নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

নুহা - ১০

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

নুহা-৯



এক বাস থেকে নেমে আরেক বাসের অপেক্ষায় আমাকে এবার বেশি সময় দাঁড়াতে হলো না। কাছেই একটা পেপার, ম্যাগাজিনের দোকান ছিলো , ওখান থেকে দুইটা টিকিট কিনে নেই। ক্লান্তি ঝেঁকে ধরলো তখন যখন মনে হলো এ বাস থেকে নেমে আমাকে মেট্রোতে করে বা আবার বাস বদলিয়ে সানপাওলো নামতে হবে। ইশ এ যে দেখি বিরাট ঝক্কি। যাবার সময় এতবার বাস বদল করতে হয় না কিন্তু ফেরার পথের রুটটা একটু অন্যরকম। এবার সুবোধ বালিকার মতো বাসে উঠেই টিকিট পাঞ্চ করে নেই, জানতাম এ বাসে কোনো চেকার উঠবে না। উঠবে কেন এখন টিকিট কিনেছি না ! আরেকটু হলেই প্রেস্টিজ আমার পাংচার হবার দশা হতো। এমনিতেই আমাদের বহিরাগতদের প্রতি এ দেশিয়দের ভাবনা খুব একটা উন্নত না নানা কারণে। প্রতি বছর বাংলাদেশ ছাড়াও ইন্ডিয়া, রাশিয়া, মালয়শিয়া, রোমানিয়া, তুর্কি, পাকিস্তান, আরব দেশ থেকে এতো মানুষ অবৈধ পথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢোকে লাখ লাখ টাকা খরচ করে কেউবা সম্পত্তির শেষ অংশটুকু বিক্রি করে দিয়ে। আর এভাবে আসা লোকগুলো ভালো কোনো চাকরিবাকরিও যে পায় তাও না। ফলে কেউবা হকারি, কেউবা কোনো ব্যস্ত সিগন্যালে দাঁড়িয়ে গাড়ি পরিষ্কার থেকে শুরু করে ফুল বিক্রি করেই জীবিকা ধারণ করে এবং কেউ কেউ হাত পেতে বা রাস্তায় বসে ভিক্ষাও করে। কেউ দয়াপরবেশ হয়ে এক ইউরো বা পঞ্চাশ সেন্ট দিলেও তারা অতিরিক্ত অর্থ দাবী করে বলে বহিরাগতদের উপর এমনিতেই এ দেশিয়রা মহাবিরক্ত এবং ঘৃণার চোখে দেখে। এরকম অনেক মানুষ দেখেছি বিশেষ করে বৃদ্ধ মানুষ তারা আমাদের গায়ের রঙ , পোশাকআশাক আর জুতোর দিকে তাকিয়ে শ্রেণী বিবেচনা করে। এমনকি একবার এক বৃদ্ধ মহিলা ফুটপাথ ধরে হেঁটে আসার সময় ( আমি ফুটপাথের পাশেই এক বেঞ্চিতে সে সময় বসে ছিলাম ) আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে তার ব্যাগ খুলে একটা রুটি আর জুসের প্যাকেট বের করে বলেছে -



আমি এগুলো ফেলে দিবো ডাস্টবিনে কারণ অহেতুক এগুলো আমার ব্যাগের ওজন বাড়াচ্ছে। তুই কি খাবি ?



সে সময় আমি একটা আয়নার বড্ড অভাব বোধ করছিলাম। আয়না থাকলে দেখা যেতো আমাকে ক্ষুধার্ত বা ভিক্ষুক শ্রেণীর কেউ মনে হচ্ছে কিনা। এমনও হতে পারে আমার সালোয়ার কামিজ দেখে আমাকে সে রোমানিয়ার উদ্বাস্তু মহিলা মনে করেছে, ঐ সব মহিলারা একটা ব্লাউজের মতো টপস আর ঘাগরা জাতীয় স্কার্ট পড়ে এবং খুব নোংরা, চুলে ময়লা ছাড়াও তাদের গা থেকে খুব বাজে গন্ধ বের হয় হয়, যদিও আমার গা থেকে গন্ধ বের হচ্ছিলো না কিংবা রুক্ষ্ম চুল এলোমেলো হয়ে বাতাসেও উড়ছিলো না। অবশ্য আমাকে ' তুই' করে বলাতে আমি বিশেষ কিছু মনে করিনি। কারণ এদের সম্বোধনের ভাষাটা এমনই তবে যাদের মাঝে সহবত জ্ঞান আছে, শিক্ষা-দীক্ষার ব্যাপার বা অভিজাত শ্রেণী না হলেও মানবতা বোধ প্রবল তারা নিতান্ত অপরচিত মানুষকে ' আপনি' সম্বোধনও করে ক্ষেত্রবিশেষে। এই ব্যাপারটা আমার ভালো লাগেনি এখানে যে ইতালিয়ানরা পরিবারের সদস্যরা একে অপরকে তুই তুই করে সম্বোধন করে! আমি সেদিন সেই বৃদ্ধকে ধন্যবাদসহ একটা হাসিও ফেরত দিয়েছিলাম এই বলে যে, ' আমি ক্ষুধার্ত নই'। পরে রেজাকে যখন বলেছিলাম এই ঘটনা ও শুনে খুব হেসে বলেছিলো -



