নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এটাই আমার একমত্র আইডি। আমার আর কোন আইডি নেই। আমার নাম,ছবি দিয়ে ফ্যাক কয়েকটা আইডি খোলা হয়েছে। সো সাবধান থাকুন। পারলে ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করুন। আমি করেছি,লাভ হয় নাই। ওদের যন্ত্রণায় কমেন্ট অপশনও বন্ধ রাখা হয়েছে ধন্যযোগ,সাথে থাকার জন্য।

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব

এটাই আমার একমাত্র আইডি,বাকি সবগুলো আমার ছবি ব্যবহার করে ফ্যাক আইডি ক্রিয়েট করা হয়েছে। ব্লগিং র টাইম দেখেই বুঝতে পারবেন কোনটা নতুন আইডি কোনটা পুরনো আইডি।ফ্যাক আইডি থেকে সাবধান থাকুন।

ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব › বিস্তারিত পোস্টঃ

HSC শেষ, কোথায় ভর্তি হবেন? কি করবেন? কি করতে চান? এবং কিছু কথা!

২৫ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

এইচএসসি রেজাল্ট দিয়েছে। অনেকেই ভার্সিটি ভর্তির এডমিশন টেষ্ট দেয়ার জন্য ছুটাছুটি করতেছেন। শুরুতেই আপনাদের জানাই শুভেচ্ছা!

এখনো অনেকেই আছেন কি করবেন,কোথায় পড়বেন? কি পড়বেন? কোন বিষয়ে পড়বেন? নিয়ে একটু চিন্তায় আছেন। চেষ্টা করব আপনাদের একটু ধারনা দিতে।

অনেকে হয়ত শুনে আসবেন ভার্সিটিতে গেলে আর পড়াশুনা করা লাগেনা, হালকাপাতলা ক্লাস করলেই চলে। অমুক মুরুব্বি বলছে

“”এখনই যা কষ্ট,ভার্সিটিতে যাবা কোন পড়াশুনো নাই,এসএসসি,ইন্টারে যা পড়ছ ওগুলাই ঘুরায়া ফিরায়া”

এগুলা ভুল,যারা বলে তারা ভার্সিটিতেই যায়ইই নাই। সবখানেই সিরিয়াসনেস রাখাটা জরুরী।

আপনি নিজেও দেখেছেন পাবলিক ভার্সিটির বড় ভাইরা টিএসসিতে বড় আপুদের সাথে,বন্ধুদের সাথে কত গান আড্ডা মজা করে। প্রাইভেটের ভাইয়া গিটার বাজিয়ে গান গাচ্ছে চারপাশে আপুরা ঘিরে বসে আছে। কত মজা।

ওহে কাকা,যা দেখছ সব ভুল। এটা পড়াশুনোর ফাঁকেফাঁকে ১০/১৫ মিনিটের এক ব্রেক। গান, আড্ডা তোমার চোখে পরবে কিন্তু তারা যে গ্রুপ স্ট্যাডি করতেছে তা কিন্তু তোমার চোখে পরবে না।

পাবলিক থেকে প্রাইভেট ভার্সিটি ইজি এটা ভাবাও ভুল। পাবলিকে ১ বছরে যা পড়াবে। একই পড়া প্রাইভেটে ৩ সেমিষ্টারে কিস্তিয়ে কিস্তিয়ে তোমাকে পড়াবে। অনেক পাবলিক পড়ুয়া ভাইও এই হিসেব ভুল করে।

লাইফে আলাদা রিলেক্স করার কোন টাইম নাই। পড়াশোনা,কাজের মাঝেই কিছু সময় বের করে নিয়ে রিলেক্স করে নিতে হয় নিজেকে।

ভার্সিটি লাইফ হলো LEARNING স্টেজ। (Love+ Earning =Learning) ভদ্রতার খাতিরে আমরা যতই বলি না কেন
“”ভার্সিটিতে আসছি জ্ঞান অর্জনের জন্য””
আসলে এসব মিথ্যা কথা। আমাদের চিন্তাই থাকে কোন বিষয় পড়লে ভালো একটা চাকরি পাবো। সবাই সেই বিষয়ে পড়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পরি।

