নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।
নুহা - ৬
আমার দেহজুড়ে যে অবসাদ ছিল সারাদিনের হাঁটাহাঁটিতে, চোখজুড়ে রাজ্যের যে ঘুম কিছুক্ষণ আগেও ছিলো , তার ছিটেফোঁটাও যদি এখন আমার মাঝে থাকতো ,আমি না হয় চেষ্টা করতাম ঘুমোতে। রেজা পাশেই ঘুমোচ্ছে। আলো-আঁধারির ছায়াঘেরা কামরাটা কেমন যেন নিষ্প্রাণ লাগছে আমার মতোই। আমাদের শোবার এই রুমটায় কোনো জানালা নেই, দুটো দরজা আছে শুধু। এর মাঝে একটা দরজা বারান্দায় যাবার জন্য। এ বারান্দায় কয়েকটা ফুলের গাছ লাগিয়েছি; তবে গোলাপই বেশী। কাছেই একটা নার্সারি আছে, সেখান থেকে কেনা আর আছে একটা চায়নিজ কমলার গাছ। বারান্দার এক কোণে একটা ইজিচেয়ার রাখা আছে যেখানে সন্ধ্যার পর মাঝে মাঝে আমি বসে থাকি রেজা ঘরে আসার আগ পর্যন্ত।
দিনের আলোর চেয়ে সন্ধ্যা আর রাতের সৌন্দর্য কেন জানি আমার বেশী প্রিয়। ঠিক এ কারণেই বোধহয় রাতের টি টি পাখি আর জোনাকির ডাক এ মুহূর্তে আমি উপেক্ষা করতে পারি না বলে বিছানায় আর শুয়ে থাকতে পারি না। বারান্দায় দাঁড়িয়ে প্রাণভরে নির্মল বাতাস নেবার জন্য আমার ভেতরটা খুব হাঁসফাঁস করতে থাকে। যদিও আমি এখন বিছানা ছেড়ে বারান্দায় গেলে পাশে শুয়ে থাকা মানুষটা জানতেও পারবে না। রেজার মনের ব্যাপার নিয়ে আমি ততটা নিশ্চিত নই তবে ওর শরীর তৃপ্ত থাকলে আমার অন্য কোনো ব্যাপার নিয়ে সচরাচর ও মাথা ঘামায় না। নাক ডেকে ডেকে তখন ঘুমায়। যেদিন অতিরিক্ত নাক ডাকে, বেশী শব্দ করে সেদিন ওর গায়ে হালকাপাতলা ধাক্কা দিতে হয়। তখন আওয়াজটা কমে আর কি !
বারান্দায় এসে টের পেলাম বাইরে এখনো হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এখন গ্রীষ্মকাল হলেও সকালে আর রাতের দিকে বিশেষ করে বৃষ্টি হলে তখন একটু ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগে। বৃষ্টির ছাঁট হালকা হলেও বারান্দা আর ইজিচেয়ারটা ভিজে আছে। আমাদের বিল্ডিং থেকে একটু সামনের রাস্তায় একপাশে এতো বেশী গাছপালা লাগানো যে প্রথম দেখায় কেউ ভেবে নেবে ওখানে কোনো পার্ক থাকতে পারে। আর ওপাশটায় মানুষের চলাচল এমনিতেও একটু কম বলেই দিনের বেলাতেও সেখানের ঝিঁঝিঁর ডাক আমি আমার বারান্দাতে দাঁড়িয়েই শুনতে পাই; গাড়ি চলাচল কম থাকলে ঝিঁঝিঁর ডাক আরও ভালো মতো শোনা যায়। আমি মাঝে মাঝে ও রাস্তাটাতেও হেঁটে দেখেছি রেজার নিষেধ সত্ত্বেও। কারণ নিরিবিলি রাস্তায় নাকি হাইজ্যাকাররা থাকে, তবে আমার মনে হয়েছে ও নিজেই ভয় পায় বলে হাইজ্যাকারের ভয় দেখিয়ে আমাকে সেখানে যাওয়া বন্ধ করতে এ কথা বলেছে। ও রাস্তায় গাছপালা বেশী বলে শুকনো পাতা পড়ে রাস্তাটা প্রায়ই ভরে থাকে। আর একেকটা গাছ কি ভীষণ উঁচু! চার পাঁচ তলা বিল্ডিং ছুঁই ছুঁই সমান উচ্চতা !
