্পিতার সাথে সম্পর্কের প্রায় দেড় বছরের কিছু বেশি হতে চলল।

আজ ভার্সিটি তে পৌঁছে সোজা ক্যান্টিনে র দিকে হাঁটতে থাকে রুদ্র। ক্যান্টিনের কোনার টেবিল টাতে নীল পরির মত বসে আছে মেয়েটা। সময় যে সুন্দর কে এত অসহ্য করতে পারে- তা রুদ্র ছাড়া পৃথিবীর কেও জানে না।

“ তোমাকে যে গতকাল নীল সার্ট আর কাল জিন্স টা দিয়ে ছিলাম ওটা পড়ে আসনি কেন? ” রাগ মাখান কণ্ঠে ধোয়ার মত কথা গুলো বের হয়েই মিলিয়ে যায়। কেননা রাগের কোন রেখা তার মায়াবী মুখটার সামান্য অংশ কে ও বসে আনতে পারে নি। গতকাল সারাদিন অর্পিতা রুদ্রর বাসায় ছিল। কালকেই সে রুদ্র কে সার্ট- জিন্স টা গিফট করেছে।

“ গতকাল !!!!” কথাটা বলেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে রুদ্র।

“ ভাল কথা । আমার মরা গাছে গোলাপ ফুটেছে তুমি জানলে কিভাবে? ” রুদ্রর দীর্ঘ-শ্বাস কে পাত্তা না দিয়ে জিজ্ঞাসা করে অর্পিতা।

রুদ্রর প্রস্ন টা বিরক্ত লাগে যার কারন এক মাত্র সে নিজে আর ওপরের একজন ছাড়া কেও জানে না। সে তার বাবার ওপর রাগ করার চেষ্টা করে, কিন্তু নিজে কে বাবার ভালবাসায় ঘেরা বিরাট মহাবিশ্বের একটা পরমানু মনে হয়। এ ভালবাসার সীমা অতিক্রম করে রাগের রাজ্যে যাওয়া কোন মানুষ বা কোন শক্তির পক্ষে সম্ভব নয়।

“ কাল বলব, এখন এ কথা থাক ”

“আচ্ছা ঠিক আছে, বাসায় চল। ” অর্পিতা রুদ্রর হাত ধরে ক্যান্টিনের বাহিরে এসে সোজা গাড়িতে গিয়ে ওঠে।

“আজ জোস্না রাতে সবাই গেছে বনে” ড্রাইভার অর্পিতার পছন্দের গান টা ছেড়ে দেয়। অর্পিতা চুপ করে রুদ্রর হাত টা ধরে ঘাড়ে মাথা রাখে। রুদ্র অর্থহীন নিষ্ঠুর শাস্তির মানে খোঁজার নিস্ফল চেষ্টায় বাহিরে তাকিয়ে থাকে।

অর্পিতার মা ছোট বেলায় মারা গেছেন। শিল্পপতি বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন নি, ব্যবসার কাজেই সব সময় ব্যস্ত থাকেন। বাসায় বেশির ভাগ সময় চারজন কাজের লোক ছাড়া কেও থাকে না।

সন্ধায় বাসায় ফিরে আসে রুদ্র। সামাজিক শৃঙ্খল ভাঙ্গার এক বিচিত্র আনন্দ ও পাপ বোধ আছে। মানব শরীরের নিজের শক্তি মনের শক্তির সাথে মিশে গেলে তা অজেয় হয়ে যায়। কিন্তু নিত্য চক্রের এক ঘেয়েমি সত্ত্বেও শরীরের ঘুম ভাঙ্গালেও পরম স্বাধীনতা, আনন্দ – পাপ বোধ কে এমন এক মৃত্যু দেয় যা মন কে মাতৃ স্নেহের আদল অনুকরনে নিষ্ঠুর ভাবে জড়িয়ে রাখে- সম্ভবত এ পরম স্বাধীনতার মানে শুধু রুদ্র জানে । মনের সংযোগ বিহিন শরীর শুধু একটা যন্ত্রের মত ই , এক ঝাঁক ক্লান্তি টা বোনাস হিসেবে আসে।

রুদ্র সরাসরি নিজের রুমে যেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। মা এসে ঘুমন্ত রুদ্র কে দেখে কোন এক অজানা আশঙ্কায় দুঃস্বপ্নে কাঁপতে থাকা চোখের পাতার মত কেপে ওঠেন। তবু ও নিজে কে সংবরণ করে ভাবেন কাল যা জিজ্ঞাসা করার করবেন।









সকাল বেলা কপালে একটা জড়তাহীন হাতের স্পর্শে রুদ্রর সমগ্র স্বত্বা অদ্ভুত শিহরনে সৃষ্টি মেঘমালায় ভালবাসার প্রবল বৃষ্টিতে সিক্ত হয়ে ওঠে। সে জানে, এটা অর্পিতার স্পর্শ। রুদ্র সমরেশ মজুমদারের একটা গল্পে পড়েছিল যে , সন্ন্যাসীদের আশ্রমে সন্ন্যাসী নারী দের কপালে আস্রম গুরু মাঝে মাঝে হাতের তিন টি আঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করেন। সে স্পর্শে এমন ই ভালবাসার সিক্ততা বহমান থাকে যে একজন সন্ন্যাসী নারীর পুরুষের কাছে থাকা সকল চাহিদা পূর্ণ হয়ে যায়। আস্রম গুরু রা সিদ্ধ পুরুষ হয়ে এ অলৌকিকতা লাভ করেন। তখন বিশ্বাস না করলে ও অর্পিতার স্পর্শের আলাদা কোন যৌক্তিক বা অযৌক্তিক ব্যক্ষা খুঁজে পায় না রুদ্র।

