নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.সমাজ নিজস্বতাকে প্রশ্রয় দেয় না।। তবু ও নিজ প্রশ্রয়ে নিজস্বতা যৌগিক হয়। যৌগিক নিজস্বতাই মৌল নিজস্বতা- ক্রমশ পরিবর্তনশীল।

খাটাস

অস্তিত্ব আর অনস্তিত্ব সব কিছুই সুত্র মেনে চলে। সুত্র যেখানে, সুত্র স্থাপনে সৃষ্টির প্রসঙ্গ সেখানে। দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়ার সুত্র অজানা হলেও, তা সৃষ্টি তত্ত্বের বাহিরে নয়।

খাটাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরাই ধর্ষক , আমরাই বিচারপ্রার্থী.।.।.।।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪

আপনার বোন- মেয়ে বা স্ত্রীর উদ্ধত যৌবনের অনিচ্ছাকৃত হাতছানিতে মানব স্বত্বা থেকে বিকৃত হয়ে যাওয়া কিছু পশু যে কোন উপায়ে তাদের শরীরের আনাচে কানাচে কামড়ে কামড়ে খাচ্ছে, আপনার কল্পনাতেও অসহ্য হলেও সবাই ওই নারীর পরবর্তী অবস্থা না জানা পর্যন্ত বিনোদনের অনন্য সীমাতে উপভোগ করছে।



ইচ্ছা করেই আপনাকে দিয়েই শুরু করলাম। আমার নিজেরও বোন আছে, আমাকে আর ওই পশু গুলোকে আপনার যা করতে ইচ্ছা করছে, আমাকে কেও এই কথা বললে একই কাজ করতে ইচ্ছা হত । তবু ও আপনাকে রাগানোর কারন আছে।

অনেক বয়স হউয়া পর্যন্ত ও পত্রিকার ধর্ষণের খবর গুলো পড়ে এক বিচিত্র আনন্দ হত। সাথে সাথে মেয়েটা ধর্ষিত হউয়ার সময় কেমন মনভাব ছিল- তা ভাবলে কষ্ট হত। আমার অনুভুতির এই অদ্ভুত ধারাবাহিকতায় সবার শেষে আসত পশু গুলোর ওপর রাগ। যা হয়ত এমন কোন জোড়াল অবস্থান সৃষ্টি করতে পারত না বলেই আবার শুরু হত ধর্ষণের কোন খবর খোঁজা।

হয়ত আমার মানসিকতা খুব বেশি উন্নত না হউয়ায় জঘন্য এ অনুভুতির খেলা চলত। কিন্তু অবাক হউয়ার ঘটনা ঘটেছিল, যখন দেশের নামকরা এক পত্রিকায় একটা আর্টিকেলে পড়েছিলাম, সম্ভবত ৭০ ভাগ পুরুষ ধর্ষণের ঘটনা পড়ে মজা পায়। তার মানে দলে আমি একা নই। বেশ অনেক দিন আগে হউয়ায় আমি সোর্স লিঙ্ক দিতে পারছি না। আপনাকে হয় আমাকে বিশ্বাস করতে হবে, অথবা নিজেকে দিয়ে বিচার করতে হবে, অথবা শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে অথবা পড়া বাদ দিতে হবে। আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যপার।

তবে দল ভারী হউয়ার একটা কারন ও ছিল। আর্টিকেল টা তে বলা হয়েছিল যে আমাদের দেশের পত্রিকা গুলোতে ধর্ষণের খবর গুলো খুব রগরগে পুরুষ কেন্দ্রিকভাবে ছাপা হয়, যা আমাদের সামাজিকতার সাথে বেড়ে ওঠা মানসিকতায় যৌন উত্তেজনার সৃষ্টি করে। আমি এত সাইকোলজি জানি না, তবে এটুকু বলতে পারি, ধর্ষণের খবর পড়ে একমাত্র অতি নিম্ন মানসিকতার গোঁড়া অশিক্ষিত নারী ছাড়া কোন নারী বিন্দুমাত্র বিনোদিত হয় না। আর তাদের বিনোদনের উৎস টা হিংসা।

