নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।
নুহা - ২০
মোবাইল অনন্তকাল ধরে যেমন বাজবে না, বৃষ্টিও তেমনি ঝরবে না। এক সময় বৃষ্টি থামলো হঠাৎ করে যেভাবে এসেছিলো সেভাবেই। তবে যতটুকু সময় বৃষ্টি ঝরেছিলো সেটা ছিলো একটানা এবং তুমুল বর্ষণ। আমার পাজামার অনেকখানিই ভিজে গিয়ে পায়ের সাথে লেপটে আছে হাঁটুর নিচ থেকে, ওড়নার কিছুটা অংশ ভিজে গেছে। শাহীন ভাই চলে যাবার পর, বৃষ্টি থামলে আমিও বাসায় ফেরার জন্য প্রস্তুতি নেই। এ এলাকায় অনেক বাঙালি লোকের বসবাস, দোকানও আছে। কেউ যেমন বাইরে ফুটপাতে ব্যবসা করে আবার কারো কারো নিজস্ব দোকান আছে ফোনের, কারো বা আছে ভ্যারাইটি স্টোর, এক কথায় বলা যায় বাংলাদেশের মতো মুদি দোকান। তবে এখানে এসব দোকানকে বলে আলিমেন্টারি। এই রকম গা ভেজা অবস্থায় হেঁটে হেঁটে এই এলাকা পার হতে গেলে অনেক বাঙালি লোকের মুখোমুখি হতে হবে। ব্যাপারটা কেমন দেখাবে ভাবতেই অস্বস্তি লাগছে। এই চিরচেনা অস্বস্তিদায়ক বোধ বাংলাদেশ বা ইউরোপ, আমেরিকা বোঝে না, সঠিক সময়ে ঠিকই উচিত আর অনুচিতের মাপকাঠি নিয়ে সামনে চলে আসে। রিকশা পেলে ভালো হতো। টুং টুং আওয়াজ করে রিকশাওয়ালা নিয়ে যেতো আমাকে আমার গন্তব্যে। এই যে এখানে যেমন কাছাকাছি কিছু জায়গা আছে, না সেখানে হেঁটে যাওয়া যেতে ভালো লাগে না আবার বাসের জন্য অপেক্ষা করতে ভালো লাগে! এমন সময় বাংলাদেশের রিকশার খুব অভাব বোধ করি। যানজট মুক্ত এরকম একটা দেশে রিকশা থাকলে ভালো হতো, আমাদের দেশীয় একটা বাহনের প্রচার ঘটতো। খিদে লেগেছে, কিছু খাওয়া দরকার। সামনেই একটা সুপারশপ আছে, ওখান থেকে রুটি, দুধ, ফল, আইস টি এসব কেনা দরকার। কিন্তু এসব ভারী ভারী জিনিস গুলো টেনে নিয়ে বাসায় যাওয়াটাও মুশকিল। বাসের জন্য অপেক্ষা করাও ঝামেলা লাগছে, হাঁটতেও ইচ্ছে করছে না। মাথা কেমন টলছে। জ্বরের আভাস। ধ্যাত পারবো না এসব কিনতে। বাসায় যা আছে তাইই খাবো। জানতাম তো আমি মোল্লার দৌড় যে মসজিদ পর্যন্ত। বাসায় গিয়ে রান্না করবে, রেজাকে খাওয়াবে তাই খাবার না কেনার জন্য বাহানা, বুঝি না আমি ! হাহাহহাআহা শব্দে নুহার হাসি আমার কানে যন্ত্রণার তৈরি করছে।
ওকে বলি - আরেকবার আমাকে খোঁচালে চড় লাগাবো তোমাকে !
