নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতিচারন : অতীত হইতে বর্তমান

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

স্মৃতিচারন : অতীত হইতে বর্তমান
===== মোঃ খুরশীদ আলম


আধুনিক জীবনাচারে 35 65 বলিয়া একটি শব্দ সর্বাধিক প্রচার পাইয়াছে। আমার জীবনের 35 অংশ আমার মাতৃপিতৃকূলের । অবশিষ্ট 65 অংশ তাহাদের, যাহাদের দয়ায় অদ্য আমি এই স্থানে আসিয়া দাঁড়াইয়াছি। ইহা অতিব দুঃখের যে, তাঁহারা আমার রক্তের সম্পর্কের কোন জ্ঞাতীগৌষ্ঠি নয়, হীতাকাঙ্গি, মুখচেনা ধরনের। মাতৃপিতৃকূলের জ্ঞাতীদের বিত্তবৈভবে ভাটা ছিল, তাহা নয়। তাহাদের মানসিকতায় স্বাদের বড়ই অভাব ছিল। হীনতা ছিল তাহাদের মনে। পিতামহের শতকানি ভূমি সন্দ্বীপের ভাঙ্গনে খাইয়াছে, সাথে পিতার ভাগ্যও। যে যার মতো করিয়া দাঁড়াইয়াছে কিন্ত আমার পিতার কপালে সুখ জুটিল না। তাহার সঙ্গে আমারও ।
পোর্ট কলোনীর বুদন কাকা, দারোগ আলী কাকা, জুয়েল ভাই, মরহুম সোহেল ভাই (আল্লাহ জান্নাত নসিব করুন), ডাঃ মোজাম্মেল কাকা, মোল্লা কাকা গণের অবদান আমি অস্বীকার করিতে পারি না। তবে, ইহারা কেহই আমার জ্ঞাতীগৌষ্ঠি নন । নিমতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরম পূজনীয় শিক্ষাগুরু আবুল কালাম আজাদ, পোর্ট কলোনীর ছিদ্দিক মামা (স্যার), হাবিব স্যার আপনাদিগকেও আমি স্মরন রাখিয়াছি। কেননা আপনারা আমাকে ঋণী করিয়া গিয়াছেন, আমি তাহা পরিশোধ করিতে পারিব না। ভুলিব না বন্ধু সোলেমান, বড় ভাই উজ্জল আর তাহাদের অবদানের কথা। কেননা আমি এ জগতে কিছুই নহি আবার অনেক কিছু, শুধু তাহাদের দয়ার বদৌলতে, অন্য কিছুতে নহে। আমার যাহা কিছু এমনকি আমার শরীরের একটি পশমও আমার নয়, সকলই তোমাদিগের। তোমরা যদি আমার চামড়া ছিলিয়াও নাও আর আমি যদি উহঃ শব্দটি উচ্চারন করি, তাহা হইবে বড় অকৃতজ্ঞতা, আমি জালিমের কাতারে সামিল হইব । পরম পূজনীয় ওস্তাদ মরহুম আব্দুল হালিম কিশোরগঞ্জী, নিমতলার শাহাজাহান ওস্তাদের শিষ্যত্ব আমাকে ধন্য করিয়াছে । কি দ্বারা তাহাদের পূজীব? কোথায় পাইব সে পুষ্পমাল্য ।
মনে পড়ে, ডাঃ মোজাম্মেল কাকার কথা। এসএসসি পাশ করিয়া যখন দিকশূণ্য হইয়া ঘুরিতেছিলাম, আপনিই মাথায় হাত বুলাইলেন । সুধিলেন, পৃথিবীর কোন কর্মই হীন নহে। শুনিলাম, দেহে প্রাণ সঞ্চার হইল, অন্তরে বল পাইলাম। রাজমিস্ত্রির হেলপার, রিক্সাওয়ালা, বিদ্যুতের মিস্ত্রী, গার্মেন্ট শ্রমীক, কি না হইয়াছি। মন হইতে লজ্জা, ভয়, আহমিকা ছুটিয়া পালাইয়াছে। আজো তাহাদের দেখা পাইনা। আপনার উৎসাহে, আপনি মহান । আপনি গ্রহণ করুন আপনার চরনে আমার হাজার ছালাম।
মনে পড়ে, পোশাক শিল্পের কর্মচারী হইয়া যখন সংগ্রামে অবর্তীণ হইলাম। সেথায় সুশ্রী এক নারী আগাইয়া আসিল। কর্মপ্রশিক্ষনে উদ্যোগি হইয়া আগাইয়া আসিল এবং হাতে হাত রাখিল। জানিনা, সেক্ষনে তাহার প্রতি অন্তরে কোন প্রিতী জন্মলাভ করিয়াছিল কিনা। তবে, ইহা জানি সেই কোমলমতী নারী হইতে দিক্ষা নিয়াছি কিরুপে প্রতিকূল পরিবেশে টিকিয়া থাকিতে হয়। তাহার শ্রীখানি অদ্যাবধি আমার নজরে ভাসিয়া উঠে। আমি তাহাকে ভুলি নাই, ইহকালে ভুলিব না পরকারেও নয়।
দিনের পর দিন, রজনীর পরে রজনী, এক সহস্র দিন, দুই সহস্র দিন কর্মে কাটাইয়াছি। ক্লান্তি মনোবল ভাঙ্গিতে পারে নাই। নিদঘুম তুচ্ছজ্ঞান করিয়া আগাইয়াছি। কিন্তু আজিকে আমি বড়ই ক্লান্ত। অসহায়ের প্রতি সবলের আক্রমন, দুষ্টের লালন আর শিষ্টের দমনে অন্তরে পীড়াবোধ করি। বাধ্য হই ভাবিতে, জন্মই কিগো বৃথা ।
বুকের ভিতরের মানুষটি তাড়া দেয়। থামিয়া থাকিও না, দুর্বল হইও না, বার্ধ্ক্য আসেনি দেহে। এ ধরায় তোমার হারাইবার কি আছে? হুংকার ছাড়, জালিম পালাইবার পথও খুঁজিয়া পাইবে না।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.