এসব ভেবে আমি জদু মদুর বোনের ধর্ষণের ঘটনা দিয়ে শুরু না করে স্রস্টা কখন ও না করুক , তবু ও আপনার পরিবার কে নিয়েই লেখা শুরু করেছি। যেখানে অনুভুতির কোন ধারাবাহিকতার সুবাদে বিনোদন বা করুনা সৃষ্টির সুযোগ নেই বলেই আমার বিশ্বাস । আপনার প্রথম রাগ ই গিয়ে পড়বে পশু গুলোর ওপর। আপনি যত বারই আপনার বোন—মেয়ে- স্ত্রীর কথা ভাববেন, তত বারই রাগ বাড়বে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় জদু মদুর ঘরের ধর্ষণের খবরে রাগের চেয়ে ধারাবাহিক অনুভুতির খেলা চলে বেশি। হয়ত আমার মেয়ে- বোন কে আমি দেখে রাখি সব সময়, আমার এলাকায় এমন হতেই পারে না, আমি বিরাট হ্যাডম – এসব ভেবে নিজের পরিবার সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হতে পারেন। অথবা এসব নেতিবাচক কথা নিয়ে ভাবতেই চান না।

আপনি যাই ভাবুন না কেন, তা জদু মদুর ঘরের মেয়েদের ধর্ষণের ধারাবাহিক অনুভুতি উপভোগের এবং নিশ্চিন্ত হউয়ার কোন ব্যক্তিগত যুক্তি হতে পারে না।

ক্রাইম একটা ভাইরাসের মত। কম সময়ে ছড়িয়ে যায়। ভাইরাস এখন আসঙ্কামুক্ত অবস্থানে আছে বলে চুপ করে বসে থাকা জ্ঞানীর লক্ষন নয়। দেশে কোন রিদয়াঘাত মুলক ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে তখন তা নারীকেন্দ্রিক ভাবে শোকাহত সব ভাষায় পত্রিকাগুলোতে বড় বড় করে ছাপা হয়। সাধারণের মন ধারাবাহিক অনুভুতির বিনোদনের কথা ভুলে গিয়ে একছত্র ভাবে ক্রোধে ভড়ে ওঠে। এজন্যই মনে হয় ধর্ষকের শাস্তি চেয়ে ছোট খাট বা বড় সড় আন্দোলন গুলো বেশ জনসমর্থিত হয়।

কিন্তু এর মানে কি দেশের অন্যান্য ধর্ষণের ঘটনা গুলো কম অমানবিক??? সম্ভবত ধর্ষিতা শিশু বা বৃদ্ধা বা কোন দামি ঘরের নারী না হলে এবং ধর্ষণ পরবর্তী গুরুতর অবস্থা বা লোহমর্ষক হত্যা বা মৃত্যুর স্বীকার না হলে –তাদের করুন কাহিনী গুলো পত্রিকার পাতায় পুরুষকেন্দ্রিকতার বাহিরে না গিয়ে বিনোদনের খোরাক হয়ে জমা হয়।

আর যাদের ধর্ষণের ঘটনা বাণিজ্যিক ভাবে লাভজনক হউয়ার সমুহ সম্ভাবনায় থাকে তাদের জন্য ধর্ষকের বিচার চেয়ে আন্দলনে বেশি হলে ধর্ষক গ্রেফতার হয়। কিন্তু যেখানে ধর্ষিতা খবরের সুবাদে হয়ত লাখো মানুষের করুনা পেলে ও নিজ এলাকায়, সমাজে বঞ্চনার স্বীকার হয়, সেখানে আমাদের দেশের আইন কি ধর্ষিতার ন্যায্য বিচারের জন্য যথেষ্ট???

আপনি যদি আপনার বোন –মেয়ের কথা ভুলে গিয়ে থাকেন, তবু ও আপনি ও যেমন চান না, আমি ও চাই না যে, তারা পুরুষকেন্দ্রিক বা নারীকেন্দ্রিক কোন ধর্ষণের খবরের উপজীব্য হোক। তবে জদু মদুর মেয়ে- বোনের জন্য যদি রাগ টা ধরে রাখতে পারেন, তবে জেনে রাখুন।



আমি আইনের ধারা নেট থেকে ঘেঁটে লিখে দিয়ে মাথা পাকিয়ে ফেলতে পারি। কিন্তু তা করতে চাচ্ছি না। শুধু ছোট্ট একটা তুলনা দিতে চাচ্ছি।

