নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্নহীন

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

নিজের কাজের মাঝে গভীর মনোসংযোগের কারণে প্রথমে বুঝতে পারিনি আমাকে উদ্দেশ্য করেই কেউ কিছু বলছে। হঠাৎ করে এই বোধটা এলো কেউ বুঝি আমাকে কিছু বলছে, বলেই যাচ্ছে অনেকক্ষণ ধরে। পাশের চেয়ারের দিকে তাকিয়ে দেখি কখন যে নিয়াজ ভাই উঠে গেছে টেরই পাইনি। নিয়াজ ভাই , আমার সহকর্মী। খুব আড্ডাবাজ হলেও কাজের ব্যাপারে তেমনই দায়িত্বশীল ধরনের মানুষ। দুর্নীতিদমনের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে কুয়ালালামপুরে একটা ওয়ার্কশপের উদ্দেশ্যে বেশকিছু ডকুমেন্ট এবং অন্যান্য কাজ গুছিয়ে হাঁফ ছাড়ার মত সময়ও অফিসে পাইনি গত দুইদিনে। ছুটির সময় পার হবার পরেও নিয়াজ ভাই আর আমার দুজনেরই আসন্ন ওয়ার্কশপের কাজ গুছিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে ঘড়ির কাঁটা রাত ন'টা পেরিয়েছে। রাত পেরোতে না পেরোতেই শেষবারের মতো প্রস্তুতি নিয়ে অফিস থেকে সোজা এয়ারপোর্টে এসেছি সকালের নাস্তাটা বাসা থেকে কোনোরকমে সেরে। এয়ারপোর্টে সময় কাটাবার জন্য মানুষ দেখাটা আমার কাছে আকর্ষণীয় কিছু নয়।কিছুক্ষণ আগেও নিয়াজ ভাই এক দম্পতিকে দেখে সম্ভাব্য সব ব্যাপার-স্যাপার নিয়ে কথা বলছিলেন। উনার চোখে সবই অনেক আকর্ষণীয় মনে হয় এবং সব ব্যাপারেই তার প্রবল কৌতূহল। আমার নিরাসক্ততা তাকে অবশ্য দমাতে পারে না।



- বুঝলেন শামীম ভাই, জীবনের সব ক্ষেত্রেই কিছু না কিছু শেখার আছে !চোখ কান বন্ধ করে দিনরাত ল্যাপটপ পড়ে থাকলে তো জীবনের অনেক আনন্দই আপনার চোখ এড়িয়ে যাবে। হাহহাহা !



- মানুষ দেখার মাঝে আনন্দের কি আছে আমি তো খুঁজে পাই না । আপনি কি খুঁজে পান আপনিই জানেন, বলি আমি।



- আচ্ছা ,আপনি ল্যাপিতে মুখ গুঁজে থাকেন। ফ্লাইটের সময় হবার আগে আমি একটু চক্কর মেরে আসি আশেপাশে ।



এরপরেও উনি আমাকে সেধেছিলেন বোধ হয় উনার সাথে একটু হাঁটাহাঁটি করে বোরিং সময়টা পার করার জন্য। কিন্তু আমার কাছ থেকে উনি হু হা জাতীয় শব্দ ছাড়া আর কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে কোন ফাঁকে উনি উঠে গেছেন পাশ থেকে টের পাইনি। তবে হঠাৎ করে কেউ একনাগাড়ে কথা বলে যাচ্ছে এমন মনে হওয়াতে একবার দুইবার আশেপাশে তাকিয়েও আবার ল্যাপটপ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছি।



জি আপনাকেই বলছিলাম !



এবার পেছন থেকে কথা বলার শব্দ একটু জোরেই শুনতে পেলাম। ঘাড় ঘুরিয়ে শব্দের উৎস খুঁজতেই দেখি আমার পেছনের সীটের ভদ্রলোক হাসি হাসি মুখে আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন। তার পরিচিত ভঙ্গিতে তাকিয়ে থাকা হাসি মুখ আমি অবশ্য মনে করতে পারি না আগে উনাকে কোথাও দেখেছিলাম কিনা । তাই অস্বস্তি এড়াতেই জানতে চাই -



- আমাকে বলছেন কিছু ?



- আসলে বিমানবন্দরের ওয়েটিং লাউঞ্জে একা একা সময় কাটানো একঘেয়ে ব্যাপার কিনা তাই ভাবলাম আপনাকে একটু সঙ্গ দেই। বলতে বলতে গলাবন্ধ ধরণের স্যুট পরিহিত এই ভদ্রলোক উনার হাতের ছোট ব্যাগটা প্রায় বুকের কাছে চেপে ধরে আমার পাশের সীটটায় এসে বসেন, কিছু সময় আগে যেখানটায় নিয়াজ ভাই বসেছিলেন। একা একা সময় কাটাতে যে আমার একঘেয়ে লাগছে না সে কথা জানাবার আর সুযোগ পেলাম না আমি।





লোকটার আমার পাশের সীটে এসে বসার আয়েশি ভঙ্গি আর তেলতেলে ধরণের হাসি দেখে মনে হচ্ছে আমার সাথে তার গল্প বলার প্রস্তুতি নেহায়েত অল্প সময়ের জন্য নয় ; বরং দীর্ঘ। অনুমানে বুঝি লোকটির বয়স পঞ্চাশ অতিক্রম করে গেছে, প্রায় ষাট এর কাছাকাছি হবে বা কমও হতে পারে। কারো কারো পোশাক-আশাক, কথা , হাঁটা-চলার ভঙ্গি দেখে নিয়াজ ভাই কেমন করে যেন সে ব্যক্তির সম্পর্কে কাছাকাছি অনেক কিছুই অনুমান করতে পারেন। এমনকি কারো গ্রামের বাড়ি নিয়ে করা অনুমানও অনেক সময় তার নির্ভুল হয়। আমার এসবে তেমন আগ্রহ নেই। আর এ মুহূর্তে অচেনা কারো সাথে গল্প করার মুডও পাচ্ছিলাম না।





আমার পাশে বসা ভদ্রলোকটি যে সুস্থির ধরণের মানুষ না সেটা আমি ল্যাপটপ নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করলেও তার ছটফটে ভঙ্গিটা আমার চোখ এড়িয়ে যাচ্ছিলো না। এরই মাঝে উনি উনার নাম জানিয়েছেন আমাকে। নেয়ামত কবির , পেশা শিক্ষকতা। ভদ্রতা করে আমাকেও নিজের নাম বলতে হয়েছে। তবে আমার পেশা সম্পর্কে জানাবার আগেই উনি বললেন –



- শিক্ষকতা একটা বোরিং পেশা আপনার এই মতের সাথে সহমত জানাতে পারছি না আমি , শামীম সাহেব।



বলা যায় উনার কথা শুনে আমি রীতিমত অবাকই হই। সদ্য পরিচিত এই লোকটির সাথে আমার তো তেমন কথাবার্তাই হয়নি , এমন অদ্ভুত তথ্য কোথায় পেলেন উনি কে জানে ! আমার বিস্ময়াভিভূত দৃষ্টি দেখে উনি আমার কৌতূহলের অবসান করেন এই বলে –



- ঐ যে কিছুক্ষণ আগে কম্পিউটারে আপনার বন্ধুকে বলছিলেন না আপনি যে শিক্ষকতা একটা বোরিং পেশা ? তার সূত্র ধরেই তো বললাম আমি কথাটা। এরই মাঝে ভুলে গেলেন। আপনার বন্ধুর নামটা দেখে ঠিক বুঝলাম না উনি নারী না পুরুষ । শাওন নামটা আসলে বিভ্রান্তিমূলক।



লোকটার কথা শুনে আমি শুধু অবাকই হলাম না , বিরক্তিতেও আমার মনটা ভরে গেলো নিমিষেই। নিয়াজ ভাই পাশ থেকে উঠে যাবার পর ফেসবুকে লগিন করেছিলাম ফ্রেন্ডদের সাথে হাই হ্যালো করতে আর এতক্ষণ আমার চ্যাটিং হিস্ট্রি উনি পেছনে বসে বসে ফলো করেছেন ! মানুষের তো ন্যূনতম একটা ভদ্রতা জ্ঞান থাকা উচিত যে অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে অনুমতি ছাড়া নিজ থেকে জড়ানো ঠিক না। আশ্চর্য ধরণের মানুষ।



- তা আপনিও বুঝি শিক্ষক ? ভালোই হলো এখানে এসে ওয়েটিং লাউঞ্জে একই পেশার কাউকে পেয়ে যাবো ভাবিনি। আল্লাহর অশেষ শুকরিয়া ! বলে নেয়ামত সাহেব প্রশান্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে পা দু’টো ভাঁজ করে চেয়ারে বসার চেষ্টা করেন। মনে হচ্ছে প্যান্টের কারণে বসতে পারছেন না ঠিকমতো।



আসলে লুঙ্গির মতো আরামদায়ক আর কিছুই হতে পারে না – কি বলেন ? বলে আমার মতামত জানতে প্রশ্ন করেন নেয়ামত সাহেব। তবে আমি আমি উত্তর না দিলেও উনার কথা চালাতে সমস্যা হবে না এতক্ষণে বুঝে গিয়েছি তার যেচে এসে কথা বলার অভ্যাস দেখে।



এই ভদ্রলোকের গন্তব্য স্থল কোথায় কে জানে । জিজ্ঞেস করাটাও বিপদজনক। আবার কোন গল্প ফেঁদে বসবে ঠিক নেই। আর কপাল খারাপ হলে দেখা যাবে হয়তো একই ফ্লাইটে উনি আমাদের যাত্রাসঙ্গী হয়েছেন।



- তো শামীম সাহেব, বললেন না তো আপনি কোথায় পড়াতেন ? মানে কোথায় আছেন , স্কুলে না কলেজে ?