আলতো করে চোখ টা খুলতে খুলতে ভাবে অর্পিতার ঠোঁট টা সেই অলৌকিকতার পক্ষ পাতিত্তই করল মাত্র। অবশ্য আর একটা ব্যক্ষা দেয়া যায়। মনের ভালবাসা ঠোঁট কে ইঙ্গিত দিলে অন্যান্য মেয়ের ঠোঁট পাপড়ির মত বা কমলার কোয়ার মত হয়ে ধরা দিলে ও অর্পিতার ঠোঁট টা পূর্ণিমার বৃষ্টি ঝরা রাতের চাঁদের মত হালকা হলদেটে কিন্তু গোল হয়ে যায়। মেয়েটা এটা জানে বলেই মনে হয় হলদে টাইপ কি এক রঙের লিপস্টিক মাখে।

“ এইটা তোমার জন্য। আজকে পড়তে হবে না। কাল পড়বে। আজ আমি সারা দিন এখানে থাকব। অ্যান্টি কে বলেছি আজ দুপুরে আমি রান্না করব। ” একটা ব্যাগ দেখিয়ে সমগ্র নারী হাসি কে হারানোর হাসি হেসে বলে অর্পিতা।

রুদ্র জানে ব্যাগ এ কি আছে। সে একটু হাসার চেষ্টা করে।

“ তুমি উঠে হাত মুখে ধুয়ে খেতে এস। আমি কিচেনে গেলাম। ” কৃএিম ব্যস্ততার আনন্দ নিয়ে উঠে চলে যায় অর্পিতা।

রুদ্রর বাবার মারা যাওয়ার পর থেকে প্রায় মাঝে মাঝেই অর্পিতা রুদ্র দের বাসায় আসে। রুদ্রর মা রাইসা খন্দকার অর্পিতা কে ছেলের বউ হিসেবে মেনেই নিয়েছেন। অর্পিতার বাবা ও আপত্তি করবেন না রুদ্রর মত মেধাবী ছেলের হাতে মেয়ে কে তুলে দিতে। যদি ও রুদ্র রা মধ্যবিত্ত। রাইসা ও ইকনমিকস এ মাস্টার্স কমপ্লিট করেছেন। মাস্টার্স পরীক্ষার সময় রুদ্রর বড় বোন মৌ তার পেটে ছিল। পরে সন্তান দের দেখা শোনার জন্য আর কোন চাকরি করেন নি। রুদ্রর বাবা সরকারি ব্যাংকের বেশ বড় অফিসার ছিলেন। পরহেজগার মানুষ কোন দুর্নীতি করতেন না। তাই বেশ টানা টানি করেই সংসার চলত।

রুদ্র হাত মুখ ধুয়ে বাথ রুম থেকে বের হতেই অর্পিতা নিজের হাতে নাস্তা নিয়ে ঘরে ঢোকে। নিজের হাতে খাইয়ে দেয়। আজকের ব্রেড এ যেন শুধু জেলি নয়, অর্পিতার মন নিংড়ান ভালবাসা মাখান। রুদ্র ছেলেটা জানে যে অর্পিতার এই অসীম ভালবাসার চেয়েও বেশি ভালবাসে সে অর্পিতা কে। তবু ও এই পরিস্থিতিতে বিরক্তি আর গভীর কষ্টের এক সুক্ষ বুননে যেন রুদ্রর মন কেও সেলাই করতে থাকে। রুদ্র মুখে কিছু বলে না। অর্পিতা এক মনে নানা গল্প বলতে থাকে। রুদ্র শুধু হু হ্যাঁ করতে থাকে।

খেয়ে রুদ্র লালনের “ আমি অপার হয়ে চেয়ে থাকি ওহে দয়া ময়, পাড়ে লহে যাও আমায় ” গানটা কম্পিউটারে ছেড়ে বিছানায় চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকে।

ওদিকে নাস্তা করিয়ে রুদ্রর দুই বোন কে অফিসে পাঠায় অর্পিতা। অর্পিতার বিচরনে যেন একটা শুষ্ক নদী ভরা জোয়ারে শরীরে নানা ভাঁজ নিয়ে নিজের যৌবন মেলে ধরে পৃথিবীর কাছে। কষ্ট শব্দটা যেন সুখ শব্দ দিয়ে সম্পূর্ণ রুপে প্রতিস্থাপিত হয়ে ধরা দেয় রাইসা খন্দকারের কাছে।

অর্পিতা আর রুদ্রর মা বাসার বাতাসকে নানা গল্প দিয়ে ভরিয়ে দিতে দিতে কিচেনে রান্না করে। মাঝে মাঝে এটা নেই, ওটা থাকলে ভাল হত- এসব অভিযোগ নিয়ে রুদ্রর কাছে যায় অর্পিতা। যদি ও সে জানে যে রুদ্র এসবের কিছুই জানে না, তবু ও রুদ্রর মুখ টা অর্পিতার মন কে প্রত্যেকবার, মায়ের কাতু কুতু তে হাসতে থাকা অবুঝ ছোট্ট শিশু র মত আনন্দে রাঙ্গিয়ে দেয়।

