নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

নুহা- ৬

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০

নুহা

নুহা-২

নুহা-৩

নুহা-৪

নুহা-৫



অন্যদিন তেমন খিদে পায় না আমার কিন্তু আজ সকাল আর দুপুরের মাঝামাঝি সময়ে একটা স্যান্ডউইচ খেয়েছিলাম ,তারপর বাসায় ফেরার পথেই তো শবনমদের সাথে আবার অস্টিয়া চলে আসতে হলো। এই ফাঁকে এক কাপ কাপুচিনো ছাড়া আর কিছু খাওয়া হয়নি। তারচেয়েও ঘরে ফিরে ঘুমাবার প্ল্যান করেও ঘুমাতে পারিনি বলেই কিনা জানি না বেশ জোরেশোরে খিদেটা উঁকি দিচ্ছে থেকে থেকে।



সূর্যের তেজ এখন আর নেই-ই ধরতে গেলে। সেই ব্রীজের ওখান থেকে উঠে আমি আর শবনম এমনিতেই লক্ষ্যহীনভাবে হাঁটছিলাম ঠিকই কিন্তু আমার চোখ এপাশ ওপাশে খুঁজে বেড়াচ্ছিলো কোনো টার্কিশ রেস্টুরেন্ট পাওয়া যায় কিনা। ওদের বানানো শর্মা খেতে খুবই মজার ! শবনের কথার সাথে তাই তাল মেলাতে পারছিলাম না আমি। আমার মাথায় ভন ভন করে ঐ একটা ব্যাপারই ঘুরপাক খাচ্ছে যে আমার খিধে লেগেছে, তাই বিকল্প কিছু ভাবা সম্ভব হচ্ছিলো না আমার পক্ষে।



- কিরে নুহা, ঐখানে কই যাস ?

- শর্মা খাবো, খিধে লাগছে।

- ক্যান , দুপুরে খাস নাই তুই ?

- আয় তো , আগে রাস্তা পার হয়ে নেই ! হলুদ বাতি কিন্তু এখনি লাল হয়ে জ্বলে উঠবে



শবনমের জিজ্ঞাসার সাথে পাল্লা দিয়ে পথ পারাপারের বাতিটা লাল হয়ে যাওয়াতে কমপক্ষে দুই থেকে তিন মিনিট এখন দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। কেমন রাগ রাগ লাগছে একটু ! কি আজব ব্যাপার , মাথা থেকে খিদের ব্যাপারটা সরাতেই পারছি না । আর খিধে বেশী লাগলেই আমার পেট ব্যথা করতে থাকে।

- কিরে আজকে দুপুরে খাস নাই তুই ?

- সেজন্যই তো বাসায় যাচ্ছিলাম তখন ! খেয়ে ঘুমাবো ভেবেছিলাম ! আয় তাড়াতাড়ি , আবার দেরী হলে আরেকটা সিগন্যালে পড়তে হবে। বলে আমি আর ও তাড়াতাড়ি রাস্তাটা পার হই।



- আমি কিন্তু খামু না , আমার জন্য অর্ডার দিস না। তুই খা।

- আলী ভাইকে ফোন করে জিজ্ঞেস কর উনি খাবে কিনা তাহলে যাবার সময়ে নিয়ে যাওয়া যাবে।



আমি নিজের জন্য একটা শর্মা আর একটা ফানটার অর্ডার দেই, সাথে আলী ভাইয়ের জন্যও একটা চিকেন শর্মার অর্ডার দেই পার্সেল করে নেবো বলে। শবনম যতই বলুক ও খাবে না কিন্তু আমি জানি আমার কাছ থেকে একটু শর্মা ওকে খেতে দিলে ও ঠিকই খাবে। খাবে আর খেয়ে বলবে - ইশশ কত্ত মোটা হয়ে যাচ্ছি রে ! আর খাবো না ! ও অবশ্য মোটা শব্দের চেয়ে ধুমসী শব্দটা বলে নিজের আকার দেখাতেই বেশী মজা পায়। এতো এতো সমস্যার মাঝে থেকেও ও যে কী করে হাসে , ফূর্তির মাঝে থাকে ! শর্মা খেতে খেতে ফাঁকে ফানটার ক্যানেও আমি ছোট ছোট চুমুক দিচ্ছিলাম।