শিক্ষকতা পেশা যে শুধু স্কুল ,কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়য়ে পড়ানোর মাঝেই সীমাবদ্ধ এই ধারণাটা কী করে যে বেশীরভাগ মানুষের মাথায় গেঁথে গেছে তা এক রহস্যই বটে। রিসার্চ সংক্রান্ত কাজও যে এর আওতায় পড়তে পারে , শিক্ষা বিভাগের আরও রিলেটেড কাজও যে থাকতে পারে সেটা নিয়ে কেউ যেন ভাবেই না , এমনই মনে হচ্ছে অন্তত নেয়ামত সাহেবের কথা শুনে।



- আপনার এমনটা মনে হলো কেন নেয়ামত সাহেব যে আমি স্কুলে বা কলেজে শিক্ষকতা করতে পারি ? একান্তই কথা না বললে অভদ্রতা দেখায় বলে আমি উনার কাছে জানতে চাই।



- যাক , আপনি তাহলে কথাও বলতে পারেন ! আমি এদিকে ভাবছিলাম শিক্ষক মানুষ অমন গোমড়া মুখো হলে কি চলে ? ছাত্রছাত্রীদের সাথে হাসি – খুশী ব্যবহার না করলে , আন্তরিক না হলে শিক্ষকদের সাথে তাদের সম্পর্ক ভালো হবে কি করে বলুন! ঐ যে কাকে যেন বললেন না শিক্ষকতা নাকি বোরিং পেশা , সেজন্যই তো জানতে চাইলাম।



আমার ব্যক্তিগত ব্যাপারে উনার অযাচিত হস্তক্ষেপ নিয়ে উনাকে দু’চার কথা শুনিয়ে দিবো কিনা এমন প্রস্তুতি নিতে নিতেই উনি জানালেন –



- আমাকে সবাই স্কুলে কবির স্যার নামেই ডাকে, বুঝলেন ? আপনিও এ নামেই ডাকতে পারেন আমাকে।



আমি উনার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলাম শুধু। বড়জোর আমি উনার নামের দ্বিতীয় অংশ ‘ কবির ’ এই নামটিকে ভদ্রস্থ রূপ দিতে কবির সাহেব বলে ডাকতে পারি , তাই বলে আমাকেও উনার ছাত্র স্থানীয় ভেবে ‘ কবির স্যার’ বলতে বলাটা রীতিমত জুলুম মনে হতে থাকলো আমার।



- চৌগাছাতে গেলে শুনবেন কবির স্যারের কত নাম ডাক। এক নামে চেনে সবাই আমাকে।

- তাই ? বেশ ভালো তো ! বলি আমি। উনার সাথে এই আলাপচারিতা ভালো লাগছিলো না বলেই মোবাইলটা হাতে নিয়ে অযথাই সদ্য লোড করা কিছু সফটওয়্যার নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে থাকি এটা বোঝাতে যে আমি এখন ব্যস্ত! নিয়াজ ভাইকে ফোন করে ডেকে আনবো কিনা ভাবি একবার। তাতে অন্তত চৌগাছার শিক্ষক নেয়ামত কবিরের গল্প শোনার বিড়ম্বনা পোহাতে হবে না আমাকে।



গত ক’দিনে অফিসের কাজে এতো বেশি সময় আর শ্রম দিতে হয়েছে যে বাড়ি ফিরে মারিয়ার সাথেও কথা বলার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ কোনটাই হয়নি শুধু চোখের দেখাটা ছাড়া। খেয়ে-দেয়ে টিভি দেখতে দেখতেই কখন ঘুমে তলিয়ে যেতাম বুঝতেই পারতাম না। শোবার ঘরে এ কারণেই মারিয়া টিভি রাখা পছন্দ করে না। আমাকে ক’দিন ধরেই ওয়ার্নিং দিচ্ছিলো টিভিটা বাড়ির বাইরে নিয়ে ফেলে দিয়ে আসবে। টিভিটা শোবার রুমে না থাকলে সারাদিনের সংসারের খুঁটিনাটি ব্যাপারগুলো অন্তত আমার সাথে আলোচনা করতে পারতো এমনটাই মনে করে মারিয়া। এই তো আজকে যখন তাড়াহুড়া করে নাস্তার টেবিলে খাচ্ছিলাম ও তো বলেই বসলো –



- এতো কাজ কাজ করলে কবে না জানি নিজের বৌয়ের চেহারাটাই ভুলে যাও !

নিয়াজ ভাইকে ফোন করে ডেকে আনার চেয়ে মারিয়াকে ফোন দিলেই বরং ভালো। ইহকালে সংসারটা টিকিয়ে রাখাটাই মনে হয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে আমার জন্য। ঘরে শান্তি তো সব জায়গায় শান্তি!



- কি বিশ্বাস করলেন না তো ? শুধু চৌগাছা না , সমগ্র বাংলাদেশে আমি স্কুল পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষকও নির্বাচিত হয়েছি গত বছর। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের সনদ আর ক্রেস্ট পাওয়াটাও বলতে পারেন বিরাট সৌভাগ্যের ব্যাপার। সেই সনদ লেমিনেটিং করে আলমিরাতে রেখে দিয়েছি। বলা তো যায় না যেখানে সেখানে রাখলে যদি অরিজিনাল কপি হারিয়ে যায়! দাঁড়ান আপনাকে ফটোকপিটা দেখাই, বলে উনার বুকের কাছাকাছি ধরে রাখা ব্যাগ থেকে মহামূল্যবান সনদটা বের করতে উদ্যত হলে উনাকে আশ্বস্ত করি যে উনার সব কথাই আমি বিশ্বাস করেছি। পরবর্তী কয়েক মিনিট উনার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হবার ঘটনা এবং চৌগাছা থেকে বাস, ফেরি পার হয়ে ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ ইত্যাদি যাবতীয় সব খুঁটিনাটি শুনতে গিয়ে আমার আর মারিয়াকে ফোন করা হয়ে ওঠে না। উনি চাইলে একা একাই ঢাকায় আসতে পারতন কিন্তু করিমুল্লাহর পীড়াপীড়িতে এতো দীর্ঘ ভ্রমণে তাকেও সঙ্গী করতে হয়েছিলো পথে নিরাপত্তার কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত এ কথা জানাতেও উনি ভোলেন না।



উনি এমনভাবে করিমুল্লাহর কথা বললেন যেন নাম শুনেই আমি বুঝে নেবো করিমুল্লাহর সাথে উনার কি সম্পর্ক। আর করিমুল্লাহর সাথে উনার সম্পর্কের রহস্যভেদ করতেও আমি তেমন ইচ্ছুক ছিলাম না কারণ এরই মাঝে খেয়াল করেছি উনার গৌরবময় শিক্ষক জীবনের ইতিহাসে মূল কথার চেয়ে শাখা- উপশাখার বিস্তার আরও বেশি।



- আমি আমার শিক্ষক জীবনে সবচেয়ে বেশি ক্লাস নিয়েছি বাংলা আর ইংরেজি ২য় পত্রের। কেন জানেন শামীম সাহেব ?



নেয়ামত সাহেব শুধুমাত্র কথা বলার খাতিরেই প্রশ্নের অবতারণা করেন, উত্তর শোনার আশায় নয়। যেহেতু না চাইলেও উনার কথা শুনতেই হবে তাই হু হা জাতীয় শব্দে মাথা নাড়িয়েই আমার কথা আমার সীমাবদ্ধ রাখি।উনি বলতে থাকেন



- রচনা, প্যারাগ্রাফে পরীক্ষার সময় ছাত্র-ছাত্রীরা ‘এইম ইন লাইফ’ নিয়ে যখন লেখে আমার পড়তে ভীষণ ভালো লাগে , বুঝলেন। ঐ প্রশ্ন গুলো আমি নিজেই করি আর খাতাও খুঁটে খুঁটে দেখি। কিন্তু জানেন খুব কম ছাত্র-ছাত্রীই লেখে তারা জীবনে শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় নিজেদের জড়াতে চায়। আফসোস ! জীবনে পড়াশুনার কোনো বিকল্প নেই এই সহজ আর মূল্যবান সত্যটা কবে যে এরা বুঝবে! উনার ব্যথিত মুখ দেখে মনে হয় এই বুঝি উনি এখনই কান্না করে দেবেন।





তা আপনার এইম ইন লাইফ কি ছিল শামীম সাহেব ? আপনিও নিশ্চয়ই শিক্ষক হতেই চেয়েছিলেন? বেশ ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জীবনে। উনার কথার ভঙ্গিতে মনে হয় এখনি বুঝি এসে প্রশংসায় আমার পিঠ চাপড়ে দেবেন এমন একটা পেশায় নিজেকে জড়িয়েছি বলে।





নেয়ামত সাহেবের মাথায় কেন যে ঢুকেছে আমিও তার মতোই একজন শিক্ষক কে জানে! সময় কাটাবার জন্যই একটু অনলাইনে এসেছিলাম ফেসবুকে কাউকে পেলে গল্প-গুজব করবো। শাওনের সাথে কথার এক প্রসঙ্গে টিচিং প্রফেশন নিয়ে কথা উঠেছিলো এই নেয়ামত সাহেবের পাল্লায় পড়ে ফেসবুকে চ্যাটিং বন্ধ করতে হয়েছে বন্ধুর কাছে বিদায় না নিয়েই। বন্ধুটা আমার কি ভাববে কে জানে।





আমার এইম ইন লাইফ নিয়ে নেয়ামত সাহেবকে কিছু জানাতে ইচ্ছে করছে না। আসলে বলার কিছু নাইও। পড়াশুনার প্রতিযোগিতায় দৌড়াতে গিয়ে ভালো কোনো সাবজেক্টে , ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি আর রেজাল্টের চিন্তায়ই তো সময় পার হয়ে গেলো। ভাববার সময় পেলাম কোথায় কি হতে চেয়েছিলাম কিংবা যা হতে পেরেছি সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা !





- আপনার কি শুরু থেকেই এই পরিকল্পনা ছিলো যে আপনি শিক্ষকই হবেন? এর বাইরে কি আর কিছু ভাবতেই পারেন নি ? আমি নেয়ামত সাহেবকে অনেকটা শ্লেষ নিয়েই জিজ্ঞেস করি।





আমার প্রশ্ন শুনে নাকি বলার ভঙ্গিতে উনার দু’চোখের নদীতে আষাঢ়কালের উন্মত্ত প্লাবনের আনাগোনা দেখা যায়। এ কথা বলে উনাকে কোন স্মৃতি মনে করিয়ে দিলাম কে জানে। হয়তো এখনই আরেকটা গল্প ফাঁদার সুযোগ পাবে , নিজের অভাবী পরিবারে কীভাবে সংগ্রাম করে আজকের এই অবস্থানে এসেছেন ইত্যাদি নানান কথা ! উফ নিজের বোকামিতে নিজের উপরেই কেমন রাগ লাগছে। এই নিয়াজ ভাইটা যে কি না, সেই কখন এখান থেকে গিয়েছে এয়ারপোর্টের ভেতরটা চক্কর মেরে দেখার জন্য এখন পর্যন্ত আসার নামই নেই। আমাদের ফ্লাইটের সময়ও প্রায় ঘনিয়ে এলো। এবার তাকে ফোন দেয়া দরকার। আমি অনেকটা অসহিষ্ণু হয়েই বসা থেকে উঠে দাঁড়াই, নিয়াজ ভাইকে ফোন করার উদ্দেশ্যে না যতটা তারচেয়েও বেশি সম্ভবত নেয়ামত সাহেবের প্রশ্নের উত্তর এড়াতেই আমি কেমন বিরক্ত হয়ে উঠি ভেতরে ভেতরে যার প্রকাশ আচরণেও ছাপ ফেলে।





