নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\n

মা.হাসান

মা.হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিএমসিএইচ-এ কয়েকদিন- ৩য় পর্ব

০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২৮

প্রথম পর্ব

দ্বিতীয় পর্ব


সন্ধ্যার পর সীমিত আকারে আহার করে বের হয়ে পড়লাম। ডিএমসির টয়লেটের অবস্থা স্লামডগ মিলিয়নিয়ার সিনেমার টয়লেটের মতো, তবে অমিতাভ বচ্চন অটোগ্রাফ দিলেও আমি ওই টয়লেট ব্যবহার করতে পারব না; এজন্যই এই সীমিত আকারে খাওয়া।

আজ ৭ই মার্। বহু বছর পর মনে হয় ভাষণ না শুনেই ৭ই মার্চ পার করলাম। ঢাকা শহর অপরূপ সাজে সেজেছে। রাজমনি সিনেমা হলের পাশে রমনা থানা, এজি অফিস, একটু দূরে প্রেসক্লাবের উল্টো দিকে ফরেন মিনিস্ট্রি সবকিছু আলোয় ঝলমল করছে। দেশের উন্নতি দেখে বুকটা ফুলে উঠল।
ফরেন মিনিস্ট্রেতে আলোকসজ্জা। চলন্ত রিকশা থেকে তোলা।


রাত সাড়ে আটটা মতো বাজে। সাধারণত post-operative ওয়ার্ডে ছয় ঘণ্টার বেশি রুগি রাখা হয় না। আমরা সৌভাগ্যবান, কি কারনে জানি না- আমাদেরকে এখনো ওয়ার্ডে ট্রানস্ফার করা হয় নি। পেপার রেডি করা হচ্ছে । আমরা রুগির ওয়ার্ডের সামনে বসে আছি।

কাজিন বললো ভাই- পা একটু সামলায়ে , সন্ধ্যার পরে যে ক্লিনার মহিলা ডিউটি করছে তার মুখ ল পাস। আমি একটু গুটিয়ে বসলাম। পাশের বিছানায় যে পরিবার বসে আছেন তারা মনে হয় আমাদের বেশ পরে এসেছেন, কাজিন যতটা জানে ওনার অতটা জানেন না, ওনাদের একজনের পা বিছানার একটু বাইরে , চলাচলের রাস্তায় ছিলো।

ক্লিনার মহিলা ময়লা ফেলার বাস্কেট দুটা রোগী ট্রান্সফার করার ট্রলিতে বসিয়ে রওনা হলেন। পাশের বিছানার অ্যাটেন্ডেন্টের পা এর কারণে রাস্তা ব্লক থাকায় তুমুল বাবা মা তুলে গালি গালাজ শুরু হয়ে। গেলো আমি কাজিনকে বললাম - আমরা সৌভাগ্যবান, আমাদেরকে এটা এই এক বেলা সহ্য করতে হচ্ছে, চিন্তা করে দেখো এই ভদ্রমহিলার পরিবারের কি অবস্থা। কাজিন বললো- আমার মনে হয় না এই মহিলার বাসায় এরকম একজনই আছে, যে রকম মহিলা, বাসায় এই পিস আরো তিনটা থাকলে অবাক হবো না।

কাজিনের ফুপা শশুর বাসা থেকে খাবার দিয়ে গেছেন। কাজিনের খাওয়া-দাওয়ার আগ্রহ নেই; কিন্তু পরে কখন সুযোগ হবে জানি না, ওকে খেতে নিতে বললাম। ঐ পরিবেশেই আর সবাই খাচ্ছে, কাজিনও খেয়ে নিলো।

কাজিনের ওয়াইফকে দেয়া হবে নিচ তলায়, ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে। কাজিনের খুব আগ্রহ স্ত্রীকে ওয়ার্ডে না রেখে কেবিনে রাখবে । আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি নিষেধ করলাম । অন্তত পক্ষে আরো দুটো দিন পরে নার্সের সার্বক্ষণিক দৃষ্টির সামনে থাকা দরকার। পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে দু-তিন দিন পর না হয় কেবিনের চেষ্টা করা যাবে।

এতক্ষণ দুজন রোগী (মা ও ছেলে) একই ফ্লোরে পাশাপাশি ওয়ার্ডে ছিলো, অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে আমাদের সমস্যা কম ছিলো। এখন দুজন দুই ফ্লোরে। ম্যানেজ করবো কি ভাবে? আমরাই বা থাকবো কোথায় ? এখনতো আর ২১২ ওয়ার্ডের করিডোরে আমাদের থাকতে দেবে না।

কর্তব্যরত আনসারদের জিজ্ঞাসা করাতে ওনারা জায়গা দেখিয়ে দিলেন। সিড়ির পাশের একটা চিপা যায়গায় ১০-১৫ জন আছেন। এর বাইরে করিডোরে আরো ২০-৩০ জন। সিড়ি দিয়ে দোতলা থেকে তিন তলার ওঠার সময়ে মাঝের স্পেসে আমাদেরকে থাকতে হবে, ২১১ নম্বর এর সবাই এর আশে পাশেই থাকেন। ২১১থেকে অ্যাটেনডেন্টদের দরকার পড়লে হ্যান্ড মাইক দিয়ে ডাকা হয়। আশে পাশে অ্যাটেনডেন্ট কেউ না থাকলে আনসার ভাইদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখলে ফোন নম্বর দিয়ে রাখলে ওনারা ফোনে ডেকে দিতে পারবেন।


