নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।
আমি হয়ত সেখানেই থামতে পারতাম। থামা হয় নি। সম্ভাবনার সংজ্ঞা আসলে নানাবিধ।
ছোটবেলায় যখন কাঁচা রাস্তায় ধূলি ঝড় তুলে স্কুলে যেতাম আমি , পিছু পিছু ধীর লয়ে ভিনদেশীও হ্যামিলিনের মতো একটা বাঁশী হাতে হাঁটতো। হুম, তাকে ভিনদেশী মনে হবার অনেক কারণ ছিল। প্রথমত তাকে হঠাৎ হঠাৎ দেখা যেত মোড়ের দোকানে চা খেতে কখনোবা ব্যস্ত ভঙ্গীতে মাথা নিচু করে হেঁটে যেতে রেললাইনের কাছ ঘেঁষে আপন মনে । মাঝে মাঝে পথে আমাকে দেখলে ফিক করে হেসে ফেলত, ভাবখানা এমন যে আমি তার কতদিনের চেনা ! শুধুমাত্র স্কুলে যাবার পথেই সে আরামদায়ক ভঙ্গীতে ধীর লয়ে হাঁটতো আমার পিছু , পাখির মত শিস দিতে দিতে ।
“ বাবু, পথে অনেক ছেলেধরা থাকে। ভয় লাগে না তোমার ?”
আমি তার কথা শুনে ছুটতে থাকতাম ভয়ে। হারিয়ে যাবার ভয়ে। পেছন থেকে ভেসে আসতো ভিনদেশীর শিসের মত হাসি । তার হাসিতে গহীনে থাকা কোনো নদীতে জ্যোৎস্নারাতের পাগলা বান ডেকে যেত। যদিও আমি সম্ভাবনার কথা বলছি। হয়ত বিজাতীয় ভাষায় সে বান মুক্তি কামনা করত চোরাবালির ফাঁক গলে। গাছ- লতার নিচে, নদীর বাঁকে কিংবা বাঁশঝাড়ে টি টি করে সুগন্ধী হাতড়ে বেড়াতো যেমন করে নিমখুন হওয়া কোনো সন্ধ্যাপাখি।
“ বাবু, পাখি নেবে ? সোনালী ডানার স্থির হয়ে থাকা কোনো পাখি ?”
গাঢ় ও প্রগাঢ় হতে হতে সোনালী রঙ পদ্মরাগে ঠিকরানো আগুন হলে পাখিটা হয়ত মধ্যসমুদ্রে যাবে। ভিনদেশীর হয়ত একটা গোপন জাদুঘর আছে। ধুলো পড়া স্তব্ধ অতীতের করিডোর। আছে উদ্বেগ বিষাদ-ভয়, একলা একা কাতরতা।
দিবা-স্বপ্নের গন্ধ পোড়ে,
ক্লান্তি পোড়ে,
গলে বরফগলা জল
“বাবু, গান শুনবে ? কবিতার মত গান ?”
ভিনদেশী কোন বাবুকে খুঁজে ফেরে রাত্রি এবং মৃত্যুতে কে জানে ? বাবুটি বয়সের ফ্রেমে আটকে গিয়েছিলো হয়তবা যার হৃদয়ে লটকে ছিল এক বাসনা কাঁটা। শান্ত নির্জন মাঠে থানার রাস্তা পার হবার পর অনেক চেষ্টায় যখন তুলে ফেলা হয়েছিল কাঁটাটি , সেখান থেকে তিনফোঁটা রেনুমাখা নীল ঝরে পড়লে আর কখনোই হৃদয়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বাবুটির ।
জলের রং সবসময় নীলই হয় না। রংধনুর সব রং ও কখনোসখনো ভেসে ওঠে সেখানে যেমন করে আবছায়া শিলালিপির কী অপূর্ব জীবনব্যাপি ব্যাকুলতা সময়ের উল্টোপথে !
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
২| ২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮
তীর্থক বলেছেন: লেখার বিষয় বৈচিত্রে চমৎকারিত্ব আছে আর শব্দের গাঁথুনিতে আছে শক্ত হাতে নাঁও বাওয়া মাঝির চোয়ালের দৃড়তা। কিন্তু লেখার প্যাটার্ন/ ঢং মনে হচ্ছে কেমন যেন "টাইপড" হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে একই তাল আর লয়ে এগুচ্ছে প্রতিটি লেখা। এটা আপনার লেখার একটা নিজস্ব ধারা হতে পারে তবে আমি লেখুনি'র ঢংয়ে আরও বৈচিত্র পেলে বেশি পছন্দ করব।
ভাল একটি লেখা উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ :-)
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এ লেখাটা ইদানীং এর না । বেশ কয়েকমাস আগের। আর মুক্তগদ্য , কবিতা লেখাও কমিয়ে দিয়েছি অনেকটা। ওই যে বললেন টাইপড হয়ে যাবার ব্যাপার , সে কারণেই। বিষয়বস্তুর ভিন্নতা আমার লেখা মুক্তগদ্যের মাঝে পাবেন আগেরগুলোর সাথে মেলালে তবে লেখার ঢঙ আমার এমনতরই যা আপনার কাছে টাইপড লাগছে মূলত সেটা কিইছু শব্দের ঘুরেফিরে বিভিন্ন লেখায় ( মুক্তগদ্য টাইপ লেখার কথা বোঝাচ্ছি ) চলে আসার কারণে আপনার এমনটা মনে হচ্ছে। আর যারা লিখতে ভালোবাসেন তাদের সবার লেখনীর একটা স্বকীয়তা থাকা উচিত বলে মনে করি।
তবে পরবর্তীতে চেষ্টা করবো শব্দ ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনতে। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ এভাবে আন্তরিকভাবে বলার জন্য।
৩| ২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো হয়েছে, সুন্দর হয়েছে বলা ছাড়া আর কি বলতে পারি ! নিমখুন হওয়া সন্ধ্যাপাখির জন্য বিষাদে ভরে গেছে মন ।
মুক্তগদ্যে ভালোলাগা+
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্লাসের জন্য ধন্যবাদ মামুন ভাই ।
বিষাদও সুন্দর !