তোমারে তো কতবার কইছি মাঝে মাঝে জিন্স পইড়ো। তোমার হাইট ভালো, দেখতে ভালোও লাগবো। আমার কথা তো শোনো না। কালকা মালিয়ানার চৌরাস্তায় যে মার্কেটটা আছে ঐখান থেইকা চাইর পাঁচটা প্যান্ট কিন্যা নিও।



এরমাঝেই দেখি বাস প্রায় পিরামিডের কাছে চলে এসেছে। এখানে এসে প্রথম যখন এই জায়গার নাম শুনি মিশরের পিরামিড এইখানেও আছে ভেবে আমি বেশি রোমাঞ্চিত হচ্ছিলাম কবে দেখবো। ভিক্টোরিয়া বাঙালি এক এরিয়ার নাম, ইতালি আসার কিছুদিনের মাঝেই সেখানে যাওয়ার পথে সেই প্রতীক্ষিত পিরামিডের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় রেজা বলেছিলো -



এই যে দেইখ্যা নেও তোমার পিরামিড।



দেখলাম সেই পাথরের তৈরি পিরামিড, ত্রিভুজের মতো দেখতে প্রতিটা সাইড থেকেই, মাথাটা সূচালো। পাথরের গায়ে খোদাই করে সন তারিখ কিছু লিখে রাখা আছে। মেট্রো স্টেশনের কাছেই রাস্তার উপরে সেই পিরামিড। আমার কাছে নতুন বলেই আমি আগ্রহ ভরে দেখি সেটা। কিন্তু যারা রোজ সে রাস্তায় চলাচল করে বা সে এলাকার বাসিন্দা তাদের কাছে যে কোনো নতুনত্ব নেই সেটা তখন না বুঝলেও এখন বেশ বুঝি। আকাঙ্ক্ষিত সেই পিরামিডটা দেখে প্রথমেই মনে হয়েছিলো এমন বিবর্ণ লাগে কেন দেখতে। অবশ্য এমন না যে সেটা আগে রংচং করা ছিল এখন সময়ের পরিক্রমায় রঙ জ্বলে গেছে। বলতে চাচ্ছিলাম এই পিরামিডটাকে কি পলিশ করা হয় না ধুয়ে মুছে ? এ কথা শুনে রেজা বলে -

- কি যে বলো না তুমি , এইটা কি ঘরের ডিস্টেম্পার করা ওয়াল পাইছ সাবান আর ডিটারজেন্ট লাগিয়ে ঘষা দিবা আর ময়লা উইঠা যাইবো সাথে সাথে ?



- আমি সেরকম কিছু বলেছি নাকি ?



- সেইটা বলো নাই কিন্তু যেমনে বললা শুইনা তো অমনই মনে হয়। এরপর সে জানায় এসব ঐতিহ্য সংস্কার করতে অনেক সময়, সরকারের অনুমতি এবং অনেক ধৈর্য আর যত্ন নিয়ে করতে। যদিও সংস্কারের পদ্ধতি নিয়ে তাকে বলতে ততটা আগ্রহী মনে হলো না আর আমি জিজ্ঞেস করলে হয়তো নিজের অজ্ঞতাকে ঢাকতে আরও গা জ্বালানো ধরণের কথা বলবে তাই আর এ বিষয়ে কথা বাড়াই না। সেসব ইতালি আসার প্রথম দিককার কথা অবশ্য।



