নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।
নুহা-৭
ঝটপট মুরগী আর ডাল ভুনা রান্না শেষে শাওয়ার নিয়ে রুমে আসার পর ভাবছিলাম রেজার অফিসে কী ড্রেস পড়ে যাওয়া যায়। প্রথমবার যখন ওর অফিসে যাই ( অফিস না বলে বলা যায় একটা হোটেল , ওরা বলে রিলিজিয়াস হোটেল। ভ্যাটিকেন সিটির পাশেই ।) সেদিন শাড়ি পড়ে গিয়েছিলাম আমাদের দেশীয় ঐতিহ্য তুলে ধরতে। শাড়ি পড়ে আমি স্বস্তি পাই না অনভ্যাসের কারণে কিন্তু রেজাকে খুশী করতেই সেদিন শাড়ি পড়েছিলাম। ওর কাজের জায়গায় যাবার পর অনেককেই দেখেছিলাম খুব আন্তরিকতা নিয়ে আমার সাথে পরিচিত হতে আসতে। পুরুষদের চেয়ে নারী সহকর্মীই ওর বেশি দেখেছিলাম। তবে একটা মেয়ের উপরে বিশেষ ভাবে আমার চোখ পড়েছিলো। লিওনা মেয়েটির নাম। খুব চুপচাপ দাঁড়িয়েছিলো এক কোণে আর আমাকে দেখছিলো। ওই মেয়েটাকে দেখলে কেন যেন খুব অস্বস্তি হয় আমার । বাসায় ফিরে সেদিন রেজাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম -
- আচ্ছা রেজা , একটা কথার উত্তর দেবে ?
- কি !
- লিওনা আমার সাথে একটা কথাও বলেনি , এমনকি হাই , হ্যালো টাইপ কিছুও না। তুমি কি খেয়াল করেছ ব্যাপারটা ?
- কি জানি , জানি না। আর প্রথমদিন তোমাকে দেখলো কী বলবে , মাত্রই তো দেখা হলো ! খুব বিরক্ত হয়ে রেজা যেমন উত্তর দিলো , সেই সাথে লিওনার প্রসঙ্গটাও ও কেমন যেন এড়িয়ে যেতে চাইলো , আমার এমনটাই মনে হলো। এই ধারণাটা আমার শক্ত হলো যখন রাতে রেজাকে খেতে ডাকলে সে জানালো সে খাবে না , খিদে নেই। আমি খুব স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিলাম ব্যাপারটা তাই আমার মনে কাজও করেনি রেজা কিছু নিয়ে রেগে আছে বলে রাতে খায়নি , কিন্তু আমি একা একা খেয়ে নিলে অনেকদিন পর এই প্রসঙ্গ তুলে রেজা একবার বলেছিলো -
- তুমি আমার কথা তেমন ভাবো নাকি ?
- মানে ?
- ভাবলে কি আর আমাকে রেখে একা একা খেতে পারতে ঐদিন ? ওর কথা শুনে আমার তো আকাশ থেকে পড়ার দশা ! বলে কি ! স্মৃতি হাতড়েও ওর কথার মানে খুঁজে না পেলে ও মনে করিয়ে দেয়া ওর দায়িত্ব মনে করে যে প্রথম যেদিন ওর কাজের জায়গা থেকে আসি , সেদিন রাতে ও না খেলেও আমি ঠিকই খেয়ে নিয়েছিলাম।
- তুমি না খেয়ে থাকলে আমিও খেতে পারব না খিদে লাগা সত্ত্বেও এমন কোনও নিয়ম আছে নাকি রেজা ! আমি না খেয়ে থাকলে কখনো , তুমিও না খেয়ে থাকো বুঝি ! বাহ চমৎকার তো !
- কিসের সাথে কিসের তুলনা দাও তুমি !
- এই যে দুপুরে আমি বাসায় থাকি বা বাইরে যেখানেই থাকি , আমি খেয়েছি কি খাইনি সে হিসেব কি তুমি করো রেজা ? বরং তুমি লাঞ্চ সেরে আমাকে ফোন দাও আমি কি করছি জানতে। কত কত দিন আমি রাতে তোমার সাথে খাবো বলে বসে থাকি , অথচ তুমি বাসায় ফিরেও জানাও আজ হোটেল থেকে কাজ শেষ করে কলিগদের সাথে ডিনারও করে এসেছ ! কই আমি তো কিছু বলি না তোমায় !
