নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\n

মা.হাসান

মা.হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাঝে মাঝে স্ত্রীর কাছ থেকে আইডিয়া ধার নিলে পুরুষত্ব বৃদ্ধি পায়, কমে না

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

If You Don't Fight For What You Want, Don't Cry For What You've Lost







১৪ সেপ্টেম্বরে ভারতের তৃতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি যোগি আদিত্যনাথের রাষ্ট্র উল্টো প্রদেশের হাথরাসে ১৯ বছরের একজন নিম্নবর্ণের হিন্দু তরুনী গরুর খাবার আনার সময় উচ্চ বর্নের ঠাকুর গোত্রের চার জন পুরষ- সন্দীপ, রামু, লব কুশ, এবং রবি আক্রমন এবং ধর্ষনের স্বীকার হয়। এটা নতুন ঘটনা না। হাথরাসে এর আগে অনেক এবং পরেও একাধিক ধর্ষণের ঘটনা হয়েছে। তবে এই ঘটনাটি ঘটনাক্রমে ভাইরাল হয়ে যায়।




ধর্ষণে বাধা দিলে ঐ চার যুবক ক্রমাগত মেয়েটির গলা টিপে শ্বাস রোধের চেষ্টার সময় মেয়েটির ঘাড় ভেঙে যায়। পিটুনিতে স্পাইনাল কর্ডে আঘাত লাগে । পরে ঐ যুবকরা মেয়েটির জিভ কেটে ফেলে। মেয়েটিকে প্রথমে আলীগড়ের জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরবর্তীতে অবস্থা বেশি খারাপ হলে তাকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুচিকিৎসা পেলেও আজীবন মেয়েটিকে পঙ্গু হয়ে বাঁচতে হত। মেয়েটির কপাল ভালো, সে ২৯ সেপ্টেম্বর মারা যায়।


ঘটনা ঘটার পর ঐ দিনই স্থানীয় থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে পুলিশ দুর্ব্যবহার করে ভিকটিমের পরিবারকে বের করে দেয়। পরে ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর ২০ সেপ্টেম্বর পুলিশ কমপ্লেন রেজিস্ট্রেশন করে। অভিযুক্ত সন্দীপ রামু লব কুশ এবং রবি দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল, পুলিশ কখনোই কোনো ব্যবস্থা নেয় নি।

মেয়েটি মারা যাবার আগে একটি স্টেটমেন্টে ঐ চার যুবকের অত্যাচারের কথা বলে যায়।





মেয়েটি মারা যাওয়ার পর ঐ দিন রাত দুটোর সময় পুলিশ পাহারায় ডিজেল দিয়ে মেয়েটির দেহ দাহ করা হয়। মেয়েটির পরিবার প্রচলিত ধর্মানুসারে দিনের আলোয় দাহ করার জন্য পুলিশের কাছে কাকুতি-মিনতি করেছিলো। পুলিশ মেয়েটির বাসা ঘিরে রেখে রাতেই দেহ দাহ করে।









সরকারী ডাক্তারেরা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট লিখেছে কোন ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। কোন জিভ কাটার ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয় ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট (বাংলাদেশের ডিসির অনুরূপ) ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৫ লক্ষ টাকা মেয়েটির পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে এবং এর পর ধমক দিয়ে মেয়েটির পরিবার কে বলে গেছে করোনায় মেয়ে মরলে তো কোনো টাকা পেতে না, এত লাফানোর দরকার কি?







ঘটনা ভাইরাল হবার পর বিরোধীদল অভিযুক্ত ভিকটিমের ফ্যামিলির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে এলাকায় ঢোকার আগেই পুলিশ বিরোধীদলের গাড়ি বাহিনী আটকে দেয়। এরপর ওনারা হেঁটে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ ঐ গ্রাম বেরিকেড দিয়ে ঘিরে রাখে।








ঘটনার পর ওই এলাকার একজন এমপি বলেছেন মেয়েদেরকে ভালো শিক্ষা দেওয়া হলে ধর্ষন হবে না। আরেকজন বলেছেন এই ধরণের চরিত্রের মেয়েদের দেহ ক্ষেতেই পাওয়া যায়। উনি আরো দাবি করেছেন নির্দোষ ছেলেদের এভাবে হাজতে রাখলে তাদের মানসিক ক্ষতি হয়।












উত্তর প্রদেশের পুলিশ বলেছে যোগী আদিত্যনাথ এর সরকারের প্রতি এটি একটি ষড়যন্ত্র। (ষড়যন্ত্র থিওরি অবশ্য নতুন না, এটার পেটেন্ট আমাদেরই আছে)।
যোগী আদিত্যনাথ এর সরকার ড্যামেজ কন্ট্রোল এর জন্য পিয়ার ক্যাম্পেইনে ঘোষণা দিয়েছে।





এই ঘটনা থেকে অনেকগুলো শিক্ষা নেয়া যায়ঃ
১) মেয়েদের ভালো শিক্ষা দিলে মেয়েরা ধর্ষিত হবে না।
২) ভিক্টিম মারা গেলে সাক্ষী একজন কমে যায়, ক্ষেত্র বিশেষে আর কেউ থাকেনা।
৩) মৃতদেহ যদি তাড়াতাড়ি দাহ করে ফেলা হয় তাহলে নতুন করে পোস্টমর্টেমের সুযোগ থাকে না। দাহ করার কাজটা যত সম্ভব গোপনে করতে পারাটাই ভালো।
৪) পোস্টমর্টেম রিপোর্ট যদি বলা হয় ধর্ষণ হয়নি ব্যাপারটা এখানেই মিটে গেল।
৫) যারা ইংরেজি বা ডাক্তারি পরিভাষা পড়তে পারে না মোস্ট মর্টেম রিপোর্ট তাদের দেখানোর কোনো মানে হয় না
৬) থানায় অভিযোগ করতে পারাটা একটা প্রিভিলেজ, কোন রাইট না।
৬) ধর্ষনের ঘটনা ঘটে গেলে ভিক্টিমের পরিবার যাতে আর কারো সাথে কথা বলতে না পারে তা নিশ্চিত করা জরুরি।
৭) অভিযুক্ত যদি পালিয়ে না যায়, নিজ বাসা বা হোস্টেল বা হল বা মেসেই থাকে তবে ধরে নিতে হবে সে নির্দোষ।
৮) ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত 'নির্দোষ' ব্যক্তি হাজতবাস করলে তার মানসিক ক্ষতি হলে দায় অভিযোগ কারির।
৯) অভিযুক্তদের যৌবনের ক্ষতি হয়, এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া যাবে না। (*কৃতজ্ঞতা- ভুয়া মফিজ ভাই)
১০) এর পরেও কোনভাবে ঘটনা ভাইরাল হয়ে বাইরে আসলে ধরে নিতে হবে এটি ষড়যন্ত্র।
১১) সরকারের ইমেজ নষ্ট হয়ে থাকলে তবে তা পিয়ার ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে তা ঠিক করার সুযোগ তো আছেই।

আরো কোনো পয়েন্ট খুঁজে পেলে সাজেস্ট করবেন প্লিজ, অ্যাড করে দেবো।

জগতের সকল স্বামী-স্ত্রী একজন আরেকজনের সাথে আইডিয়া শেয়ার করুক, ঝামেলা বিহীন জীবন গড়ুক।

(সকল খবরের কাগজের কাটিং দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার।)

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

জুন বলেছেন: হাথরসের এই ঘটনাটি আমি আনন্দবাজার পত্রিকায় নিয়মিত পড়েছি মাহা। এই ঘটনার রেশ শেষ না হতেই যোগীরাজ্য হাথরসে একটি চার বছরের মেয়ে এর শিকার। সেখানকার পত্রিকায় পড়েছি নির্ভয়া, আসিফার ঘটনাগুলো। অত্যন্ত দুঃখজনক। টেলিভিশনের বিভিন্ন সিরিয়ালের মত এই ধর্ষণও ওখান থেকেই আমদানি হয়েছে বলে আমার দৃঢবিশ্বাস। মাদকের প্রভাবও আছে অবশ্যই। আমরা এমন পশু হয়ে যাচ্ছি কেন!

