নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শরনার্থী - বাংলাদেশি, সিরিয়ান কিংবা রোহিংগা - সব এক

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৭

কলকাতা ছিল ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী। ইংরেজদের একদম নিজেদের হাতে গড়া নগরী। লন্ডনের মত না হলেও সৌন্দর্য্যে, পরিচ্ছন্নতায়, আভিজাত্যে কোন অংশেই ইউরোপের বড় বড় নগরীগুলো থেকে কম ছিল না এই কলকাতা।
তখনকার সময়ে বনেদি মানুষের একটাই জীবনের লক্ষ্য থাকতো - কলকাতায় বাড়ি কেনা। শিক্ষিত মানুষের একটাই উদ্দেশ্য ছিল - বিলেত যেতে পারলে ভাল - নাহলে কলকাতায় যেতেই হবে। প্রেসিডেন্সি কলেজ, হিন্দু কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় - প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল দেশসেরা।
পরবর্তীতে রাজধানী দিল্লিতে সরে গেলেও কলকাতার সৌন্দর্য্যহানি ঘটেনি এতটুকু।
এরপর এলো অভিশপ্ত ১৯৪৭। দেশ বিভাগের কাল।
কাঁটাতারের এপারে এলেন মুসলমানেরা, এবং হিন্দুরা ভিড় জমালেন ওপারে। বাঙালি আর কোথায়ই বা যেতে পারতো? ওপার বাংলা এবং এপারের মানুষের মধ্যে অমিলটাই বা ছিল কোথায়? কথার টান বাদ দিলে দুই বাংলার লোকইতো বাংলায় কথা বলে - বাংলা কবিতা পড়ে, স্বপ্নটাও সেই বাংলাতেই দেখে।
ভিটেমাটিহারা বিরাট জনগোষ্ঠী গিয়ে আশ্রয় নিলেন স্বপ্নের শহর কলকাতায়। এত বড় মহানগরী - কিছু না কিছু কাজ জুটিয়ে নেয়া নিশ্চই কঠিন কিছু হবেনা।
শহর বড় হলেও এত মানুষের মাথা গোঁজার জন্য তা যথেষ্ট বড় ছিল না। হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিলেন শিয়ালদাহ, হাওড়া ইত্যাদি রেলস্টেশনে। ফুটপাথ ছেয়ে গেল গৃহহীন নরনারিতে। এককালের জমিদারদের বহু শখের বাগানবাড়িগুলো বেদখল করে সেখানে থাকতে শুরু করলেন বাস্তুহারা লোকজন। একসময়ের স্বপ্নের নগরী কয়েক দিনেই পাল্টে গেল নোংরা এক ঘিঞ্জি শহরে।
আদি কলকাতাবাসী নিজের প্রিয় শহরের এই দশা হাসিমুখে মেনে নিবে কেন?
সব দোষ এসে পড়লো উদ্বাস্তুদের ঘাড়ে। তোরা নিজের চৌদ্দপুরুষের বসত ছেড়ে এসেছিস, তোরা একদম নিঃস্ব হয়ে এসেছিস, তোরা নিজের আত্মীয়স্বজন, নিজেদের প্রতিবেশীদের দ্বারা প্রতারিত, বিতাড়িত হয়ে এসেছিল - কিস্যু যায় আসেনা তাতে। তোরা কোন অধিকারে আমাদের শহর নোংরা করিস?
উদ্বাস্তুদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন নিজনিজ কর্মক্ষেত্রে দক্ষ কারিগর। ছোটখাট টুকটাক যন্ত্রপাতি সারাই থেকে শুরু করে অনেক কাজই তাঁরা অর্ধেকেরও কম পারিশ্রমিকে সেরে দেন। নিজের পরিবারের পেটতো পালতে হবে!
ব্যস, ক্ষেপে উঠার আরেক বাহানা পাওয়া গেল।
"সালা, সহর নোংরা করে সান্তি হচ্ছে না, এখন পেটেও লাথি দেয়া চাই!"
ঘটি-বাঙাল দ্বন্দ চরম আকার ধারণ করলো। কিন্তু উদ্বাস্তুরাও একদম মাটি কামড়ে পরে রইলো। আর যে কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই!
