নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সে এক আশ্চর্য জলপ্রপাত...

সাপের শরীর হয়ে আঁধারের গাছ/ কুয়াশার বন্যায় ডুবো দেবী মাছ!

মাহী ফ্লোরা

আমি আমিই....... আকাশজুড়ে চাঁদের আলো রূপার জলে আঁকা অন্ধকারের ঠোঁটের কোনায় নীলচে হাসি বাঁকা! তারা-আলোর রথ ছুটানো একটি ডজন ঘোড়া সমস্বরে বল্লো, এ নাও গোলাপ, মাহী ফ্লোরা। ......... মহাবিশ্বের শুভেচ্ছা পেয়েছি এভাবে!

মাহী ফ্লোরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গহন অন্ধকারে একটি জোনাকি

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

রেজা কে ইদানিং এত ভাললাগছে।প্রতিটা দিন মনে হচ্ছে নতুন হয়ে নেমে আসে পাখির মত।উহু পাখিরা কি এভাবে নেমে আসে? চারদিকে এত শব্দ! সকাল থেকে সারাদিন কত রকমের শব্দ কত রকমের কথা।এত শব্দ এত কথার ভিড়ে আমি নিঃশব্দ হয়ে যাচ্ছি কেমন! রেজা এত কথা বলে আমার মাথাই কিছুই ঢোকেনা।কত গল্প কত রাজনীতি এলেবেলে কত কি আমি শুধু শুনি। আসলে শুনিনা। সত্যি বলতে কি আমার মাথায় ঢোকেনা।আমিতো আর বলতে পারিনা এই যে শুনুন আমার মাথায় কিন্ত আপনি ছাড়া আর কিছু নেই! হঠাত করে কথার মধ্যে যখন সে কোন প্রশ্ন করে আমি ভাবাচ্যাকা খেয়ে যাই।



গত বিকেলে হুট করে বৃস্টি নামলো।এবার ই প্রথম কদম এসেছে গাছ ভরে। বাসার সামনে একটা ছোট কদমের গাছ আছে।পাকা কদমের ভরতা নাকি অনেক স্বাদ হয়।আব্বু কোন এক কলিগের কাছ থেকে শুনে এসে লাগিয়েছে।মাঝে মাঝেই উনি এমন এমন কাজ করেন না,আম্মুও খুব বিরক্ত হয়।অথচ এই একটা কাজে আমি আর আম্মু দুজনেই আব্বুর উপর এত খুশি হয়েছি!

অনেক দিন পর কাল বৃস্টিতে ভিজলাম!মামসের সমস্যার জন্য আম্মু কিছুতেই ভিজতে দেয়না।বিকেলে আব্বু আম্মু শপিং এ ছিল সেই ফাকে কদমের তলে একা একা ভিজলাম।রাতে প্রচন্ড জ্বরের ঘোরে স্বপ্ন দেখলাম রেজা হাত ভরতি কদম নিয়ে আমার জন্য দাঁড়িয়ে আছে।

গত কয়েকটা দিন কি এক ঘোরে কেটেছে কিছুই জানিনা।শুধু ভাল হবার পর থেকে টের পেতে লাগলাম সবাই আমাকে দেখলেই ফিশফিশ করে!মুচকি হাসি দেয়। একদিন রেজা এল বাসায়। পাশে বসে থেকে অনেকক্ষন গল্প করলো। আর যাবার আগে কি অবলীলায় কপালে হাত রেখে বলল আমি আবার আসব!

আমি কি যে অবাক হলাম!

আজকের রোদ একদম অন্যরকম। অনেকদিন পর অফিসে গেলাম। সব কলিগ রা এসে অভিনন্দন বলে গেল। শুনলাম রেজা নাকি আজ ছুটি নিয়েছে।অফিসে যে খালা দুপুরের খাবার রান্না করে সে হঠাত বলল ম্যাডাম শুনসেন রেজা স্যারের বিয়া? বুকের ভেতর ধ্বক করে উঠল। আমি জানিনা চারপাশটার আলো কেমন অদ্ভুত ভাবে কমে গেল! এর আগে কখনো এমন হয়নি।এর মধ্যে আম্মু ফোন করে যখন বলল অনেকদিন পর একটু সুস্থ্য হয়েছো এত ধকল শরীর সইবেনা। বস কে বলে দেখো ছুটি দেয় কিনা! আমি বাইরেই আছি তাহলে তোমাকে সাথে নিয়েই বাসায় ফিরব।চোখ ফেটে ঘুম আসছে!কোনো কান্না নয়! যেন কতকাল ক্লান্তিতে ডুবে আছি খুব।



ডুবি ডুবি করে ডুবে যাই জলে! পৃথিবীর সব জল তাহার গভীরে এ্লে থেমে যায় স্রোত!ডুবে যাই হাতে নিয়ে রঙ্গিন কলস!



