নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সুন্দর চিরঞ্জীব

এম.এ.জি তালুকদার

আমি একজন গৈ-গেরামের সাধারণ মানুষ

এম.এ.জি তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

অহংকারী অভিজাত প্রতিভার গুষ্ঠিকিলাই(পর্ব-০১)

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৯

প্রতিভা আর কর্মপ্রচেষ্টা নিয়ে ছোট,বড় বা জ্ঞানী-গুণীজনের অনেক কথা,বাণী আছে। সেগুলো কেউ মানি, আবার কেউ এগুলো নিয়ে মাথায় ঘষে’ বড়োর ভান করি।এ নিয়ে আবার ছিকাছেড়া মানুষগুলো তার পেশা,পদ,পদবীর ভীড়েঢাকা আদম সন্তানদের বেশিরভাগ সময় বাকা ঠোটের হাসি দিয়ে, কিছু বিষকাঠালী জাতের তুচ্ছ মানুষের তালে পরে অজ্ঞ,মুর্খ বলে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে সিড়ি বেয়ে চলে যায় মাটি ছেড়ে ইটের চিলে কোঠায়।এই ধাচের কিছু মানুষ তাদের বলনে-চলনে যেন বুঝায়- আমার প্রতিভা ছিলো বলেই আমার এতো উচুতে বসবাস, আর তোমার নোংরা মাটিতে।আজ কিছু মিথ্যা অহংকারী,স্বঘোষিত জ্ঞানী মানুষ হয়তো জানেই না যে, আমাদের দেশে অবাক করা কত যে প্রতিভা রাস্তায় গড়াগড়ি খায়। ওনারা আসমানের কাছে থাকেন বলেই এ বিষয়টি দেখেন না বা দেখতে চান না। আসলে মানুষ যদি চর্ম চোখে অন্ধ হন,তিনি অনুমান করে অনেক দেখায়ালার চেয়ে অনেক সময় বেশী বুঝতে ও দর্শন করতে পারেন। কিন্ত ক্রমাগতভাবে বুদ্ধির স্তর পরে পরে কেউ যদি আন্ধা হন, তার ধান্ধা করার জন্য নিজের ঢোল পিটিয়ে ফাটিয়ে-ফুটিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করাই হয় তার বড় কাজ। যারা তা করেন না, তাঁরা জ্ঞানের রাজ্যে জীবন-যৌবণ ক্ষুইয়ে শেষে মহান বিজ্ঞানী নিউটনের মতো বলেন--হায়,আজীবন কঠোর শ্রমে জ্ঞান সমুদ্রের তীড় পেলাম। হায়,আফসোস-- আয়ু থাকতে বুঝি জ্ঞান সমুদ্রের জল স্পর্স করার সৌভাগ্য আমার আর হলো না। দৈব কারণে- আমার ছাত্র জীবনে বিদ্যালয়ের পড়া-লেখার সুযোগ নষ্ট হওয়ার পর হতে আমার চারপাশের সবাইকে আমি আমার শিক্ষক মানি এবং আমার চলমান পারিপার্শিকতা আমার বিদ্যালয় হয়ে ওঠে। তাই আমি প্রতিনিয়ত সবার কাছেই ঋণী। এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই আমার এই ব্লগে আসা। এখানে শতভাগ শিখতে এসেছি।এবং মাপতে এসেছি দেশের প্রতিভাবান সভ্য সমাজ হতে আমরা গৈ-গেরামের মানুষ কত নীচে পরে আছি। দেখলাম,দেখছি এবং স্রষ্ঠা বাঁচিয়ে রাখলে এদেখা চলবে,যদি ব্লগকর্তাগণ আমার মতো চাষা-ভূষাকে সুযোগ দেন। জানেন, ব্লগের বিভিন্ন লেখালেখি নিয়ে আমার স্বমগোত্রিয়দের কাছে আমি যখন গল্প করি তখন ওরা প্রাণ ভরে ভীনদেশের কাহিনীর মতো ওগুলো শোনে। তখন ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাসের সংসার আগুনে পোড়া নায়ক অপূর্বের মতো নিজেকে দামী মনে হয়। আজ আমি ওদের কথা দিয়ে এসেছি যে,সংক্ষিপ্ত করে হলেও ওনাদের মেঠো প্রতিভার অবাক করা কিছু মানুষদের আপনাদের মাঝে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরবো। আপনাদের কথা যারা আমার মুখে এতো দরদ দিয়ে শোনে,প্লিজ তাদের বিনীত অনুরোধ কষ্ট করে হলেও আপনারা তাঁদের প্রিয় মানুষগওলোর কথা মাঝে-মধ্যে একটু শুনুন। কথা দিলাম,অনেক অনেক দিন পরপর তাদের কথা আপনাদের বলবো এবং আপনাদের কথা আমি নিয়মিতভাবে ব্লগে এসে শুনে ওদের কাছে গিয়ে প্রচার করবো।
তাহলে আজ শুরু হোক :--প্রত্যন্ত এলাকার জটিল-কুটিল-হিংসা বাদে শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকলের নিকট বিষ্ময় প্রতিভাধর ব্যক্তির কথা। নাম- মোঃ আনিছুর রহমান, গ্রাম-রুহাই,থানা-গুরুদাসপুর,জেলা-নাটোর। এই ব্যক্তি নিজেকে একজন ভ্রাম্যমান--- কবি নজরুল গবেষক হিসাবে দাবী করেন। আমার মতো নাদান মুর্খের কাছে সবচেয়ে বড় আশ্চার্যের বিষয় হলো এই যে, কবি নজরুলের প্রায় সমস্ত কবিতাই ওনার মুখস্ত ও তাঁর সুন্দর আবৃত্তি এবং এলাকার মানসম্পন্ন শিক্ষিত মানুষের কাছে বিষ্ময় হলো-- কবির লেখা জটিল কবিতাগুলোরও প্রাঞ্জল সহজ ভাবে তাঁর ব্যখা করার ক্ষমতা। পল্লীর এই মহান মানুষটার উপর আছোর করা কবির আত্মার ক্ষ্যাপামী দেখলে অনুমান করা যায়,কবি নজরুল প্রকৃত পক্ষে অন্যায় আর জুলুমের প্রতি কী ভয়ঙ্কর বিদ্রোহী ছিলেন। অথচ নজরুল পাগল এই মানুষটা অজানাই থেকে যাবেন অশরীরি কবির মতো ,আমাদের মতো কিছু মিথ্যুক নজরুল ভক্তের গায়ে স্ট্যাম্প সীল মারা থাকার কারণে।(ওনার ছবি এই মুহুর্তে নাই,প্রয়োজনে সংযোজনকরা যাবে) কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই গৈ-গেরামের সাধারণ মানুষদের পক্ষ হতে আমি অধম,মুর্খ হয়তো বা একজন মানুষ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫২