এরমধ্যে উদ্বাস্তুদের দ্বিতীয় ঝাপ্টা এসে পড়লো একাত্তরে। আবারও দেশ বিভাগ। এইবার ওরা আরও বর্বরতার শিকার। সীমান্তের এপারে চলছে কেয়ামত। প্রতিটা ঘরে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। পাখির মতন গুলি করে মারা হচ্ছে মানুষ। আশ্রয় না দিলে ফিরে গিয়ে সেই আগুনে পুড়ে মরতে হবে।
কী আশ্চর্য্য! এই কলকাতার মানুষই সব বিদ্বেষ পাশে রেখে আশ্রয়তো দিলেনই, সাথে নিজেদের একদিনের আয় দান করে দিলেন এই শরণার্থীদের খাওয়ানোর জন্য।
নয়মাস আমরা দাঁতে দাঁত চেপে টিকে রইলাম। দেশ স্বাধীন হবার পর একদিনও অপেক্ষা না করে ফিরে এলাম। নিজ জন্মভূমিতে মৃত্যুর যে স্বাদ, সেই স্বাদ ভিন্ন দেশে বেঁচে থাকার মধ্যেও নেই।
এই হচ্ছে আমাদের শরণার্থী হবার ইতিহাস।
জ্বি, মানুন কিংবা না মানুন - ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় - সাম্প্রতিক ইতিহাসেই (আমি একশো বছরের ভেতরের যেকোন ঘটনাকেই সাম্প্রতিক বলি) আমরা দুই দুইবার শরণার্থী হয়ে ভিনদেশে আশ্রয় নিয়েছি। একটা রুটির দখলের জন্য কাড়াকাড়ি করে লড়েছি। মহামারী, বিশেষ করে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে বেঘোরে মরেছি। কাজের অভাবে, ক্ষিধার জ্বালায় টুকটাক চুরি-ছিনতাই থেকে শুরু করে অনেক অপরাধ পর্যন্ত করেছি। জ্বি, এই আমরাই সাম্প্রতিক ইতিহাসে দুই দুইবার শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছি।
অথচ সেদিন মানবতার বুলি কপচানো এক ভাইকে সিরিয়ান রিফিউজিদের ব্যাপারে এমন সব নাক সিটকানো মন্তব্য করতে শুনলাম যে তারপর থেকে তার কপচানো বাণীগুলোকে স্রেফ লাইকখোর এক ভন্ডের প্রলাপ বলেই মনে হয়। এই ভাইই রোহিঙ্গাদেরও একই কাতারে ফেলে দেন। আশ্চর্য্যের কিছু নেই। তার চোখে রিফিউজি হবারও আগে তাদের পরিচয় ওরা মুসলিম। এবং যেহেতু আইসিস এবং বোকো হারাম এবং আল কায়েদা এবং জামাত শিবির সব মুসলমান, কাজেই এরাও সব এক ক্যাটাগরির। এরা সবাই মরা ডিজার্ভ করে। সাগরের জলে ডুবে শিশু মরছে, বোমা হামলায় ছিন্নভিন্ন হচ্ছে তাদের দেহ - কিস্যু যায় আসেনা। ওদের আশ্রয় দেয়া যাবেনা।
কেউ শখ করে তামাশা করার উদ্দেশ্যে নিজের চৌদ্দগুষ্ঠির ভিটেমাটি ছেড়ে ভিনদেশে উদ্বাস্তু হতে আসেনা। বাঙালি হলেও না, সিরিয়ান হলেও না, রোহিঙ্গা হলেও না। তাঁদের জোর করে উৎখাত করা হয় বলেই তাঁরা মাতৃভূমি ছাড়তে বাধ্য হন। তাঁরাও দেশত্যাগের সময়ে বারবার পেছনে ফিরে প্রিয় মাটির দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। আর বলেন, "হে আমার মাতৃভূমি - যদি না আমার লোকেরা আমাকে তাড়িয়ে দিত, তাহলে আমি কখনই তোমাকে ছেড়ে যেতাম না।"
পরিচিত মনে হচ্ছে? জ্বি, আমাদের প্রিয় নবীজি (সঃ) ছিলেন একজন শরণার্থী। অচেনা শহরে গৃহহীন নিঃস্ব অবস্থায় আশ্রয় গ্রহণ করতে এক গভীর রাতে প্রিয় সঙ্গীকে সাথে নিয়ে নিজের প্রিয় ঘরবাড়ি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। মদিনায় আদর যত্ন ও সম্মান পেয়েও তাঁর সাহাবীদের প্রত্যেকেই মাতৃভূমিকে প্রতিনিয়ত স্মরণ করতেন। তাঁদের কথাবার্তায়, কবিতায় বারবার সেই আকুতিই ফুটে উঠতো।
বেলালের(রাঃ) কবিতায় প্রকাশ পেত মক্কার শুষ্ক খটখটে আগাছা বৃক্ষও তাঁর কাছে মদিনার রসালো ফল থেকে প্রিয়। মক্কা বিজয়ের দিন প্রতিটা সাহাবী নিজ ঘরবাড়ির দেয়াল, দরজা ধরে চুমু খাচ্ছিলেন। মাতৃভূমিতে ফেরার আনন্দে কারোর চোখেই জল ধরছিল না।
একই কাহিনী রামায়ণ মহাভারতের। একই কাহিনী ঈসা(আঃ) - মূসার(আঃ)।
জ্বি, গৃহহারা মানুষ মাত্রই জানেন শরণার্থী হবার কষ্ট। ৭১ এ যখন আপনার পূর্ব পুরুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে কেবল প্রাণ বাঁচানোর জন্য ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছিলেন, তখন যদি ইন্দিরা গান্ধীর লোকেরা বলতেন, "সব সমস্যার মূল এই রিফিউজিরা - এদের এই দেশে ঢুকতে দেয়াই উচিৎ নয়! We need to build a wall!" তাহলে আপনার কেমন লাগতো? তাহলে অন্য দেশের শরণার্থীদের ব্যাপারে আপনার কেন এত ঘৃণা?