অ্যাটেনডেন্টদের থাকার যায়গা।যেখান থেকে ছবি তোলা সেখানে আমরা থাকবো।


দশটা নাগাদ ট্রান্সফার পেপার পাওয়া গেল। আবার লবনের বস্তার মতো রোগিকে বেড থেকে ট্রলিতে। ওয়ার্ডের আয়াকে কাজিন আগেই বখশিশ দিয়ে রেখেছে। নিচতলার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । ২১২এর গেটে কঠিন তল্লাশি। তিনজন আনসার ব্যাগ , ট্রান্সফার পেপার চেক করে অনুমতি দিলেন। বাচ্চা চুরি রোধে এই ব্যবস্থা। একারণে ২১২ থেকে বাচ্চা চুরির কথা শোনা যায় না। নিচে কঠোরতা কম। ওখানে মাঝে মাঝে হয়।

নিচ তলায় যাবার লিফট বন্ধ। একশ গজ ঘুরে ইমারজেন্সিতে একটা স্লোপ আছে, যখন লিফট ছিলোনো ওদিক দিয়েই ওঠানো হতো। ওদিক দিয়ে ঘুরে আবার একশ গজ ঘুরে ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে। ত্রিশ চল্লিশটা বেড। প্রায় তিনভাগের একভাগ ফাকা। অন্য দিনের তুলনায় আজ অবস্থা একটু ভালো, ডাব্লিং করতে হবে না। একটা খালি বেড খুঁজে আবার লবণের বস্তার মত করে রোগীকে ট্রলি থেকে বেডে ট্রান্সফার করলাম।

সাহায্যকারি আয়া জানিয়ে দিলেন যে ওয়ার্ডে রাখতে গেলে একজন 'খালা' লাগবে। কিছু বয়স্ক মহিলা আছেন, এনারা রোগির গোসল করা, বাথরুমে নেয়া, খাওয়ানো এসব কাজে সেবা করে থাকেন। এদের খালা বলা হয়। কর্তৃপক্ষ এই ব্যবস্থা মেনে নিয়েছেন । এরা হাসপাতালের অংশ নন, রোগিরা যা দেয় তা দিয়েই এনাদের চলে।

আয়া আমাদের খালা খুঁজে দিলেন। বললেন এই খালাটা খুব ভালো। খালার সাথে চুক্তি হলো- খালাকে আমরা আগামি চার দিনের জন্য ৮০০ টাকা দেবো। এখানে সাধারণত চার দিনের বেশি থাকা লাগে না । এরচেয়ে বেশি যদি থাকতে হয় তবে তার জন্য আলাদা হিসাব করা যাবে। খালার কথা মত আমরা আপাতত একটা ছোট বালতি, সাবান ইত্যাদি কিনে দিলাম।

কাজিনের ওয়াইফের খিদে নেই। তবে ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছে হালকা কিছু খেতে হবে। আবার বাইরে যাওয়া। লাল চা এবং পাউরুটি এনে চায়ে ভিজিয়ে পাউরুটি খাওয়ানো হলো।

আসার পর থেকে নার্সকে দেখিনি। হয়তো কেবিনে গিয়েছিলেন। দেখলাম এত বড় ওয়ার্ডে মাত্র একজন নার্স। মনে হয় আরেকজন অন্য কোথাও ব্যস্ত আছেন।

অধিকাংশ ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেয়া হচ্ছে। তবে কিছু ওষুধ সাপ্লাই নেই। নার্স ফর্দ ধরিয়ে দিলো , কি কি লাগবে তার। আবার দোকান, ফর্দ মত জিনিস নার্সের কাছে জমা দিলাম। এক মিনিট পর নার্স ভিতর রেখে পাঠালেন- একটা ইঞ্জেকশন নার্স স্কয়ারের লিখেছেন দোকান থেকে রেনাটার দিয়েছে। বদলে আনতে হবে। আনলাম।

রুগির ফুপু আছেন। উনি রাতে থাকবেন। রোগীর পাশে একটা বেড ওনার জন্য যোগাড় করা হলো । ওনাকে খেয়ে নিতে বলে আমরা উপরে চলে গেলাম। ফুপুর কাছে আমাদের ফোন নম্বর আছে, বাড়তি সতর্কতা হিসেবে আনসার ভাইকে ১০০ টাকা আর আমাদের ফোন নম্বর দিয়ে ওনার ফোন নম্বর নিয়ে গেলাম।

আমাদের বিছানার পাশের বিছানার ভদ্রলোক আর তার স্ত্রী আট-নয় দিনের মতো আছেন। ওনাদের রোগীর অবস্থা বেশ ভালো , সম্ভবত দু'একদিনের মধ্যে চলে যাবেন। অল্পস্বল্প কুশল বিনিময় করে বিছানা বিছিয়ে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে পড়লাম । মশা সংখ্যায় অত্যন্ত কম, তবে দুই একটা যা আছে তা ঘুম হারাম করার জন্য যথেষ্ট। চোখের ওপর আলো। এই জায়গাটায় ফ্যান নেই, গরম। ঘুমানোর অনুকুল পরিবেশ না। ফোন চেক করে দেখলাম, সাত তারিখে সারাদিনে সাতাশ হাজার স্টেপ হাঁটা হয়েছে, যা করোনার মধ্যে রেকর্ড। শরীরের ক্লান্তির কারণে বসে থাকতে পারছি না, গা এলিয়ে দিলাম।


