নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ইসলাম ধর্ম নাকি শান্তির ধর্ম? ক্যাডা কইছে? এই, ক্যাডা কইছে ইসলাম শান্তির ধর্ম?"

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

একটা মূর্খ ছাগল দ্বারা ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল যখন আক্রান্ত হলেন তখন বেশ অনেকেই ইনবক্সে আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন একটি বিষয়ে পরামর্শের জন্য। তাঁদের সবার কেস একই, তাঁদের বন্ধুবান্ধব/সহকর্মীদের অনেকেই এই আক্রমণের সমর্থন করেছে, এবং তাঁরা যেহেতু ধর্ম সম্পর্কে কম জানেন, তাই ডিফেন্ড করতে পারছেন না। তাঁরা আমার কাছে কিছু যুক্তিতর্ক শুনতে চান, যাতে সেইসমস্ত অন্ধ, বেকুব, আহাম্মক, গর্ধবদের সাথে খানিকটা জবাব দিতে পারেন।
প্রথম কথা, ব্যাপারটা মোটেই ইসলামিক জ্ঞানের উপর নির্ভরশীল না, পুরোটাই কমনসেন্সের ব্যাপার। আমি যদি শূন্যজ্ঞানের অধিকারীও হই, তারপরেও আমাকে বুঝতে হবে একজন মানুষকে হত্যা করা "পরমকরুনাময়" "অসীমদয়ালুর" ক্যারেক্টারের সাথে যায় না। যেখানে তিনি নিজে বলেছেন "তিনিই বিচার দিবসের মালিক," এবং তাঁর আগের আয়াতেই বলছেন তিনি "আররাহমানির রাহিম!" মানে হচ্ছে কাউকে আল্টিমেট বিচার করার অধিকার আমাকে দেয়া হয়নি। আমি কেবলই একটা নগন্য দাস, এবং তিনি মালিক। বিচারক হবার মতন ধৃষ্টতা দেখানোর অধিকার আমার নেই।
কাজেই আমাকে খুনের সমর্থন না করে পড়ালেখা করে কর্তব্য বুঝতে হবে।
হ্যা, কুরআন হাদিস অনুযায়ী কিছু ঘটনা আছে যেখানে আমরা পাই আল্লাহ এবং তাঁর নবীর বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে ইসলাম কঠিন ব্যবস্থা নিয়েছিল। বদর, ওহুদ ইত্যাদি যুদ্ধ বা কাব বিন আশরাফকে মৃত্যুদন্ড - এইসব তুলে এনেই ওরা উপসংহার টেনে ফেলে। কিন্তু ঘটনাগুলোর পূর্ণ বিবরণে যাবার গুরুত্ব কেউই উপলব্ধি করেনা।
"ওর দাঁত ব্যথা করছে? উপড়ে ফেলে দাও!" এই হচ্ছে আহাম্মকদের চিকিৎসাজ্ঞান। দাঁত ফেলার আগে যে আরও অনেক কিছুই করা যায়, সেই জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তাবোধ পর্যন্ত তাদের নেই।
কাব বিন আশরাফের কথাই ধরা যাক। প্রথম কথা, এই লোকটা নবীর বিরুদ্ধে কেবল কবিতাই লিখেনি, সে আবু সুফিয়ানের সাথে বসে তাঁকে হত্যার প্ল্যানও কষেছিল। ওহুদ যুদ্ধ হয়েছিল এরই জন্য। এমনকি একটি সীরাত গ্রন্থ অনুযায়ী নবীকে (সঃ) যে বিষ খাইয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল এক ইহুদি মহিলা, এই প্ল্যানিংটা কাবেরই ছিল। একজন রাষ্ট্রপতিকে হত্যার ষড়যন্ত্রীকে কোলে তুলে চুমু খাওয়ার কথা না। তাই কাবকে হত্যার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
এখন আসছি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে। এক্সট্রা এটেনশন দিন।
কাবকে হত্যার জন্য নবী (সঃ) তাঁর সাহাবীদের নির্দেশ দিলেন। তাঁর সাহাবীরাই তখনকার মুসলিম রাষ্ট্রের সেনা/আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। যুদ্ধ বাঁধলে তাঁরাই যুদ্ধ করতে যান। তাহলে সিভিলিয়ান কারা? নবীর হাদিস থেকেই আসে, "যুদ্ধে কোন নারী, শিশু, বৃদ্ধ এমনকি গবাদিপশুরও কোন ক্ষতি সাধন করা যাবেনা।"
তার মানে, তাঁরাই সিভিলিয়ান। শিশু, নারী এবং বৃদ্ধ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, কোন সিভিলিয়ানকে নবী (সঃ) নির্দেশ দেননি, দিয়েছেন তাঁর সেনা/আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
বুঝার সুবিধার জন্য বাংলাদেশের উদাহরণ দেই।
এরশাদ শিকদার ছিল টপ টেরর। রাষ্ট্র চাইতো ওকে ধরে দড়িতে ঝুলিয়ে দিতে। কিন্তু কোন সিভিলিয়ান যদি ওকে গিয়ে হত্যা করতো, তাহলে রাষ্ট্রের চোখেই সেটা হতো মার্ডার, এবং উল্টো খুনের দায়েই ওর বিচার হতো। ব্যাপারটা সৌদি আরবেও সমান। কোন অপরাধীকে শাস্তি দিতে হলে পুলিশ দিবে, সিভিলিয়ান নয়। সিভিলিয়ান যদি আইনকে নিজের হাতে তুলে নেয়, তাহলে শরিয়া অনুযায়ীই তাঁকে শাস্তি দেয়া হয়।
এখানে নবী বা আল্লাহকে যদি কোন নাস্তিক গালাগালি করে। তাহলে অবশ্যই মুসলিম হিসেবে তাঁর রাগ উঠার কথা। কিন্তু তাই বলে কাউকে কুপিয়ে হত্যার অনুমতি ইসলাম তাঁকে দিচ্ছে? না। কারন দেশটি ইসলামিক রাষ্ট্র না, সে কোন ইসলামিক রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যও না।
