নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাদিহা মৌ

মাদিহা মৌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই কথাঃ ০১ - মাশরাফি

৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

এক নজরে মাশরাফি …
বই - মাশরাফি
লেখক - দেবব্রত মুখোপাধ্যায়
জেনর - ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব
প্রকাশক - BCSA
পরিবেশক - ঐতিহ্য
দাম - ৫০০ টাকা







পরীক্ষার মাঝে গ্যাপ পেয়ে একদিনেই পড়ে ফেললাম দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের ক্রিকেট গবেষণা মূলক ঢাউস সাইজের বই "মাশরাফি"। ঢাউস সাইজের বলার কারণ, বইটার আকৃতি অন্যান্য গল্পের বইয়ের মত নয়। সাইজটা ঠিক পাঠ্যপুস্তকের আকার।

বইটা খুলে একটা দুইটা পেজ নাড়াচাড়া করলেই যেটা প্রথমে চোখে পড়বে সেটা হল এর পেজগুলি। বাদামী রঙ্গের পাতাগুলি এত মসৃণ আর উন্নত যে ছুঁয়েই মন ভাল হয়ে যায়।

বলেছিলাম, ঢাউস সাইজের বই। কিন্তু বইয়ের ৩৪টা অধ্যায় একের পর এক কখন যে পড়ে শেষ করে ফেলেছি নিজেই জানি না। মাশরাফিকে পেয়ে খাওয়া, ঘুম, পরীক্ষা টিউশানি সব ভুলে গেছি! কৌশিককে ভালোমত জানার দূর্বার আকর্ষণে পড়ে গেছি পাতার পর পাতা। বইটা পড়ে এই প্রজন্মের ক্রিকেট ইতিহাসের অনেক কিছু জেনেছি।
ডাই হার্ড ফ্যান হয়েও জানতে পারিনি এত রহস্য লুকিয়ে আছে মাশরাফির মাঝে। তাঁকে যতটুকু চিনতাম, শ্রদ্ধা করতাম, ভালোবাসতাম - সেটা অনেক গুনে বেড়ে গেছে এখন।

পেজ ২০২-২০৩।

টপটপিয়ে অশ্রুকণা পড়ছে বইয়ের বাদামী রঙ্গের ভারি পাতায়। বৃত্তাকার জলকনা গুলো অন্যরকম এক ডিজাইনে ভিজিয়ে দিচ্ছে পাতা দুটো।

ক্রিকেট খেলা ঠিক কবে দেখতে শুরু করেছিলাম, মনে নাই। আর বেশিরভাগ খেলা দেখতাম না বুঝেই। ক্রিকেটকে বুঝে ক্রিকেটের প্রেমে পড়েছিলাম যে খেলায়, সেটা হল ২০০৭ বিশ্বকাপের সূচনা ম্যাচ। আমার জীবনের অন্যতম এক্সাইটিং রাত ছিল সেই রাত। একেকটা উইকেট পড়েছে তারস্বরে চেঁচিয়ে সারা বাড়ি জাগিয়ে দিয়েছি। একেকটা চারে হাততালিতে সবার কান ঝালাপালা করে দিয়েছি। ওটা ছিল আমার ক্রিকেটপ্রীতির প্রথম রাত।
এই ম্যাচটা নিয়ে বড়সড় একটা আর্টিকেল লিখেছিলাম আমি। ক্রিকেট সম্পর্কে প্রায় কিছুই না জানা আমার অনুভূতি ব্যক্ত করেছিলাম ওই আর্টিকেলে।

কিন্তু তখন কি জানতাম, এই ম্যাচ ছিল আমাদের প্লেয়ারদের হাউমাউ করে কান্নার অংশ? তখন কি জানতাম, এই ম্যাচ মাশরাফির ১০৩° জ্বর গায়ে নিয়ে "রানার জন্য খেলতি হবে" প্রতিজ্ঞার ম্যাচ?
তখন কি জানতাম, ভারত আসলে সেদিন কোন জাগতিক ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে খেলেনি। খেলেছে ১১ জন রানার বিপক্ষে?

জানতাম না। তাই অতটা মজা করে খেলা দেখতে পেরেছিলাম। তার শোধ হিসেবে আজ কেঁদে নিচ্ছি।

শুধু কান্না নয়, হেসেছিও। কিন্তু বইটা পড়ার বেশিরভাগ সময় জুড়ে যে অনুভূতিটা আমার সঙ্গে ছিল, সেটা হল একটা চিনচিনে ব্যথা। এত কষ্ট যে কেন হলো, কিছুই বুঝতে পারলাম না।

পড়া শেষে মনে হয়েছে,
একজন মাশরাফির যদি মত হতে পারতাম!
না, তাঁর মত খ্যাতিমান তারকা হতে চাই না …
তাঁর মত মানুষ যদি হতে পারতাম???