পিডোমিটার অ্যাপে স্টেপ সংখ্যা

সারারাত এই সিঁড়িপথে অসংখ্য লোকের আনাগোনা। কেউ ইচ্ছে করে ধাক্কা দেয় না, তবে রাস্তাটা এমন সরু, না চাইলেও ধাক্কা লেগে যায়। নিচে এক নিশাচর ভদ্রলোক ফোনের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন। সারারাত ফোন টেপাটিপি করে গেলেন। বুঝলাম না , রাতের বেলা ফোনে এতো কি কাজ । সকলেই বিপদের মধ্যে আছেন, ওনাকে কেউ কিছু বলছেনা দেখলাম, আমিও কিছু বললাম না।

একটা থেকে আনুমানিক চারটা পর্যন্ত আধো ঘুম আধো জাগরণের মধ্যে ছিলাম (কাজিন সেটুকুও ঘুমাতে পারে নি); তারপর আর শুয়ে থাকতে পারলাম। চুপচাপ বিছানা বসে থাকলাম। ফজরের পর দুই ভাই মিলে বসে পরিকল্পনা ঠিক করলাম- আপাতত আমি বাসায় ফিরে যাব। হাফ ডে অফিস করে দুপুরের পর ফিরে আসবো। আমাদের দুজনের পক্ষে ২৪ ঘন্টা ডিউটি করা সম্ভব না। কাজিন আগের দিনই গ্রামের বাড়িতে খবর পাঠিয়েছে, আগামিকাল রিইনফোর্সমেন্ট চলে আসছে।

কাজিনের খাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে সাতটা নাগাদ বাসার পথে বেড়িয়ে পড়লাম।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪৯

অধীতি বলেছেন: আপনার লেখার ধরন সুন্দর। বর্ণনাটাও সুন্দর লেগেছে। একবার এক আধবুড়ো মহিলা তার স্বামীকে নিয়ে আসছিল। আমাকে বল্ল এখানে রোগী সুস্থ্য হয় কিন্তু রোগীর সাথে যারা আসে তারা মারা যায়।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২৬

মা.হাসান বলেছেন: এখানে রোগী সুস্থ্য হয় কিন্তু রোগীর সাথে যারা আসে তারা মারা যায়।
=p~
অত্যন্ত সত্য কথা।
বস্তুত হাসপাতালে রোগির সাথে সার্বক্ষনিক অ্যাটেনডেন্ট থাকবে এটাই আশ্চর্যের বিষয়।

যখন আমি খুব ছোট, কোনো রকম বানান করে পড়তে পারি, তখন একবার হাসপাতালে গিয়েছিলাম। আমার পরিচিত একজন লোক সরকারি হাসপাতালে বাবুর্চির চাকরি পেয়েছিলেন, তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন লেখা দেখেছিলাম- ভিজিটিং আওয়ার ...থেকে...।প্রশ্ন করে জেনেছিলাম- হাসপাতালে নির্ধারিত সময়ের বাইরে রোগি দেখতে আসা নিষেধ। আমার মাথায় এই ধারণাই ঢুকে গিয়েছিলো যে হাসপাতালে ডাক্তার নার্সরা চিকিৎসা করেন, আত্মীয়দের কাজ ভিজিটিং আওয়ারে যেয়ে ভিজিট করা। পরে জেনেছি- ছোটো বেলায় অনেক জিনিসের মতো এটাও ভুল শিক্ষা ছিলো।
বাংলাদেশ মডেল অন্য দেশ গুলো করে ফলো করে দেখার অপেক্ষায় আছি।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫০

ওমেরা বলেছেন: আপনার কাহীনি পড়তে পড়তে আমার পাগল হওয়ার অবস্থা ! খালি চোখে যা দেখি বেশ ভালই তো উন্নত মনে হয় দেশকে। কত সুন্দর সুন্দর বাড়ি কত হাইফাই শপিংমল এসব দেখে খুশীও হই। আপনার হাসপাতালের বর্ননা পড়ার সময় বার বার এখানকার হাসপাতালের চিত্র মনের চোখে ভেসে উঠছিল। আর আফসোস হচ্ছিল কোথায় আমার দেশ।
এখানে বাচ্চা ডেলেভারির সময় মনে হবে আপনি হানিমুনে আছেন। কত আদর আপ্যায়ন তার পর বিভিন্ন কোম্পানী থেকে গিফ্ট দিবে।
আপনার ধারা বর্ণনা খুব ভালো হচ্ছে। অনেক কিছু জানতে পারলাম ।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩৪

মা.হাসান বলেছেন: বাংলদেশে পাগলের খুব ভালো চিকিৎসা হয়, পাবনার হাসপাতালে। তবে সিট পাওয়া মুশকিল, ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি সিট চেয়েও পায় নি।
সুইডেনের চিকিৎসা নিয়ে একটা লেখা লিখতে পারেন। তবে গুলবাজি করবেন না, সত্য কথা লিখবেন B-))
আপনি হিংসা থেকে সুইডেনের চিকিৎসা নিয়ে বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলছেন । আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা আম্রিকার চেয়ে খারাপ না। শেষ পর্বে এর প্রমাণ দেবো । :P

