নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য ও ন্যায়ের কথা সহজ করে বলি

সরল কথা

সহজ করে বলি

সরল কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘আমি ছোট! তাই দয়া করে আমাকে মারবেন না’।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

ঢাকার তিব্র জানজটে অতিষ্ঠ হবার খবর নতুন নয়! ঢাকায় যারা থাকেন তাদের প্রায় প্রত্যেককেই ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক এই তিক্ত অভিজ্ঞতার স্বাদ আস্বাদন করতে হয়! এরকমই বৈশাখের এক প্রচন্ড গরমের দিনে তিব্র জ্যামে জীবন যায় যায় অবস্থা! ঠিক এসময় নিজের ভিতরে আশ্চর্য এক পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম। ঢাকা শহরের জ্যামের অন্যতম প্রধান কারণ প্রাইভেট কার,রিক্সা এবং সিএনজি। বাসে বসে থাকতে থাকতে মনে হল এইসব বাসের তুলনায় ছোট গাড়িগুলোকে পিষে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেই। সবগুলোকে পিষে তক্তা বানিয়ে নিজের চলার পথসহ ঢাকার রাজপথ পরিষ্কার করে ফেলি। যেন আর কোন বিরক্তিকর জ্যামে পড়তে না হয়! নিজর ভিতরে লুকিয়ে থাকা এই পশুটির অবস্থান জানত পেরে নিজেরে কাছে খুব ছোট মনে হচ্ছিল। নিজেকে তখন আবিষ্কার করলাম,“ আওয়ামিলীগের এমপির মাতাল পুত্রের আসনে। যে কিনা মালিবাগের তিব্র জ্যামে অতিষ্ঠ হয়ে রাগে গুলি করে পথচারী এবং রিক্সাওয়ালে হত্যা করেছিল।”
তখন বুঝতে কষ্ট হল না, গাড়ির পিছনে কেন লেখা থাকে,‘আমি ছোট! তাই দয়া করে আমাকে মারবেন না’

গত কয়েকদিন আগে উত্তরাতে তেমনি একটি ঘটনা ঘটল। এক ট্টাক চালক রাগের বসবর্তি হয়ে এক সিএনজি চালক কে ট্টাকের চাকায় পিষ্ট করে হত্যা করেছেন। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মজিদ বলেন, ঐ চালকের সিএনজির সঙ্গে আমার ট্টাকের ধাক্কা লেগেছিল। তখন সে আমার কাছে জরিমানা চায়। আমি জরিমানা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে আমার পথ আটকে দাঁড়ায়। আমি তখনই তাকে বলেছি, পথ থেকে সরে দাড়া না হলে কিন্তু তোর কপালে দুঃখ আছে। কিন্তু সে আমার কথা শোনে না। তখন আমি তার উপর গাড়ি তুলে দেই। আর এভাবে ট্টাকের নিচে পিষ্ট করে সেই সিএনজি চালককে প্রায় আধা কিলোমিটার নিয়ে যায়। ততোক্ষনে সেই সিএনজি চালকের ক্ষতবিক্ষত দেহ থেকে প্রাণ বায়ু বেরিয়ে যায়। আর সেই ট্টাক চালক যখন হত্যাকর্ম সম্পন্ন করলেন তখন সাধারণ জনগণ তাকে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জানতে পারে, সেই ট্টাক চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই। এ থেকে বোঝা যায়, যারা আবার এসব বড় বড় গাড়ি চালানোর বৈধতা পাননা তাদের হাবভাব এবং কর্মগুলো স্বাভাবিকতাকে হার মানায়! যেমনটা আওয়ামি এমপি ‍পুত্র মালিবাগে ঘটিয়েছিলেন।

আজকে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছেন তারাও যেন ট্টাক চালক মজিদের ন্যায় আচরন করছেন। মজিদ যেমন ট্টাক নামক যানের ট্রিয়ারিং হাতে পেয়ে নিজেকে আর স্বাভাবিক মানুষের জায়গায় ধরে রাখতে পারেন নি,তেমনি আজকের সরকারও মিডিয়া আর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে হাতে নিয়ে নিজেদের রাঘববোয়াল বানিয়ে নিজেদের স্বাভাবিক অবস্থানটা ভুলে গেছেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হল, মজিদের যেমন গাড়ি চালানোর বৈধতা নেই। অবৈধভাবে রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তেমনি বর্তমান সরকারেও দেশ চালানোর কোন বৈধতা নেই। তারা বিনো ভোটে অনির্বাচিত অবৈধ সরকার হয়ে ধরাকে সরাজ্ঞান করছেন। গতকালকের পৌরসভা নির্বাচন বাংলার ইতিহাসে আরও একটি কালো অধ্যায় হিসেবে লিখিত থাকবে। বাংলার মানুষ দেখলো, ভোট কাভার করতে গিয়ে এটিএন বাংলা চ্যানেলের মত সরকারী মদদপুষ্ট চ্যানেলের বার্তা প্রধান কে ক্যামেরাম্যানসহ গ্রেফতার করে রাখা হল। যেন ক্যামেরার লেন্স এবং জাতির বিবেক সাংবাদিকদের মাধ্যমে থলের বিড়াল বেরিয়ে না যায়!

তারপরও বিড়াল যেন স্বপ্রনোদিত হয়েই বেরিয়ে গেল। দেশের অধিকাংশ জায়গাতেই জাল ভোট এবং সহিসংতার মধ্য দিয়ে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। এ যেন ট্টাক চালক মজিদের ন্যায় গণতন্ত্রকে পিষে হত্যা করা হল।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আ স ম ওয়ালীউল্লাহ বলেছেন: )

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

সরল কথা বলেছেন: !!!!!!!!!!!!!!!!!

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

উচ্ছল বলেছেন: এই সরকারের আমলে গনতন্ত্র ছিলো কবে যে তারে পিষে মাইরতে হবে????

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.