একটা ভাল লাগার সুখানুভুতি যে এভাবে কষ্ট দিতে পারে- তা রুদ্র ছাড়া কেও জানে না।

দুপুরে অর্পিতা , রুদ্র, রুদ্রর মা , ইতিমধ্যে হাফ অফিস হউয়ায় অফিস থেকে বড় দুই বোন ও চলে আসেন। সবাই মিলে খেতে বসেন। অর্পিতাই একের পর এক কথা বলে মাতিয়ে রাখে। রুদ্রর কাছে মনে হয়, তার মনে উল্কাপাতের মত কোন এক অজানা জায়গা থেকে হাজার হাজার হীরক খণ্ড খসে গেঁথে যাচ্ছে। হীরক প্রাপ্তির আনন্দ সাথে মন ক্ষত বিক্ষত হউয়ার কষ্ট ।

খাওয়ার পর অর্পিতা রুদ্রর মা বোনের সাথে গল্প করে বিকালে চলে যায়। সারা টা দিন রুদ্রর সাথে খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে কথা বলা হয় না।

যাওয়ার আগে অর্পিতা রুদ্রর রুমে যায়।

“ জান, আমার গোলাপ গাছটাতে প্রথম একটা কলি ধরেছিল, কিন্তু গাছ টা মরে গেছে। কলিটাও কাল ই হয়ত ঝরে যাবে। তুমি কাল সকালে নীল সার্ট আর এই কাল জিন্স টা পড়ে আসবে। ”... ঠোঁটে একটা আলত চুমু দিয়ে বেরিয়ে যায় অর্পিতা।

রুদ্রর শরীর টা কেমন যেন লাগে। শুয়ে থাকতে থাকতে রাত আঁটটার ভিতরেই ঘুমিয়ে পড়ে।









ঘুম থেকে উঠেই পাশে মা আর বড় বোন দের চোখে পড়ে। রুদ্র কে স্যালাইন দেয়া হয়েছে গতকাল রাতে। শরীর দুর্বল ছিল বেশি। বড় বোন রা ছুটি নিয়েছেন। স্যালাইন দেয়া অবস্থায় কিছু খাওয়া নিষেধ। শেষ হতে সারা রাত ই যথেষ্ট ছিল, কিন্তু এখন পর্যন্ত অর্ধেক ও শেষ হয় নি।

“ বাবা। তুই গতকাল দুপুরের কথা টা কাও কে বলিস না। একজন ওপরে আছেন, তার জন্যই আমি তোঁকে ফিরে পেয়েছি। ” রুদ্রর মাথার কাছে বসে রাইসা খন্দকার এর কথা গুলোর সাথে মমতা নিজে থেকে তার অস্তিত্তের প্রমান দিতে গিয়ে ফোঁটা ফোঁটা অস্রু রুদ্রর কপাল ভিজিয়ে দেয়।

অস্রু যেন নীরব ভালবাসায় রুদ্র কে ঘুম পাড়িয়ে দেয়।

সন্ধার সময় ঘুম থেকে ওঠে রুদ্র। স্যালাইন শেষ। প্রচণ্ড খুদা লেগেছে । অর্পিতার ফোন বেজে ওঠে। রুদ্র মাঝে মাঝে হঠাৎ করে ঘোষণা দিয়ে তিন দিনের জন্য অর্পিতার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। এই তিন টা দিন গতকাল শেষ হয়েছে। অর্পিতার কাছে এই তিন টা দিন নিজের অজান্তে অতিতের বা ভবিষ্যতে করবে এমন কোন গুরুতর পাপ কাজের শাস্তি মনে হয়। তবু অসম্ভব জেদি রুদ্র, তাই কিছু বলেনা।

অর্পিতা রুদ্রর বোনের কাছে থেকে ফোন পেয়ে অসুস্থতার কথা জেনেছে। অর্পিতার এক্সাম ছিল বিকালে তাই দিনে আসতে পারে নি, এখন আসতে চায়।

রুদ্র বলে, “ আমি ঠিক আছি কাল কে আসিস। আমি খেয়ে ঘুমাব। এখন রাখছি। ”



রুদ্র অসম্ভব চাপা। রুদ্রের কথায় অর্পিতা শান্ত হয় না, কিন্তু মন কে মাঝে মাঝে সম্পূর্ণ ভাবে অন্নের কথায় সপে দিতে হয় মনের সম্পূর্ণ শান্তির জন্য। অর্পিতা কাল কের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।

রুদ্র মায়ের হাতে সামান্য ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।









সকাল দশ টায় ঘুম থেকে ওঠে রুদ্র। আজ তিন দিনের শেষ দিন। গত দুই দিন এক বারের জন্য ও অর্পিতার সাথে তার কথা হয় নি।

বোনেরা অফিসে চলে গেছে। ফ্রেস হয়ে রুদ্র টেবিলে আসে নাস্তা খেতে। মা ঘর গোছাচ্ছেন। রুদ্র আজ ক্লাসে যাবে না বলে ঠিক করেছে। খেতে খেতে কি মনে করে, (I will see you again ) গান টা রিং টোন হিসেবে সেট করে। তাড়াতাড়ি খেয়ে মায়ের রুমে যায়, মাকে হেল্প করতে।

ঘর গোছানর সময় আলমারির একটা তাকে হঠাৎ একটা চিঠি হাতে পায় রুদ্র। চিঠিটা খুলেই সে চিনতে পারে, এটা বাবার লেখা। রুদ্রর মা অন্য দিকে ব্যস্ত থাকায় এদিকে খেয়াল করেন নি।

রুদ্র কিছু না বলে চিঠি টা নিয়ে নিজের ঘরে চলে যায়।

রুদ্র বাবার চিঠি টা পড়ে কাঁপতে থাকে। শরীরের প্রত্যেক টা অংশ চোখের পানির মত ছিঁড়ে পড়তে চায়।

