নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেউই সমস্যার উর্দ্ধে নই

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯



জৈনক জেলা জজ মহোদয় একবার উনার ফেজবুক পেইজে স্টাটাস দিয়েছিলেন যে তার বাড়ীর জায়গা-জমি কতিপয় দুষ্কৃতিকারী আত্নীয়তার বাহানা দিয়ে লুটে-পুটে খাচ্ছে। শুধু তাই নয়, যে যেভাবে পারছে দখল করতেও দ্বিধা করছে না। তিনি আফসোস করে বলেছিলেন তিনি প্রশাসনের একজন কর্তাব্যক্তি হওয়া স্বত্বেও তার এই অবস্থা। না পারছেন আইন প্রয়োগে ব্যবস্থা নিতে না পারছেন স্বাভাবিক নিয়মে সমস্যার সমাধান করতে। প্রশ্ন হতে পারে তিনি কেন আইনী ব্যবস্থা নিতে পারছেন না? দু’চার জন নয় দু’চারশ দুষ্কৃতিকারী দমন করা একজন জেলা জজের ক্ষমতার কাছে কিছু নয়। কিন্তু ঐ যে লোকে বলবে ‘ক্ষমতার দাপট’ দেখিয়েছেন তাই তিনি কঠোর হতে পারেননি। ভদ্রলোকের নীতি ও আদর্শের ব্যাপারে চট্টগ্রামের আইন সংশ্লিষ্ট সকলেই ইতিবাচক মনোভাব প্রদর্শন করেন এবং একবাক্যে সকলেই তাকে একজন ভাল মানুষ হিসাবে শ্রদ্ধা করেন।

সরকারি কর্মচারীদের অনেক টাকা- সর্বসাধারণে এ ধারণা এক রকম বদ্ধমূল। সেটা আমাকে ব্যথিত করে না যতটুকু আঘাতপ্রাপ্ত হই নিকটাত্নীয়দের প্রশ্নবানে বিদ্ধ হয়ে। বিশেষত যেখানে আদালত ভবন বা আইন সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে পেশাটা জড়িত। কি রক্তের সম্পর্ক, কি বাইরের, আত্নীয়-অনাত্নীয় সকলেরই একই ধারণা “ আদালত ভবনের ইট ও নাকি টাকা খায়” । কি আজব !

আমি আদালত ভবন, চট্টগ্রামের সাধারণ একজন কর্মচারী। মাস শেষে মাইনে পাই। খাই-দাই আর ঘুমাই। পরিবারের সকলকে নিয়ে সুখে দিন যাপন করার অবিরত চেষ্টা চালিয়ে যাই। কিন্তু বাদ সেজেছে কিছু আত্নীয়। তাদের ভাব এমন যেন আমি তাদেরকে তাদের সকল সমস্যা হতে পরিত্রান দেবার ইজারা নিয়ে রেখেছি। একমাত্র মা দেশের বাড়ীতে একা থাকেন নিজের মতো করে। আমি যতদুর পারি সন্তানের দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করি। একই বাড়ীর আত্নীয়রা ধার ও হাওলাত চেয়ে আমার মাকে সবসময় যন্ত্রনা দিয়ে থাকেন। তাদের দাবী আপনার ছেলেতো শহরে ভাল বেতনে চাকুরী করে (যেন সরকারের কোষাগারের দায়িত্বে আছি) । তাই বলে তাদেরকে সব সময় হাওলাত আর ধার দিতে হবে। কখনো কখনো সামান্য ধারের টাকা আদায়ের বছরের পর বছর কেটে যায়। আমার মা রাজি না হওয়ায় এখন শারীরিক ও মানসিকভাবে তাকে যন্ত্রনা দিচ্ছে। থানা-পুলিশ করা আমার জন্য কোন ব্যাপার না। কিন্তু কি করি? কোনটা করি? একদিকে আত্নীয়-স্বজন অন্যদিকে মানুষ বলবে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছি । এসকল যৌথ কারণে এ পা আগালে তিন পা পিছু হটে যাই। এ সমস্যা শুধু আমার নয় সকল সরকারি কর্মচারীদের কমন সমস্যা। আমরা কেউ সমস্যার উর্দ্ধে নই।

কিভাবে এসকল ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব ? আজো উত্তর জানা নাই।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৭

রাশিয়া বলেছেন: ক্ষমতার দাপট দেখাতে হলে দেখাবেন - এতে লজ্জার কি আছে? আপনার সমস্যা সমাধান হওয়া নিয়ে কথা। আমার মাকে কেউ যন্ত্রণা দিলে আমার ক্ষমতা না থাকলেও দাপট দেখাতাম। লজ্জা থাকলে দেশ ছেড়ে ভাগুন - এ দেশ আপনার জন্য নয়।

আপনার কামাই কেবল আপনার পরিবারের জন্য - অন্য কারও তাতে কোন অধিকার নেই - এই সরল কথাটা তাদের মন মগজে ঢুকিয়ে দিন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আপনার বক্তব্যানুযায়ী পরিকল্পনা চলছে, দেখি কি করা যায়। তবে আপনাকে আশ্বস্ত করছি ওদের ছেড়ে দেব না। অনুপ্রাণিত হলাম আপনার অগ্নিঝরা মন্তব্যে।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশে বেঁচে থাকতে হলে ক্ষমতাবান মামা চাচা খুব দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.