ঘর থেকে একটা শুকনো কাপড় এনে ইজিচেয়ারটা মুছে গা এলিয়ে দিলাম সেখানে। বৃষ্টির রাতের একটা ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধ পাচ্ছি আমি। দিনের বেলায় যখন বৃষ্টি হয় তখনও চোখ বন্ধ করে গন্ধটা অনুভব করার চেষ্টা করেছি আমি। ভেজা পাতা, গাছের গুড়ি বেয়ে নামা পানি আর হালকা একটা কাগজ বা পাতা পোড়ার মতো মনে হয়েছে বৃষ্টির গন্ধটা। আমার এখানটায় গাছপালা বেশী হবার কারণেও এমনটা হতে পারে। অবশ্য এ গন্ধটা শুধুমাত্র এ বারান্দাতে এলেই আমি টের পাই এবং আমি একাই পাই। ইজিচেয়ারে গা এলিয়ে চোখ বন্ধ করে রাতের গন্ধ নিতে আমার ভালোই লাগছিল। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধ। আর হঠাৎ হঠাৎ করে দুই একটা গাড়ি হুশহাস করে চলে গিয়ে রাতের নিস্তব্ধতাকে বাড়িয়ে দিচ্ছিলো সেই সাথে। হয়তো কেউ বাড়ি ফিরছে কিংবা কেউ বা যাচ্ছে বারে বা ডিসকোতে ! আমার এভাবে একা বসে থাকতে বা ভাবতে খুব একটা খারাপ লাগছে তা না। আমার ভাবনাগুলোকে আমি বরং তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতে পারি যা খুব সহজেই অন্যরা পারে না। যদিও এখন রাত কিন্তু আমার মাথার মাঝে চারলাইন কবিতাও ঘুরছে -
একদিন অসময়ের বৃষ্টি শেষে
আকাশকে দেখেছিলাম কী ভীষণ নীলে
যেন স্নেহ-মায়া !
শব্দ নয়, শব্দের মতো বেজে ওঠা কোনো
অলৌকিক গানে !
আমার হঠাৎ করেই কেমন যেন এখন জ্বর জ্বর লাগছে। হয়তো মাথা ভার মনে হবার কারণ এটাই। সত্যি বলতে কি জ্বরের আগমনে আমি খুশীই হয়েছি। মাঝে মাঝে জ্বর হওয়া ভালো। নিজের কাছেই তখন নিজের আহ্লাদ করতে ভালো লাগে। কলেজে থাকতে আমার ডায়েরি লেখার অভ্যাস ছিল। ঐ সময়ে যখন মাঝে মাঝে ভীষণ জ্বর আসতো টুকটুক করে ডায়েরিতে লিখে রাখতাম -
" জ্বরের সময় কি তোমার শরীরটা কেমন তুলোর মতো হালকা মনে হয় না ? তুলোর বীজ যেমন বাতাসে ভেসে বেড়ায় তেমনি ভাবে তোমার মনে হবে তুমিও বুঝি ভেসে বেড়াচ্ছো ! প্রবল জ্বরের ঘোরে যখন তুমি জাগরণ আবার তন্দ্রার মাঝামাঝি থাকবে, সে সময় আমি চুপটি করে এসে তোমায় দেখে যাবো। ঘুম থেকে জেগে ইরাবতী তুমি ঠিকই বুঝবে আমি এসেছিলাম তোমার কাছে, তোমার ঘুমের মাঝে বা তন্দ্রার ঘোরে। তোমার ঘর জুড়ে রইবে কেয়ার গন্ধ ! "
আমার কখনই তেমন কাছের কোনো বন্ধু -বান্ধব ছিলো না। তাই নিজের সব কথা জমা ছিলো নিজেরই কাছে। এখন সেসব ভাবতেই একটা ছেলেমানুষি আবেগে মন ছেয়ে যাচ্ছে আমার। আমার নাম আমি দিয়েছিলাম - ইরাবতী; নদীর নামে নাম।
সেদিনের সে কলেজের দিনগুলো আর নেই এখন। থাকলে হয়তো আমি আবারো ইরাবতীকে লিখতাম -
" প্রিয় ইরাবতী,
কী নিবিড় এক বৃষ্টিমুখর দিন গেলো আমার এই পাহাড়ঘেরা বাড়িটার আঙিনায় , তুমি কি দেখেছিলে ? কী গভীর মদির মেঘমাদলই না বেজেছে আজ ! দিনের চোখের কাজল তাই এখন রাতের সুরভীতে আচ্ছন্ন। সমস্ত কোলাহল আর ব্যস্ততার শেষ করে এরকম করে স্বগতোক্তির মতো করে সবকিছু একমাত্র তোমাকেই বলা যায় , ইরাবতী ! তুমি অনুভব করতে পারছো কী ?