হত্যা একটা নিকৃষ্টতম জঘন্য অপরাধ। কিন্তু হত্যা মামলার বিচারের বেলায় কিছু প্রসঙ্গ আসতে পারে। যেমনঃপূর্বপরিকল্পিত ঠাণ্ডা মাথার হত্যা, রাগের বশে হঠাৎ হত্যা, নিজের জীবন বাঁচাতে হত্যা, অন্নের জীবন বাঁচাতে হত্যা বা ভুলবশত হত্যা।

অর্থাৎ হত্যা জঘন্য অপরাধ হলে ও সপক্ষে- বিপক্ষে কিছু যুক্তি থাকার কারনে বিচারে বিভিন্ন ধরনের রায় দেয়া যেতে পারে- বিভিন্ন মেয়াদে জেল জরিমানা, যাবজ্জীবন বা ফাঁসি।

অপরপক্ষে ধর্ষণের জন্য কোন সপক্ষ যুক্তি আমি অন্তত খুঁজে পাই নি। শুধু মাত্র ধর্ষকের বয়স বিবেচনায় নেয়া ছাড়া, অর্থাৎ ধর্ষক নাবালক নাকি সাবালক তার জন্য আলাদা রায় দেয়া যেতে পারে। সাবালক হলে সকল ধর্ষকের জন্য একই শাস্তির আইন হউয়া উচিত- তা মৃত্যুদণ্ড। সাথে ধর্ষিতাকে ক্ষতিপূরণের ও ব্যবস্থা করতে হবে।

দেশে কোন হেডিং ধর্ষণের নিউজ নেই, কবে ভারতীয়দের মত কোন রিদয়াঘাত মুলক ধর্ষণের ঘটনা ঘটবে, তার জন্য অপেক্ষা করলে, ধর্ষণ নামক ভাইরাস কে বাড়তে দেয়া ছাড়া আর কিছুই করা হয় না।

আমরা আমাদের সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে যেহেতু সংবিধান জনগণের জন্য এবং কোন ধর্ম গ্রন্থ না হউয়ায় পরিবর্তনের সুযোগ আছে। আর এক্ষেত্রে লীগ বা বি এন পি – এর বিরোধিতা করার কোন কারন অন্তত আমার চোখে আসছে না। উল্টো পরবর্তীতে কোন ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক কে দলীয় পর্যায়ে বিবেচনায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ সম্পর্কিত আইন পরিবর্তনের প্রতিবাদে যথেষ্ট রাজনইতিক ইস্যু তৈরির ব্যাপক সম্ভাবনা আছে।

তাই সংবিধানে ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন পরিবর্তন করতে সরকারকে বাধ্য করার এখনি উপযুক্ত সময়। আমি কোন গন জাগরণের পক্ষ বা বিপক্ষ আলচনায় এখন যাব না। শুধু এটুকু মনে করিয়ে দিতে চাই, শাহাবাগের আন্দোলনের শুরুর দিকে গন মানুষের ব্যাপক সমর্থনের কারনেই সংবিধানে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের আইন সংযুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল।

এখানে কোন ভাই হেফাজতে ইসলামের দাবি তে আইন কেন পরিবর্তন হল না, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। ছোট্ট করে এটুকু বলতে চাই, রাষ্ট্র পক্ষের আপিল সংক্রান্ত আইন নিয়ে গণতন্ত্রের কোন সংঘর্ষ ছিল না। হেফাজতে ইসলামের দাবি যদি ইসলাম সম্মত ও হয় , ( আমি ভাই এত জানি না ) তবে ইসলামী তরিকার কোন সরকার থাকলে হয়ত বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু গণতন্ত্র নাম ভিত্তিক কোন সরকারের তা বাস্তবায়নের প্রশ্ন আসে না। কারন গণতন্ত্র ও ইসলামী আইন সাঙ্ঘরসিক। একটা গণতান্ত্রিক দেশ যদি মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ হয় তবু ও নয়।

আমি কোনটা পছন্দ করি, তা জিজ্ঞাসা করলে আমার লেখার প্রসঙ্গকে অপমান করা হয়। আমাকে অপমান করতে চাইলে সেটাও ব্যক্তিগত ব্যপার।

ধর্ষণ একটি ইস্যুবিহীন জঘন্যতম অপরাধ। এই অপরাধের একমাত্র শাস্তি হোক মৃত্যুদণ্ড এবং ধর্ষিতাকে প্রদানের জন্য ধর্ষকের কমপক্ষে দশ লক্ষ টাকা জরিমানা।