তার এতো কথা শোনার আর আমার এইম ইন লাইফ জানাবার মতো এতো সময় কই আমার! কুয়ালালামপুরে দুর্নীতিদমনের উপরে আসন্ন মিটিং নিয়ে জার্মান কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণ রক্ষার্থে এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে বক্তৃতা দেয়া আমার জন্য কম পরিশ্রমের কাজ নাকি! বাংলাদেশ কোনো একদিন স্বর্গরাজ্য হয়ে যাবে হঠাৎ করেই তাও দুদকের হস্তক্ষেপে এমনটা ব্যক্তিগতভাবে আশা না করলেও নিদেনপক্ষে চকচকে কিছু সম্ভাবনাময় কারণ নিয়ে তৈরি করা এসাইনমেন্টে আরও কোনো ফাঁকফোকর রয়ে গেলো কিনা এসব শেষবারের মতো দেখে নেয়া, প্রেজেন্টেনশটা স্মার্টলি হ্যান্ডেল করতে পারবো কিনা ইত্যাদি আরও জরুরি কাজের ভিড়ে আমার উদ্দেশ্যে করা নেয়ামত সাহেবের প্রশ্নটা একরকম চাপাই পড়ে যায়।



ধ্যাত এখন পর্যন্ত মারিয়াকেই ফোন করা হলো না। মিটিং শেষে ফেরার পথে আমাকে ওর জন্য কিছু আনতে বলেছিলো কিনা এ মুহূর্তে মনে করতে পারি না। ল্যাপটপ বন্ধ করে ব্যাগে ভরতে ভরতে দেখি সদা হাস্যময় নিয়াজ ভাই আমার দিকেই এগিয়ে আসছেন।



নিয়মের খাতিরে বা সময়ের প্রয়োজনে আমাকে ওয়েটিং লাউঞ্জ ছেড়ে পা বাড়াতে হয় নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে। প্লেনের আরামদায়ক সীটে গা এলিয়ে দেবার পর কেমন এক গ্লানিতে ভেতরটা ছেয়ে যাচ্ছিলো। সে কি নেয়ামত সাহেবকে সারাটা সময় উপেক্ষা করার কারণে নাকি অন্য আরও কোনো কারণ সেখানে মিশেছিলো নিজের কাছেই নিশ্চিত হতে পারি না। প্লেনের জানালায় চোখ রেখে আমি বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকি। এ শুধুই বাইরে তাকিয়ে থাকা, নির্দিষ্ট কিছু দেখা নয়। বাইরের নীল আকাশ আর সাদা মেঘের আড়ালে বাংলাদেশটা আস্তে আস্তে অস্পষ্ট হতে থাকে মাটি থেকে কয়েক হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থান করার কারণে।



আমার ভেতরে একটা অনুরণন হচ্ছে আমি টের পাই। নিজেকে নিজেই শুনিয়ে বলতে থাকি – আমার এইম ইন লাইফ আসলে কি ছিলো ? উত্তরটা দিতে কেমন মুখ থুবড়ে পড়ে থাকি আমি বিবিধ চাহিদা আর সম্পর্কের ভেতর। আমি আসলে জীবনে কিছুই হতে চাইনি নেয়ামত কবির সাহেব। এই যে কবির স্যার, শুনছেন ? জোরে জোরে একই কথার পুনরাবৃত্তি হতে থাকে আমার কাছ থেকে নেয়ামত কবিরের উদ্দেশ্যে।



( সমাপ্ত )







মন্তব্য ১০৩ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (১০৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

নির্লিপ্ত বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ নির্লিপ্ত

২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন! কবির স্যারের চরিত্রটা খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন! আর দিনশেষে নিজের আত্মউপলব্ধি আমি কি হতে চেয়েছি তার দৃশ্যায়নও চমৎকার। এই গল্পে আমার কাছে মনে হয়েছে আপনি তুলনামূলক ভাবে দীর্ঘ বাক্য ব্যবহার করেছেন। যেমন,

বাংলাদেশ কোনো একদিন স্বর্গরাজ্য হয়ে যাবে হঠাৎ করেই তাও দুদকের হস্তক্ষেপে এমনটা ব্যক্তিগতভাবে আশা না করলেও নিদেনপক্ষে চকচকে কিছু সম্ভাবনাময় কারণ নিয়ে তৈরি করা এসাইনমেন্টে আরও কোনো ফাঁকফোকর রয়ে গেলো কিনা এসব শেষবারের মতো দেখে নেয়া, প্রেজেন্টেনশ টা স্মার্টলি হ্যান্ডেল করতে পারবো কিনা ইত্যাদি আরও জরুরি কাজের ভিড়ে আমার উদ্দেশ্যে করা নেয়ামত সাহেবের প্রশ্নটা একরকম চাপাই পড়ে যায়।

এই দীর্ঘ বাক্য ব্যবহার করেও গল্পে প্রাঞ্জলতা ধরে রেখেছেন, সেটা ভালো লাগছে। ৩য় ভালো লাগা।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম লাইনটা দীর্ঘ হয়েছে এটা ঠিক , লেখার সময় আমিও ভাবছিলাম।

লাস্ট সম্পূর্ণ কোন গল্প লিখেছিলাম জানুয়ারিতে। এরপর যে কয়টা লিখেছি ৫/৬ টা , সব অসম্পূর্ণ। আলসেমি ভর করাতে আর কিছুই লেখা হয়নি। এই গল্পটা খুব অল্প সময়ে লিখেছি। হয়ত আরও কারেকশন লাগবে। কেন যেন ধৈর্য সব চলে যাচ্ছে লেখা এবং পড়ার ।

তোমার এইম ইন লাইফ কি ছিল ?

৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আচ্ছা এই গল্পটি যদি এভাবে না লিখে অন্যভাবে লেখা হত ভাবছি তাহলে কেমন হত ?

একটি স্কুলের শিক্ষকদের কমন রুমে বসে আছে কয়েকজন শিক্ষক। তাদের মাঝে ঠিক এভাবেই আলাপচারিতার শেষে লেখক কাঠের শক্ত চেয়ারে গা এলিয়ে দিয়ে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ভেতরের অনুরণন টের পেলো।

মনে হয় গল্পের আবেদন আরও বেগ পেতো।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: একই থীম নিয়ে আপনি অনেক ভাবেই গল্প লিখতে পারেন। লেখার ধরণে সেটা ভিন্ন মাত্রা পেতে পারে নিঃসন্দেহে। এক কাজ করেন কাণ্ডারী ভাই এই থীমের উপরে আপনি এই গল্পটা লেখেন যেভাবে আমাকে বলছেন। আমি আগ্রহী পড়তে ,আপনি কীভাবে ফুটিয়ে তোলেন।

এই গল্পের পিছনে একজনের ভূমিকা আছে। আমার প্রিয় একজন ব্লগার এবং ব্যক্তিত্ব , উনার সাথে কথা হচ্ছিলো ফেসবুকে। হঠাৎ করেই বললেন - প্লেনের সময় হয়ে যাচ্ছে, আজ তাহলে উঠি। আর আপনাকে একটা শিরোনাম দিয়ে যাই ," একটি ল্যাপটপ, আমি এবং ওপাশে একজন ( সম্ভবত এরকম কাছাকাছিই কিছু বলেছিলেন উনি ) " এই শিরনামের উপরে একটি গল্প লিখেন। বাংলাদেশে ফিরে এসে পড়বো।

অনেকদিন কিছু লিখে পুরো শেষ করতে পারছিলাম না। এটা হঠাৎ করেই শেষ করতে পারলাম , যদিও উনি তাগাদা দিচ্ছিলেন লেখা শেষ হচ্ছে না কেন ! উনার কাছে কৃতজ্ঞতা।

৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আমি সম্ভবত কাভা আর কান্ডারী ভাইয়ের মত অনুরনন টা ফিল করতে পারছিনা! গল্পের মূল চরিত্রের মতই বিরক্ত হচ্ছিলাম, সম্ভবত আমিও তার মতই! তাই গল্পের শেষে মনে হচ্ছে আমার এইম ইন লাইফ কি? আমি কখনো ভাবিনি, আব্বুর হাতে স্কুল আর কলেজের শেষের দিকে অনেক বকা খেতে হয়েছে এই জন্য!

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেকেই জানে না তার এইম ইন লাইফ কি , কিংবা সময়ের স্রোতে, দৌড়ের প্রতিযোগিতায় এইমটাই খাবি খেতে থাকে ! আমার এইম ইন লাইফ সুনির্দিষ্ট কিছু ছিল না , এখন এইটা নিয়া যন্ত্রণা হয় বিশেষ করে প্রতিষ্ঠিত , সফল কোন মানুষ দেখলে !

টিচিং লাইনে তো যাওয়ার ইচ্ছাই ছিল না কখনো। তবুও এর অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে না চাইতেও !!

৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

ভিয়েনাস বলেছেন: নেয়ামত স্যার যে একজন প্রানখোলা মানুষ তা বুঝা যাচ্ছে...

আমাদের জীবনের লক্ষ্য স্থির করি একটা হয়ে যায় আরেকটা... সুতরাং জীবন যেমন চলে চলুক ........

গল্পে ভালো লাগা রইলো দি :)

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভিয়েনাস।
ভালো থাকুন।

৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

মামুন রশিদ বলেছেন: আসলে ঠিক স্বপ্নহীন বা এইম ইন লাইফ বিহীন বলাটা মনে হয় পুরোপুরি সঠিক না । স্বপ্ন সবারই থাকে, স্বপ্ন আমাদেরও ছিল । কিন্তু আমাদের রাষ্ট্রীয়-সামাজিক-শিক্ষার পরিবেশ সেই স্বপ্নকে অন্কুরিত হতে দেয় নি । আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদেরকে স্বপ্ন দেখতে দেয় না, স্বপ্নের দিকে ধাবিত হতে দেয় না ।

কবির সাহেবের কথাবার্তার একঘেয়েমিতেই কিনা জানি না, গল্পটা একটু ঝুলে গিয়েছে । তবে দারুণ একটা ফিনিশিং দিয়ে সেটা পুরোটাই পুষিয়ে দিয়েছেন । গল্পের শেষটায় এসে শামীম সাহেবের মত পাঠকেরও ভাবনা আসে,

আমার এইম ইন লাইফ আসলে কি ছিলো ? উত্তরটা দিতে কেমন মুখ থুবড়ে পড়ে থাকি আমি বিবিধ চাহিদা আর সম্পর্কের ভেতর। আমি আসলে জীবনে কিছুই হতে চাইনি নেয়ামত কবির সাহেব। এই যে কবির স্যার, শুনছেন ?