পিরামিড নেমে মেট্রোতে সানপাওলো এবং সেখান থেকে ১২৮ নাম্বার বাসে করে আমার বাসার কাছাকাছি স্টপেজে নেমে পড়ি মানচিনিতে। আমার বাসার কাছাকাছি যে বাস স্টপেজটা তার পাশ দিয়েই একটা ছোটখাটো সুপারশপ যেখানে খাবার দাবার থেকে শুরু করে রান্নাঘরের তৈজসপত্রও পাওয়া যায়। এতটা ক্লান্তি আজ শরীর জুড়ে, বাস থেকে নেমে সুপারশপের দিকে চোখ গেলে একবার থমকে দাঁড়াই ঘরের জন্য কোনও দরকারী কিছু নিতে হবে কিনা। মাথা মনে হয় আজ আমার ফাঁকাই হয়ে গেছে, কিছুই মনে করতে পারছি না। আবার ভেতরে ঢুকলে দেখা যাবে যেটা প্রয়োজন নেই সেটাই বাস্কেটে তুলে নিয়েছি আর রেজা দেখলেই বলবে -



হুদাই পয়সা নষ্ট করলা ! সামনের সপ্তাহে তো ভিক্টোরিয়া বাজার করতে যাইতামই ! পেচকা ( পিচ ফল) কত দিয়া কিনলা দেখি তো ?ইশ টোডিশে ( সুপারশপ ) তো পুরাই ডাকাতি করে দেহা যায়। বাঙালি দোকান থাইক্যা কিনলে কমপক্ষে ৭০/৮০ সেন্ট কমে কিনতে পারতা।



রেজা এমন বলে ঠিকই অমুক জায়গায় নিয়ে যাবে, তমুক জিনিসটা বাজার করে আনবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওর সাথে আমার কোথাও আর যাওয়া হয়ে ওঠে না, বাজারটা সেই আমাকেই করতে হয়। থাক অতশত ভেবে লাভ নাই, 'হুদাই' পয়সা খরচেরও দরকার নাই। ঘড়িতে প্রায় আটটা বাজে। রান্না তো করেই গিয়েছিলাম, ঘরে ফিরে একটা গোসল দিয়ে ঘুম দিবো যদি ততক্ষণে রেজা ঘরে ফিরে না থাকে। কিন্তু আমার আগে ঘরে ফিরলে তো অন্তত একটা ফোন দিত আমাকে ! বাস থেকে নেমে আমার বাসায় হেঁটে যেতে আরও মিনিট দশেক লাগে এবং হাঁটতে হাঁটতে বোঝা যায় জায়গাটা ক্রমশ উঁচুর দিকে উঠছে। পা পুরো ব্যথা হয়ে যায় বিশেষ করে কাপমাসলে। এই দশ মিনিটের পথ পার হবার সময় একটা ট্রেন লাইনও পড়ে। অবশ্য সেটা রাস্তা থেকে উপরে মানে একটা ব্রিজের নিচ দিয়ে রাস্তাটা পার হতে হয়। মাঝে মাঝে ব্রিজের নিচ দিয়ে যাবার সময় ট্রেন যদি যায় কেমন একটা হুম হুম ধরণের আওয়াজ হয় , অনেকটা প্রতিধ্বনির মতো। আমার খুব ভালো লাগে আওয়াজটা শুনতে। বাসার প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছি হাঁটতে হাঁটতে। আমাদের বিল্ডিং এর উল্টো পাশেই একটা গাড়ির গ্যারেজ আছে, এটার মালিক কে জানি না কিন্তু দেখাশোনা করে এক জর্ডানি টেকো মাথার লোক, নাম সম্ভবত হামাদী।



চলবে

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নুহা একেবারে রেজাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে দেখা যায়। কি করলে রেজা কি বলবে বা কি বলত তাঁর মাথার ভেতরে সবসময় ঘোরাঘুরি করছে।

রেজার ভিলেনত্ব আপেক্ষিক মনে হচ্ছে এবার। সামনে একটা ধাক্কা খেলেও অবাক হব না। দেখা যাক, কি হয়।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এ পর্যন্ত দেখা গেছে নুহা একা একাই সময় কাটায়। হয়তো কোনও কিছুতে মনোযোগী হলে এ ব্যাপারটা থাকতো না। বিদেশ বিভূঁইয়ে একজন প্রবাসী নারীর মনোযোগ আপাতত তাই রেজাতেই আছে !

