নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়ে যেন হয় বলিউড স্টাইলে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৪৮

মুম্বাই শহরে অবিবাহিতা মেয়েদের উপর একটা জরিপ করা হয়েছিল।
"আপনি নিজের বিয়েতে কেমন অনুষ্ঠান করতে চান?"
প্রায় ৯০% এরও বেশি মেয়ের জবাব ছিল মোটামুটি একটাই, "বলিউড স্টাইল।"
এবং বলিউড ওয়েডিং মানে কী?
এমন আয়োজন যা সাধারণ মানুষের চোখ কপালে উঠে যেতে বাধ্য করে। ক্রেন দিয়ে টেনেও যেটাকে কোটরে নামানো যায়না। দারুন ঝলমলে লাইটিং থাকবে, খাওয়া খাদ্যের থাকবে বিরাট আয়োজন। অতিথিদের ভিড়ে থাকবে সেলিব্রেটিদের উপস্থিতি, এবং তাঁরা আবার গানের তালে তালে নেচে আসরও মাতিয়ে তুলবেন।
শাহরুখ খান একটা বিয়েতে শুধু দাওয়াত নিতে কত টাকা নেন জানেন? ১৫ হাজার ডলার। মানে হচ্ছে, আপনার কাছে ১৫ হাজার ডলার থাকলে শাহরুখ খান এসে আপনার বিয়েতে একপ্লেট বিরিয়ানি খেয়ে যাবেন। বিগ ডিল!
আর শাহরুখকে নাচানাচি করাতে কত লাগবে? আট কোটি টাকা!
তিনি এমনই সুপার স্টার যাকে পয়সা দিলে যার তার বিয়েতে এসে নেচে যান। স্যরি শাহরুখ ফ্যানস, শুনিতে মন্দ ঠেকিলেও ইহাই ধ্রুব সত্য। এবং তিনি এই ফাজলামি করার সুযোগ পাচ্ছেন কারন দেশটা ভর্তি এই সমস্ত ফাজিলেই। গত বছর তিনি শুধু বিয়ে খেয়েই নাকি আশি কোটি টাকা কামিয়েছেন।
বলিউডের কথা বললাম কারন স্যাটেলাইটের যুগে আজকাল হলিউডে যা ঘটে সেটাও আমাদের দেশে ঘটতে সময় লাগে না, বলিউডতো সেখানে হোম গ্রাউন্ড হয়ে গেছে। আমি লিখে দিতে পারি, আমাদের দেশেও যদি এমন একটা জরিপ চালানো হয়, দেখা যাবে একই ফল আসছে। আর যদি না আসে, তাহলে ধরে নিতে হবে আমাদের দেশের মেয়েরা মিথ্যা কথা বলে।
কথা হচ্ছে, কারও যদি ইচ্ছা থাকে এবং বাপের পকেটেও টাকা থাকে, সে বলিউড স্টাইলে করুক, হলিউড স্টাইলে করুক কিংবা তামিল স্টাইলে বিয়ে করুক, আমার বাপের কী? আসলেই আমার কিছু যায় আসেনা। বরং আমার কোন বন্ধুর বিয়েতে আমি যদি গিয়ে দেখি শাহরুখ খান আমার পাশে বসে মাংসের রেজালার বাটি নিয়ে কাড়াকাড়ি করছেন, আমি হয়তো তাঁর সাথে তখনই সেল্ফি তুলে ফেলবো।
আমি আগেও বলেছি, কারও যদি টাকা খরচের সামর্থ্য থাকে, সেটা খরচ করার অধিকারও তাঁরই।
"সাকিব কেন হেলিকপ্টারে চড়ে বউ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে গেল" - ধরনের ফাজিলদের কাতারে আমি পরিনা।
তবে এইসব বিয়ের সামাজিক ইফেক্ট নিয়ে আমি কিছু কথা বলতে চাই, যেটা আসলেই আমাদের সমাজে গুরুতর ইমপ্যাক্ট ফেলে। যদি কারও দ্বিমত থাকে, তাহলে অবশ্যই মন্তব্য করতে পারেন।
ভারতে একটা আইন আছে, শিশু জন্মের আগে আপনি তার লিঙ্গ জানতে পারবেন না। একটা শিশু নয়মাস মাতৃগর্ভে লালিত হয়। তাঁর বাবা মায়ের অনেক আয়োজন করতে হয়। ওর জন্মের সময়ে ওর যেন যথেষ্ট পরিমান কাপড় থাকে, খেলনা থাকে, একটা নাম থাকে - ইত্যাদি। সেজন্য যত আগেভাগে অনাগত শিশুর লিঙ্গ জানা যায়, তত ভাল। প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হয়।
কিন্তু ভারতে এখনও সেটা "সারপ্রাইজ" হিসেবেই থাকে। কেন? কারন কিছুদিন আগেও ভারতে কন্যা শিশুদের ভ্রুনাবস্থাতেই হত্যা করা হতো। ব্যপারটা ছিল খুবই স্বাভাবিক। আপনার চুল বড় হয়ে গেলে সেলুনে গিয়ে যেভাবে চুল কেটে আসেন, একদম সেরকমই ক্যাজুয়াল।
এবং কাজটা শিক্ষিত সমাজেই বেশি হতো। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা, বড় বড় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সব পেশাজীবীই এই জঘন্য অপরাধ নির্দ্বিধায় পালন করতেন। অ্যামেরিকা থেকে পিএইচডি করে গেছে দুই ছেলে মেয়ে, প্রেম ও পরে পারিবারিক সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছে সেই দম্পতির - প্রথমবার যখন মেয়েটি প্রেগন্যান্ট হলো, তাঁর শ্বাশুড়ি নির্লিপ্ত গলায় শুনিয়ে দিল, "আগার বেটা হুয়া, তো ঠিক হ্যায়। হামে বেটি নেহি চাহিয়ে।"
ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলে দেয়া যে মেয়ে হলে অ্যাবর্ট করে ফেলতে হবে। এবং মেয়েটিও শ্বাশুরীর কথার কোন প্রতিবাদ করলো না। আগেই বলেছি, মেয়ে এবং তাঁর স্বামী দুইজনই পিএইচডি! শ্বাশুড়িও সেখানকার কোন এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
সামাজিক প্রথা বলে কথা!
ফলফল, এখন ভারতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা কম। ভারতের একটি বিরাট সংখ্যক পুরুষ সালমান খান হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এবং কোন কোন অঞ্চলে আরও ইন্টারেস্টিং কিছু প্রথার জন্ম হচ্ছে। যেমন একটি মেয়েকে এক ভাই বিয়ে করে আনেন। দুই তিনমাস সংসার করার পর তালাক দিয়ে আরেক ভাইয়ের সাথে বিয়ে দেন। এবং দুই তিনমাস পর সেই ভাইটিও তালাক দিয়ে তৃতীয় ভাইয়ের সাথে বিয়ে দেন। এবং তারপর আবার তালাক দিয়ে প্রথম ভাইয়ের সাথে মেয়েটির বিয়ে হয়। আশেপাশের দশ গ্রামে বিবাহযোগ্যা মেয়ে নাই, কী করবে? তার চেয়ে ঘরের বউ কি ঘরেই রেখে দেয়া ভাল না?
যাই হোক, আগের বিষয়ে ফেরত আসি। কেন মেয়েদের ভ্রুনাবস্থায় হত্যা করা হচ্ছে? কারন মেয়েদের সংসারের "বোঝা" ভাবা হচ্ছে। ওরাতো প্রকাশ্যেই বলে, "বেটিতো পারায়া ধন হতি হ্যায়।"