মুগ্ধ না হলেও ভাল লেগেছে বেশ । বারবার মুগ্ধ হতে চাই, প্রিয় অপর্ণা'র কাছে মুগ্ধ করা গল্পই পেয়ে এসেছি এতদিন ।

+++

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার আন্তরিক মন্তব্যে আপনাকেও অনেকগুলো কাল্পনিক প্লাস দিলাম।
অনেকদিন লেখালেখির প্র্যাকটিস নাই মামুন ভাই , তাই হয়ত গল্প পাঠে আপনার ক্লান্তি আসছে।

তবুও যে একটু একটু ভালো লাগছে গল্প জেনে ভালো লাগলো।

আপনার এইম ইন লাইফ কি মামুন ভাই ?

৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯

বাংলার হাসান বলেছেন: ভালো লাগল।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ বাংলার হাসান।

৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

আরজু পনি বলেছেন:

চরিত্রের অনুভুতিতেই বিরক্ত হতে হতে শেষে এসেতো বিষাদ লাগলো !
চরিত্রগুলোর চিত্রায়ণই অনুভুতিকে জানিয়ে দিয়েছে ।

আর শিক্ষকতা পেশা নিয়েও জনসাধারণের সীমাবদ্ধ ধারণার ব্যাপারটা বলাতে ভালো লেগেছে ।

শুভকামনা রইল অর্পণা ।।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লিখতে লিখতে অনেক সময় এমন হয় চরিত্রের অনুভূতি পাঠকের মাঝেও কাজ করে, লেখকের মাঝেও।
একজন শিক্ষক একজন শিক্ষার্থীর মাঝে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে পারে কখনো কখনো।

শুভকামনা পনির জন্যও।

৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কিছু স্বপ্নহীন মানুষের হাতে আমরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিঃসংকোচে ছেড়ে দিয়েছি, কিংবা বলা যায়, আমরাই স্বপ্নহীন হয়ে পড়েছি।

একদিন হয়তো হঠাৎ মাথার ভেতরে এরকম প্রশ্ন জন্ম নেয়। তখন প্রকাশিত হয়, একটা গোলক ধাঁধাঁয় দৌড়ে আমরা বাকির খাতা ভরে ফেলেছি, লাভের খাতায় ফাঁকি।

গল্প ভালো লেগেছে, মূল কথাটা ধরতে পেরেছি।

আর আমি সিনবাদের মত নাবিক হতে চেয়েছিলাম:), হতে পারিনি তা বলাই বাহুল্য।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পড়াশুনা কোন ট্র্যাকে আগানো দরকার, কিছু পরামর্শ, ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্ন বুনে দেবার যে কেউ একজন থাকা লাগে , সত্যি বলতে আমার তেমন কেউ ছিল না।

ছোট বেলায় মুখস্ত কথা বলতাম , ডাক্তার হবো ( অন্যের টা শুনে শুনে)। তারপর যখন দেখলাম সায়েন্স কঠিন লাগে, ম্যাথ বুঝি না , তখন অপেক্ষা করতাম এস এস সি শেষ হবে কবে। তারপর আর্টস এ ভর্তি হয়ে ভাবলাম বাংলা নিয়ে পড়াশুনা করবো। আর আব্বা বলতো - আমার মেয়ে জজ হবে। সুতরাং ল পড়তে হবে।কিন্তু এর কোনটাই হয়নি। ইংরেজি নিয়ে পড়তে পড়তে শুনতে হলে টিচিং এ ঢুকতে হবে, বি এড, এম এড করতে হবে। কোনটাই করা হয় নি । কখনো ভাবি ও নি জব করবো বা কি ধরণের জব করতে চাই কিছুই মাথায় কাজ করতো না। কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়াই এগিয়েছি যা আমার মতো আরও অনেকেই এগিয়েছিল বা এখনো আগাচ্ছে।

আসলে একটা দিক নির্দেশনা থাকা দরকার সবার ই তার জীবন নিয়ে যাতে হীনমন্যতায় ভুগতে না হয় !

১০| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৮

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: আমার ভেতরে একটা অনুরণন হচ্ছে আমি টের পাই। নিজেকে নিজেই শুনিয়ে বলতে থাকি – আমার এইম ইন লাইফ আসলে কি ছিলো ? উত্তরটা দিতে কেমন মুখ থুবড়ে পড়ে থাকি আমি বিবিধ চাহিদা আর সম্পর্কের ভেতর। আমি আসলে জীবনে কিছুই হতে চাইনি নেয়ামত কবির সাহেব। এই যে কবির স্যার, শুনছেন ? জোরে জোরে একই কথার পুনরাবৃত্তি হতে থাকে আমার কাছ থেকে নেয়ামত কবিরের উদ্দেশ্যে।


১০ম ভাল লাগা

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ বিথি

১১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক মানুষের মধ্যে চুপচাপ একা বসে মানুষ দেখার মধ্যে একটা আনন্দ আছে, আমার ভাল লাগে!!


লেখা ভাল লাগলো আপু....

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চুপচাপ বোসে মানুষ দেখার আনন্দ আমি আগে পেতাম না । তবে লেখালেখি বিশেষ করে গল্প লিখতে গেলে পাশের মানুষ টি কে বা চোখের সামনে যা কিছুই আছে কিনা খুঁটিয়ে দেখতে এখন না চাইলেও দেখতে হয়, আগ্রহ জাগাতে হয় নিজেই নিজেকে।

শুভকামনা রইলো আপু

১২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমার এইম ইন লাইফ ছিল আমার অনেকগুলো জীবন হবে, যা আমি এক জীবনে পাব। :)

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এক জীবনে অনেকগুলো জীবন ! আইডিয়া মন্দ না, মাথায় রাখলাম এটা।

১৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৯

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ভালো লেগেছে

ছিমছাম বিন্যাস

প্লাস

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ছিমছাম মন্তব্য !!
ধন্যবাদ সিফাত

১৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ওরে বাপরে আপনার থিম নিয়ে আমি গল্প লিখব তাহলেই কাজ হয়েছে :-&

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: খালুরে ডাকেন ক্যান এর মধ্যে !!! ব্যাপার না । আপনি এই থীমেই লেখেন যেমন বলেছিলেন আপনার করা প্রথম মন্তব্যে। খারাপ হবে না কিন্তু ! অপেক্ষাইলাম এই থীমের উপরে আপনার নয়া গল্পের !

১৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

অনাহূত বলেছেন: গল্পটা পড়ে শেষ করলাম। ভেবে পাচ্ছি না - আমার এইম ইন লাইফ কি ছিলো।
সুন্দর গল্প। ভালো লেগেছে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ অর্নব। এখন তো কর্মক্ষেত্রে জড়িয়েই গেছো তবুও ভেবে দেখো তো আসলে কী হতে চেয়েছিলে জীবনে !

১৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: গল্পে ভালোলাগা রইলো।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ইসহাক ভাই

১৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন:
অপর্ণা মম্ময়,

শেষ প্যারাতে আপনি একটানে ছাপিয়ে গেছেন লেখার ভেতরে থাকা গল্পের সকল পার্থিবতাকে । নিজের অজান্তেই পাঠককে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন এক ভুলে থাকা হাহাকারের সামনে । “ ..কি চেয়েছি আর কি যে পেলাম...” এই যে কথাগুলো তার অনুভবে ছিলোনা এ্যাদ্দিন তেমোন একটা কিছুর অনুরনন ঘটবে তাদের এখোন ।
চাল-ডাল-তেল-নুনের হিসেব কষে কষে যে সব মানুষের জীবন কাঁটে লেখার কথকের মতো তাদের তেমন করে ভাবার সুযোগ কই ? বিবিধ চাহিদা আর সম্পর্কের ভেতর এ প্রশ্নের যে ঢোকার অনুমতি নেই । কথক যাদের সফল বলেছেন তারাও কি কোনও দিন এমোন করে ভেবেছেন ? চেষ্টা করেছেন তেমোনটা হতে যা তারা হতে চান ? ওটা কেউ করেনা । ওটা হয়ে যায় ।

এই যেমোন আপনিও করেননি । স্বপ্নবাজ অভির মন্তব্যে তাই বলেছেন , “আমার এইম ইন লাইফ সুনির্দিষ্ট কিছু ছিল না , এখন এইটা নিয়া যন্ত্রণা হয় বিশেষ করে প্রতিষ্ঠিত , সফল কোন মানুষ দেখলে !
কারোই থাকেনা ।

আর কান্ডারী অথর্বের প্রথম মন্তব্যের প্রস্তাবটি মনে হয় গতানুগতিকতার ছাপ মারা । আপনি একটি আদেখলা বিষয়ের ভেতর থেকে যে আঙ্গিকে কঠিন এক নির্যাস তুলে এনেছেন তা অনবদ্য ।

তাসনুভা সাখাওয়াত বিথি তাই সঠিক ভাবেই আপনারই অনুসরন করেছেন , আমার মতোনই ।
করেছেন আর করবেন হয়তো আরো অনেকেই ।

“এই যে কবির স্যার, শুনছেন ?”
এখানটিতে আপনি দারুন এক ফিলিংস তৈরী করে দিলেন বোধহয় সবার মনে !

বেলা দ্বিপ্রহরের শুভেচ্ছা ....

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দুঃখিত দেরী হলো উত্তর দিতে !

অদেখা বিষয় নিয়ে প্রায়ই তো আমরা লিখতে চেষ্টা করি, এটাও সেরকম একটা ! এইম ইন লাইফ নিয়ে প্রায়ই ভাবতে ভাবতে বাধ্য হই !

আপনার এইম ইন লাইফ কি ছিল ?

আপনাকে শুভেচ্ছা রইলো

১৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে। সার্বিকভাবেই সুন্দর তাই স্পেসেফিক্যালি কোন অংশের আলোচনায় যাবো না।

আর, এখানে, কোথায় যেন আমার আমি ছিল! কোথায় ঠিক বলতে পারছি না, তবে ছিল। তাই এর অনুভূতি অন্যরকম।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা রইল।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ দিকভ্রান্ত ! এই গল্পের সাথে আপনার ব্লগ নিকের একটা প্রচ্ছন্ন মিল আছে , খেয়াল করেছেন ?