মাঝে মাঝে তুমি বলো বটে নৈঃশব্দ্যের আগুনে পুড়ে যাচ্ছে তোমার সত্ত্বা। সে সময় কখনো কখনো তোমার দিগন্তে মিলিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু আমার মতো করে তুমিও জানো হয়ত আভ্যন্তরীণ এ দহন বড় তৃপ্তির যেমন করে যন্ত্রণারও। যদিও আমি বা তুমি আমরা কেউ জানি না এ পথের শেষ কোথায় , যন্ত্রণাগুলো দুঃসহ অপেক্ষায় থেকে থেকে কবে প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দুতে মেলাবে।
লক্ষ্মী মেয়ে ইরাবতী, এবার বলোতো তোমার গভীরতম বেদনার কথা ! অন্তত একটা বেদনার কথা হলেও আমায় বলো ! শোনো , তোমার পাঁজরে জমে থাকা যত বাষ্প তা আজ মুক্ত করে দাও। কুয়াশা যেভাবে ঝরে পড়ে পাতার কান্নায় তেমনি করে ঝরিয়ে ফেলো তোমার জীবনের প্রগাঢ় বিষফোঁটা।
আজ এখানেই বিদায়। ধরে নাও আমি তোমারই মতো
- এক ইরাবতী কিংবা নুহা কিংবা তোমার লাবণ্য- বিলাপ !!! "
ধ্যাত কী সব ভাবছি এখন এসব ! নস্টালজিক হাওয়া বাইরে। সারারাত জেগেই রইলাম অন্যান্য রাতের মতোই আজ রাতেও ; নির্ঘুম আরেকটা রাত !
সকালে চোখে রোদ পড়তেই ঘুম ভাঙল আমার। এরকম একটা আলো ঝলমলে দিনের শুরু দেখে ভেবে নেয়া সত্যিই কঠিন গতকাল ওরকম একটা বৃষ্টিমুখর রাত গিয়েছে। কতটা নস্টালজিকই না হয়েছিলাম গতরাতে। ঘুম ভাঙার পর গায়ে আরামদায়ক এক আলস্য কাজ করে। তাই ঘুম ভাঙার সাথে সাথেই বিছানা ছাড়া ঠিক না। তবে ইজিচেয়ারে শুয়ে বিছানার আরামদায়ক আলস্য পাওয়া সম্ভব না বলে ঘরের দিকে পা বাড়াই। রাতে বারান্দায় ইজিচেয়ারে শুয়ে কখন ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম টেরই পাইনি !
রেজা এতো বেলা অবধি ঘরে থাকবে না সে জানা কথাই তবুও ঘরে ঢুকে ওকে না দেখে এই সকালেই কেমন করা এক শূন্যতায় যেন ভেতরটা হু হু করে উঠলো। সকাল বেলাতেই জটিল বা দার্শনিক ভাবনায় বুঁদ হওয়া ঠিক না তবুও মনের মাঝে একটা প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিয়ে যাচ্ছে -
- রেজার জন্য কি শুন্যতা অনুভব হচ্ছে নাকি ঘরে একলা আছো বলেই হু হু করা এক আকুলতা ঘিরে ধরেছে তোমায় , নুহা ?
- জানি না
- এড়িয়ে যাচ্ছ কেন ?
- এড়াচ্ছি না তো !
- রেজাকে ভালোবাসো ?
- এতগুলো বছর একসাথে কাটিয়ে দিলাম , এখন আবার ভালোবাসার প্রশ্ন উঠছে কেন ?
- মোটে তো তিন বছরের সংসার তোমাদের
- হুম , তো কি হয়েছে ?
- রেজাকে তো কখনো ভালোইবাসনি, তাই প্রশ্নটা করলাম
- ধ্যাত !
নাহ একা একা থেকে আমি উল্টাপাল্টা ব্যাপার নিয়ে যথেষ্ট মাথা ঘামাচ্ছি। আর ভালো লাগে না এভাবে ঘরে বসে থাকা। আজ রেজা বাসায় ফিরলে এ ব্যাপারে কথা বলতে হবে। জব করলে অন্তত সে সময়টা ভালো কাটবে ! ঘুম ভেঙে রেজাকে ঘরে না দেখে সত্যিই কি আমার বুকটা ছ্যাত করে উঠেছিলো ? উমমম তা কেন হবে ! পাশাপাশি থাকতে গেলে একে অপরের প্রতি সহানুভূতি জন্মাতেই পারে কিন্তু তাকে কি আর ভালোবাসা বলা যায় !
- নুহা , তুমি তো কাউকে কখনো ভালোইবাসনি , তুমি জানবে কি করে ভালোবাসার অনুভব কেমন !
উফফফ আবার শুরু হলো ভেতরের আরেক নুহার প্রশ্ন- জিজ্ঞাসা ! এমন অস্থির লাগছে কেন আমার আজ , তাও ঘুম ভেঙেই ! কেমন বুক ফেটে কান্না আসছে ! বাংলাদেশের সাথে আমাদের এখানের সময়ের ব্যবধান চার ঘণ্টা। এই সময়ে মা রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকে । তাকে এখন ফোন দিলেও দেখা যাবে আমার দিকে তার মনোযোগ নেই। আমাকে লাইনে রেখেই বুয়ার সাথে কথা বলবে কিংবা কিছু না কিছু করবে। তারপর এক পর্যায়ে বলবে -
- হুম তুই বল না কি বলবি , আমি শুনতাছি তো
- কি রান্না করছ ? প্রায় দুপুর একটা বাজে , এখন তো খাবার সময় ! এখনো রান্না করো যে !