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩২

মা.হাসান বলেছেন: ভারতে এর আগে নদিয়ার রানাঘাটে সত্তরোর্ধ খ্রিস্টান নান ধর্ষনের স্বীকার হয়েছেন, দিল্লিতে ৮৬ বছর বয়স্কা বৃদ্ধা ধর্ষনের স্বীকার হয়েছেন। সমাজে অপরাধ হয়তো থাকবে , কিন্তু এগুলো কি?! হতবাক হয়ে যাই যখন রাষ্ট্র এগুলো সাপোর্ট দেয়। বিশ্বজিতের কপাল ভালো, তাকে জামাত শিবির তকমা পেতে হয় নি। আবরারের কপাল খারাপ। সে জামাত শিবির হয়ে গেছে। একজনকে খুন করো, বলে দাও সে জামাতী। পরেরটাও আসছে। ধর্ষনের পর বলা হবে সে খারাপ চরিত্রের মেয়ে বা সে জামাত করে বা তার বাপ জামাত করে। ২০৪১ পর্যন্ত আরো অনেক কিছুই দেখতে হবে।

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০৯

শাহ আজিজ বলেছেন: ইন্ডিয়ান একটি অনলাইন টি ভি চ্যানেলে রাতের আগুন জ্বলার দৃশ্য দেখে ভাবলাম কোন ফিল্মের প্রচার হচ্ছে । আবার দেখাল আরেক টি ভি , সাউনড বাড়িয়ে মর্মান্তিক কাহিনী জানলাম । তারপর দুদিন ধরে গ্রাম ঘেরাও , কাউকে ঢুকতে না দেওয়া । গান্ধী ভ্রাতা বহিনের নাটক এবং সব শেষে এক টি ভি প্রদায়ক দুর্গার লাইভ দেখলাম কিভাবে পুলিশ ঠেকাচ্ছে তাকে। কিছুক্ষন বাদেই আদিত্য বাহিনী ঘেরাও তুলে নেয় । সব জানলাম । উত্তর প্রদেশের এই শুওর একটা পিওর রাজাকার । ওকে খুন করা উচিত ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪০

মা.হাসান বলেছেন: কম খরচে ভ্রমন করা যায় বলে এবং এখন একবারে এক বছরের ভিসা দেয় বলে ভারত আমার পছন্দের টুরিস্ট ডেসটিনেশনের এক নম্বরেই থাকে। গত ফেব্রুয়ারি লাস্ট গিয়েছি। লখনৌতে হোটেল বুক করা ছিলো। টিকেট বুক করার আগে পশ্চিম বঙ্গের এক পরিচিত শুভাকাঙ্খি বন্ধুস্থানীয় ব্যক্তির সাথে আলাপ করলে উনি বলেন যোগি আদিত্যনাথের রাজ্য ইউপিতে মুসলমানদের এ সময় ভ্রমন না করাই ভালো।

নিজ ধর্মের নীচু জাতের সাথে এদের কি আচরন তা দেখতেই পাচ্ছি। এটা প্রথম না। এটা শেষ বলেও মনে হয় না। যখন ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা ধর্ষকদের পক্ষে এই রকম বানী দেয় তখন ন্যায় বিচার পাবার কোনো সম্ভাবনা থাকে বলে মনে হয় না।

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্ষণের ব্যাপারে ভারতের অবস্থা মনে হচ্ছে আমাদের চেয়েও অনেক খারাপ। আপনার শেষের পয়েন্টগুলি মনে হয় ধর্ষকদের জন্য নির্দেশিকা। কিভাবে একটা ধর্ষণের ঘটনাকে নিজেদের অনুকুলে আনা যায়।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫১

মা.হাসান বলেছেন: শশুর বাড়ি থেকে আমরা অনেক কিছুই আমদানি করেছি। হেরোইন, ডাল, ঘরে তৈরি ছোটো বোমা, পাইপগান, হিন্দি গান আর সিনেমা, পর্নোগ্রাফিক বই, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভাংচুর- লিস্ট শেষ হবার না। রাষ্ট্রে অপরাধ থাকবে, নির্মূল হবার না। কিন্তু অপরাধিকে রাষ্ট্রিয় ভাবে প্রটেকশন দেয়া না আসলেই ভালো হয়। আবরারের কেসে ব্লগেই অতীতে এবং এখনো অনেক যা বলছে তাতে মনে হয় না আমাদের চাওয়া না চাওয়ায় কিছু আসে যায়।

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৮

অপু তানভীর বলেছেন: কী ভয়ংকর আর জঘন্য একটা অবস্থা । আমার কাছে সব জঘন্য অবস্থা মনে হয় ধর্ষণ হওয়ার পরে কিভাবে ধর্ষকদের রাষ্ট্র রক্ষা করে চলে । আর ধর্ষণের মেয়েটিকে নানা ভাবে ব্লেমিং করা হয় ! এটা দেখে আমার নিজের ভেতরে যে অক্ষম একট রাগ সৃষ্টি হয় সেটা প্রকাশ করা যায় না ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৪

মা.হাসান বলেছেন: স্থানীয় সোনালীগের অনুমতি ছাড়া পুলিশ ঢাকার বাইরে বেশির ভাগ এলাকায় থানায় কোনো মামলা নেয় না। ধর্ষনের মামলা পুলিশ চাপ দিয়ে মিমাংসা করানোর ঘটনা নিয়মিতই চোখে পড়ে। ধর্ষিতার মাথা মুড়ে দেয়া হয়েছে, দোররা মারা হয়েছে এমন ঘটনাও ঘটতে দেখি। ধর্ষনের শাস্তি হিসাবে ধর্ষকের সাথে ভিক্টিমের বিয়ে দেবার ঘটনাও ঘটে । অর্থাৎ কাউকে ভোগ করার ইচ্ছে হলো, করলাম, এর পর সমাজের চাপে বিয়ে করলাম, একমাস আবার ভোগ করলাম, ছেড়ে দিলাম, আরেক জনকে করলাম। পুরুষ মানুষ হয়ে জন্মাতে পারলে আর কি চাই!
নিজের মায়ের সামনে, স্ত্রীর সামনে, বোনের সামনে দাড়াতে সঙ্কোচ বোধ করি।

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২০

শায়মা বলেছেন: কি ভয়াবহ আর কষ্টকর ভাইয়া। :(
এই সব অপরাধীদের আর কোনোভাবেই ক্ষমা পাবার কোনো সুযোগ নেই। এবার মৃত্যুদন্ডই এর একমাত্র চাওয়া। এবং অবশ্যই তার দ্রুত কার্য্যকরন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৯

মা.হাসান বলেছেন: এই হাসি মুখের লোকটিকে চেনেন? এনার নাম আসলাম ফকির। খুব কামেল ফকির।



এই ছেলেটিকে চেনেন?
এর নাম বিশ্বজিৎ। এই ছাত্র শিবিরের হিন্দু ফ্রন্টের একজন গোপন এজেন্ট।