ব্লগের সম্মানিত ব্লগারগন এবং ব্লগ পাঠক রা সাধারনের চেয়ে বেশি সচেতন বলেই আমি বিশ্বাস করি। তাই খোলাখুলি একটা কথা বলি, আমরা সবাই জানি যে, নিকৃষ্ট তম ঘটনা উদাহরণ ছাড়া আমাদের বাঙালিদের কোন ব্যাপারে আগ্রহ জন্মায় না। তাই কি করনীয় তা নিয়ে নিজস্ব মতামত জানানোর নিবেদন জানাই।

যদি ধর্ষণ এর আইন নিয়ে সত্যি ই আমাদের কিছু করা উচিত বলে মনে হয়, তবে কোন সংস্থা বা বিজ্ঞ ব্লগারদের যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার অনুরধ জানাই।

বি ঃ দ্রঃ আইন হলে ও লাভ নাই, কিছুই পরিবর্তন হবে না- এমন নেতিবাচক মানুসিকতা থাকলে কিছুটা দূরে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। তাদের উদ্দেশে এটুকু বলতে চাই, একটা আগে পরিবর্তন শুরু হোক। সবার আগে পরিবর্তনের সুত্রপাত টাই মুখ্য।

আমাদের আছে ভাষার মাস, স্বাধীনতার মাস, বিজয়ের মাস।

সাথে প্রতিটি দিন ই হোক আমাদের গৌরবের, অর্জনের, আমাদের দেশের

প্রতিনিধিত্তের।



মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

হিংস্র ঈগল বলেছেন: ধর্ষণ একটি ইস্যুবিহীন জঘন্যতম অপরাধ। এই অপরাধের একমাত্র শাস্তি হোক মৃত্যুদণ্ড এবং ধর্ষিতাকে প্রদানের জন্য ধর্ষকের কমপক্ষে দশ লক্ষ টাকা জরিমানা।

তীব্রভাবে একমত

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬

খাটাস বলেছেন: ধন্যবাদ ঈগল। এই ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সচেষ্ট থাকবেন আশা করি। শুভ কামনা আপনার জন্য।

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫

ভোরের সূর্য বলেছেন: ভারতের মত ঘটনার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে না। আমাদের দেশে ভারতের মতই ঘটনা ঘটে কিন্তু অপ্রকাশিত থেকে যায় যার ফলে আমরা জানিনা অনেক কিছুই বা ঘটলেও আসলে আমরা এটা নিয়ে সোচ্চার হই কম।
আজকের একটা নিউজ দেখেছেন? কিছুদিন আগে মানে গনজাগরন মঞ্চ যখন শাহবাগে আন্দোলন করছিল সে সময় মানিকগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে এবং আজকে সেটার রায় হয়েছে এবং বাসের চালক এবং হেলপার দুজনকেই যাবতজীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
আমি বিশেষভাবে গনজাগরণ মঞ্চের কথা বল্লাম এজন্যে যে সেখান লাকি নামের মেয়েটি খুব ফেমাস হয়েছিল খুব উচ্চ গলায় মাইক্রফোন নিয়ে গান গাওয়ার জন্য কিন্তু কখনো কিন্তু তিনি এই ঘটনা নিয়ে কিছু বলেন নি।বলেন নি বিচার চাই বা ধর্ষকের গ্রেফতার চাই বা ফাঁসি চাই।সেসময় এই ঘটনাটি খুব আলোরণ তুলেছিল এবং এক হকার সেই মেয়েটিকে বাস থেকে উদ্ধার করে।

অন্য কথায় চলে গিয়েছিলাম এবার আসল কথাতে আসি। আপনি যেমন বল্লেন মানুষ হত্যা করার সময় অনেক কিছু বিবেচনা করা হয় তার উপর ভিত্তি করে শাস্তি নির্ধারিত হয়। এবং আপনি ধর্ষকের সেরকম কিছু খুজে পাচ্ছেন না। তাই তাদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড। এব্যাপারে আমিও একমত আপনার সাথে। এটার সাথে একটা জিনিস এ্যাড করতে চাই।পেপার খুল্লেই আজকাল দেখা যায় ৪/৫ বছরের শিশু ধর্ষিত। যেটাকে আমরা ইংলিশে চাইল্ড এ্যাবিউজ বলি। ভাবুনতো এই ছোট শিশুকে ধর্ষণ করা কিরকম ব্যাপার? একটা ১৮ বা ২৫ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করা আর একটা ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা।দুটো কখনও এক অপরাধ হতে পারেনা। প্রথমটার শাস্তি যদি নিশ্চিত মৃত্যুদন্ড হয় তাহলে পরের টা কি। এরকম ঘটনা পেপারে দেখলে আর ডিটেইলে যেতে ইচ্ছা হয় না। টিভিতে এরকম খবর শুনলে অন্য চ্যানেলে চলে যাই।ঐ খবরটা আর শুনতে ইচ্ছা করে না। নিজের যদিও ছেলে শিশু আমার আছে তাই মনে হয় আরো বেশি করে রিয়ালাইজেশনটা বেশি।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০১