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাম্প্রতিক কালে আপনার এমন গ্যালপিং ব্লগিং এর সঙ্গে সময়ে পেরে উঠছি না। হাসপাতালের অব্যবস্থা এ বোধহয় উপমহাদেশের এক পুরাতন ঐতিহ্য।সভ্যতার ধ্বজাধারীরা যাকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে চলেন। এই একটা ক্ষেত্রে দেশকালের ব্যবধান সুদূর পরাহত।সময় নিয়ে বাকি পর্বগুলোতে আবার আসছি......।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪১

মা.হাসান বলেছেন: খেলা হবে শ্লোগান দিয়ে আপনি মনে হয় খেলায় ব্যস্ত। চিত্ত বসু বা সরল দেব করে লাভ নাই । চিরঞ্জিত বাবুকে দিয়েও হবে না। আঞ্চলিক দল ছেড়ে কেন্দ্রীয় দল ধরেন। পশ্চিম বাংলার লোকেরা সব সময়ে এরকম ভুল কেনো করে? কেন্দ্রের দলকে বাদ দিয়ে অন্য পার্টি করে কি লাভ?
লাল-নীল বাদ দেন, গেরুয়া ধরেন। গেরুয়ার জয় হউক।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:১২

কল্পদ্রুম বলেছেন: চতুর্থ ছবিতে বারগুলো কি বুঝাচ্ছে?

০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪৩

মা.হাসান বলেছেন: খুব দুঃখিত, তাড়াহুড়ায় প্রথমবার ছবির নিচে টাইটেল দেয়া হয় নি। ওটা পিডোমিটার অ্যাপের স্ক্রিন শট। কত স্টেপ হাটা হলো তার হিসেব রাখে।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:২৫

আনমোনা বলেছেন: তিন পর্বই পড়েছি। সব খবরের আসল খবর, রোগী চিকিৎসা পাচ্ছে। তবে সাথের আ্যটেন্ডান্টরা শেষ পর্যন্ত সুস্থ ছিলো কিনা জানাবেন আশা করি।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫০

মা.হাসান বলেছেন: আপনি ব্লগে আছেন দেখে ভালো লাগলো। ভেবেছিলাম ডোনাল্ড ট্টাম্পের মতো আপনিও হয়তো নিচের শোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম খুলে সেখানে চলে গেছেন। #:-S

বাচ্চা এবং মা সুস্থ শরীরে ফিরে এসেছে। বাচ্চার মা এবং সকল অ্যাটেনডেন্টকে মানসিক ট্রমার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। আমাদের বয়স হয়েছে, আমাদের নিয়ে সমস্যা নেই। তবে ভাগনার বয়স ২০-২১। সব দেখার পর যদি সে চিরকুমার থাকতে চায় তবে তাকে দোষ দেবো না।
অনেক শুভ কামনা।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: এই লেখা আমাদের জন্য লিখতে কতটা কষ্ট করেছেন সেটা বুঝতে পারছি। অনেক ধন্যবাদ। তিন নম্বর ছবিতে পুরো জায়গা জুড়ে বিছানা, সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা কীভাবে করতেন? চার নম্বর ছবি বুঝিনি।

বর্ণনায় খুঁটিনাটি সব খেয়াল রেখে করেছেন, ভালো লাগলো। কিন্তু একটা প্রশ্নের উত্তর আজো পেলাম না, শাশুড়ি কোথায়? সাধারণত মেয়ের জীবন মরণ এই সমস্যার সময়ে মা পাশে থাকেন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫৮

মা.হাসান বলেছেন: দুঃখিত, কমেন্টের সাথে তাল মিলিয়ে উত্তর দিতে পারছি না।

দুই দিকের বিছানার মাঝে ছয় ইঞ্চি মতো ফাকা যায়গা, রাতে চলাচলের জন্য ওটুকুই বরাদ্দ। দিনে তেমন একটা কষ্ট হয় না। আর ছবিতে সবটা আসেনি। যেখানে দাড়িয়ে ছবি তুলেছি, ঠিক তার নিচের জায়গাটায় আরো জনা দশেক থাকেন।

চার নম্বর ছবিটা পিডোমিটার অ্যাপের স্ক্রিন শট। ঐ দিন সাতাশ হাজার স্টেপ হাটা হয়েছিলো তা দেখানোর জন্য দিয়েছিলাম। তাড়াহুড়ায় ক্যাপশন দেয়া হয় নি, পরে ঠিক করে দিয়েছি।

আপনার এই মন্তব্যের কয়েক ঘন্টা পর ২য় পর্বে আপনার মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে মেয়ের মায়ের কথাটি লিখেছি। বিলম্বের জন্য আবার দুঃখ প্রকাশ করছি।
অনেক শুভ কামনা।