"ওরা চোর! সন্ত্রাসী!"
ওদের পর্যাপ্ত খাবার দেয়া হয়? চিকিৎসা? কাজের সুযোগ? খেটে খাওয়ার সুযোগ পেলে কোন সুস্থ মাথার লোক চুরি ছিনতাই করেনা। সেই সুযোগটাতো দেয়া উচিৎ।
"ফ্রান্স শরণার্থীদের আশ্রয় দেয় - ওদের ওখানে জঙ্গি হামলা হয়।
জার্মানি শরণার্থীদের আশ্রয় দেয় - ওদের ওখানেও জঙ্গি হামলা হয়।
অন্য কোন ইউরোপিও দেশ শরণার্থীদের আশ্রয় দেয় - ওদের ওখানেও জঙ্গি হামলা হয়।"
কাজেই বাঙাল মুলুকের জনৈক বুদ্ধিজীবী ফতোয়া দিয়ে দিলেন - ওদের কোন দেশেই ঢুকতে দেয়াই উচিৎ নয়।
তাহলে তোমার দেশের রাজধানীতে কেন জঙ্গি হামলা হলো? ঈদগাহ ময়দানে হামলা হতে হতে রুখে দেয়া হলো? আমরা শরণার্থীদের আশ্রয়ের ব্যপারে কী ঘোড়ার আন্ডাটা পেড়েছি? হামলাগুলোতো শরণার্থীরা করেনি - করেছে আমাদেরই বঙ্গ সন্তানেরা।
যাদের কারনে ওরা গৃহহীন, তারাই হামলাগুলোর দায় স্বীকার করছে - তারপরেও কোন লজিকে ভিকটিমদেরই ঘাড়ে দোষ চাপানো হয়?
অবশ্য যে দেশে রেপের দায় সম্পূর্ণ ভিকটিমের উপর চাপানো হয় - সেই দেশের বুদ্ধিজীবীদের থেকে আর কিই বা আশা করা যাবে?
মস্তিষ্কের জঞ্জাল সাফ করার যন্ত্র আবিষ্কার এখন ফরজ হয়ে গেছে।
আবার বিপরীত দলও আছে। সব দোষ কাফির কুফ্ফারের। ওদের কারণেই আমাদের শরণার্থীদের এই অবস্থা। ওরাই জঙ্গি সৃষ্টি করে। ওরাই আক্রমণ করে। আইসিস আসলে মোসাদের সৃষ্টি। ব্লা ব্লা ব্লা! ওদের ধ্বংস করা ঈমানী দায়িত্ব!
এবং তারপরেই আমরা দেখি রেস্টুরেন্টে খেতে আসা নিরীহ মানুষকে মেরে ফেলাকে সমর্থন করতে।
ওরে গর্ধব। এতে সমস্যা সমাধানের জায়গায় তুই যে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিস সেটা বুঝতে তোর কাছে কী এখন আল্লাহর ওহী নাজেল হওয়াটাই বাকি আছে?