খাটাস বলেছেন: মুনির ভাই আসলে বললে অনেক কিছুই বলা যায়। আমরা সেন্টিমেনটাল, তাই বেশি সত্যি নিতে পারি না। রাজাকার বিরোধী আন্দোলন গন মানুষের আন্দোলন নিঃসন্দেহে। সেখান থেকে আমাদের চেয়ে সংখ্যা লঘুদের লাভ টাই বেশি। এক ইস্যু থেকে বহু ইস্যুর আবির্ভাব হলে ও সাধারণের অবশ্যই সমর্থন থাকত, কিন্তু সরকারী সমর্থনের অভাবে সংখ্যা লঘুদের লাভ হত না কোন। এসব কারনে সম্ভবত সরকারী দলের জন্য অলাভজনক কোন ইস্যু লাকিদের গলা দিয়ে বের হয় নি। বা সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে বলা হবে- এমন কোন আশ্বাস ও দেয়া হয় নি।

যাই হোক। আপনি শিশু ধর্ষণের ব্যাপারটা তুলে ধরে আসলেই একটা ভাবনার উদ্রেগ করলেন। মৃত্যুদণ্ডের চেয়ে বড় আর যদি শাস্তি থাকত- সেটাই তাদের প্রাপ্য ছিল।
কি করা উচিত আমাদের। সে ব্যাপারে আপনার মন্তব্য জানলে আমার ও অনেকের নিজের অবস্থাণ ও মানসিকতা গঠনে সহায়ক হত। মুক্ত মঞ্চের উদ্দেশ্যই তো সেটা। সম্ভব হলে হয়ত কোন বেবস্থা ও নেয়া হতে পারে।

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩

মামুন রশিদ বলেছেন: ধর্ষণের শাস্তি হোক মৃত্যুদন্ড । আর ধর্ষণের বিচার করতে হবে দ্রুততম সময়ে ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২

খাটাস বলেছেন: হুম কিন্তু সে ব্যাপারে সাধারণের কিছু করনিয় আছে কিনা সেটাই মুখ্য বিষয়। অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই।


সময়ের অভাবে অনেক দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য দুঃখিত।

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমাদের মনে হয় ইসলামের সেই শাস্তির দিকেই যেতে হবে। মনে হয় ইসলামই সঠিক। সরাসরি মাটিতে অর্ধেক শরিরে গেরে ফেলে তার পর পাথর মেরে হত্যা করা। এরকম ১০ টা ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করলে ধর্ষন শুন্যের কোঠায় নেমে যাবে।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

খাটাস বলেছেন: গণতন্ত্রে মানবতা উদীয়মান একটু বেশি ই। কিন্তু সত্যি ই ভাল বলেছেন, জঘন্য কর্মের শাস্তি ও জঘন্য হউয়া উচিত। ইসলামের শাস্তি টাই যথেষ্ট হত, কিন্তু এ যুগে তা তো সম্ভব নয়। তাই অন্তত সকল ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা উচিত।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।


সময়ের অভাবে অনেক দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য দুঃখিত।

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধর্ষণের বিচার চাইতে গেলে মিডিয়া, কোর্ট, ডাক্তারি পরীক্ষার নামে আবারও ধর্ষিত হতে হয়। ঋতুপর্ণ ঘোষের দহন সিনেমাটা দেইখেন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

খাটাস বলেছেন: হামা অনেক কঠিন সত্যি কথা বলেছেন। যেখানে বিচারি পরিপূর্ণ নয়, সেখানে পুরো সিস্টেম টা ও অসঙ্গতি পূর্ণ। বিচার সহ পুরো সিস্টেম টা পাল্টানোর জন্য যদি আমরা সাধারণ রা কিছু করতে পারি, সেখানেই আমাদের মুক্তি অন্তত একটি স্থান থেকে হলেও।
মুভি টা দেখা হয়, সময় করে দেখব। অনেক ধন্যবাদ।