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৬

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: আপনার লেখাগুলো দেখছিলাম, কিন্তু পড়ার ইচ্ছে হয়নি। ওয়াশরুমে যাওয়ার ভয়ে আমি মোটামুটি পানি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলাম, একেবারে যতটুকু না খেলে নয় অতটুকুই খেতাম। শেষে শেষে তো এমন হয়েছিল, ঘুমের অভাব, পানি না খাওয়া সব মিলিয়ে সারাদিন হাত পা কেমন ব্যাথা করতো। এত অসহ্য গরম, মাগার ওয়ার্ডের ভেতর ফ্যান ছাড়া যাবে না। আমার নাকের পানি, চোখের পানি, হাঁচ্চি দিতে দিতে কি এক বিচ্ছিরি অবস্থা। আল্লাহ যেন কোন শত্রুকেও এই মেডিক্যাল এর দ্বারস্থ না করে। এরপর তো আছে সকাল হলেই উচ্ছেদ অভিযান। সরকারি মেডিক্যাল এর নার্স গুলোর উপড় ঠাডা পড়তো, এগুলোর মত বেয়াদব আমি দেখিনি। আশা করি আপনারা সবাই সুস্থ ছিলেন, আমার সাথেরজন তিনবার অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১৪

মা.হাসান বলেছেন: ভীতিকর স্মৃতি রোমন্থন না করাই ভালো। এর পরেও এসে পড়েছেন, আমার সমবেদনা রইলো।

আমি প্রয়োজনে ডায়াপার পরতে তৈরি ছিলাম, ওখানকার টয়লেট ব্যবহার করতে রাজি ছিলাম না।
হাসপাতাল বাসের ২য় এবং ৩য় দিনে কাজিন টয়লেট ক্লিনারদের কিছু বখশিশ দিয়ে রেখেছিলো, যখন পরিস্কার করা হয় তার পর পর যেনো আমার কাজিনকে ওরা ফোন করে জানায় এর জন্য। এছাড়া দোতলার দক্ষিণ পশ্চিম কোনায় মসজিদে যে টয়লেট আছে কাজিন সেটাও দুএকবার ব্যবহার করেছে। তিন/চার দিন পর কেবিনে যাওয়ার পর সমস্যা কিছুটা কমেছিলো। কেবিনের টয়লেট নোংরা, তবে মেঝে বর্জ্যে ভেসে যায় না বলে ব্যবহার করতে পেরেছিলো।

সকালে নিচ তলায় উচ্ছেদ অভিযান চলতে দেখেছি, ২য় তলায় ২১১-২১২ এর আশপাশে উচ্ছেদ চলেনি। মনে হয় ওটা শুধু নিচ তলায়ই সীমাবদ্ধ।
গরীব মানুষদের যাবার যায়গা নেই, সরকরি হাসপাতালই সম্বল। ঢাকার বাইরে কোনো কোনো এলাকায় কিছু চ্যারিটি হাসপাতাল, মিশন হাসপতাল আছে দেখেছি। ওসব জায়গায় লোকজন সরকারি হাসপাটালের চেয়ে ঐ চ্যারিটি/মিশন হাসপাতাল প্রেফার করে দেখেছি।
কোনো লোককেই যেনো সেবার জন্য কোনো হাসপাতালে যেতে না হয় সেই প্রার্থনা করি।
অনেক শুভ কামনা।

৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকা মেডিকেলে মানুষ যেমন রাতে ঘুমাতে পারে। তাদের বের করে দেওয়া হয় না। তেমনি আদ্বীন হাসপাতালেও লোকজন রাতে ঘুমাতে পারে। তাদের বের করে দেওয়া হয় না। মানুষের মনে আজও মায়া দয়া আছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২০

মা.হাসান বলেছেন: আমার জানা মতে রাতে ডিএমসিতে ঘুমাতে বাধা দেয়া হয় না।
আগে হাসপাতালে ঢুকতে অ্যাটেনডেন্ট পাস লাগতো। এখন ওসব লাগে না। যে কেউ যে কোনো সময়ে হাসপাতালে ঢুকতে পারে।
আমিতো ঠিক করে রেখেছি, বউ কোনোদিন বাড়ি থেকে বের করে দিলে ডিএমসি যেয়ে ১৫০ টাকায় বিছানা, ১০০ টাকায় বালিশ কিনে কোনো একটা ওয়ার্ডের করিডোরে শুয়ে ঘুমাবো।
অনেক শুভ কামনা।

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

শেষ হয়েও হইলোনা শেষ
আশাকরি চলবে .............................

০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৮

মা.হাসান বলেছেন: নূরু ভাই, কেবল প্রথম দিন শেষ হলো। তবে ২য় দিন থেকে শুরু করে শেষ দিনের বর্ণনা কিছুটা কাছছাট করে লিখবো, ফলে আর দুই বা তিন পর্বের বেশি এই যাতনা সহ্য করতে হবে না।
অনেক শুভ কামনা।

১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: কঠিন পরিস্থিতিতে, হাসপাতালের মত একটি অস্বস্তিকর জায়গায় খালা, দাদু ইত্যাকার কোমল সম্বোধন হয়তো উত্তেজিত ও অশান্ত স্নায়ুকে কিছুটা প্রশমিত করে। অর্থের বিনিময়ে হলেও, তাদের কাছ থেকে যদি কাঙ্ক্ষিত আচরণটুকু পাওয়া যায়, তবে নিঃসন্দেহে তা হয় স্বস্তিদায়ক। আপনারাও আপনাদের খালা ও দাদুর কাছ থেকে আশানুরূপ আচরণ পেয়েছিলেন বলে মনে করি। তাদের পেটও চলে আপনাদের মত রুগী এবং এটেন্ডেন্টদের দয়া দাক্ষিণ্যে, এ কথাটা বেশ উদারতার সাথেই আপনারা মনে রেখেছিলেন, তা পোস্ট পড়ে বুঝতে পারছি। হাজার বিশৃঙ্খলার মাঝে এটাও একটা মানবিক দিক, যা একটা সামাজিক উদ্বেগকে কিছুটা হলেও এ্যড্রেস করে।