আপনাকেও ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা

১৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্প বলার ধরণ অনেক সরল আপনার অন্যান্য গল্পের চেয়ে। পুরো গল্পে মন প্রায় কিছুই ঘটেনা। একঘেয়ে। শেষে পাঠক হয়তো একটা চমক আশা করছিলো। তাও ঘটলো না। কিন্তু যে একঘেয়ে পরিস্থিতি বিস্তার পাচ্ছিলো গল্প জুড়ে সেটাই আমাদের একটা জোরালো বিপন্ন অনুভূতি দেয় "কিছু না ঘটা" ফিনিশিংয়ে। বেশ ভালো লাগলো গল্পটা।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: একটা ব্যাপার খেয়াল করেছি আগে যেরকম করে লিখতাম , লাইন বিন্যাস করতাম লেখায় , এখন সে ব্যাপারটাই কষ্ট হয় করতে মানে পরিশ্রম লাগে সেভাবে লিখতে। এ গল্পটা অন্যান্য গল্পের চেয়ে বেশীই সরলভাবে লেখা এটা ঠিক।মাথা খাটিয়ে কাব্যরূপে লেখার চেষ্টা ছিল না এখানে।

ধন্যবাদ হাসান ভাই আপনাকে।

২০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

কয়েস সামী বলেছেন: ভালো লাগেনি!

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: স্বীকারোক্তিতে কৃতজ্ঞতা।
ধন্যবাদ আপনাকে।

২১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা গল্পটা খুব গতিশীল এবং নেয়ামত কবির সাহেবের চরিত্রটাও খুব ইন্টারেস্টিং ছিল বলে একটানে পড়ে ফেললাম।

আমার এইম ইন লাইফ আসলে কি ছিলো? উত্তরটা দিতে কেমন মুখ থুবড়ে পড়ে থাকি আমি বিবিধ চাহিদা আর সম্পর্কের ভেতর। আমি আসলে জীবনে কিছুই হতে চাইনি নেয়ামত কবির সাহেব। এই যে কবির স্যার, শুনছেন? জোরে জোরে একই কথার পুনরাবৃত্তি হতে থাকে আমার কাছ থেকে নেয়ামত কবিরের উদ্দেশ্যে।

শামীম সাহেবের ব্যাপারে যে ধারনা পাওয়া যায় তাতে তাকে হতাশ বা ব্যর্থ মনে হয় নি কোথাও। সে বিভিন্ন এ্যাসাইনমেন্টের জন্য মাল্টি ন্যাশনাল পার্টির সাথে বিদেশে যোগাযোগ করে, যে কাজটি সুশিক্ষিত এবং উচ্চ স্টেটাসধারী ব্যক্তিগণের পক্ষে সম্ভব। সে ব্যক্তি যখন বলেন, পড়াশুনার প্রতিযোগিতায় দৌড়াতে গিয়ে ভালো কোনো সাবজেক্টে, ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি আর রেজাল্টের চিন্তায়ই তো সময় পার হয়ে গেলো। ভাববার সময় পেলাম কোথায় কি হতে চেয়েছিলাম কিংবা যা হতে পেরেছি সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা! তার এই কথাগুলো কোন্‌ অর্থ বহন করে? জীবনে কোনো লক্ষ্য নির্বাচনের প্রয়োজন নেই? নিয়তিই সবকিছু ঠিকঠাক করে দেবে? এজন্য কি তাহলে 'স্বপ্নহীন' জীবনই ভালো? ভেবে দেখুন।

আমার উদ্দেশ্যে করা নেয়ামত সাহেবের প্রশ্নটা একরকম চাপাই পড়ে যায়। কিন্তু শেষ প্রশ্নটা নেয়ামত সাহেব না, শামীম সাহেবই করেছিলেন। - আপনার কি শুরু থেকেই এই পরিকল্পনা ছিলো যে আপনি শিক্ষকই হবেন? এর বাইরে কি আর কিছু ভাবতেই পারেন নি ? আমি নেয়ামত সাহেবকে অনেকটা শ্লেষ নিয়েই জিজ্ঞেস করি।


খুব আড্ডাবাজ ধরণের হলেও কাজের ব্যাপারে তেমনই দায়িত্বশীল ধরণের মানুষ।>খুব আড্ডাবাজ ধরণের হলেও কাজের ব্যাপারে তেমনই দায়িত্বশীল মানুষ। যে কোনো একটা 'ধরনের' বাদ দিলে কেমন হয়?

- এতো কাজ কাজ করলে কবে না জানি নিজের বৌয়ের চেহারাটাই ভুলে যাও !
নিয়াজ ভাইকে ফোন করে ডেকে আনার চেয়ে মারিয়াকে ফোন দিলেই বরং ভালো। ইহকালে সংসারটা টিকিয়ে রাখাটাই মনে হয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে আমার জন্য। ঘরে শান্তি তো সব জায়গায় শান্তি!
পড়তে পড়তে হাসছিলাম :)


যা না বললেও চলে:


মনঃসংযোগ> মনোসংযোগ হবে না?
ধরণের>ধরনের
চৌগাছা তে>চৌগাছাতে
আলাপচারীতা>আলাপচারিতা
প্রেজেন্টেনশ টা>প্রেজেন্টেশনটা

মিটিং শেষে ফেরার পথে আমাকে ওর জন্য কি কিছু আনতে বলেছিলো কিনা এ মুহূর্তে মনে করতে পারি না।>মিটিং শেষে ফেরার পথে আমাকে ওর জন্য কিছু আনতে বলেছিলো কিনা এ মুহূর্তে মনে করতে পারি না। ('কি' কেটে দিন)

নেয়ামত সাহেবের চরিত্রটা যেমন ভালো লাগলো, শামীম সাহেবেরটাও।

আমার পুরোনো পয়েন্টটা নতুন করে বলি। প্রথম পুরুষে গল্প লিখলে কথক ও লেখকের অভিন্ন লিঙ্গ না হলে পাঠকের জন্য তা যুগপৎ অস্বস্তিকর ও বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারে। আপনার বেশিরভাগ গল্পই এরকম হয় কেন?

আমার পড়তে ভালো লেগেছে।

শুভ কামনা আপু।


১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি মন্তব্যের জবাব দিতে দেরী হলো বলে। আলসেমিতে পেয়ে বসেছে ছুটি কাটিয়ে এটা একটা কারণ !

জীবন কোন পথে আগাবে সেটা নির্বাচনের প্রয়োজন জীবনে অবশ্যই আছে। কিন্তু আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে সবাইই কি পারি পৌঁছাতে ? উত্তর -- পারি না, নানাবিধ কারণে।

গল্পের কোথাও নিজের চাকুরী বা পজিশন নিয়ে শামীম সাহেব হতাশ সেটা প্রকাশ পায়নি। কিন্তু তার ভেতরে বসে থাকা সুপ্ত যে হাহাকার, অতৃপ্তি সেটাই প্রকাশ পেয়েছে যে সে জীবনে যা হতে চেয়েছিল কিংবা যা হয়েছে, বর্তমান কাজের ধরণে সে আসলেও সন্তুষ্ট কিনা কিংবা তার জীবনে কোন এইম ছিল না। জীবনে দৌড়াতে দৌড়াতে প্রতিযোগিতার ভিড়ে একটা সাইডে ঢুকে গেছে যা প্ল্যানড ছিল না !

মন্তব্যের জবাব সব শেষ করে কারেকশন গুলো করে নিচ্ছি।

নারী বা পুরুষ উভয়ের জন্য এটা মেনে চলা জরুরী -- সেটা হচ্ছে মাঝে মাঝে নিজের পছন্দের চেয়েও সঙ্গীর পছন্দ কে গুরুত্ব দেয়া না হলে , সংসারের শান্তি বজায় রাখা খুব কঠিন !!!

২২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
গল্প টা নিয়ে অনেক মতামত দেখা যাচ্ছে।
এটা ব্লগের জন্য ভালো।

তবে সহজ গল্প ভালো লেগেছে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: যে কোন লেখায় সঠিক আলোচনা , পর্যালোচনা চলতেই পারে। এটা কখনো কখনো উপভোগ্যও হতে পারে।

ধন্যবাদ দূর্জয়।

২৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:১৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: এ কারণেই কোনো কোনো গল্পের পোস্টে অনেককেই বলেছি যে, যিনি লেখক তিনি সব রকমের লেখাতেই হাত পাকানো উচিত। বেশি কাজের কাজি কোনো কাজের না কথাটি সংসার জীবনে বা অর্থোপার্জনের ক্ষেত্রেই খাটে হয়তো, কিন্তু লেখালেখির ক্ষেত্রে মনে করি এমন কথা অচল।

যে কোনো লেখকই একই প্যাটার্ন বা একই ধাঁচের লেখা লিখলে পাঠকের কাছে তেমন ভাবেই চিহ্নিত হয়ে পড়েন। যে কারণে তার স্বভাবসিদ্ধ লেখার বাইরের কোনো লেখা পরিচিত পাঠকেরা সহজ ভাবে নিতে পারেন না। তারা সেই লেখায় তাদের পরিচিত লেখকের লেখার ভাবনার বা শব্দ ব্যবহারের অভ্যস্ত দিকটার প্রত্যাশা করেন বলেই ঠিক নতুন ধাঁচের লেখাটির রসাস্বাদনে ব্যর্থ হতে পারেন। আপনার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি কাজ করছে মনে করি।

আপনার আগের লেখাগুলোর তুলনায় এ লেখাটিকে খুবই সাদামাটা বলা যেতে পারে। আর সাদামাটাভাবে একটি গল্পকে দাঁড় করানো খুব সহজ হয়না বলেই লেখকদের কেউ কেউ লেখার কোথাও কোথাও শব্দ বর্ণের আর চিত্রের চমক দেখানোর কাজটা করে থাকেন।

মন্তব্যগুলো পড়ে সোনা ভাইয়ের মন্তব্যে এসে আটকে গেছি। আমি পুরুষ লেখক বলে কি নারীর জবানীতে কোনো গল্প লিখতে পারবো না বা উচিত হবে না? গল্পের কথক আর লেখকের জেন্ডার একই হতে হবে এমন কোনো কথা আছে কি না আমার জানা নেই। পাঠকের কাছে তা বিরক্তিকর বা অস্বস্তিকর হলে তা লেখকের অক্ষমতা হিসেবেই দেখতে চাইবো আমি- বিপরীত লিঙ্গের বয়ানের কারণ হিসেবে নয়।

লেখকের গল্পের কথক যদি বিপরীত লিঙ্গের হয় আর তা যদি পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায় তাহলে মনে করি লেখকের ক্ষমতারই আরেকটি প্রকাশ।

যাই হোক অপর্ণা্র এ গল্প নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে চাই না। হয়তো আমিও তার কাব্যময় লেখা পড়ে নিজেই টাইপড হয়ে গেছি। যে কারণে নানা উপমা চিত্রকল্পে মিশ্রিত শব্দের বাহুল্য বর্জিত লেখাটিকে আমার চোখে সাদামাটা মনে হয়ে থাকতে পারে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জুলিয়ান দা , আমি টাইপড লেখক হইতে চাই না বলে চেষ্টা করি একটু ভ্যারিয়েশন আনতে। কতটা সফল আর ব্যর্থ সেটা আপনি বা অন্য পাঠকরাই ভালো বলতে পারবেন।