- কিরে খাবি নাকি একটু ? বলে শবনমের দিকে শর্মার এক কোণা ভেঙে হাতে ধরিয়ে দেই।

ও হাসতে হাসতেই শর্মার টুকরোটা নেয়। এ দোকানটা তেমন একটা বড় না। আর এখানে বেশীরভাগ ক্রেতাই খাবার নিয়ে বাইরে চলে যায়, ভেতরে বসে খাবার মতো তেমন একটা জায়গা নেই ছোট একটা টেবিল ছাড়া । তবে সন্ধ্যার পর এসব দোকান বেশ ভালো চলে , একেবারে গভীর রাত পর্যন্ত। এই মুহূর্তে দোকানে তেমন ভিড় ছিলো না বলে আমি আর শবনম টেবিল ফাঁকা পেয়ে বসে বসেই খাচ্ছিলাম। আলী ভাই ইতিমধ্যেই তার মালের গাড়ি গোছাতে শুরু করেছেন হয়ত। কারণ শবনমের কাছেই শুনেছি সব গুছিয়ে নিয়ে কার্টনে প্যাকেট করতেও নাকি ঘণ্টাদেড়েক সময় লাগে। দোকানের বিল মিটিয়ে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে এবার হাঁটতে লাগলাম আলী ভাইয়ের ব্যবসা আজ যে স্পটে বসেছে সেখানের উদ্দেশ্যে। ঘড়ির কাঁটা আটটা ছুঁই ছুঁই করলেও সন্ধ্যা তার আলো ছড়ায়নি পুরোপুরি এখনো। বেশ ঠাণ্ডা একটা হাওয়া দিচ্ছে। তবে শর্মার দোকানে গরম চুল্লির কারণে আগুনের তাপ বেশী লাগতে পারে এমনটার কারনেও বাইরের বাতাস ঠাণ্ডা লাগছিল হয়তোবা।



বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত দশটা বাজতে পারে এমনটাই বলেছিলো আলী ভাই । সন্ধ্যায় রেজা ফোন দিবে বললেও ফোন দেয়নি আর ওর বিরক্তিতে ভরা কণ্ঠস্বরটা এখনো আমার কানে বাজছিলো বলে আমিও আর ইচ্ছে করে ফোন দেইনি। এটা আমিও মানি কাজ শেষ করে ঘরে ন আফিরে অন্যান্য কাজ সেরে ঘরে ফিরতে কিংবা ঘরে ফিরে ঠিকমত চাবি খুঁজে না পেলে বা গেট খুলতে দেরী হলে মেজাজ আমারও খারাপ হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে রুটিনের বাইরে চলতেও যে রেজার এতো অনীহা এটাই আমার রাগ লাগে ! রোজ তো আমি একা একাই সময় কাটাই ঘরে ঘুমিয়ে , মুভি দেখে বা বাইরে হেঁটে হেঁটে। একটা সন্ধ্যা বা একটা মুহূর্ত তার কাছে আমি চাইতেই পারি --- এটাই যেন সে বোঝে না বা এটা ভাবার মতো একটা মন তার নেই , ব্যাপারটাই অদ্ভুত ! এসব ভাবতে ভাবতেই আমি আর শবনম টুকটাক কথার ফাঁকে ফাঁকে আলী ভাইয়ের এখানে পৌঁছে গেলাম। আলী ভাই তার জরুরী কয়েকটা ফোন সেরেই আমাদের নিয়ে রওনা হয়ে গেলেন বাসার উদ্দেশ্যে।



- দুই বান্ধবী নিশ্চয়ই আজ অনেক গল্প করেছেন ! পেট ভরেছে তো কথা বলে !

আলী ভাই আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেও শবনমই উত্তর দেয়।

- ভরলো আর কই !