অনেকরে দেখবেন বিবিএ,EEE,টেক্সটাইল, ফার্মাসি,মেরিন পড়লেই চাকরি। তমুকে ত চাকরি করে লালে লাল।

ভাইরে এটাও মিথ্যা কথা মুরুব্বিদের বা তাদের জানার অভাব। বাংলাদেশে চাকরিই নাই। ২/৪ টা যা আছে সেখানে প্রতিযোগিতা আর প্রতিযোগিতা।

সেদিন এক কোম্পানিতে IE তে লোক নিবে। কোন বিজ্ঞাপন দেয়া হয় নাই,শুধু কোম্পানিতে যারা কাজ করে তাদের পরিচিতদের মাধ্যমে একদিন আগে সিভি জমা নিয়ে, লিখিত আর ভাইবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৪/৫ জন লোক নিবে।

“আমি সহ সেখানে ক্যান্ডিডেট ছিল মাত্র ৪৫+ “

বুঝেন,যদি বিজ্ঞাপন দিত তাহলে কি হত। বর্তমানেই যদি এই অবস্থা হয় আপনারা যখন বের হবেন তখন অবস্থা কত করুণ হবে কল্পনাও করতে পারবেন না! কারন দেশে শিক্ষিত বেকার যত বাড়ছে চাকরির ক্ষেত্র সেভাবে তৈরি হচ্ছে না।

আরেক গ্রুপ আছে বলে “”আইবিএ পড়ো,২ টা বাড়ী,৪ টা গাড়ি, ৩ নারী সব কোম্পানি দিব”” মিছা কথায় কান দিয়েন না ভাই। অতিরিক্ত স্বপ্ন দেখা স্বাস্থ্যের জন্য হানীকারক!

বাংলাদেশে এমন কোন বিষয় নাই যা পড়লেই আপনি সাথে সাথে চাকরি পাবেন। আপনাকে ঘুরতে হবেই। শুধুমাত্র ডাক্তার আর ডিফেন্সের কোর্সমুহে যারা সুযোগ পাবেন তাদের ছাড়া।

ডাক্তারি পাশ করে বাসার সামনে টং দোকানে নিজের চেম্বার খুলে অল্প হলেও কামাতে পারবেন,চাকরি করার দরকার নেই। আর ডিফেন্সে আর্মি বা বিমানে চান্স পেলে আপনি ট্রেনিং শেষে জয়েন করবেন। ট্রেনিং সেশনে বেতন পাবেন। বাহ কত মজা, পড়াশুনো করাবে আবার টাকাও দিবে,শেষে লেফটেনেন্ট বা মেজর পদে জয়েন, শুধু আপনার না আপনার ফিউচার সন্তানদেরও ফিউচার উজ্জ্বল। আর ডিফেন্সের লোকদের বউ অনেক সুন্দরী হয় কিন্তু চান্স পেতে হবে আগে। চেষ্টা করেন। এলএলবি যারা পড়ে তাদেরও কিছুটা গতি হয়। তবে সেই সেই চিকন বুদ্ধির লোক হতে হবে তবেই এলএলবি।

এর পরে আছে গাছে কাঠাল গোফে তেল “বিসিএস” র চিন্তা করে অনেকেই নামে মাত্র একটা বিষয়ে পড়াশুনো করে,নাওয়াখাওয়া বাদ দিয়ে ৩-৫ বছর চেষ্টায় বিসিএসে চান্স,তাও কিন্তু সবাই না ভাগ্যবানরা। সো ভেবে চিন্তে,একটি ভুল সারাজীবনের কান্না। বিসিএসের পিছনে ঘুরতে ঘুরতে হতাশ হয়ে পরে বউ খুঁজার ইচ্ছা থাকবেনা। অপশন রাখুন,এটা না হলে অন্যটা।