আইন একটা তামাশা, বড় লোকেরা পয়সা খরচ করিয়া সেই তামাশা দেখিতে যায়। বঙ্কিম চন্দ্রের এই কথা এখন আর সত্য না । এখন বলতে হয় ক্ষমতাশালীরা মাঝে মাঝেই তাদের জীবনে আনন্দ ফূর্তির জন্য এই রকম তামাশা করিয়া থাকে।

মৃত্যুদন্ড দেয়া হোক আর খোঁজাকরন করা হোক, আইনের শাসন না থাকলে কোনো শাস্তিই কাজে আসবে না।

৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩২

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার সব কয়েকটা পয়েন্টকে একসাথে করলে যা দাঁড়ায় তা হচ্ছে ক্ষমতার প্রশ্রয়েই ধর্ষন বৃদ্ধি পায়

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪

মা.হাসান বলেছেন: সোনার দলের সোনার ছেলেরা সোনাবাজি করবে, বাঁধা দেয়া যাবে না।

যাকগে, এই খবরটা দেখেছেন?-

৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিবাদ প্রতিবাদ প্রতিবাদ। এই পোষ্টের বিরুদ্ধে আপাদমস্তক প্রতিবাদ করছি। সন্ন্যাসী যোগী আদিত্যনাথ‌ একজন সাক্ষাৎ ভগবান। প্রতিদিন ঝরোকা দর্শনে হাজার হাজার ভক্ত উনাকে দর্শন করে পূণ্য অর্জন করেন। মোদিজি উত্তরপ্রদেশে এহেন সন্ন্যাসীর হাতে তুলে দিয়ে যে কর্মসূচি নিয়েছেন আগামী দিনে ভারতের প্রতিটি অঙ্গরাজ্য একজন করে সন্ন্যাসীর হাতে তুলে দিয়ে সন্ন্যাসী পরিচালিত ভারত গড়তে, অপার রাম রাজত্ব কায়েম করবেন। আর সেই রাজ্যকে আপনি বলছেন, উল্টো প্রদেশ? মনে রাখবেন অমর্ত সেনও এমন নিন্দা করেছিল। সেখানে এমন নিন্দা কিছু আসে যায় না।


মনে রাখবেন ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ যে বিজেপিকে ক্ষমতায় অলিন্দ পৌঁছে দিয়েছেন সেই দল বা ব্যক্তির নামে নিন্দা প্রস্তাব মানে নিঃসন্দেহে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে অসম্মান করা, পরোক্ষভাবে ওদের ধর্মকে অসম্মান করা বৈকি। উল্লেখ্য মোদিজির লক্ষ্য পোপ পরিচালিত ভাটিকান সিটির ন্যায় বাবা আদিত্যনাথের মতো কোনো সন্ন্যাসীকে দিয়ে অপার হিন্দু রাষ্ট্র কায়েম করা। এত বৃহৎ কর্মযজ্ঞে টুকটাক দুয়েকটা অশান্তির ঘটনা ঘটতেই পারে, সে গুলোকে এত বৃহৎ করে দেখার অর্থই হচ্ছে দেশের অগ্রগতিকে খাটো করে দেখা বা ধর্মীয় রাষ্ট্রকাঠামো তৈরীতে বাধা দান করা। আরে বাবা একটা দলিত মেয়ের যার না আছে কোন শিক্ষাদিক্ষা, বাড়িঘর রুপ যৌবন তাকে নিয়ে এত মরা কান্না করার কি আছে? হ্যাঁ মানছি সংবিধানে আইনের চোখে সকলের সমানাধিকার স্বীকৃত। তাই বলি সত্যি কি আইনের চোখে সকলে সমান? তাহলে, আমি আপনি একটা মন্দির বা মসজিদে ইট মারলে পরের দিন থেকে শুরু হবে অনির্দিষ্টকালের জন্য হাজতবাস। অথচ সমাজের একটা গোষ্ঠী তারা প্রকাশ্যে দিবালোকে একটা মসজিদকে গুড়িয়ে দিয়ে বহু বছর ধরে বিচারের নামে লক্ষ-কোটি খরচ করে অবশেষে বেকসুর খালাস পায় কি করে? যে ছেলেগুলো পার্টির জন্য নিবেদিতপ্রাণ, জানমাল কবুল করে দলকে ক্ষমতায় পৌঁছে দিয়েছে তাদের মধ্যে যদি একদুজন একটু টুকটাক ভুল করে তাকে এত বড় করে দেখানোর জন্য কারণ পাইনা। আর মিডিয়া তারা তো আর ভোট দেয়না যে সরকারের তাদের মন যুগিয়ে চলতে হবে।
ডিএম ঠিক কথায় বলেছেন, করোনায় মূল্যের কোন টাকা পেত না সেখানে 25 লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেওয়া কোন অবস্থায় বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ডিএম অত্যন্ত বিচক্ষণ মানুষ। সেদিন যিনি মসজিদ ভাঙার রায় দিয়েছিলেন, কিংবা অনির্দিষ্টকাল শাহীনবাগে রাস্তা অবরোধ করাটা যে বেআইনি সেই রায় দিয়েছিলেন তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ডি এম সাহেব নিজের ক্যারিয়ারকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন। কাজেই ওনার বিচক্ষনতা নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠতেই পারে না।
সবশেষে রঞ্জিত বাহাদুর শ্রীবাস্তবের মুখের কথাকে যারা সমালোচনা করছেন, তাদের মনে নাই থাকতে পারে যে বিজেপি দলে সর্বক্ষণ একটা প্রতিযোগিতা চলে। যে যত বেফাস কথা বলবে সে অন্যদেরকে ল্যাঙ মেরে দ্রুত ছোট নেতা থেকে মাঝারি নেতা তা থেকে বড় নেতা তা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে পর্যন্ত উত্তীর্ণ হতে পারেন। ছোট লোক/সংখ্যালঘুদের মেরে,রেপকরে হাত না পাঠালে তার প্রমোশন অসম্ভব। আমাদের সকলের নয়নের মনি,মোদিজিকে অনেকে গালমন্দ করেন, গুজরাট দাঙ্গায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। শেষমেষ সুপ্রীম কোর্টের সার্টিফিকেটে উনি নির্দোষ প্রমাণিত হলেন। আবার দিল্লি দাঙ্গায় হাইড্রেনের মধ্যে লাশের পাহাড় আছে বলে এবিপি আনন্দ প্রচার করলো। পরে ড্রেন পরিস্কার করে কিছু পাককাদা ছাড়া ‌কিছুই মেলেনি। আসলে চা ওয়ালার ছেলে উপরে উঠেছে,কারো সহ্য হচ্ছে না। তাই বলি, অহেতুক গালমন্দ না করে বরং মোদিজির কাছ থেকে শিখে নিন-শাসন বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগের মধ্যে সামঞ্জস্য করে কীভাবে দুএকটা মসজিদ ভাঙার, সংখ্যা লখু নিধন, দলিল নিগ্রহ করার প্রমাণ লোপ করেন কীভাবে।
দেখেছেন? রাত দুইটার সময় ধর্ষিত মেয়েটিকে দাহ করা হয়েছে। প্রশাসনকে এতটা সক্রিয় বিশ্বের কোন দেশে পাবেন? শুধু তাই নয়, বিরোধীদলকে অহেতুক রাজনীতি করতে না দিতে গ্রাম ঘিরে রেখেছেন। তারা রাহুল গান্ধীকে ধাক্কা দিয়ে রাষ্ট্রের প্রতি নিজের কর্তব্য পালনের সাক্ষর রেখেছেন। প্রশাসনের এমন একটা প্রসংশনীয় কাজ অথচ কোথাও কোনো মূল্য পেলনা।
সবশেষে একটা কথা না বলে পারছিনা। ধরুন ভারত বা বাংলাদেশে কোনো দিন বন্ধ হবে না। প্রাক্তন তৃণমূলের এমপি তাপস পাল একবার বাড়িতে ছেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার কথা গোপন মিটিং এ বলেছিলেন।পরে কথাটা ভাইরাল হয়ে যায়। কাজেই ভালো কাজের পুরস্কার স্বরূপ শাসকদল ছেলেদেরকে এমন ছাড় দিয়ে থাকে। ওনারাও জানেন দুদিন আন্দোলন হবে।পরে সব থিতিয়ে যাবে।


