নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

নুহা -১১

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪২

নুহা - ১০



কিছু কিছু লোক থাকে না যাদের অপছন্দ করার মতো নির্দিষ্ট কারণ না থাকলেও ভালো লাগে না , ওরকম ধরণের কিছু একটা হবে এই হামাদীর ক্ষেত্রে। রেজাকে বলেছিলাম যখন ও বলেছিলো -



- তোমার তো বেশি বেশি নাক উঁচা! কেন ঐ হামাদী কি তুমি রাস্তা দিয়া যাওয়ার টাইমে তোমার দিকে হা কইরা তাকাইয়া থাকে ?

- হা করে না তাকালেও যে একেবারেই তাকিয়ে থাকে না সেটাই বা ভাবলে কীভাবে !

- কেন তোমারে কিছু কইতে চায় নাকি ?

- নাহ ! আমাকে আবার কী বলবে ! কিছু বলেনি, তবে একজন মহিলাকে প্রায়ই দেখি ওর গ্যারাজে আসতে- যেতে।

- তার কাছে মহিলা আসতে যাইতেই পারে। হইতে পারে তার বান্ধবী বা আত্মীয়। তোমার সমস্যা কোনখানে ?

- কী আজব ! এই একটা ব্যাপার নিয়ে পড়ে আছো কেন ? আমার হামাদীকে পছন্দ না সেটাই শুধু বলেছি। তার কাছে কে আসবে , যাবে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমার চোখে পড়েছে কয়েকদিন তার ব্যাপারটা তাই শুধু বললাম। আসলে আমি বলি একটা আর তুমি বুঝে নাও একটা। আমাকে রাগিয়ে দিতে পেরে রেজাকে দেখলাম বেশ খুশীই হয়েছে। ওর হাসি দেখে আমার গা জ্বলে যাচ্ছিলো।



একটা ব্যাপার খেয়াল করেছি বাইরে থেকে এসে লিফটের বাটন চেপে দাঁড়িয়ে থাকা, ব্যাগ থেকে সময়মত চাবি খুঁজে না পেলে কিংবা গেট খুলে ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেরী হলে আমার মেজাজ খারাপ লাগে। সহ্য হয় না কতক্ষণে ঘরে ঢুকবো, নিজের ঘর। ঘর মানেই শান্তি। নিজের বিছানাটায় শুয়ে যে আরাম, ঘরের পরিচিত পরিবেশটা মনে যে কতটা শান্তির পরশ ছড়িয়ে দেয় সেটা কমবেশি আশা করি সবাইই বোঝে। ঘরে ঢুকে বুঝতে পারি রেজা এখনো ফেরেনি বাইরে থেকে। প্যাসেজের লাইটটা এ কারণেই দেখছি নেভানো। আজ সারাদিনে ও একটা ফোনও দেয়নি আমাকে। ও ফোন দেয়নি তো কি হয়েছে, তুমি পারতে না নুহা নিজেই তোমার স্বামীকে একটা ফোন দিতে? আমার ভেতরের আমিটা আমাকে প্রশ্ন করে।



- হুম পারতাম ওকে ফোন দিতে। কিন্তু ফোন না দিয়ে নিজেই তো গেলাম সশরীরে ওর সাথে দেখা করতে।

- মানুষের কত ব্যস্ততা থাকতেই পারে, এ যুগে ফোন না দিয়ে কারো সাথে দেখা করার জন্য একমাত্র বোকারাই পারে। এখন আবার রাগ দেখাচ্ছ, অভিমান করছো !

- ধ্যাত বেশি কথা বলো না তো ! বাইরে থেকে এসেছি ফ্রেশ হবো , খাবো , ঘুমাবো। চুপ করো

- বাইরে থেকে তো কাজকর্ম করে আসো নি। ঘোরাঘুরি করেই এসছো। এটা এমন কোনো জরুরী ব্যাপার না যে আবার মেজাজ দেখাচ্ছো।

- উফ চুপ করো, চুপ একেবারে



ব্যাগটা আলমারিতে রেখে গিজার অন করে আসি গোসল সারবো বলে। শোবার ঘরে ঢুকে বারান্দার দিকের দরজাটা খুলে দেই যাতে ঘরে আলো হাওয়া ঢুকে বদ্ধ ভাবটা কমে যায়। বাইরে থেকে ঘরে এলেই কেমন খা খা একটা অনুভূতি কাজ করে আমার মাঝে, একটা শুন্যতা। শবনম ভাবীকে ফোন দিয়ে গল্প করলে হয়তো এই খারাপ লাগার অনুভূতি কিছুটা কমতো। কিন্তু তার আগে গোসলটা সারা দরকার।দুইএকবার রেজাকে বলেছি বাথটাব হলে গোসল করে আরাম পেতাম। ও শুনে বলেছে -