ধন্যবাদ শঙ্কু

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬

শ্যামল জাহির বলেছেন: তোমারে তো কতবার কইছি মাঝে মাঝে জিন্স পইড়ো। তোমার হাইট ভালো, দেখতে ভালোও লাগবো। আমার কথা তো শোনো না। কালকা মালিয়ানার চৌরাস্তায় যে মার্কেটটা আছে ঐখান থেইকা চাইর পাঁচটা প্যান্ট কিন্যা নিও।

আর যাই হোক, শীত-তুষারে জিন্স মন্দ নয়! :)

অন্তর্গূঢ় সর্ব কথা বেরিয়ে আসুক নুহার।

সামু যথেষ্ট বিরক্ত করছে ইদানিং! সবার পোষ্ট সময়মত পড়তে পাড়ছি না! X(

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জিন্স পরলে গরম লাগে বা আরামদায়ক না পরিধানের জন্য ,এটা ব্যবহার না করলে বোঝা যায় না অবশ্য।

সামু ব্লগ খুব বিরক্ত করছে, সন্ধ্যার পর বাসায় এসে তো লগিন করাই মুশকিল। পেইজ ওপেন হয় তো কমেন্ট করতে গেলে পেইজ হারিয়েও যাচ্ছে !

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ঐ দেশের বাজার সম্পর্কে ভালো আইডিয়া দিয়েছেন !
নুহার পেটেও ক্ষিদা নাই সেটা ও বুঝতে পেরেছি !
রেজার সাথে তার সম্পর্ক টা আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাবে , আই মিন সে মন থেকে মেনে নিবে ভালোভাবে , যদি রেজা একটু মানুষ হয় !
সেটা তো আপনার হাতে !

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দেখা যাক রেজা নুহার সম্পর্ক কই থিক্যা কই যায় ! তবে ব্যাপার হলো নেকে আছে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না বরং অপেক্ষা করে অন্য মানুষ তাকে বুঝে নিক, তাকে অনুভব করুক।

ভালো থাইকো

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
এবারের পর্বটাই খুব বেশী ভালোলাগলো,
হয়তো বর্ণনার গুনে; কাহিনীর বিস্তৃতি উপভোগ করছি!!

শুভকামনা রইল।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো ভাইয়া

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

এক্স রে বলেছেন: এখন খালি অর্পনা দিদি কে চেহারা দেখিয়ে যাচ্ছি :-)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চেহারা দেখাচ্ছেন কেন এক্স রে ভাইয়া :) ?

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

শায়মা বলেছেন: তুই তুই করে কথা বলে তারা আপুনি!!!!!!!!!!!


হায় হায়


উত্তরবঙ্গের কিছু গ্রামে মা বাবা ভাই বোনকে তুই তুই করে আমি দেখেছি।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তুই তুই করে বলাটা তাদের কাছে স্বাভাবিক একটা ব্যাপার হয়তো। তবে উত্তরাঞ্চল কেন, অনেক জায়গাতেই তুই তুই করে বলার একটা ব্যাপার দেখেছি বিভিন্ন মানুষের সাথে পরিচিতির কারণে।

আমার বড় মামা নানীকে তুই তুই করে বলতো ! :P

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

মামুন রশিদ বলেছেন: আমি এগুলো ফেলে দিবো ডাস্টবিনে কারণ অহেতুক এগুলো আমার ব্যাগের ওজন বাড়াচ্ছে। তুই কি খাবি ? #:-S :-0


হাহাহা এই অংশটা, বিশেষ করে এটা শোনার পর নুহার মনের ভিতরে বয়ে যাওয়া প্রতিক্রিয়া খুব মজা পেয়েছি ;)


সামনে ঘটনাবলী জানার আগ্রহ ক্রমেই বেড়ে চলেছে :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হাহহাহা এই ব্যাপারটা আসলেও মজার ! আয়না থাকলে ভালো হতো , নুহার সে সময়ের চেহারার প্রতিক্রিয়া দেখা যেতো

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

একজন আরমান বলেছেন:
পড়ছি... :-< :-< :-<

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অফিসেও ঘুমাইয়া ঘুমাইয়া কাজ করো নাকি ? :P