- সেটা তো বুঝতেই পারছি। বাসায় ফিরাও তো আবার ফোনে তোমাদের আধা ঘণ্টার নিচে গল্প না করলে হয় না ! ঠিকঠাক মতো বাসায় তোমরা পৌঁছলা কিনা এই খবর বলতে বলতেই পনেরো মিনিট পার হয়ে যায় তোমাদের। বলে উনি হাসতে থাকেন। ড্রাইভিং এর ফাঁকে ফাঁকে উনি অবশ্য উনার জন্য কিনে আনা শর্মাও খান আর বলেন - আমারও অনেক খিদে লাগছিলো আজকে ! এতো ভিড় ছিলো দোকানে, একটা সিগারেট পর্যন্ত খেতে পারি নাই।



- এখন আবার সিগারেট ধরাইবা না চিংকু , খবরদার ! গাড়ি থিক্যা নাইম্যা যামু কিন্তু ! শবনম আর চিঙ্কুর মানে আলী ভাইয়ের খুনসুটি চলতেই থাকে। আমি গাড়ির সিটে মাথাটা হেলান দিয়ে একটু সময়ের জন্য চোখ বন্ধ করি।



- নুহা , রেজা ভাই কি আপনাকে নিতে আসবে , কিছু বলছে ?



- আমার সাথে সন্ধ্যার পর ওর আসলে কথা হয়নি। ওর মোবাইলটাও বন্ধ পাচ্ছি , মনে হয় ও যে ফ্লোরে কাজ করে নেটওয়ার্ক নেই ।



- সমস্যা নাই , আমিই নামাইয়া দিয়া আসবো।



গাড়িতে কিছুক্ষনের নীরবতা নেমে আসে। আমার কেমন জানি ঘুম ঘুম পাচ্ছিলো। বাসায় ফিরেই যদি কোনোদিকে না তাকিয়ে ফ্রেশ হয়ে সোজা বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে যেতে পারতাম ! যা ভাবি সেটা সবসময় হবার নয়। রাতের জমাখরচ বুঝিয়ে দিয়ে তবেই না ঘুমাতে হবে আমাকে!



শবনমরা আমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে যাবার পর ঘরে ঢুকেই দেখলাম রেজা বিছানায় শুয়ে শুয়ে একটা প্রোগ্রাম দেখছে। তার হাসি হাসি মুখ দেখে অনুমান করে নেই বাসায় সে অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে ফিরেছে। এখন ঘড়ির কাঁটায় সময় রাত এগারোটা। সে চাইলেই পারতো আমাকে শবনমদের বাসা থেকে নিয়ে আসতো কিংবা নিদেনপক্ষে একটা ফোনও দিতে পারতো।ব্যাপারটা ভেবেই মনটা কেমন বিরক্তিতে ভরে যায়। কিন্তু তাকে কিছু বলা হয় না।



- কি আজ খুব ঘুরলা নাকি ?



- নাহ তেমন একটা না। সমুদ্রের ওখানে যে ব্রীজটা ছিল ওখানে বসে ছিলাম।



- সমুদ্র তো তোমার প্রিয় জায়গা ! ওখানে গেলে তো আমাকেও ভুলে যাও ! হাহাহহা



- তোমাকে কবে কবে মনে রাখি এটাও আসলে একটা কথা ! খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা ! আমার কথার ধরণে রেজা হয়ত কোনো পোড়া গন্ধ টের পায়। আর তাতেই সে প্রসঙ্গ বদলে জানতে চায় আজ কি আলী ভাইয়ের অস্টিয়াতে ব্যবসার পোস্ট পড়েছিল নাকি ?



আমি ব্যাগ আলমারিতে রেখে ওয়ারড্রব থেকে জামাকাপড় বের করতে থাকি পড়নের পোশাক বদলে নেবো বলে। রেজার কথার উত্তর দিতে ক্লান্তি লাগছে আর উত্তর দিলেই আমি হয়তো ঝগড়া করে ফেলবো বলে চুপ থাকি।



- জামা বদলাইতে আবার ফ্রেশরুমে যাইতাছ ক্যান ? এই রুমেই বদলাইয়া ফালাও।



রেজার মুখে কেমন খুশী খুশী এক আভা। আজ শেভও করেছে দেখা যাচ্ছে। নিশ্চয়ই এখন ইনিয়ে বিনিয়ে আমার প্রশংসা শুরু করবে। আর ওর এই লক্ষণের সাথে আমি বেশ পরিচিত। বাইরে থেকে ঘুরে আসলে আমার খুব ক্লান্ত লাগে । তখন আর রেজার শারীরিক কোনো আহ্বানে সাড়া দিতে ইচ্ছে করে না। আমি ফ্রেশরুমের দিকেই পা বাড়াই। বাইরে থেকে এসে শাওয়ার নেয়া আমার অভ্যাস হলেও এই মুহূর্তে আর ইচ্ছে করে না শাওয়ার নিতে। কারণ রেজার সাথে বিছানায় সময় কাটাবার পর আবারো আমাকে শাওয়ার নিতেই হবে ভেবে চোখে মুখ এপানি দিয়ে ঝটপট বেরিয়ে আসি। রান্নাঘরে ঢুকে বুঝতে পারি রেজা বাসায় এসে খায়নি। অবশ্য আমি রোজ রান্না করিও না কারণ আমাদের রাতের খাওয়াটাই শুধু একসাথে হয় । তাই নিজের জন্য নতুন করে রান্না করতে ইচ্ছে করে না ।