- নুহা , সারাদিন অনেক পরিশ্রম করি , খিদে যখন লাগে তখনই খেয়ে ফেলি , বোঝো না কেন !
- আমি বুঝি রেজা। তাই হৈচৈ করি না । আমারও খিদে লেগেছিলো তাই সেদিন আমিও খেয়ে নিয়েছিলাম। সোজা হিসেব ! অথচ তুমি মানতে পারছ না ! এমন না যে তোমাকে জিজ্ঞেস না করেই খেতে বসেছিলাম। তুমি বলেছিলে খাবে না তুমি।
মানুষ কত আশ্চর্য প্রাণী ! ইউরোপের মতো আধুনিক আর সভ্য দেশে থেকেও রেজা পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের গণ্ডি ছাড়িয়ে উঠতে পারলো না এখনো ! যাই হোক বাসা থেকে বের হয়ে বাস স্টপেজের দিকে যেতে যেতে পুরনো কথা গুলো মনে পড়ে গেলো। আচ্ছা, রেজাকে না জানিয়ে ওর অফিসে যাচ্ছি ও আবার রাগ করবে না তো ! অবশ্য আমি তো সরাসরি অফিসেও যাচ্ছি না , কাছাকাছি গিয়ে ফোন দিবো যে আমি এসেছি। পরে একসাথে বাড়ি ফিরবো এই তো প্ল্যান আমার। আর ফিরতে ফিরতে পথে কোনও আইসক্রিমের দোকানে বসবো। আমার সঙ্গ পেতে তো রেজা পছন্দই করে , রাগ করবে না মনে হয় ! সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে আমি রাস্তা পার হয়ে বাস স্টপেজের কাছে যেতেই দেখলাম প্রতিবেশী ম্যাক দাঁড়িয়ে আছে। দেখা হতেই স্বভাবসুলভ হাসি -
- হেই নুহা , কি খবর তোমার ? সুপ্রভাত !
- সুপ্রভাত ম্যাক ! তুমি এখানে !
- চাকরিজীবী বৌ আজ গাড়ি নিয়ে বের হয়েছে। তাই আমি পদব্রজে । হাহহাহা
- আহ , তুমি বুঝি জব করছ না !
- মহিলাতান্ত্রিক সমাজে আমি এক অসহায় পুরুষ , নুহা । আমাদের ব্যথা কি তুমি বুঝবে কখনো । বলে কপট দুঃখের ভান করে শব্দ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে ম্যাক। আর আমি হাসতে থাকি ওর বলার ভঙ্গীতে। এর মাঝেই বাস চলে আসলে আমি আর ম্যাক বাসে উঠি। আমার গন্তব্য জেনে ম্যাক জানালো ও দুই স্টপেজ আগে নামবে আমার।
- আজ ছুটি হলেও লাভ নেই। ঘরে শুয়ে বসে রিল্যাক্স করতে চেয়েছিলাম , পারলাম না। গাড়ির ইন্স্যুরেন্স দিতে এই দেখো এখন ছুটতে হচ্ছে !
- তাই ! যদিও ম্যাক খুব প্রাণখোলা স্বভাবের মানুষ তবুও সরাসরি জিজ্ঞেস করাটা অভদ্রতা ভেবে ম্যাকের ছুটি কাটাতে কী সমস্যা হয়েছে জানা হয় না।
- তোমার সময় কাটাতে সমস্যা হয় না , নুহা ?