- তোর বাপে অফিস থেকে আসার সময় মাছ নিয়া আইছে ! এইগুলো কাটাইলাম বুয়ারে দিয়া , ফ্রীজে রাখনের আগে কইতাছে টাটকাই খাইতে পারলে ভালো হইত। তাই আবার নতুন আরেকটা তরকারীর পদ রানলাম । একটু লাইনে থাক , দেখি কে জানি আইছে
আমার আর লাইনে থাকার অপেক্ষা শেষ হয় না ! মা যে ঠিক কি কি নিয়ে ব্যস্ত কে জানে ! যখন ফোন রেখে দিবো ভাবছি সে সময় আবার মা বলবে - হুম , বল ।
- ধুর , একটু পর পর কই যাও মা ?
- আর কইস না ! ঐ তুই একটু পরে ফোন কর তো দেখি ! তোর হারুন মামার আব্বায় আইছে।
- কোন হারুন মামা আবার !
আমার কথার উত্তর না দিয়েই মা ফোন রেখে দেয়। বাংলাদেশে সবাই এতো ব্যস্ত যে কারোই কথা বলার সময় নেই। আর এসব কারণেই মা কে ফোন দিতে ইচ্ছে করে না দিনের বেলায়। রাজ্যের কাজের দায়িত্ব সে একাই নিয়ে বসে আছে যেন। কাকে যে ফোন দিয়ে একটু গল্প করা যায় ভাবছি ! আমার এই মুহূর্তে ঘরের নীরবতায় একটা অসহ্য দম বন্ধ করা ভাব হচ্ছে। মনে হচ্ছে কারো সাথে কথা না বলতে পারলে মারাই যাবো। আমার তেমন একটা বন্ধু - বান্ধব কোনো কালেই ছিলো না ! উমমম কাকে ফোন দেয়া যায় তাহলে ! ইয়েস ! লাবনীকে ফোন দেই। আমেরিকাতে এখন রাত বারোটার মতো বাজে হয়তো !
- হ্যালো লাবনী !
- ওহ নুহা ! কি রে কি খবর !
- ঘুমাচ্ছিলি নাকি ?
- বাসায় সারাদিন অনেক গেস্ট ছিলো তো ! কাজ কর্ম শেষ করে বিছানায় এসে শুলাম মাত্র ! সমস্যা নাই বল ।
ওপাশ থেকে ওর হাই তোলার শব্দে আমি খুঁজে পাই না আসলে কি বলব ! নারে লাবনী , তেমন জরুরী কিছু না । ভাবলাম অনেকদিন খোঁজ নেয়া হয় না , তাই ফোন করলাম !
- অনেক স্যরি রে দোস্তো , লাস্ট ফোন তুইই করেছিলি। আমার উচিত ছিলো তোকে ফোন করা কিন্তু কামরুলের বন্ধু - বান্ধবদের বাসায় পার্টি থাকে , আমাদের বাসায়ও থাকে। আবার মেয়েটাকে মাত্রই নতুন ভর্তি করালাম স্কুলে তাই সময় করে উঠতে পারি না। আর যখন মনে পড়ে তোর কথা তখন তোর এখানেও সকাল , ঐ টাইমে তুই যদি ঘুমিয়ে থাকিস এই ভেবে আর ফোন করা হয় না !
- ঠিক আছে ! তুই অস্বস্তিতে ভুগিস না ! রেস্ট কর। আবার কথা হবে ।
ধ্যাত আজ সকালটাও বাজে ভাবে যাবে নাকি গতকালের সকালের মতো ! কী যে করি এখন! এক কাজ করি ! রান্না শেষ করে আজ রেজার অফিসেই যাওয়া যাক ! এমনিতে বেশ কয়েকদিন ও বলেছিলো ওর এখানে যেতে বিকালের দিকে। আশেপাশের মার্কেটগুলো ঘুরে ফিরে সন্ধ্যায় এক সাথে বাসায় ফেরার কথা বলেছিলো রেজা। আজ সেখানেই যেয়ে ওকে একটা সারপ্রাইজ দেয়া যেতে পারে।
চলবে
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কমেন্টে প্লাস দেয়া গেলে তোমাকে একটা বড়সড় প্লাস দিতাম অভি।
নুহার যে কয়টা পার্ট আমি লিখছি তার মাঝে এই পার্ট টা আমার নিজের কাছেই খুব ফেভারিট।
উন্নত দেশে ভয়াবহ ছিনতাই হয় শুনেছি, কিন্তু আমার দেখার অভিজ্ঞতা হয় নাই। আর এমনিতেও ইংলিশ মুভি দেখা কম হয়, তাই ও ব্যাপারে ব্যাপক ধারণা হয় নাই আমার।
আয় হায় রেজারে দেখি ছ্যাঁচড়া বানাইয়া দিলা। সামনের পর্ব গুলিতে তাইলে কী বলবা !