- রেজা , খাবার গরম করতে দিয়েছি। খাবে এসো !



- আমি অফিসেই খাইয়া নিছি। তুমি খাও। পারলে এক কাপ কফি দিও। এমন বৃষ্টির দিনে চা- কফি না হইলে চলে !

- এতো রাতে কফি খেতে চাচ্ছো যে , পরে তো ঘুম আসবে না !

- তোমার সাথে কফি খেতে খেতে গল্পগুজব করবো ভাবলাম , তাই কফি খাইতে চাইলাম

- আচ্ছা , এনে দিচ্ছি ।

বলে আমি রুম থেকে বের হতে হতে শুনলাম - তোমার লাইগ্যাও কফি আইনো।



মেজাজ খারাপ হলেও আমার মাথা ব্যথার কাঁটা মনে হয় সর্বচ্চো গতিতে বাড়তে থাকে। সে হিসাবে কফি খেলে মন্দ হয় না। বাসায় নেসক্যাফে গোল্ডটাই রাখি সবসময়। খুব একটা কড়া না এর স্বাদ।



- নুহা, আমার মোবাইলটা চার্জে দাও তো ! মোবাইলে চার্জই নাই !

- ওহ এজন্য ফোন করতে পারো নি বুঝি ! ওর অজুহাত শুনে মনে মনে বিদ্রুপের একটা হাসি খেলা করে যায় আমার মাঝে নীরবে।

- রাগ করলা নাকি নুহা বিবি ? ব্যস্ত হইয়া গেছিলাম তাই পরে আর ফোন করতে পারি নাই।

- নাহ রাগ করবো কেন ! তুমি তো আমার মতো ভবঘুরে না !

- হইছে আর গাল ফুলাইতে হইব না , এখন কাছে আসো তো ! লাইট টা নিভাইয়া দিও ।



আহ ! এই কাছে আসার মানে একেকজনের কাছে একেক রকম ! কাছে আসার পরেও কেন যেন সবাই কাছে আসতে পারে না ! প্রত্যেকটা সম্পর্কের মাঝে একটা সম্মানজনক ফাঁকা জায়গা থাকা দরকার ! এটা অনেকেই বোঝে না ! রেজার কাছে " কাছে আসার " মানে আর আমার কাছে " কাছে আসার মানে " এর মাঝে বিস্তর ব্যবধান কাজ করে বলেই আমি রেজার ঠোঁটে ঠোঁট রাখার পরেও ও আমাকে ভীষণ করে ওর গায়ের সাথে মিশিয়ে দিতে চায় আর বলতে থাকে ' আরও কাছে আসো নুহা , আরও কাছে ! ' সে সময়ে আমি কী করে যেন বধির হয়ে যাই , সৃষ্টিকর্তার কাছে সেই মুহূর্তের বধিরতার জন্য কৃতজ্ঞতা অনুভব করি।



চলবে

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আমিই ফার্স্ট কমেন্টে! :P

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হ সিটাই দেখলাম, কমেন্টে ফাস্টু হইছ দেখলাম

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই কাছে আসার ব্যবধান কমাতে পারে-ভাগ্যবান কিছু কাপলই শুধু...

বাকীরা বধিরতায় কৃতজ্ঞতায়ই জীবন পার করে যায়!!!!


++

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার সুন্দর কমেন্টে ধন্যবাদ।
সুখী কাপল কমই দেখেছি, এটা সত্য

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: অপর্ণা আপু , নিয়মিত পড়ছি , আগের গুলায় কমেন্ট করা হয়নি । এইটাই করলাম ।

উপন্যাসে ফ্লতে এসে গেছে , সো এইটাকে আর ' হয়তো উপন্যাস ' ট্যাগ না দিলেও চলবে

সাথে তো আছি ই । বলা লাগবে না :)

কতো পর্বে শেষ করবার ইচ্ছা ?