দুই বছর আগে রুদ্র ড্রাগস এ জড়িয়ে পড়েছিল । ছোট থেকে পরিবার থেকে ভালবাসার কমতি ছিল না। তবু ও হঠাৎ করেই জড়িয়ে পড়েছিল এই অন্ধকারে । স্নায়ুর নিয়ন্ত্রন থেকে মনের নিয়ন্ত্রনে যাওয়া এত টা সহজ না। স্নায়ুর ডাকে টাকার জন্য প্রতিদিন রুদ্র তার মাকে মার ধোর করত। রুদ্রর মা শুধু একজন মা বলেই এই অসহ্য যন্ত্রণার নিয়তি সহ্য করতেন ছেলে কে ভালবাসার জোড়ে। বাবা ও প্রচণ্ড ভালবাসত ছেলে কে। প্রথম প্রথম বাধ্য হয়েই ছেলেটা কে টাকা দিতেন। কিন্তু তিন মাসের মাথায় একদিন রুদ্র তার বাবার অফিসের কলিগের কাছে থেকে টাকা চুরি করে পালানোর সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।

সেদিন রাতে বাবা মখসেদুল খন্দকার রুদ্রকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনেন। কিন্তু প্রচণ্ড আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন মখসেদুল সাহেব নিজের ছেলের জন্য এত বড় অপমান সহ্য করতে পারেন নি। ছেলে কে ও প্রচণ্ড ভালবাসায় ছেলে কে ও কি বলবেন – বুঝতে পারছিলেন না।

পৃথিবী ত্যাগ কেই মুক্তির উপায় হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।

লিখেছিলেন একটা ছোট্ট চিরকুট।

চিরকুট টা পড়ে রুদ্রর প্রচণ্ড বুক ব্যথা শুরু হয়ে হয়। ধীরে ধীরে শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় চিরতরে। রুদ্রর ঘরে শব্দ শুনে রাইসা খন্দকার ছুটে এসে দেখেন। ছেলে মাটিতে পড়ে আছে। চিৎকার করে রুদ্রর কাছে গিয়ে শিক্ষিত বলেই হয়ত ক্ষণিকের জন্য মাথা ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু শ্বাস, পালস, আর হার্ট বিট চেক করে বুঝতে পারেন রুদ্র মারা গেছে। অজ্ঞান হয়ে যান রাইসা।

প্রায় বিকালে জ্ঞান ফিরে দেখেন রুদ্রর লাশ সামনে । রুদ্রর বোন রা এখন ও বাসায় ফেরে নি। পাশে পড়ে আছে চিরকুট টা। বাক রুদ্ধ রাইসা চিরকুট টা হাতে নেন। তিনি আগে ও পড়েছেন। কিন্তু রুদ্র কে কখন ও দেখান নি।

“ হে মালিক! আমি কখন ও অন্যায় করি নি। তোমার পথে থেকেছি। তবু ও এ যন্ত্রণা কেন আমি জানি না। আমি আমার সন্তান কে অনেক ভালবাসি মালিক। সে না বুঝে ভুল করেছে, আমাকে তার মাকে কষ্ট দিয়েছে। তুমি তাকে মাফ করে দিও মালিক। আত্মহত্যা মহা পাপ জেনে ও অনন্ত কালের শাস্তি মাথা পেতে নিলাম। আমার ছেলে কে তুমি সাড়ে তিন হাত কবরের আজাব থেকে রক্ষা কর। ”

রাইসার চোখের পানি তে চিরকুট টা ভিজে যায়। সাথে সাথেই রুদ্র জেগে ওঠে। রাইসা ভয় না পেয়ে সব ভুলে ছেলে কে জড়িয়ে কেঁদে ওঠেন। মা ছেলে অনেক ক্ষণ জড়িয়ে ধরে বসে থাকেন। রাতে রুদ্রর বোনেরা আসেন। রাইসা শুধু জানান রুদ্র অসুস্থ।

রাতে মায়ের জোরাজুরি তে সামান্য খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে রুদ্র।

ঘুমের আগে রুদ্রর গত কাল কের ঘটনা ভিন্ন ভাবে মনে পড়ে। মনে হয় সে সাড়ে তিন দিন আগে এসে পড়েছে। কিন্তু সে জানে সে মারা গেছে। মৃত্যুর পর সে সাড়ে তিন হাত কবর পায় নি, পেয়েছে সাড়ে তিন দিনের উল্টো চক্র।







I will see you again ..............রুদ্রর রিং টোন টা বাজছে।

“ বারবার এই দিন টাতে এই সকাল সাত টা বাহান্ন মিনিটে তোর মরা গাছে গোলাপ ফোটার খবর টা না দিলে হয় না? ” চোখ টা বন্ধ করেই রুদ্র ফোন টা ধরে। রুদ্রর কাছে ব্যাপার টা নতুন না হলে ও অর্পিতা প্রচণ্ড অবাক হয়। …………………………………………।।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

ইখতামিন বলেছেন:
অনেক বড়ো
কিছু পড়েছি
অনেক ভালো লেগেছে
বাকিটুকু পরে পড়বো :)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৫

খাটাস বলেছেন: হাহাহা হুম পাঠকের সময়ের মূল্য রাখার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু সেটা তে সৃষ্টি কে সীমাবদ্ধ করে সৃষ্টি কে অবমাননা হয়ে যায় ইখতামিন ভাই :) এজন্য লেখা শেষে দেখি বড় হয়ে গেছে। :)
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই কিছুটা পড়ে ভাল লাগা জানানোর জন্য।
পুরোটা পড়ে মন্তব্য পাব আশা করি।
শুভ কামনা :)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১২