অ্যামেরিকা অনেক রিফিউজিদের আশ্রয় দেয়। কিন্তু প্রতিটা রিফিউজি ক্যাম্পের মতোই এদেরও অবস্থা শোচনীয়। খাদ্য পানীয়ের অভাবের সাথে আছে নষ্টালজি। শিশুরা হাসতে ভুলে যায়। তাঁদের মনে পরে কিছুদিন আগেও তাঁদের বিশাল বাড়ি ছিল, নিজস্ব শোবার ঘর ছিল। সামনে বাগান ওয়ালা মাঠ ছিল। সকালে স্কুলে যেতে মোটেও ভাল লাগতো না - কিন্তু এখন মনে হয় সেগুলোই সোনালী দিন ছিল।
লোকাল মানুষের রূঢ় আচরণে তাঁরা মোটামুটি বুঝে নেয় যে তাঁরা এই দেশে অবাঞ্চিত - unwelcome guests। মানুষ হিসেবে তাঁরা চতুর্থ শ্রেণীর। সমাজের উপর তাঁরা বোঝা। বেঁচে থাকাকে অর্থহীন মনে হয়। নতুন দেশের সমাজকে কোন যুক্তিতে তাঁরা আপন করে নিবে?
কিছুদিন আগে এক লোকাল মসজিদের পক্ষ থেকে হতাশাগ্রস্ত এইসব সিরিয়ান রিফিউজি বাচ্চাদের সাথে অ্যামেরিকান সিটিজেন বাচ্চাদের ফুটবল ম্যাচের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কেউ কারোর ভাষা বুঝে না। ভাব বিনিময় হয়েছে হাসিতে। এবং ছোট্ট শিশুরা অবাক হয়ে সেদিন আবিষ্কার করেছে মানুষের হাসির আসলে কোন ভাষা নেই। একটা সামান্য হাসি অন্যের জীবনে অনেক পরিবর্তন এনে দিতে পারে। ম্যাচ শেষে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরেছিল। সবার মুখে হাসি। অ্যামেরিকান শিশুরা বুঝতে পেরেছিল, ভিন্ন দেশের শরণার্থী হলেও - ওরাও তাঁদের মতোই মানুষ। মেশা হয়না বলেই ওদের "চোর" "সন্ত্রাসী" ইত্যাদি মনে করা হতো এতদিন।
এবং শরণার্থী শিশুরা উপলব্ধি করেছিল - তাঁরা মোটেও সমাজের বোঝা নয়। তাঁদেরও হাসিমুখে কেউ কেউ গ্রহণ করে। তাঁদেরও অনেকে বন্ধু মনে করে।
অনেকদিন পর ভাগ্যের হাতে চরমভাবে মার খাওয়া এইসব শিশুরা হাসতে পেরেছিল।
এবং তাঁদের সেই হাসি তাঁদের প্রতিটা অভিভাবকের চোখের জল নিংড়ে বের করেছিল।
আল্লাহর কসম করে বলছি - পৃথিবীতে এরচেয়ে মধুরতম দৃশ্য দ্বিতীয়টি আর হতে পারেনা।
কথা হচ্ছে, আমরা কী আমাদের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে এইরকম দৃশ্যের অবতারণা করতে পারিনা?
জানি এর জন্য কিছু বড় বড় কলিজাওয়ালা মানুষের প্রয়োজন। সাড়ে ষোল কোটির দেশে কী দশ বিশজন বড় কলিজাওয়ালা মানুষ পাওয়া যাবেনা?
আমি দেশে থাকলে ক্যানভাসের পক্ষ থেকে এই কাজটা করতাম। কেউ যদি করতে চান, আমার অনুরোধ, করুন। মাত্র কয়েকটা বাংলাদেশী শিশুকে শরণার্থী শিবিরের শিশুদের সাথে ফুটবল খেলার একটা আয়োজন করতে হবে - খুব কী কঠিন কাজ? আপনার দেখানো পথেই অনেকে এগিয়ে আসবে তখন। Wish you very good luck!

মন্তব্য -১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (-১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০২

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: নিজেকে জানো। নিজেকে দেখো, কোথা থেকে এসেছো, কোথায় যাচ্ছ। নদী ভাঙ্গনে বাড়ি ছেড়ে জেলা শহর, তারপর ঢাকা। আমি কি উদ্বাস্তু ? জেলা শহরে আমার মত কত জন ? রাজধানী শহরে আমার মত কত জন ?

রাজনৈতিক কারণে ১৫১০ সালে বাগদাদ থেকে দিল্লী এসেছি। তারপর ঢাকায়। এরপর এক গ্রামে। ১৯৪৭-এ পরিবারের অর্ধেক কলকাতায় রয়ে গেছে। ১৯৭১-এ পরিবারের কিছু অংশ পাকিস্তানে থেকে গেছে আর নিজেরা আশ্রয় নিয়েছি আসামে, পরে ফিরেছি দেশে।

বাংলাদেশে আছি। দুর্যোগ, জলবায়ূ, যুদ্ধ, রাজনীতি আমাদের উদ্বাস্তু করছে নানাভাবে, নানা সময়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.