- খাইয়া আর কাজ নাই তোমার লাইগ্যা এখন বাথটাব বসাইয়া দেই। তাইলে ঐখানেই সারাদিন শুইয়া শুইয়া ভাবাভাবি করবা।

- বাড়িওয়ালাকে বলো সে ব্যবস্থা করে দিক

- হ , তুমি আন্নারে চিনো ? যে খাইস্টা স্বভাবের মহিলা , ও দিবো লাগাইয়া? ও বলবো - লাগাইতে হইলে নিজেরা টাকা খরচ কইরা লাগাইয়া নে। আর এইসব খুব ঝামেলার জিনিস বাথরুমের ফিটিংস টিটিংস বদলানো। এতো আরামের দরকার নাই , দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়াই গোসল সারো।



কাঁচ দিয়ে ঘেরা ছোট পরিসরের জায়গাটায় গোসল করে আমি আরাম পাই না। হাত, পা নাড়ানো যায় না আর কেমন দম বন্ধ বন্ধ লাগে। তাই জানালাটা খোলা রাখি পর্দা নামিয়ে দিয়ে। রান্নাঘর, ডাইনিং আর গোসল করার জায়গা পরিসরে বড় হওয়া দরকার। যদিও এখানে ডাইনিং বলতে আলাদা কিছু নেই, রান্নাঘরেই খাওয়া এবং রান্নার কাজ চলে। অনেক বাড়িতেই এরকম দেখেছি। গোসল সেরে খুব ভালো লাগছে, সারাদিনের ক্লান্তিটা চলে গেলেও চোখের পাতা ভারী হয়ে আসছে ঘুমে। চুলটা ভালমতো মুছে বিছানায় পিঠ ঠেকাতেই আরামে চোখ বন্ধ হয়ে আসে। শবনম ভাবীকে ফোন করবো ভেবেছিলাম,এখন হাত বাড়িয়ে কর্ডলেস ফোনটা উঠাতেও ইচ্ছে করছে না। বারান্দার দরজা দিয়ে বাতাস আসছে হালকা হালকা, সাথে পর্দাও উড়ছে। মনে হচ্ছে আমার আজ খুব গাঢ় ঘুম হবে।



গাঢ় ঘুমে তলিয়ে গিয়েছিলাম কিনা জানি না। চোখ খুলে একবার মনে হলো কেমন খুট খুট শব্দ হচ্ছে ঘরের মধ্যে। ইঁদুর নাকি ! পরক্ষণেই বুঝি ধ্যাত এখানে আবার ইঁদুর আসবে কী করে। আমার শোবার রুমে অন্ধকার আর আলোর খেলা পর্দার লুকোচুরিতে কিন্তু রান্নাঘরে আবার আলো জ্বলছে, কাঁচের দরজা ভেদ করে ফাঁকফোকর দিয়ে সে আলো আসছে। পানি খাবার জন্য হাত বাড়াই বিছানার সাথের সাইড টেবিলের দিকে। ওখানে একটা বোতল রাখা থাকে পানির। পানি খাওয়া দরকার, সারাদিনে কী আমি আসলেই কিছু খাইনি ! কেমন খিদে খিদে লাগতে থাকে।একলা ঘরে আমার কান্না পায়, মায়ের কাছে বসে তার হাতে ভাত খেতে ইচ্ছে করে। বড় হবার পরেও মা নিজের হাতে ভাত মাখিয়ে খাইয়ে দিতো। মা মা বলে আমি ডাকতে থাকি। ডাকতে ডাকতে ঘুমিয়ে যাই আবার জেগে উঠি।



এই নুহা , নুহা ...