৪| ২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: গাঢ় ও প্রগাঢ় হতে হতে সোনালী রঙ পদ্মরাগে ঠিকরানো আগুন হলে পাখিটা হয়ত মধ্যসমুদ্রে যাবে।জলের রঙ সবসময় নীলই হয় না। রঙধনুর সব রঙও কখনোসখনো ভেসে ওঠে সেখানে যেমন করে আবছায়া শিলালিপির কী অপূর্ব জীবনব্যাপি ব্যাকুলতা সময়ের উল্টোপথে !
এই লাইন গুলো বেশি ভাল লেগেছে।
পুরোটাই ভাল লেগেছে।
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:২৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আহসান
৫| ২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩
মাক্স বলেছেন: +++
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:২৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ মাক্স
৬| ২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭
সায়েম মুন বলেছেন: বেশ লিখেছেন। ভাললাগা রইলো। লিখতে থাকুন হাত খুলে।
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আচ্ছা ধন্যবাদ আপনাকে , সায়েম ।
৭| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: +++++++++++++++++
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এতগুলো প্লাস দেয়ার সাথে সাথে দুই এক লাইন লিখলেও আরও ভালো লাগতো !
৮| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: বাহ বাহ বাহ
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ সিফাত
৯| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার লেখার গুনে চমৎকার হয়ে উঠেছে লেখাটি। তবে আমার মনে হল
ভিনদেশী কোন বাবুকে খুঁজে ফেরে রাত্রি এবং মৃত্যুতে কে জানে ?
এই লাইনটি যদি একটু অন্যরকম ভাবে উপস্থাপন করা যেত আরও চমৎকার হত।
শুরুটা হঠাত করে হল যেন এমন মনে হল। কিছু অপূর্ণতা শুরুতেই রয়ে গেছে হয়ত আমার বোঝার ভুল হতে পারে।
আমি হয়ত সেখানেই থামতে পারতাম। থামা হয় নি। সম্ভাবনার সংজ্ঞা আসলে নানাবিধ।
এই লাইনটি কি পরে দেয়া যেত না ?
আর রঙধনু এভাবে লেখা যায় তবে রংধনু এভাবে লিখলে আর একটু বেশী সুন্দর হত।
পোস্টে ভাললাগা রইল। +++++++
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি হয়ত সেখানেই থামতে পারতাম। থামা হয় নি। সম্ভাবনার সংজ্ঞা আসলে নানাবিধ।
--- এই লাইনটা পুরো লেখার মুখবন্ধ অর্থাৎ এই লাইনটা পুরো লেখার রিপ্রেজেন্ট করছে যা প্রথমেই দিয়েছি।
এই আমিটা ভিনদেশীকে নিয়ে তার সম্ভাবনার কথা বলছে, তার বাবুর কথা নিয়ে সম্ভাব্যতার কথা বলছে যার হারিয়ে যাওয়া আর মৃত্যুতে তার অস্তিত্বকে সে অন্য কারো মাঝে খুঁজছে আর সেই অন্য কেউটা এই " আমি " ।
ভিনদেশী কোন বাবুকে খুঁজে ফেরে রাত্রি এবং মৃত্যুতে কে জানে ?
--- এই লাইনটা কীভাবে দিলে ভালো হতো পরামর্শ চাই ।
রংধনু বানান দুইভাবেই শুদ্ধ তবে আপনার সাজেশনকেই কাজে লাগালাম। ধন্যবাদ কাণ্ডারী ভাই ।
১০| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৫
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: গাছ- লতার নিচে, নদীর বাঁকে কিংবা বাঁশঝাড়ে টি টি করে সুগন্ধী হাতড়ে বেড়াতো যেমন করে নিমখুন হওয়া কোনো সন্ধ্যাপাখি।
নিমখুন হওয়া কোনো সন্ধ্যাপাখি -- এই কথাটা খুব দারুন লাগলো!
পোস্টে ভালো লাগা!
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ফাঁকিবাজি কমেন্ট দেখি !!!!