- খুব খারাপ লাগে ম্যাক , এভাবে শুয়ে বসে ঘুরে ফিরে সময় কাটাতে ! আমার দীর্ঘশ্বাসে ম্যাক নীরব হয়। ও জিজ্ঞেস করার আগেই আমি বলি - আজ রেজাকে বলব আমি জব করতে চাই। দেখি ও কী বলে।
- তুমি এরই মাঝে এখানকার ভাষা ভালোই রপ্ত করেছ। আশা করি তোমার চাকরিজীবন ভালোই কাটবে। তবে তোমার জায়গায় থাকলে আমি কখনোই জব করতে চাইতাম না। ঘরে থাকার মজাই আলাদা ।
- তুমি যদি ভেবে থাকো আমি টাকার জন্য জব করতে চাচ্ছি সেটা ভুল ধারণা। আমার আসলে সময় কাটে না , ম্যাক।
- আসলে নুহা , জীবনে অনেক সমস্যা থাকে। একটু স্বচ্ছন্দে চলার জন্যই জব করছি। আমার বৌও করছে। যে ফ্ল্যাটে থাকছি সেটা নিজেদের হলেও ইন্সটলমেন্ট এখনো শেষ হয়নি। আমার মা, কিয়ারার বেবি সিটার , কিয়ারার পড়াশুনার খরচ সব মিলিয়ে আমার একলার ইনকামে হয় না বলেই কিয়ারার মাকেও জব করতে হচ্ছে। তুমি জানো কিনা জানি না আমার শাশুড়িও আমাদের সাথেই থাকে। উনার বাকী ছেলেমেয়রা ইতালির বাইরে থাকে বলে। সত্যি কথা বলতে কি জানো নুহা, নিজে ইনকাম করলে পরিবারে আলাদা একটা মত প্রতিষ্ঠার জায়গা হয় , আত্মনির্ভরশীলতা বাড়ে, মনও বেশ ফুরাফুরা থাকে।
- হুম ! দেখা যাক !
- নুহা , আমি প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছি। তোমার দিন রেজার সাথে ভালো কাটুক !
- তোমারও !
এই এলাকায় মোবাইলের নেটওয়ার্কে সমস্যা নাকি কে জানে ! নেটওয়ার্ক আসছে , যাচ্ছে বারেবারে। রেজাকে একটা ফোন করা দরকার ! রেজার অফিসে ( হোটেল বলতে আমার ভালো লাগে না কেন যেন ) একটা ফোন দিবো কিনা ভাবছি নাকি দুপুরের খাওয়াটা একা একাই সেরে নেবো ভাবছি। রান্না সেরে বের হলেও আমার খাওয়া হয়নি। একা একা খেতে আর কত ভালো লাগবে ! আবেগ , অনুভূতি, প্রাপ্তি -অপ্রাপ্তি না থাকলে বা কুসুম ভাবীর মতো হলে না হয় আমি বুঝতাম। আশ্চর্য ধরণের এক স্বার্থপর মহিলা। শবনম ভাবী অবশ্য ঐ ভাবীটাকে 'মাতারি' বলে, বলা বাহুল্য সেটা কুসুম ভাবীর অনুপস্থিতিতে। শবনম ভাবী পুরান ঢাকার মানুষ, জন্ম আর বেড়ে ওঠা সেখানে। তাই প্রায়ই তার মুখে আজব আজব শব্দ শুনতাম। আলী ভাই বকলেও ভাবী এসব আমাকে বলতে বলতে হেসে কুটি কুটি হতো।
ঘড়ির কাঁটা তিনটা পেরিয়ে গেছে।রেজা নিশ্চয়ই এতক্ষনে ওর লাঞ্চ সেরে নিয়েছে।এখন ওর ঝিমানোর সময়। তিন চার ঘণ্টা সময় কাজে ব্রেক পেলেও ও বাসায় যায় না কারণ ড্রাইভে নাকি ওর অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। তাই এ সময়টা কাজের এখানেই একটু জিরিয়ে নেয়। সাতপাঁচ ভেবে অবশেষে ওর মোবাইলে ফোন দিয়েই স্বয়ংক্রিয় গলার আওয়াজ শুনতে পাই মোবাইল বন্ধ আছে। ওর অফিসের আশেপাশের মার্কেটগুলোও যেন এ সময়টা ঝিমাচ্ছে। লোকজনের আনাগোনা এ সময়টাতে একটু কমই যেন এখানটায়। যে এক অস্থিরতায় তাড়াহুড়া করে রান্না শেষেই রেজার এখানে ছুটে এলাম, এখন নিজের কাছেই অস্বস্তি হচ্ছে। মনে হচ্ছে আবেগের আতিশয্যেই কাজটা করে ফেলেছি। রেজা আমার স্বামী, তার কাছে আমার আবেগ প্রকাশ পেলেই বা কি , বরং সে খুশীই হবে - এমনটাই নিজেকে আমি বুঝাই। সব স্বামীরাই তো চায় তার স্ত্রী মুখেই প্রকাশ করুক ভালোবাসার কথা, সুযোগ পেলেই মানুষজনের সামনে টকাস টকাস চুমু খাক, স্বামীর একটু জ্বর