নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবই ভাল

সবই ভাল

চলন বিল

সবই ভাল

চলন বিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

পোলিং এজেন্টরা আতঙ্কে থাকবেন

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপর হামলার ঘটনা ন্যক্কারজনক ও বর্বরতম। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আওয়ামী সরকারের নির্বাচনী ভীতির কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এতে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা আতঙ্কে থাকবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, খালেদা জিয়ার ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে। কারা এসব হামলা করছে তাও চিহ্নিত। দুই কারণে এ ধরনের হামলা হতে পারে। এক. নির্বাচনী প্রচারাভিযান থেকে খালেদা জিয়াকে বিরত রাখা। দুই. পুরো বিএনপি দলকেই নির্বাচন থেকে দূরে রাখা। এসবের বাইরে আর কোনো কারণ থাকতে পারে বলে আমি অন্তত মনে করি না। এতেই প্রমাণ হয় সরকার নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত নয়।
তাই যে কোনো উপায়ে বিজয় নিশ্চিত করার জন্য এ ধরনের বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে। তিনি বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু ব্যক্তিগতভাবে খালেদা জিয়ার জন্য নয়, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্যই অশনিসংকেত। আসিফ নজরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বলে থাকে যে, পেট্রলবোমার জন্য খালেদা জিয়া দায়ী, কিন্তু তারা আজ পর্যন্ত কখনো বিএনপি চেয়ারপারসনের কোনো বক্তব্য, বিবৃতি, ই-মেইল, টেলিফোন আলাপ বা অন্য কোথাও কোনোভাবে প্রমাণ করতে পারেনি তিনি কখনো কাউকে পেট্রলবোমা মারতে বলেছেন বা উৎসাহিত করেছেন। এ ধরনের অনির্দিষ্ট অভিযোগ করে জনগণ ক্ষুব্ধ বলে ভাব দেখানো কারও কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ কারা হামলা করেছে এবং তারা যে আওয়ামী লীগের লোকজন তাও ইতিমধ্যে প্রমাণ হয়ে গেছে।
হামলাকারীদের নাম-পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশও হয়েছে। কোনোভাবেই খালেদা জিয়া জনরোষের শিকার হচ্ছেন না। অবশ্য সে প্রশ্নই আসে না। বরং তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ভীতির শিকার হচ্ছেন। কারণ সরকার মনে করছে, খালেদা জিয়া যদি এভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় থাকেন তাহলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যাবে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কতটা অবনতি হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরাও যে কতটা অকর্মণ্য হয়ে গেছে তা এ ঘটনা থেকে আরেকবার প্রমাণ হয়। ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের জোর তৎপরতার আহ্বান জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচনের দিন ভোটারের চেয়েও অনেক বেশি আতঙ্কিত করবে বিএনপির প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের।
মনে রাখতে হবে, সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্যতম পূর্বশর্ত পোলিং এজেন্ট। এখন এ ধরনের হামলা যদি দলের শীর্ষ নেত্রীর ওপর হয় তখন দলীয় কর্মীরা ভীত হয়ে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টই হতে চাইবেন না। আর হলেও ভোট গ্রহণের দিন এজেন্টরা থাকবেন আতঙ্কিত, পারবেন না সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে। এটা ভোটারদের আতঙ্কের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর। এতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে সৃষ্টি হবে বড় অন্তরায়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


পোলিং এজেন্টরা আতংকে থাকবে না; ওরা পালিয়ে যাবে।

আপনি ভলনটিয়ার পোলিং এজেন্ট হিসেবে নাম লিখায়েছেন তো?

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২৬

চলন বিল বলেছেন: না লিখাই নাই, তবে আপনার মত হাম্বা লীগ সমর্থকও এটা স্বীকার করতে বাধ্য হল, পোলিং এজেন্টরা আতংকে থাকবে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

রঙতুলি বলেছেন: এটাই সত্যি, তবে আমার সন্দেহ এজেন্টদের ভেতরে থাকতে দেয় কিনা।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:০৪

চলন বিল বলেছেন: জনগণের মতামতের প্রতি যে দল শ্রদ্ধাশীল নয়, তারাই এজেন্টদের বের করে দেবে। কারণ তারা জানে একটা এয়ার নির্বাচনে তাদের জেতার কোন আশা নেই।

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৫৬

মিতক্ষরা বলেছেন: বিএনপির প্রার্থীরাই যেখানে মাঠে নেই, সেখানে পোলিং এজেন্ট থাকবে বুথে? যেখানে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ নারীদের বস্ত্রহরন করে, সেখানে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের তারা কি থাকতে দেবে?

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:০৬

চলন বিল বলেছেন: হুম ঠিক বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.