নুহার মানসিক দ্বন্দ্বের পাশাপাশি রেজার দ্বন্দ্ব গুলো ফুটিয়ে তুলবো ভাবছি। ভালো খারাপ নিয়েই যেহেতু মানুষ।
তোমার মন্তব্যও ব্যাপক ভালো লাগলো অভি। আজ সুযোগ পেয়েছি তাই ইচ্ছা আছে ব্লগাবো অনেকটা সময় পর্যন্ত ।
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
সায়েম মুন বলেছেন: হয়ত উপন্যাস নয়। আশা করি সুন্দর একটা উপন্যাস হবে এটা। লিখতে থাকুন। শেষ হলে এক সাথে দিয়েন।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২
মামুন রশিদ বলেছেন: এই পর্বটা নুহার আত্মকথন । ইরাবতীকে লেখা চিঠি, কবিতা বা তার নিজের সঙ্গে কথা বলা থেকে নুহা সম্পর্কে আমরা মোটামুটি জানতে পেরেছি ।
চলতে থাকুক
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
একজন আরমান বলেছেন:
। সারারাত জেগেই রইলাম অন্যান্য রাতের মতোই আজ রাতেও ; নির্ঘুম আরেকটা রাত !
সকালে চোখে রোদ পড়তেই ঘুম ভাঙল আমার।
ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারিনি। দ্বিমুখী লেগেছে কেমন যেন। !
উপন্যাসটা ঘুরেফিরে পরকীয়া নির্ভর হবে বলেই মনে হচ্ছে !
ভেবে রেখেছি চাকরিজীবী মেয়ে বিয়ে করবো, তাহলে সারাদিন স্টার জলসা আর স্টার প্লাস দেখে আজগুবি সব ঘোরের মধ্যে থাকবে না ! রিয়েলিটি বুঝবে, সময় কেটে যাবে, আন্ড্রাস্টান্ডিং থাকবে দুজনের মাঝে !
উপন্যাস পোহাবার কতো দেরি পাঞ্জেরি? :-< :-< :-<
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন:
সকালে চোখে রোদ পড়তেই ঘুম ভাঙল আমার।
----- এই লাইন দ্বিমুখী লাগছে কারণ মনে হয় তাড়াহুড়া করে পড়েছিলে। তাই অন্য আরেকটা লাইন স্কিপ করে গেছো বোধ হয় --
রাতে বারান্দায় ইজিচেয়ারে শুয়ে কখন ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম টেরই পাইনি !
চাকরিজীবী মেয় এবিয় একরবা ভালো চিন্তা করছ। সময় এখনো শেষ হয়ে যায় নাই, মাত্রই তো চাকরীতে ঢুকলে।
উপন্যাস কবে শেষ হইব জানি না পাঞ্জেরী
৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নুহার আত্মকথন ইন্টারেস্টিং লাগল। অনেক গুলো সুতোর উপস্থিতি অনুভব করছি, দেখা যাক তারা কি বোনে!
চলুক।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ শঙ্কু
৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন:
একদিন অসময়ের বৃষ্টি শেষে
আকাশকে দেখেছিলাম কী ভীষণ নীলে
যেন স্নেহ-মায়া !
শব্দ নয়, শব্দের মতো বেজে ওঠা কোনো
অলৌকিক গানে !
- নুহা তো চমৎকার কবিতা লেখে!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্প , উপন্যাসে কেন্দ্রীয় চরিত্ররা অনেক গুনেই গুণান্বিত
৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
শ্যামল জাহির বলেছেন: গতকাল সকাল ৮টায় নুহা'র উপস্থিতি ছিল বেশ ক'টা পর্বে। ভাবলাম, ফ্রেশ হয়ে ব্রি(হ)অস(কর্নেত্ত) কফির পর্ব শেষ করে চোখ বুলাবো।
ওমা, নুহা উধাও!
আজ জেগেই আবিষ্কার করলাম নুহা - ৭। কিন্তু ক্লিক করতেই নুহা-৬!
নুহা দীর্ঘজীবী হোক। অনুসরণ করছি।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার উপস্থিতি ভালো লাগছে। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ
৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫
শায়মা বলেছেন: আপু একদম নাটকের মত!!
মনে হল রাত জাগা তোমাকেই দেখতে পেলাম।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হাহহাহা .... আমার রাত জাগা তারা, তোমার অন্য কোথাও বাড়ি !
ভালো থাকবেন আপু
৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: এই অংশের সেট আপ টা ভাল লাগল বেশি । কাব্য - বর্ণনায়
সুন্দর একেকার । ভাল লেগেছে বেশ কয়েকটা লাইন । নুহার চরিত্রটা ও আকর্ষণ জাগাচ্ছে ।
সব মিলিয়ে গল্পটা সুন্দর ভাবেই আগাচ্ছে ।
চলতে থাকুক ।
দেহি নুহা য় কই লইয়া যায়
ভাল থাকবেন আপা ।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জেনে ভালো লাগে যে নুহাকে নিয়ে এই লেখাগুলো উপভোগ করছ।
সাথেই থাকো, দেখো নুহা কোথায় কোথায় যায় !
