নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলার মত তেমন কোনো গুন নেই এমনকি কোনো কিছুতেই সেরা নই কিন্তু সব সময় সেরাদের আশে পাশে থেকে সব সময় শিখতে চাই...\n

মাহদি (এক জন মেরুদণ্ডী প্রাণী)

মাহদি (এক জন মেরুদণ্ডী প্রাণী) › বিস্তারিত পোস্টঃ

অটিজম কিভাবে বুঝব ?

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২০

অটিজম একটি মানসিক বিকাশঘটিত সমস্যা ।শিশুর আচরনের মাধ্যমে হয় এর বহিঃপ্রকাশ। AUTISM শব্দটি গ্রীক শব্দ AUTOS থেকে নেয়া। লিও ক্যানার তার 1943 সালের নিবন্ধ "অটিস্টিক ডিসটার্বনেস অফ এফেক্টিভ কন্টাক্ট" -এ প্রথম এ শব্দটি প্রস্তাব করেছিলেন।অটিজমের ক্ষেত্রে, একজন ব্যক্তির অন্যান্য মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সম্পর্ক স্থাপন ক্ষমতা সীমিত হয়ে যায় যেমন ভাষার ব্যাবহার রপ্ত করতে না পারা,নিজের ভিতর গুটিয়ে থাকা,হঠাৎই রেগে যাওয়া ,অনেক ক্ষেত্রেই এরই সাথে পুনরাবৃত্তিমূলক আচরন অর্থাৎ একই কাজ বার বার করতেও দেখা যায়।
প্রধান যে তিনটি ক্ষেত্রে অটিজমের সমস্যা দেখা দেয় – ক)পারিপার্শ্বিকের সাথে যোগাযোগ খ) সামাজিক সম্পর্ক গ)শিশুর আচরণ
অটিজমের শিশুর বয়স ৩ বছর হবার আগেই বোঝা যায় তার সমস্যা । দ্রুত তার সমস্যা সনাক্তকরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে

কয়েকটি লক্ষনঃ
• ১বছরের ভিতর ‘বা..বা’,‘দা..দা’,‘বু…বু’ এমন শব্দ না বলা। বা আঙুল দিয়ে, হাত দিয়ে বা হাত ধরে শিশুর আগ্রহের জিনিস দেখিয়ে দিতে না পারা।
• ২ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার পরও একটি অর্থবোধক শব্দ উচ্চারণ করতে না পারা।কারন বয়সে শিশু নিজের নামসহ দু’টি শব্দ জোড়া লাগাতে পারে। যেমন- আমি খাবো, আমি যাবো , তুমি ভালো?
• সরাসরি চোখে চোখ না রাখা বা না তাকিয়ে আড়চোখে খুব সময়ের জন্য তাকানো।
• নাম ধরে ডাকলে সারা না দেয়া।
• মিশতে না পারা বা আদর নেয়া বা দিতে না পারা।
• পছন্দের জিনিস অন্য কারো সাথে ভাগ না করা (যেমনঃ খেলনা ভাগাভাগি করে খেলতে না পারা)
• অন্য কার বলা কথা বার বার বলা বা বার বার একই শব্দ উচ্চারন করা।
• হঠাৎই উত্তেজিত হয়ে পড়া ।
• শব্দ, আলোর এমন ছোট ছোট কম বেশি পরিবর্তনে প্রতিক্রিয়া দেখানো
অটিজম শনাক্ত করতে যত দেরি হয়, ততই বাড়তে থাকে জটিলতা । সেই সাথে কমতে থাকে শিশুর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা।অটিজমের দু-একটি লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে ডাক্তার বা শিশু মনোবিজ্ঞানীর কাছে নিয়ে যেতে হবে। যাতে অল্প বয়সেই অটিজম শনাক্ত করা সম্ভব হয়।আমরা অনেকেই শিশুর অস্বাভাবিকতার জন্য অতিপ্রাকৃত বিভিন্ন শক্তিকে দায়ি করি।হাতের মুঠোয় মোবাইল ফোন, মুহূর্তে ভিডিও কলে দেখা হয় সাত সাগরের ওপারের বন্ধুর সাথে। বিজ্ঞানের এই সেরা সময়ে এসেও যদি আমরা আমদের শিশুদের উপর ‘নজর লাগা, ক্ষতি করা, বান মারায় বিশ্বাস করে হুজুর – ওঝা – কবিরাজ বাড়ী দৌড়ে বেড়াই তবে ক্ষতি কিন্তু আমাদের সন্তানদেরই হবে।মাঝে পকেট ভরবে লাল নীল শিশির ‘তেল ও পানি পড়া’র কারবারীদের।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ যেন সমস্ত শিশুকে এই রোগ থেকে মুক্ত রাখেন এই প্রার্থনা।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সুন্দর পরামর্শ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.