নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশে দেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া কোন সমাধান নয়

১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৩

এলাকার জনৈকা বৃদ্ধা আসমা খালাকে তাঁর নরাধম পুত্র ঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এলাকাবাসী এই খবরে হায় হায় করে উঠে সেই কুলাঙ্গার পুত্রকে মনে মনে শাপ শাপান্ত করেন এবং তার অবর্তমানে অন্যান্য পাড়া প্রতিবেশীর সাথে আলোচনা সমালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে এই রকম সন্তান জন্ম দেয়ার চেয়ে নিঃসন্তান থাকা অনেক ভাল।
কিন্তু আসমা খালাকে আশ্রয় দেবার কালে কাউকেই এগিয়ে আসতে দেখা যায় না।
অবশেষে নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে এলাকার কমিশনার পদপ্রার্থী জনাব কিসলু ভাই নিজ এলাকার মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে চৌধুরীদের বহুদিনের পরিত্যাক্ত ভবনের সংস্কার করে সেখানে একটি বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন, এবং উদ্বোধনকালে একটি অত্যন্ত জ্বালাময়ী ও আবেগঘন ভাষণ দেন। সেই ভাষণ শুনে এলকাবাসী অশ্রু বিসর্জন দিতে দিতে চোখ মুছেন এবং আসমা খালা ও তাঁর মতই আরও কিছু অসহায় বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের দিয়ে আশ্রম ভরিয়ে তুলেন।
এই আশ্রম প্রতিষ্ঠার ফলে এলাকায় আসমা খালার কুপুত্রের ন্যায় আরও কিছু কুপুত্রের জন্ম হয়। এরা বিপুল উৎসাহে নিজেদের বৃদ্ধ মা বাবাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে থাকে, এবং বৃদ্ধাশ্রমের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হতে থাকে।
এখন যদি বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা না করে, সচেতন এলাকাবাসী এক হয়ে আসমা খালার কুপুত্রের কলার চেপে ধরে প্রয়োজনে থাপড়ে ফাজিলটার গাল দুখানা লাল করে যদি হুমকি দিত, "মাকে সসম্মানে বাড়িতে তুলে না নিলে এলাকায় থাকতে দিব না," তাহলে এই বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিষ্ঠার কোনই প্রয়োজন হতো না। এবং তারচেয়ে বড় কথা, অন্যান্য কুলাঙ্গারেরও নিজেদের মা বাবাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবার সাহস হতো না।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে পুরো পৃথিবী এখন সোচ্চার। মানুষ কতখানি অসহায় হলে নিজ ভূখন্ড ছেড়ে নৌকায় করে সাগরে পাড়ি জমায়, সেটা উপলব্ধি করতে আইনস্টাইন হওয়া লাগে না। প্রতিদিনই তাঁদের কান্নার ছবি, মৃত্যুর ছবি বুকটা ভারী করে তুলে।
কেউ কেউ বলছেন, "ফটোশপ, ফেইক ছবি, প্রোপাগান্ডা" ইত্যাদি। অবশ্যই সব ছবি যে ১০০% খাঁটি, এমন কথা বিশ্বাস করার কোনই কারন নেই। তবে সেখানে কিছুই যে হচ্ছেনা এমন ধারনা পোষণ করাটাও মূর্খামি।
একদল লোক বাংলাদেশকে দোষ দিচ্ছে, "কেন বাংলাদেশ শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে না?"
বাংলাদেশ যে ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে "বৃদ্ধাশ্রম" ভরিয়ে ফেলেছে, তা নিয়ে কারোরই কোন মন্তব্য নেই। তাদের দাবি, আরও দিতে হবে।
আরেকদল দোষ দিচ্ছেন আরও হাস্যকর ভাবে, "মুসলিম উম্মাহর কী হলো? মুসলিম ব্রাদারহুডের এখন কী হলো?" মুসলিমরা অস্ত্র তুলে নিলেও (উদাহরণ, হামাস) এরা দোষ খুঁজে, অসহায়ভাবে মার খেলেও এরা দোষ খুঁজে। সব দোষ মুসলিমদের। ভিন ধর্মের মৌলবাদীদের কোনই দোষ নেই। এরা সাইডে থাকুক।
আরেকদল জেনুইনলিই মায়ানমারের ফাজিল সরকারকে দোষারোপ করছে। তাঁরা বুঝতে পারছেন যে, কুলাঙ্গার পুত্রকে চড় থাপ্পড় না মারলে সে ঘরের মাকে ঘরে তুলে নিবে না। এবং এই সমাধানই 'সহীহ।'
রোহিঙ্গাদের জন্মস্থান, বাসস্থান সবই মায়ানমারে। তাঁদের এই দেশ ঐ দেশে আশ্রয় না দিয়ে মায়ানমার সরকারকে শাসিয়ে বাধ্য করা হোক তাঁদেরকে তাঁদের অধিকার বুঝিয়ে দিতে। নাহলে ওরা বছরের পর বছর ধরে ওদের বহিষ্কার করতেই থাকবে। কয়টা দেশ কতদিন ধরে তাঁদের আশ্রয় দিবে?
একাত্তুরকে উদাহরণ হিসেবে নেয়া যাক।
এক কোটি বাংলাদেশী শরণার্থী ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু পাকিস্তানিদের উৎসাহে তাতে মোটেও ভাটা পরেনি। তাদের এটাই লক্ষ্য ছিল। জনসংখ্যার চাপ কমানো। হয় মেরে, নাহয় তাড়িয়ে।
ওদের শিক্ষা দেয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে।
সার্কাসের পশুকে কোলে তুলে আদর দিয়ে ট্রেন করা হয়না। বনের পশু আদর বুঝে না।
পৃথিবীর মাত্র চার পাঁচটা ছোট দেশ এক হয়ে চোখ রাঙালেই মায়ানমার সামরিক সরকারের কলিজা শুকিয়ে যাবার কথা। আফসোস চোখ রাঙাতে যে সাহস লাগে, সেটাই কারও নেই।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

কাল হিরা বলেছেন: ভাল লাগলো

১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

২| ১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

ডাঃ নাসির বলেছেন: ধন্যবাদ

১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: :)

৩| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ২:৫৪

আজমান আন্দালিব বলেছেন: আফসোস চোখ রাঙাতে যে সাহস লাগে, সেটাই কারও নেই।
মূল্যবান একটি লেখা।

১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ৩:২৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.