মা চলে এসেছে নাকি আমার কাছে! আমি খুশী হয়ে উঠি। বিছানায় উঠে না বসলেও চোখ খুলে তাকাতে চাই। মুখের উপর রেজা ঝুঁকে আছে। আমার চোখে চোখ পড়তে জিজ্ঞেস করে -



- স্বপ্ন দেখছিলা নাকি? মা মা বইলা ডাকতাছ দেখি। আমি আবার চোখ বন্ধ করে ফেলি। সারাঘরে ঝলমলে আলো। সেই আলো চোখে লেগে কেমন অস্বস্তি লাগছে। উঠে বসতে বসতে বলি -



- জানি না স্বপ্ন দেখছিলাম কিনা। তুমি কখন ফিরলে কাজ থেকে ? ওর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করি। দেখতে চাই ওর মুখের অভিব্যক্তি। নিজের কাছেই অবাক লাগছে রেজাকে নিয়ে আমার মাঝে একটা সন্দেহের বীজ উঁকি দিতে চাচ্ছে দেখে।

- বেশীক্ষণ হয় নাই। আইসা গোসল করলাম। রান্নাঘরে গিয়া দেইখা আসলাম কি রান্না করছো

- তুমি তো বাসায় ফিরে গোসল করো না কখনো। আজ যে গোসল করলে ! বলে আমি বিছানা থেকে নামি। চোখে মুখে পানি দিয়ে ফ্রেশ হওয়া দরকার। খেয়ে আসছো হোটেল থেকে নাকি আমার সাথে খাবে?

- বাসায় ফিরা আগে গোসল করতাম না বইলা কি গোসল করা যাবে না এমন নিয়ম আছে নাকি ? খাবার গরম করো, আসতাছি আমি।



একবার ইচ্ছে হলো বলি, পারবো না খাবার গরম করতে। আজ তুমি টেবিলে খাবার সাজাও। কিন্তু বললাম না। ইচ্ছে হলেও আমরা মানুষেরা ভদ্রতার খাতিরে মনের অনেক কথা প্রতিনিয়ত এভাবে গিলে ফেলি। বলা হয়ে ওঠে না। নিজেই বুঝতে পারছি আমার আজকে মেজাজ খারাপ, হয়তো কথা বাড়ালে রেজার সাথে বিশ্রী একটা ঝগড়া হয়ে যেতে পারে। ও তো আর জানবে না আমার মেজাজটা কেন খারাপ হয়ে আছে। কিন্তু আমি আমার মাথা থেকেও নামাতে পারছি না ও আমার নাম নিয়ে মিথ্যে বলে দুপুরের আগেই হোটেল থেকে বের হয়েছে লিয়ানাকে সাথে নিয়ে। মিথ্যুক কোথাকার ! দেখি না ও কতটা বাড়তে পারে।বিরক্তি চেপে স্বাভাবিক আচরণ করাটা বেশ কষ্টের দেখা যাচ্ছে। উফ ! ফ্রেশ হয়ে এসে খাবার গরম করে রেজাকে ডাকতে গিয়ে দেখি টিভি নিয়ে বসেছে। অন্যদিনের মতো তার হাতে রিমোট নিয়ে আজ টিভিটা বন্ধ করে দিলাম না। একবার ডেকেই চলে এলাম। প্লেটে খাবার দুজনের জন্য বেড়ে আমি একাই খাওয়া শুরু করে দিলাম।অসময়ের ঘুমের জন্য কিনা জানি না কপালের দু'পাশটা ব্যাথা করছে। রেজা এসে শব্দ করে চেয়ার টেনে বসলো।



- রেজা , আমাদের নিচ তলার কিয়ারার দাদী একটু অসুস্থ শুনেছিলাম ম্যাকের কাছে। চেয়ারে শব্দ করছো কেন?



- আমি কি মাগনা থাকি নাকি এই বাসায় ? ভাড়া দিয়া থাকি। নিজের ঘরে পুতুলের মতো চলবো নাকি যে শব্দ করন যাইবো না ? এই কথা কি তোমার বন্ধুর বৌ আইসা বইলা গেছে ? ম্যাকের সাথে আমার আসা যাওয়ার পথে মাঝে মাঝে কথা হয় বলে রেজা ম্যাককে আমার বন্ধু বলে ক্ষেপাতে চায়। কী কথার মাঝে যে রেজা কী বলে তার ঠিক নেই। শুনলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আমি খেতে খেতে ওর মুড বুঝার চেষ্টা করি।



- একটু বুঝে শুনে কথা বলো না কেন তুমি ? এখানে টাকা দিয়ে থাকো নাকি তোমার নিজের ফ্ল্যাট এ ব্যাপারটা কীভাবে আসলো সেটাই বুঝলাম না। তোমার বাসা বলে তুমি ইচ্ছেমতো এমন কাজ করতে পারো না যা তোমার আশেপাশের মানুষ বা প্রতিবেশীদের সমস্যা তৈরি করবে।



- হুম , কী হইছে ঐ বুড়ির ?