কাশিতে স্ত্রীর চেহারায় উদ্বিগ্নতা প্রকাশ পাক -- এসবই নিজের মনে মনে বলতে থাকি আমার অস্বস্তি কমাতে। কিন্তু আমি তো আসলে এমন ধরণের মেয়ে নই। কেমন ধরণের মেয়ে নিজেও খুব একটা স্বচ্ছ ধারণা করতে পারি না। নিজের আবেগ প্রকাশ করার চেয়ে আড়াল রাখতেই যেন বেশি স্বস্তি আমার। ধ্যাত আর ভাল্লাগে না এসব হিসাব নিকাশ। উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ঘোরাঘুরিই বা আর কতক্ষণ ভালো লাগে। এক সময় ওর অফিসের নাম্বারে ফোন দিয়েই ফেলি। ওর কলিগ মান্নান ভাই ফোনটা ধরলে সৌজন্য আলাপ শেষে রেজাকে চাইলে মান্নান ভাই বেশ অবাকই হয়। বলে -
- রেজা ভাই এখনো বাসায় যায় নাই ভাবী ! উনি তো আরও তিন ঘণ্টা আগেই বের হইছে। আজ নাকি আপনার হাসপাতালে কিসের এক এপয়েনমেন্ট আছে বইলা ম্যানেজারের কাছ থেকে তো ছুটিও নিয়া রাখছে সকাল বেলাতেই।
মান্নান ভাইয়ের কথা শুনে আমি তাৎক্ষণিক কিছু বলতে পারি না উনাকে শুধু ও , আচ্ছা এসব ছাড়া। ওদিকে মান্নান ভাই আবারো জানতে চায় -
- তা ভাবীর শরীর কি বেশি খারাপ ? কি নতুন খবর পাচ্ছি নাকি ?
এই লোকটার আসলে ভদ্রতা জ্ঞান কত সামান্য ভেবে অবাক হই। কারো ব্যক্তিগত বিষয়ে যে সরাসরি জিজ্ঞেস করতে হয় না , কবে যে এসব বুঝবে উনি বা উনার মতো মানুষেরা কে জানে ! উনার কাছ থেকে দ্রুত বিদায় নিয়ে ফোন রাখতে এক রকম বাধ্যই হই। ভয় পাচ্ছিলাম রেজার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে গিয়ে আবার কোন ব্যক্তিগত প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে যাই। আর উনিই হচ্ছেন কুসুম ভাবীর স্বামী। উনারা স্বামী- স্ত্রী দুজনের মানসিকতাই এক রকম, অন্যদের ব্যক্তিগত বিষয়ে অগাধ আগ্রহ। রেজার এখানে রেজাসহ আরও আট জন বাঙালি কাজ করে।অবশ্য রেজা বলে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মানসিকতা এক হলেই ভালো, সংসারে ভ্যাজাল কম হয়।
চলবে
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমাদের এখানে মাতারি শব্দটা গালি অর্থেই বলা হয়, আরও অনেক জায়গায়ও। আনস্মার্টনেস বোঝাতেও ব্যঙ্গ করতে বলা হয়।
ভালো থেকো আরমান
২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময়,
সিঁড়ির আধেকটা উঠেছি মনে হয় । সোজা উঠে গেছি । গুনে গুনে উঠছি ধাপগুলো । আরো যেতে হবে । মাঝখানে আর দম ছাড়ছিনে । সবটা উঠে তার পর না হয় ....
শুভেচ্ছান্তে ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেকদিন পর মনে হয় আপনাকে দেখলাম। আপনাকেও শুভেচ্ছা ভাইয়া
৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৪
মামুন রশিদ বলেছেন: ভাল লাগা, ভাল লাগা । নুহার গল্পের সাথে খুব করে মিশে গেছি । সামনে ঝড় ঝাপটা আসছে বেশ বুঝতে পারছি ।
চলতে থাকুক ++
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এই এক নুহা লিখতে গিয়ে অন্য কিছুই ধরা হচ্ছে না। মনে হচ্ছে অন্য লেখায় হাত দিলে নুহা লেখার যে আমেজটা আমার মাঝে কাজ করছে সেটা হারিয়ে যাবে। যদিও বুঝতে পারছি দুই দিন পর পর আমি নুহার একেকটা করে পর্ব দিচ্ছি আর ব্লগের পাতায় আমার একটা করে " নুহা" পোস্ট দেখতে হয়ত অনেকেরই ভালো লাগছে না। কী করবো বুঝে উঠতে পারছি না!
৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ছোট ছোট খুঁটিনাটি পড়ার আনন্দ বাড়িয়ে দিচ্ছে। দেখা যাক সামনের পর্ব।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শঙ্কু, আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়ার আমার কাছে আলাদা একটা মূল্যায়ন আছে প্রিয় ব্লগার এবং লেখক হিসেবে। সে হিসেবে আমি আশা করবো একেকটা পর্বে যতটুকু পড়ছেন তার মাঝে কোনও ব্যাপার যদি আরোপিত মনে হয়, কিংবা একই ব্যাপারের রিপিটেশন চলে আসছে এমন মনে হয় অবশ্যই আমাকে জানাবেন। কারণ একবারে এতো বড় একটা লেখা কারেকশন করা কষ্ট, তাই প্রতি পর্বেই যদি কিছু না কিছু কমতি থাকে সেটা তখনই ঠিক করলে আমার জন্য সুবিধা হয়।
ভালো থাকুন। শুবকামনা রইলো।
৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চলুক সাথেইতো আছি
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বহুল প্রতীক্ষিত পোস্টে ফাঁকিবাজি কমেন্টে বিশেষ ভাবে প্রীত হইলাম
৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৬
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
পড়তে আসলাম।
মন্তব্য লোড নেয়ার সময় সামু ঠিক থাকলেই হয়।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার প্রিপেইড নেট টেলিটক নাকি সামুর সার্ভারের কারণে জানি না, কাল আমি সন্ধ্যার পর ব্লগেই আসতে পারতাছিলাম না ! কী আজব সমস্যা ! কবে ঠিক হইব কে জানে !
৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০২
শ্যামল জাহির বলেছেন: ঘোমটা হতে বেরিয়ে আসা নুহা'র সম্পূর্ণ মুখ দেখার আশে আছি ততক্ষণ সাথে।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ শ্যামল
৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৯
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: লিওনা কি রেজার গোপন সম্পর্ক? কাহিনীতে এমনই মনে হচ্ছে। আমাদের দেশের বা অন্যন্য দেশের সামাজিক আর পারিবারিক প্রেক্ষাপটে দাম্পত্য সম্পর্কগুলোর দিকে তাকালে কোনো কোনো নারো পুরুষের একাধিক সম্পর্কের ব্যাপারগুলোও কম বেশি চোখে পড়ে। যেমন রেজার কথাই ধরি, নুহা যদি তার দাম্পত্যের কেন্দ্র হয় এবং সম্পর্কের সূতোটা নুহা যত ঢিলে বা লম্বা করে দেবে রেজাটা ঠিক ততটা সীমানা ধরেই সামনে যা লতা পাতা পাবে খাবে আবার সূতো বাঁধা থাকার কল্যাণে ফিরে আসবে নুহার কাছেই। বেশিরভাগ পুরুষই হয়তো এমন, ঘরের বউটাকে কেন্দ্র করেই চড়ে বেড়ায় ইচ্ছে মতন। কখনো সূতোতে জোর টান পড়লে ছিঁড়েও যায়।
পুরুষের দুটো জীবন চোখে পড়ে প্রায়ই। ঘর আর বাহির। যে নুহা বাইরের ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তিত থাকে তাকেই কাটাতে হয় বিনিদ্র সময়, আর যে নুহা নিজের গণ্ডীতেই ভাবনা আর অধিকারগুলোকে সীমাবদ্ধ রাখতে পারে সেই নিজেকে মোটামুটি (অন্ন-বস্ত্র-আরো প্রাপ্তি বা প্রয়োজন সহ) নিজেকে সুখী হিসেবে ভেবে নিতে পারে। তার মানে কি এই যে, সতর্ক আর সাবধানী নুহারা (যারা পুরো রেজাটাকেই চায় এবং রেজাদের পুরো মনোযোগটাই চায়) দাম্পত্য জীবনে অশান্তিতে থাকে? কিন্তু যদি বলা যায় নুহারা যদি লম্পট রেজাদের খানিকটা ছাড় দিতো তাহলে নুহাদের ও হয়তো খানিকটা ছাড় পাবার অধিকার বোধ তৈরি হতো। যা রেজারা আদতেও স্বীকার করবে না কখনো। যে কারণে ভারসাম্য আশা করা বৃথা।
একজন নারী বারান্দায় দাঁড়িয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলবে আর আরেকজন পুরুষ বাইরে চড়ে বেড়াবে, ফুল-পাতা-ঘাস-ফল চিবিয়ে আসবে ইচ্ছে মতন।
বড্ড জটিলতায় ভরা এই দাম্পত্য জীবন। তাহলে বুঝি সন্ন্যাসব্রতই উত্তম!