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কথোপকথনে অনেকেই মজা পেয়েছে আমিও। তাছাড়া রেজার চিন্তা চেতনার প্রতি নূহার এতটা গুরুত্ব দেয়া ভালই লাগলো । দেখা যাক রেজা কেমন রিএক্ট করে নুহার প্রতি ।গল্পতো এখনো শেষ হয়নি চলছে।চলুক । :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম গল্প শেষ হয়নি, চলছেই । দেখি কী হয়

১০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

বোকামন বলেছেন: শেষের শ্রেণীর ক্রেতা যিনি ইমোশনাল হয়ে কান্নাকাটি করেন প্রায়ই ... নুহা ...
নুহার হয়তো উপন্যাস- উপন্যাসে পুরোপুরি রূপ নিয়েছে। দেখে ভালো লাগলো।
নুহা আবেগী আবার একই সাথে বাস্তবতা মেনে নিতেও রাজী আছেন। যেমন বললেন-
যেহেতু জানি জীবনের অনেক কিছুই এখন আমার একক সিদ্ধান্তের উপর আর নির্ভর করছে না।

নুহা মানসিক সম্পর্কের স্বাদ উপভোগ করেন। বিষয়টি বারবার ফুটে উঠছে। প্রত্যেকটা সম্পর্কের মাঝে একটা সম্মানজনক ফাঁকা জায়গা থাকা দরকার ! এই ফাঁকা জায়গাটাতে নুহা কাকে দেখতে চান ! নিজেকেই না তার স্বামী রেজাকে ! রেজা বিশ্বাস করেন- স্বামী-স্ত্রী দুজনের মানসিকতা এক হলেই ভালো, সংসারে ভ্যাজাল কম হয়। হূম ! ভ্যাজাল আমরা কেউই চাই না।

পাহাড় কেটে কেটে নাকি রোম শহর বানানো হয়েছে। দেখা যাক দাম্পত্য জীবনের অবিশ্বাসের পাহাড় কেটে কেটে নুহা/রেজা তার শহরে রেজা/নুহাকে নিয়ে আসতে পারবেন কী-না।

নুহার জবানীতে খুব ভালো লাগছে। তবে সংলাপ/কথোপকথন কিছুটা দুর্বলতা রয়ে যাচ্ছে হয়তো। আর যেহেতু নুহার বর্ণনায় আমরা “রেজা” চরিত্রটি কে দেখছি। মনে হচ্ছে টুইস্ট- টা সেখানেই থাকবে ...

প্রিয় লেখকের জন্য অনেক শুভকামনা রইলো :-)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: উত্তম পুরুষে লেখার সুবিধা/ অসুবিধা যাই হোক না কেন, যেহেতু কেন্দ্রীয় চরিত্রের জবানীতে ব্যাপারগুলো পাঠক জানতে পারে, সেহেতু কেন্দ্রীয় চরিত্র দিয়েই প্রভাবিত হবার সম্ভাবনাটা বেশি থাকে।

সম্মানজনক অবস্থান সম্পর্কের মাঝে থাকতে গেলে দুজনকেই ছাড় দিতে হয় আর সম্মান দেখাতে গেলে তো অসততা আসার কথা না। হয়তো নুহা সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। মানসিক শুশ্রূষা আশা করাটাই তো স্বাভাবিক যে কোনও দাম্পত্য সম্পর্কে।

আপনার নিবিড় পাঠ ভালো লাগছে ভাইয়া। শুভকামনা রইলো।

১১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: লেগে আছি নুহার পিছনে ।

এখন আপা আপনার পোস্ট পড়তে একটু ডেইলি সোপের অনুভুতি হয় :)

একটু তাড়াতাড়ি পোস্ট দিবার চেষ্টা করেন , এত অপেক্ষা ভাল্লাগে নি !

যাই হোক মাহমুদ ভাই এখন চলে যাচ্ছে ।
আল - বিদা !

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পড়তে তো সহজই। লেখি তো আমি, আমার তো কাহিনী সাজাতে হয়, ভাবতে হয়। কষ্ট লাগে না এসব করতে আমার !! বুঝবা না ভাই ! :||

আচ্ছা যান আপনি, আবার আইসেন।

১২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

চলবে .........

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চলুক

১৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

অদৃশ্য বলেছেন:





এই পর্বটিতে একদম ঝরঝরে ছিলো... শুরু আর শেষের ভেতরে কোথাও ব্রেক নিতে হলোনা ... খুবই আকর্ষনীয় হয়েছে পর্বটা...