- কোন বুড়ি ?



- কোন বুড়ি মানে কিয়ারার দাদী ?



ওর এভাবে কথা বলার ধরণ দেখে আমি তাকিয়ে থাকি ওর দিকে। আশ্চর্য মানুষ একটা। আমি উত্তর দেই না ওকে আর।আমাকে চুপ থাকতে দেখে আবার ও বলে -



- লেবু নাই ?



- ফ্রিজে আছে। নিজে কেটে খাও। আমার খাওয়া শেষ হওয়াতে উঠে পড়ি। প্লেট ধুতে গিয়ে দেখি পেট, গ্লাস ধোয়ার লিকুইড ক্লিনার শেষ। কালকেই মনে করে আনতে হবে ভেবে রাখি।



- তুমি তো উঠছোই , ফ্রিজ টা খুলে লেবু বের করে দাও না,প্লিজ।



- পারবো না। চা খাবে খাওয়া শেষ করে ?



- চা খাইলে কি আর রাত্রে ঘুম হইবো ? অবশ্য কাল তো আমার ছুটিই। আইচ্ছা দিও এক কাপ চা।



- কাল তো তোমার ছুটি না।হঠাৎ ছুটি নিলে যে ?



- আমার বৌ-রে তো সময়ই দেই না। তাই ভাবছি কাল সময় দিবো। কেন খুশী হও নাই ?



রেজার ছুটি নেয়া বা কাজে যাওয়া কোনটাতেই আমার উপরে খুব একটা প্রভাব ফেলে না এখন। আর আগে যখন ওর ছুটি কাটানো নিয়ে আমার মাঝে খুশী একটা প্রত্যাশা গড়ে উঠতো, সেটাও ওকে খুব একটা স্পর্শ করতো না। একদিন তো ও বলেই দিলো আমার অভিমান করা দেখে -



- দ্যাখো নুহা, আমি দেশে যাই ছুটি কাটাইতে। আর এইখানে এইটা হইলো আমার জীবিকা। কাজ করি সারা সপ্তাহ। একদিন ছুটি পাইলে আমার ইচ্ছা করে না বাইর হইতে। আর এইখানে দেখার কিছু নাই, কি দেখবা পুরাই পাত্থরের দেশ। সুতরাং এভাবে বলে দিলে অন্তত প্রত্যাশাকে সেখানেই কবর দেয়া উচিত। লজ্জায় পড়ার সম্ভাবনা থাকে না আর। আমি অপেক্ষায় থাকি কখন ওকে সুযোগ বুঝে ধরবো লিয়ানা আর মিথ্যে বলে আমার নাম ভাঙ্গিয়ে কই গিয়েছিলো সে কথা জিজ্ঞেস করার জন্য।



চলবে

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ঝড় আসন্ন! মেঘ গজরাচ্ছে! নাকি আরও পরে?

দেখা যাক!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দাম্পত্য জীবনে ঝড়ের ঘনঘটা কমন সিম্পটম, ব্যাপার না এইগুলো।

দেখতে থাকো, আসবে

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


চলুক ............

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চলবে

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৯

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
পড়ার আগেই কমেন্ট করলাম।
এখন আন্ডারগ্রাউন্ডে বসে আপনার এ কিস্তি পড়তে পড়তে যাবো।

শুভকামনা রইল...............

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার যাত্রা শুভ হোক ভাইয়া

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ঝড় আসন্ন! মেঘ গজরাচ্ছে! নাকি আরও পরে?

দেখা যাক!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ওকে, দেখতে থাকো

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৩

মামুন রশিদ বলেছেন: ১১ ঘন্টা জার্নী সেড়ে বাসায় ফিরেই ল্যাপ্পি খুললাম । কিন্তু ঘুম জড়ানো চোখে কি যে পড়লাম, জানিনা ।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আগে ভালোভাবে ঘুমিয়ে নিন

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

অদৃশ্য বলেছেন:





নুহা কেন এখনো রেজাকে জিজ্ঞেস করলোনা ব্যপারটা সেটাই ভাবছি... নুহাকেতো খুব শান্ত স্বভাবের এখনো মনে হয়নি... নিজের ভেতরে প্রতিটি মুহুর্তেই দেয়াল ভাঙছে সে... রেজার এতো বড় একটি মিথ্যাচার ধরে ফেলার পরো যখন নুহা তা দ্রুত বলা থেকে নিজেকে বিরত রাখে তখন কিছুটা হলেও নুহার ভেতরের ভয়টা প্রকাশ হয়ে যায় পাঠকের কাছে... কিসের ভয়?... অশান্তির নাকি সম্পর্কের ভেতরে ক্ষরোগের...