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লিওনার ব্যাপারে যেহেতু রেজা অস্বস্তি বোধ করে নুহার সামনে কথা বলতে, গোপন করতে চায় তাহলে ধরে নেয়া যেতে পারে লিওনার সাথে তার গোপন সম্পর্ক বিদ্যমান। কোনও সম্পর্ককে আড়ালে রাখতে চাওয়ার দরকার কখন পড়ে মানুষের ?
দাম্পত্য জীবনে বিশ্বস্ততার প্রয়োজন আছে, সততারও প্রয়োজন আছে। স্ত্রীর সাথে থাকার পরেও বা স্বামী কাছে থাকার পরেও যখন কেউ অন্য নারী বা পুরুষে আসক্ত হয় সঙ্গীটির কোনও অপরাধ বা কমতি না থাকার পরেও, আমি তো মনে করি সেটা অন্যায়। আর স্বামী বা স্ত্রীকে সুতো দিয়ে বেঁধে রেখে নিজের আঙুলে সেটা জড়িয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া কিংবা দিনশেষে সে তো ঘরেই ফিরে আসবে এই মনোভাবে থাকা - এটা অনেকেই ভালো চোখে দেখবে না বা মেনে নিবে না।
নুহা হয়তো ছাড় পেতে চায়নি তাই রেজার গোপনীয়তা, উদাসীনতা সে পছন্দ করে না। ক্রমাগত উদাসীনতা, সঙ্গীকে বুঝতে না পারার কারণেই অনেকেই দ্বিমুখী, বহুমুখি হয়ে যায়। তবে বহুমুখিতা অভ্যাসে পরিণত হলে এবং অকারনেই হলে , সেখানেই সমস্যা তৈরি হয় । তখন নুহারা শেষ পর্যন্ত কী করে দেখার ব্যাপার সেটাও । তবে নারী - পুরুষের সম্পর্কগুলো আসলেই বড্ড জটিল, থাকলেও জ্বালা না থাকলেও জ্বালা।
দেখা যাক নুহা আর রেজা কতদূর চলতে পারে শেষ পর্যন্ত।
৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২২
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
চলতে থাকুক।
কাহিনীর ডালপালা উপভোগ্য.....
শুভকামনা রইল।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
শান্তির দেবদূত বলেছেন: এই পর্বটা আগেগুলোর চাইতে একটু গতিশীল। বেশ ভাল লেগেছে। কাহিনী পেঁচ খাইছে !
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কাহিনী প্যাচ খাইছে দেইখা আপনাকে এতো খুশী খুশী লাগে মনে হইতাছে? ঘটনা কী চৌধুরী সাব ?
চরিত্রের বিস্তৃতির পাশাপাশি মনে হচ্ছে এবার কাহিনী একটু একটু ডেভেলপ হওয়া দরকার
১১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
অদৃশ্য বলেছেন:
সম্ভবত রেজা সেদেশেই বেড়ে ওঠেনি তাই তার ভেতরে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের আচরণের কিছুটা বা অনেকটা থাকাই স্বাভাবিক... ওদিকে ম্যাকের কথাটিও কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করছে...
নুহার সাথে রেজার যে মনস্তাত্ত্বিক খেলাটা চলছে তা মজানোর জন্য গত পর্বে আমি বলেছিলাম কেন লেখক এতো তাড়াতাড়ি রেজার প্রতি নুহার শেষ অস্ত্রটা এখনই প্রকাশ করে ফেলতে চায়... আমি ভাবছিলাম লেখক লিখাটিকে কিভাবে অর্থবহ, সুদৃশ্য ও আবেগে ভরপুর করবেন...