এই কটি পর্বে রেজাকে মাঝে মাঝে আমার খুবই ইন্টারেষ্টিং ক্যারেক্টার মনে হয়েছে... কিন্তু নুহার অতিরিক্ত বিরুপ মনোভাব সেই ইন্টারেষ্টিং কারেক্টারের প্রতি ভালো কোন মনোভাব তৈরী হতে দেয়নি... জানিনা সামনে লেখিকা তাকে আর কি কি ভাবে উপস্থাপন করবেন...

নুহার বিদেশ ভূইয়ের সামান্য সামান্য অভিজ্ঞতা জেনে মজা পাচ্ছি... তবে একটি কথা বলে নিই, সেই বৃদ্ধার খাবার দেবার মনোভাবের চেয়েও ট্রেনের চেকারের হাতে পড়াটা কিন্তু অনেক বেশি লজ্জা বা অপমানের হতো...

লিখাটির প্রতি লেখকের যত্ন, মনযোগ ও ভাবাবেগের গভীরতা আশাকরছি... যদিও তা ঠিকই পাওয়া যাচ্ছে তবুও এজন্য বলা যেন লেখক সামনের দিকে আরও সতর্ক থাকেন পাঠকের চাহিদা পূরনে... সব পর্ব মিলিয়ে উপন্যাসে সৃষ্ট দৃশ্যগুলো এখন পর্যন্ত সুন্দর...

তবে... নুহা এখনো আমার কাছে ছায়া মানবীর মতোই রয়ে গ্যাছে... চমৎকার একটি অবয়ব, মুখশ্রী এখনো সামনে আসলোনা... চেষ্টা করছি

শুভকামনা...

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: উত্তম পুরুষের কারণে বোধ হয় সব চরিত্রের উপরে নুহার আধিপত্য দেখা যাচ্ছে। নামপুরুষে লিখলে নুয়াহ সিরিজটা আরেক রকম হতো হয়তো। তাই তার বিরূপ ভাব দেখা যায় প্রায়ই রেজার উপরে।

নুহার মুখশ্রী এঁকেছি অন্য একটা পর্বে, সেটা আসলে অবশ্যই নুহাকে দেখতে পাবেন আশা করি। আমি চেষ্টা করছি মনোযোগ আর আবেগ নিয়েই লিখতে। সাথে থেকে এরকম সুচিন্তিত মতামত দিয়ে ক্রিতজ্ঞতায় বেঁধে ফেলছেন ভাইয়া, যা অবশ্যই আমার জন্য ভালো লাগার এবং সম্মানের।

ভালো থাকবেন।

১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

একজন আরমান বলেছেন:
বুঝলেন কিভাবে? :-B :-B :-B

রাতে ঘুমাতে ঘুমাতে ২ টা ৩ টা বেজে যায় আবার সকালে ৭ টার দিকেই উঠতে হয়। তাই বাকি ঘুম বাসে আর অফিসেই সেরে ফেলতে হয়। :-< :-< :-< :P :P

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঘুমাও বলেই ব্লগে, মন্তব্যে ইনেক্টিভ থাকো, এটা বুঝতে গেলে হরলিক্স খাইতে হয় না :P :P :P

১৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

একজন আরমান বলেছেন:
ইয়ে মানে আগে প্রচুর সময় দিতাম ব্লগে, বলতে পারেন ২০ ঘন্টা। এখন মগজ খালি হয়ে গেছে আর ব্যাস্ততাও বেড়েছে। তাই অফিসের ফাঁকে ব্লগিং করি। আর রাতে শুধু ফেসবুকিং করি আর বই পড়ি মগজ ভরাটের জন্য।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো। নতুন নতুন অফিসে ঢুকে ফাঁকি দেয়া শেখা ভালো কথা না অবশ্য। হাহাহহা ভালো থেকো আরমান

১৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

এক্স রে বলেছেন: আমিই রেজা। আগেই বলেছিলাম এক্সামের কারনে গল্প টা পড়তে পারছিনা । এখন শুধু হাজিরা দিয়ে যাচ্ছি :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হাহহাহাহ রেজা ! আচ্ছা ভালো থাকুন। তাড়াহুড়া নাই, বলেছি তো পরীক্ষা শেষ হোক, তারপর না হয় পড়বেন :)

১৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

আরজু পনি বলেছেন:

আমি এগুলো ফেলে দিবো ডাস্টবিনে কারণ অহেতুক এগুলো আমার ব্যাগের ওজন বাড়াচ্ছে। তুই কি খাবি ?....এ্যাহ ! বিরাট অসভ্যতো !