১১| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:১২
ভূতাত্মা বলেছেন: “ বাবু, পাখি নেবে ? সোনালী ডানার স্থির হয়ে থাকা কোনো পাখি ?” -চমৎকার একটা লাইন আপি (তাই বলে যে অন্যগুলো চমৎকার না, তা কিন্তু না)
আপনার লেখা যতবার পড়া যায়, ততবার প্রেমে পড়া যায়!!
আমি অন্তত পড়ি!!!
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লজ্জায় ভালো লাগার ইমো হবে।
পড়তে থাকো অনন্তকাল !!!
১২| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৩
নোমান নমি বলেছেন: বেশ ভালো।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ নোমান ।
১৩| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৫
মায়াবতী নীলকন্ঠি বলেছেন: জাদুর নেশায় টালমাটাল হয়ে যতই পড়ি ততই যেন আরও ঘোর লাগে
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মায়াবতী ঘোরেই থাকুক জাদুর নেশায় !!!
১৪| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৯
খাটাস বলেছেন: সবাই যখন বলছে, তখন সম্ভবত ভাল ই হয়েছে। কিন্তু মাফ করবেন- এটা কে কি বলে? মানে সাহিত্তের কোন অংশ। আমার দৌড় গল্প আর প্রবন্ধ পর্যন্ত। :#> :#> তবে পড়তে আমার একটু কঠিন লেগেছে, কিন্তু ভাব টা সুন্দর। আমার মন্তব্য সমালোচনা নয়, আমার অজ্ঞতা।
ভাল থাকবেন। প্লাস।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:২১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সবাই ভালো বা খারাপ বললে আপনিও তাই বলবেন সেটা কি করে হবে ! তাহলে তো গল্প আর প্রবন্ধ নিয়েও আপনাকে একই মন্তব্য করতে হবে সবার দেখাদেখি !
আমি এই লেখায় ট্যাগ দিয়েছি " মুক্তগদ্য "। তবে কঠিন লাগার পরেও যে আপনার কাছে ভাবটা সুন্দর লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।
আপনিও ভালো থাকবেন। প্লাসের জন্যও আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
১৫| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৫
বৃতি বলেছেন: অনেক ভাল লাগা থাকল । তবে আপু, আপনার মত যারা ভাল লিখেন তাদের কাছে আমার মত পাঠকের প্রত্যাশা থাকে আরও সম্পূর্ণতার । আপনার মিথিলার গল্পটার মত- আমার মনে বেশ দাগ কেটেছে গল্পটি ।
অনেক শুভকামনা ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আন্তরিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমার " মিথিলা এবং ছায়াচ্ছন্ন সৌরভ " গল্পের মতো একটা গল্প লিখতে আমি সবসময়ই চেষ্টা করবো। তবে সব লেখাই সবার মনে দাগ কাটে না তবে আমি পরবর্তী গল্পগুলো সময় নিয়েই লিখতে চাই বলেই সে ফাঁকে কবিতা বা মুক্তগদ্য জাতীয় লেখা লিখি ব্রেইনকে রিল্যাক্স করতে।
আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা বৃতি।
১৬| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৪
দেহঘড়ির মিস্তিরি বলেছেন: বাবু, পাখি নেবে ? সোনালী ডানার স্থির হয়ে থাকা কোনো পাখি ?
এ লাইনটা পড়ে মনে পরে গেল এক সময় আম্মুর কাছে বায়না ধরেছিলাম একটা টিয়াপাখির জন্য
ভিনদেশী কোন বাবুকে খুঁজে ফেরে রাত্রি এবং মৃত্যুতে কে জানে ? বাবুটি বয়সের ফ্রেমে আটকে গিয়েছিলো হয়তবা যার হৃদয়ে লটকে ছিল এক বাসনা কাঁটা
কিছু কিছু মানুষ স্মৃতিতে আটকে থাকে অম্লান হয়ে
২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি কখনো পাখি কিনতে চাইনি তবে ছেলেধরার ভয়ে ভীত থাকতাম , বেশ কিছুদিন স্কুলে যেতে পারিনি । তখন ছেলেধরা শব্দটা আমার কাছে নতুন এবং বাচ্চাদের অপহরণের কথাও বেশ শুনতে পাচ্ছিলাম।
স্মৃতি যেমন বেদনার, আনন্দেরও। স্মৃতি হচ্ছে জটিলতা !!!
শুভকামনা মিস্তিরি ।
১৭| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩১
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বেশ লাগলো !
২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ অভি।
১৮| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
খেয়া ঘাট বলেছেন: কেমন যেন বিষন্ন অথচ মোহনীয় সুন্দর একটা লিখা।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।
মাঝের চারদিন কি করেন?
২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এক গুচ্ছ প্লাসের জন্য ধন্যবাদ খেয়াঘাট।
হাহহাহা .........আপনি খেয়াল করেছেন তাহলে ! আমার লাস্ট কয়েকটা পোস্ট একটার সাথে আরেকটার পোস্ট দেয়ার ব্যবধান চারদিন করে ! বাকী চারদিন অন্যদের লেখা পড়া, কমেন্ট করার পাশাপাশি লেখালেখি নিয়েও ভাবি।
১৯| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পোস্টের প্রথম লাইনটির ব্যাখ্যা এবার পরিষ্কার হল। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর করে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য।
ভিনদেশী কোন বাবুকে খুঁজে ফেরে রাত্রি এবং মৃত্যুতে কে জানে ?