আমার মতে এসব চাকরির জন্য পড়াশুনোর না করে চেষ্টা করুন ব্যবসা বা অন্য কিছু করার জন্য। আপনার চাকরি করা লাগবেনা অন্যকে চাকরি দিতে পারবেন। ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর অল্প অল্প করে শুরু করুন,ভার্সিটি শেষে পুরোদমে লেগেযান। যারা চাকরি করবে তাদের থেকে হাজারগুন ভালো থাকতে পারবেন।

এবার আসুন,যাদের শখ, ইঞ্জিনিয়ার হবেনই। নামের পাশে ইঞ্জিনিয়ার, লোকে ইঞ্জিনিয়ার অমুক সাব বলে ডাকবে। আহ কত শান্তি। বিবিএ,ফার্মাসিস্ট,সিভিল,আর্কিটেক্ট হবেন।

অনেকের ধারণা বিবিএ পড়লেই মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে জব। সিনেমার হিরোর মত,সাদা শার্টের সাথে কালো কোর্ট পরে সেই পার্ট নিয়ে ইয়া বড় অফিসে জব করব। এই চিন্তায় সবাই বিবিএ বিবিএ। বিবিএ করার পর শুনবেন এমবিএ, ক্ষেমা দেন ভাই,একটু জিরান।

“” সাবজেক্ট চয়েজ করার আগে দেখেন আশেপাশে কোন মামা-চাচা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়েছে কি না বা সেই সেক্টরে জব করে কি না। ২/৩ জন জব করে এবং আপনি চাইলে তারা আপনাকে চাকরি দিয়ে না হোক ইনফরমেশন দিয়ে হেল্প করতে পারবে এমন সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশুনো করুন। কারন আজকের চাকরির বাজারে মেধা বা যোগ্যতা কিছুটা কম হলেও মামা-চাচার জোড়ে চাকরি হয়ে যায়। যারা তুখোড় মেধাবী তাদের নিয়ে ত কথাই নাই,তারা মেধাদিয়ে অনেক কিছুই করেফেলে,আবার কারো পক্ষে সম্ভব হয় না,মামা চাচা চাইই। সবাই ত আর তুখোড় মেধাবী না,সো ভেবেচিন্তে””

অমুকে তমুক বিষয় পড়ে লাইফ শাইন করছে দেখেই যে আপনিও তার মত করেফেলবেন তা কিন্তু না। ঢাকা শহরে অনেক ঝালমুড়ি, চানাচুর, হালিমওয়ালা আছে,যারা ওগুলা বিক্রি করে জমি,বাড়ীর মালিক হয়েগেছে। তা দেখে ত আপনি সেই ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন না! নিজে কি করতে পারবেন,কোনটায় ভালো করবেন এবং কোনটার বাজারদর ভালো,কোনটার বাজারে ডিমান্ড আছে দেখে ভর্তি হয়েযান।


ভর্তি হয়েগেলন ভার্সিটিতে। এবার পাশের বাসার আন্টি,চাচী চাচারা জিজ্ঞাস করবে। কই ভর্তি হয়েছ? কি পড়ো! আপনি যখন বলবেন “ট্রিপল ই” শুনতে ত ভালই লাগে। কেউ বলবেন “টেক্সটাইল “ চাচা বলবে “বাহ, তোমার লাইফ ত শাইন,টাকাই টাকা।” খুশিতে গদ গদ হয়েন না। পড়তে থাকুন।

এই ভার্সিটি পড়া অবস্থায় অনেক মামা,চাচা, বড় ভাইদের দেখা পাবেন,যারা বলবে

“”পাশ করে শুধু আমাকে সার্টিফিকেটটা দাও, চাকরি কি করে দিতে হয় আমি বুঝব। চাকরি ত যখন তখন দিতে পারি,কাকে দিব? বিশ্বস্ত ছেলেপেলে পাই না,কিছু কাছের লোক দরকার। আমি থাকতে কোন চিন্তা নাই””