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আচ্ছা আরও কয়েকটা পর্ব লিখে নেই , তারপর ট্যাগ ঠিক করে নেবো। আমার লিখতে লিখতে আগ্রহ চলে যায় মাঝে মাঝে। তখন আর ধরতে পারি না সেই লেখা।

কতো পর্বে শেষ করবো জানি না। যতক্ষণ পর্যন্ত লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি , লিখবো।
সাথে আছো সেটা দেখা হলো

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো এগোচ্ছে উপন্যাস।

সাথে আছি।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ শঙ্কু

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: খিদা লাগছে ! শর্মা খাওয়ান !

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শর্মার দোকান অনেক দূর ! কেমনে খাওয়াই ! বনানী শর্মা ইনে যাইয়া খাইয়া আসো

৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩১

মামুন রশিদ বলেছেন: সাথে আছি :)


পিলাচিত++

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পিলাচ নিলুম

৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: উপস্থিত :) :)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো ছাত্র। নিয়মিত আসবা বুঝলা !! :P

৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

ভিয়েনাস বলেছেন: ৫ এবং ৬ পর্ব এক সাথে পড়লাম...

নুহার মনোকষ্ট গুলো উপলব্ধি করার চেষ্টা করছি। বাহিরের নুহা আর ভেতরের নুহা সম্পূর্ণ আলাদা। দেখা যাক নুহা কোথায় গিয়ে কোন দিকে মোড় নেয়।

ভালো লাগলো :)

আপু আমার ধারনা অস্ট্রিয়াতে কোন সমুদ্র নেই।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি লিখেছি " অস্টিয়া "। ঐ এলাকায় অনেক স্পট আছে। ওটা ইতালির রোম শহরের একটা এলাকা।

আর অস্ট্রিয়াতে তো যাই ই নাই কখনো। ওটা আরেক দেশ। দেখি নুহা চলতে চলতে কোথায় গিয়ে পরিনতি পায়

৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভাল লাগছে, কিছু মানবিক আবেগ খুব সূক্ষভাবে ফুটে উঠছে। চলুক, খুব এনজয় করছি লেখাটা।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সাথে আছেন দেখে ভালো লাগছে। অনেকেরই ধারাবাহিক লেখা পড়ার ধৈর্য থাকে না শেষ পর্যন্ত। আর পাঠকের ক্লান্তি দেখলে হয়তো আমিও ধৈর্য হারিয়ে ফেলতে পারি লেখার, যেহেতু লেখাটা এখনো চলমান !

১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

শ্যামল জাহির বলেছেন: লেখার শুরু- সুর্য যখন নয়টায় অস্ত হতো। গল্প যত সামনে এগুচ্ছে, সন্ধ্যা হওয়ার সময়টাও পরিবর্তন হচ্ছে।
জানিনা গল্পের শেষ সন্ধ্যাটা ক'টায় হবে(?) ততক্ষণ সাথেই থাকবো আশা রাখছি।
লিখা এবং গল্পে মুগ্ধ!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি নিজেও জানি না এই লেখার শেষটা কোথায় , কীভাবে হবে। গ্রীষ্মের সন্ধ্যে গুলো ওখানে একটু দীর্ঘই হয় ।

ভালো থাকবেন ।

১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১২

তুষার কাব্য বলেছেন: ভালো লাগছে।সাথে আছি।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ তুষার কাব্য

১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: পড়ছি আর ভাবছি, নিরানন্দ দাম্পত্য কতটা ক্লান্তিকর হতে পারে, কতটা একঘেয়ে হতে পারে সঙ্গীটি ।

লেখা কিন্তু ভালো হচ্ছে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ক্লান্তিকর সম্পর্ক টেনে নেয়া হয়তো ক্ষেত্রবিশেষে নিদারুণ যন্ত্রণার।
লেখা ভালো লাগছে আপনার কাছে, জেনে আমারও ভালো লাগলো

১৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “আমি জানি আমার কাছ থেকে একটু শর্মা ওকে খেতে দিলে ও ঠিকই খাবে। খাবে আর খেয়ে বলবে - ইশশ কত্ত মোটা হয়ে যাচ্ছি রে! আর খাবো না!”
-হাহাহা, শবনম ভাবির চরিত্রটি বেশ মজার করে এঁকেছেন। ভালো একটি কনট্রাস্ট দিয়েছেন নুহা-রেজা দম্পতির বিপরীতে!