ভালো থেকো মাহমুদ
১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
স্বাধীনচেতা মানবী বলেছেন: অনুভবে একটা শক্ত অবস্থান করে নিল নুহা । ++++++++
এত দুঃখী কেন ও !!!!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নিজের উপলব্ধি, কথোপকথন -- এসব নিয়েই নুহা। ঠিক দুঃখী বলা যায় কী তাকে ?
শুভেচ্ছা আপনাকে
১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভাল লাগছে, এই পর্বটা সবচেয়ে ভাল হয়েছে।
চলবে,আমি চলিব।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। শান্তিতে থাকুন
১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
ভিয়েনাস বলেছেন: শুধু এই পর্বটা পড়েই মনে হলো "নুহা " উপন্যাসের নামকরণ টা স্বার্থক হতে চলেছে ........
সাথে আছি দি
চলুক ..............
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভিয়েনাস। 'দি' ডাকটা ভালো লাগলো খুব
১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভারতীয় ডেইলি সোপগুলোর একটা ছাপ রয়েছে পুরো সিরিজ জুড়ে। আশা করি কয়েকশ এপিসোড হবে এই নুহা সিরিজের। স্টার জলসা না জানি জী বাংলায় একটি নাটক হয় নাম জানিনা আমার স্ত্রী দেখে সেইখানে প্রধান উপজীব্য বিষয় হল দ্বিমুখী প্রেম। টানটান উত্তেজনা পুরা নাটক জুড়ে। যদিও আপনার এই গল্পে আমি তেমন কিছুই পেলাম না। তবে গল্প পড়ে বেশ রোমাঞ্চিত (ভাইবেন না কিন্তু আবার রোমান্স বলছি) হচ্ছি।
তবে যে যাই বলুক আমার কিন্তু এক কথায় দারুন লাগছে সিরিজটি।
ছোট বেলায় ম্যাগগাইভার নামে একটি টিভি সিরিজ হত। আমার মনে হত কেন প্রতিদিন সিরিজটি হয়না। আপনার এই সিরিজটি আমার কাছে ঠিক তেমনি লাগে কেন প্রতি ঘন্টায় আসেনা পোস্ট।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ম্যাকগাইভার আমার প্রিয় একটা সিরিজ। সম্ভবত প্রতি মঙ্গলবার হতো রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এই সিরিজটা। মেগা সিরিয়ালের ইচ্ছে নাই বা ওভাবে চিন্তা করি নাই। জানি না কতদূর পর্যন্ত লিখব।
ভালো থাকবেন কাণ্ডারী ভাই
১৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
উপন্যাস চলুক।
ভালো লাগতেছে।।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ওকে, সাথে থাকো
১৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ডায়েরীর ব্যাপারটা আনায় এই গল্পটা একটু ভিন্ন স্বাদ দিয়েছে, ভাল হচ্ছে আপু।
কর পর্ব পর্যন্ত যাওয়ার সম্ভাবনা আছে লেখাটা?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জানি না নাজিম, কত পর্ব লিখব। যেখানে গিয়ে থামবে নিজ থেকে সে পর্যন্তই লিখব। জোর করে টেনে বাড়াবো না।
ভালো থেকো
১৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: *গল্পটা=পর্বটা
ঘুমের চোখে কি কমেন্ট দিলাম
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: রাত জাগা ভালো না।
১৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ঝাতি লিঙ্ক খুঁজে পেতে জানে
এই পর্বটা ভালো লাগছে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কষ্ট করে খুঁজে নিয়ে পড়লে ভালো, মনে থাকে। না হলে তো ভুলে যাবি।
১৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬
অদৃশ্য বলেছেন:
গত পর্বটাতে নুহার ঘুরাঘুরি খাওয়া দাওয়া গল্পসল্প অভিমান একাকীত্ব পরিশেষে সেই ঝামেলার মধ্য দিয়ে শেষ হওয়া নুহার সবকিছু ভালোই লাগছিলো... স্বামীর বন্ধু তার স্ত্রীর সাথে একান্ত সময় অতিবাহিত করার সময়টাতে নুহাকে ভালোলাগছিলো... ভাবছিলাম ঘরের বন্দীত্ব ও স্বামীর প্রতি বিরুপ ভাবনায় নুহার এমন সময়তো চাই...
এই পর্বের শুরুটিও দূর্দান্ত ছিলো... এখানে বলে রাখা ভালো, আমার মনে হয় কবিতারা রাত্রিকে বেশি পছন্দ করে... কবিতারা শান্ত সময়কে পছন্দ করে বলেই... যেমন নৈশব্দ্য, নির্জনতা ইত্যাদি...