লেখকের লেখার উপর কোন কথা চলে না কারন সে তার নিজের ভাবধারা থেকেই লিখে থাকেন। এখানে বিষয় হল সেই লেখাই সার্থক যা পাঠকের বোধগম্য হয়। সেদিক থেকে আপনার লেখা নিখুত তবে আমার মনে হয়েছে এই একটি লাইন এভাবে না হয়ে, যদি এভাবে হত তবে একটু বেশী সুন্দর হত। তবে আপনার লেখাটিও চমৎকার। যদি এভাবে সাজেশন দেয়া হয়ত ঠিক হচ্ছেনা তবু আপনার একজন ভক্ত ও অনুরাগী পাঠক হিসেবেই বলছি
ভিনদেশী সেই বাবুকেই খুঁজে ফেরে আমার সকল রাত্রি। হয়তবা মৃত্যুর মাঝে দিয়েই তার সমাপ্তি।
ক্ষমা করবেন অনধিকার চর্চা করার জন্য।
২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ইশ বেশী বিনয় দেখিয়ে উত্তর দিয়ে তো আমাকে লজ্জায় ফেলে দেন আপনি !
ভিনদেশী তার বাবুকে খুঁজে ফেরে ঠিকই কিন্তু সেই আমির মাঝে পাগলের মতো করে না , সেই আমির সকল রাত্রি বা মৃত্যুর মাঝেও না। বরং মাঝে মাঝে রাস্তায় সেই আমিকে দেখলে ভিনদেশী তার স্কুলে যাবার পথে পিছু পিছু হাঁটত, করে হেসে ফেলতো !
বরং সেই আমিই ভাবতো /মনে করতো। সম্ভাবনাময় চিন্তা করতো এই যে, ভিনদেশী কি তার বাবুকে খুঁজে ফিরছে ? আর খুঁজে ফিরলে কোন রাত্রিতে খুঁজে ফেরে বা কোন সময়ে, কোন মৃত্যুতে খুঁজে ফিরছে ?
তাই আপনার বলা পরামর্শটা ঠিক মিলছে না আমার লেখার সাথে আপনি যা লিখেছেন --
" ভিনদেশী সেই বাবুকেই খুঁজে ফেরে আমার সকল রাত্রি। হয়তবা মৃত্যুর মাঝে দিয়েই তার সমাপ্তি। "
---- বাবুটা তো মারাই গিয়েছে যা আমি এই লাইনে স্পষ্ট করে দিয়েছি --
" বাবুটি বয়সের ফ্রেমে আটকে গিয়েছিলো হয়তবা যার হৃদয়ে লটকে ছিল এক বাসনা কাঁটা। শান্ত নির্জন মাঠে থানার রাস্তা পার হবার পর অনেক চেষ্টায় যখন তুলে ফেলা হয়েছিল কাঁটাটি , সেখান থেকে তিনফোঁটা রেনুমাখা নীল ঝরে পড়লে আর কখনোই হৃদয়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বাবুটির ।"
-- একটা মানুষ বয়সের ফ্রেমে কখন আটকায় ? সে মারা গেলে। তার বয়স আর বাড়ে না কিন্তু। আমার বাবা মারা গেছেন ৬৩ বছর বয়সে ৪ বছর আগে। উনার বয়স কিন্তু ৬৩ ই আছে , ৬৭ না ।
অনেক কথা বললাম। এভাবে আলোচনা করবেন , নিজের মতামত দিবেন , মন খুলে। তবেই না লিখে , কমেন্ট করে , পড়ে আরাম পাওয়া যায়।
ভালো থাকবেন কাণ্ডারী ভাই।
২০| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
মাগুর বলেছেন: সুন্দর লেখনীর মাধ্যমে বিষন্নতার ছাপ ফুটিয়ে তুলেছেন। ভালো লাগলো বেশ।
+++++
২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ মাগুর !
২১| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আগেই পড়সিলাম। ভালো লাগসে। নিমখুন কেমন খুন? অল্প খুন?
২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নিমখুন মানে - অর্ধখুন , প্রায় খুনের মতোই
২২| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩০
একজন আরমান বলেছেন:
বাবুটি বয়সের ফ্রেমে আটকে গিয়েছিলো হয়তবা যার হৃদয়ে লটকে ছিল এক বাসনা কাঁটা।
ভালো লাগলো।
২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আরমান
২৩| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩১
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: আপা ইহা আপনি কি লিখিয়াছেন? কিছুই বোধগম্য হইতেছে না!! একটু বিশদ ব্যাখ্যা করিলে প্রীত হইতাম!!