প্রামানিক বলেছেন: এখন রাত পৌনে তিনটা। ব্লগ ছেড়ে ঘুমাতে যাবো হঠাৎ আপনার লেখা পড়ার জন্য দাওয়াত পেলাম। পুনঃরায় লগইন করে আপনার লেখা মনোযোগসহকারে পড়লাম। আপনি ঠিকই বলেছেন গ্রামে অনেক প্রতিভা আছে যাদের তুলনায় চাঁদে বসে থাকা প্রতিভারা কিছু না। কিন্তু তাদের মূল্যায়ন করা হয় না। আনিছুর রহমান তাদের একজন। নজরুলের কবিতা আমার পক্ষেও আয়ত্ব করা সম্ভব হয় নাই অথচ তিনি অবলীলায় সব মুখস্ত আবৃত্তি করে আবার ব্যাখাও করে দেন। এরকম প্রতিভা সত্যিই বিরল। আপনার কাছে অনুরোধ এই লোকটির ছবিসহ বর্ণনা দিয়ে একটি পোষ্ট দেয়ার জন্য। আমরা যারা গ্রামের মানুষ তাদেরকেই গ্রামের প্রতিভাগুলোকে তুলে ধরতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৪

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: ভাইজান, পাশে থাকবেন।ব্লগে এটাই হবে আমার কাজ।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্ট দিয়ে আমাকে একটা মেসেজ দিলেই হবে। ধন্যবাদ

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৪

কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৩০

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: ভাই,চমৎকার বললে আমার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। আপনার কাছে পরামর্শ চাই--- কিভাবে পথে-ঘাটে পরে থাকা প্রতিভাগুলো দেশের ভদ্র সমাজের কাছে, যারা দেশের নিয়ন্ত্রনকর্তা তাদের কাছে তুলে আনা যায়।

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৯

শায়মা বলেছেন: উনার ছবি অন্তত দেখতে পেলে ভালো লাগতো ভাইয়া।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: আপুরে, ছবি দেব এবং এই রকম লোকদের দিয়েই আমার প্লাটফরম করবো। আমি আমার শেষ চেষ্টা করে দেখতে চাই, আপনাদের শেষ ভালোলাগাটা গিয়ে কোথায় দাড়ায়!!!!!! ধন্যবাদ আপনাকে, আমি পরামর্শ আর গঠনমূলক সমালোচনা পেলে বেশী খুশি হবো।

৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

এম বি রশিদ বলেছেন: আপনার এই মানুষ(আনিসুর) টাকে আমিও দেখেছি। আসলেই তিনি একজন বিরল প্রতিভার অধিকারী। ধন্যবাদ আপনাকে..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.