রাতের একাকী ভাবনাগুলো চমৎকার লাগছিলো... কবিতা, চিঠি...
কিন্তু সকাল শুরু হবার পরই লিখাটি আমাকে হতাশ করলো... রেজার প্রতি আপনার শূন্যতাটুকু এতো তাড়াতাড়ি আপনার কাছ থেকে আশাকরিনি... আমি ধরে নিয়েছিলাম সেটা আসবে, তাই বলে এখনই... একটি ভাব জমাট বাধবার আগেই আপনি তা একেবারেই নষ্ট করে দিলেন! লিখাটিতে রেজা আর আপনার ভেতরে যে খেলাটা চলছিলো এটাকে আরো কিছুটা ঘনবদ্ধ করলেই সম্ভবত গল্পটা আরো জমজমাট হতো... আমি এমনটা ভাবছি, পাঠকের মতামত কিন্তু...
সামনের অপেক্ষায় থাকলাম...
শুভকামনা...
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: রেজা আর নুহাকে নিয়ে ভাবনার সময়টা এভাবেই ভাঙা গড়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেখা যাক এই দম্পতি কোন পর্যন্ত যায় এক সাথে বা একা একা। মানসিক দিকের সমঝোতা দাম্পত্য জীবনে খুব বড় একটা ফ্যাক্টর, এই দুইয়ের সন্নিবেশ জরুরী।
সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
১৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: যখন সংসারী ছিলাম, সংসারের নানা প্রয়োজন মেটাতে সপ্তাহের ছ'টি দিন সকাল থেকে সন্ধ্যাবধি কাটিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। সন্ধ্যার পর ঘরে ফিরে এসে 'মাঝি'র কাছে জানতে চাইতাম কখনো কখনো সারাটা দিন তার কীভাবে কাটলো। বিস্তারিত জানতে পাইনি কখনো। নুহা'র কাহিনীতে তার এক একটি দিন জানছি আর অবাক হচ্ছি। নিদ্রাভঙ্গ থেকে নিদ্রাতুর হওয়া পর্যন্ত। মেয়েরা সারাটা দিন কীভাবে পার করে। সন্তান থাকলেও কখনো (পুরোটা দিনের ভেতর) কিছুক্ষণের জন্য হলেও সে বোরড হতে পারে। যাচ্ঞা করতে পারে মনে মনে খানিকটা নিজস্ব সময় কিংবা যার যার রেজাকে।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এরকম অনেক দম্পতিদের বলতে শুনি, সারাদিন কী করে কাটাইলাম এইটা আবার জানার বিষয় নাকি? পুরুষের ক্ষেত্রে - কী আবার করবো, অফিসেই ছিলাম সারাদিন, রাজ্যের ব্যস্ততা। নারীর ক্ষেত্রে - ঘরে কি কাজের অভাব আছে নাকি ? কাজ কইরা সময় পাই না ভাবুম কখন ?
শত ব্যস্ততায়ও সারদিনে রাতে নিজের জন্য ১০ মিনিট সময় যে কারোই হয়। সে ১০ মিনিটের নিজের জন্য যে উপলব্ধি সেটাই অনুভব করতে চাওয়া উচিত স্বামী স্ত্রীর ক্ষেত্রে, বন্ধুর মতো, কখনোবা স্বামীর মতো।
আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন, ভালো লাগলো জুলিয়ান দা
২০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৬
আমি ইহতিব বলেছেন: বিষাদী নূহার জন্য কষ্ট হচ্ছে। এমন উপেক্ষিত নূহা হয়ত ঘরে ঘরে আছে, তাদের জীবন কাহিনী অজানাই থেকে যায়। শতব্যস্ত স্বামীদের মহামূল্যবান সময়ের মাঝে এতোটুকু ফুরসত হয়না নূহাদের হাল জানার। জুলিয়ানদাকে সালাম তার অন্তত প্রচেষ্টাটুকু ছিলো বলে।
ভালো লাগছে নূহার গল্প সাথে আছি আপু। তবে আজ আর মনে হয় সময় দিতে পারছিনা। সকালে আবার জীবন যুদ্ধে দৌড়াতে হবে। শুভ রাত্রি।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এরকম বিষাদী নুহা যেমন আছে এর বিপরীত ও আছে। খাওয়াদাওয়া আর থাকার জায়গা পেলেই হলো , স্বামী ভালবাসল কি বাসলো না এতে সে নারীর কিছু যায় আসে না, বাইরে অন্য নারীর সাথে বহুমাত্রিক সম্পর্কে জড়ালো কিনা তাতেও কিছু যায় আসে না, হিসাব করে দিন শেষে লোকটা তো ঘরে ফিরেই আসে। । এমন অনেকেই আছে কিন্তু । দেখি পারলে নুহার এই লেখায় সেরকম কিছুও আনবো ।
আপনাকেও শুভ রাত্রি আপু । ভালো থাকুন
২১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: জনাবা অপর্ণা মম্ময়! স্বীকার করছি, নুহাকে কেন যেন ভালো লাগতো না। তার চাইতে শবনমকে আমার বেশি পছন্দ ছিলো! (মাইন্ড খাবেন না। নুহা তো আর আপনি নন!)