আপনি আগে বলতেন আমার লেখা জগাখিচুড়ি। মানে শুরুতে যখন চেষ্টা করতাম গল্প লিখতে কারণ তার পুরোটা জুড়েই থাকত বিষণ্ণতা, পুতুপুতু ভাব আর কবিতার অনেক প্রভাব, যা গদ্য আর পদ্যের সংমিশ্রণ। যে কারণে কবিতা লেখা একেবারেই কমিয়ে দিয়েছি এক অর্থে।

যাই হোক , লেখকের জেন্ডার নিয়ে যে টপিক টা আসছে এখানে সেটা নিয়ে আপনার এখানে আমি উত্তর না দিয়ে সোনাবীজ ভাইয়ের কমেন্টে উত্তর দিচ্ছি।

আমি মনে করি লেখার প্যাটার্ন নিয়ে সবারই উচিত কম বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা।

২৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জুলিয়ান ভাইয়ের কমেন্ট পড়ার পর@

পাঠকের সমস্যা হলো তাঁরা যখন গল্প পড়েন, তার আগেই গল্পকারের নাম ও লিঙ্গ সম্পর্কে জেনে নিয়ে থাকেন। আমার সমস্যা হলো, অপর্ণা আপুর প্রথম পুরুষে লেখা যতগুলো গল্প পড়েছি, শুরু থেকেই কথককে লেখকের সমলিঙ্গ নারী ভেবে পড়তে পড়তে অগ্রসর হয়েছি। কথকের চরিত্রটাও সেভাবেই মনের ভিতর দাঁড় করিয়ে নিয়েছি। বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর হয়তো খটকা লেগেছে, আরও দূরে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়েছি- হায় আল্লাহ, নায়কের নাম দেখি শামীম সাহেব, যাকে এতক্ষণ নারী ভেবে নেয়ামত কবির স্যারের সাথে একটা বিপরীত লিঙ্গীয় সম্পর্কের জমজমাট কাহিনি পড়বো বলে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।

মীরাকে প্রথম দেখেছিলাম ঢাকা ক্লাবের বারে।সামনে একটা শূন্য গ্লাস নিয়ে বসে ছিলো । হয়তো এর আগেও মীরা এখানে এসেছে কিন্তু আমার চোখে পড়ে নি। মীরার পোশাকটা ছিলো অদ্ভুত। ঢাউস একটা কোট গায়ে চাপানো ছিলো ওর। তখন শীতকাল হলেও ঢাকা শহরে ঢাউস কোট পড়ার মত শীত পড়তে দেখি নি কখনো। তাছাড়া ক্লাবের ভেতরেও ছিল আরামদায়ক উষ্ণতা। এই অংশটা পড়বার পর আমি ধরে নিই, মীরা একজন ত্রিশোর্ধ নারী, কথক একজন বয়োজ্যেষ্ঠা মহিলা- যাদের মধ্যে একটা মা-মেয়ে ঘটিত কোনো মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা থেকে থাকতে পারে, যা গল্পের উপজীব্য কাহিনি। আমার এই ভুল ভাঙে গল্পের অনেক দূর অগ্রসর হবার পর।

রবীন্দ্রনাথের চারখণ্ড গল্পগুচ্ছের ‘স্ত্রীর পত্র‘ তো এমনি বোঝা যায় এটি নারীর কথা, এ ছাড়া সম্পাদকের বরাবর স্বরচিত গল্প পাঠানো নিয়ে একটা গল্প আছে (যদ্দূর মনে পড়ে গল্পটা এরকমই, গল্পের নাম মনে নেই), যেটির কথক একজন নারী, তা-ও আবার পুরোটা না। এ ছাড়া অন্য কোনো গল্পের কথক নারী চরিত্র আছে বলে আমার মনে পড়ে না। হুমায়ূন আহমেদের একটা উপন্যাস অথবা ছোটোগল্প পড়েছি, যার কথক একটা নারী চরিত্র। আমার ভাসা ভাসা মনে পড়ে, সুনীলের এরকম একটা উপন্যাস বা গল্প হয়তোবা পড়েছি। তসলিমা নাসরিনের অনেক গল্প আমি পড়ি নি; যা পড়েছি তাতে কথক একজন নারীচরিত্র এমনটা পাই নি। বঙ্কীমচন্দ্র, মানিকবাবু, বনফুল প্রমুখের গল্প যা পড়েছি তাতে এমন চোখে পড়ে না। হাল আমলের কোনো লেখকের লেখায় এরকম আছে কিনা আমার জানা নেই। ইংরেজি সাহিত্য সম্পর্কে আমার জ্ঞান শূন্য।

অন্য কারো লেখায় এরকম না থাকলেও নিজের লেখায় যে লেখা যাবে না এরকম কোনো আইন আমাদের সংসদে নেই। কিন্তু সবগুলো গল্পই যদি একইরকম হয় তাহলে পাঠক অস্বস্তি ও বিরক্তির সাথে একঘেঁয়েমিতেও আক্রান্ত হয়ে উঠতে পারেন বলে আমার ধারনা।

সব পাঠক ব্যক্তিগত স্বাচ্ছন্দবোধই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। আমার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ যে ব্যতিক্রম নয় তা আমি উপরে উদাহরণ সহযোগে বর্ণনা করেছি। তবে লেখক যদি বৈচিত্র সৃষ্টির জন্য এটি করেন, তাহলে অনবরত তা করতে থাকলে তাতে আর বৈচিত্র থাকলো কোথায়?

ভালো থাকুন জুলিয়ান ভাই।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভাইয়া , আমার মনে হয় লেখকের জেন্ডার খুব বড় একটা ইস্যু না ; অন্তত আমার কাছে।

তবে আমি কেন উত্তম পুরুষে বেশি লেখি কিংবা আমার কথক চরিত্র কেন " পুরুষ" হয় সেটা নিয়ে বলতে পারি।

অনেকের সাথেই কথা বলে আমার যে ধারণা হয়েছে - নারী লেখক মানেই নাকি লুতুপুতু লেখক , নারীবাদী , পুরুষ বিদ্বেষী এবং দুর্বল লেখক। এটা জেনারেল মানুষের ধারণা এবং যারা একটু পড়াশুনার সাথে সম্পর্কিত কিংবা মোটামুটি লেখালেখির সাথে তাদের একটা ব্যাপার আমাকে খুব যন্ত্রণা দেয় যখন বলে -- নারী লেখকরা তো পুরাই পুরুষবিদ্বেষী।

এটা ছাড়াও আমি একজন পুরুষের মানসিকতাকে কতটা বুঝতে পারি কিংবা বিপরিত দৃষ্টিকোণ থেকে লিখে কতটা স্বাচ্ছন্দ্য পাই সেটাই একটা কারণ। লেখার বিস্তৃতিটা আমার কাছে বড় মনে হয় এবং আমি স্বস্তি বোধ করি পুরুষ চরিত্র নিয়ে লিখে।

তবে নারী লেখক হলেই তার উত্তম পুরুষের চরিত্রকে সে লিঙ্গেরই হতে হবে এমনটা আমি মনে করি না।

তসলিমা নাসরিনের অধিকাংশ লেখাই আমি পড়ি নি , তাই সে ব্যাপারে বলতে পারছি না । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খুব বেশি লেখা আমি পড়িনি । আর হুমায়ুন আহমেদ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা বা অন্য লেখকদের লেখা পড়ার সময় আমার মনে কখনো কাজ করেনি লেখক পুরুষ হয়ে কি নারী চরিত্র কে কেন্দ্রীয় চরিত্র ধরে লিখলেন কিনা। একজন লেখকের লেখা ধরেই পড়েছি।

পাঠকের রুচি , লেখকের রুচি এক হবে না কখনোই সেটা আমরা সবাই বুঝতে পারি। তবে একঘেয়েমি তৈরি করা কোন লেখকেরই কাম্য না, আমারও নয়।

আপনিও ভালো থাকুন সোনাবীজ ভাইয়া এবং জুলিয়ান দা।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সোনাবীজ ভাইয়া আমি নিচে আমার গল্পের চারটি লিঙ্ক দিলাম একটু দেখবেন আশা করি।

Click This Link

Click This Link

Click This Link

Click This Link

২৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
তসলিমা নাসরিনের অনেক গল্প আমি পড়ি নি; যা পড়েছি তাতে কথক একজন নারীচরিত্র এমনটা পাই নি। হবে> তসলিমা নাসরিনের অনেক গল্প আমি পড়ি নি; যা পড়েছি তাতে কথক একজন পুরুষচরিত্র এমনটা পাই নি।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তসলিমা নাসরিনের খুব বেশি লেখা আমি পড়িনি আর সেভাবে খেয়াল করে দেখিনি আসলে।

শুভকামনা ভাইয়া :)

২৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২১

সায়েম মুন বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা গল্পটা খুব গতিশীল এবং নেয়ামত কবির সাহেবের চরিত্রটাও খুব ইন্টারেস্টিং ছিল বলে একটানে পড়ে ফেললাম।

আমার এইম ইন লাইফ আসলে কি ছিলো? উত্তরটা দিতে কেমন মুখ থুবড়ে পড়ে থাকি আমি বিবিধ চাহিদা আর সম্পর্কের ভেতর। আমি আসলে জীবনে কিছুই হতে চাইনি নেয়ামত কবির সাহেব। এই যে কবির স্যার, শুনছেন? জোরে জোরে একই কথার পুনরাবৃত্তি হতে থাকে আমার কাছ থেকে নেয়ামত কবিরের উদ্দেশ্যে।

শামীম সাহেবের ব্যাপারে যে ধারনা পাওয়া যায় তাতে তাকে হতাশ বা ব্যর্থ মনে হয় নি কোথাও। সে বিভিন্ন এ্যাসাইনমেন্টের জন্য মাল্টি ন্যাশনাল পার্টির সাথে বিদেশে যোগাযোগ করে, যে কাজটি সুশিক্ষিত এবং উচ্চ স্টেটাসধারী ব্যক্তিগণের পক্ষে সম্ভব। সে ব্যক্তি যখন বলেন, পড়াশুনার প্রতিযোগিতায় দৌড়াতে গিয়ে ভালো কোনো সাবজেক্টে, ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি আর রেজাল্টের চিন্তায়ই তো সময় পার হয়ে গেলো। ভাববার সময় পেলাম কোথায় কি হতে চেয়েছিলাম কিংবা যা হতে পেরেছি সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা! তার এই কথাগুলো কোন্‌ অর্থ বহন করে? জীবনে কোনো লক্ষ্য নির্বাচনের প্রয়োজন নেই? নিয়তিই সবকিছু ঠিকঠাক করে দেবে? এজন্য কি তাহলে 'স্বপ্নহীন' জীবনই ভালো? ভেবে দেখুন।
---এই অংশটুকুর ক্ষেত্রে আমারও একই মত।