এখানে একটি কথা বলাবর ছিলো... নিজের সাথে কতপকথনে নুহা নিজেকেই বলছিলো রেজাকে কেন সে ফোন দেয়নি বা দিলোনা... যতদূর মনে পড়ে গতপর্বে নুহা রেজাকে ফোনে ট্রাই করে ব্যর্থ হেয়ছে... রেজার ফোন বন্ধ ছিলো বলে... এমনই ছিলো মনে হয়... হতে পারে লেখিকা তার পরের সময়কে বুঝাতে চেয়েছেন... অথবা আমার ভুলও হতে পারে

পড়ছি... সামনের অপেক্ষায় থাকলাম...
শুভকামনা...

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মানুষের জীবনে কখনো কখনো চমকের পর চমক আসতেই থাকে। তবে সবার প্রকাশ ভঙ্গী, রিয়েকশন এক রকম না, কেউ ভেতরে ভেতরে পুষে রেখে একবারে বার্স্ট করে। তবে নুহা অবশ্যই রিয়েকশন দেখাবে, ওর ধরণটা একটু আলাদা।

ঠিক ভয় বা অশান্তির হাত থেকে বাঁচার জন্যই যে নুহা চুপ হয়ে যায় তাই নয়, মানুষের অসহায়ত্ব অনেক দিন থেকেই আসতে পারে। সে সব জানার জন্য কিছুটা অপেক্ষার প্রয়োজন আছে। নুহা একটু একটু করে নিজেকেই খুলবে বলেই তার প্রকাশটা ধীরে হয় কিন্তু গভীরতার সাথে।

রেজার ফোনে ট্রাই করে সে সময় লাইন পায়নি তবে পরে রেজা ফোন খুলেছে এমনটা ভেবে নিয়েছে বলেই হয়তো নুহা অপেক্ষা করেছিল তার স্বামী তাকে ফোন দেবে।

আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো ভাইয়া

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

শ্যামল জাহির বলেছেন: অপেক্ষায় থাকি কখন ওকে সুযোগ বুঝে ধরবো লিয়ানা আর মিথ্যে বলে আমার নাম ভাঙ্গিয়ে কই গিয়েছিলো সে কথা জিজ্ঞেস করার জন্য।

অপেক্ষা করছি!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম মিথ্যা যে ভালো না বোঝাই যাচ্ছে। তাই যা গোপন করার সেটা এমন ভাবেই গোপন রাখতে হবে যাতে দ্বিতীয় কেউ না জানে

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুযোগ আসবে বোধ হয়। রেজা সাহেব বুঝবেন।সেই সময়ের প্রতীক্ষায় থাকলাম।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম সুযোগ আসবে নিশ্চয়ই। দেখা যাক

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নিশ্চিত আক্রমণের প্রতীক্ষায়!

নুহাকে ক্ষেত্রবিশেষে অসহায় মনে হচ্ছে- আবার রেজাকেও! ক্রমশ একটা ঢেউ আছড়ে পড়ার প্রতীক্ষা। এই পর্ব আগেরটার চেয়ে পরিষ্কার।

সবগুলো পর্বের শেষটা-শুরুটা চেক করে দেখলাম। কন্টিনিউয়িটি নষ্ট হয়নি কোনখানে- এই জিনিসটা চমৎকার লেগেছে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সব থেকেও যখন কোনও মানুষ বোঝে আসলে সে একা, একাকীত্ব ঘোচে না, সব শেষে সে প্রবাসী বধূ , নারী, সময়ের কাছে মার খেতে হয় কখনো কখনো। আস্তে আস্তে তাদের ভেতরের ক্রোধ হয়তো প্রকাশ পাবে।

একটা পর্ব লেখার আগে পরের পর্বটা সামনে রেখে এবং একবার রিভিউ করে তারপর লেখার কাজে হাত দেই।

ভালো থাকবেন শঙ্কু

১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৯

আমি ইহতিব বলেছেন: ভাবছিলাম বড় ঝড়টা বুঝি এ পর্বেই আসবে, আরো প্রতীক্ষায় থাকতে হবে রেজার প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য। অপেক্ষায় থাকলাম।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্প লিখলে চট করেই শেষ হয়ে যেতো। হয়তো ধৈর্যচ্যুতি ঘটছে তাই না ? একসাথে পুরোটা পড়তে পারলে এমন লাগতো না / লাগবে না হয়তো।

