নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রচলিত ভুল - পর্ব- ০১

১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

প্রচলিত ভুল : পর্ব – এক
যিনি চিকিৎসা করেন তাকে বলা হয় ডাক্তার বা চিকিৎসক। যিনি শিক্ষকতা করেন তাকে বলা হয় শিক্ষক। আবিষ্কার যিনি করেন তিনি বৈজ্ঞানিক। যিনি কোন বিষয়ে ট্রেনিং দেন তিনি সেই বিষয়ে ট্রেইনার বা প্রশিক্ষক। কর্মের সাথে মিল রেখেই পেশার পরিচয়। এটা সারা পৃথিবীর নিয়ম। যিনি শিক্ষা গ্রহণরত আছেন তিনি তালেবে এলেম বা ছাত্র। যিনি ধর্ম, কর্ম প্রচার করেন তিনি দ্বিনের দ্বায়ী।
ছাত্রত্ব বজায় রাখার জন্য যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে হয় তেমনি আল্লাহর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য সুন্নতী আমলে জীবন গড়তে হয়। সুন্নতী আমল কারা করে তা এদেশের নূরানী মাদ্রাসার কচিকাচা বাচ্চাগুলোও জানে।
সাধারণ জ্বরে নাপা বা প্যারাসিটামল সেবনের পরামর্শ সবাই দিতে পারেন। কিন্তু তাদের কি আমরা ডাক্তার বলি। এ ধরণের পরামর্শ দানকারীদের কারণে প্রাণ নাশের আংশকা উড়িয়ে দেয়া যায় না। ডাক্তার তিনি হন যিনি যৌবনে সব সুখ আহ্বলাদ ত্যাগ করে কঠোর পরিশ্রম করে লক্ষ্য পাণে এগিয়ে যান। কত শ্রম, কত ত্যাগ, কতো কষ্টের বিনিময়ে একজন নিজেকে ডাক্তার রূপে গড়তে পারেন তা সচেতন মাত্রই জানেন।
সমাজ প্রত্যেকের কর্মক্ষেত্র নির্ধারণ করে দিয়েছে। ডাক্তারের কাজ চিকিৎসা দেয়া, আইনজীবীর কাজ আইনি পরামর্শ দেয়া, বিচারকের কাজ ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা, শিক্ষকের কাজ ছাত্রকে বুঝিয়ে-পিটিয়ে আদর্শ মানুষ গড়ে তোলা। সবই ঠিক থাকে যখন যে যার অবস্থানে থেকে কাজ করে যান। কিন্তু যখন আমারা নিজের কাজ না করে অন্যের বিষয় সম্পর্কে মাথা ঘামাই তখনই সমস্যা শুরু হয়।
ড্রেসের সাথে পেশার সুন্দর ভালবাসা রয়েছে। ড্রেস পরিহিত অবস্থায় ডাক্তার, নার্স, আইনজীবী ইত্যাদি চিনা যায়। তাই ড্রেসের গুরুত্ব অনেক বেশী। ড্রেস পরিহিত অবস্থায় সংশ্লিষ্টের মর্যাদা বাড়ে, সম্মান বৃদ্ধি পায়। তথাকথিত আধুনিক এই সব ফতোয়াবাজ ইসলামী পোশাক আশাককে অনেকটা এড়িয়ে চলে। বড় বড় লেকচার দেয়া সহজ কিন্তু সুন্নতী জীবন আমল করা অনেক কঠিন তাদের কাছে। তারা বলে দাড়িতেই কি ইসলাম, জুব্বা-টুপিতেই কি ইসলাম ইত্যাদি ইত্যাদি। আল্লাহ বলেন, “ হে রাসুল (স:) আপনি বলেন, তারা যদি আমাকে ভালবাসে যেন তারা আপনার অনুসরন করে।” রাসূল (স:) এর অনুসরন হচ্ছে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তার আদর্শের অনুসরন করা। কথা-বার্তায়, পোশাক আশাক সব ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য। যারা এড়িয়ে চলেন তারা দুর্বল ঈমানের অধিকারী।
আজকাল অনেক আধুনিক শিক্ষিত লোক ধর্মীয় প্রচার প্রসারে নিয়োজিত আছেন। কিছু লোক পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সাথে সাথে তাবলিগ ও তালিমের কাজেও আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। এটা বেশ ভাল। তবে সমস্যা তখন দেখা দেয় যখন তারা কেউ কেউ শরিয়তের কঠিন কঠিন বিষয় নিয়ে অভিজ্ঞ আলেমদের মতো ফতোয়া দিতে থাকেন। এটা ইসলামের জন্য মেটেও সুখকর নয়। ধর্মীয় দৃষ্টিতে ফতোয়া দেয়ার এখতিয়ার শুধুমাত্র অভিজ্ঞ আলেম তথা মুফতি সাহেবদেরই আছে। একজন ডাক্তার হতে যে সাধনা লাগে একজন মুফতি হতেও তার কোন অংশে কম সাধনা লাগে না। এদের জন্য সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, মতভেদ সৃষ্টি হয় যা সমাজে অশান্তি বয়ে আনে।
বর্তমান সময়ে নামাযে মতভেদ, তারাবিতে মতভেদ, দোয়া বা মুনাজাতে মতভেদ, হাদিস পড়তে গিয়ে (সহিহ-অসহিহ) মতভেদ খুব গেড়ে বসেছে। এই সমস্ত মতামত, মতভেদ সৃষ্টি হওয়ার পিছনে দায়ী আমাদের তথাকথিত আধুনিক শিক্ষিত কিছু ভদ্র লোক যারা শরিয়তের বিধান সম্পর্কে, কঠিন কঠিন মাসয়ালা- মাসায়েল সম্পর্কে জনসম্মুখে কথা বলে থাকেন। তারা নিজেদের দায়িত্ব ভূলে গেছেন। শরিয়তের বিধানের ফায়সালা প্রচার করার কোন ধর্মীয় বা আইনী সুযোগ কোন ডাক্তার, প্রফেসরের নাই।
34 বছরের জীবনে কোন দিন দেখিনি কোন মসজিদের ঈমাম সাহেব আট রাকায়াত তারাবি পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে গেছেন। দেখেছি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রদেরকে। কি আশ্চর্য্ মগজ ধোলাই। এই মগজ ধোলইয়ের পিছনে রয়েছে আধুনিক শিক্ষিত কিছু জাহেল লোক।
যা হোক, মূল কথা হলো আমরা যে যে সেক্টরে আছি সেই সেক্টরের বাইরে যেন কথা না বলি। আমাদের ভূল তথ্যের কারণে কেউ যদি ভূল আমল করে তবে পরম করুণাময় আমাদের ক্ষমা করবেন না। তাই যে যেখানে আছি তার বাইরে যেন কথা না বলি। মনে রাখতে হবে, আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীকে ভালবাসেন না।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