মেয়েরা অন্যের আমানত হয়ে থাকে।
এবং তাদের অবচেতন মন একটি আতংক চেপে রাখার চেষ্টা করে, যা প্রায়ই বেরিয়ে আসে, সেটি হলো - একদিন এই মেয়ের বিয়ে দিতে হবে। যেই মেয়ের স্বপ্ন হচ্ছে "বলিউড ওয়েডিং।" এবং যার খরচ সম্পূর্ণটাই বাপের পকেট থেকেই যাবে। বাপের সামর্থ্য থাকুক, কী না থাকুক। সেই সাথে যোগ করুন যৌতুকের খরচ। ভারতে এখন পাঁচ ছয়শ কোটি টাকাতেও একেকটি বিয়ে হয়। বিশ্বাস না হয়, গুগল সার্চ করুন, "Big fat Indian wedding."
একটি সাধারণ লোক সারাজীবন কাজ করে ষাট বছর বয়সে রিটায়ার করেন। এখনকার চিকিৎসাবিদ্যার উন্নতির কারনে তিনি আরও বিশ পচিশ বছর বেঁচে থাকেন। তাঁর স্ত্রী তাঁর চেয়ে বয়সে যদি দশ বছর ছোট হন, এবং "মেয়েরা পুরুষের চেয়ে বেশিদিন বাঁচে" থিওরিটি এখানে অ্যাপ্লাই করি, তাহলে দাঁড়ায় যে তাঁর স্ত্রী আরও দশ থেকে পনের বছর বেশি বাঁচবেন। মানে রিটায়ারের সময়ে ভদ্রলোককে নিজের ও নিজের স্ত্রীর জন্য মোটামুটি তিরিশ পয়ত্রিশ বা চল্লিশ বছরের জন্য টাকা জমিয়ে রাখতে হবে।
কিন্তু এই বিপুল পরিমান টাকার প্রায় পুরোটাই তাঁর কেবল একটি কন্যার বিয়েতেই খরচ হয়ে যেতে বাধ্য। মেয়ের বিয়ে দিয়ে বাপ মাকে সর্বস্ব হারিয়ে ফুটপাথে নেমে আসার উদাহরণ ভারতে ভুরিভুরি আছে। "বলিউড ওয়েডিং" বলে কথা! কাজেই এই আতংক তাদের এমনই অন্ধ করে দেয় যে নিজের সন্তানের হত্যাকান্ডও তাদের কাছে অপরাধ বলে মনে হয়না। "চাচা, আপন প্রাণ বাঁচা!"
হৃদয়ের লেনদেনেও এই ভাবনা ইফেক্ট ফেলছে। মেয়েরা সবসময়েই বলে, "আমার স্বপ্নের রাজকুমার!"
কেউ কখনই বলেনা, "আমার স্বপ্নের একাউন্টেন্ট। কিংবা আমার স্বপ্নের টিচার!"
রাজকুমারের (ধনী বাপের সন্তান) সামর্থ্য আছে ড্রিম ওয়েডিং উপহার দেয়ার, দামী ব্র্যান্ডেড শাড়ি, ভরি ভরি গহনা উপহার দেয়ার। একাউন্টেন্ট বা শিক্ষকের নেই। ফ্যাক্ট অফ লাইফ।
কাজেই, দেখা যায় স্কুল জীবন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত চুটিয়ে প্রেম করা হাই স্কুল স্যুইট হার্ট কাপলের ব্রেকাপের পর প্রথম সুযোগেই মেয়েটি ধনী কোন যুবকের গলায় ঝুলে পরে। এবং ধুমধাম করে বলিউড ওয়েডিংয়ের বছর দুয়েকের মাথায় ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। কেন?
"কারন ও আমার কাছে শুধু শরীরটাই চায়, মন না।"
আপা, ব্যবসায়ীকে বিয়ে করলে আপনার প্রথমেই বোঝা উচিৎ, তাঁর কাছে টাইম ইজ মানি। সারাদিন টাকার পেছনে ছুটে ছুটে অমানুষিকভাবে ক্লান্ত লোকটির হাতে আপনার সাথে রোমান্টিক কথা বলে নষ্ট করার মতন ফালতু সময় নেই। তিনি সেটাই চাইবেন যেজন্য আপনাকে বিয়ে করেছেন। হৃদয়বান স্বামী চাইলে আপনার উচিৎ ছিল ৯টা-৫টা অফিস করা সাধারণ কোন চাকরিজীবিকে বিয়ে করা। "গরিব স্বামী টাকার অভাব ভালবাসা দিয়ে পুষিয়ে দেয়" - হুমায়ূন স্যারের উক্তি।
ডিসক্লেইমার দিয়ে দেই। সব ব্যবসায়ীই যে "মন নয় বরং দেহ তত্বে বিশ্বাসী" এমন নয়। অনেক ব্যবসায়ীকেই দেখেছি হ্যাপী কাপল। আবার অনেক চাকরিজিবিকেও অসুখী হতে দেখেছি। যার যার প্রায়োরিটি। মানুষে মানুষে নির্ভর করে।
সেদিন আমাদের রেডিও অনুষ্ঠান এক কাপ চায়ে এই বিষয় নিয়েই আলোচনা উঠেছিল। চলচ্চিত্রকার ফরহাদ ভাই ফোনে জানালেন, তিনি এমন এক মেয়েকে চিনেন যার জেদ ছিল চীন মৈত্রী সম্মেলনে তাঁর বিয়ে হবে। বাপের পকেট থেকে ১৫ লক্ষ টাকা বের হয়ে গেল। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই আপামনির ডিভোর্স হয়ে গেল। এখন আপাতো বাড়িতে বসে আছেন। আর তাঁর বাপ? পথে।
কথা হচ্ছে, বিয়ে মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা - এটি কোন হেলাফেলার বিষয় না। এবং শোঅফের বিষয়তো অবশ্যই না। আপনার বিয়েতে বলিউডের বাদশাহ আসলো, না পাশের বাড়ির আবুল মিস্ত্রী - তাতে কিছুই যায় আসেনা, ট্রাস্ট মি। উল্টা এক শ্রেনীর আত্মীয় অবশ্যই আসবেন যারা এত আয়োজনের মধ্যেও নানা খুঁত খুঁজে বের করে সমালোচনা করবে। আপনার বিয়েতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনার জীবন সঙ্গী/সঙ্গিনী, বিয়েতে আপনাকে রেমন্ডের স্যুট দিল, নাকি মুনলাইট টেইলর্সের ফরিদ আলী দর্জির হাতে বানানো স্যুট - It shouldn't matter. অনুষ্ঠানের আয়োজন বাদ দিয়ে তাঁর মন দেখার চেষ্টা করুন। তাঁর বা তাঁর বাপের পকেট থেকে চোখ সরলেই তাঁর মন আপনি দেখতে পাবেন।
এবং আপনার সামর্থ্যে যদি থাকে, তাহলেই কেবল বিয়ের আয়োজন করুন। সামর্থ্যে না থাকলে করবেন না। পাড়া প্রতিবেশী কী বলবে সেটা নিয়ে ভাবছেন? বললাম না, এইরকম ফাজিল আপনি সবসময়েই পাবেন। বরং প্রকৃত বন্ধু তারাই যারা আপনার বিয়েতে বিরানি খেল নাকি শুধু খেজুর, সেটা নিয়ে মাথা ঘামায় না। আপনার সুখেই তাঁরা সুখী হয়।
সংসার জীবনে ডিভোর্স অত্যন্ত মর্মান্তিক একটি দুর্ঘটনা। অথচ আজকে দেশ ভর্তি হয়ে যাচ্ছে ডিভোর্সের ঘটনায়। এবং প্রধান কারণ অ্যাডজাস্টমেন্ট না হওয়া। হবে কিভাবে? ভুল ভিত্তিতে আপনি ইমারত গড়ার চেষ্টা নিয়েছিলেন। ধুতুরার বিজ বপন করে তাতে যতই সার আর পানি দিন না কেন, তা থেকে কখনই গোলাপ ফুটার নয়।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৫৪