১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: হুম পড়লাম আপা। ভালো লাগলো। চলুক B-)




আহেম !! আহেম !! বর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা। পার্টি কই হইবো ?? !:#P !:#P !:#P !:#P !:#P

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: টেকাটুকার বড়ই আকাল যাইতাছে ! পার্টি দিলে কী হিট হমু ? :P

১২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: বড় কঠিন প্রশ্ন করেছেন !! (মাথা চুলকানোর ইমু হইবে )

এই প্রশ্নের উত্তর ঝাতির বিবেকের উপর ছেড়ে দিলাম B-) B-) B-) B-)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তবে তাই হোক চৌধুরী সাহেব ;)

১৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বর্ষপূর্তির এত্তগুলা অভিনন্দন !!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ মুন

১৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ঠিক বুঝলাম না! মাঝখানে কি কিছু অংশ বাদ পড়ল? নুহা ১০ তো পড়েছি মনে হয়!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: যেটা বাদ পড়েছে, সেটা কাভার করেছ তুমি। ১০ পড়েছ।

১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
রেজার মানসিকতা দেখে মেজাজ খারাপ লাগছে! একজন অসুস্থ মানুষের প্রতিও একটু সহানুভুতি যা নেই সে তো পশুর সমতুল্য!

গল্প চুম্বকের মত টানছে আপু। এগিয়ে নিয়ে যান, ইনশাল্লাহ সাথে আছি :)

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সব মানুষের মানসিক গঠন তো সমান না , এই আর কী !

সাথে আছো জেনে আর দেখে ভালো লাগছে

১৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪২

একজন আরমান বলেছেন:
বসের জ্বালায় সকালে পুরো শেষ করতে পারিনি। এখন শেষ করলাম যাই, ঘুমাই। নতুন কিছু এখনও টার্ন করে নি।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বসের জ্বালানী বোঝো ? লেখকদের জন্য " অফিসে লেখালেখি, ব্লগিং করতে না পারার নামই হচ্ছে বসের জ্বালানী " :P

ভালো থেকো। ফাঁকি কম দিও

১৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৯

শামীম সুজায়েত বলেছেন: বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে নুহা-রেজার দাম্পত্য তরী এগিয়ে চলেছে বেশ। কখনও শীতল হাওয়া, কখনও মৃদু উত্তাপ ছড়াচ্ছে স্রোতের ভাজেভাজে।
দুলেদুলে উঠছে দাম্পত্য তরী।

শুভ কামনা রইলো। ভাল হচ্ছে ধারাবাহিক।
ভাল থাকবেন। সময় সুযোগ হলে খোঁজ নিয়েন মিনতি লতার

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো - মন্দ , বিশ্বাস - অবিশ্বাস নিয়েই যে কোনও সম্পর্ক চলে।
আমি পড়বো আপনার ধারাবাহিক মিনতি লতা । আরও অনেকেরই অনেক লেখা জমে আছে যেগুলো পড়া হয়নি।

১৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: নুহার সাথে নুহার কথোপকথনটি বেশ উপভোগ করলাম। অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ করার এই মাধ্যমটি বঙ্কিম রচনায় প্রথম পেয়েছিলাম।

নুহা সম্পর্কে চূড়ান্ত কিছু বলার আগে আরও পড়তে চাই। রেজা সম্পর্কে তো চূড়ান্ত প্রায় জানাই হয়ে গেলো। তবু চাই, লিয়ানা বিষয়ক সন্দেহটি মিথ্যে হোক!

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আসলে কাউকেই বোঝা সম্ভব না পুরোপুরি , এক সাথে থাকার পরেও। অনেক দম্পতিই আছনে ৪০-৫০ বছর সংসার করার পরেও স্বামী বা স্ত্রীকে বলেন -- " শান্তি পাইলাম না তোমার জন্য "

১৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: রেজা দিন দিন বিরক্তির চরম পর্যায়ে চলে যাচ্ছে !

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: রেজা তো ভালো কিছু দেখাতেও পারছে না নুহাকে, কী আর করা !

২০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

স্বপনচারিণী বলেছেন: অপেক্ষায় আছি ঝগড়া দেখার।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঝগড়া লাগাবো আবার সামনের কিছু পর্বে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.