-শেষে যা বলেছেন, আধুনিক দম্পতিদের মধ্যে তা মোটামুটি স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

-দেহের সাথে মনের যোগসূত্রটি অক্ষুণ্ন রাখা দাম্পত্য জীবনের বড় চ্যালেন্জ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নুহার কাছে বা কারো কারো কাছে হয়তো শারীরিক ব্যাপারটা ঠিক শরীরীই নয় শুধু, আরও অন্য কিছু। তাই হয়তো চাওয়ার আর পাওয়ার মিলন না হলেই কারো কারো চোখ শ্রাবণের আকাশ হয়ে যায় ।

১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


লাব্বায়েক !!! :)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ কাণ্ডারী ভাই :|

১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রেজা সাহেবের রুটিমাফিক চলাটা শুধু অফিসে করি। বাকি সময় চরম অনিয়ম্ ।অলস। কোন কাজের হলাম না বোধ হয়।


সুখি দম্পতি আসলে কয়জন আছে কে জানে? সুখএর ব্যাখ্যা আর অনুভূতিও একেক জনের কাছেএকেক রকম।

আবাহনী মোহমেডান,আওয়ামীলীগ-বিএনপি দম্পতি ও সুখী হতে পারে। যদি পরস্পরের আবেগ অনুভূতিকে শ্রদ্ধা জানাতে পারে। নিজেকে অন্যের কাছে বিলিয়ে দিতে পারে।

সুন্দর গল্পে ভাল লাগা +

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হাহাহাহা , ভালো বলেছেন --

আবাহনী মোহমেডান,আওয়ামীলীগ-বিএনপি দম্পতি ও সুখী হতে পারে। যদি পরস্পরের আবেগ অনুভূতিকে শ্রদ্ধা জানাতে পারে। নিজেকে অন্যের কাছে বিলিয়ে দিতে পারে।

---------- ধন্যবাদ ভাইয়া আপানাকে

১৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

একজন আরমান বলেছেন:
বড় একটা কমেন্ট করেছিলাম। প্রকাশ করতেই দেখি লগ আউট হয়ে গেছি ! X( X(( এখন আর করতে ইচ্ছে করছে না। /:)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আচ্ছা।

১৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: বিয়া শাদী করলে মনে হয় নুহা পড়ে বেশী ফিল করা যাইতো, অবিবাহিতদের কল্পনার এতো মজার একটা জিনিসকে বিবাহিত দম্পতিরা কীরকম একঘেঁয়ে ক্লান্তিকর রুটিন বানায়ে ফেলে, এইটা পড়ে মনটা খারাপ হৈ গেলু! :(

লেখা চলুক, সাথে আছি!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তোমার জন্য সমবেদনা রইলো ইফতি

১৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
রেজার ব্যাপারটা আমি ফিল করতেছি। নুহার তো বলা উচিত সে কি চায়, কীভাবে চায়, কীভাবে কি করলে তার কাছে "আছে আসা' বিষয়টা আরও অর্থবহ হয়ে উঠবে। স্বাভাবিকভাবে স্ত্রীর মনোভাব বোঝার ক্ষমতা অনেক স্বামীর নাও থাকতে পারে। নুহা বলার পরও যদি রেজার মাঝে পরিবর্তন না আসে তখনি শুধু তাকে দোষী করা যায়।

পুরুষ হওয়ার সুবাদে পুরুষের জন্য ডিফেন্স করলাম আর কি :P

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পুরুষ হইয়া ডিফেন্স ভালোই করছ। হুম ব্যাপারটা ভালোই বলছ, নুহার জানানো উচিত তার স্বামীকে সে কীভাবে তার স্বামীকে এক্সপেক্ট করে। দেখি পরবর্তীতে নুহা কী করে।

তোমার পরামর্শ ভালো লাগছে নাজিম

১৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

অদৃশ্য বলেছেন:




ভুল করে আগের পর্বে লিখে এলাম... আসলে এই পর্বটা সেদিন পড়েছিলাম... মন্তব্য বাদ রেখেছিলাম...


সামনে যাচ্ছি...

শুভকামনা...