২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ১৯ নাম্বার কমেন্টের রিপ্লাই পড়েন , বোধগম্য হইবে ।
২৪| ২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
রাধাচূড়া ফুল বলেছেন: বেশ ভালো লাগল।
২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ রাধাচূড়া ফুল।
২৫| ২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
নেক্সাস বলেছেন: লিখালিখি বা পড়াপড়ি এখন আর আগের মত টানেনা। এইতো কালকেও ছুটির অবসরে আর শারিরীক ও মানসিক উৎপীড়নের মাঝে হাতে নিয়ে বসেছিলাম প্রমথ চৌধূরীর কাব্য সমালোচনার ভান্ডার নিয়ে। না বেশী দুর যেতে পারলামনা। থামতে হল কিয়ৎক্ষন পরেই। এভাবেই সব প্রিয় জিনিশগুলো এক এক করে অপ্রিয় হয়ে উঠছে সময়ের এক সঙ্গাহীন অদ্ভূত কষাঘাতে।
সে যাই হোক তবুও অভ্যাসবশত সামুতে ঢুঁ মারা আর কিছু প্রিয় মানুষের লিখা পড়া। সেরকম আপনার লিখাটিও চোখ আটকে গেল। নিমমঞ্জরী খুটিতে খুটিতে ছোট্ট টুনটুনি যেমন খুশিতে চঞ্চল হয়ে উঠে তেমনি "নিমখুন"- নতুন শব্দের ব্যাঞ্জনায় পাঠক চিত্ত চঞ্চল না হয়ে পারেনা।
আমি হয়ত সেখানেই থামতে পারতাম। থামা হয় নি। সম্ভাবনার সংজ্ঞা আসলে নানাবিধ।- শুরুটা চমৎকার। অল্পে বিশালত্বের ভুমিকা। তবে বিষয়টা আরো চমৎকার হত যদি গল্পের শেষে বা মধ্যাভাগের কোথাও কৌশলে কিংবা ইঙ্গিতে "সেখানেই" ব্যাপারটার মিমাংসা করা হত। (একান্ত আমার মত)
গাঢ় ও প্রগাঢ় হতে হতে সোনালী রঙ পদ্মরাগে ঠিকরানো আগুন হলে পাখিটা হয়ত মধ্যসমুদ্রে যাবে। ভিনদেশীর হয়ত একটা গোপন জাদুঘর আছে। ধুলো পড়া স্তব্ধ অতীতের করিডোর। আছে উদ্বেগ বিষাদ-ভয়, একলা একা কাতরতা। ---- এখানটা চমৎকার। রাইম ও রিদম সাবলীল এবং সে সাথে চমৎকার উপমা।
এখানে ইঙ্গিতে উঠে এসেছে ভীনদেশীর মনো জগতের লুকায়িত ইতিহাস সম্ভাবনা।
লিখকের লিখায় প্রতিনির্দেশনা গুরুতর অন্যায়। এটা সমালোচনার অংশ নয়। কিন্তু আন্তরীকতা বলে বিষয়টা সম্ভব হয়ে উঠে। ঠিক সেই আন্তরীকতার দোহাই দিয়ে কান্ডারী ভাইয়ের মত বলব "ভিনদেশী কোন বাবুকে খুঁজে ফেরে রাত্রি এবং মৃত্যুতে কে জানে ?" এই লাইনটা আমার কাছে " কে জানে, ভীনদেশী কোন বাবুকে খুঁজে ফেরে রাত ও মৃত্যুর সঙ্গমে" হলে রিদমটা প্রানবন্ত হত।
সর্বশেষ জলের রং সবসময় নীলই হয় না। রংধনুর সব রং ও কখনোসখনো ভেসে ওঠে সেখানে যেমন করে আবছায়া শিলালিপির কী অপূর্ব জীবনব্যাপি ব্যাকুলতা সময়ের উল্টোপথে !