খাটাস বলেছেন: অগ্রিম শুভ নববর্ষ ইখতামিন ভাই :)

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

ভোরের সূর্য বলেছেন: এত বিয়োগান্তক লেখা কেন ভাই।তবে ভাল হয়েছে।

ছোট গল্প লেখার অভ্যাস থাকলে চালিয়ে যান।আশা করবো সামনের বছর না হলেও পরের বছর ছোট গল্প সংকলন বেড় হবে ফেব্রুয়ারীর বই মেলায়।(মজা করে নইয়।সিরিয়াসলি বলা)

আগাম শুভ নববর্ষ মাশাফি ভাই।পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভাল থাকবেন।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৯

খাটাস বলেছেন: মনির ভাই আসলে গল্পের থিম টা এমন ভাবে আসে যে বিয়োগান্তক ব্যাপার টা এমনিতেই চলে এসেছে।
আর গল্প লেখার অভ্যাস বা যোগ্যতা কোনটাই নেই বলেই বিশ্বাস করি :) হঠাত করে একটা থিম মাথায় আসলো তাই লেখার চেষ্টা করেছি মাত্র। আপনার এই আশাবাদ টুকুই অনেক বড় পাওনা হয়ে রইল। :)
অজস্র ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন মনির ভাই।
আপনাকে অগ্রিম শুভ নববর্ষ।
আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য শুভ কামনা।

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

জনাব মাহাবুব বলেছেন: ছোট গল্প অনেক বড় হইয়া গেল :P :P


কিছু কিছু পড়ছি ভালো লিখছেন।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১২

খাটাস বলেছেন: হাহাহা হুম আসলেই বড় হয়ে গেছে মাহবুব ভাই, লেখা শেষে তা বুঝলাম :) ভদ্রতার খাতিরে ছোট গল্প ট্যাগ লাগাইয়া দিছি। :D

গল্প টা পুরো না পড়লে মুল কনসেপ্ট টা বোঝা যাবে না। তবু ও কিছু কিছু পড়েই ভাল লাগায় অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন । :)

আশা করি সময় করে পুরো টা পড়ে মন্তব্য জানাবেন। :)
শুভ কামনা আর অগ্রিম শুভ নববর্ষ।

৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২০

কালীদাস বলেছেন: লেখাটা ভালই :)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১১

খাটাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হে মহান কবি কালিদাস, কষ্ট ও সময় করে এত বড় লেখা পড়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন। :)
অগ্রিম শুভ নববর্ষ :)

৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২১

ইখতামিন বলেছেন:
আপনাকেও নববর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা :)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

খাটাস বলেছেন: আবার ও শুভেচ্ছা :)

৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: গল্পে প্রাণ আছে, শুরুতেই যে দৃশ্যপট এঁকেছেন সেটাই মূলত গল্পের আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে!
বড্ড কষ্টের গল্প হয়েছে!!
তবে ছোট গল্প হয়েছে কি? ছোটগল্পের শেষ হয়েও হইলোনা শেষ ব্যাপারটা আমি ঠিক ফিল করলাম না!! অবশ্য শেষের দিকে একটু তাড়াহুড়ো করেছি, আমার পাঠের দুর্বলতা ও হতে পারে।
প্লট, লেখনী আর উপমায় চমত্কার হয়েছে!

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩

খাটাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অভি ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য। :)
হ্যাঁ গল্প টা সত্যি ই বড় হয়ে গেছে।
মুলত গল্প টা তে বুঝান হয়েছে দিনের আবর্তন। মৃত্যুর পর কবরের পরিবর্তে রুদ্র উল্টো চক্রে সাড়ে তিন দিন পেয়েছে। এটাই তার শাস্তি। মুলত এই কনসেপ্ট টাই বুঝাতে চেয়েছি।
আর সেটা না বুঝাতে পারা টা লেখকের ব্যর্থতা বলেই মনে করে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তবে গল্পের মূল থিম টা শেষ দিন টাতেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

আপনার ভাল লাগার সুন্দর মন্তব্য টা তে অনেক ভাল লাগায় সিক্ত হলাম, অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন অভি ভাই।

অগ্রিম শুভ নববর্ষ। :)

৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নববর্ষের শুভেচ্ছা । পুরোটা পড়া হয়নি সময় করে পড়বো । :)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৫

খাটাস বলেছেন: আপনাকে ও নববর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা লুল সম্রাট সেলিম ভাই :)
পুরো পড়ে মন্তব্য জানাবেন আশা করি। :)
শুভ কামনা নিরন্তর। :)

৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কনসেপ্ট টা বুঝতে পেরেছিলাম! ছোটগল্পের সাইজ তো ফ্যাক্ট না, ওইভাবে বলতে গেলে খুব একটা বড় ও হয় নি। তবে ছোটগল্প পড়ার পর পাঠক নিজে নিজে কিছু একটা ভেবে নিতে পারে কাহিনীর সমাপ্তির জন্য, শেষ হয়ে গেল গল্প?? এমন একটা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়! আমি ছোটগল্প বলতে শুধু বুঝি
" শেষ হয়েও হইলোনা শেষ! "

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯

খাটাস বলেছেন: গল্প এর ব্যাপারে আমার অনেক কিছু বোঝার ভুল আছে। আপনার এই গঠন মুলক মন্তব্বে ছোট গল্প এর ব্যাপারে একটা নির্দেশনা পেলাম।
পরবর্তীতে কখন ও লেখার চেষ্টা করলে কথা গুলো মাথায় থাকবে অভি ভাই।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা জানবেন। :)

৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৩

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার একটা প্লটে গল্প লিখেছেন । গল্পের কোর ম্যাসেজ খুব পরিষ্কার । কষ্টের গল্প হলেও আমার ভালো লেগেছে । তবে গল্পের বর্ণনায় একটু তাড়াহুড়া করে ফেলেছেন । আর এজন্য গল্পে পাঠকের ভাবনার জায়গাটা কমে গেছে ।

সুন্দর গল্পে ভালোলাগা ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২

খাটাস বলেছেন: প্রিয় মামুন ভাই অনেক সুন্দর করে গোছানো একটা মন্তব্য করেছেন। হ্যাঁ আমি নিজে পড়ার সময় ই আমার একটু বিরক্ত লেগেছে, :) আমি মূল কনসেপ্ট টাকে সেভাবে রাঙাতে পারি নি। আমার কাছে কিছুটা সংযোগ বিহিন মনে হয়েছে। সম্ভবত তাড়াহুড়ার কারনে।
তবু ও আপনার ভাল লেগেছে জেনে আপ্লুত হলাম । :)
পরবর্তীতে ভুল গুলো শোধরানোর চেষ্টা করব। :)

নববর্ষের শুভেচ্ছা মামুন ভাই। :)

১০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭

আমি সাজিদ বলেছেন: একটা চক্র, একটা টুইস্ট। বেশ লেগেছে ব্যাপারটা।

প্লট, লেখনি ভালো লেগেছে। ভালো থাকুন, শুভ নববর্ষ।

বি দ্র- এমন যদি হয়, ঘুম থেকে উঠে দেখেন আপনি আগের দিনে ফিরে গেছেন, আগের দিন যা হয়েছিলো ঠিক তাই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, তবে কি করবেন ?

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫

খাটাস বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন সাজিদ ভাই।
আপনার ভাল লাগায় চেষ্টাই সার্থকতা।

আপনাকে ও নববর্ষের শুভেচ্ছা। :)


ফাউ প্যাঁচাল ঃ আপনার ফেবু অফ কেন? ব্লগ ডে এর জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম।


আর এমন যদি আমার হয় তো বেশ বিরক্ত লাগবে। ঘুরে ফিরে ব্লগের একই পোস্ট পড়তে হবে বারবার। :)

ভাল থাকবেন। শুভ কামনা জানবেন :)

১১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




গল্প ভাল লাগল প্রিয় খাটাস। ভাল থেক ভাই।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭

খাটাস বলেছেন: ব্লগের পাওয়া পছন্দের বড় ভাই দের এক জনের ভাল লাগা মাঝে মাঝে ভাল লাগা কে ছাপিয়ে যায়। :)
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।
শুভ নববর্ষ। :) পরিবারের সাথে ভাল থাকুন সব সময়। :)

১২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪০

ইউর হাইনেস বলেছেন: আমি খুবই অমনযোগী।বেশি বড় লেখা মন দিয়ে টানা পড়তে পারি নাহ। তবে আপনার লেখাটা পুরাটাই পড়ার চেষ্টা করেছি.।।।

আমিও মনে করি__ ছোট গল্পই হচ্ছে শেষ হইয়াও হিল না শেষ। সেদিক থেকে সুন্দর হয়েছে.।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১

খাটাস বলেছেন: হাইনেস ভাই আপনার আইডি টা আমার আইডির মতই মজার। :D ডোন্ট মাইন্ড। জাস্ট জোকিং। :)

এত বড় লেখা না পড়ার অভ্যাস থাকা সত্ত্বেও পড়ার চেষ্টা করেছেন এবং ভাল লেগেছে- এই টুকুই অনেক বড় পাওয়া ভাই। :)
অনেক অনেক ভাল লাগল আপনার মন্তব্বে । কৃতজ্ঞতা জানেবন। :)

শুভ নববর্ষ।


আর আপত্তি না থাকলে নাম টা জানালে খুশি হব। কোন নামে ডাকব বুঝতেছি না। :)
ভাল থাকবেন।

১৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: লেখা ভালো হইছে। পিসিতে গিয়ে আরো কিছুটা বাড়তি মন্তব্য করব।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২

খাটাস বলেছেন: আমার কতিপয় স্ব নির্বাচিত গুরু দের একজন এর ভাল লাগায় সিক্ত হলাম। এবং দিক নির্দেশনার অপেক্ষায় থাকলাম :)
শুভ নববর্ষ ভাই :)

১৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:২৯

এহসান সাবির বলেছেন: মন খারাপ করা গল্প।


নতুন বছরের শুভেচ্ছা!!

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

খাটাস বলেছেন: নতুন বছরে মন খারাপ করে দিলাম সাবির ভাই :(

পাঠের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন। :)
শুভ নববর্ষ। :)

১৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখা ভালো হয়েছে, তবে বানান এবং স্পেসিং এর অজস্র ভুলের কারণে পড়তে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়েছে নানা জায়গায়।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

খাটাস বলেছেন: প্রিয় গল্পকার হাসান ভাই এর মন্তব্বে একটা ভিন্ন উত্তেজনা কাজ করে। কারন জানি তিনি একজন দিক নির্দেশকের মতই অনুজের ভুল গুলো ধরিয়ে দেবেন। :)
এই ব্যাপার টাই লেখকের সবচেয়ে বড় চাওয়া মনে হয়।

পরবর্তীতে স্পেসিং আর বানানের ব্যাপার টা মাথায় রাখব ভাই :)
তবু ও আপনার ভাল লাগায় সিক্ত হলাম :)
শুভ নববর্ষ। :)
ভাল থাকবেন পরিবার নিয়ে সব সময় :)

১৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

একজন আরমান বলেছেন:
দারুণ গল্প। গল্পের মেসেজটাও !