দেবব্রত মুখোপাধ্যায় ওরফে আমাদের দেবুদার লেখনির ব্যাপারে কিছুই বলার নাই। আমার মতে উনিই আমাদের সেরা ক্রীড়া সাংবাদিক। আরো আগে থেকেই অসংখ্য আর্টিকেল পড়ে তাঁর লেখনীতে মুগ্ধ হয়ে আছি।

একজন ক্রিকেটপ্রেমীর অবশ্যই বইটা কেনা উচিৎ। আমার রেটিং ৫/৫
_

_
বিঃদ্র: আমি রিভিউ লিখতে জানি না। কেবল নিজের অনুভূতিটুকু শেয়ার করলাম।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:৪২

ঘটক কাজী সাহেব বলেছেন: দারুন লেখা, :-B +++++

৩০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:১১

মাদিহা মৌ বলেছেন: প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

২| ৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ১:০৩

অশ্রুকারিগর বলেছেন: আমি অবশ্য ১ দিনে শেষ করতে পারিনি। তবে আপনার মত এইটা উপলদ্ধি করেছি ডাই হার্ড ফ্যান হয়েও জানতে পারিনি এত রহস্য লুকিয়ে আছে মাশরাফির মাঝে।

আর শুধু ক্রিকেটপ্রেমীর জন্য অবশ্যপাঠ্য না উঠতি তরুন , কিশোর সকল ক্রিকেটারের উচিত বইটা পড়া।

বরাবরের মতই মনের অনুভূতি প্রকাশে স্বতঃস্ফূর্ত আপনি ! সুন্দর লিখেছেন।

৩০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

মাদিহা মৌ বলেছেন: হ্যাঁ, কেবল ক্রিকেট প্রেমী নয়, সব বই পড়ুয়ারই এই বই
পড়া উচিৎ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

৩| ৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ২:১৬

গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: জেনর নয় আপু; সঠিক উচ্চারনে Genre (ফোনেটিক ZHänrə) বাংলায় লিখলে দাড়াবে ঝোওনরা (আমেরিকান একসেন্ট)। ব্রিটিশ একসেন্ট আরও সূক্ষ্ম। অর্থ হলো কোনো এক নির্দিষ্ট শিল্পের ধরন, প্রকার কিংবা ক্যাটাগরি। যেমন গানের ক্ষেত্রে কান্ট্রি, রক কিংবা ব্লুজ। সাহিত্য বা গল্পের ক্ষেত্রে সাইন্স ফিকশন, হরর, রোমান্স ইত্যাদি। আর তাই Genre কখনও 'ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব' হয় না। আপনার রিভিউ করা বইয়ের ক্ষেত্রে হতে পারে জীবনী। ধন্যবাদ।

৩০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

মাদিহা মৌ বলেছেন: ধন্যবাদ। genre কে জনরা বা জানরা বলা যায়। জনরার
অর্থটা আমার জানা আছে। এখানে ঠিক কোনটা বসালে
সঠিক হত তা নিয়ে কনফিউজড ছিলাম। ধন্যবাদ জানাবার
জন্য।

৪| ৩০ শে মে, ২০১৬ ভোর ৫:০২

অ্যাজুরিল বলেছেন: আমিও পড়ার আগ্রহে আছি।

আপনি এই লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন। Click This Link

৩০ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

মাদিহা মৌ বলেছেন: পড়লাম আপু।
ধন্যবাদ :)

৫| ৩০ শে মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ি নাই এখনও।

৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:১২

মাদিহা মৌ বলেছেন: পড়ে ফেলেন ভাইয়া :)

৬| ৩০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫

পুলহ বলেছেন: "পেজ ২০২-২০৩।

টপটপিয়ে অশ্রুকণা পড়ছে বইয়ের বাদামী রঙ্গের ভারি পাতায়। বৃত্তাকার জলকনা গুলো অন্যরকম এক ডিজাইনে ভিজিয়ে দিচ্ছে পাতা দুটো।"-- ব্যতিক্রমী উপস্থাপনা, ভাল্লাগলো!
বইটা সংগ্রহে রাখবো আল্লাহ চাইলে। শত হলেও, অন্য অনেকের মত আমারো অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন একজন ক্রিকেটার।
রিভিউর জন্য ধন্যবাদ।

৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:১৬

মাদিহা মৌ বলেছেন: ৬. ধন্যবাদ ভাইয়া। :)
এই বই সত্যিই সবার সংগ্রহে রাখা উচিৎ।

৭| ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ২:১৭

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: বইটা এখনো পড়া হয়নি।আমারও অন্যতম প্রিয় মানুষ-ব্যক্তিত্ব

৩১ শে মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

মাদিহা মৌ বলেছেন: পড়ে ফেলুন দ্রুতই। আপনার প্রিয় ব্যক্তিত্বও মাশরাফি হলে - বইটা আপনার ভাল লাগবেই। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.