সময়ের অভাবে অনেক দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য দুঃখিত।

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

ভোরের সূর্য বলেছেন: আসলে প্রথমেই দরকার সামাজিক আন্দোলন। মানুষের মন মানষিকতা বদলাতে হবে। রুচির পরিবর্তন আনতে হবে। আর দ্বিতীয়ত আইনের প্রয়োগ থাকতে হবে। কিছু কিছু জিনিস যেমন প্রমাণিত সেসব বিচারের ক্ষেত্রে দীর্ঘসুত্রিতা করা যাবেনা।নিম্ন আদালত,উচ্চ আদালত এসব করে সময় ক্ষেপন এবং শাস্তি কমানো যাবে না।একটি আদালতে বিচার করেই শাস্তির সম্মুখিন করতে হবে। যেমন উদাহরণ হিসাবে কয়েকদিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ওপেনলি গুলি চালানো হল। টেলিভিশন এবং সংবাদপত্রে সবার স্টিল ছবিও আছে। এরকম ক্ষেত্রে আর আদালত বসিয়ে প্রমাণ করার দরকার কি। হাজার হাজার মানুষের সামনে যে ঘটনা ঘটেছে সেটাতো প্রমাণ হয়েই আছে। তাই তাদের বিশেষ আদালতে সরাসরি বিচার করা উচিৎ এবং শাস্তি। কোন উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেনা।
আপনাকে ২ধরনের ধর্ষণের কথা বল্লাম। সব ক্ষেত্রেই মৃত্যুদন্ড দিতে হবে আর যারা শিশু ধর্ষণ করবে তাদের বেলায় নহে মিথ্যা ব্লগার ভাই এর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার ২৫টি বীভৎস পন্থার ১ম এবং ২য় পর্ব থেকে সবচেয়ে ভয়ংকরটা বেছে নিয়ে শাস্তি দেয়া। দেখুন

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১

খাটাস বলেছেন: মনের কথা গুলো সাজিয়ে বলে দিয়েছেন মুনির ভাই। এমন ই তো হউয়া উচিত, আর হচ্ছে টা কি? কিন্তু জন সচেতনতা ও সাধারণের গতানুগতিক আন্দোলন কিভাবে কড়া যায়- এই ব্যাপারে আমরা বার বার আটকে যাই। কেও ভয়ে, কেও বিরক্ত হয়ে, কেও হিংসায় বা আরও নানা কারনে আমরা এক হতে পারি না। কাটবে ইন শা আল্লাহ কোন দিন সব সমস্যা।
অনেক ধন্যবাদ মুনির ভাই। আর হ্যাঁ ব্লগ টা দেখছি।



সময়ের অভাবে অনেক দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য দুঃখিত।

৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:০৮

রাসেলহাসান বলেছেন: ধর্ষণের শাস্তি হোক মৃত্যুদন্ড!!

১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:১০

খাটাস বলেছেন: হ্যাঁ ধর্ষণের শাস্তি হোক মৃত্যুদণ্ড। আমাদের সবার দাবি হোক একটাই। কিন্তু দাবি কিভাবে পূর্ণ হবে- তা একটা গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়। আপনার কোন আইডিয়া থাকলে শেয়ার করবেন আশা করি।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কিন্তু দুঃখের বিষয় জদু মদুর ঘরের ধর্ষণের খবরে রাগের চেয়ে ধারাবাহিক অনুভুতির খেলা চলে বেশি। হয়ত আমার মেয়ে- বোন কে আমি দেখে রাখি সব সময়, আমার এলাকায় এমন হতেই পারে না, আমি বিরাট হ্যাডম – এসব ভেবে নিজের পরিবার সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হতে পারেন। অথবা এসব নেতিবাচক কথা নিয়ে ভাবতেই চান না।
আপনি যাই ভাবুন না কেন, তা জদু মদুর ঘরের মেয়েদের ধর্ষণের ধারাবাহিক অনুভুতি উপভোগের এবং নিশ্চিন্ত হউয়ার কোন ব্যক্তিগত যুক্তি হতে পারে না।
ক্রাইম একটা ভাইরাসের মত। কম সময়ে ছড়িয়ে যায়। ভাইরাস এখন আসঙ্কামুক্ত অবস্থানে আছে বলে চুপ করে বসে থাকা জ্ঞানীর লক্ষন নয়।