এখানটায় দৃশ্যকল্প রচনায় আমি কিছুটা হোঁচট খেয়েছি।
সব মিলিয়ে সুখপাঠ্য মুক্তগদ্য। ভাললাগা জানিয়ে গেলাম।
আর নিজের মতামত ব্যাক্ত করার জন্য ক্ষমা প্রাপ্তির আশা রাখলাম।
২৬ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লিখালিখি আর পড়াপড়ির ব্যাপারটা আমার মাঝে এরকম যে , রোজই কিছু না কিছু পড়া হচ্ছে; হয় ব্লগের লেখা না হয় গল্পের বইয়ে । তবে কবিতা পড়লে ঘোর তৈরি হয় , ৫/৬ টা কবিতা পড়লেই মিনিমাম একটা কবিতা হলেও লিখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু লিখি না প্রভাবিত হবার ভয়ে। আর উপন্যাস পড়ার মতো ধৈর্য স্টুডেন্ট লাইফে মনে হয় ফেলে এসেছি ( ভারী ধরণের, যা দাগ কেটে থাকবে মনে বহুদিন)। মাঝে মাঝে অনেকেরই এমন হয় যে কিছুই পড়তে ভালো লাগে না , কোনো লেখায় চোখ বুলাতে ভালো লাগে না , ব্লগে কাউকে কারো লেখা নিয়ে বলতে ইচ্ছে করে না। মেন্টাল স্ট্রেস এর একটা কারণ হতে পারে।
ব্লগে কিছু ব্লগারের লেখা ভালো লাগার কারণে তারাও অনেক সময় আপন হয়ে যায়। ব্লগে লগিন না করলেও অন্তত তাদের লেখা আছে কিনা দেখার জন্য অন্তত একবার হলেও ঢু মারতেই হয় , আমারও।
আপনি যেভাবে আমার লেখাটাকে বিশ্লেষণ করলেন আপনার মতো করে, আমার অনুভবকে বোঝার চেষ্টা করলেন সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিতেই হয়।
আপনি বলেছেন - লিখকের লিখায় প্রতিনির্দেশনা গুরুতর অন্যায়।
আমার কাছে ব্যাপারটা সেরকম না । ঐ যে বললাম কিছু লেখকের ভালো লেখার কারণে ( এখানে ব্লগকেই বুঝাচ্ছি ) , ইন্টার্যাকশনের কারণে একটা অধিকারবোধ জন্মেই যায় , যদি সে মানুষটা আমার প্রতি নির্দেশনাকে বাঁকা চোখে না দেখে। আর আলোচনা , লেখাতে বকিল্প শব্দের ব্যবহার ইত্যাদি ব্যাপার নিয়ে সহব্লগারকে কিছু বলা আমি দোষের চোখে দেখি না। কাণ্ডারী ভাই যেমন ভাবে আমাকে বলেন , আমিও তার পোস্টে গিয়ে বা অন্য যাদের লেখা ভালো লাগে সেখানে আমার মতামত বলতে চেষ্টা করি। ঠিক তেমনি ভাবেও আমি আপনার মন্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছি বলেই আন্তরিকভাবেই কথা বলছি ।
শুরুর লাইনটা নিয়ে আপনিও আপনার মতো করেই মত দিয়েছেন যদিও। তবুও আমি একবার এ বিষয় নিয়ে কাণ্ডারী ভাইয়ের প্রতি মন্তব্যে উত্তর দিয়েছি যেমন করে এ লাইনটা নিয়েও দিয়েছি " ভিনদেশী কোন বাবুকে খুঁজে ফেরে রাত্রি এবং মৃত্যুতে কে জানে ?"
--- তাই আর এ বিষয়ে গেলাম না ।
সর্বশেষ জলের রং সবসময় নীলই হয় না। রংধনুর সব রং ও কখনোসখনো ভেসে ওঠে সেখানে যেমন করে আবছায়া শিলালিপির কী অপূর্ব জীবনব্যাপি ব্যাকুলতা সময়ের উল্টোপথে !
--- এখানেও দৃশ্যকল্পে আপনি বাঁধা পাইছেন। এবার আমার নিজের মতো করেই বলি --
জলের আদৌ রঙ নাই। কিন্তু জল/পানি বললে একটা সাদা রঙের কথাই মনে আসে। যেহেতু জলের নিজস্ব রঙ নেই সেহেতু অন্য যে কোনো রঙ সেখানে মিশালে জল সেই অন্য রঙটাই ধারণ করবে। আবার সূর্যকিরণ পড়েও এর মাঝে বিভিন্ন রঙের প্রতিফলন হয় যাকে তুলনা দিয়েছি রংধনুর সাথে।
আর
শিলালিপি একটা জড় পদার্থ, সেখানে প্রাণ থাকার কথা নয়। শিলালিপি বা প্রস্তরখণ্ড যেখানে থাকে ( একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কল্পনার্থে ) সেখানে কোনো প্রাণের স্পন্দন নেই , মানুষ , পাখি , জন্তু কেউ নেই । সেখানে সেই শিলালিপিদের কি ইচ্ছে করে জীবনের পথে হাঁটতে, জনস্রোতে মিশে যেতে। শিলালিপি একটা রুপক কিন্তু এখানে ভিনদেশীকে দিয়ে ভাববেন। তার বাবু টা নেই , হারিয়ে গেছে বা মারা গেছে কিংবা হারাবার পর বাবুটা মারা গিয়েছে। তার জীবনটাও একটা শিলালিপি সদৃশ, রুক্ষ্ম, প্রাণহীন। তারও ইচ্ছে করে প্রাণের স্রোতে মিলতে।
এবার কি আমার ভিউ বুঝতে পেরেছেন নেক্সাস ?