আমি দেখছিলাম লিখাটিতে নুহাকেই সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এখন পর্যন্ত... তাই শুরু থেকেই পাঠকের দৃষ্টির সবটুকুই নুহাতেই আটকে থাকে... তার প্রতি একান্ত অনুভূতি তৈরী হতে চায়... হতে চাচ্ছে... আর ঠিক সেই অনুভূতি সৃষ্টিতে কিছুটা হলেও বাধা এসে গেলো আগের পর্বে...
এই অংশটুকু লেখক চাইলে আরও কিছুটা পরে সামনে আনতে পারতেন... যেহেতু ''হয়তো উপন্যাস'' তাই এমন ভাবনা... এটা যদি শুধুই ছোট গল্প বা গল্প হতো তবে এমন কথা বলতাম না...
এই পর্বেও বেশ মজা পেয়েছি... বলে রাখি, লিখাটিতে ম্যাকের উপস্থিতি ভালোলাগার...ম্যাকের বউয়েরও... সাথে সেই ক্যাফের হৃদয় ছেদ করা ছেলেটাকেও প্রাধান্য দেওয়া যেতে পারে...
আরো কথা হবে...
শুভকামনা...
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হয়তো উপন্যাস " নুহা" কেন্দ্রীয় চরিত্র, স্বাভাবিকভাবেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু নুহাতেই থাকবে, তবে পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রেজাও। নুহার প্রত ফোকাসের পাশাপাশি রেজাকেও ফোকাস করছি।
প্রেম, ভালোবাসার প্রকাশ একেকজনের একেকরকম হলেও অনুভূতি একটাই, সবাই মনোযোগ চায়। তবে রেজার দেয়ার ভঙ্গী আর নুহার প্রত্যাশার মিলন প্রায় ক্ষেত্রেই মিলে না। তবে ম্যাকের উপস্থিতি বা চরিত্রায়ন করে আমিও বেশ উপভোগ করছি। বারের মারিয়ানো নামের সেই ছেলেটাকে দেখি আবার আনা যায় কিনা প্রাসঙ্গিক ভাবে।
রেজার প্রতি নুহার এই আকুল হয়ে ওঠা গোপনে গোপনে নিজের মাঝে সেটা আশা করি সামনের পর্ব গুলোতে দেখা যাবে তার কারণ। অর্থাৎ কোনও কাজ বা সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে প্রতিটা মানুষের উচিত তার সাধ্যমত শেষ চেষ্টাটা করা। নুহার এমন কিছু হয় কিনা দেখা যাক ।
১২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩
আমি ইহতিব বলেছেন: নূহা ৮ চলে এলো আর আমি এখনো নূহা ৬ ও পড়তে পারলামনা
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সমস্যা নাই আপু, ৬,৭ পড়ে আসেন না হয়
১৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: রেজাকে বুঝাতে শুরু করলেন বুঝি ! ওরে ছ্যাচড়া বলছিলাম ওইদিন , দেখি আমার নজরে ছ্যাচড়াই থাকে নাকি !
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দেখা যাউক রেজা কত দূর বাড়তে পারে !
১৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪১
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++++++
আমি অনেক পিছিয়ে পড়ে আছি যদিও, পিডিএফ বানিয়ে বসে বসে পড়ছি।
চালিয়ে যান আপু, সুন্দর হচ্ছে।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ
১৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
ভিয়েনাস বলেছেন: ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে দেখি......
চলুক সাথে আছি
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আচ্ছা। সাথেই থাইকেন
১৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৩
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
এইবার কাহিনী লাইনে আসছে!
ভাল একটা ভেজাল একটা বাধবে মনে হচ্ছে
আমি ভেজাল ভালা পাই
পরের পর্ব কবে?
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মানুষ কত খারাপ !!!
ভ্যাজালে খুশী হয় !!! ওকে ভ্যাজাল লাগাচ্ছি দাঁড়াও।
পরের পর্ব আজকে দিবো
১৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২০
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: হুম, আসলেই!! রেজারে চারিত্রিক সনদপত্র দিয়েছিল কে ?? তার সাথে একটু যোগাযোগ করতে হবে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আজকাল টাকা লাগে নাকি সনদপত্র যোগাড় করতে !
১৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: রেজা তো ধরা! অফিসে যাবি না যাবি আজকেই, ছুটি নিবি না নিবি আজকেই! রেজার আসিলো সাত দিন, আইজকা গৃহস্তের একদিন! দেখা যাক কী হয়!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অন্যের বিপদে হাস্তাছো ? খুব ভালো , খুব ভালো
১৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫১
আমি ইহতিব বলেছেন: নূহার জন্য মায়াই হচ্ছে আর উদ্বেগ ও হচ্ছে। না জানি কত বড় নিষ্ঠুর সত্য তার সামনে অপেক্ষা করছে। পরের পর্বে যাচ্ছি, নিষ্ঠুর সত্যের মুখোমুখি হয়ে নূহার কি প্রতিক্রিয়া হয় তা হয়তো আছে সেখানে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু
২০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ৮, ৯ ও ১০ নম্বর পর্ব পড়া শেষ হলো। আমি টাইম মেশিনে কয়েক পর্ব আগে চলে গিয়ে সব জেনে এসেছি
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তাই তো দেখছি ! হাহহাহা
২১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: বেশি দিন একসাথে থেকে স্বামী-স্ত্রীর মানসিকতা কিছুটা একাকার হয়ে যায়। কেউ কেউ বলে চেহারাও নাকি এক হয়ে যায়।
চুমু খেলে যে টকাস টকাশ আওয়াজ হয়, এই প্রথম জানলাম
হতে পারে, ইউরোপিয়ান ব্যাপার তো!
এবারের পর্বে এতো সাসপেন্স দিলেন যে, এখনও আমাকে পরের পর্ব পড়তে হবে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বেশি দিন সংসার করলে স্বামী - স্ত্রীর আচরণ ভাই বোনের মতো হয়ে যায়, অনেকে বলে।
টকাস টকাস আওয়াজ আসলে দ্রুততা , ক্ষীপ্ততা বোঝাতে ব্যবহার করেছি।
শুভকামনা থাকলো ভাইয়া
২২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫
স্বপনচারিণী বলেছেন: হুম! সন্দেহজনক আচরন।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সেরকমই অনেকটা
২৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
নস্টালজিক বলেছেন: বাহ!
ঝরঝরে লেখা! ভালো লাগছিলো পড়তে!
শুভেচ্ছা অপর্ণা!
ভালো থাকো নিরন্তর!
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনিও ভালো থাকবেন।
২৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৩
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: মাতারি তো গালি হিসাবেও নেয় জানতাম না। গল্প খোলস ছাড়ছে এবার
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মাতারি শব্দের পরিচয় আমার কাছে গালি হিসেবেই হয়েছে।
২৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৮
মোঃ আব্দুল্লাহ আল গালিব বলেছেন: শবনম ভাবি যে পুরান ঢাকার তা আগেই ধারণা করসিলাম, নাইলে কেউ হাজবেন্ডরে ঐরকম আজিব নামে ডাকতে পারে!? হে হে...
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চিংকু চিংকু
২৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫০
মোঃ আব্দুল্লাহ আল গালিব বলেছেন: আর হ্যাঁ,আইসক্রিম খাওয়ায় সঙ্গ দিতে পারলে খুশি হব
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কে কাকে খাওয়াবে?
২৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭
মোঃ আব্দুল্লাহ আল গালিব বলেছেন: নুহা গালিবরে খাওয়াবে...
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তাহলে নুহার বাংলাদেশে আসতে হবে নাইলে গালিবের বিদেশ ভ্রমণ করা লাগবে।
২৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩
মোঃ আব্দুল্লাহ আল গালিব বলেছেন: গল্পেই খাওয়ায় দেন
মান ইজ্জত না মাইরা লিখবেন ট্রিটটা গালিবই দিসিলো
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ওকে, খাওয়াবোনে
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
একজন আরমান বলেছেন:
নতুন দিকে টার্ন করছে কাহিনি !
মাতারি শব্দটা অনেক জায়গায় গালি হিসেবে ব্যাবহার করা হলেও আমাদের এলাকাতে এটা একটা ভালো অর্থে ব্যাবহার করা হয়। মহিলা অর্থ বুঝাতে এই শব্দটা ব্যাবহার করা হয়।