গল্প ভাল লেগেছে।

জেন্ডার সম্পর্কিত ব্যাপারটা কখনো মাথায় আসেনি। মেয়ে ছেলে বুড়ো শিশু যে কেউ হয়ে লেখা যেতে পারে বলে মনে করি। :P

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ সায়েম মন্তব্যের জন্য। যে অংশটুকুর সাথে সোনাবীজ ভাইয়ার সাথে আপনিও এক মত তার উত্তর সোনাবীজ ভাইয়ার প্রথম কমেন্ট এর উত্তরে দিয়েছি। সেটা দেখে নিতে পারেন , তাই আর পুনরাবৃতি করলাম না।

লেখালেখির ক্ষেত্রে আমার নিজের কাছেও মনে হয়নি জেন্ডার কোনো বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ভালো থাকবেন।

২৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

সোমহেপি বলেছেন: গল্প অনেক ভালো লাগলো।সাধারণ ফ্লাট গল্প।আপনার লেখাগুলো এমনই মনে হচ্ছে।



মোনা ভাই@
লিঙ্গ চিন্তা করে গল্প পড়ি না। :(

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ সোমহেপি আপনাকে।

২৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ! অনেক সুন্দর।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ শরৎ দা

২৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: গল্পটা পড়তে গিয়ে আমার নিজের বিরক্তি লাগছিল যেমন বিরক্ত হই আমার মায়ের উপর। আমার মা একজন শিক্ষিকা ছিলেন। তার একটা বদভ্যাস ছিল, এখনও আছে, সে প্রচুর কথা বলে আর অন্যের কথা শোনার দিকে তার মনোযোগ কম। সবাই যেন তার ছাত্র-ছাত্রী। কবির স্যারের সাথে আমার মাকে মিলাতে পারলাম। আবার অন্যদিকে আমার বাবাও ছিলেন শিক্ষক। কিন্তু তিনি কথা বলতেন খুবই কম। অপ্রয়োজনীয় কথা বলতেনই না। এবং সবার কাছে তার কথার মূল্য ছিল অনেক বেশি।
আরেকটা ব্যাপার আমাদের দেশে শিক্ষকগণ বলা চলে অবহেলিত। বেতন-ভাতা খুবই কম। খুব স্বাচ্ছন্দের জীবন যাপন তাদের নয়। ফলে তাদের অবচেতন মন সকলের শ্রদ্ধা অর্জনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা মেটানোর যে অক্ষমতা সেটা পুষিয়ে নিতে চান। এজন্যই হয়ত তারা চান বা আশা করেন সবাই তাদেরকে স্যার ডাকবে। এ কথাগুলো বললাম নিজের অভিজ্ঞতা থেকে। বংশে
অনেকেই শিক্ষক তো।
যা হোক গল্প খুব যে ভাল লেগেছে তা নয়, তবে খুব খারাপও লাগেনি। আপনার এ গল্পটা পড়তে গিয়ে আমার একটা গল্প মাথায় এসেছে। দেখি কবে লিখে উঠতে পারি।
ভাল থাকবেন।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার মন্তব্য ভালো লাগলো।

স্বল্প সময়ের জন্য আমি কিছুদিন শিক্ষকতার পেশায় ছিলাম। টিউশনি বাদে স্কুলেও পড়াতাম। ক্লাসে পড়ানো বাদে টিচার্স রুমে আমি খুব কমই কথা বলতাম। সেই স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল থেকে শুরু করে কলিগরা পর্যন্ত বলতো - মিস , আপনি এতো কম কথা বলেন কেন , কম হাসেন কেন !!! তবে এই ব্যাপারটা আমার শুধু স্কুলে থাকলেই ঘটতো , কোন বৈচিত্র্য কেন যেন পেতাম না এই প্রফেশনে। হয়ত অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যেতে হতো এটাও একটা কারণ ছিল।

আপনার নতুন গল্প পড়ার প্রত্যাশায় রইলাম ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

৩০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার ব্যাখ্যা বুঝে নিলাম ;)

অনেক কাল আগে লিখেছিলাম নিচের লেখাটা। কেমন লাগলো, বলুন।

***

অয়োময় সুপুরুষ

কিছুই নেবে না সে। তার কোনও লোভ নেই
তার কোনও আবেগ অথবা অনুভূতি নেই

নিঝুম অন্ধকারে তার গা ঘেঁষে দাঁড়ালে তার শরীরও অন্ধকারময় নিরুত্তাপ
সে খেলে না আমায় নিয়ে যেমন তার অভ্যাস
আমার অঙ্গে অঙ্গে বিপুল মাৎসর্য্য দাহন
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করি তার সংসার
আমাকে সুখ দেয় অনিন্দ্য রহস্যের পরকীয়া পাপ

একটা ধারালো তরবারি তার চোখের সামনে খাপ থেকে খুলে
হাতে নেবো তুলে
আর তার নির্জন শয্যায় একটা আগুন শরীর বিছিয়ে দেবো
ভেবেছি কতোদিন

ও একটা বড্ড সুপুরুষ, সারাবেলা প্রেম দেয়
ও একটা বউপোষা কাপুরুষ, নিপাতনে সঙ্গম শেখে নি

ও এতো ভালো কেন?
ও এতো পাষণ্ড কেন, জানি না

আমরা যাই লং ড্রাইভে, রিক্‌শায় সারা শহর
পার্কে, রেস্তরাঁয় ঘুরি; সিনেপ্লেক্সে মুভি দেখি
আলগোছে অন্ধকারে ওর হাতের আঙুল নাড়ি মুঠো ভরে
তারপর ব্লাউজের ভাঁজ গলিয়ে বুকের উপর ঠেঁসে ধরি ওর রোমশ হাত
'তামাম পৃথিবী তোর', ফিশফিশিয়ে বলি, 'এই নে! নে না! তামাম পৃথিবী তোর!'

মোমের মতো গলতে গলতে বের হয়ে এলে হাত
আমার নপুংসক প্রেমিক বলে, 'ঘরে তোর বর, আমারও একটা সাদাসিধে বউ,
থাক না এসব!'

যার সবই আছে, না চাইতেই সব সে পেয়ে যায়
সব পাওয়া যার নিয়তি, সে কিছুই নেয় না

কিছুই নেয় না সে। তার কোনও লোভ নেই।
তার কোনও আবেগ অথবা অনুভূতি নেই। ছিল না।
মাটি কিংবা পাথরের শরীর তার।

সে একটা পাষাণ সুপুরুষ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ব্যাখ্যা বুঝে থাকলে তো খুব ভালো। তবে আপনার কবিতা তার চেয়েও বেশি ভালো লেগেছে ভাইয়া।

শুভকামনা রইলো।

৩১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

গল্প সম্পর্কে বলব, কিছুটা একঘেয়ে ছিল। কিন্তু আপনার প্রাঞ্জল বর্ণনাভঙ্গীর কারনে পড়ে যেতে পারছিলাম অনায়াসেই। একেবারে শেষের প্যারাটিই ছিল গল্পের আসল আকর্ষণ। এটা পড়ার পর যেকোন পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগবে, আমার আসলে এইম ইন লাইফ কি?

ধুলোবালিছাইকে বলব, একজন পুরুষ লেখকই পারেন সঠিক ভাবে পুরুষ গল্প কথকের ভাষায় গল্পটাকে ফুটিয়ে তুলতে। কিন্তু যথেষ্ট পরিশ্রম ও চিন্তা ভাবনার মাধ্যমে একজন লেখিকার পক্ষেও তা পারা সম্ভব। অপর্ণা মন্ময় তেমনই একজন লেখিকা। প্রথম পুরুষে গল্প লিখলে কথক ও লেখকের অভিন্ন লিঙ্গ না হলে পাঠকের জন্য তা যুগপৎ অস্বস্তিকর ও বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারে। কথাটা ওনার জন্য খাটেনা।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নাজিম , তোমার এইম ইন লাইফ কি কিংবা সে পথেই কি আগাচ্ছ ?

এই গল্পটা গল্পের ষ্ট্যাণ্ডার্ডে খুব একটা দাগ কাটেনি পাঠকের মনে এটা বুঝতে পেরেছি তবে এই প্রশ্নটা ঠিকই স্পর্শ করেছে তাদের এইম ইন লাইফ সম্পর্কে।

তোমার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নাজিম।

৩২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০১

জুন বলেছেন: আপনার লেখা প্রতিটি পোষ্ট অসাধারণ অপর্না মন্ময়। অসাধারন লিখেন আপনি। এটা আমার মত একজন সাধারণ ব্লগারের কাছে কি শুনবেন তাই কম আসা হয়।
এইম ইন লাইফ প্রসঙ্গে একটা কথা শুধু বলি, যখন আমি কলা বিভাগে দশম শ্রেনীতে পড়ি তখন ও পরীক্ষার খাতায় এইম ইন লাইফ লিখেছি ডাক্তার হবো। আজও আমার জীবনের কোন লক্ষ্য স্থির করতে পারিনি আর পারবোও না ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপু , এইটা কি বললেন ! আমি অসাধারণ বা সাধারণ যাই-ই লিখি না কেন আপনি বা আপনারা যদি লেখার ভাল-মন্দ ধরে না দেন কীভাবে আমি বা আমরা শিখব বলেন !!!

আমাদের এইম ইন লাইফ আসলেই ঠিক করে নেয়া উচিত। ভালো থাকবেন আপু

৩৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৬

বৃতি বলেছেন: কমেন্ট করতে গিয়ে লগড আউট হয়ে যাচ্ছি আপু । তবে আপনি এমন একজন রাইটার যিনি সামান্য বিষয়কেও স্বচ্ছন্দে টেনে নিয়ে যেতে পারেন, হাসান মাহবুব ভাইয়ের মতন । শেষ প্যারাটা চমৎকার হয়েছে । অনেক ভালো লাগা ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লগ আউট হয়ে যাবার ব্যাপারটা আসলেই বিরক্তিকর। অনেক সময় মন্তব্যও হারিয়ে গেলে আর আগের মতো করা মন্তব্যটা আসে না অইভাবে।

অনেক ধন্যবাদ বৃতি সুন্দর কমপ্লিমেন্টে।

৩৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: গল্পটার থিমটা খুব সুন্দর। পড়তে পড়তে কি জানি কি প্রত্যাশা করছিলাম, কিন্তু শেষটা একেবারেই অভাবনীয় একটা বক্তব্য নিয়ে এসে হাজির। যেকোন লেখকের জন্য এই অপ্রত্যাশিত শেষটা একটা প্লাস পয়েন্ট, ওতে পাঠককে লেখার সাথে আটকে রাখে।মেলাতে ইচ্ছে হয় নিজের অনুমানটা কি মিলল কিনা-না মিললে অবাক আনন্দ হয়, হতাশ হতেই- গতানুগতিক শেষের বাইরে যেতেই তো আমরা লেখা পড়ি তাই না?
জেন্ডার নিয়ে কেন বিতর্ক হয় বুঝি না। একটা লেখা যে লিঙ্গে লিখলে লেখক আরাম পান, বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় , উপযোগিতা বাড়ে তাতেই লেখা উচিত। চালিয়ে যান।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মাঝে মাঝে এরকম হয় , লেখকের সাথে নিজের ভাবনা মিলিয়ে নেয়া এবং মিল পেলে আনন্দও হয় তেমনই।

তনিমা , আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৩৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: কথায় আছে ওস্তাদের মাইর শেষ রাত্রে! গল্পের ভালো লাগবার মোচড়টাও শেষে, একটু একঘেঁয়ে পথ পেরিয়েই শেষের দিকে জীবনে কী হতে চাও বা হতে পেরেছ কিনা এক ভাবনার মুখে পাঠককে ছেড়ে দেওয়া! আমার গল্প ভালো লেগেছে!