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হাহাহা ঠিক আছে ভাইয়া

২০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

আমি ইহতিব বলেছেন: স্বামী - স্ত্রীর মানসিক দূরত্ব, নূহার অন্তদ্বন্দ দারুন সাবলীল ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপু। অনেক স্বামীরই স্ত্রীকে বোঝার এই দক্ষতাটা থাকেনা, নাকি তারা চেষ্টাও করেনা জানিনা বা বুঝিনা।

নাজিম ভাই ভালোই ডিফেন্স করলেন, হা হা হা :)
মেয়েরা এমন অনেক কিছুই আশা করে তাদের স্বামীদের কাছ থেকে যা চেয়ে পাওয়ার চাইতে অটোমেটিক্যালি পেলে বেশী খুশি হয় তারা।

ৎঁৎঁৎঁ ভাই অবিবাহিত জেনে ব্যাপক টাস্কিত হলাম। কারন হামা ভাইদের জন্য উনি যে অসাধারণ কবিতা লিখেছিলেন তাতে আমি ধারণাই করতে পারিনি উনি অবিবাহিত। তবে উনার মধ্যে একজন প্রেমিক পুরুষ বসবাস করে এটা ভালোমত বুঝতে পারলাম। আমার স্বামী মজা করে বললেন - বিয়ে করেননি বলেই নাকি তিনি এতো সুন্দর কবিতা লিখতে পেরেছেন, বিয়ে করলে নাকি তা পারতেননা :) :) :)

দুঃখিত আপু অপ্রাসঙ্গিক কিছু কথার জন্য।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অপ্রাসঙ্গিক কথার জন্য কিছুই মনে করিনি।

বিবাহিত বা অবিবাহিত -- বিয়েটা আসলে দিল্লিকা লাড্ডুর মতোই মনে হয় তাদের কাছে। তাই কল্পনায় সব কিছুই সুন্দর লাগে ! হাহাহহা

নাজিমের ডিফেন্সে যেমন মজা পেয়েছি আপনার উত্তরেও ভালো লাগলো যে , চেয়ে কিছু পাওয়ার চেয়ে চাওয়ার আগেই প্রত্যাশিত মানসিক বা অন্যান্য চাহিদা গুলোর যোগান পেলে আসলেই ভালো লাগে খুব। তবে অনেক পুরুষ হয়তো বুঝেও না বোঝার ভান করেন, ভাবেন বৌ কে টাইটে রাখা জরুরী। আবার অনেকে আছেন সাধ্য কম কিন্তু মানসিক ব্যাপারে তারা এতোটাই যত্নশীল তখন জাগতিক চাহিদার ব্যাপারে স্বামী/স্ত্রীর তেমন অভিযোগ ও থাকে না।

আপনার দিলখোলা কমেন্টে অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো

২১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

স্বপনচারিণী বলেছেন: সম্পর্কের টানাপোড়ন! খুব কমন বিষয়। পার্থক্য শুধু স্বীকার করা বা না করায়। ভাল লেগেছে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ । সম্পর্কে স্বচ্ছতা জরুরী

২২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৬

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: ভাবছিলাম এক পর্ব পড়ছি।কিন্তু পড়তে গিয়ে দেখি পাচ পর্ব কবে পড়ছি নিজেও জা্নিনা।লেখায় প্রফেশনাল একটা টাচ আসছে।নিঃসন্দেহে সাবলীল আর আকর্ষনীয়। পাঠক টানবে খুব। তবে কিছু দ্রব্যের না্মের উল্লেখ্য বাড়তি লেগেছে।
পাঠক বরাবর।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কোন কোন দ্রব্যের নামগুলো বাড়তি লেগেছে, জানালে সুবিধা হতো। প্রয়োজনে ঠিক করা যেতো।

শুভকামনা রাবেয়ার জন্য।

২৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: য়াগেরগুলো দেখে বলতে হবে তবে এই পর্বে যেমন ফানটা।এখানে ফানটা শব্দটা কেমন জানি উটকো একটা ভাব এনেছে আমার কাছে।শেষ প্যারাটা খুব ভালো লেগেছে

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ফান্টা নাকি ফানটার বানানে এমন মনে হচ্ছে জানি না। তবে ফাইনাল কারেকশনে প্রতি পর্বের কমেন্ট দেখে দেখে প্রয়োজনীয় কারেকশন করে নেবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.