সে কী করতে পারে? সরকারের কাছে পিটিশন যে এই ধরণের গালাগালি আমাদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিচ্ছে। সরকার ব্যবস্থা না নেয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ সমাবেশ করতে পারে। এর বেশি কিন্তু বাংলাদেশেঅন্তত নয়। যদি ভাল না লাগে, তাহলে দেশত্যাগ করে ভিন্নদেশে চলে যাও। ইসলামেতো হিজরতের অনুমতি আছেই।
এই ব্যাপারেই মুসলিমরা নির্লজ্জ্ব বুদ্ধিহীন মূর্খ হয়ে যায়। কেন হয় সেটারও কারন আছে।
হাদিস অনুযায়ী কেয়ামতের আলামত সমূহের দিকে তাকালে আমরা জানি যে সব ছোটছোট আলামত ইতিমধ্যেই ঘটে গেছে। এখন কেবল বড়গুলোর জন্য অপেক্ষা। তা কেয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে "মূর্খরা" মুসলিমদের "আলেম" হবে, এবং নিজেদের খেয়াল খুশীমতোন তাদের অধীনস্থদের পরিচালনা করবে।
বাংলাদেশের দিকে তাকালে ইদানিং সহজেই বুঝতে পারা যায় যে কেয়ামত আসতে বেশি দেরি নাই। বিশেষ করে ইদানিং এক মাওলানাকে দেখছি খুবই জ্বালাময়ী কণ্ঠে, ইমোশনাল ভাষায়, গলা কাঁপিয়ে ওয়াজ মাহফিলে সমানে জিহাদের ডাক দিয়ে যাচ্ছে, এবং ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে, এই ব্যাটার কাছে জিহাদের সংজ্ঞা মানেই হচ্ছে কতল! কত্ত বড় সাহস, প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করছে, তাও ইসলামী লেবাসে! এবং যেহেতু সে দাড়িওয়ালা টুপি মাথার মাওলানা, কাজেই হাজারে হাজারে মানুষ কিছু ভ্যারিফাই না করেই চিৎকার দিয়ে সমর্থন জানাচ্ছে!
"ইসলাম ধর্ম নাকি শান্তির ধর্ম? ক্যাডা কইছে? এই, ক্যাডা কইছে ইসলাম শান্তির ধর্ম?"
তারপর নবীর নামে অপবাদ দিয়ে বেড়াচ্ছে তিনি মানুষ "হত্যা" করেছেন, এবং সমানে প্রকাশ্যে আহ্বান করে যাচ্ছে নাস্তিক কোপানোর।
এই ব্যাটা কোন সাহসে এইসব বলার সাহস পায়? দেশের মাওলানা মুফতিরা তখন কেন কানে তুলে গুঁজে থাকেন? একজনকেওতো দেখলাম না এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করতে! এবং সরকার? সাতান্ন ধারা এখানে কোথায়? প্রকাশ্যে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা যায়, কিন্তু এখানে সরকার নীরব কেন? ও আচ্ছা, গ্রেফতার করলেতো আবার মসজিদ মাদ্রাসা থেকে প্রচারণা শুরু হবে নাস্তিক/মালাউন/কাফের/ভারতীয় দালাল সরকার দেশের আলেম উলামাদের দমিয়ে রাখার জন্যই গ্রেফতার নিপীড়ন শুরু করেছে।
আগামী নির্বাচনে জিততে হলেতো তাঁদের আবার ভোট লাগবে। নির্বাচনের আগে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে রাগানো যাবেনা। কিন্তু গ্যারান্টি দিচ্ছি, এই সমস্ত লোকদের অবিলম্বে থামানো না হলে আগামী তিন চার বছরের মধ্যে দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। বাংলাভাই, জেএমবি বা এইসমস্ত জঙ্গিদের ইতিহাস থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারলাম না, আফসোস!
একজন নাস্তিক ইসলামকে গালাগালি করলে ইসলামের কোনই ক্ষতি হয়না, ক্ষতি কারা বেশি করে জানেন? এইসব স্বল্পজ্ঞানী মূর্খ মাওলানারা, যারা দুয়েকটা কিতাব পড়ে মনে করে বিরাট আলেম হয়ে গেছে, out of context আয়াত/হাদিস পাঠ করে ওয়াজ মাহ্ফিল জমিয়ে তুলে, জিহাদি চেতনায় চেতিত হয়ে লোকজনের রক্ত গরম করে তুলে। এর ফল, ভূতের বাচ্চা সুলায়মান লেখার অভিযোগে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের মাথায় ছুরি দিয়ে আক্রমন। আমরা ভাগ্যবান তিনি বেঁচে ফিরেছেন। আগের একজনও কিন্তু ফিরেননি। ভবিষ্যতেও কেউ ফিরবে না। তখন এইসব হত্যার দায় কার? অবশ্যই সরকারের নতজানু হবার।
কুরআনে আল্লাহ বলেছেন "ন্যায়ের জন্য নিজের বিরুদ্ধে হলেও যাও।"
ন্যায়ের পক্ষ নিলে দেশের একদল মূর্খ মুসলমান আমার বিরুদ্ধে যাবে? আলেম উলামারা আমার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করবে? আমাকে কোপানোর জন্য জঙ্গিরা তলোয়ারে ধার দিবে? করুক যার যা খুশি। আমার সাথে আল্লাহ থাকবেন। আমার ভয় কিসের? পরোয়া কিসের?
আল্লাহর ওয়াস্তে ঐ মূর্খ আহাম্মকের ভিডিও বেশি বেশি করে শেয়ার করে ব্যাটাকে আরও ফেমাস বানাবেন না। এই লোকটার কথাবার্তা আমাকে অসুস্থ করে দিচ্ছে। হার্ট বিট এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। আমি নিশ্চিৎ, আমার বয়স আরেকটু বেশি হলে আমার হৃদরোগে মৃত্যুর জন্য এই ব্যাটার ওয়াজই দায়ী হতো। বরং সরকারের কাছে পিটিশন করে একে গ্রেফতার বা নিষিদ্ধের ব্যবস্থা নিন। ওটাই কার্যকর পন্থা।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১৫