কোন কোন বউ শত ব্যস্ত থাকলেও রেজাময় (জামাই সর্বস্ব) জীবনই যাপন করে আনন্দ পায়, তৃপ্তি পায় । :!>

পড়ে ভালো লাগছে, নুহাকে দেখতে পাচ্ছি ।
লেখাটা শেষ হলে আশা করি প্রিয়তে নিব নুহার জন্যে ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কেউ কেউ রেজাময় জীবনযাপনেই খুশী থাকে অসততাকেই নিয়েই চোখ বন্ধ রেখে। অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের অভাব পূরণ হলেই কেউ কেউ খুশী দাম্পত্য জীবনে।

১৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নুহাকে আপাদমস্তক অপমানিত করে দেয়ার ঘটনাটাই আমার মনের ভেতর তীব্রভাবে কাজ করছে এখনো। উন্নত বিশ্বের মানুষেরা দরিদ্রদেরকে এভাবেই ট্রিট করে থাকে। নুহার সামলে ওঠার বর্ণনাও খুব ভালো লাগলো। এ ঘটনা ছাড়া বাকি খুনসুটি আমার কাছে উল্লেখযোগ্য মনে হয় নি- এর কারণ হতে পারে ঐ ঘটনাটা- যা আমার মন থেকে মুছতে পারছি না।

শুভ কামনা আপু।

হ্যাঁ, বেশ কিছুদিন পরই এলাম। বাকিটুকু বুঝবেন কিছুক্ষণ পর ;)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সেই বৃদ্ধার অমন আচরণ তো অবশ্যই আঘাত লাগার মতো। তবে মানুষ অনেক কিছুতেই হ্যাবিচুয়েটেড হয়ে যায় এক সময় , এই আর কী !

আপনার ব্লগিং আনন্দময় হোক ! আবারও স্বাগতম ব্লগে B-)

১৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: এই পর্বের বর্ননা সবথেকে প্রানবন্ত, সহজিয়া বিন্যাসে চমৎকার লাগছে! উপন্যাসের গন্ধ বেরুনো শুরু করেছে!

তবে একখান কথা। নুহাকে আমার খুব নরম সরম মনে হয় নাই, কিন্তু সে প্রথমবারের মত রেজার অফিসে গেল অনেকটা সারপ্রাইজ পরিদর্শনে, একসাথে আইসক্রিম খেয়ে ফিরবার প্রত্যাশায়। বাস ঠ্যাঙ্গায়ে গিয়ে আবিস্কার করলো রেজা তারই নাম ভাঙ্গায়ে ছুটি নিয়ে হাওয়া, মনে আছে শ্বেতাঙ্গিনির শঙ্কা। এরকম পরিস্থিতিতে নুহার মাথার মধ্যে হাজারো প্রশ্নের ঝাঁক, ক্ষোভের উপস্থিতি দেখছিনা কেন?

ঘড়িতে প্রায় আটটা বাজে। রান্না তো করেই গিয়েছিলাম, ঘরে ফিরে একটা গোসল দিয়ে ঘুম দিবো যদি ততক্ষণে রেজা ঘরে ফিরে না থাকে। কিন্তু আমার আগে ঘরে ফিরলে তো অন্তত একটা ফোন দিত আমাকে


মাথার মধ্যে এইরকম কিছুও তো ঘোরার কথা, -' আয় বাড়িতে, আজ তোর একদিন কি আমার একদিন, সাপের সাত পা দেখাবো X( '

নুহা কী নিরাসক্ত এতোটাই রেজার প্রতি, তা তো না, ও তো আসার পথে রেজার সাথে এটা সেটা ভাবতে ভাবতেই আসলো!

