নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দয়াল বাবা কেবলা কাবা আয়নার কারিগর

যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

জ্বিনের বাদশা

কি করার কথা কি করছি, কি লেখার কথা কি লিখছি!

জ্বিনের বাদশা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এন্টিভোট: যেভাবে আওয়ামী লীগ আর বিএনপির দুটোকেই ভোটে হারানো সম্ভব

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৭

০.

বাংলাদেশে আমাদের দেয়া ভোটের ডেফিনিশন প্রচলিত ভোটের উল্টো হওয়া উচিত। এটাকে নাম দেয়া যায় এন্টিভোট।



হিসাব সহজ। এন্টিভোটে আপনি ক্যান্ডিডেটদের মধ্যে সবচেয়ে অযোগ্য বা খারাপ লোকটাকে ভোট দেবেন। মোট ভোট হিসাবে সবচেয়ে কম এন্টিভোট যিনি পাবেন, তিনিই ভোটে জিতবেন।



১.

প্রতি পাঁচ বছরে একবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তো একবার বিএনপি।

প্রত্যেকবার ভোট শেষে মানুষ একই কথা বলে। বলে মন্দের ভালোটা জিতছে। কথাটা মিথ্যা না। নাইলে মানুষ কেন বলবে?

আওয়ামী লীগ জিতলে বলে, লোকে আওয়ামী লীগরে ভোট দেয়নাই। দিছে বিএনপির কুশাসনের বিরুদ্ধে। বিএনপি জিতলেও হিরো হয় আওয়ামী কুশাসন।

আবার বাংলাদেশে এই কথাও ব্যাপকভাবে প্রচলিত যে, ভালো মানুষ রাজনীতি করেনা, ভোটে দাঁড়ায়না। দাঁড়ায় সব কালো টাকা (যেমন আবুল, ফালু) আর পেশীশক্তির মালিকরা (যেমন শামীম, পিন্টু)।



২.

তার মানে হইলো, আমাদের নির্বাচনে আমরা কয়েকজন ভালো মানুষের মধ্যে থেকে সবচেয়ে ভালো মানুষটারে নির্বাচিত করিনা। আমরা করি অন্যরকম একটা কাজ। আমরা কয়েকজন খারাপ মানুষের মধ্য থেকে সবচেয়ে "কম খারাপ" জনকে নির্বাচিত করি। এইটা একটা জরুরী বিষয়। এইখানে একটা ক্রুশিয়াল প্রশ্ন আছে।



প্রশ্ন হইলো, আপনি যখন কয়েকজন খারাপ লোকের মধ্য থেকে সবচেয়ে কম খারাপ লোকটারে নির্বাচিত করবেন, তখন আপনি কি বিবেচনায় আনবেন? প্রার্থীদের গুনগুলা? নাকি দোষগুলা?



বাংলাদেশে কি হয়? মানুষ কিন্তু দোষগুলাই বিবেচনায় আনে, তারপর যেইটার পাল্লা ভারি হয় ঐটারে বাতিল কইরা দেয়। যেমন জয়নাল হাজারি আর ভিপি জয়নাল। হাজারির বদমাইশির পাল্লা ভারী হইলে ভিপি জিতে। এবং ভাইস ভার্সা।



এখান থেকে একটা অনুসিদ্ধান্তে আসা যায়। আমাদের দেশের ভোটে জনগন প্রার্থীদের দোষ সম্পর্কে যতটা অবগত থাকে, গুন সম্পর্কে ততটা থাকেনা।



৩.

প্রচলিত পদ্ধতিতে ভোটের ডেফিনিশন হলো সমর্থন দেওয়া। ধরেন, আপনি সংসদ নির্বাচনে মিঃ এক্সকে ভোট দিলেন। এর মানে, আপনি আপনার এলাকার সাংসদ হিসাবে মিঃ এক্সকে দেখতে চান।



কিন্তু সেকশন ২ এর আলোচনা থেকে বলা যায়, সাংসদ হিসেবে মিঃ এক্স কতটুকু যোগ্য সেটা আপনি যতটা বিবেচনা করেন, তারচেয়ে বেশী বিবেচনা করেন, সাংসদ হিসাবে সে কতটা অযোগ্য। সেখানে অন্যদের চেয়ে সে কম অযোগ্য হওয়ায় আপনার ভোট পায়।



এইজন্যই এন্টিভোটের উদ্ভাবন।

যেহেতু আমরা প্রার্থীর অযোগ্যতাকে বিবেচনা করে ভোট দেই, তাই আমাদের দেয়া ভোটের ডেফিনিশন উল্টো হওয়া উচিত। কারণ একজনকে সমর্থন দেয়ার জন্য যথেষ্ট তথ্য (প্রার্থীদের গুণগুলো) আমাদের কাছে থাকেনা, কিন্তু একজনকে বাতিল করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট তথ্য (প্রার্থীদের দোষগুলা) আমাদের কাছে বেশ ভালো পরিমাণেই থাকে।



বলা যায়, আমাদের দেয়া এন্টিভোট যতটা শক্তিশালী মতামত হবে, ভোট অতটা শক্তিশালী হবেনা।





৪.