আবু তালেব শেখ বলেছেন: কতিপয় ধর্মান্ধ লোকের জন্য ইসলাম কে অশান্তির ধর্ম বলতে পারেন না

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২৩

অক্পটে বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন! যারা ইসলাম সম্পর্কে ইসলামী লেবাসে ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে সরকার তাদের দিকে নজর দিচ্ছেনা। ফেবুতে এরা প্রকাশ্যে মানুষের রক্ত পোড়ায় অথচ কোন শৃঙ্খলার বিধিবিধান তাদের উপর আরোপিত হয়না। এটা সরকারের দুর্বলতা বই অন্য কিছু নয়।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২৪

অক্পটে বলেছেন: আবু তালেব শেখ লেখাটা না পড়ে হেড লাইন পড়েই মন্তব্য করেছেন মনে হচ্ছে।

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: লেখাটা পড়লাম, খুব একটা খারাপ না। শালুক, পদ্মের মত। কিন্তু শিরোনাম টা অমন গোবর মার্কা কেন? X(ঐ গোবরের জন্যই আজ রাতে আপনার লেখা সর্বাধিক পঠিত হবে।

(আপনি মনে হয় আহাম্মকদের ভিডিও বেশী দেখছেন:P।)

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৪৮

আবু তালেব শেখ বলেছেন: ভাই/আপু অকপটে,,,,,,,,, আমি না পড়ে কোন পোস্টে কমেন্ট করিনা। আজ যদি জংগীবাদে বিশ্বাসি কোন ছাগল না থাকতো তাহলে ইসলামের বিরুদ্ধে কেউ প্রশ্ন তুলতে সাহস করতো না।
উগ্র বৌদ্ধ রা বার্মায় হাজার হাজার রোহিংগা হত্যা করছে। যার নেপত্যে বোদ্ধ ভিক্ষু সেনারা ছিল। কিন্তু বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে কোন প্রশ্নই উঠেনা।
লংকায় দাংগায় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা জড়িত সেখানেও বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে কোন প্রশ্নঃ উঠছে না।
কিন্তু ইসলামের ব্যাপারে তিল থেকে তাল হলেই বিতর্ক শুরু হয়।
কেন?

৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৩

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: ড. জাফর স্যার মেধাবী মানুষ, তারও উচিত অযথা ইসলামি কোন কাহিনী নিয়ে না লেখা। ইসলামকে ছোট করলে এক শ্রেণীর লোক আন্দোলন করবেই কিছু লোক উগ্র মেজাজ দেখাবে এটাই স্বাভাবিক কারণ বাংলাদেশে সবাই ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করা ব্যাক্তি নয়। সবাই শিক্ষিত হলে এ দেশে চেহারা অন্যরকম থাকত। কিছু লেখক আছেন যার ইচ্ছে করেই ইসলামের খোঁচা দেয়, এতে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়। যারা ইসলাম বিশ্বাস করেন না তারা যদি ইসলাম নিয়ে কোন কথা না বলে তাহলে আমার মনে হয় এসব ঘঠনা কখনও ঘঠবে না।

৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৪২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ইসলামে অশান্তির ধর্মে পরিণত করবে মূর্খ কাঠমোল্লারা। সময় থাকতে এদের ঠেকানো দরকার।

৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: শাহিন বিন রফিক ভাই,
আমি একটি গল্প লিখবো যাতে বিশেষ ভাবে হাইলাইট করা লেখা থাকবে “এই আইন - আইন না এই আইন গাঈন” লেখার শেষে আমার পরিচিত কয়েকজন উকিলকে বলে দিবো আমার নামে আন্দোলন সহ মামলা করে দেওয়ার জন্য পরিচিত দুই একজন মিডিয়া ম্যানকে বলে দিবো লিখতে ও টিভিতে প্রচারের জন্য বাদবাকীটা দেশবাসী করবে - আইন নিয়ে কথা বলার জন্য উকিলদের বড় মিছিল সাথে বিচারকগণ ও থাকতে পারেন বলা তো যায় না নাগরিক ও আইনি মুল্যবোধে আঘাত লাগা বলে কথা !!! মিছিলের সবার পেছনে দেখা যাচ্ছে একদল সংখ্যালগিষ্ট ধর্মিয় ব্যাক্তিবর্গ - আরে ভাই তোরা কেনো কি দুঃখ - উত্তর তাদের নামের শেষে পদবী গাঈন !!! সাথে ছাতা মিস্ত্রি ও চুরী বিক্রেতা কারণ গ্রাম অঞ্চলে তারা গাঈণ বলে পরিচিত তাদের ও একটা বিচার চাওয়ার আছে না - আমি জনপ্রিয় সুপার জনপ্রিয় । ডক্টর জাফর ইকবাল স্যার কে জনপ্রিয় হওয়ার ভুত সওয়ার করেছে এটা তসলিমা নাসরিনের ভুত ফিরে এসেছে বলে ধারণা করছি । এখন ভুত তাড়ানোর জন্য ভুত এফ এম রেডিওর স্বরানাপন্ন হতে হবে ।।

৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৩৫

অক্পটে বলেছেন: ভাই আবু তালেব আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হোক। আপনার মন্তব্য পড়ে ওরকম মনে হয়েছে। আসলে লেখকতো ইসলামকে অশান্তির ধর্ম বলেন নাই। উপরের হেডলাইনটা একজন ওয়াজকারীর মুখ নিসৃত বাণী লেখক সেটা কোড করেছেন হেডলাইন হিসেবে।
হেডলাইন পড়ে আমারও মনে হয়েছিল সস্তা পপুলারিটি পাবার জন্য হয়তো লেখক ইসলামকে কটাক্ষ করে কিছু লিখেছে। পুরোটা পড়ে দেখার পর আমার ভুলটা ভাঙ্গলো। ভাই এখনতো ইসলামের বিরুদ্ধে লিখতে পারলেই কিছু লোক নিজেকে পন্ডিত মনে করছে। বাহবা পাবার একটা নতুন ফ্রন্ট মনে করছে ইসলামের বিরোধিতাকে। আপনার প্রতিমন্তব্যে সত্য ফুটে উঠেছে আমি এর সাথে সহমত পোষণ করছি।