বিশ্বাস করেন এই লোক আপনাকে কখনই চাকরি দিবে না,১০০% কনফার্ম থাকতে পারেন। ভার্সিটি শেষ করে তার কাছে যাবেন সে আপনার থেকে একটা সিভি রেখে বলবে পরে যোগাযোগ করব। কেউ বলবে এখন অমুক দল ক্ষমতায়,তমুক দল যদি ক্ষমতায় থাকত তোমার চাকরি ওয়ানটুর ব্যপার। এদের এড়িয়ে চলুন না হয় নিজে চিনার জন্য একবার/দুবার দেখা করুন। পরে হয়ত বলতে পারে
“”এত কষ্ট করলি,আমাকে জানাতি? আমার এখানে চাকরি দিয়ে দিতাম,দু দিন আগেই একজনরে দিলাম।””


ভার্সিটিতে পড়ার সময় অল্প হলেও ঐ বিষয়ে জ্ঞান রাখুন। আপনার এমন এক আত্বিয় আছে যে আপনাকে বের হলেই চাকরি দিবে। আপনার দরকার একটা সার্টিফিকেট, ত ভুল করবেন। তাহলে একটা সত্যি ঘটনাই বলি।

“”এক ছেলের মামা টেক্সটাইল কোম্পানির মালিক,ছেলে টেক্সটাইল নিয়ে পড়াশুনো করত। সে নিশ্চিত তার মামা তাকে কোথাও না কোথাও চাকরি দিবেই। বের হলে তার কোম্পানিতেই তাকে চাকরি দিয়ে দিবে। ছেলের দরকার শুধু একটা সার্টিফিকেট। সে পড়াশুনোতে হেলামি দিয়েদিল,কোনরকমে সে সেমিস্টার পার করতে থাকল। ২/১ সেমিস্টার বাকি থাকতেই তার মামার সাথে তাদের ফ্যামিলির সম্পর্ক খারাপ হতে থাকল। একসময় মামার সাথে তাদের সব প্রকার যোগাযোগই বন্ধ হয়ে যায়। ছেলের যে রেজাল্ট এবং সে যে ফাঁকি দিয়েছে তা এখন পুরন করা সম্ভব না। কোথাও জব ভাইবা হলে সে খুব বেশি ভাল পার্ফম করতে পারে না। কারন সেই যে ঢিলেমি””


মামার আশায় নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মাইরেন না। কেউ জব রেফারেন্স দিলেই যে চাকরি হয়ে যাবে তা না। আপনাকে ত তারা যাচাই করে নিবে। কেউ ই চাইবে না তার কোম্পানিতে একটা অপেক্ষাকৃত কম জ্ঞানের লোক জব করুক,যে কিছুই জানে না।

অপ্রিয় হলেও সত্য,জবে যেয়ে দেখবেন

“”শিক্ষা জীবনে আপনি এত এত কষ্ট করে,পড়াশুনো করে যা যা জ্ঞান অর্জন করেছেন তার ৯০% ও আপনার কর্মক্ষেত্রে লাগবে না””

অনেকের আবার মনে হবে হবে
“” এত পড়াশুনো না করে, আগেই চাকরিতে জয়েন করতাম। ভালই করতাম,কেন এত পড়াশুনো তা ত কাজেই আসে না এখানে,ভার্সিটিতে পড়াইছে কি? এখানে এসে দেখি কি?””

পড়াশুনো ঐ জব পাওয়ার জন্যই। যারা বিসিএস সহ অন্যান্য ভাইব ফেস করেন তারা এটার সবচে বড় ভুক্তভোগী।

এতক্ষণ যা বললাম,তা শুনে মনে হতে পারে আপনাদের ভয় দেখাচ্ছি। না আমি আপনার সামনে বাস্তবতার একটা নমুনা তুলে ধরেছি। আপনার সাথে এই এই ঘটনা ঘটতে পারে। সবার লাইফে যে হবে তাও না।

মেধার,জ্ঞানের দাম সব খানেই আছে

“”আপনি যা অর্জন করবেন,তা শুধুই একান্ত আপনার। যেটায় কেউ ভাগ বসাতে পারবে না””

“”জীবনটা পুষ্পশয্যাও না, আবার কাটা বিছানো রাস্তাও না। আপনার চিন্তা,মেধা,সিদ্ধান্তই আপনাকে বলে দিবে,জীবনের মানে কি!””

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.