নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সুন্দর চিরঞ্জীব

এম.এ.জি তালুকদার

আমি একজন গৈ-গেরামের সাধারণ মানুষ

এম.এ.জি তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতাঃ আমি কীরকম ভাবে বেঁচে আছি

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:২৪

আমি কীরকম ভাবে বেঁচে আছি তুই এসে দেখে যা নিখিলেশ
একি মানুষ জন্ম?নাকি শেষ
পরোহিত-কঙ্কালের পাশা খেলা!প্রতি সন্ধ্যেবেলা
আমার বুকের মধ্যে হাওয়া ঘুরে ওঠে,হৃদয়কে অবহেলা
করে রক্ত;আমি মানুষের পায়ের কাছে কুকুর হয়ে বসে
থাকি-তার ভেতরের কুকুরটাকে দেখবে বলে।আমি আক্রোশে
হেসে উঠি না , আমি ছারপোকার পাশে ছারপোকা হয়ে হাঁটি,
মশা হয়ে উড়ি একদল মশার সঙ্গে; খাঁটি
অন্ধকারে স্ত্রীলোকের খুব মধ্যে ডুব দিয়ে দেখেছি দেশলাই জ্বেলে-
(ও-গাঁয়ে আমার কোনো ঘড়বাড়ী নাই!)
আমি স্বপ্নের মধ্যে বাবুদের বাড়ীর ছেলে
সেজে গেছি রঙ্গালয়ে, পরাগের মতো ফুঁ দিয়ে উড়িয়েছি দৃশ্যলোক
ঘামে ছিল না এমন গন্ধক
যাতে ক্রোধে জ্বলে উঠতে পারি।নিখিলেশ,তুই একে
কী বলবি? আমি শোবার ঘড়ে নিজের দুই হাত পেরেকে
বিঁধে দেখতে চেয়েছিলাম যীশুর কষ্ট খুব বেশি ছিল কি না;
আমি ফুলের পাশে ফুল হয়ে ফুটে দেখেছি,তাকে ভালোবাসতে পারি না।
আমি কপাল থেকে ঘামের মতন মুছে নিয়েছি পিতামহের নাম,
আমি শ্মশানে গিয়ে মরে যাবার বদলে,মাইরি,ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
নিখিলেশ,আমি এই-রকমভাবে বেঁচে আছি,তোর সঙ্গে
জীবন বদল করে কোনো লাভ হলো না আমার-একি নদীর তরঙ্গে
ছেলেবেলার মতো ডুব সাতার? - অথবা চশমা বদলের মতো
কয়েক মিনিট আলোড়ন? অথবা গভীর রাত্রে সঙ্গমনিরত
দম্পতির পাশে শুয়ে পুনরায় জন্ম ভিক্ষা? কেননা সময়নেই,
আমার ঘরের
দেয়ালের চুন-ভাঙ্গা দাগটিও বড় প্রিয়। মৃত গাছটির পাশে উত্তরের
হাওয়ার কিছুটা মায়া লেগে আছে। ভুল নাম,ভুল স্বপ্ন থেকে বাইরে এসে
দেখি উইপোকায় খেয়ে গেছে চিঠির বান্ডিল,তবুও অক্লেশে
হলুদকে হলুদ বলে ডাকতে পারি। আমি সর্বস্ব বন্ধক দিয়ে একবার
একটি মুহূর্ত চেয়েছিলাম, একটি--ব্যক্তিগত জিরো আওয়ার;
ইচ্ছে ছিল না জানাবার
এই বিশেষ কথাটা তোকে। তবুও ক্রমশই বেশি করে আসে শীত,রাত্র
এ-রকম জলতেষ্টা আর কখনও পেতো না, রোজ অন্ধকার হাতড়ে
টের পাই তিনটে ইঁদুর।ইঁদুর মানে মূষিক? তা হলে কি প্রতিক্ষায়
আছে অদুরেই সংস্কৃত শ্লোক? পাপ ও দুঃখের কথা ছাড়া আর এই অবেলায়
কিছুই মনে পড়ে না। আমার আমার পুজা ও নারী-হত্যার ভিতরে
বেজে ওঠে সাইরেন।নিজের দু’হাত যখন নিজেদের ইচ্ছে মতো কাজ করে
তখন মনে হয় ওরা সত্যিকারের। আজকাল আমার
নিজের চোখ দুটোও মনে হয় একপলক সত্যি চোখ।এরকম সত্য
পৃথিবীতে খুব বেশী নেই আর।।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ধন্যবাদ কবিতাটি নতুন করে পড়ার সুজোগ করে দেওয়ার জন্য। অনেক অান্তরিকতা রইল আমার ব্লগে গিয়ে আপনার সময়ক্ষনন করার জন্য।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০০

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: ভাই,সুভাশিষ নিবেন। ব্লগ বিচরণ করা আমার নিশুতি নেশা। বিচরণ করি ভালো কোন কিছুর আশায়, না পেলে মস্তিষ্কের গুদাম হাতরিয়ে রাতের আহার করি। সব জলে তো আর চাতকের তৃষ্ণা মেটে না--------চাতক, স্বভাব না হলে।
অখ্যাত বলে আমি প্রখ্যাত কিছু লিখলেও এটা আমার সময় নয়। তবে দোয়া করবেন, খোদা চাইলে আমি অবশ্যই ব্লগ মাতাবো।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৮