কিন্তু, শুধু এই প্রস্তাবে একটা বড় কিন্তু আছে। ঠিক, ধরতে পারছেন। জামানতের বিষয়টা।

এন্টিভোটে বেস্ট রেজাল্ট হচ্ছে ০ ভোট। তার মানে হলে এর বিরুদ্ধে কেউ নাই। কিন্তু এখানে ভেজালও আছে।



ধরেন, ১০০ জন প্রার্থী, এদের মধ্যে ৬০ জনকে কেও চিনেনা। এরা সবাই ০টা এন্টিভোট পাইতে পারে। তাইলে এদের মধ্য থেকে একজনকে কেমনে বাছাই করা হবে?



আরও একটা প্রশ্ন আছে। ধরেন, মিস্টার ওয়াই। ভীষন বদমাশ! কিন্তু কেউ অত ভালো চিনেনা তারে, তাই খারাপ হওয়া সত্বেও এন্টিভোট পাবে কম। ফলে একটা খারাপ লোক যার পরিচিতি নাই সে নির্বাচিত হয়ে আসতে পারে।



সুতরাং প্রচলিত ডেফিনিশনের ভোটও রাখতে হবে। তবে যেহেতু ভোট বা সমর্থন যেহেতু আমাদের দেশে অত শক্তিশালী মতামত না, তাই এটা ব্যবহার হবে শুধু জামানত বিচারের মানদন্ড হিসাবে।





৫.

এখন আসি ওভারঅল প্রস্তাবের রূপরেখায়।



নতুন সিস্টেমে সব ভোটাররা দুটো করে সিল মারবেন, একটা ভোট, একটা এন্টিভোট।



ভোট দিয়া বিচার করা হবে জামানতের ব্যাপারটা। মানে ভোটের সংখ্যায় যাদের জামানত বাতিল হয়ে জাবে, তারা প্রথমেই আউট।



যাদের জামানত টিকবে, তাদের মধ্যে যে সবচেয়ে কম এন্টিভোট পাবে সেই হবে নির্বাচিত প্রতিনিধি।





৬.

চিন্তা করেন, লীগজোটের সব ভোটাররা ভোট দিবে লীগজোটের প্রার্থীরে, এন্টিভোট দিবে বিএনপিজোটের প্রার্থীরে। এবং ভাইস ভার্সা।

এরা কাটাকুটি কইরা একজন আরেকজনরে আউট করে দিবে।



এন্টিভোটের জোরে নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা দেখলে ভালো মানুষেরা অবশ্যই রাজনীতি/নির্বাচনমুখি হবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০২

খেয়া ঘাট বলেছেন: সবচেয়ে বড় কথা রাজনৈতিক অন্ধভক্তি মুছে না গেলে কিছুই হবেনা।
নিজস্ব স্বার্থহাসিল করাও একটা বড় ফ্যাক্টর।

আমি যতই নীতির কথা বলি কিন্তু আমার বাপ-ভাই যদি আওয়ামীলীগ অথবা বিএনপি থেকে নমিনেশন পায়- আমার সব নীতি আদর্শ তখন বেমালুম হাওয়া হয়ে যাবে। এই স্বার্থ হাসিল মন্ত্রীর মসনদ থেকে ভিখারীর ভাংগা থালা পর্যন্ত প্রসারিত।

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সবই ঠিক আছে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আম ভোটাররা আপনার পোষ্টে ব্যবহার করা ইংরেজী শব্দগুলার মানে বুঝবেনা। আম ভোটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ শিক্ষিত ধরা হয় তারে যে বানান করে বাংলা পত্রিকা পড়তে পারে।

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১১

মদন বলেছেন: খেয়া ঘাট এর সাথে একমত।

অন্ধ দলভক্তি না গেলে আমাদের ভোটের রাজনীতির কোনোই পরিবর্তন হবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.