০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪২

মা.হাসান বলেছেন: আপনার দুশ্চিন্তার কারন নেই, সামনের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজ্য সরকার গঠনের সম্ভাবনা প্রবল। ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠিত হলো বলে। সমস্যা আমার। এখন যে রকম হুট করে ভারতে ট্যুর করতে যাই, তখন একটু অসুবিধা হতে পারে। সম্ভাব্য একটা সমাধান আছে, মন্তব্যের শেষে বলছি।

বিজেপি দলে সর্বক্ষণ একটা প্রতিযোগিতা চলে। যে যত বেফাস কথা বলবে সে অন্যদেরকে ল্যাঙ মেরে দ্রুত ছোট নেতা থেকে মাঝারি নেতা তা থেকে বড় নেতা তা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে পর্যন্ত উত্তীর্ণ হতে পারেন।
এই প্রতিযোগিতা আমাদের দেশে আছে। তবে মুখ্য মন্ত্রী তো আর হওয়া যায় না, এখানে উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর সর্বোচ্চ পূর্ণ মন্ত্রী হওয়া যায়। মাঝে মাঝে দু একজন সরে গেল আবার কোচিং করেন কিভাবে চোখের পানি ঝরিয়ে আগের পদে আসা যায়। দু-দেশ মিলিয়ে যৌথ কোচিং সেন্টার খুললে ব্যবসা ভালোই করা যেতো।

একটা দলিত মেয়ের যার না আছে কোন শিক্ষাদিক্ষা, বাড়িঘর রুপ যৌবন তাকে নিয়ে এত মরা কান্না করার কি আছে?
সমস্যা, আমাদের দেশেতো দলিত নাই। তবে যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের কাছে অন্য সবাই দলিত। সেই হিসেবে অবশ্য সমস্যা নাই।

আপনি নির্বিঘ্নে থাকুন, বাংলাদেশ-ভারত স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক, যে টুকু আমরা এখনো আয়ত্বে আনতে পারি নি, আগামি কয়েক টার্ম দু-দেশের সহযোগিতা অব্যহত থাকলে আশা করি তাও আয়ত্বে এসে যাবে B-))

দার্জিলিঙ ভ্রমনের সময়ে গুর্খা টুপি কিনেছিলাম। এবার কোলকাতা গেলে গেরুয়া কিনতে চাই। আপনার সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


এখনকার ভারত অনেক খারাপ একটি রাষ্ট্র।
আমি গর্বিত যে আমি ওই খারাপ রাষ্ট্রের নাগরিক নই।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৯

মা.হাসান বলেছেন: দেশ যে ভাবে চলছে তাতে ভারতকে অতিক্রম করতে সময় লাগবে না। বাংলাদেশের অর্জন অনেক । গর্ব করার মতো অনেক বিষয় আছে। তবে বিচারহীনতার সংস্কৃতি অনেক অর্জনকে ম্লান করে দেয়।

৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৯

জাহিদ হাসান বলেছেন: আচ্ছা এখন থেকে নিবো।


আরে, ধুর। এসব কি বলছি। আমি তো বিয়েই করিনি। ভুলে গেছিলাম।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৬

মা.হাসান বলেছেন: বিয়ে না করে থাকলে আপাতত করার দরকার নেই, সোনালীগে জয়েন করে দেখতে পারেন।

১০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৫

করুণাধারা বলেছেন: এসব পড়তে ভালো লাগে না, তবু পড়লাম। মনে হয় জঙ্গলে গিয়ে থাকা ভালো, পশুদের থেকে বেঁচে থাকা সহজ হবে...

মনে হচ্ছে নারীর প্রতি নিষ্ঠুরতার প্রতিযোগিতা চলছে। কেউ মানসিক সুস্থ্য থাকলে এতটা অমানুষিক হতে পারেনা। আজকাল অমানুষিক, পাশবিক এই সব শব্দের অর্থ কেমন যেন গুলিয়ে যায়...

শেষে দশটা শিক্ষা কার জন্য দিলেন? কোন ব্লগারের জন্য?

এই পোস্টের নামকরণের সার্থকতা খুঁজে পাইনি, তবে পোস্ট হয়েছে অসাধারণ!! লাইক।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১০

মা.হাসান বলেছেন: পোস্ট ভালো লেগেছে জানায় ভালো লাগলো। লিখতে ইচ্ছে করে না। লিখে তো সমাজ বদল করা যায় না।

মানুষের চাইতে পশু অনেক ভালো। পশু এরকম নির্মমতা দেখায় না।

শেষে দশটা শিক্ষা কার জন্য দিলেন?
এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে আগুন দেয়ার পর কালো বেড়াল মন্ত্রী পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছিলেন।এমসি কলেজে এর আগেও ধর্ষন হয়েছে, ধামাচাপাও দেয়া গেছে। আফসোস যোগ্য লোকেরা জায়গা মতো নেই। ফরিদপুরের নেতা কর্মিরা ঠিক পথেই ছিলেন, দুহাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন কোন সমস্যা ছাড়া। হঠাৎ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সব ফাঁস হয়ে গেছে। ফরিদপুর- সিলেট-নোয়াখালীর স্থানীয় নেতারা শশুরবাড়ি থেকে এই সব শিক্ষা নিতে পারলে ঘটনা এত দূর গড়াতো না। অনেক এলাকাতেই সব ধামাচাপা দেয়া যায়। যাদের চেতনা যাগ্রত তাদের সকলেরই দশটা পয়েন্ট ভালো করে প্র্যাকটিস করা দরকার।

আমার অধিকাংশ পোস্টেই নামকরনে কিছু দূর্বলতা আছে। চেষ্টা করছি উৎরানোর।
লাইকের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।

১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দলিত কন্যা ফুলন দেবীর তেরো বছর বয়সে স্বামীর ঘর করতে না পেরে বাপের বাড়িতে চলে আসে।সেও মাঠে কাজ করতে যেত বাবা-মায়ের সঙ্গে। ঠাকুর সম্প্রদায়ের কয়েককা বখাটে ছেলে তাকে টিস করতে থাকে।ফুলন দেবী প্রতিবাদ করলে তাকে গনধর্ষন করে। বিচার তো পেলোই না উল্টে বাবা-মাকে হেনস্থা হতে হয়। অনেক অপমান অত্যাচার সহ্য করার পর ফুলন দেবী নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।পর গ্রামে ফিরে এসে কুড়িজন ঠাকুরকে একজায়গায় দাঁড় করিয়ে শ্যুট আউট করে।সে হয়ে ওঠে দস্যুরানী। বহুবছর পরে এমপি হলেও সেই ঠাকুররাই আবার তাকে গুলি করে হত্যা করে।
দলিতদের প্রতি উচ্চ বর্নের অবজ্ঞা থাকতে পারে। কিন্তু নারীর আবার জাত কিসের? যৌবনের লালসা মেটাতে গেলে দলিত কন্যাই যে আদর্শ।যারা মুখবুজে মেনে নেয় তাদের নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ঠাকুরদের রক্ত যে বড় রক্ত। ট্যা টো করলে কি করে শিক্ষা দিতে হয় এটা যে তাদের পিতৃপুরুষের। কাজেই সরকার,দল, প্রশাসন কাউকে বলে কোনো লাভ নেই।