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: ভাই,সুভাশিষ নিবেন। ব্লগ বিচরণ করা আমার নিশুতি নেশা। বিচরণ করি ভালো কোন কিছুর আশায়, না পেলে মস্তিষ্কের গুদাম হাতরিয়ে রাতের আহার করি। সব জলে তো আর চাতকের তৃষ্ণা মেটে না--------চাতক, স্বভাব না হলে।
অখ্যাত বলে আমি প্রখ্যাত কিছু লিখলেও এটা আমার সময় নয়। তবে দোয়া করবেন, খোদা চাইলে আমি অবশ্যই ব্লগ মাতাবো।

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

আরজু পনি বলেছেন:

আশা করি ব্লগ মাতুক আপনার লেখায়...
অনেক শুভকামনা রইল ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫২

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: আপনি বলেছেন চেষ্টা করবো। এখানে পড়া-শোনা করছি,লেখার সময়টা ব্যয় করি পত্রিকায় কলাম প্রকাশের বাতিকে। ছাত্র জীবনে খোদা আমার পড়া-শোনা করার সুযোগ স্রষ্ঠা কেড়ে নিয়েছেন, বলেই এখন তার কাফ্ফারা দিচ্ছি।

৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বিভিন্ন পোস্টে অাপনার মন্তব্যগুলো পড়লাম । বেশ উপভোগ্য!
অাশা (অ)কবিতাটা লেখার সময় অামার বয়স ছিলো দশ, গাঙচিল লেখার সময় পনেরো অার সন্ন্যাস লেখার সময় ষোলো । সুতরাং কোন কবির দ্বারা প্রভাবিত হওয়া স্বাভাবিক নয় কি? অার এটাও নিশ্চয়ই অাপনার অজানা নয় যে শৈশব কিংবা কৈশোরে মানুষ দেশ, প্রকৃতি অার ধর্ম দ্বারাই বেশি প্রভাবিত হয়?

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: সাধু ভাই,কষ্ট নিবেন না। সাধের মানব জীবন আর কি হবে------------------(আমার পিতা লালন)

৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কষ্ট নেওয়ার কী অাছে? যা বলবেন, সোজাসুজি বলবেন । অামি এখনও শিখছি । অার শিখতে লজ্জা থাকার কথা নয় । সাধু রীতিতে অামার কিছু লেখা অাছে, ওগুলো পড়ে অাবার বলেন কিনা শরৎচন্দ্রকে অনুসরণ করছি; সে কথাই ভাবছি!

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: আপনার কথা শুনে আমার পাশে থাকা মোস্তাক আহমাদ প্রনীত লালন ভেদসমগ্র বইটার পাতা উল্টিয়ে দেখছি এবং এই মুহুর্তে বইটা পুড়িয়ে ফেলার ইচ্ছা হচ্ছে। এদের কারণে আমি আপনাকে মিছামিছি কষ্ট দিলাম। মহৎ,মানুষ হিসাবে মাফ করে দিবেন। মরমী সাধক মওলানা জালাল উদ্দীন রুমী(রঃ) ও তাঁর গুরু শাহ তাবরেজের কেতাব বিষয়ক কাহিনীটা মনে আছে আপনার। তাপসী রাবেয়া নাকি কাবা ঘড় পোড়াতে ইচ্ছে পোষন করেছিলেন--এগুলোর মর্মকথা মনে পরে আপনার। শেষ কথা শোনেন----মানুষ ছাড়া আল্লার কোন দলিল নাই(আমার নয় মহতের কথা) এবং বিনা দলিলে আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়,আমিও একজন, যে এক আল্লার সৃষ্টি। ভেস খুলুন,মনের মানুষকে প্রকাশ হওয়ার সুযোগ দিন। হায়রে সাধের মানব জনম,মরলে আর হবেনা। আমি সাধারণত দেখি, শুনি বেশী এবং বলার চেষ্টা করি কম। অকারণেই আপনাকে ভালোলাগলে বলে একটু বেশী বলে ফেললাম। ক্ষমা করবেন।

৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৩৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অাপনার মন্তব্যগুলো ভালো লাগছে, কিন্তু কী কারণে জানিনা অপ্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে! অাচ্ছা,ঐ বইতে কী অাছে? লালন, নজরুল, কবির অামার ও খুব প্রিয় । একটা মরমী কবিতা দিলাম লালন ধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে । পড়তে পারেন । অার জগদীশ্বর নামে অারও একটা কবিতা অাছে । একটু খুঁজে নেন । অামার টাইমলাইনে অাছে । ধন্যবাদ । Click This Link

৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

এম বি রশিদ বলেছেন: মান হুষ এটাই তো মানুষ। বিবেক সেই মানুষের বড় আদালত। পাপকে ঘৃনা করতে হবে কিন্তু পাপীকে না। প্রত্যেক মানুষের উচিত পরিবেশের সাথে মিশে পরিবেশটাকে বোঝা। নোংরা বলে দুর থাকাকে কোন অনুভুতি বলে না।
আমি ছারপোকার পাশে ছারপোকা হয়ে হাঁটি,
মশা হয়ে উড়ি একদল মশার সঙ্গে; খাঁটি
অন্ধকারে স্ত্রীলোকের খুব মধ্যে ডুব দিয়ে দেখেছি দেশলাই জ্বেলে-
গুরু জোস লাগল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.