গল্পের মাঝে পাঠক শেষ পর্যন্ত ধরে রাখার ব্যাপারটা ছিল। তবে বানানের ক্ষেত্রে আরও মনযোগী হতে হবে।

শুভকামনা ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা। :)

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৭

খাটাস বলেছেন: এই বানান নিয়া তো মহা মুস্কিলে পড়লাম :(( আচ্ছা এবার থেকে খেয়াল রাখব :D
আর বেপুক শরমিন্দা সহ একটা ধন্যবাদ নিও ভাইয়া :D

তোমারে আর তারে আর সবাইরে শুভ নববর্ষ ;) B-)

১৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

উদাস কিশোর বলেছেন: ছোট গল্প !
ভাই আপনি তাইলে বড় গল্প লিখলে কত বড় হবে ?
ভাল লেগেছে ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫০

খাটাস বলেছেন: হাহাহা শরমিন্দা হলাম :D ভদ্রতার খাতিরে ছোট গল্প ট্যাগ দিয়েছি ভাই :P ভাবনার মতই প্রশ্ন করেছেন তবে :D

অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন কিশোর ভাই। :)
শুভ নববর্ষ। :)

১৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০১

উদাস কিশোর বলেছেন: নববর্ষ টা এপ্রিলে জানাবেন ভায়া !
অথবা ইংরেজি যোগ করে কইতে পারেন !

বই দ্যা রাস্তা , অনেক শুভকামনা থাকলো নতুন বছরে :)
ভাল থাকবেন ভায়া

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৯

খাটাস বলেছেন: হাহাহা ভাল বলেছেন , অনুবাদ করে বলেছি আর কি :)
তবু ও আপনার জন্য হ্যাপি নিউ ইয়ার !:#P !:#P
অনেক ভাল থাকবেন কিশোর ভাই। :) আর উদাস থাকবেন না ;) :D

১৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:১৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রথমে যা বলব, তা হলো, মোবাইলে বসে ব্লগ পড়া খুবই পেইনফুল একটা বিষয়। পাশাপাশি আমি যে প্রাগৈতিহাসিক আমলের মোবাইল ব্যবহার করি সেখানে বাংলা লেখার সিস্টেম আছে দেখে যারপর নাই বিস্মিত। তাই মাঝে মাঝে আনন্দ পেতে সেখান থেকে ব্লগে কমেন্ট করি।

এবার আসি গল্পের প্রসঙ্গে। আমার মন্তব্যকে সাহিত্যিক বিশ্লেষনে দেখার কোন সুযোগ নেই। বরং একজন সাধারন পাঠক হিসেবে ব্যক্তিগত ভালমন্দ লাগার অভিব্যক্তি হিসেবেই দেখলেই আমি খুশি হব।


গল্পের প্লটটা ভালো। গল্পের মাধ্যমে সুন্দর এবং প্রয়োজনীয় একটা ম্যাসেজও পাঠক পেয়েছে। প্রাথমিক গল্প লেখার প্রচেষ্টা হিসেবে গল্পটি অবশ্যই ভালো হয়েছে। তবে আমার মনে হয়েছে আরো কিছুটা চেষ্টা করলে বা সময় দিলে হয়ত আরো খানিকটা গুছিয়ে এবং অপ্রয়োজনীয় দৃশ্যপট বাদ দিয়ে গল্পটাকে আরো সুন্দর করা যেত। আমাকে যখন এই ধরনের কথা কেউ বলে আমার মনে একটা প্রশ্ন জাগে যে ভাই সুন্দরের মানদন্ডটা কি?

এর উত্তর হচ্ছে ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে আপেক্ষিক।

একজন পাঠক হিসেবে আমার কাছে সেই ছোট গল্পগুলোকেই সুন্দর লাগে যেখানে একজন লেখক তার লেখার অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় অংশ বা দৃশ্যগুলোকে সাবলীলভাবে গুছিয়ে পাঠকের চোখে তুলে ধরেন এবং ছোট গল্পের ক্ষেত্রে তিনি জানেন, ঠিক কোথায় শেষ করতে হবে। তাহলে সেই লেখাটি বেশ উপভোগ্য হবে বলেই আমার ব্যক্তিগত ধারনা।

প্রিয় খাটাস, আপনি যদি নিজেই নিজের গল্পেরই একজন মনোযোগী পাঠক হতেন তাহলে আপনি নিজেই হয়ত লেখাটির বেশ কিছু ব্যাপারে লক্ষ্য করতেন।

ইচ্ছে করেই অ্যালার্ম দেয়নি রুদ্র । অর্পিতার ফোনে ঘুম ভাঙ্গবে-ব্যাপারটা সে জানে। I will see you again রিংটোন টা বাজছে।

এবার একদম প্রথম লাইনটা আবার পড়ুন। আশা করি পার্থক্যের বিষয়টি আপনি নিজেই ধরতে পেরেছেন। তবে আমার মনে হয়েছে রিং টোন ট্র্যাকের নামটিকে ব্রাকেটে না লেখা এমনি লিখলেই বেশি ভালো হত। তারপরও এটা লেখকের সম্পূর্ন স্বাধীনতা।

গল্পের ব্যাপারে এটাই আপাতত পর্যবেক্ষন :)