নতুন বলেছেন: 34 বছরের জীবনে কোন দিন দেখিনি কোন মসজিদের ঈমাম সাহেব আট রাকায়াত তারাবি পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে গেছেন। দেখেছি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রদেরকে। কি আশ্চর্য্ মগজ ধোলাই। এই মগজ ধোলইয়ের পিছনে রয়েছে আধুনিক শিক্ষিত কিছু জাহেল লোক।

তারাবি রাসুল সা: নিজে বেশি পরেন নাই। এটা ওমর রা: এর আমলে চালু হয়েছে... রাসুল ৮ রাকাত পরেছেন... ২০ পড়লে ভালো... কিন্তু ৮ পড়লে খারাপ হবে কেন?

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: “রাসুল ৮ রাকাত পরেছেন... ২০ পড়লে ভালো... কিন্তু ৮ পড়লে খারাপ হবে কেন? ”
যেহেতু ২০ রাকায়াত পড়লে ভাল আপনি স্বীকার করেছেন সেহেতু ৮ পড়লে ভাল হবে কিনা আপনিই বিবেচনা করুন।
বাজারে গেলে ভালটাইতো সবাই চায়।

২| ১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভুল লিখতেই তো ভুল করেছেন। বাপ দাদার প্রচলিত রীতি নীতির দিন শেষ। যা হবে কোরআন, হাদীস ভিক্তিক। আপনাদের দিন শেষ...

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৭

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ভূল সংশোধন করিলাম। ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: কুরআান ও সহীহ হাদিস দ্বারা নিজেদের আমল পরীক্ষা করে নেয়া দরকার। যত বড়ই মুফতি,মাদ্রাসা পড়ুয়া, ইমাম, পীর হোন না কেন যদি তাদের কোন ফতোয়া বা কোন কথা সহীহ হাদিছের বিপরীতে যায় তবে তা পরিত্যাজ্য বা গ্রহনযোগ্য নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.