নুহা উরফে ইরাবতির জন্য এবার মায়াই হলো। বেচারা মাকেও পায় না কথা বলতে। একদম একা নুহাকে পেলাম এ পর্বে।
জ্বর আসলে আমারও ভালো লাগে। এখনও।
প্রাকৃতিক পরিবেশের বর্ণনায় মুগ্ধ হলাম।
“আমার এভাবে একা বসে থাকতে বা ভাবতে খুব একটা খারাপ লাগছে তা না। আমার ভাবনাগুলোকে আমি বরং তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতে পারি যা খুব সহজেই অন্যরা পারে না।” -হুম।
মানুষ নাকি প্রকৃতই একা। ভাবতে সাফোকেটিং লাগে! অথচ এটিই সত্য।
শুভেচ্ছা অনেক!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মইনুল ভাই আপনার মন্তব্যটা বেশ উপভোগ্য। শবনমকে ভালো লাগতো জেনে ভালো লাগছে। শবনম বা নুহা যেইই হোক, দুজনেই তো আমার সৃষ্ট চরিত্র। রেজাকেও যদি আপনার ভালো লাগতো তাও উপভোগ করতাম।
নানান কাজকর্মের মাঝে থেকে লেখালেখির জন্য একমাত্র গভীর রাত ছাড়া অবসর পাই না। এ পর্বটা লিখেছিলাম খুব নিরিবিলিতে। তাই হয়তো নুহার একাকীত্বটা সেভাবে উপলব্ধি করাতে পারলাম।
আদতেই মানুষ একা।
আপনাকেও শুভেচ্ছা
২২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
স্বপনচারিণী বলেছেন: প্রবাসী একাকীত্ব ফিল করার চেষ্টা করলাম। খুব সুন্দর ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। যদিও একাকীত্ব আনন্দের নয়, কামনার বস্তু নয়।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: একাকীত্ব কিছু কিছু সময় কাঙ্ক্ষিত অন্তত আমার কাছে। তবে প্রবাসের একাকীত্বটা দুমড়ে মুচড়ে দেয় অনেককেই, যেমন নুহাকেও !
২৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১১
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: এরকম মনে হয় সবারই যে একটা বিশেষ গন্ধ আর তাতে মিলেমিশে একটা অনুভুতি কেবল আমারই আছে। নুহার মত যেমন আমার।এটা গল্প না লিখে উপন্যাস লিখলেই ভালো হবে। একেবারে উপন্যাস টেস্ট এর হচ্ছে। ভালো হচ্ছে
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ট্যাগ বদলে পরে " উপন্যাসই" দিয়েছি। ধন্যবাদ রাবেয়া
২৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৪
বৃতি বলেছেন: গতকাল একটানা সাতটা পর্ব পড়েছি । প্রবাসী নুহা চরিত্রটি এরমধ্যে অনেকটাই ডেভেলপড । ভাল লাগছে । ইরাবতী কিংবা নুহা কিংবা লাবণ্য- বিলাপ পছন্দ হয়েছে ।
বাকিটুকু পড়ে আবার মন্তব্য করব আপু ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ওহ ! গল্পে অনুকাব্য আর চমৎকার একটা ডায়েরী লিখন থাকায় এবার সত্যি সত্যি ভিন্ন স্বাধ পেয়েছি !
ফুটিয়ে তুলেছেন উন্নত দেশগুলোতে হয়ে থাকা ছিনতাই এর কথা , খারাপ শুধু আমরা না , মুভিতেও দেখি ভয়ানক সব ছিনতাই ! নুহাকে আর ওখানে নিবেন না ,আমারো মনে হয় ছেঁচড়া রেজা মিথ্যে বলে নাই ! বিপদ হতে পারে !
আর নুহার মানসিক দ্বন্ধ আরো স্পষ্ট ! যারা ভালোবাসা থেকে দূরে থাকে তারা হয়তো কখনোই বুঝতে পারেনা সাথে থাকা আর ভালোবেসে সাথে থাকার পার্থক্য টা ! বেচারী নুহার দুর্ভাগ্য !
ব্লগে বসে , লগআউট হতে গিয়ে মনে হলো নুহা তো দিলেও দিতে পারেন! তাই অনুসারিত ব্লগে এসেই দেখি মাত্র দিয়েছেন ১ বার পঠিত ! তাই ফার্ষ্ট কমেন্ট আমার , দীর্ঘ কমেন্ট লিখার ফাঁকে কেউ দিয়ে গেলেও !