পার্ক থেকে বের হয়ে রাস্তার উল্টো পাশেই একটা পিৎজার দোকান দেখে ওখানে ঢুকলাম। চিংড়ি মাছের পিৎজা নিলাম এক টুকরো পরিমান কেটে আর একটা ফানটা। দোকানের এক কোণায় দাঁড়িয়ে খেয়ে নিলাম। পিৎজা কেটে ওজন দেয়ার মেশিনে ওজন মেপেই ওরা মূল্য নির্ধারণ করে। চিংড়ি পিৎজা বরাবরই পছন্দ আমার, সাথে লেটুশ পাতা কুঁচি করে কেটে দেয়, সাথে মেয়নেজ , দারুন লাগে খেতে। দোকান থেকে বের হয়ে পাশের লাইব্রেরীর দোকানে একটু ঢু মারি। কাগজ কলম কিনবো। এখানের ডায়েরি আমার তেমন পছন্দ হয় না, নানা ধরণের এ দেশীয় ছবি আর এড দিয়ে ভরা যে কয়েকটা ডায়েরি দেখেছি। একটা খাতা কিনলাম আর কলম। ছোট ছোট শো পিসের মতো কিছু শার্পনার দেখলাম, ডিজাইন করা কিছু পেন্সিল, ফেইরি টেলসের বই, স্টিকার, ম্যাগাজিন দিয়ে দোকানটা ভর্তি। আচ্ছা ঝোঁকের মাথায় খাতা কলম কিনলাম না তো ! নিজের মনের কথা কাউকে বলা তো নিরাপদ মনে হয় না আমার কাছে। ভয় লাগে, কাকে কখন কী বলে ফেঁসে যাই। তবে এখানে মিশিই বা কার সাথে ! একমাত্র শবনম ছাড়া আর কারো সাথে তো অমন ঘনিষ্ঠ ভাবে মেশাই হয় না, কিন্তু তাই বলে কী শবনমকে সব বলতে পারি ! কী যে চমৎকার শবনমের দাম্পত্য জীবন, সেখানে আমার এই বর্তমানের মানসিক পীড়ন ওকে প্রচণ্ড ভাবে আঘাত করবে, ব্যথিত হবে ও, এমনকি রেজাকে সরাসরি চার্জ করে একটা হুলুস্থুল কাণ্ডও ঘটাতে পারে। ওর জন্য অসম্ভব কিছু না।
বৃষ্টি শেষে আবার গা চিড়চিড়ে ধরণের একটা রোদ উঠেছে। চোখ ব্যথা করছে। সানগ্লাসটা ব্যাগে আছে কিনা মনে করতে পারছি না। ছাতাটা খুলে হাঁটতে থাকি ধীরে ধীরে বাসার দিকে। কোলাহলের জায়গাটা যেখানে বাঙালিদের সমাগমটা বেশি, ঐ জায়গাটা এড়িয়ে একটা নিরিবিলি বিকল্প পথ ধরি বাসায় ফেরার জন্য। ঐ রাস্তাটা আমার খুব ভালো লাগে। এমন না যে ওখানে প্রাকৃতিক শোভা বেশি কিংবা খুব সুন্দর সুন্দর বাড়ি ঘর বিশেষ করে নতুন মডেলের বাড়ি ঘর আছে, সেটা নয়। আর এখানে প্রথম প্রথম এসে আমার সব জায়গা, মানুষজনের চেহারা একই রকম লাগতো। আমি ভাবতাম ইউরোপ মানেই আধুনিক ডিজাইনের বাড়ি ঘর, ঝকঝকে চকচকে রাস্তাঘাট। মজার ব্যাপার রাস্তার পাশের পীত বর্ণের বড় বড় ডাস্টবিন দেখে আমি তো ভেবেছিলাম এগুলো বুঝি পোস্ট বক্স। এখন ভেবেই হাসি পাচ্ছে। পোস্ট বক্স গুলো ছোট ছোট , লাল রঙের বক্স, দেয়ালে ঝোলানো থাকে আবার চাইলে পোস্ট অফিসে গিয়েও টোকেন নিয়ে চিঠি বা জরুরী জিনিস পোস্ট করা যায়। এই রাস্তাটা এতো নিরিবিলি হবার কারণ সম্ভবত মূল সড়ক থেকে এটা কিছুটা ভেতরের দিকে। এখানে বড়সড় একটা গ্যারেজ ছাড়া আর তেমন কিছু নেই শব্দ উৎপাদন করার মতো। দুপুরের ঝিম ধরা রোদে মনে হয় পুরো এলাকাই