০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩৭

মা.হাসান বলেছেন: ফুলন দেবির এমপি হবার কথা শুনে ঐ বয়সে অনেক উদ্বেলিত হয়েছিলাম। ভারতীয় গনতন্ত্রের উপর শ্রদ্ধা অনেক বেড়েছিলো। মৃত্যুর খবর পত্রিকায় পড়েছি, ছোট করে এসেছিলো। তখন ইন্টারনেট এরকম ছিলো না, খুঁজে দেখার সুযোগ পাই নি। ভিতরের ঘটনা এই তা জানা ছিলো না।

শাসকরা নিজেদের সুবিধা মতোই আইন বানাবে, এটাই বাস্তব। বিদ্রোহ প্রশ্রয় দিলে আরো এরকম মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। নির্মূল করাই নিরাপদ। ভালো পদ্ধতি।

১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: প্রচন্ড মর্মান্টিক।
টিভিতে খবরে দেখলাম লোকজন আন্দোলন করছে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩৯

মা.হাসান বলেছেন: কারো জন্য মর্মান্তিক, কারো জন্য রোমান্টিক। আমার নানি বলতেন নালিশ করে বালিশ পেলে? আন্দোলন করে লাভ নেই বলেই মনে হয়।

১৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩৯

রামিসা রোজা বলেছেন:
এই যে বর্বরতা নির্মমতা হাত থেকে নারী জাতি মনে হয়
আর রেহাই পাবে না ।কারণ একটাই শাস্তি হয়না উপযুক্ত।
আপনার লেখাটা পড়ার ‌ পর শিরোনাম দেখে মনে হল ,
ওরাও আমাদের মত আন্দোলন করছে না কেন --এটা কি? ভারতকে তো আমরা জামাই আদর ‍‌‍‌করি এছাড়া ভারতের
সাথে আমাদের একটা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক রয়েছে
।‍

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৮

মা.হাসান বলেছেন: ভারতে আন্দোলন হচ্ছে। নির্ভয়া ধর্ষনের পরেও আন্দোলন হয়েছে। তবে এর মাঝেও শিশু ধর্ষন সহ একই রকমের অপরাধ ঘটেই চলছে।

সমাজে অপরাধ থাকবে। সব কালেই ছিলো। অপরাধ নির্মূল করা যায় না, তবে কন্ট্রোল করা যায়। এর জন্য সদিচ্ছা লাগে। ক্ষমতাসীনদের আচরন দেখে মনে হয় না স্বামী-স্ত্রী কারো কোনো সদিচ্ছা আছে। এক্ষেত্রে কি করা যায় তা পোস্টের প্রথম লাইনে বলতে চেয়েছি। তবে আন্দোলনের পর আন্দোলন করে আমরা ক্লান্ত। আর কতো ?

১৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এসব খবর সহ্য করার মত না :( তবুও প্রতিনিয়ত চোখের সামনে উঠে আসে। এই যে উদহারন হয়ে থাকছে দেখবেন একই দৃশ্যপট হয়ত আমাদের ভূমিতেই চিত্রায়িত হবে।

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৭

মা.হাসান বলেছেন: ক্ষমতাসীনেরা যখন বিশ্বাস করে জনগন ক্ষমতার উৎস তখন জনগনকে প্রোটেক্ট করে। যখন বিশ্বাস করে পেটোয়া বাহিনী ক্ষমতার উৎস তখন পেটোয়াদের রক্ষা করে।

ছেলের সামনে মাকে ধর্ষন, মায়ের সামনে মেয়েকে, স্বামীর সামনে স্ত্রীকে, ধর্ষন করে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া, আসামির জামিন, পুলিশের অপরাধি খুঁজে না পাওয়া, ফাঁসির আসামির মুক্তি, জেলে বসে বাসর শয্যা- আমাদের ভূমিতে কম রঙ্গ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

১৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:১৯

নতুন বলেছেন: ভারত মোদীর শাসনামলে পেছন দিকে হাটা শুরু করেছে।

আমাদের দেশেও সেই রকমের কিছু হতে যাচ্ছে আস্তে আস্তে।

মানুষ যখন মন থেকে পচে যায় তখন সবখানেই দূনিতি করে। তখন সমাজে নানান রকমের সমস্যা দেখা দেয়।

বেড়ে যাওয়া ধর্ষন পচন ধরা সমাজের লক্ষন মাত্র।

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০০

মা.হাসান বলেছেন: ২০০১-২০০৬এর উগ্র রাজনীতি আমাদের দেশের বিশাল ক্ষতি করেছে। ভারতের গনতন্ত্রের ভিত অনেক শক্তিশালি; কিন্তু এই ধরনের উগ্রনীতি নিঃসন্দেহে বড় ক্ষতিকর প্রভাব রাখবে। মানুষের মনকে পচনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ক্ষমতাসীনদের দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু রোল মডেলরা যখন কুঞ্জবনে সুধা পান করেন , তখন জাতি কি শিক্ষা নেবে?

আগে সরকারি চাকরিজীবিদের জন্য আইন ছিলো- সোসাল মিডিয়ায় সরকার বিরোধি কথা বলা যাবে না। এখন শিক্ষা বোর্ড নতুন বিধি দিয়েছে- ছাত্ররাও সরকারের সমালোচনা করতে পারবে না। যা দেখবো তালি দিতে হবে।
প্রতিবাদ না করলে পচতে পচতে কিছু বাকি থাকবে না।
(তবে সন্দেহ হয়, প্রতিবাদ করেও কি কিছু করতে পারবো?)

১৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৫০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঠিক আছে এখন স্ত্রীর সাথে আইড়িয়া শেয়ার করবো। যদি কোন ঝামেলা হয় আপনি দায়। আমরা ভারত হতে ভালো আছি

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৮

মা.হাসান বলেছেন: স্ত্রীর সাথে আইডিয়া শেয়ার করবো। যদি কোন ঝামেলা হয় আপনি দায়।
শেয়ার করবেন না, ওনার আইডিয়া গ্রহন করবেন। অনুগত স্বামী কখনো স্ত্রীর মাথায় নিজের আইডিয়া ঢুকাতে চায় না, স্ত্রীর আইডিয়াই পথ চলে।

আমরা ভারত হতে ভালো আছি
স্ত্রীকে খারাপ রেখে নিজে ভালো থাকা কোনো ভালো কথা নয়। নিজেকে একই লেভেলে আনতে হবে।

১৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১৭

আমি সাজিদ বলেছেন: গেরুয়া পোশাকের এই যোগী এমন উগ্রতা দেখান কেন? ভারতে কিছু উচ্চ বর্ণের হিন্দুদের হাতে দলিত হিন্দু ধর্ষিত হয়, মুসলমান খুন হয়, অন্য ধর্মের লোকেরাও কম বেশী একই রকম অত্যাচারের শিকার হয়। ভারত তার বৈচিত্র‍্য হারাচ্ছে মনে হয়। এটা ভারতকে কোথায় টেনে নিয়ে যায় সেটাও দেখার বিষয়। পুরো পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে সরকারগুলো এখন নিজ দেশ টুকরো করতেই নেমেছে মনে হয় কেন যেন! কোথায় আছে নাগরিক অধিকার? আমেরিকার কেন্টাকি - চীনের শিনজিয়াং - ভারতের উত্তর প্রদেশ কিংবা বাংলাদেশের সুবর্নচর- নোয়াখালী , কোথায়?