১০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

রাফা বলেছেন: এত চমৎকার একটি পোষ্টে কোন গঠণমুলক আলোচনা,সমালোচনা কিছুই নেই।আমি খুবই হতাশ।বেশিরভাগ ব্লগার শিরোনাম দেখেই পোষ্টের বক্তব্যের পুরো বিরোধী মন্তব্য করেছে।নাকি এই সাধারণ লেখা বুঝার মত মস্তিস্কও নেই সেটাই বুঝতে পারছিনা।শিরোণামে যে প্রশ্নবোধক চিণ্হ রয়েছে সেটা কেউ অনুধাবনই করেনি।

হে আল্লাহ এদের তুমি সঠিক ,বেঠিক উপলব্দি করার কষমতা দান করুন।

চমৎকার লিখেছেন,মন্জুর চৌধুরি ভাই।
সেই ২০০০ সাল থেকে চেচামেচি করতেছি মাদ্রাসার দিকে নজর দিতে।আইন করে মাদ্রাসা করা নিষিদ্ধ করা উচিত বাংলাদেশে।যারা মাদ্রাসা করতে চাইবে তাদেরকে দিয়ে সাইন্স ল্যাবরেটরি,স্কুল ,কলেজ ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করাতে হবে।মিলাদ ও জানাজা পড়ানোর জন্য আমরা লক্ষ লক্ষ বেকার সৃষ্টি করে যাচ্ছি।মাদ্রাসা থেকে পাশ করে জিবিকা নির্বাহ করার কোন উপায় না পেয়ে, আখেরে এদের গন্তব্য হয় অতি সহজে বেহেস্তে যাওয়ার সেই জেহাদি পথ।এখনি বন্ধ করতে হবে।একটা দেশে কোটি কোটি ইমাম দরকার নেই।সবাই ইমাম হয়ে গেলে পেছনে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে কারা।

আবারো ধন্যবাদ,লেখক`কে।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:৩০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

১১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: আন্তঃধর্মীয় শান্তি ও সম্প্রীতি স্থাপনের উপায় -
লেখক:হযরত মির্যা তাহের আহমদ (আইঃ)
খলীফাতুল মসীহ আর-রাবে; আহমদীয়া মুসলিম জামাতের চতুর্থ খলিফা