পোস্ট যথারীতি ভাল হয়েছে। কালের সাক্ষী হিসেবে এ পোস্ট ব্লগে রইলো, হয়তো কোনদিন সামাজিক কিংবা স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষকদের কাজে লাগবে।

পরিশ্রমী পোস্টের জন্য অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা! + +

০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫২

মা.হাসান বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখিত যে আগের পোস্টে আপনার কমেন্টের জবাব এখনো দেয়া হয় নি। ব্লগে কম সময় দেই বলে তাল হারিয়ে ফেলছি। বিষয়টি সহজ ভাবে নেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

হাসপাতালে কৃষক, রিকসাচালক, হোটেলের ওয়েটার এদেরও দেখেছি। কর্মহীন বেকার লোকও দেখেছি। হাসপাতালে অবস্থানকালিন সময়ে যাতায়াতের পিছনে এক দিনে আমার যত টাকা খরচ হতো, এরা এক সপ্তাহে নিজেদের খাওয়ার পিছনে সেই টাকা খরচ করতে সক্ষম না। হাসপাতাল থেকে যে ডায়েট এক জনের জন্য দেয়া হয়, তা দুজন মিলে খেতে দেখেছি। ৫০ টাকা ১০০ টাকা বখশিশ দেবার সামর্থ সকলের নেই। ২০০ টাকার রক্ত পরীক্ষা করানোর সামর্থ নেই। সরকারি হাসপাতালে গরিব রুগির কোনো টাকা লাগবে কেনো তাও বুঝে আসে না।
এর মাঝেও মানবিক কিছু লোক আছেন। কিছু ডাক্তার, কিছু স্টাফ আছেন যারা সাধ্য মতো চেষ্টা করেন। বাকিটা আল্লার মাল, আল্লা রাখলে থাকবে, না রাখলে থাকবে না এরকম।

হয়তো কোনদিন সামাজিক কিংবা স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষকদের কাজে লাগবে।

এখন আর দেশ নিয়ে কোন রকম স্বপ্ন সত্যিই দেখি না।

১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: পরে জেনেছি- ছোটো বেলায় অনেক জিনিসের মতো এটাও ভুল শিক্ষা ছিলো - আমাদের ছোটবেলার শিক্ষাগুলোকে এভাবেই প্রতিনিয়ত সংশোধন করে নিতে হয়, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।

যেসব পেশায় সর্বোত্তম মানের আত্মত্যাগ কাঙ্ক্ষিত, সেসব পেশায় কাউকে নিয়োগ দানের আগে কয়েকটা বিষয় ঝালাই করে নেওয়ার রেওয়াজ সেই ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসছেঃ
*প্রার্থী সামাজিক কিনা, সে তার নিকটাত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখে কিনা এবং এ ব্যাপারে সচেতন কিনা।
*সে কখনো পরিবারের সদস্যদের অসুস্থতায় হাসপাতালে থেকেছে কিনা, কিংবা স্বগৃহেই রোগীর সেবায় বিনিদ্র রজনী (আংশিক হলেও) যাপন করেছে কিনা।
*সে কখনো স্বেচ্ছায় রক্তদানের আহবানে পিছপা হয়েছে কিনা।

আপনার এবং নিকটাত্মীয়দের সন্তানদেরকেও ছোটবেলা থেকে এসব বিষয়ে প্রেষণা যোগাবেন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:২৩

মা.হাসান বলেছেন: আমাদের পারিবারিক বন্ধু এক ডাক্তার বড় ভাইকে একবার ওনার পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের বিষয়ে কিছু অনুযোগ করেছিলাম। উনি জবাবে বলেছিলেন যে বাস্তবতাটা বুঝতে হবে। ইউরোপ-আমেরিকার সঙ্গে আমাদের তুলনা করা উচিত না । ইউরোপ-আমেরিকায় একজন ঝাড়ুদার যা বেতন পায় তা দিয়ে পরিবার চালাতে পারে, একটা ভালো মোবাইল ফোন কিনতে পারে, একটা গাড়ি কিনতে পারে। কাজেই নিচের তলায় যারা থাকে তারা উপরের লোকদেরকে সেভাবে ঈর্ষা করে না। কিন্তু বাংলাদেশে একজন ঝাড়ুদারের পক্ষে তার সারা বছরের বেতন দিয়েও একটা আইফোন কেনার সম্ভব না । তারও সাধ আহলাদ আছে। সেও চায় তার কাছে একটা দামী না হোক ভালো একটা ফোন থাকুক, মার্সিডিজ না হোক, একটা টাটা গাড়ি থাকুক , গুলশানের ফ্লাট নাহোক, আলো বাতাস আসে এমন ভালো একটা বাসায় থাকবে। কিন্তু দেশ তাকে সেই ইকুয়ালিটি বা প্রোটেকশন দেয় না। কাজেই সে দুই নম্বরি উপায় খুঁজে, নিজে থেকে যা করার করে নেয়।