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২০

মা.হাসান বলেছেন: ধর্মের পারসেপশন সবার সমান না। ধর্ম যদি কাউকে বিনয়ী না করে উগ্র করে তোলে তবে সেটা ধর্ম না, ব্যক্তিরই সমস্যা বলে মনে করি। ভারতে কোটি কোটি হিন্দু আছেন। দুর্ভাগ্য জনক হলেও সত্য এর মধ্যে গুটিকতক উগ্র হলেও এরাই ক্ষমতায় আছেন।

চেক-শ্লোভাক কোন সমস্যা ছাড়াই আলাদা হয়ে গেছে। দুই জার্মানি জোড়া লেগে গেছে। আয়ারল্যান্ড ধর্মের (ক্যাথলিক-প্রোটেস্ট্যান্ট) শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে লড়াই করেছে। স্কটল্যান্ড আলাদ হতে চাচ্ছে। চাওয়া-পাওয়ার পার্থক্য শান্তিপূর্ন উপায়ে পুরন না করে উগ্রতার পথে গেলে সাময়ীক জয় হতে পারে, আখেরে ক্ষতি হয়।

ভারতের গনতন্ত্র আগের চেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাংলাদেশে এর আগে অনেক সরকারই মানুষের কল্যানের জন্য কাজ না করে নিজেদের ক্ষমতার দর্পে রাজত্ব করতে চেয়েছে। ক্ষতি শুধু ক্ষমতাসীনদেরই হয়নি, জনগনকেও ভুগতে হয়েছে। তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নেয়ার জন্য সমসময়ই তৎপর ছিলো। সরকারের বোঝা উচিৎ, মানব সভ্যতার ইতিহাসে কোনো ক্ষমতাই চিরস্থায়ী হয় নি।

১৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৬

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: হাছা কতা কইতে গেলে মাইর একটাও মাটিতে পইড়ব না মনে হয়। ৬ নাম্বার পয়েন্টের লগে এক্কেরে সহমত। আসল কটা অইল, এইডা বাংলাদেশ অইলে আপনে আমি খোঁজ ও পাইতাম না কী অইল??? খালি অন্য দেশে দেইক্কা আপনে জানবার পারতাছেন আর লিখবার পারতাছেন। এইটুকুতেই শুকরিয়া আদায় করেন। আগে নাকি কইত লোকে, চোরের দশদিন, গৃহস্থের একদিন। এখন আমি কই, চোরের ই প্রত্যেক দিন, গৃহস্থের কোনও দিন নাই /:)

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৭

মা.হাসান বলেছেন: আমার বাড়ি যে এলাকায় , এখানে সোনাবাহিনীর অনুমতি ছাড়া থানায় জিডি করাও যায় না। যে কোনো মামলায় থানা যে রকম খায়, সোনামিয়ারাও দুই তরফ থেকে খায়। এর পর মিমাংসার নাম করে আবার খায়।

যে দেশের পুলিশের সর্বোচ্চ তরফের কর্তার নামে অসৎ উপায়ে ৫০০ কোটি টাকা কামাইয়ের অভিযোগ আর জেলা পর্যায়ের একজন সোনামিয়ার নামে ২০০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ, সেখানে পুলিশ আরামে আছে না সোনা মিয়ারা আরামে আছে সেটা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে।

ধর্ষনের ঘটনার শতকরা ১৫ ভাগের কম রিপোর্ট হয়। যা রিপোর্ট হয় এর মধ্যে হঠাৎ করে দু-একটা ভাইরাল হয়। হাথরাস-নির্ভয়ার মতো কতো ঘটনা যে দেশে ঘটে তা জানা সম্ভব না।

১৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ধর্মান্ধদের চরিত্র সব দেশে একই।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫০

মা.হাসান বলেছেন: শুধু ধর্মান্ধ না, ক্ষমতান্ধদের চরিত্রও এক। উত্তর কোরিয়ার কিম এর দুহাজারের উপর উপপত্নি আছে। কিম যেখানে যায়, এরা স্পেশাল ট্রেনে সেখানে অনুগামি হয়। কিমের নতুন কাউকে পছন্দ হলে তাকেও রিক্রুট করে নেয়। মেক্সিকোর মন্টেজুমার কয়েক হাজার উপপত্নি ছিলো, ভারতে রাজা অশোকেরও কয়েক হাজার ছিলো। থাই রাজা মংকুটের নয় হাজার উপপত্নি ছিলো, বিয়ে করেছিলেন ৩২ জন কে। চিনা রাজারাও কম ছিলেন না। যখন একজন ব্যক্তি বা নির্দিষ্ট গোষ্ঠির হাতে এবসলিউট ক্ষমতা চলে আসে, কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না, তখন ক্ষমতার মোহে মানুষ অনেক কিছুই করে এবং দুঃখ জনক হলেও সত্য, নিজের পাপচারকে তারা ভালো বলেই, জন কল্যানমূলক বলেই দাবি এবং বিশ্বাস করে।

২০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: এমন তথ্যবহুল পোষ্ট -আর এমন সব দারুন মন্ত্যের পরে আমার আর কিছু বলার নেই!

ধন্যবাদ হাসান ভাই বেশ খাটাখাটুনি করে এমন একটা পোষ্ট দেবার জন্য

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৩

মা.হাসান বলেছেন: ...আমার আর কিছু বলার নেই!

অবস্থা এমন যে কারোরি কিছু বলার না থাকাটাই বেশি নিরাপদ। সবাই নিরাপদে থাকার চেষ্টা করাটাই ভালো।

২১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথম প্যারাতে 'শিকার'কে 'স্বীকার' বলাটা কি ইচ্ছাকৃত? আপনি বোধহয় আকার-ইঙ্গিতে বলতে চাচ্ছেন, মেয়েটা ধর্ষণকে স্বীকার করে নিয়েছিল!! ;)

আমাদের দেশে যে কোনও অপরাধকে জাস্টিফাই করার জন্য আছে জামাত-শিবির। ভারতের আছে মুসলমান-দলিত। ঘটনার খুব একটা হেরফের নাই। তবে, আমাদের নেতারা ওদের মতো এতো উলঙ্গভাবে ধর্ষকদেরকে সাপোর্ট করে না। আমরা ওদের কাছ থেকে তো বহুকিছুই আনছি/শিখছি। এটা শিখতে আর কতোদিন লাগতে পারে আনুমানিক?

বিজেপি নেতা রন্জিত বলেছে, অভিযুক্তদেরকে জেলে রাখলে তাদের হারানো যৌবন কে ফিরিয়ে দিবে? অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যুক্তিযুক্ত কথা। জেলে না থেকে বাইরে থাকলে তারা তাদের যৌবনের আরো সদব্যবহার করতে পারতো। এই ক্ষতি অপূরণীয়। তাদের অবিলম্বে জেল থেকে বের করে যৌবনের জ্বালা মেটানোর আরো সুযোগ দেয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি। আপনার শিক্ষা নেয়ার লিস্টে এটাও যোগ করতে পারেন, ''অভিযুক্তদের যৌবনের ক্ষতি হয়, এমন কোন পদক্ষেপ যেন প্রশাসন ভুলেও না নেয়!!

আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, ভারত থেকে বিভিন্ন কালচার আমদানী করার যে কালচার আমাদের দেশে গড়ে উঠেছে, তাতে করে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব আমাদের দেশে হতে আর খুব বেশীদিন হয়তো অপেক্ষা করতে হবে না। কারন, খারাপটা আমাদের নেতা-নেত্রীরা খুবই দ্রুত শিখে। তারপরেও শোকর যে, আমরা এখন পর্যন্ত ভারতীয় পর্যায়ে যাই নাই।

একটা পজিটিভ ব্যাপার হলো, ভারতের সাথে দহরম-মহরম একটু কমে গিয়ে চীনের সাথে বেড়েছে। চীনে কারেন্ট বা পটেনশিয়াল ধর্ষকদের প্রসপেক্ট কেমন? সেখানে ধর্ষকরা কেমন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে? এ'ব্যাপারে যদি একটু আলোকপাত করতেন তাহলে আমাদের ভবিষ্যতের ট্রেন্ড সম্পর্কে অগ্রীম একটা ধারনা পেতে সুবিধা হতো।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৫২

মা.হাসান বলেছেন: প্রথম প্যারাতে 'শিকার'কে 'স্বীকার' বলাটা কি ইচ্ছাকৃত? আপনি বোধহয় আকার-ইঙ্গিতে বলতে চাচ্ছেন, মেয়েটা ধর্ষণকে স্বীকার করে নিয়েছিল!!
শকুনের চোখ। ছিলো বাঘ। সেখান থেকে কুমির, হাতি, বাদুড়, শকুন। ব্লগের ডারউইন সারেরা আপনার জীবনী অধ্যয়ন করলেও পারে। হয়তো আপনার বিদেশি ডিগ্রি নেই বলেই করছে না। ট্রাম্প ইউনিভার্সিটি থেকে একটা ডিগ্রি নিতে পারেন।

পুলিশের দাবি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেনি। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টেও একই কথা দাবি করা হয়েছে। তবে ঘটনা ঘটার ১৫ দিন পরে ভিক্টিম মারা যাবার পর পোস্ট মর্টেমে ধর্ষনের কথা জানতে গেলে বাংলাদেশের ২০১০ ব্যাচের ডাক্তার ছাড়া সম্ভব বলে মনে হয় না। যেহেতু মেয়ের নিজের দাবি ছাড়া আর কোনো প্রমান নেই, একে শিকার না বলে স্বীকার বলাই ভালো। তবে শকুনের চোখে ধরা পড়ে গেলাম।

আপনার শিক্ষা নেয়ার লিস্টে এটাও যোগ করতে পারেন, ''অভিযুক্তদের যৌবনের ক্ষতি হয়, এমন কোন পদক্ষেপ যেন প্রশাসন ভুলেও না নেয়!!

আট নম্বরে মানসিক ক্ষতির কথা বলেছিলাম। আপনি যৌবনের কথা বললেন। যার মনে যা আসে। এটাও যোগ করে দিচ্ছি।

আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, ভারত থেকে বিভিন্ন কালচার আমদানী করার যে কালচার আমাদের দেশে গড়ে উঠেছে, তাতে করে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব আমাদের দেশে হতে আর খুব বেশীদিন হয়তো অপেক্ষা করতে হবে না।




কিছু অগ্রগতি হয়েছে। বাকিটা সময়ে হয়ে যাবে। শিক্ষা নিতে গেলে স্ত্রীর কাছ থেকেই নেয়া ভালো।


চীনে কারেন্ট বা পটেনশিয়াল ধর্ষকদের প্রসপেক্ট কেমন? সেখানে ধর্ষকরা কেমন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে?


খিচুড়ি রান্না দেখার জন্য বিদেশ সফর হয়। এরকম চীন সফর হতে পারে। চীন সম্পর্কে সত্য তথ্য জানা মুশকিল। কেহ বলেন এরকম অপরাধে সামারি ট্রায়ালে ৭২ ঘন্টার মধ্যে বিচার করে গুলি করে মারা হয়। ক্ষমতা ব্যক্তি বা গোষ্ঠির হাতে কুক্ষিগত থাকলে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয় বলে মনে হয় না। মাও সেতুং নিজে বহুগামি ছিলেন বলে লোকে বলে। এই মুহূর্তে জিনজিয়াঙের বন্দি শিবির গুলোতে লক্ষ লক্ষ লোক বন্দি। মহিলা-পুরুষদের জোর করে বন্ধা করা হচ্ছে। বাধ্যতা মূলক শ্রম দিতে হচ্ছে । যৌন নিপীড়নের কথা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
স্টাডি টু স্টাডি ভ্যারি করে, বিভিন্ন রিপোর্ট অনুসারে ১২-৮০% চাইনিজ মহিলা কোনো না কোনো ভাবে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বলে দেখা গেছে। চাইনিজ সরকারের তথ্য অনুসারে ২০১০-২০১৭ সময়ের পাঁচ কোটি কোর্ট কেসের মধ্যে মাত্র ৩৪টি সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের কেস ছিলো। বিষয়টা বিশ্বাস করা কঠিন। এগুলোর বেশির ভাগই এভিডেন্সের অভাবে ডিসমিস হয়ে গেছে। মিটু আন্দোলনের সময় মাত্র তিন-চারটা চাইনিজ কেসের কথা পত্রিকায় এসেছিলো। সব গুলোই ডিসমিস। একটাতে অভিযোগকারির বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমার মনে হয় না চায়নাতে মহিলারা খুব বেশি নিরাপদ।
তবে দহরম মহরম চীনের সাথে যতই হোক, স্বামী-স্ত্রী জন্ম-জন্মান্তরের বাঁধন। পুরুষ মানুষ একটু এদিক সেদিক গেলেও দিন শেষে ফেরার যায়গা ঐ একটাই।




২২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কি বলবো বলার মত ভাষা নেই। বিবিসি বাংলার কল্যানে এই ঘটানা পুরোটাই শুনেছি।

সরকার যখন ধর্ষকদের রক্ষক হয় তখন এর চেয়ে অমনাবিক বিষয় কি হতে পারে। দেশে পাইকারী গনধর্ষণ চালুর পূর্ব লক্ষণ।

শিরোনামটা পোস্টের সাতে তেমন কোন মিল নেই।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪০

মা.হাসান বলেছেন: বিলম্বে মন্তব্যের উত্তর দেয়ার জন্য দুঃখিত।

সরকারের প্রশ্রয়ে সকল প্রকার অপরাধীদের পার পেয়ে যাবার ঘটনাই এই দেশে স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। শুধু ধর্ষন না, টেন্ডারবাজি, ব্যাংক লুট, জুলুমবাজী, চাদাবাজী, সব কিছুই লাগামহীন ভাবে চলছে। হঠাৎ দু একটা ঘটনা ঘটার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর কখনো কখনো একশন হয়। একজন চিহ্নিত অপরাধীকে ধরার জন্যেও পুলিশের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দরকার হয়। আইনের শাসনের এই নমুনা।

২৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: আইন যখন পকেটে বন্দী, তখন এমন তো হবেই!!!!!!

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৫

মা.হাসান বলেছেন: আপনার কমেন্টের জবাব বারে বারে এই ভাবে শুকায়ে আচার বানায়ে দেয়ায় লোকে অভিযোগ করতেই পারে যে আপনাকে আমি বিশেষ সুবিধা দিচ্ছি। বিষয়টা আসলে তা না। ব্যস্ততা এরকম যে ব্লগে আসার সুযোগ কম পাই। আর যখন আসি, শুধু নিজের পোস্টের কমেন্টের জবাব দিয়ে চলে যেতে মন চায় না, অন্যের পোস্টেও দু একটা কমেন্ট করতে ইচ্ছে হয়। যার কারনে এই বিলম্ব।

আইন প্রনয়নকারিদের পকেট নানাবিধ কারনে অনেক লম্বা। আর কিছু বলার নাই।

২৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০২

জাহিদ হাসান বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিয়ে না করে থাকলে আপাতত করার দরকার নেই, সোনালীগে জয়েন করে দেখতে পারেন।

এইডা কি কইলেন? =p~ =p~

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫২

মা.হাসান বলেছেন: এইডা কি কইলেন?