বুকের ভেতরটা খুব শক্ত হয়ে আসছে। অফিস থেকে বেরিয়ে আসতেই আম্মু বলল চলোতো একটা শাড়ি দেখে এসেছি,তোমার পছন্দ হলেই কিনে ফেলবো। অন্য সময় হলে আমি হুংকার দিতাম।আমাকে শাড়ি টাড়ি কেনার জন্য আম্মু কখনই শপিং এ নিতে পারেনা।অথচ আমার ভেতরে এখন কথা বলার মতই কোন শক্তি নেই। কেমন ক্লান্ত আর অবসন্ন মনে হাটতে লাগলাম। সারা রাস্তা রিকশায় আম্মুর হাত ধরে বসে রইলাম। একটা নীলের উপর সাদা ভারি কাজের শাড়ি কিনল আম্মু।

বাসায় ফিরে সারাক্ষণ মনে হতে লাগল আমার কিছুই করার নেই! এত অসহায় আর কখনো লাগেনি।আম্মু আজ অনেক কিছু রান্না করছে।বিকেল হতেই মামা মামি,ছোট খালা কাজিন রা সব বাসায় চলে আসল।এত অলস লাগছে উঠে গিয়ে যে জিজ্ঞেস করব এত আয়োজন কেনো তাও ইচ্ছে করছেনা।ওরা কেও আমাকে বিরক্ত করছেনা এতেই আমি নিশ্চিন্ত!

শুয়ে ছিলাম অনেক্ষণ, উঠে বেলকুনিতে দাড়াতেই ঘরের ভেতর ফোনটা বাজতে থাকলো।কেনো যেন ফোন বাজলেই আমার বুকের মধ্যে কেমন করে। যেন কেউ ব্যাকুল হয়ে আমাকে, শুধু আমাকেই খুজছে।

রেজার ফোন!

অসম্ভব! এ কি করে হয়।একবার মনে হল ফোন ধরবোনা কি হবে ফোন ধরে?মনের ভেতরের মনটা কিছুতেই শুনলোনা।ধরতেই ওপাশ থেকে রেজা বললো,

-শ্যামা একটু নিচে আসবেন?

-মানে?

-আমি আপনাদের বাসার নিচে আছি। একটু আসবেন প্লিজ? খুব জরুরী!

কত কি যে মনের ভেতর ঘুরে ফিরে যায়! খুব অভিমানে বলতে চাইলাম কেন আসব? অথচ বলে বসলাম, ঠিক আছে একটু দাড়ান আসছি।

সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে টের পাচ্ছিলাম,আমি আসলে আমি নই।খুব কষ্টে শরীরটাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছি।আম্মু একবার রান্নাঘর থেকে চেচালো কই যাস শ্যামা?

শুধু বললাম আসছি মা!

দেখলাম কদম গাছটায় হেলান দিয়ে রেজা দাঁড়িয়ে আছে।আমার পুরো পৃথিবী কাপছে ইচ্ছে করছে এক ছুটে গিয়ে বুকে ঝাপ দিয়ে পড়ি।তারপর খুব কাদি আর বলি আপনাকে ছাড়া আমার পৃথিবী

অর্থহীন!এসবের কিছুই বললাম না। জিজ্ঞাসু চোখে শুধু তাকিয়ে রইলাম।

মুহুর্তের মধ্যে মনে হল সমস্ত চরাচরে যেন শুধু আমি আর সে।ফটোশপের নিপুন কারিগরীতে আর সব মুছে গেছে!



ঠিক আগের মতোই আমার কানে কিছুই ঢুকছেনা! পেছনের দেয়াল ধরে দাড়ালাম।হঠাত মনে হল ভুল শুনছি। রেজা বলছে আজ যত কদম ফুটেছে সব আপনার হাতে তুলে দিতে ইচ্ছে করছে। আমি যদি আপনার সাথে সারাজীবন থাকতে চাই আপনি রাজি হবেন?

আমার সারা শরীর কাপছে!আমি এর কি উত্তর দেব কিভাবে বলব রেজা,



সমস্ত ইতিহাস মুছে আর্ত আকাশের অন্য নাম বরশা হয়ে গেছি শুধু একজনের জন্য! সে আপনি।



রেজা আমার সবচেয়ে কাছের মানুশ টা হয়ে এখন সামনে দাঁড়িয়ে আছে।সন্ধ্যের পর থেকে এত দ্রুত সব হল!আংটি পরানো হতেই মামা বলে বসলো বিয়ে টা পড়িয়ে দেয়াই ভাল হবে আজকাল আকদের আর কি মুল্য!

হইচই এর মধ্যে খুব দ্রুতই সব শেষ হল। কেমন যেন স্বপ্ন স্বপ্ন মনে হচ্ছে এখনো।রেজা হাসছে আর বলছে এই যে প্রিন্সেস শ্যামা এবার কিন্তু আর আপনি বলতে পারবনা।

লজ্জা লজ্জা মুখ নিয়ে বললাম, বলবেন না।

-ও আচ্ছা! আর তুমি বুঝি আপনিই বলবা?

-আমার লজ্জা করছে!

-প্রিন্সেস শ্যামা জ্বরের ঘোরে যে সারাক্ষণ আমার নাম ধরে ডেকেছেন তা কি মনে আছে একটুও?

-কি?