পৃথিবীর অকৃত্রিম বা বােনাফাইডি ধর্মগুলাে মানুষকে তার জীবনের সকল ক্ষেত্রে শান্তি দিতে সক্ষম কি না, তার একটা অর্থবহ পরীক্ষা চালাবার আগে, এটা অত্যন্ত জরুরী যে, সেই ধর্মগুলো তাদের স্ব স্ব অনুসারীদের বিভিন্ন-শ্রেণীর বা ফের্কার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কী ভূমিকা পালন করছে তা পরখ করে দেখা দরকার। সেই সঙ্গে এটাও বিচার করে দেখা দরকার যে, সেই ধর্মগুলো সেগুলোর অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকাকালীন- অন্যদের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না। বস্তুবাদের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রেক্ষিতে বিচার করে এবং সামগ্রিকভাবে গোটা সমাজেরই আধ্যাত্মিক আনন্দের পরিবর্তে ইহজাগতিক ও ইন্দ্ৰিয়জ সুখের প্রতি ধাবিত হওয়া লক্ষ্য করে, হয়তো কেউ এইরূপ একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে চাইবেন যে, ধর্মকে আর জীবনের কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে গ্রাহ্য করা উচিত নয়, বরং তা উপেক্ষা করাই উচিত।
আমি দুঃখিত যে, এইরূপ একটা সিদ্ধান্তের সাথে আমি একমত হতে পারছি না। কেননা, যতক্ষণ পর্যন্ত না। আমরা আমাদের ধমীয় দৃষ্টিভঙ্গীকে, অভ্যন্তরীণভাবে এবং বাহ্যিকভাবে, সংশোধিত ও উন্নত করতে পারছি, ততক্ষণ পর্যন্ত ধর্ম আমাদের বিশ্বব্যাপী শান্তি প্ৰতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় কোন কল্যাণকর ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে না। বরং তা শক্তিশালী নেতিবাচক ভূমিকাই পালন করে যাবে। ধর্মের পক্ষে তো এটাই করণীয় ছিল যে, তা শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করবে, বিভিন্ন শ্রেণী ও ফের্কার অনুসারীবৃন্দের মধ্যেকার ভুল বুঝাবুঝি দূর করবে, শালীনতা ও শিষ্টাচার শিক্ষা দিবে, “নিজে বাঁচ এবং অপরকে বাঁচতে দাও" নীতির বাস্তবায়ণ করবে। কিন্তু, তা না করে, তার পরিবর্তে, দুর্ভাগ্যবশতঃ, ধর্ম সমকালীন সময়ে পৃথিবীর সবত্রই শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে অতি নগণ্য ও তাৎপর্যহীন ভূমিকাই পালন করছে। অবশ্য, তেমন কোন ভুমিকা যদি আদৌ কোথাও তা পালন করেই থাকে। পক্ষান্তরে, এই বিষয়টাকে কোনমতেই ছােট করে দেখা ঠিক হবে না যে, বিশৃংখলা সৃষ্টিতে, রক্তপাত ঘটাতে, দুঃখ দৈন্য এবং অবর্ণনীয় দুর্ভোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে ধর্ম এখনও একটা অত্যন্ত সক্ষম ও গতিশীল শক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এই মারাত্মক সমস্যাটির সমাধান দিতে না পারলে, এবং এর ত্রুটিগুলো দূরীভূত করতে না পারলে, বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার কোনও পরিকল্পনাই গ্ৰহণ করা যাবে না। অভ্যন্তরীণভাবে কোন ধর্মের কোন একটা সম্প্রদায় তা যদি সেই ধর্মেরই অন্তর্ভুক্ত একটি সংখ্যালঘু দলও হয় তথাপি তার বিরুদ্ধে দুর্ভাগ্যক্রমে, ধর্মীয় অনুভূতিকে দারুণভাবে উত্তেজিত এবং কর্মতৎপর করে তোলা সম্ভব।
সারাটা মুসলিম ইতিহাসই অনুরূপ কুৎসিত ও ঘূণ্য ঘটনাবলী দ্বারা ভরপুর হয়ে আছে। শান্তির ধর্ম হওয়া সত্ত্বেও ইসলামকেই ব্যবহার করা হয়েছে নির্দোষ মুমিনদের জীবনের শান্তি নষ্ট করবার কাজে। এই মুমিনদের অপরাধ হচ্ছে, এরা ইসলামে বিশ্বাসী হলে কি হবে, এরা তো ওদের মত করে বা ওদের স্টাইলে বিশ্বাস করে না। বস্তুতঃ, ইসলামের ইতিহাসের গবেষণায় এটা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয় যে, ইসলামকে স্বয়ং মুসলিমদেরই উপরে নির্যাতন চালাবার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। বিগত চৌদশ বছরে মুসলমানরা যে সমস্ত জিহাদ খৃষ্টান ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে চালিয়েছে তার চাইতে অনেক বেশী ও অনেক বড় বড় 'জিহাদ' মুসলমানরা চালিয়েছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে।