হাঁপাচ্ছে, ঘাপটি মেরে ছায়া ছায়া জায়গায় বিশ্রাম নিচ্ছে মানুষ গুলো। রোদ পড়ে এলেই আস্তে আস্তে বের হবে সবাই বৈকালিক বা সান্ধ্যভ্রমণে। ঘেউ ঘেউ করে একটা কুকুর ডাকছে কোনো এক বাসার বারান্দা থেকে। অনেকেই আছে নিজের পোষা কুকুর বারান্দায় বেল্ট দিয়ে বেঁধে রাখে সময়ে সময়ে, হয়তো বিকেলে নিয়ে বের হবে বাইরে। ইউরোপিয়ানদের কুকুর প্রীতি একেবারে দেখা মতো। আলাদা ঘর, কুকুরের হাসপাতাল , আলাদা পারসোনাল ডাক্তার, তাদের জন্য সুপারশপে আলাদা একটা অংশই আছে খাবারদাবারের। কুকুরের ডাকটা ঝিম ধরা দুপুরকে বিদীর্ণ করে দিচ্ছে এমন লাগছে। আমি আমাদের বাসার প্রায় কাছাকাছিই চলে এসেছি, ট্রেন যাওয়ার সেই ব্রিজটার কাছে। এখানে ট্রেন লাইনের পাশে বেশ বড় বড় ঘাস গজিয়ে একটা গ্রাম্য আবহ তৈরি করেছে। ট্রেনের ব্রিজটা রাস্তা থেকে অনেকটা উঁচুতে। ওখান থেকে এই দিনের বেলাতেও কেমন একটা টি টি টি করা ডাক আসছে। র্যাকেট- টেইলড পাখির আওয়াজের মতো তীক্ষ্ণ একটা আওয়াজ । হঠাৎ করে শুনলে কানে তালা লেগে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়, মনে হয় শত শত কাঁচের প্লেট- জিনিসপত্র ভাঙার আওয়াজ হচ্ছে। কানে অনেকক্ষণ লেগে থাকে এ আওয়াজের রেশ। উফফ বাসার সামনের এই উঁচু জায়গাটা পার হবার সময় আমার হাঁফ ধরে যায় ভীষণ, ক্লান্তি লাগে। মাথাটা এমনিতেই বন বন করে ঘুরছে, নাক মুখ দিয়ে গরম হলকা বের হচ্ছে।
গেট খুলে বিল্ডিং কম্পাঊন্ডে ঢুকে লিফটের সামনে এসে দাঁড়াই। লিফট দেখা যাচ্ছে ব্যস্ত। দরজা খুলে যে বের হলো তাকে দেখার জন্য এ মুহূর্তে প্রস্তুত ছিলাম না। আমাদের বিল্ডিং এর দুই তলার বারান্দায় দেখা সেই ছেলেটা। মুখে খোঁচাখোঁচা দাঁড়ি, এলোমেলো চুল আর এক জোড়া বিষণ্ণ চোখ। আমাকে দেখে একটা হাসি হাসি ভঙ্গী করলো কিন্তু পুরোপুরি হাসি বলা যায় না। জানতে চাইলো - তুমি অসুস্থ নাকি ? আমি মুখে কোনও শব্দ করলাম না, মাথা দু দিকে নাড়িয়ে বোঝালাম আমি ঠিক আছি। এই প্রথম এই ছেলেটার সাথে আমার কথা। একটা অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। দেখলাম ছেলেটা লেটার বক্স চেক করে দুইটা চিঠি ঢুকিয়ে নিলো পকেটে। আমাদের লেটার বক্সের চাবি আমার কাছে থাকে না আর এখানে চিঠি পাঠাবার কেউ নেইও। আমিও লেটার বক্সে একটু উঁকি দিয়ে দেখলাম, গ্লাসের বাইরে দিয়ে দেখলাম একটা চিঠি এসেছে, হয়তো গ্যাস বা অন্য কোনও বিল হবে। সব ফ্ল্যাটের জন্যই একটা করে লেটার বক্স আছে সারিবদ্ধ ভাবে সাজানো দেয়ালের গা সেঁটে নিচ তলায়, যেখান থেকে আমরা লিফটে উঠি। ছেলেটা চলে যেতে গিয়েও একটু থমকে দাঁড়ালো। আমি ওর দিকে তাকালে আমাকে জানালো - আমি নিনো। তুমি ?
