নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন রণবীর

মামুন রণবীর

আমি খুব সাদাসিধে মানুষ ।কবিতা,গল্প,লিরিক লিখার চেষ্টা করি মাত্র ।মাঝে মাঝে জীবনকে রহস্যেঘেরা বৃত্ত মনে হয় । যে বৃত্তে আমরা একদিক থেকে অন্যদিকে পরিভ্রমন করি ।কখনো কখনো জীবনের কথাগুলো অলীক ভাবনাদের স্পর্শ করতে ব্যাকুল হয় ।কিন্তু ভাবনাগুলো কখনোই স্পর্শ করা হয়না ।হয়তো কিছু কথা রাখতে গিয়েও রাখা হয়না ব্যাপারটির সাথে একমত পোষণ করে ।রাখা না রাখার ক্যানভাসে জীবন নি:শেষের পথে হাঁটে ।একসময় সেটাও ফুরোয় ।এরমাঝে অনেক কথার মিছিলে একটি প্রশ্ন মনে বারবার আঁচর কাটে...........আমরা কি কখনো পরিপূর্ণ হতে পারি.................আমরা মুগ্ধ হই...........কিন্তু মুগ্ধতাকে ছুঁতে পারিনা,খুব কাছ থেকে............

মামুন রণবীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অত:পর ফেরা

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:২৬

অনেক সকাল দেখিনি।প্রায় ভুলে যেতে যেতে সকালের রূপ কেমন হয় ,কতটা রাত জাগলে সকাল হয় অথবা কেন এত অপেক্ষা প্রতিটি সকালের জন্য এসব খুচরো প্রশ্ন।ওহ!!প্রশ্ন কিভাবে করতে হয় সেটাই তো মনে নেই। কেউ কেউ এটাকে বলে ব্ল্যাক আউট।শব্দটা শেষ কবে শুনেছিলাম তাও মনে নেই।কিছুকাল যাবত যে কি হয়েছে তাও বুঝতে পারছিনা। সব ভুলে যাই।ভুল করে যাই।ভুল বুঝে যাই।ভুলে ভুল হয়।ভুলের প্রহর বাড়ে। বাড়ে সময়।এইতো সেদিন অরু ক্লাস শেষে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো তোমার কি একটু সময় হবে লাইব্রেরীতে যাব।

আমি বলেছিলাম না।কারণ লাইব্রেরী আমার একদম ভালো লাগেনা।সেখানে শুধু বইয়ের গন্ধ। আমি যেন বই বাধ্য হয়ে পড়ি।আমার ঘুরে বেড়াতে আর সিনেমা দেখতে ভালো লাগত।ইদানিং নতুন দুটো ব্যাপার যোগ হয়েছে ,রুটিন করে দু তিন ঘন্টা সাইবার ক্যাফেতে বসে ফেসবুক চালানো অথবা ইউটিউবে ঢু মারা আর ভালো লাগে দিনে গোটা পাচেক ব্যানসন সিগারেট টানতে।মিশু আর সাফা এ দুটো ব্যাপারে আমার গুরু।তিনজন মিলে কত কি করি।আমি অরুকে সিনেমা দেখতে যাবার কথা বলেছিলাম।অভিসার হলে নতুন সিনেমা এসেছে। মিষ্টি প্রেমের সিনেমা।অরু আমাকে পাত্তা না দিয়ে একা একাই লাইব্রেরীতে চলে গেল।এরপর একই কথা অরু আমাকে বহুবার বলেছে।সিগারেট বাদ দাও ,সিনেমা দেখা কমাও আমি শুনতে চাইনি।এ নিয়ে আমাদের মধ্যে দূরত্বটা ক্রমেই বাড়তে থাকলো।অরু যেটা দেখতে পারতোনা সেটাই করে বসতাম।সব ছিল খামখেয়ালীর

ক্যানভাস। একসময় দুজন দুজনার থেকে অনেক দূরে……………শেষ কথাটায় আমি অরুকে বলেছিলাম

যদি ভালো না লাগে তো আর মিট করোনা।এবং আরো কিছু অচেনা বাক্যের প্রলাপ।যা ও কোনদিন আশা করেনি।



সেদিন ট্রেনে করে আসছি।অরুর সাথে দেখা।অনেকদিন পর।সাথে ওর হাসব্যান্ড।অরু এখন আর্ট কলেজে পড়ায়। ওর অনেক ছাত্র।অনেক সম্মান।কথায় কথায় অরুর হাসব্যান্ড আমাকে একটা সিগারেট সাধলেন।আমি বললাম

-নো থ্যাঙ্কস।একসময় খেতাম খুব।এখন ধারে কাছেও যাইনা।

-ইন্টারেস্টিং ,আমি খাই তিনবেলা তিনটে ,হাহাহা

আমরা সবাই হাসলাম।আমার সাথে থাকা বইয়ের বান্ডেল দেখে অরু জিজ্ঞেস করলো

-এত বই কিসের?

-গ্রামে একটা লাইব্রেরী বানিয়েছি।বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে ওরা এই বইগুলো দিল।

ভোর ৫.৩০,আমরা মোহনগঞ্জ এসে গিয়েছি।ওরা এখানেই নামবে।আমি অরুকে আমার একটা কবিতার বই দিলাম।

নাম বদলে যাবার গল্প।অরু চশমাটা খুলে চোখের পানি মুছলো।কিছু বললো না

আমি ভাবতে লাগলাম গভীর রাতের পর ভোর এসেছে।এসেছে নতুন সকাল নতুন দিন।মনে পড়লো সেই কথাগুলো অনেক সকাল দেখিনি,প্রায় ভুলে যেতে যেতে……………………



এখন প্রায়সই অরুর কথাগুলো কানে বাজে।মনে হয় এই বুঝি তাকে ছুঁয়ে ফেলেছি।কিন্তু সে থাকে shopno বিলীন রাজ্যে।আর আমি "ভুল করে ভুলে যাওয়া পথটায়"ফেরার আহবান খুঁজি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.