-জ্বি! তোমার আব্বু আর না পেরে অফিসে এসে আমাকে বাসায় যেতে বললেন। তোমাকে দেখতে গেলাম। তুমি চোখ মেলেই বললে,কে রেজা? কদম এনেছো? আমি কখন থেকে তোমার অপেক্ষা করছি।

তারপর তো সবই তোমার জানা।সারপ্রাইজ দেয়া যাবে বলে কাউকেই কিছু না জানাতে বলেছিলাম।

কি হল? এখনো আপনি বলবে?

কি লজ্জা! কি লজ্জা!হেসে ফেললাম।



বললাম, তুমি… তুমি… তুমি…!



জানালা খুলে দিতেই এই শহরের একটা একলা জোনাকি পথ ভুল করে ঘরে ঢুকে পড়লো।

রেজা আমার হাত ধরে আছে!ফিসফিস করে কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,



নিঃশ্বাস নিতে দেবনা, তোমাকে

নিঃশ্বাস নিতে দেবনা

একবার যদি পাই,পুনরায়

আরবার যদি পাই

পাজরে পাজর গুড়ো করে দেব -- ছাই!



আমি শুধু বললাম ধীরে, ও জোনাকি তুই কখন এলি বলতো!

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নিঃশ্বাস নিতে দেবনা, তোমাকে
নিঃশ্বাস নিতে দেবনা
একবার যদি পাই,পুনরায়
আরবার যদি পাই
পাজরে পাজর গুড়ো করে দেব -- ছাই!

ভাল হয়েছে।+

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সায়েম মুন বলেছেন: লুটুপাটু গফ :P

অনেক সহজ ভানাম ভুল হৈছে। কম্পুতে না মুপাইলে ল্যাখছেন?! #:-S

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: লুতুপুতু গফটা মেলা আগে লিকচিলাম আইজকা চোখে পড়তে দিয়া দিচি তখন নতুন অভ্র মেলা বানান লিকতে পারতামনা। এইবার কন মন্তব্যের কয়টা ভানাম বুল :-P

৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১১

সায়েম মুন বলেছেন: তাইতো কই গফে এত দাঁত ভাঙ্গা শব্দ ক্যা #:-S

আগে ব্রিস্টি আর প্রিথীবি ঠিকান তারপর বাকীগুলা কমুনে। 8-|

৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৯

কালীদাস বলেছেন: সাংঘাতিক গফ লেখছেন মেলাদিন :-B

৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: হেহে Munappi এইটা ঠিক করতে আবার কয়দিন লাগে দেখেন।
:-D

থেংকু কালিদাস স্যার। :-P

৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৪

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সুন্দর :)

ভাল্লাগছে।

৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
সাংঘাতিক সহজ সব বানান ভুল! ইয়া মাবুদ! :((

লুতুপুতু লেখা! ;)

৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: বিজয়ের মাসে এইসব ভানাম বুলরে ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখতে শেখেন নাজিম :D

১০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: এত অযত্নে লেখসেন কেন?

১১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: অযত্ন না অযত্ন না তখন অভ্র দিয়া লিখতে পারতামনা আর এইটা পোস্ট করার সময় খেয়াল করি নাই খুব দ্রুত দিসি। :(

১২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৩

ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: অনুরোধ- আরেকটু ঘষামাজা করুন, কেমন যেনতেন একটা ভাব চলে এসেছে। কাহিনীটাও আরেকটু চেইঞ্জ করলে বোধহয় বেশি ভালো হয় :)

১৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: তাইলে আরেকটা নতুন লিখি কি বলেন :P

১৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

বাবু আমার নাম বলেছেন: ভাল্লাগেনাই। :(

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৮

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: কি আর করা!

১৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভাল লাগল।


ভাল থাকুন। শুভ কামনা।

১৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মন খারাপ করার কিছু নাই বাবু আপনার নাম। ভাল কিছু পড়ে মন ভাল করে ফেলুন। :)

১৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মহামহোপাধ্যায় ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

নীরব 009 বলেছেন: ভুলটুল তো সবাই বলেই দিল, আমি অন্য ভুলের কথা বলি; আপনে কমেন্টের রিপ্লে না দিয়া নিজেই কমেন্ট করতেসেন কেনু?


গল্প কিন্তু আমার ভাল লাগছে। ইশ! কেউ যদি আমারে নিয়া এমুন করে ভাবত! :(

১৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ফুন থাইকা এইরকম কইরাই উত্তর দিতে হয়। ইয়ে মানে কমেন্টের উত্তর দিতে নিজেকেই কমেন্ট করতে হয় আরকি! :D

কেউ ভাবেনা এইটাতো ঠিক না। :(

২০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গল্প নাটকীয় হলেও রোমান্টিকতা হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

(অফটপিকঃ বোকা মানুষতো, হয়তো গফ ঠিকমতো বুঝতে পারি নাই)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৭

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: thnks Boka manus!

২১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৮

তাসজিদ বলেছেন: ভাল লাগল। যদিও একটু লুলুপুতু।

২২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৮

তাসজিদ বলেছেন: ভাল লাগল। যদিও একটু লুলুপুতু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.