- আমি নুহা। এই বিল্ডিং এর চার তলায় থাকি। আমার কথা শুনে ছেলেটা মিটিমিটি হাসে। আমার অস্বস্তি হতে থাকে ওর হাসি দেখে।
- জানি তো! তুমি এশিয়ান?
আমি মাথা নাড়াই।
- হাহাহা , তুমি কথা কম বলো ?
আমি হেসে ফেলি ওর কথা শুনে। আমি ভীষণ অপ্রস্তুতবোধ করছি এভাবে হঠাৎ করে ওর সাথে কথা হয়ে যাবে, ভাবিনি।
- আচ্ছা নুহা, আজকে আসি তাহলে। আবার দেখা হবে। কথাও।
- চাও নিনো।
আমাকে কী খুবই অসুস্থ দেখাচ্ছে আজকে, দুইজন জিজ্ঞেস করলো আজ। ঘরে ঢুকেই ফ্ল্যাটে ঢুকে আয়নার সামনে দাঁড়াই নিজেকে দেখার জন্য। চোখ দুইটা ফোলা ফোলা, লালচে আর এলোমেলো চুলে পুরো বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে। দেখাক গে। বাইরের জামাকাপড় ছাড়া দরকার, সেই সাথে শাওয়ার নেয়াও জরুরী। বাইরে থেকে আসার পরেও শাওয়ার না নিলে আমার কেমন যেন লাগে। ঘরে তো কোনও ওষুধও নেই, হু হু করে মনে হয় জ্বর বাড়ছে, গা কেঁপে কেঁপে উঠছে, শীত শীত লাগছে। এখানে জ্বর ঠাণ্ডা লাগলো আর ফার্মেসি থেকে চট করে ওষুধ কিনে আনলাম সেরকম নয়। প্রেসক্রিপসন ছাড়া সব ওষুধ আবার ফার্মেসি থেকে এভেইলেবল দেয়া হয় না আর কিনতে হলেও অনেক টাকা লাগে। কিন্তু ডাক্তারের প্রেসক্রাইবড ওষুধ হলে অনেক অল্প দামেই পাওয়া যায়। জ্বর আসুক বা নিউমোনিয়া বাঁধুক কোনো ব্যাপার না আমার জন্য, এখন ঘুম দরকার। কপালের দুপাশের রগ টিপটিপ করে লাফাচ্ছে মনে হয়,ব্যথা হচ্ছে। আলমারি থেকে একটা পাতলা চাদর বের করে নেই। হাড়ে হাড়ে মনে হয় শীত ঢুকে গেছে। ঘরের দরজা বন্ধ করে দেই, অন্ধকার অন্ধকার হয়ে এলে চোখে একটু আরাম লাগতে থাকে। উফফ আবার মোবাইলটা বাজছে। হাতে নিয়ে দেখি রেজার নাম্বার। ওর লাইনটা বেজে বেজে কেটে যাবার পর আমি মোবাইলটা সাইলেন্ট করে রাখি। একটা বিতৃষ্ণা কাজ করছে ওর নাম্বারটা দেখে। রাতে বাসায় ফিরলেই ও আমার সাথে কথা বলার একটা বাহানা তৈরি করবে ভালো করেই জানি। এরকম দু নৌকায় পা দিয়ে ভোগ বিলাসিতায় জীবন কাটানো রেজা বা ওর মতো মানুষের পক্ষে সম্ভব হলেও আমার জন্য সম্ভব না। চাইলেই আমি চট করে বাসা ছেড়ে চলে যেতে পারি না বা বাংলাদেশেও চলে যেতে পারি না। আমাকে স্ট্রাগল করতে হবে, পায়ের নিচে একটা মাটির নাগাল পেতে হবে। হাহহাহা পাথরের দেশে মাটি খুঁজছ তাও আবার রেজার খেয়ে পড়ে ! অবাক করলে নুহা ! হাহহাহহা !