এই অধ্যায়টা যে শেষ হয়ে গেছে, তা নয়। এখন পাকিস্তানে আহমদী মুসলমানদের বিরুদ্ধে যা ঘটছে এবং অতটা ঘন ঘন না হলেও সংখ্যালঘু শিয়াদেরও বিরুদ্ধে যা ঘটছে, তা-ই এই সত্যের প্রতি সৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য যথেষ্ট যে, এই জঘন্য সমস্যাটার মৃত্যু অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল।
খৃষ্টধর্মের ক্ষেত্রে তাকালে মনে হতে পারে যে, খৃষ্টানদের হাতে খৃষ্টানদের নির্যাতিত হওয়ার যে ইতিহাস তা অনেক পুরানো হয়ে পড়েছে এবং তা ইউরোপীয় ও আমেরিকান ইতিহাসের ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়ে গেছে, কিন্তু, বিষয়টার ভিন্ন চেহারা ফুটে ওঠবে তখন যখন আয়াল্যান্ডের ধর্মজড়িত রাজনৈতিক বিবাদের প্রতি লক্ষ্য করা যাবে। তাছাড়া, পৃথিবীর অনেক অনেক স্থানে, খৃষ্টান ধর্মের অভ্যন্তরেও সাম্প্রদায়িক বিবাদের সমূহ আশংকা রয়ে গেছে, যারা বর্তমানে লিপ্ত হয়ে আছে ভিন্ন ধরনের বিবাদ-বিসম্বাদে।
আন্ত-ধমীয় সম্পর্কের প্রতি তাকালে দেখা যাবে যে, ভারতে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা অথবা নাইজেরিয়াতে খৃষ্টান মুসলিম সংঘাত, অথবা মধ্য প্রাচ্যে ইহুদীমুসলিম সংঘর্ষ এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ইহুদী ও খৃষ্টানদের মধ্যে একটা অভ্যন্তরীণ দ্বন্দু ইত্যাদি লেগেই আছে। এই সব এবং অনুরূপ আরও অনেক দ্বন্দু সংঘাত বৰ্তমানে সুপ্ত বিপদাকারে সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মতই
ধৰ্মজগতের গর্ভদেশে বিরাজ করছে। বলাই বাহুল্য, এই সকল সমস্যা বর্তমানে যে দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখা হচ্ছে তার সংশোধনের গুরুত্ব তীব্র হয়ে উঠেছে।
ইসলামী পন্থায় কী করে এই সমস্ত সমস্যার সমাধান দেওয়া সম্ভব সে কথাই আর একবার সংক্ষেপে উল্লেখ করে আমরা আমাদের কথায় ইতি টানবো।
(১) পৃথিবীর সকল ধর্ম, তা সেগুলো ইসলামে বিশ্বাস করুক আর না-ই করুক, ইসলামের এই মৌলিক নীতি মেনে চলতে হবে যে, আন্ত-সাম্প্রদায়িক এবং আন্ত-ধর্মীয় বিবাদ-বিসম্বাদ মিটাবার জন্য কোন ক্রমেই বল প্রয়োগ করা যাবে না এবং নিপীড়ণ চালানো যাবে না। ধর্ম নির্বাচনের এখতিয়ার, তা ঘোষণা করার স্বাধীনতা, তার প্রচার, পালন এবং অনুশীলন করার অধিকার অথবা তা অস্বীকার বা বর্জন বা পরিবর্তন করার স্বাধীনতাকে নিরংকুশভাবে সংরক্ষিত করতে হবে।
(২) এমনকি, যদি অন্যান্য ধর্মগুলো সত্যের সার্বজনীনতার ধারণার সাথে একমত না হয়, এবং এমনকি যদি, দৃষ্টান্তস্বরূপ, ইহুদীবাদের অবস্থান থেকে খৃষ্টধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, কনফুসিয়ান ধর্ম, হিন্দুধর্ম, জরথুষ্ট্রয়ান ধর্ম ইত্যাদি সব ধর্মই যদি মিথ্যাও হয় এবং আল্লাহ সম্পর্কে তাদের কিছুই করারও না থাকে, তবু অন্যত্ৰ সত্যের এই অস্বীকার সত্ত্বেও, সকল ধর্মকে এই ইসলামী নীতি অনুসরণ করে চলতে হবে যে, অপরাপর সকল ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও পবিত্র পুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্ৰদৰ্শন করতে হবে। এমন না যে, এটা করতে গিয়ে তাদেরকে তাদের নীতিসমূহের ব্যাপারে আপোষ করতে হবে। এটা স্রেফ একটা মৌলিক মানবাধিকারের বিষয়। প্রতিটি মানুষের এই অধিকারকে স্বীকার করতে হবে যে, তার ধমীয় আবেগ, তার ধর্মীয় অনুভূতি যেন লংঘিত না হয়, যেন আঘাতপ্রাপ্ত না হয় ।
(৩) মনে রাখতে হবে যে, উল্লিখিত নীতি কোন জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা বলবৎ করা যাবে না। এই নীতির সঙ্গে এটাও অনুধাবন করতে হবে। যে, ঈশ্বর।নিন্দার জন্য মানব-তৈরী শাস্তির কোন বিধান নেই। তবে, এর বিরুদ্ধে নিন্দা জানাতে হবে, এটাকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। এবং এই অশালীন, ন্যাক্কারজনক এবং ঘূণ্য ব্যাপারটাকে নিন্দা করার জন্য জনমত গড়ে তুলতে
হবে।
(৪) এই শতাব্দীর প্রথম দিকে আহমদীয়া মুসলিম সম্প্রদায় যেভাবে আন্তধৰ্মীয় সম্মেলনের অনুষ্ঠান করতাে, তদ্রুপ সম্মেলনের অনুষ্ঠান করাকে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করতে হবে এবং তা বহুলাকারে করতে হবে। এই জাতীয় সম্মেলনের মূল ও অপরিহার্য যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে , তা হচ্ছে সংক্ষেপেঃ
