নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাদিহা মৌ

মাদিহা মৌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই কথাঃ ০৭ - ডার্কলী ড্রিমিং ডেক্সটার

২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

আমি রিভিউ খুব ভাল লিখতে পারিনা। শুধু চেষ্টা করি পড়ার পরের প্রতিক্রিয়াটা ব্যক্ত করতে।





কাহিনি সংক্ষেপ


নম্রভদ্র ডেক্সটার মরগ্যান, কাজ করে মায়ামির পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ব্লাড-টেকনিশিয়ান হিসেবে। কিন্তু ঘুণাক্ষরেও কেউ জানে না সে একজন সিরিয়াল কিলার। তার খুন করার ধরণ আর উদ্দেশ্য একেবারেই অভিনব। সুদূর অতীতে এক লোমহর্ষক ঘটনা তার মানবমনে সৃষ্টি করেছে দানবীয় এক শক্তির। সেই শক্তি জেগে ওঠে, খুন করে এমন সব মানুষকে যারা বেঁচে থাকলে অসংখ্য নিরীহ জীবন বিপদাপন্ন হয়ে উঠবে। এখানেই আর সব সিরিয়াল কিলারদের সাথে লাজুক আর হ্যান্ডসাম ডেক্সটারের পার্থক্য।
কিন্তু দৃশ্যপটে এখন হাজির হয়েছে ঠিক তারই মতো একজনের। একের পর এক খুন করে চলেছে সেই খুনি। ডেক্সটার ধন্দে পড়ে যায়-মনের অজান্তে কি সে নিজেই এসব করে যাচ্ছে? নাকি সত্যি আরেকজন খুনির আবির্ভাব ঘটেছে?


পাঠ প্রতিক্রিয়া

একবার ঢুকে যেতে পারলে ২৫০-৩০০ পৃষ্ঠার একটা বই পড়তে আমার দেড়দিন লাগে। খুব বেশি হলে দুইদিন। খাওয়ার সময়, ঘুমানোর আগে কিংবা টিউশানিতে গিয়েও … যখনই সুযোগ পাই, পড়তে থাকি।
"ডার্কলি ড্রিমিং ডেক্সটার" - কঠিন নামের এই বইটা গত সাতদিন ধরে আমার বিছানায়, টেবিলে, হ্যান্ডব্যাগে গড়াচ্ছে; কিন্তু একটা পৃষ্ঠাও পড়া হচ্ছিল না। বই খুললেই কীভাবে যেনো অন্য কোন কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাই। এটা ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত, বুঝতেও পারছিলাম না। গত রাতে অনেকটা জোর করেই কয়েকটা পাতা পড়েছিলাম। এরপর বই খোলা রেখেই যে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি, নিজেই জানিনা।
তারপর একদিন নদীর পাড়ে বসে পড়তে শুরু করেছি। প্রবল বর্ষণ আর বাতাস উপেক্ষা করে ছাতা মেলে বই খুলে বসে পড়তে শুরু করি।

দুই পৃষ্ঠা পড়ার পর আর থামতে পারিনি। বরং প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে ডেক্সটারকে চিনতে শুরু করলাম। বৃষ্টির ঝাপটায় বই যে ভিজে যাচ্ছে, সেদিকে পর্যন্ত খেয়াল ছিল না।

নিঃসঙ্গ একজন মানুষ। পালক বোন ছাড়া আর কেউ নেই দুনিয়ায়। পালক পিতার আদর্শ মাথায় নিয়ে প্রতি চাঁদরাতে ভিতরের কালো মানুষটাকে সন্তুষ্ট করে যাচ্ছে সে। কিন্তু একটার পর একটা খুন করে লাশগুলোর রক্তহীন টুকরো গুলো কে এখানে সেখানে ফেলে রেখে যাচ্ছে? শেষ তিনটা খুন করে লাশের টুকরো গুলো ফেলার সময় যার আবছা অবয়ব দেখা গেছে, তাকে ডেক্সটারের মত দেখাচ্ছে কেন? তবে কী সেইই ঘুমের মধ্যে সিরিয়াল কিলিং করে যাচ্ছে? অবচেতনভাবে? প্রশ্নগুলি বারবার ঘুরবে মাথায়।

প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো বইটা পড়ে প্রচুর মজা পেয়েছি। আর অনুবাদটাও হয়েছে অসাধারণ। অসাধারণ মানে সত্যিই অসাধারণ। বাতিঘরের প্রথমদিককার অন্যসব অনুবাদের মত নয়। একদম সাবলীলভাবে টেনে নিয়েছেন শরীফুল হাসান ভাই। টুকটাক কোন দোষত্রুটিও পাইনি।

বই পরিচিতিঃ

বইঃ ডার্কলি ড্রিমিং ডেক্সটার
লেখক: জেফ লিন্ডসে
অনুবাদক : শরীফুল হাসান
প্রচ্ছদ: দিলান
পৃষ্ঠা: ২২৪
মূল্য: ২০০
প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী
প্রকাশকালঃ ডিসেম্বর ১১
রেটিংঃ ৫/৫
অনুবাদ রেটিং: ৫/৫

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

*পড়ুয়া* বলেছেন: বইটা পড়ে আমিও ডেক্সটারের মাঝে ঢুকে গিয়েছিলাম। মারাত্মক থ্রিলিং বই। শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি আন্দাজও করতে পারিনি কিছু।

অনুবাদ পড়ে মনেই হয়নি। যদি বাইরের অঞ্চলের নাম না থাকতো তাহলে বুঝতামও না এটা অনুবাদ।

রিভিউ ভাল লাগলো।

২৪ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯

মাদিহা মৌ বলেছেন: বাহ, মিলে গেল! কেন যেন বই পড়ার পর নিজের
প্রতিক্রিয়া কারোর সাথে মিললে বেশ দারুণ লাগে।

২| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২১

পেইজ ৭১ বলেছেন: কর্পোরেট চাহিদার চকচকে জুতাতলে এখনকার আমি, গভীর কোন অন্ধকারে হারিয়ে ফেলেছি আমার সেই মুহু্র্ত গুলো। আপনি একটু ছুয়ে দিলেন যেন, ধন্যবাদ রিভিও গুলোর জন্য।

২৪ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

মাদিহা মৌ বলেছেন: বই পড়া ছেড়ে দিয়েছেন বুঝি?

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮

অশ্রুকারিগর বলেছেন: ডেক্সটার টিভি সিরিজটা দেখছি, বইটা পড়া হয়নি। এখন আর পড়াও যাবেনা। জানা কথা, বই সব সময় চলচ্চিত্র থেকে ভালো। বই পড়ার মজা মুভি বা টিভি সিরিজে পাওয়া যায়না।

২৪ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

মাদিহা মৌ বলেছেন: টিভি সিরিজটার খুব প্রশংসা শুনছি। কিন্তু দেখা
হয়নি। বই যতটা টানে, কেন যেন মুভি আর সিরিয়াল গুলি
ততটা টানে না।

৪| ২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:১৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
বইটা পড়া হয়নি।

তবে সংগ্রহ করতে হবে। :)

২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

মাদিহা মৌ বলেছেন: পড়ে দেখেন। আশা করি ভালো লাগবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.