নিজের মতামত ব্যক্ত করার জন্য ক্ষমা চাইবার কিছু নেই। আলোচনা, পরামর্শ সবই সাদরে গৃহীত।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২৬| ২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: লিখাটা পড়ার সময় একটা ঘোরলাগা কাজ করে । পড়া শেষে সুন্দর বিষণ্ণতায়
আক্রান্ত ।
আফসুস ও হয় ,
মুক্তগদ্দ্য লিখার হেডম আমার নাই
কবে এমন লিখতে পারব ? জানি না ।
যাই হোক লিখা ভাল হলে প্লাস দিতে দেরি করি না ।
+++++++++্
শুভকামনা । ভাল থাকবেন ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনি তো সুন্দর গল্প লেখেন , চেষ্টা করেন মুক্তগদ্যও পারবেন।
প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ।
২৭| ২৬ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭
মৃন্ময় বলেছেন: প্রথমবারের মত আপনার লেখা পড়লাম,
পড়েই বিমুগ্ধ,
ভালো লেগেছে...।
তাই ভালো লাগা রেখে গেলাম।
ভালো থাকুন।
২৬ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ মৃন্ময়। আপনিও ভালো থাকুন।
২৮| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৩
আমিনুর রহমান বলেছেন:
এটা আমি আরো বেশ কয়েকমাস আগেই পড়েছি। ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে দেখি গদ্য কবিতায়। আমি পোষ্ট পর্যবেক্ষণ নিলাম দেশী
২৭ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এর আগে আমি এ লেখাটা চতুর্মাত্রিক ব্লগে দিয়েছিলাম। হয়ত সেখানেই পড়ে থাকবেন লেখাটা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৯| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:২১
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: লেখাটা মনে ধরছে -
২৭ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো মাসুম ভাই
৩০| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:৪৯
অনাহূত বলেছেন: ভাললাগা জানিয়ে গেলাম।
২৭ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ অনাহূত
৩১| ২৭ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন:
অপর্ণা মম্ময়,
বরফের মতো বেশ কঠিন কিন্তু ভেতরে আর্দ্রতা মাখানো শব্দগুলো যেন জ্যোৎস্নারাতের পাগলা বান ডেকে যাওয়ার মতো শো’শো করে ওঠে লেখার ষ্টাইলে । বেশ লাগলো ।
আমি হয়তো এখানেই থেমে যেতে পারতাম .... থামতে দেয়নি কেউ কেউ ।
বেশি আন্দোলিত হয়েছি কারো কারো মন্তব্য আর আপনার উত্তরে । ব্লগারত্রয় তীর্যক নীল , কান্ডারী অথর্ব আর নেক্সাস মিলে যে ত্রয়ী সঙ্গীত বেঁধেছেন এখানে তা বসন্তের বাতাসটুকুর মতো লাগলো যেন । বিশেষ করে নেক্সাস আর তীর্যক নীল যেভাবে মন্তব্য সাজিয়েছেন, অনবদ্য । সুগন্ধী হাতড়ে বেড়ানো কোনও নিমখুন হওয়া সন্ধ্যাপাখির মতো ডেকে গেছেন তারা এখানে ।
ব্লগে যারা শুদ্ধতার গোপন জাদুঘর খোঁজেন তারা কবিতার মত গান শুনতে পাবেন এই করিডোরে ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে .....
২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এই লেখাটা লিখে যতটা আনন্দ পেয়েছিলাম তারচেয়েও বেশী আনন্দিত আমার সহব্লগারদের আন্তরিক মন্তব্যে যেখানে আলোচনা করার একটা সম্মানজনক জায়গা ছিল।
আপনাকেও বিশেষভাবে ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য আমার লেখালেখিতে।
শুভ সন্ধ্যা ।
৩২| ২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩
অদৃশ্য বলেছেন:
আচ্ছা, আমি যদি নিমখুন হওয়াটাকে বিষাক্তখুন বলি... অসুবিধে আছে... ব্যপারটা এমন যে... নিমখুন__তিতাখুন__বিষাক্তখুন, এরকম আরকি... হলে হলো, না হলে না হলো...
মুক্তগদ্য ভালো লেগেছে...
শুভকামনা...
২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মুক্তগদ্য ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আমারও ।
আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।
৩৩| ২৮ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৪
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ** বানান ভুল খুঁজতে আসছিলাম, পাইলাম না!
দেখ যদি কোন ভোরে
তোমার পথের ধারে,
আদিম আলিঙ্গন সিক্ত এক জোড়া
বকুল ঝরে আছে,
তবে সেদিনই বুঝে নিও
প্রতীক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে-
সে আর ফিরবে না এই পথে...
২৮ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার জন্য রইলো গভীর সমবেদনা ! আহা !
৩৪| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:২১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আপু, দুই তিনবার পড়েও থিমটা ধরতে পারলাম না! রুপকের আড়ালে কিছু ছিল কি? আপনার লেখা পড়ে প্রায়ই ধাঁধাঁয় পরে যাই।
আমার মনে হয়েছে সেই ভাবে ঠিক থিম বেজ করে লিখেন নি। হয়ত কবিমনের কল্পনার কিছু অংশের চিত্রায়ন।
তবে সুখপাঠ্য ছিল নিঃসন্দেহে।
৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এখানে বেশ কিছু মন্তব্য এবং তার প্রতি মন্তব্য পড়লে তোমার হয়ত বুঝতে সুবিধা হতো নাজিম।
তোমাকে ধন্যবাদ
৩৫| ২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
শেষ দিকে এসে দারুন ছিল।
শেষ হয়ে যাওয়াটাই বিরক্তিকর।
আপনার লেখার ধরন, শব্দচয়ন সৌন্দর্য বরাবরই সুন্দর।
শুভকামনা আপু।
৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তোমার জন্যও শুভকামনা দূর্জয়।ভালো থেকো
৩৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৯
আরমিন বলেছেন: চমৎকার লাগলো অপর্ণা আপু!