যে প্রশ্নটা আসবে সেইটা আমি আগেই উত্তর দিয়ে রাখি, আমার জীবনের লক্ষ্য বিষয়ক মন্তব্য হচ্ছে পৃথিবীতে এমন খুব কম জিনিস আছে যেইটা আমি অল্প বা বেশী সময়ের জন্য হতে চাইনি! কোন বিষয়ে স্থির না হতে পারার বৈশিষ্টটা এখন আমি জেনে গেছি, বলা যায় মেনে নিতে বাধ্য হয়েছি! তাই একসময় থেকে নিজেকে বলেছি- আমি আর কিছুই হইতে চাইনা!

খুব চমৎকার একটা আলোচনা হচ্ছে মন্তব্য প্রতিমন্তব্যে। তবে সোনাবীজ ভাইয়ের লেখকের লিঙ্গ বিষয়ক ধারণাটা একান্তই ওনার ব্যক্তিগত পাঠাভ্যাস বলেই আমার মনে হয়। আমি নিজের সাথে বা অনেকের সাথেই এই চিন্তার মিল খুঁজে পেলাম না। যেমন রবীন্দ্রনাথের একটা ছোটগল্প হল 'দৃষ্টিদান'- যেখানে গল্পের কথক নারী!

শুভকামনা রইলো অপর্ণাদি!

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তোমার হতে চাওয়াটা তাহলে " কিছু না হতে চাওয়া " বুঝলাম।

ডায়ালগ নির্ভর গল্পের চেয়ে আমার কাছে আমি বেশি উপভোগ করি মনোলগ জাতীয় লেখা, যদিও এখানে এক তরফা কথা বলা হয়েছে, শামীম সাহেবের বিরক্তি তাই পাঠককে স্পর্শ করেছে দেখতে পাচ্ছি।

ভালো থেকো তুমিও।

৩৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০

বোকামন বলেছেন:




গল্পের শুরু থেকে শেষ কী দারুণ লেখনী !!
আপনার লেখনীর সাথে আরেকবার পরিচিত হলাম।

ব্যাক্তিসত্তা এবং এইম ইন লাইফ- দ্বিচক্র যানের যাত্রী হয়ে বাইরের নীল আকাশ দেখার প্রয়াস। থাকুক না তাতে স্বপ্নহীন বাস্তবতা...।

অনেক ভালো থাকুন লেখক।
শুভকামনা

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার এইম ইন লাইফটা সুন্দর তো ! মামাতো বোনের সাইকেল চালানো দেখে এক সময় ট্রাই করেছিলাম শিখব কিন্তু চেষ্টায় ঘাটতি ছিল, তবে ওটা ছিল নিছক শখ।

আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো ভাইয়া।

৩৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাল বক্তার চেয়ে ভাল শ্রোতার অভাব বেশি।আমার মনে হয় ভালো শ্রোতার চেয়ে ভাল বক্তার ডিমান্ড কম নয়।আর এইমইন লাইফ। ডাক্তার ব্যাট বিএএস দিয়ে পুলিশ ক্যাডার হয়ে বসেআছে। তার এইম ইন লাইফ কি ছিল? ডাক্তার হয়ে মানব সেবা। সূক্ষ বিষয়ের সূক্ষ অবতারণা। সুন্দর লিখেছেন।+

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। এইম ইন লাইফ কিংবা প্রাপ্তি কোনটাই আপনার খারাপ নয়। ভালো লাগলো জেনে

৩৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

সকাল রয় বলেছেন:

সময় থাকলে সুন্দর সৃষ্টি করা সম্ভব। গল্পের বিষয়বস্তু আর বর্ননা সুন্দর গোছানো। আপনার লেখা বরাবরই সুন্দর। গল্পগ্রন্থ প্রকাশ করুন। রেখে রেখে দেখে পড়া পড়া যাবে।
সুন্দর সৃষ্টির জন্য সবসময় শুভকামনা।

এমন সুন্দর লিখতে পারিনা কেননা
ডুবেআছিবিষে

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শুভকামনা সকাল রয় তোমার জন্য। ধন্যবাদ। লেখালেখির চর্চা অব্যাহত থাকুক তোমার ।

৩৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

অদৃশ্য বলেছেন:




দিদি

পড়া শুরু করলাম...



শুভকামনা...

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৪০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

রোমেন রুমি বলেছেন: আজ সকালেও ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে নিজকে নিজে বলছিলাম । চাকরীতো ছেড়েছ রোম্যান ; কি করবে তুমি ?
উত্তর মিলেনি।
আবারও একটা কলেজে জয়েন করার ব্যাপারে কথা চলছে । কিন্তু এইম ইন লাইফ আজও ঠিক হয়নি !
গল্পে ভাল লাগা রেখে গেলাম।
ভাল থাকুন ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এইম ইন লাইফ ঠিক না হলেও বেঁচে থাকার জন্য জীবিকা প্রয়োজন !
ধন্যবাদ রুমি।
ভালো থাকুন।

৪১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: বেশ ভাল লিখেছেন।
আমি আসলে জীবনে কিছুই হতে চাইনি নেয়ামত কবির সাহেব।-আমার নিজেরও মাঝে মাঝে এমন মনে হয়। এইম ইন লাইফ টা শুধুমাত্র রচনা কিংবা বই এর পাতায় বন্দী মনে হয়। বাস্তব জীবনে এর অস্তিত্ব আমি পাই না।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নিজের পড়াশুনার সাথে চাকুরির ধরণ প্রায় সময়েই মিলে না, তখন এটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক।
ধন্যবাদ আহসান।

৪২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

অদৃশ্য বলেছেন:





সুন্দর গল্প... ঠিক শেষ সময়টাতেই গল্পের সব মজা যেন জমা ছিলো... ঠিকইতো, আমার এইম ইন লাইফ কি ছিলো?!

এয়ার পোর্টের মতো একটি জায়গাতে বসে থাকা ( তবুও ব্যস্ত ) একজন অপরিচিত লোকের সাথে কবির স্যারের আজাইরা বা অরিরিক্ত কথন/প্যাচালটা সত্যই আমাকেও মানষিক যন্ত্রণা দিয়েছে... যদিও প্রকৃত বয়ষ্ক মাষ্টারেরা তুলনামূলক বেশি কথা বলেই থাকেন, তাই বিষয়টাকে কিছুটা মেনে নেওয়া গেলো...

শুভকামনা...

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর করে নিজের পাঠ প্রতিক্রিয়া জানাবার জন্য।

৪৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৯

ভূতাত্মা বলেছেন: B:-) B:-/ :-B

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এইটা কি দিলা ?

৪৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০৪

ভূতাত্মা বলেছেন: পরপর তিনরকম এক্সপ্রেশন!!! B:-) B:-/ :-B

২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চশমাডা তোমার চেহারার চেয়ে বড় হইয়া গেছে গো !!!

৪৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: শেষটার মাঝেই সব টা ।
ভালো লাগলো আপা ।

ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতাম সুপারম্যান হব । নামাজ পরে মুনাজাত করছি আল্লাহ ! সুপারম্যান বানাই দেও !

এখন ম্যান ও হতে চাইনা । মানুষ হয়ে জন্মাবার অনেক কষ্ট , বড় কষ্ট ।

ভাল থাকবেন আপা । শুভকামনা রইল ।



২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মানুষ হয়ে জন্মাবার কষ্ট যেমন আছে, সুখও আছে।
আমার অনেক কিছুই হতে ইচ্ছে করতো কিন্তু বড় হবার পর বুঝতেই পারিনি কই থেকে কোথায় আসলাম, কী হয়ে গেলাম।

ভালো থেকো।

৪৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনার গল্প লেখার হাত দারুণ, জীবনের খুটিনাটি বিষয়গুলো খুব ভালভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন... :)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া

৪৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৭

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: শেষে এসে নিজেকেই খুঁজে পাওয়া গেলো । সহজ সরল ভালো লাগা !

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ শাহরিয়ার। ভালো থাকবেন।

৪৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০০

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: শেষের বিষাদ ছুঁয়ে গেল ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা !!!

৪৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৭

নির্জন শাহরিয়ার বলেছেন: অসাধারণ। জীবনের চাহিদা মেটানোর তাগিদে যা প্রয়োজন করে যাচ্ছি। কিন্তু জীবনের উদ্দেশ্যে কি আজও নির্ধারণ করতে পারলাম না! :(

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: স্বপ্নহীন না হয়েও আজ অনেকেই উদ্দেশ্য খুঁজে পায় না !
পুরনো লেখা খুঁজে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৫০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

নির্জন শাহরিয়ার বলেছেন: এখানে আমি জীবনের উদ্দেশ্যে বলতে ঐ যে এইম ইন লাইফ, ভবিষ্যতে কি হব সেটাই বলেছি। অন্যদিক দিয়ে বলতে গেলে আমাদেরকে সবকিছুই পরকালের কত মাথায় রেখে করতে হবে!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ। ইহকাল আর পরকাল কোনটাই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
শুভকামনা আপনার জন্য।

৫১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

Rukhshad Priyo বলেছেন: অসাধারনের চেয়ে বেশি কিছু।দারুন,এক কথায় মুগ্ধ হওয়ার মতো।কি করে পারেন?আপনি মনে হয় অনেক বড় একজন লেখকের বংশধর।রক্তের মধ্যেই....

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার বংশের কেউ বড় লেখক আছে কিনা জানি না। তবে কেউ আমার পুরনো লেখা খুঁজে বের করে পড়লে সত্যিই খুব সম্মানিত বোধ করি এবং ভালো লাগে।
আপনাকে শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.