ইহা সদুপদেশ। পরিবারে একজন সোনালীগের ছেলে থাকলে চাকরি-বাংক লোন-মামলা মোকদ্দমা সব ক্ষেত্রেই ফরটিন জেনারেশনের সুবিধা হয়। প্রয়োজনে কিছু হাদিয়া দিয়া হইলেও আজই জয়েন করুন।

২৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪২

আকন বিডি বলেছেন: "মাঝে মাঝে স্ত্রীর কাছ থেকে আইডিয়া ধার নিলে"
---যেহেতু বিয়ে করি নাই সেহেতু এই বিষয় আমার কোন বক্তব্য নাই :-&

রাস্তা ঘাটে জোকের তেলের ব্যবসায়ীদের এতদিনের ফসল ঘরে তুলতেছে মনে হয়।
এখন ওঝা দরকার ঠান্ডা করার জন্য। কিন্তু ওঝারও যে আতাঁত রয়েছে জোকের তেল ব্যবসায়ীদের সাথে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৫

মা.হাসান বলেছেন: ---যেহেতু বিয়ে করি নাই সেহেতু এই বিষয় আমার কোন বক্তব্য নাই

আমাদের বক্তব্য আছে । দাওয়াত দিতে দেরি করবেন না, ভুল ও করবেন না, তবে গিফট নিতে যদি ভুলে যাই তবে মাইন্ডও কিন্তু করবেন না।

কিন্তু ওঝারও যে আতাঁত রয়েছে জোকের তেল ব্যবসায়ীদের সাথে।

আসল জায়গায় হাত দিয়েছেন। আমরা ম্যাঙ্গো পাবলিক চিল্লায়ে কোনো পরিবর্তন করতে পারবো বলে মনে হয় না।
অনেক শুভ কামনা।

২৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:০৫

সোহানী বলেছেন: ঘটনাটা পড়েছিলাম অনলাইনে। যে মহিলা সাংবাদিক এটি প্রকাশ করে তা সাক্ষাতকারও পড়েছিলাম।

ভারতে এখন যা চলছে তা সিনেমা গল্পকেও হার মানায়। একদিকে দেবীকে পূজা করে আর অন্য দিকে সত্যিকারের দেবীকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলে। হায়রে মোদী সমাজ.................।

আহারে কি কষ্ট নিয়ে মেয়েরা বেচেঁ আছে। বিধাতা কি এগুলো দেখে না?

২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫১

মা.হাসান বলেছেন: ঐ মেয়েটির পরিবার সৌভাগ্যবান যে এই ঘটনা ভাইরাল হয়েছে। বাংলাদেশে এরশাদ শিকদার, জয়নাল হাজারি বা আবু তাহেরের কীর্তি কলাপের কথা ফাঁস করার মতো অবস্থা আগেও ছিলো না, এখনো আছে বলে মনে হয় না।

মধ্যপ্রাচ্য, ভারত আর পাকিস্তানের মতো খারাপ অবস্থায় নারীরা মনে হয় পৃথিবীর আর কোথাও নেই। গর্ভের সন্তান মেয়ে হলে গর্ভপাতের ফলে ভারতের অনেক জায়গায় বিয়ে করার জন্য মেয়ে পাওয়া মুশকিল হওয়ার পরেও নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলায় নি । এর শেষ সহসাই হবে বলে মনেও হয় না।

২৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৭

আকন বিডি বলেছেন: "আমাদের বক্তব্য আছে । দাওয়াত দিতে দেরি করবেন না, ভুল ও করবেন না, তবে গিফট নিতে যদি ভুলে যাই তবে মাইন্ডও কিন্তু করবেন না।"
আল্লাহ বেহেসতে যখন আমারে বিয়া দিবো হুরপরিগো লগে, তখন তো অটো দাওয়াত। গিফট লাগতো না।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৫

মা.হাসান বলেছেন: আপনি তাড়াতাড়ি বেহেশত যান, এর বেশি আর কি ই বা কামনা কর্তে পারি । তয় যাবার আগে একটু জানায়ে গেলে এই বিষয় নিয়া আমি একটা পোস্ট দিতে পারতাম এই আর কি।

২৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫৯

নীল আকাশ বলেছেন: ভারতে এখন যা চলছে তা সিনেমা গল্পকেও হার মানায়। একদিকে দেবীকে পূজা করে আর অন্য দিকে সত্যিকারের দেবীকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলে। হায়রে মোদী সমাজ.................।
এটাই ভারতের আসল চিত্র। মোদীজী দেশ কে প্রায় একশ বছর পিছিয়ে দিয়েছে।
ভারতের আথে দহরম মহরম আরো বাড়লে আমাদের দেশও একই অবস্থা হবে। তবে এখন যা অবস্থা তাতেও বা কম কিসের?

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫১

মা.হাসান বলেছেন: তবে এখন যা অবস্থা তাতেও বা কম কিসের?

কি ঘটছে তার কতটা খবর আমরা পাই? পত্রিকায় কতটা আসে? জয়নাল হাজারী ক্ষমতায় থাকতে ওনাকে নিয়ে লেখার সাহস কারো ছিলো না। লক্ষীপুরের আবু তাহেরের খবর বাইরে কতটা আসে? হাজি সেলিমের ছেলে ধরা পড়ার পর জানা গেলো ওনার পার্সোনাল টর্চার চেম্বার ছিলো, সেখানে মানুষের হাড়ও পাওয়া গেছে। সামরিক বাহিনীর সদস্যর গায়ে হাত না পড়লে এসব কখনো সামনে আসতো না।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে আমাদের অবস্থা অনেক বেশি ভয়াবহ। ভারতের মিডিয়া অনেক স্বাধীন বলে এসব জানা যায়, আমরা জানতেও পারি না।

২৯| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ ধরণের খবর পড়তে গেলে স্নায়ুর উপর ভীষণ চাপ পড়ে, লিখতে গেলে তো নিশ্চয়ই তার চেয়েও বেশী! অপু তানভীর এর অনুরূপ আমারও মধ্যে প্রতিক্রিয়া হয়।
নিজের মায়ের সামনে, স্ত্রীর সামনে, বোনের সামনে দাড়াতে সঙ্কোচ বোধ করি - অসহনীয় একটা পরিস্থিতি!
বিষয়টি নিয়ে আমি এতটাই হরিফাইড, যে এর চেয়ে বেশি আর কিছু বলতে ইচ্ছে হচ্ছে না।

০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:১৩

মা.হাসান বলেছেন: ভিকটিমের আত্মহত্যা করা, মামলায় আপস করা, ধর্ষকের সাথে বিয়েতে বাধ্য হওয়া, বিবস্ত্র করে ধর্ষণের ভিডিওকারির জামিন হওয়া- সবই গা সওয়া হয়ে গেছে। একটা ফিচার লিখতে চেয়েছিলাম। আইন যে ধর্ষক কে কতটা ফেভার করে জেনে চমকে গিয়েছি।

হাথরস মামলা সম্পর্কে শেষ যা জেনেছি- স্থানীয় কোর্টে মামলার শুনানি চলাকালিন সময়ে উচু বর্নের কেউ একজন মদ্যপান করে মাতাল অবস্থায় এজলাসে এসে গালাগালি করে গেছে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে মামলা এখন স্থানীয় আদালত থেকে এলাহাবাদে স্থানান্তর হবে। মামলার কি ভবিষ্যৎ বোঝা যায়।

বাংলাদেশে এরকম বেশ কিছু ঘটনা ঘটে যওয়ায় মন বিক্ষিপ্ত ছিলো বলে লিখেছিলাম । লিখে ক্ষোভ কমে নি, এখন মনে হয় না লিখলেই ভালো ছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.