এখন আসুন যদি মনে করে থাকেন যে আপনি নিয়মিত গল্প লিখতে চান বা এই ব্যাপারে আগ্রহ আছে তাহলে অনুরোধ রইল ব্লগে যারা প্রতিষ্ঠিত ভালো লেখক আছেন- যেমন হামা ভাই, জুলিয়ান দা, অপর্না আপু, সোনাবীজ ভাই সহ আরো অনেকে যারা আছেন- তাদের সময় সুযোগ অনুযায়ী একটা নতুন লেখা লিখে তাদের কাছে পরামর্শ ও মতামত চাইতে পারেন। আশা করি এতে খুব দ্রত ভালো করা যাবে। আমি নিজেও তাদেরকে মাঝে মাঝে বিরক্ত করি।

পাশাপাশি ভালো ভালো বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। ভালো লেখা না পড়লে, ভালো মান সম্মত লেখার কৌশল আয়ত্ব করা বেশ কঠিন।

যাই হোক, অনেক প্যাচাল পাড়লাম। আশা করি বোর হও নি। অন্য কেউ আমাকে এত জ্ঞান (!!!) দিলে নির্ঘাত এতক্ষনে কয়েকবার বিশাল হাই তুলে নিজেকে বিব্রত করে ফেলতাম। :)
অনেক শুভেচ্ছা রইল। নতুন লেখার অপেক্ষায়।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫

খাটাস বলেছেন: প্রিয় কাভা ভাই এরকম ই একটা সুন্দর মন্তব্বের আশা করেছিলাম । :) গল্প লেখার তেমন ইচ্ছা নাই, কারন যোগ্যতার অভাব। :P তবে কোন প্লট মাথায় আসলে হঠাৎ তা সাজানোর ইচ্ছা জাগে। সেই ইচ্ছা থেকেই অনেক কিছু শেখার সুযোগ হয়।

গল্প টা লেখার সময় আমি সত্যি ই বুঝতে পারছিলাম না, কি বাদ দিতে হবে। সম্ভবত নয়, জানার পরিধির কারনে আমি নিজেই নিজের গল্পের প্রতি কিছুটা বিরক্ত বলতে আপত্তি নেই। :D
তবে লাভের লাভ একটা হয়েছে, সত্যি ই অনেক কিছু জানলাম, মুলত শেখার জন্যই ব্লগে আশা। :) আর আপনার মন্তব্য টা অসাধারণ লেগেছে। কারন অনেক প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা পেয়ে গেছি। পাঠকের মন্তব্যই সব চেয়ে বড় পাওনা।

আর সিনিয়ার ব্লগারদের কাছে থেকে দেখিয়ে নেয়ার ব্যাপার টা খুব ভাল একটা আইডিয়া।
চেষ্টা করব পরবর্তীতে কখন ও গল্প লেখার ইচ্ছা হলে প্রত্যেক টা শেখা মাথায় রাখতে। :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ গ্রহন করুন হে গুরু কাভা ভাই। :D :D :D :D

২০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৬

শুঁটকি মাছ বলেছেন: গল্প সুন্দর হইছে খাটাস!!!!!!!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

খাটাস বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন শুটকি মাছ আপু। :)
শুভ কামনা থাকল অনেক। :)

২১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

আদম_ বলেছেন: আপনার হাজত গমনের পোস্টের সেকেন্ড পর্ব দেবার কথা ছিলো।
কিন্তু এখনো দেন নাই।
কবে দিবেন?
লেখা শুরু করছেন?
এখনো করেন নাইইইইই!!!!?
আর কতো দিন অপেক্ষায় রাখবেন?
কি বললেন ; ব্যস্ত?
হাহ্ , আর আমরা বুঝি ঘাস কাটি সারাদিন....।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪০

খাটাস বলেছেন: :) :) :) হাহাহা আদম ভাই ওই পর্ব দিব অবশ্যই ভাই। একটু সময় লাগছে। ব্যাপার টা সময়ের জন্য ও না। মনে স্বতঃস্ফূর্ততা পাচ্ছি না। দিয়ে দেব ভাই। ওই পর্ব টা এত মজা পাওয়াই লেখকের সার্থকতা। :)

আপনি কিন্তু এই পোস্ট নিয়া কিছু বললেন না? :( দুইটা খোঁচা দিলে ও ভাল লাগবে,। :D

অনেক অনেক ভাল থাকবেন ভাই। :)

২২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯

আদম_ বলেছেন: বীদা না য়দাআ য়াওহ ন্তর্যপ ন্টমেক ধরোবঅ ।

২৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬

শীলা শিপা বলেছেন: /:) /:)

গল্পটা ভাল লেগেছে... আরো গল্প পাবার অপেক্ষায় থাকলাম...

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫

খাটাস বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা শীলা। :)
আমি গল্প লিখতে উপকরণ ও অজ্ঞতার অভাবে সাহসে কুলিয়ে উঠতে পারি না। তবে চেষ্টা করব যদি কখন ও কোন প্লট মাথায় চলে আসে।
অনেক শুভ কামনা :)

২৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: বুকমার্ক করে রাখলাম । :)

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

খাটাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। সময় করে পড়ে মন্তব্য জানাবেন আশা করি। শুভ কামনা । :)

২৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬

একলা ফড়িং বলেছেন: অদ্ভুত!!


টুইস্টটা অনেক চমৎকার লাগলো!!!

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২

খাটাস বলেছেন: এত বড় গল্প সময় নিয়ে পড়েছেন এবং ভাল লেগেছে জানিয়ে মন্তব্য করলেন- অযথা গল্প লেখার চেষ্টায় এত টুকুই অনেক বড় পাওয়া।
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.