ক) সকল বক্তাকেই এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে যে, তিনি যেন শুধু তাঁর নিজ ধর্মের ভাল ভাল কথাগুলি বলেন এবং আকর্ষণীয় ও উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলি তুলে ধরেন, এবং এটা করতে গিয়ে তিনি যেন অপরাপর ধর্মগুলির বিরুদ্ধে কোন নিন্দা-বিদ্বেষ প্ৰকাশ না করেন।
(খ) অবশ্য কোন ধর্মের কোন বক্তা চাইলে আন্তরিকভাবে অপরাপর ধর্মগুলিরও ভাল ভাল বিষয়গুলোর উল্লেখ করতে পারবেন, সেগুলোর উপরে কথা বলতে পারবেন এবং ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে বলতে পারবেন যে, কেন সেগুলি তাঁকে প্রভাবান্বিত করেছে।
(গ) এক ধর্মের বক্তা অন্যান্য ধর্মের নেতাদের চরিত্র ও মাহান্ত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। যেমন ধরুন, একজন ইহুদী বক্তা বলবেন রসূলে পাক হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর বিশেষ বিশেষ চারিত্রিক গুণাবলীর উপরে। এবং এই বিষয়টা এমন যে, তা সব মানুষই তাদের স্ব স্ব ধর্মীয় বিশ্বাস বজায় রেখেই পসন্দ করবেন। একইভাবে, একজন মুসলিম বক্তা শ্ৰীকৃঞ্চের উপরে বলতে পারবেন, একজন হিন্দু বলতে পারবে যীশুখৃষ্টর উপরে, একজন বৌদ্ধ মূসার উপরে (আল্লাহর শান্তি ও কৃপা বর্ষিত হােক তাঁদের সকলের উপরে) ইত্যাদি, ইত্যাদি। বর্তমান শতাব্দীর তৃতীয় দশকে এই জাতীয় সম্মেলনের অনুষ্ঠান করতো। আহমদীয়া সম্প্রদায় ভারতে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এবং এতে তারা অনেক সুফলও পেয়েছিল, সুখ্যাতিও অর্জন করেছিল।
(ঘ) উপরে (গ)-তে যা বলা হয়েছে, তার প্রতি কোন প্রকার পক্ষপাতিত্ব না। রেখেই বলছি যে, এই জাতীয় ধমীয় সভার বা আলোচনার পবিত্ৰতা রক্ষা করতে হবে এবং তা করতে হবে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়কে মিলিতভাবেই। আন্ত-ধ্যমীয় মতাদর্শের আদান-প্ৰদানকে কোনক্রমেই ধমীয় শান্তিতে অন্তর্ঘাত বলে আখ্যায়িত করা যাবে না, বর্জন করা যাবে না। আলোচনার ধারা পদ্ধতি যদি মন্দ হয় তবে, তা বাদ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু আলোচনাকে কোনমতেই বাদ দেওয়া যাবে না। চিন্তা ধারণা ও মতামতের অবাধ আদান-প্ৰদানই সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক মানবাধিকার, এর প্রয়োজন যোগ্যতমের উত্তরণের জন্যই, এ ব্যাপারে কোনভাবেই আপোষ করা যায় না।
(ঙ) মতপার্থক্যের পরিসর সংকীর্ণ এবং ঐকমত্যের সম্ভাবনা সুপ্রসারিত করার জন্য এটা খুবই প্রয়োজনীয় যে, সকল ধর্মেরই উচিত হবে অপরাপর ধর্মের অনুসারীদের সঙ্গে তাদের স্ব স্ব ধর্মের বিষয়াদি নিয়ে বিতর্ক সীমিত করে ফেলা। সকল ধর্মের উৎস অভিন্ন, —কোরআন শরীফের এই ঘোষণাকে খাট করে দেখলে চলবে না। এর মধ্যে নিহিত রয়েছে একটা জ্ঞানের জগৎ। সেই জগতকে অন্যসকল ধর্মের উচিত নিজেদের সাথে এবং সমগ্র মানবজাতির স্বার্থে পরীক্ষা করে দেখা, পুংখানুপুংখভাবে খতিয়ে দেখা।
(৫) মানবজাতির পারস্পরিক কল্যাণের লক্ষ্যে সকল ভালকাজে এবং পরিকল্পনায় সহযোগিতাকে বাড়াতে হবে এবং উৎসাহিত করতে হবে। যেমন, খৃষ্টান ও মুসলিম বা হিন্দু ও ইহুদী ইত্যাদি একসঙ্গে মিলেমিশে জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন পরিকল্পনা বা প্রজেক্ট গ্রহণ করতে পারে।
এবং তাহলেই আমরা অতীতের ঋষিদের ও দার্শনিকদের সেই পুরনো ইউটোপিয়ান স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারবো। অর্থাৎ জীবনের সকল ক্ষেত্রে - মানুষকে একই পতাকার তলে একত্রিত করতে সক্ষম হবো।
সম্পূর্ণ পুস্তক পড়ুন-
পুস্তক: আন্তঃধর্মীয় শান্তি ও সম্প্রীতি
ডাউনলোড লিংক: https://goo.gl/qjKbNc
প্রাপ্তিসূত্র: web.facebook.com/notes/বিমূর্ত-সত্য/আন্তঃধর্মীয়-শান্তি-ও-সম্প্রীতি-স্থাপনের-উপায়-হযরত-মির্যা-তাহের-আহমদ-আইঃ/766442370224302/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.