নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন রণবীর

মামুন রণবীর

আমি খুব সাদাসিধে মানুষ ।কবিতা,গল্প,লিরিক লিখার চেষ্টা করি মাত্র ।মাঝে মাঝে জীবনকে রহস্যেঘেরা বৃত্ত মনে হয় । যে বৃত্তে আমরা একদিক থেকে অন্যদিকে পরিভ্রমন করি ।কখনো কখনো জীবনের কথাগুলো অলীক ভাবনাদের স্পর্শ করতে ব্যাকুল হয় ।কিন্তু ভাবনাগুলো কখনোই স্পর্শ করা হয়না ।হয়তো কিছু কথা রাখতে গিয়েও রাখা হয়না ব্যাপারটির সাথে একমত পোষণ করে ।রাখা না রাখার ক্যানভাসে জীবন নি:শেষের পথে হাঁটে ।একসময় সেটাও ফুরোয় ।এরমাঝে অনেক কথার মিছিলে একটি প্রশ্ন মনে বারবার আঁচর কাটে...........আমরা কি কখনো পরিপূর্ণ হতে পারি.................আমরা মুগ্ধ হই...........কিন্তু মুগ্ধতাকে ছুঁতে পারিনা,খুব কাছ থেকে............

মামুন রণবীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অব্যক্ত অনুভূতি

২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯

অনেকদিন পর ট্রেনে করে বাড়ি ফিরছি।শেষ কবে ট্রেনে করে গিয়েছিলাম মনে নেই।আজকাল ট্রেনে খুব একটা চড়া হয়না।বেশ কিছুক্ষণ স্টেশনে ঘুরাঘুরি করে কামরায় উঠলাম।মিনিট দশেকের মধ্যেই ট্রেন ছাড়লো।



যেতে যেতে আশপাশের পরিবেশ দেখছি আকাশ দেখছি আর মুক্ত হাওয়া গায়ে মাখছি।প্যাডটা খুলে ফেসবুকে বসতে খুব ইচ্ছে হলো। ইচ্ছেটাকে তেমন পাত্তা না দিয়ে অনেক পুরনো ডায়েরীটা খুললাম।আগে যখন ট্রেনে যেতাম প্রতিবারই কবিতা লেখা হতো ট্রেনে বসে।কোন এক যাত্রায় এক ক্যানভাসারকে নিয়ে এক ছড়া লিখেছিলাম



ও ক্যানভাসার কর কেন এত বকবক

ট্রেন চলছে ঝকঝক

তোমার আচার ভীষণ টক

খেতে তাই হয়েছে শখ

কতো হলো বিক্রি

দুশ নাকি পাচশ

যাই হোক তুমি যেন সদা হাস্য

তুমি নও চৌধুরী জাফরুল্লাহ

বেলিম ভাই আমাদের জাতীয় গোল্লা

লেকচার থামাও

নইলে দূরে যাও!!



ছড়া অর্ধেক পড়েই অদিতির হাসি যেন থামেনা।আর একটি অণুকবিতা পড়ে তার অভিব্যক্তিটা কেমন হয়েছিলো তা এখন আবছা আবছা দেখতে পাই।এটি এমন ছিলো



তোমার জন্য লিখেছিলামলল

দু তিনটে লিরিক

সেটাই ছিলো প্রণয় পথে কম বয়সের হিড়িক।



আজ অনেকদিন যাবত কবিতা লিখা হয়না।অদিতিকেও বলা হয়না তোমাকে মিস করছি।প্রথমবারের মতো অদিতিকে ছাড়া যাচ্ছি।



ওর সাথে শেষ কথা হয়েছিলো টিএসসিতে প্রায় তিন বছর আগে। আমাদের পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানে।অনুষ্ঠানের পর ও কখন চলে গেল বুঝতেও পারিনি।এই মেয়ে আমাকে কোনদিনই কিছু বুঝতে দেয়নি।যেন এক রহস্যময়ী।ও যখন বুঝতে পারলো আমাদের বন্ধুর সম্পর্কটা অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে তখন থেকেই কেন জানি একটু আনমনা হয়ে থাকতো। আগের মতো কথা বলাটা দিন দিন শুন্যতার দেয়ালে মিশে যেতে লাগলো।ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুম এসে গেল টেরই পাইনি।



ময়মনসিংহ জংয়ে ট্রেন এইমাত্র এসে থামলো। অন্য ট্রেনের হুইসেলের শব্দে আগের স্টেশনে ঘুমটা ভেঙে ভালোই হলো ট্রেনে বসে রাতের তারাদের মন ভরে দেখলাম।ট্রেন থেকে নেমে শহরে ঢুকবো এমন সময় দেখা অদিতির ছোট ভাই অরুণের সাথে।



স্টেশন সংলগ্ন রেস্টুরেন্টে বসে আলাপে আলাপে অদিতির কথা উঠতেই জীবনে চরম বাস্তবতা যেন আমাকে এফোড় ওফোড় করে নিস্তব্ধতায় ভাসিয়ে দিল।জীবনের শেষ কয়টা দিন কর্কট রোগের সাথে লড়াই করেও বিজয়ীর বেশে আর ফেরা হয়নি অদিতির।অথচ এই মানুষটিই আমাকে শিখিয়েছিলো কিভাবে জয়ী হতে হয়।



গভীর রাত।ঘুম যেন ছুটি নিয়েছে।তারাদের দিকে তাকিয়ে ভাবছি শেষ প্রহরে থাকতে পারলামনা অদিতির কাছে।অথচ থাকতে চেয়েছিলাম জীবনভর।কথা ছিলো ওকে নিয়ে লেখা গানটি তারায় তারায় রটিয়ে দেব। তা আর হলোনা। এ দু:খবোধ কি সহজে ভোলার?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: দারুণ +++

২| ২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪

আমি নী বলেছেন: হুম। সবাই এতো ভালো লেখে কেন?

৩| ২৮ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:৫২

দুঃখ বিলাস বলেছেন: ভালো লেখা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.