খুব খাঁটি কিছু কথা বলেছেন।

আপনার মূল বক্তব্যটা সমর্থন করি কিন্তু একটা বিষয়ে দ্বিমত আছে।

''কারন গণতন্ত্র ও ইসলামী আইন সাঙ্ঘরসিক।''

এটা ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারনা। আধুনিক যে গণতন্ত্র এর চেয়ে ইসলাম সেই প্রচলনের সময় থেকেই অনেক বেশী গণতান্ত্রিক ছিলো- আছে। তখনও একক সিদ্ধান্ত যা খুশি করার স্বাধীনতা শাসকের ছিলো না।জবাবদিহীতা ছিলো।

যা থেকে এখন ইসলামী রাষ্ট্রের তকমাধারী বেশীর ভাগ দেশগুলো সরে গেছে বলেই ইসলামের নামের আগে অগণতান্ত্রিক অপবাদ জুটেছে।

ভালো থাকবেন।

৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৩

খাটাস বলেছেন: তনিমা দুঃখিত ব্যক্তিগত কারনে ব্লগে সময় দিতে পারি নি, তাই অনেক দেরি হয়ে গেল।

আমার জানামতে, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা, যা অপরিবর্তনীয়।
আর গণতন্ত্র মেজরিটির ওপর নির্ভরশীল। by the people, for the people, of the people....
কিন্তু ইসলাম মানে মুলত বলা যায়,
by allah, for allah , of allah- একারণে ই দুটো ব্যবস্থার কিছু বেসিক মিল থাকতে পারে, কিন্তু মুল গত ক্ষেত্রে সম্ভবত সাঙ্ঘারসিক।
তবে শেষের কথা গুলো অনেকাংশে ই সত্যি , ভাল লেগেছে।
অনেক কৃতজ্ঞতা ও শুভ কামনা জানবেন। :)

৯| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:৫৪

এহসান সাবির বলেছেন: ধর্ষণ একটি ইস্যুবিহীন জঘন্যতম অপরাধ। সরাসরি মাটিতে অর্ধেক শরিরে গেথে ফেলে তার পর পাথর মেরে হত্যা মৃত্যুদন্ড দেওয়া হোক......

৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৫

খাটাস বলেছেন: দুঃখিত সাবির ভাই, দেরি হয়ে গেল উত্তর দিতে।
আপনার মন্তব্যে হাজার ভাগ সহমত। তবে মানবতার গান গাওয়া কুলাঙ্গার গুলোর মানবতা গর্জে ওঠে কিনা চিন্তার বিষয়।
শুভ কামনা ও কৃতজ্ঞতা জানবেন। :)

১০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪

এহসান সাবির বলেছেন: শুভ হোক নববর্ষ ১৪২১।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৯

খাটাস বলেছেন: শুভ নববর্ষ সাবির ভাই। :) আনন্দময় হোক প্রতিটি দিন।

১১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

জেরিফ বলেছেন: মামুন রশিদ বলেছেন: ধর্ষণের শাস্তি হোক মৃত্যুদন্ড । আর ধর্ষণের বিচার করতে হবে দ্রুততম সময়ে ।


শুভ হউক নব্বর্ষ

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১০

খাটাস বলেছেন: আমরা সবাই চাই ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি হোক মৃত্যুদণ্ড।
অনেক ধন্যবাদ জেরিফ ভাই।
শুভ নববর্ষ । :) আনন্দময় হোক প্রতিটি দিন।

১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২১

উড়োজাহাজ বলেছেন: আপনাকে ব্লগে অনেক দিন দেখছিনা মনে হয়। নিয়মিত ছিলেন , নাকি ছিলেন নাকি ছিলেন না। আজকে লগড ইন তালিকায় দেখলাম।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮

খাটাস বলেছেন: আতাউর ভাই, ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে ব্লগে মাস দুয়েক থেকে নিয়মিত নই। তবে তাড়াতাড়ি নিয়মিত হব ইন শা আল্লাহ। সময় করে খোঁজ নেয়ার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা ও ভাল লাগল। :)
আশা করি ভাল আছেন। ভাল থাকবেন সব সময়। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.