কলাবাগান১ বলেছেন: "ফলফল, এখন ভারতে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের সংখ্যা কম। "!!!!!!!!!!!!!!!!

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:১৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাই কী বুঝাতে চেয়েছেন বুঝিনি।

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:১৫

জাহিদ হাসান মিঠু বলেছেন: টপিকটা এবং লেখাটা দুটোই ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ!

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২১

হাক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
সবশেষে একটি হাদিস,যার মোটামুটি অর্থ,
যে বিয়েতে খরচ যত কম,সে বিয়েতে বরকত তত বেশি।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।

৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২২

কলাবাগান১ বলেছেন: ছেলেদের সংখ্যা কম না মেয়েদের সংখ্যা কম?

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: শুধরানো শেষ, ধন্যবাদ! :)

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

আরজু পনি বলেছেন:
শিরোনাম দেখে কিছুই বুঝিনি কত গভীরে লিখেছেন ।

আমি গত ১৫ তারিখ এক এংগেজমেন্টে গেলাম রীতিমতো বিয়ের আয়োজন ! একটা চায়নিজ রেস্টুরেন্টে প্রায় পাচশত মানুষ খেল...
ভাববেন নিশ্চয় মেয়ের দাবী ছিল এমন...নাহ।
ছেলের বাপের দাবীর কাছে হার মেনেছে মেয়ে পক্ষ । ছেলের পক্ষের একশত/দেড়শ মানুষ এসেছে কিন্তু বাকীদেরকে মেয়ে পক্ষ দাওয়াত দিতে বাধ্য হয়েছে এই কারণে যে বিয়ের দিন কোন মুসলমান সেই বিয়েতে থাকতে পারবে না...ছেলের বাপের তেমনই আদেশ !

পাত্র-পাত্রী সনাতন ধর্মের নয়। অন্য আরেকটি ধর্মের ...নাম বলতে চাইছিনা । বিয়েতে কোন ঝামেলা যেনো না হয়, তাই এই নিয়ে অনলাইনে কিছু লিখিওনি । কিন্তু খুব দুঃখ পেয়েছি একজন বড় অফিসারের এমন মানসিকতার !
যাই হোক...
সমঅধিকারের কথা এই কারণেই আমি বলিনা । মহিলা পরিষদে একটা প্রেজেনটেশনে আমি সুযোগ পেয়ে বলেছিলাম বিয়ের খরচ ছেলে যতটা করে মেয়ে নিজে ততটা করেনা...তাহলে সমঅধিকার কীভাবে হলো ?