একজন ডাক্তার তার পেশা এসে দেখেন তার চেয়ে খারাপ ছাত্র ছিল এমন লোকের সুইস ব্যাংকে টাকা আছে। ডাক্তারের তো যোগ্যতা কম ছিল না । সে কেনো ছেড়ে দেবে ? নৈতিকতার তখন লোকে মানবে যখন দেখবে উঁচু তলার লোকেরাও তা মানছে। বাচ্চা এটা দেখে বড় হয় বাবা তিরিশ হাজার টাকা বেতন পায় কিন্তু পচিশ হাজার টাকা বাড়িভাড়া দেয়ার পরেও দিব্যি সংসার চালিয়ে নেয়। এই বাচ্চা যখন বড় হবে তার পক্ষে নৈতিকতা কতখানি মানা সম্ভব সেই প্রশ্ন কিন্তু রয়েই যায়।

আপনার এবং নিকটাত্মীয়দের সন্তানদেরকেও ছোটবেলা থেকে এসব বিষয়ে প্রেষণা যোগাবেন।
চেষ্টা আছে, বাকি আপনাদের দোয়ার ভরসাও করি।

১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা। সম্ভবত আপনার কাছে লেটেস্ট খবর নাই যে এবার আমরা পশ্চিমবঙ্গ বাসীরা উদ্বাহু বাড়িয়ে ভাজপাকে ওয়েলকাম জানাতে প্রস্তুত। মোদিজিকে আমরা আগে যথাযথ মূল্য না দেওয়ায় লজ্জিত। বিশ্বের একমাত্র বাংলা ভাষার দেশে যেভাবে ওনাকে সম্মান জানানো হলো তাতে একদিকে আমরা লজ্জিত ঠিকই কিন্তু বাঙালী হিসেবে গর্বিত।আর তাই ওনার গুনকির্তনে আজ আমরা মগ্ন। পশ্চিমবঙ্গের অলিতে গলিতে তাই ছোট্ট মুখ্যমন্ত্রীর বেয়াদবিকে প্রশয় না দিয়ে বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনাকে মাথায় রেখে গোটা বাঙালী জাতি আজ মোদি বন্দনায় মুখরিত।এক অপার্থিব স্বর্গীয় দেবভূমিকে গড়তে তাই আজ লাল সবুজ নীল রঙ বাদ দিয়ে আমরা গৈরিক বন্দনায় মেতে উঠেছি। আমরা আশাবাদী মোদিজি পঞ্চগব্য সেবন করে জনগনের স্বপ্নের ফানুস করোনা টিকাকে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মঙ্গল গ্রহে উন্নীত করবেন এবং বেনিয়ান জাতি হিসেবে ভারতকে আবার জগৎ সভায় প্রতিষ্ঠা করবেন।
জয় পঞ্চগব্য! জয় কোভিশিল্ড....
এর পরেও আমাকে মোদিজীর বিরোধিতায় গালমন্দ করবেন না প্লিজ।

১১ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৪১

মা.হাসান বলেছেন: পশ্চিম বাংলা গত পঞ্চাশ বছরে যা শেখে নাই, বাংলাদেশকে দেখে দুই দিনে তা শিখে নিলো জেনে যার পর নাই আনন্দিত হলুম। ভাবছি বাংলাদেশে একটা ব্রাঞ্চ অফিস খুলি নাকি #:-S

১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: গতবছর আব্বার করোনার জন্য ডিএমসিতে থাকতে হয়েছিলো সপ্তাহ খানেক । করোনা ইউনিটটা আপনার দেওয়া ছবি গুলোরর থেকে বেশ পরিস্কার পরিছন্ন । যে খালার কথা বললেন তারা আমাদের ওয়ার্ডেও ছিল । আসার সময় বড়ভাই প্রায় হাজার খানেক টাকা তাদের দিয়ে এসেছিলো ।

হাসপাতাল আমার ভাল লাগে না । যদিও আমার দুইজন ডাক্তার প্রেমিকা ছিল, একজনের সাথে প্রায় বিয়ে হয়েই যাচ্ছিলো তবুও কেন জানি আমি সব সময় এই হাসপাতাল ক্লিনিক থেকে দুরে থাকি সব সময় । মানুষজন পরিচিত কেউ অসুস্থ হলে আমি হাসপাতালে দেখতে যাই না । এর আগে আমার মায়ের একবার অপারেশন হয়েছিলো এলাকাতে । সবাই তাকে দেখতে গিয়েছিলো, আমি কোন দিন হাসপাতালের ভেতরে ঢুকি নি । বাড়ি থেকে যে খাবার নিয়ে যেতাম সেটা গেটে দিয়েই ফেরৎ চলে আসতাম । গতবছরও হয়তো যেতাম না কিন্তু ঢাকাতে আমি ছাড়া কেউ নেই ।



১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫৯

মা.হাসান বলেছেন: করোনা ইউনিটটা নতুন করা হয়েছে। এজন্য একটু পরিচ্ছন্ন । তবে করোনা আর কয়েক বছর থাকলে ওটাও পরিচ্ছন্ন থাকবে না।
মূল বিল্ডিঙের ওয়ার্ড গুলোতে রিলিজ নেবার সময়ে কি দেবেন দ্যান, কিন্তু অন্যান্য দিনে, দিনের টাকা দিনে শোধ করতে হবে। না হলে আয়াদের কাছ থেকে কোনো খাতির নাই। বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিভিন্ন সমস্যা করে।