রেজা বাসায় আসুক, দেখা যাক কী হয়! B-))

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তোমার মন্তব্য গুলো বেশ উপভোগ করি । মজার।
একেকজনের রিয়েকশন একেক রকম হয়। তাই হয়তো নুহা ওরকম কিছু ভাবেনি , তবে তার মাথার মাঝে যে এই প্রশ্ন গুলো পাক খাচ্ছে না তাই বা নিশ্চিত হই কী করে।
রেজা বাসায় আসছে। এবার দেখে আসো জানতে পারলে কিনা নুহা কী করলো

২০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২২

ভিয়েনাস বলেছেন: এই পর্বটা একটু বড় হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। বর্নণাও সুন্দর হয়েছে। পড়তে ভালো লাগছিলো।

শীতের দেশে জিন্স কমন জিনিস। পড়লে তো সমস্যা নেই...

সাথে আছি। উপন্যাস চলুক.......

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভিয়েনাস।
পরের পর্ব একটু আগে পোষ্ট দিলাম। ভালো থাকবেন

২১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮

আমি ইহতিব বলেছেন: নূহার বিভিন্ন জায়গার পরিদর্শনের বর্নণা ভালো হয়েছে, মেয়েটা রেজা ছাড়া কিছু দেখি চিন্তাই করতে পারেনা। কিছু কিছু মেয়ে মনে হয় এমনই শত অসন্তোষ নিয়েও সারাদিন জীবন সঙ্গীর চিন্তায় মশগুল থাকে।

প্রতিটি পর্ব পড়তে দেরী হয়ে যাচ্ছে, অফিসের বা বাসার কাজের ফাঁকে ফাঁকে পড়তে হচ্ছে বলে এই অবস্থা। তবু সাথে আছি আপু।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সেটাই মনে অশান্তি পুষে রেখেও রেজার চিন্তাই মাথায় ঘোরপাক খাচ্ছে নুহার। এর একটা কারণ হতে পারে দেশের বাইরে শুধুমাত্র স্বামীকেই চেনে, আত্মীয় পরিজনও বেশি নেই, পড়াশুনা করার মতো সুযোগ নেই , জব নেই সব মিলিয়ে অনেকের এমনটাই হয়, অশান্তির পরেও মনযোগের কেন্দ্রবিন্দু স্বামী বা ঘর কেন্দ্রিকতা। এর বাইরে অন্য আরও খারাপ কিছুও হয়। সেসব আস্তে আস্তে আনবো আমি ।

সমস্যা নেই আপু। জবের ফাঁকে বা সংসারের কাজের ফাঁকে ব্লগিং অনেকেই করে। এভাবেই ইন্টার‍্যাকশন তৈরি হয় একে অপরের সাথে।

শুভ সন্ধ্যা

২২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
হুম এইবার বুঝলাম!
এই পর্ব তো আমার পড়া ছিলনা :)

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: যাক পড়া তো হলো শেষ পর্যন্ত

২৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আমি তো গত পর্ব থেকে যে কারণে ছুটে আসলাম, তা এখানেও পেলাম না :(

“এরকম অনেক মানুষ দেখেছি বিশেষ করে বৃদ্ধ মানুষ তারা আমাদের গায়ের রঙ, পোশাকআশাক আর জুতোর দিকে তাকিয়ে শ্রেণী বিবেচনা করে।” - আমাদের দেশেও করে!

বৃদ্ধা মহিলার আচরণে ব্যথিত হয়ে একবার ভাবলাম, সে তো ভালো উদ্দেশ্যেও অফারটি করতে পারে! :)

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো উদ্দেশ্যে বৃদ্ধা অফার করলে কী নুহা আর আয়নার অভাব বোধ করতো সে সময় !!! হাআহাহহা

আউটলুক দেখে একজন মানুষের সম্পর্কে আইডিয়া করার ব্যাপারটা সব সময়ই কাজ করে অনেকের মাঝে, আমাদের মাঝে

২৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

স্বপনচারিণী বলেছেন: গল্প পড়ে নিজেকে ওই পরিবেশে চিন্তা করে ভীষণ অস্বস্তি লাগলো। আমরাতো কোন বিদেশীকে ছোট করে দেখিনা। তবে ওরা কেন?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধনী গরিবের প্রভেদ টা অনেক ক্ষেত্রেই চাইলে ঘোচে না। আপনি শুরু থেকে ১৪ তম পর্বটা পর্যন্ত গতকাল এক বসায় পড়েছেন, আমি খেয়াল করেছি। তবে নেট লাইন ঠিক না থাকায় আমি উত্তর গতকাল দিতে পারিনি।

শুভকামনা স্বপনচারিণী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.