মেয়েদের এইসব সীমাবদ্ধতা বেড়িয়ে তারপর সমঅধিকারের কথা বলা উচিত ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৪৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

আরজু পনি বলেছেন:
পোস্টটা কখনো কাজে লাগতে পারে...তাই নিজের শোকেশে রাখলাম ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৪৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বিয়া করারই কোন দরকার নাই! :D

গুড পোস্ট ||

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৪৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: লোল

৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কঠিন কিছু সত্যি তুলে ধরেছেন
শুধু বলিউড স্টাইলে বিয়ে হলেই হবে না সাথে বর যাত্রী তে আসা সবার জন্য পোশাক এবং মেয়ের সংসারের যাবতীয় নিত্য প্রয়োজনীয় উপকরন দিতে হয় ।অবশ্যই উপরতলা নীচতলা হিসেবে সাধারন শ্রমিক বাই সাইকেল ত ডিপ্লোমা ধারী মারুতি আর উচ্চ বিত্তের কথা না বা তুল্লাম ।
অত দূরে কেন আমাদের নিজেদের অবস্থা ও তথৈবচ অন দ্যা ওয়ে তে আছে , আজকাল জুনিয়র ছেলে দের সাথেই কথা বলে দেখুন
বলবে আজকাল এরেঞ্জ ম্যারেজ এক বিড়াট প্যারা ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৪৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সেটাই সমস্যা, পালায় বিয়ে করাও যন্ত্রণা, অ্যারেঞ্জ ম্যারেজও সমস্যা।

৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

শাকিল ১৭০৫ বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৪৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যাবাদ!

১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ভাল পোস্ট।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৫২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যাবাদ!

১১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

কৃষ্ণ কালো বলেছেন: +++
এই পোস্টটি প্রিয়তে নিলাম। আজ না লাগুক কাল লাগতে পারে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৫২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যাবাদ!

১২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

আমি স্বর্নলতা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

ছেলের পরিবার যদি খুব বেশি ধনী হয়ে থাকে তবে তাদের দিক থেকে দেখেছি ডিমান্ড থাকে যে মেয়ের বাবা যেন বেশ বড় করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। কারন এটা নাকি তাদের প্রেস্টিজের ব্যাপার। আত্বীয় স্বজন দেখবে, আশে পাশের মানুষজন দেখবে আরো কত কি।

এখনকার যুগে অনেক মানুষই ভালো মনের মানুষ খুঁজে না তারা শুধু দেখে কার কত টাকা আছে বা কার স্ট্যাটাস কত বেশি।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৫৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যাবাদ!

১৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: বর্তমান সময়ের বিয়েগুলো আমার কাছে একেকটা বিজনেস ডীল এর মত মনে হয় । জমকালো অনুষ্ঠান করে ডীল করলো পরে লেনা দেনায় একটু হেরফের তো ডীল ক্যান্সেল !

ডিভোর্সের সময়ও জমকালো অনুষ্ঠান করে শাহরুখ, সালমানকে এনে করালে ভাল হতো !!

আপনার লেখা পোস্টটি ভাল লেগেছে । অনেক ধন্যবাদ ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৫৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাল বলেছেন

১৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

গোধুলী রঙ বলেছেন: কাল রাত থেকে আমাদের পাশের বিল্ডিংয়ে ধুম ধাম শুরু হইয়া গেছে, বিয়ে বাড়ি ঢোকার আগে প্রায় হাফ কিলো রাস্তা লাইটিং, ২ টা গেট। কাল রাতে ছিলো গায়ে হলুদ, একটা ছুটা ব্যান্ড নিয়া রাত ১ টা পর্যন্ত মাস্তি করলো, আজ রাইতে মনে হয় বিয়া।

আমার বউরে অনেক বইলা বুঝাইতে পারছি আমাদের সমাযে এত ধুমধাম বিয়ার কুপ্রভাব কি, তার মনে অনেক খেদ ছিলো তার বিয়া অত ধুমধামের সাথে হয় নাই।

১৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দেখুন অনেক মেয়েরই এমন স্বপ্ন আছে কিন্তু যেখানে মেয়ে কতটুকু পড়বে কি পড়বে না বেশীরভাগ সময় এই সিদ্ধান্তই তাকে নিতে দেয়া হয় না সেখানে তার বিয়ে কিভাবে হবে এই আবদার কয়টা পরিবারে চলে? বেশীরভাগ সময় বরের পরিবারের দাবী দাওয়া মেটাতে , কোন নিন্দার সুযোগ যেন না থাকে সেজন্য বিস্তর অপচয়ে এত জাঁকজমকের বিয়ে হয়।

১৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমাদের জীবনতো গেলে এই ভেবে যে আশেপাশের মানুষ কি বলবে, কি ভাববে এসব ভেবে। আজকাল বিয়েতে, গায়ে হলুদের প্রোগ্রামে এমন সব জাঁকজমক করে করা হয় যেতেও ভয় লাগে আর নিজেকে সে অনুযায়ী প্রেজেন্টেবল করে তুলতেও খরচ হয়ে যায়। এসব বিয়ের প্রোগ্রামের খরচ বাবা-মায়ের উপর একটা চাপের মত হয়ে দাঁড়ায়। ব্যাপারটা ভয়াবহরূপে দেখা দিচ্ছে

১৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫

আবু শাকিল বলেছেন: আপনার লেখার মূল বিষয় বোঝতে পেরেছি।আমাদের দেশেও বিয়ের আরেক সসংস্কৃতি শুরু হয়ে গেছে। এগুলা থামাবে কে।আমাদের দেশে বিয়ের সেকাল আর একাল শাহরিয়ার ভাইয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস টা হুবহু তুলে দিলাম-
গতকয়েক বছরে মাইনষের বিয়া শাদী দেইখা যা বুঝলাম, কুটিকুটি ট্যাকার ব্যাকাপ না থাকলে বিয়া করন যাইবো না।
.
এখনকার গায়ে হলুদ আগের মত বাড়ির ছাদে প্যান্ডেল টাঙ্গাইয়া করলে পোষায় না। এরজন্য পুংপাং চাইনিজ রেস্ট্রুরেন্ট বুক দেওন লাগে। সেই লেভেলের স্টেজ করন লাগে।
বর কনেরে আগে হলুদে ঘরের থেকেই সাজায় দিতো, এখন হলুদেও পার্লারে যাওন লাগে। শুধু কনে গেলে হয় না, লগে পুরা এক ব্যাটেলিয়নেরো পালিশ করায়া আনন লাগে।
.
স্কুল ড্রেসের লাহান হলুদেও এখন আগত গেস্টদের সবাইকে একি কালারের শাড়ী পাঞ্জাবী দেওন লাগে। ডিজে আনন লাগে, নাচ গানের শিল্পীও ভাড়া করা লাগে।
.
ওপেন সিক্রেট খরচ আরেকটা হচ্ছে মিড নাইটে ফ্রেন্ড/কাজিনেগো মদের বতলের আবদার, না করা যাবে না। যেই মাইয়া বাপের জনমে কফিও খায় নাই হেও হেইদিন দুই এক প্যাগ মারে, বিদেশী সিগারেট টানে!! আর পোলাডির কথা নাহয় বাদই দিলাম।
.
হেরপর যেনতেন জায়গায় বিয়া করন যাইবোনা তাইলে নিজেদের+গেস্টদের ফেবুকে চেকিন দিতে ইজ্জতে বাধবে। সো লাখটাকা ভাড়ার কনভেসশন সেন্টার বুক দেও। যেই কনভেনশন সেন্টারের ভাড়া প্রায় লাখ টাকা তার খাওনের রেট নিশ্চই কাকেলা ডাব্বার মত না। ৪০০ টাকার প্লেট ৮০০ নিবে।
.
এই ডাবল রেটকে এবার হাজার খানেক গেস্ট দিয়ে গুন করেন। সাথে আবার জনপ্রতি ‘ইউনিক’/‘গর্জিয়াস’ কার্ডের খরচ দিয়াও গুন কইরেন। খরচের ডিজিট আটাইতে নরমাল ক্যাল্কুলেটারেও কস্ট হইয়া যাইবো।
.
এখনকার বিয়াতে সব কিছুর চেয়ে ইম্পর্টেন্ট পার্ট হচ্ছে ফটোগ্রাফি। নামি দামী ফটোগ্রাফার ডাইক্কা প্রি ওয়েডিং, ওয়েডিং, পোষ্ট ওয়েডিং ফটোগ্রাফি কইরা ঐখানেই প্রায় আধালাখ টাকার ধাক্কা সামলাও।
.
এডিতো সাইডের ব্যাপার স্যাপার, আসল খরচের জায়গাই তো বাদ দিসি।
মিনিমাম ৫-১০ ভরি স্বর্ণ না হইলে মাইয়ারে সাজান যায় না!! (দুইন্নাইতে কি স্বর্ণ ছাড়া আর কোন কিছু দিয়া অলঙ্কার বানায় না নাকি!! -_- )
শাড়ীও দেখি নাম্বার আছে। বিয়ার প্রথম শাড়ী, দ্বিতীয় শাড়ী তৃতীয় শাড়ী!! কোনডার দাম ২৫-৫০ হাজারের কম না। সাথে আবার সেই ফুল গ্যাং সহ পার্লার খরচ তো আছেই।
.
পোলাডিও কম যায় না। এখন পোলাগোরেও পার্লারে যাওন লাগে। ১৫-২০ দিন আগের থেকে ফেইসিয়াল ফুইসিয়াল স্পা মারন লাগে। যেই পোলা ইহো জনমে কোনদিন ২০০ টাকার উপ্রে ঘড়ি পিন্দে নাই তারে বিয়ার দিন রাডো/রোলেক্স পিন্দন লাগবো। এক্সপেন্সিভ শেরয়ানী/ সুট কোট এইসব তো আছেই। আজীবন খুর দিয়া শেভ করা পোলার বিয়াতে ফিউশন রেজার লাগে -_-
.
‘গেট ধরা’ আগে ছিলো বিয়াতে মজার পার্ট এখন আতঙ্কের পার্ট। ২০-৫০ হাজার বা এক লাখ এখন কমন ব্যাপার গেটে!!
কাবিনের সময় চলে আরেক কামড়াকামড়ি। কাবিনের টাকা দেয়ার ক্ষমতা পোলার আসলেই আছে কি নাই তাঁর দিকে কারো খবর নাই, ১৫-২০ লাখ প্লাস কাবিন না হইলে সমাজে ইজ্জত থাকে না!
.
.
এরপরো দেখবেন কাউরে খুশি করন যায় না। মাইনষে বিয়াতে আইবো, গলা হমান খাইবো এরপর টুথপিক দিয়া দাঁত খোঁচাইতে খোঁচাইতে ‘মাংসো মঞ্জে নাই’/ ‘পোলা মোডা’/ ‘মাইয়া কালা’/ ‘মেয়ের শাশুড়ির ননদের ভাসুরের তালতো ভাইয়ের খালতো ভইনের চোখ ট্যারা’ এইসব কইতে কইতে আপনার খাইয়া আপনারেই খোঁচায় যাইবো..
.
এখনো কিচ্ছা শেষ হয় নাই। হানিমুন বাকি আছে।
বাপের জনমে এসি ট্যাক্সিক্যাবে চড়ার এক্সপেরিয়ান্স না থাকলেও বিমানে কইরা কক্সবাজার যাইতে হবে এন্ড বিমানে উডার মূহুর্তে একটা আর নাইম্মা আরেকটা চেকিন দিতে হবে।
আপনি যেই লেভেলেরই পাব্লিক হন না ক্যান হানিমুনে অবশ্যই ফাইভস্টার হোটেলে থাকতে হবে। বাত্তি নিভানির মোমেন্ট ছাড়া বাকি সব মোমেন্টের ছবি ফেবুকে দিতে হবে।
আর ইনফিনিটি পুলে বউ জামাই গলা হমান পানিতে নাইম্মা একটা সেলফি ফেবুকে না দিলে এযুগে হানিমুন সম্পন্ন হয় না। :3
.
.
এতো কিছু করার পরে যদি সুখি হয় তাইলে তো আলহামদুলিল্লা, মগর স্যাড নিউজ ইজ ‘ডিভোর্স’ ব্যাপারটা এখন ক্যান্সারের মতই এভেলেভেল হইয়া গেছে। আর সাংসারিক কাইজ্জা কইরা শুধু সামাজিক সম্মান রক্ষার্থে ফেইক হাসি দিয়া নিয়ম রক্ষার সংসার করে যাচ্ছে এমন কাপলের সংখ্যা কোন অংশে কম না।
.
হইবোও না বা ক্যান? এতোক্ষন যেই আয়োজনের কিচ্ছা কইলাম এটা কিন্তু কোন কুটিপুতির ঘরের বিয়ে না। আমার আপনের মত মিডেল্কক্লাস ফ্যামেলির।
.
একটা মিডেলক্লাস ফ্যামেলির ছেলে পড়াশুনা শেষে কয় টাকাইবা কামাইতে পারে বা ছেলে মেয়ের বাবা-মার কয় টাকাইবা সেইভিংস থাকে যে একটা পোলামাইয়া বিয়া দিতে এমন হাতি ঘোড়ার আয়োজন করার ক্যাপাসিটি থাকবে?
.
‘লোকে কি বলবে’ বা মাইনষেরে একটু দেখানির জন্য বিবাহিত জীবনের শুরুটাই করা লাগে লোনের বোঝা নিয়া। কেউ তা উত্রায় যাইতে পারে আর বেশিরভাগই টানাটানির মধ্যে পড়ে। আর এই টানা টানির মাঝে একজনে ধর্য্যহারা হইলেই সংসারে টানপড়োন শুরু হয়, ক্ষেত্রবিশেষে সংসারো শেষ হইয়া যায়।
.
শুধু “লোকে কি বলবে” ব্যাপারটাই শেষ হয় না। সংসারের আগে, সংসারের সময় বা সংসার ভাঙ্গার পরেও ‘লোকের বলা’ চলতেই থাকে।

১৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

অর্বাচীন পথিক বলেছেন:
ব্যাপক লাগলো লেখাটা।

সত্যি আমি নিজে ও মনে করি বিয়ে তার নিজের ক্ষমতা অনুসারে করা উচিত। তবে সেটা শুধু বিয়ে না আমার মনে হয় কাবিনের টাকার ক্ষেত্রে ও। আমার আর আমার বোসকার সম্পর্ক ছিল পাঁচ বছরের। বিশ্বাস আর ভালবাসার সম্পর্ক। কিন্তু আমাদের আংটি বদলের আগে তার আম্মা মারা যায় আর সেই কারনে কিছু ভুল বোঝা বুঝি মত দুই পরিবারের মধ্যে।
এক সময় আবার হঠাৎ করে আমাদের বিয়ে হয়ে যায় কোন রকমের প্রস্ততি ছাড়ায়। রেস্টুরেন্ট বসে দুই পরিবার আমাদের উপর দায়িক্ত দেয় "তোমরা ঠিক করো তোমাদের বিয়ের কাবিন নামা কত হবে"

ফলাফল- খুবই হাস্যকর কাবিন নিধারণ করতে বলি আমি তাকে কারন আমি নিজে জানি তার ক্ষমতা। কারন আমার বিশ্বাস আছে তার প্রতি আর আছে ভালবাসার মাত্র। আমাদের সমাজে বিয়ের অনুস্টান, কাবিনের টাকা আর কি দিলো না দিলো তাই নিয়ে যত আলাপ। আমার নিজের বিয়ের পর ও আমাকে এই সব কিছু সহ্য করতে হয়েছে। তবে আমি খুব নিষ্ঠুর মনের মানুষ। কারো কথা গায়ে মাখি না :P

আপনার কথা টা খুব ভাল লাগলো "ধুতুরার বিজ বপন করে তাতে যতই সার আর পানি দিন না কেন, তা থেকে কখনই গোলাপ ফুটার নয়।"

আমার নিজের বিয়ের কাহিনী টা নিজে লিখেছিলাম। এখানে সেটা দিলাম :)
-------------
আমার বিয়ে ঘটনা শুনলে প্রচলিত প্রবাদের কথা মনে পড়ে যাবে। সেই প্রচলিত প্রবাদ "উঠ ছুড়ি তোর বিয়ে"।
আমার মানে আমাদের বিয়ে হয়েছিল প্রচলিত নিয়মের বিয়ে থেকে একে বারে আলাদা। সেই দিন ও আমি সকাল নয়টায় ইউনিভার্সিটিতে ডুকে ছিলাম। সারা দিন পিসির সামনে হা করে বসে কাজ সব শেষ করে সন্ধ্যা সাতটায় ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়েছি। আমি রুমে ফিরে দেখি আমার আম্মু আব্বু রেড়ি হচ্ছে আমার শশুরের সাথে দেখা করতে যাবার জন্য আর তাদের সাথে যাবে আমার দুই মামা। ফোন এলো আমি যেন অবশ্যয় যাই তাদের সাথে দেখা করতে। উদ্দেশ্য আর কিছুই না চা চক্রের দাওয়াত আর দুই পরিবারে সরাসরি কিছু আলাপ।
সাতটা পনের মধ্যে বেরিয়ে পড়লাম আমরা উত্তরা থেকে মিরপুরের উদ্দেশ্যে।
রুমে ফিরে হাতের কাছে পেলাম আকাশী রংয়ের একটা জামদানি (যেটা আমি এক বছরের ভালবাসা দিবসে উপহার হিসাবে পেয়েছিলাম নিশাতের কাছ থেকে আর করলাম আমার সেই চিরচেনা সাজসোজ্জা। পিতলের কাটা দিয়ে খোঁপা, কানে ছোট দুটি পাথরের দুল, আকাশী রংয়ের টিপ আর দুই হাত খালি (সময়ের অভাবে চুড়ি পরতে পারিনি)। তার কিছুদিন আগে আমার কোমর ছাড়ানো চুল কেটে একে বারে ভোতা করে ফেলেছি একজনের উপর রাগ করে। সব মিলিয়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেলাম দেখা করতে। আর সেদিনে বোসকার পোশাকের বর্ননা আর না দেই।