আমি সুযোগ পেলে হাসপাতাল আর গোরোস্থানে যাই। মৃত্যুর চিন্তা আসা ভালো। তবে প্রার্থনা করি , কোনো লোককে কখনো যেনো কোনো সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে যেতে না হয়। আর আমাদের দেশে হাসপাতাল ডিউটি করতে গেলে লোক বল খুব দরকার।ডিএমসির ডিউটির সময়ে আপনার ছিলো না, এজন্য সমবেদনা।

আর ডাক্তার প্রেমিকের কথা না বললেও চলতো। :`> ১৪ ফেব্রুয়ারিতে যে শোকগাথা লিখেছেন, তাতে এটা পরিস্কার- ছাত্র, স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটির মাস্টারনি - পুলিশ-উকিল-এঞ্জিনিয়ার-ডাক্তার-ব্যাঙ্কার- আপনার সাবেক/বর্তমান প্রেমিকের লিস্টে কোনো পেশার লোকই বাদ যাবে না। :P
প্রায় প্রায় করতে করতে একদিন সত্যিই বিয়েটা হয়ে যাক, এই কামনা করছি। :D

১৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:২৭

ঢুকিচেপা বলেছেন: আমার আব্বাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কারণে বেশ কিছুদিন থাকতে হয়েছে তাই অভিজ্ঞতাও হয়েছে।
আপনার ৩ পর্ব পড়ে বুঝলাম সব জায়গায় একি রকম সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:১৭

মা.হাসান বলেছেন: দুঃখিত, আপনার মন্তব্যটি আগে চোখে পড়ে নি।

প্রায় সব হাসপাতালেই মোটিমুটি এক চেহারা। এমন না যে বেসরকারি গুলো খুব ভালো। কিছু বেসরকারি হাসপাতাল এমনও আছে, নার্সদের পয়সা না দিলে রুগিকে ইঞ্জেকশন পুশ করে না, ক্লিনারকে পয়সা না দিলে রুম পরিস্কার করে না। দু একটা যাও বা মোটামুটি মানের, সাধারণ লোকের নাগালের বাইরে। জেনারেল ওয়ার্ডে শুধু বেড ভাড়াই আসে দিনে ৩-৫ হাজার টাকা। পরিচিত লোক থাকলে হয়রানি কিছুটা কম হয়।
আপনার পরিবারের সকলের সুস্থতা কামনা করছি, কাউকে যেনো কখনো হাসপাতালে যেতে না হয়।

১৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:২৭

সোহানী বলেছেন: খুব খারাপ বলবো না আর ভালোতো বলার সুযোগ নেই। একজন রোগীর শশ্রুষার জন্য আমরা যেভাবে চারপাশে থাকি, রাতের পর রাত পার করি হাসাপাতালের বারান্দায়, জীবন বাজি রেখে আপরে বাচাঁই ........ এমন নজির মনে হয় তেমন কোথাও নেই। যে উন্নত চিকিৎসা হয়তো এরা পায় কিন্তু এ ভালোবাসার মায়া মমতায় জড়িয়ে কি কেউ রাখে? খুব কম!!!!!

আমার এ নিয়ে মনে হয় বেশ কিছু লিখা আছে। আপনার এ লিখা পড়ে ও আপনার ভূমিকা দেখে আবারো লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১১

মা.হাসান বলেছেন: কয়েকদিন আগে পত্রিকায় এসেছিলো- ঝালকাঠির এক ছেলে পিঠে সিলিন্ডার বেধে করোনাক্রান্ত মাকে নিয়ে মটর সাইকেল চালিয়ে বরিশাল সদর হাসপাতালে আসে। মা এখন সুস্থ। কিন্তু হাসপাতালের ফ্লোরে অন্য দের সাথে শুয়ে, করোনা ওয়ার্ডে ডিউটি করে ঐ ব্যাংকার ছেলে এখন করোনা পজিটিভ।

এই বিষয়ে আপনার অনেক অভিজ্ঞতা আছে তা আপনার বইয়ের ফ্ল্যাপে পড়া ওয়ার্ক এক্সপিরিয়েন্সের কথা থেকে জেনেছি। শেয়ার করলে ভালো লাগবে।

১৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৪৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমি দৈনন্দিন ১০ হাজার স্টেপ হাটার লক্ষ্য রাখি। সর্বোচ্চ ২০ হাজারের মতো করা হয়েছে মাত্র দু'দিন আগেই। সাতাশ হাজার বেশ বড় নাম্বার, বুঝতে বাকি থাকে না কেন ক্লান্তিতে গা এলিয়ে দিয়েছিলেন। ভালো থাকুন।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০২

মা.হাসান বলেছেন: আমার স্ত্রীর রিকমেন্ডেশন ১০ হাজার স্টেপ । করোনা আসার আগে দিনে ১৪-১৮ হাজার স্টেপ হেটেছি। এখন ৬ হাজারে টার্গেট সেট করা। তবে কঠোর লক ডাউনে তিন সপ্তাহ যাবৎ তাও বন্ধ।

রাস্তা পরিচ্ছন্ন এবং নিরাপদ হলে এবং আরামদায়ক ফুটওয়ার থাকলে হাঁটা সমস্যা না। তবে ঢাকার রাস্তায় পিছনেও দুটা চোখ রাখতে হয়। পায়ের নিচ ইট পাথর। হাঁটায় বেশ কষ্ট।
আপনিও নিরাপদ থাকুন। আল্লাহ সহায় হোন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.