আচ্ছা নিমখুন মানে কি?
+ +
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আরমিন।
নিমখুন মানে - অর্ধ খুন বা প্রায় খুন !
৩৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
রোজেল০০৭ বলেছেন: রুপক গল্পের পরিপূর্ণ ব্যঞ্জনা সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন বিষাদের সব কারুকার্যে।
আমাকে বেশ টেনেছে,এই কারুকার্য।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বাহ ! খুব সুন্দর করে বললেন !
শুভকামনা রোজেল
৩৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
বোকামন বলেছেন:
অবরুদ্ধ দৃশ্য-কল্পের দ্বার উন্মোচনকারী সাদাসিধা ছন্দ !
বহিরংশ রঙিন ....
সময়ের উল্টোপথের সম্ভাবনা !
ছায়া মাড়ানো নীলের অস্তিত্ব .....নিমখুন হওয়া সন্ধ্যা-পাখি!!
সম্মানিত লেখক,
এত যত্ন করে লিখেন.... ভালো যে লাগাতেই হয় :-)
ভালোলাগা পেলাম... কৃতজ্ঞতা জানালাম .....।
ভালো থাকুন সতত এবং স্বাচ্ছন্দ্যে লিখুন :-)
শুভকামনা।।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া । ভালো থাকুন সব সময়।
শুভকামনা রইলো।
৩৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
আশিক মাসুম বলেছেন: মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো হয়েছে, সুন্দর হয়েছে বলা ছাড়া আর কি বলতে পারি ! নিমখুন হওয়া সন্ধ্যাপাখির জন্য বিষাদে ভরে গেছে মন ।
মুক্তগদ্যে ভালোলাগা+
সহমত।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হাহহাহাহ মাসুম ভাই ! কপি পেস্ট করলেন !!!
ধন্যবাদ প্লাসের জন্য।
৪০| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৮
আশিক মাসুম বলেছেন: মেন্ট লিখতে আলসেমি লাগে কি করুম, তা ছাড়া আপ্নারা অনেক ভাল লিখেন তাই মন্তব্য করতে কেমন অসস্থি লাগে
কোন রকমে কপিপেস্ট করে ভাগ্লাম আর কি
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আস্তে ধীরে লিখে ফেলবেন কমেন্ট ! কপি পেস্ট ফাঁকিবাজির লক্ষণ আর কি ! ( ইমোর সাইন তো পাই না ) আপনার নতুন নতুন গল্প , কবিতা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
৪১| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অজ্ঞতাবশতঃ প্রশ্ন করছি, 'পিছু পিছু ধীর লয়ে ভিনদেশীও হ্যামিলিনের মতো একটা বাঁশী হাতে হাঁটতো।' - এখানে কি হ্যামিলিনের জায়গায় 'হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালা' হবে, নাকি হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালার নাম 'হ্যামিলিন' ছিল? আমি একটু দ্বিধাগ্রস্থ।
মুক্তগদ্য সাবলীল লেগেছে। কমেন্টের আলোচনা ভীষণ উপভোগ করলাম।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ওই জায়গাটার নাম হ্যামিলন ছিল এবং বাশীওয়ালার একটা নামও ছিল। কিন্তু জায়গার নাম অনুসারে তাকেও পরবর্তীতে সে শহরের লোকজন বাচ্চার দল নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যাবার পর শহরের নাম অনুযায়ী 'হ্যামিলন' বলে ডাকতো ! এমনটাই আমার জানা মতে ।( শুনেছি এ গল্প কয়েকজনের মুখে , ছোট বেলার গল্পটা পড়ার বাইরে )
ধন্যবাদ শঙ্কু ।
৪২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: খুব সুন্দর!
১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৪৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: শব্দচয়ন খুনির ছোরার মতো ধারালো , সন্ধ্যাপাখির যে ডানা ঝরে যাবে তাতে আর আশ্চর্য কি!
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনি খুঁজে খুঁজে আমার পুরনো লেখা পড়ছেন, আমি সত্যিই মুগ্ধ।
ধন্যবাদ আদনান ।
সুপ্রভাত
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮
তীর্যক নীল বলেছেন: ভিন দেশী বাবু হতে পারিনি তাই
মন পাথরে খোদাই করি প্রেমপত্র-
ঘুম থেকে তুলে জাহাজের পথ ধরে ধরে সমুদ্রমথনে নিয়ে যাবো তোকে। মধুময় এমন রাত্তির, মধুঘেরা মুহূর্তখানি এমনি দারুণ, এত বড়ো কিছু, শুধুই এরই তরে বাকি সবখানি, বিপ্লব, ঘরেফেরা, আর্তের চাকার কামনা সব মুছে যায় কেবল গলার কাছে পিরিত কাঁটাটি বিঁধে থাকে। প্রতি দুঃস্বপ্নেই ভাবি যদি তুই ফেলে চলে যাস, সে কাঁটা ফিরিয়ে দিতে আমি, অনাগত এক সন্ধ্যায় এই সমুদ্রেরই কাছে নতজানু হবো।