ঢাকা শহরের জ্যাম উৎরে মিরপুরের ঢুকলাম প্রায় রাত সাড়ে নয়টায়। গাড়ি থেকে নামতেই দেখলাম "আমিন ভাইয়াকে" কিছুটা হতবাগ হলাম সাথে সাথে। গিয়া বসতে শুরু হল দুই পরিরারের আলাপচারিতা। তখন ও পর্যন্ত "বোসকার" দেখা নাই আর জানাও ছিল না আসলে কি হতে চলেছে। একটু পর বোসকা এলেন তার দুই বন্ধু সমেত। প্রায় ৪ মাস পর তার সাথে আমার আবার ও দেখা হল সেদিন।
আমার শুশুর প্রস্তাব রাখলেন তখনই বিয়েরর কাজটা সম্পর্ণ করার জন্য। আমার আব্বু আম্মু শুনে তো নারাজ, না কোন ভাবেই এটা সম্ভব হবে না। কিন্তু আমার বড় আর সেজ মামা রাজি হল যেহেতু আমাদের এত দিনের জানাশোনা (এখানে অনেক ঘটনা আছে আর একদিন বলবো)। অবশেষে আমার মামাদের অনুরোধে আব্বু-আম্মু বিয়েতে মত দেয়।

রাত ১১টায় আমাদের বিয়ে হল কাজি অফিসে বসে। আর আমাদের সাথে ছিল দুই পরিবারের সব মুরুব্বীরা। আমরাই মনে হয় প্রথম যাদের কে কাজি অফিসে ধরে নিয়ে গেছে দুই পরিবারের মুরুব্বীরা।
বিনা নোটিশে আমাদের বিয়ে হয়ে গেল। বোসকার ভাষায় "আমাকে তো কোড করা থেকে তুলে নিয়ে বাপ বিয়ে দিয়ে দিলো"

আজ আমাদের বিয়ের দিবস না কিন্তু তার পর ও লিখলাম এটা নিয়ে। কারন অনেকে আমার বিয়ের ছবি দেখতে চাই আর যারা দেখতে চাই তাদের কে বলবো -
"আরে ভাই আমি এখন ও পর্যন্ত আমার বিয়ের ছবি দেখিনি, তোদের কি দেখাবো"।

১৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

সুমন কর বলেছেন: লেখা নিয়ে আর কি বলব !! অসাধারণ !!
আমি চেয়েছিলাম, বিয়েতে যেটুকু খরচ করলেই হয়, শুধু সেটুকুই করা হোক।

বরং প্রকৃত বন্ধু তারাই যারা আপনার বিয়েতে বিরানি খেল নাকি শুধু খেজুর, সেটা নিয়ে মাথা ঘামায় না। আপনার সুখেই তাঁরা সুখী হয়।

২০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বিয়েতে বেশি বেশি খরচ করা আজকালকার ফ্যাশন।

২১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০০

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আমি ঠিক এই কারণেই এক সন্তান নীতি অথবা দু সন্তান নীতি সমর্থন করিনা । বিশাল পার্থক্য করে দেয় ।

২২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫৬

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: ধনীদের কথা বাদ দিলাম আজকাল যারা দিনে এনে দিনে খায় তারাও বিয়ে উপলক্ষে চার পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলে যার সবটুকুই ধার র্কজ নিয়ে করা ।

২৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

এরশাদ বাদশা বলেছেন: শিরোনাম দেখে বোঝার উপায় নেই, কতোটা গভীর চিন্তার ফসল এই পোস্ট। লগ আউট করে বের হয়ে যাবার পর আবার কি মনে করে আপনার পোস্টে ঢুকে পুনরায় লগইন করতে হলো, এটা বলার জন্য- ভেরি ওয়েল সেইড!

২৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পুরুষ শাসিত সমাজে আমাদের দেশের মেয়েদের ভুমিকা কম।
ছেলের পরিবার খুব ধনাড্য হয়ে থাকে তবে তাদের ডিমান্ড থাকে যে মেয়ের বাবা যেন বেশী জাঁকজমকপুর্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। কারন - প্রেস্টিজের ব্যাপার।

২৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

সায়েম মুন বলেছেন: লেখাটা ভাল লাগলো।
এখন একটা সাদামাটা বিয়ের আয়োজন করতে গেলেও কয়েক লক্ষ টাকার মামলা। কি দরকার বাড়তি ঋণের বোঝা কাধে নিয়ে সংসার জীবনের শুরুটা করার! আসলে লোক দেখাইন্না জাতি হলে ক্ষতির অন্ত নেই। এই কথাটা জেনেও অনেক ঢাকঢোল পিঠায় ফাটায় ফেলে। এবং একদিন পস্তায়। এর চাইতে হস্তায় মেরে দিলে বাকী টাকাটা পরবর্তীতে কাজে লাগানো যায়।

২৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৯

নতুন বলেছেন: এর পেছনে আরেকটা বিষয় কিন্তু দায়ী সেটা হইলো আমাদের মিডিয়া...

টিভি,নাটক,ছবিতে সবাই দেখে যে এই রকমের স্টইলে বিয়ে হচ্ছে তাই তারাও সেই রকমের স্বপ্ন দেখে...

আবার ব্যবসায়ীরাও কিন্তু চায় যে সবাই এই রকমের খরচা করুক :) তাই তারাও এটাকে প্রমোট করে।

কিন্তু নিজেকে বুঝতে হবে আমার কি করা দরকার।

সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে অনেকেই ভাব ধরে এবং বেশি খরচ করে। লোক দেখানো ভাবটাই সমাজের মুখোশ হয়ে যাচ্ছে।

২৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

আফরীন সুমু বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। ভালোলাগা এবং প্রিয়তে রাখলাম। আমার মতে মেয়ে পক্ষ কিংবা ছেলে পক্ষের চাইতে মেয়ে বা ছেলের ভুমিকাই এক্ষেত্রে বেশি কাজে আসবে। তারপরেও রিচুয়াল কিংবা মেনটালিটি বড় শক্ত জিনিস।

২৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

নির্বাসিত কবি বলেছেন: অভিভূত হবার চরমে পৌছে দিয়েছেন। ভাল লাগার পুরোটা দিয়ে দিলাম।

২৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩১

একলা ফড়িং বলেছেন: স্তবতা খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। আজকালকার বিয়েগুলো ঠিক বিয়ে বলেই মনে হয় না! বলিউডি মুভির শ্যুটিং বলে মনে হয়। বেশ কয়েকদিন আগে থেকে রিহার্সাল চলতে থাকে। হলুদ সন্ধ্যা মেহেদী সন্ধ্যা রিসিপশন বৌভাত আরও কত কি! ফটোগ্রাফির নামে যা হয় তা রীতিমত বিরক্তিকর। আগেরদিনের ঐতিহ্যগত সাদামাটা বিয়ে বরং অনেক বেশি সুন্দর ছিল।

সবসময় যে মেয়ের ইচ্ছেতে হয় এমন কিন্তু নয়। অনেক বাবা মা এবং অন্য মুরুব্বিদের ইচ্ছে থাকে এভাবে আয়োজন করে বিয়ে দিতেই হবে। অনেক সময় ছেলেপক্ষ থেকেও এর জন্য চাপ দেয়া হয়। তাদের চাপে মেয়ের পরিবারকে সাধ্যের অতীত চেষ্টা করতে হয়।

ব্যক্তিগতভাবে এত আয়োজন করে বিয়ে মোটেই পছন্দ নয়। খুব কাছের কয়েকজন আত্মীয়, বন্ধুর উপস্থিতিতে ছোট পরিসরেই ভাল। লোক দেখান জাকজমকের প্রয়োজন নেই। দামি শাড়ি গয়নার প্রয়োজন নেই। প্রিয় মানুষটির দেয়া বেলী ফুলের মালাই সই।

৩০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬

রুিচতা বলেছেন: অসাধারন!!!!!

৩১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

আমি ইহতিব বলেছেন: দারুন লিখেছেন। কাল রাতে মোবাইলে পড়েছিলাম, তাই তখন মন্তব্য করা হয়নি। এখন মন্তব্য করতে এসে অন্যদের মন্তব্যগুলো পড়েও ভালো লাগলো।
আমার বিয়ের ঘটনা একটু শেয়ার করতে ইচ্ছে হচ্ছে। ০৮.০৮.২০০৮ এ আমার বিয়ে হয় পছন্দের মানুষের সাথে পরিবারের অনুমতি নিয়েই। ঘরোয়াভাবে বিয়ে হয় তখন। পরে অনুষ্ঠান হয় ২০০৯ এর শেষের দিকে। কিন্তু আমাদের দুই পরিবারের আর্থিক সমস্যা + লোকজনের অভাবে হলুদের কোন আয়োজন ছিলোনা। ছিলোনা কোন লাইটিং এর ব্যবস্থা। এজন্য এমন মন খারাপ ছিলো আমার বিয়ের পর ২/৩ বছর কারো হলুদের প্রোগ্রামে দাওয়াত দিলে যেতামনা। কোথাও বিয়ে বাড়ীর লাইটিং দেখলে এখনও মুগ্ধ হয়ে দেখি। আমার জামাই এখন মাঝে মাঝে ফান করে বলে তোমাকে আরেকবার বিয়ে করা দরকার।

৩২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৩৭

ক্রীস্টাল বলেছেন: খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। আমার বিয়েটা একদম কাজীডাকা টাইপ। আলহামদুলিল্লাহ অনেক সুখে আছি। অবাক হোতেই হয় আজকালের বিয়ে দেখলে, একজনকে চিনি যে বলেছিল কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা না হলে বিয়ে করা সম্ভব না। আগামী মাসে তার বিয়ে, আশা করি তিনি ২০ লাখ টাকা উপার্জন করে ফেলেছেন। আরেকজনকে চিনি যার বিয়ে হয়েছে আংটি পরানোর দের বছর পরে কারন কাঙ্ক্ষিত কমূনিটি সেন্টার এ ডেট পাওয়া যায়নি। আনন্দ পাইনা এখনকার বিয়েগুলোতে। মেক আপ আর ফটসেশনের চাপে আবেগগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। যেন শুটিং চলছে! ধন্য তাদের যারা এমন বিয়েতে আনন্দ খুজে পায়, আমি তাদের ঈর্ষা করি।

৩৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

সাব্বির আহমাদ ফারাবী বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন প্রেক্ষাপটের উপর অসাধারণ Point Of View থেকে লেখা একটি লেখা।এমন অসাধারন লেখাটির জন্য লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ :)

৩৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৪

জিয়া শামস সাকিব বলেছেন: অসাধারণ ভাইজান ৷ পড়ে খুব ভাল লাগল ৷ পছন্দের তালিকায় থাকল ৷৷

৩৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

ঝড়-বৃষ্টি বলেছেন: দারুণ লাগলো লেখাটা ভাই। প্রিয়তে নিলাম। :)

সত্যি বলতে কী, এমন জাঁকজমক বিয়ের খায়েশ আমারও কিন্তু কম নেই। টিভিতে দেখে, বন্ধু আর আত্মীয়দের বিয়ে-হলুদ-বৌভাতে গিয়ে নিজের মনও এমনটা চাইতেই পারে। কিন্তু বাস্তবতা তো আর পুরোপুরি ভুলে গেলে চলে না। তাই মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য হয়ে শুধু শখ মেটাতে গিয়ে ১০-১৫ লাখ টাকা উড়ানোর চেয়ে ঘরে হালকা পাতলা আয়োজন করে বিয়ে করা আমার কাছে বেশি যৌক্তিক মনে হয়। বিয়েতে খরচের জন্য জমানো টাকাটা না হয় ফিক্সড ডিপোজিট করেই দিয়ে দিলো! তাও তো কাজে লাগবে, নাকি?

আমার কাছে শখ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অতি বিলাসী শখের চেয়ে প্রয়োজন আর বাস্তবতা বেশি গুরুত্ব রাখা উচিৎ। তাই গয়নার জন্য জমানো টাকা খরচ করে জরুরি দরকারে স্কুটি কেনাকে আমি বেশি ভালো মনে করি।

কিন্তু বরপক্ষের আবদারের তো আর মা-বাপ নাই। আমার আবদার কমে এলেও ছেলে আর ছেলের বাপের আবদার তো কনস্ট্যান্ট থাকতেই পারে। তাই আপাতত বিয়ের কথা ভাবলেই ভয় লাগে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.