আমি ধমকে উঠি, আবার এসেছ তুমি ? যাও বলছি, মাথায় এমনিতেই যন্ত্রণা হচ্ছে, আর যন্ত্রণা বাড়িও না। আমাকে সে বিয়ে করেছে, এখানে এনেছে, সুতরাং আমার খাওয়া পড়ার দায়িত্বও ওকে নিতে হবে। নিজেকেই নিজে শোনাই আমি।
- আরে বোকা মেয়ে, তুমিও যা ইচ্ছে হয় তাই এমন একটা জীবন বেছে নাও না। সারাদিন একলাই তো থাকো, নিজের মতো করে একটা সঙ্গী খুঁজে নাও না, রেজা যেমন নিয়েছে। হাতের সামনেই আছে এমন মানুষ, শুধু চোখটা খুলে দেখো।
- নুহা !!! চুপ করবে ? আমি চিৎকার করে উঠি শূন্য ঘরে। আমি কেঁদে উঠতে গিয়েও সামলে নেই। আমাকে এমন দিকভ্রষ্ট করতে চায় কেন আমার আরেকটা সত্ত্বা ! তার মানে কী আমার মনের মাঝেও এমন কোনও গোপন আকাঙ্ক্ষা ঘাপটি মেরে ছিলো নাকি রেজার উপরে রাগে, জেদে এমনটা হচ্ছে ! আমি বুঝি না, কিচ্ছু বুঝতে পারি না। মা মনে হয় ঠিকই বলে, আমি ইদানিং নামাজ পড়ি না। আমাকে শয়তান ধোঁকা দিচ্ছে।
- হাহাহহাহা নুহা, তুমি আবার শয়তান ফেরেশতা, পাপ - পুণ্য নিয়ে কবে থেকে মাথা ঘামাও?
আমি নুহার ধোঁকাবাজি কথা আর হাহাহা হাসি আর শুনতে চাই না, কানে মাথায় আরেকটা বালিশ চেপে ধরি। আমার কানে নুহার সেই ভয় ধরানো হাসির প্রতিধ্বনি হতেই থাকে, হতেই থাকি। আমি আরও জোরে চেপে ধরি বালিশটা আমার মুখের উপর। ভালোই তো, আমার আর কিছু করতে হলো না, নিজেই নিজেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফেলছ, ভালো ভালো, খুব ভালো করছ নুহা। এ কথায় আমার খেয়াল হয়, আসলেই তো আমি কী করছি এটা ! আমার তো নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। আমি বালিশটা আমার মুখের উপর থেকে সরাই। উঠে গিয়ে টেবিল ফ্যানটা ছেড়ে দেই। কেমন ঘেমে গেছে আমার কপাল, গলা ! পানি পিপাসা হচ্ছে। সাইড টেবিল থেকে পানির বোতল নিয়ে এক চুমুক পানি খাই। আমি খাটের মাঝ বরাবর গিয়ে শুয়ে পড়ি, বালিশ ছাড়া। মনে হয় আমার শরীরের সব শক্তি নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে। কী কথা বলার জন্য , কাকে বলার জন্য যেন আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে। আমার একটু কথা বলার দরকার। কার সাথে আমার কথা শেয়ার করবো জানি না। আমার চোখ জ্বালা করছে, পানি গড়িয়ে পড়ছে। শরীরটা কিছুক্ষণ পর পর হালকা কেঁপে উঠছে, জ্বরের জন্য নাকি কান্না চেপে রাখার জন্য জানি না। হিহিহিহিহিহিহি ... হিহিহিহিহিহি ! একটা প্রেত হাসির আওয়াজ ঘরময় প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। নুহা ! যাও বলছি এখান থেকে। ওর যাওয়ার লক্ষণ দেখা যায় না। হাসতে হাসতে বলে-
- দুঃখের কাহিনী লিখে রাখবে বলেই তো কাগজ কলম কিনে আনলে। বিছানা বালিশ না ভিজিয়ে দুই কলম লিখে ফেলো না যন্ত্রণার কথা ! বোকা মেয়ে !
মাথার ভেতর সারাক্ষণ একজন কথা বলতে থাকলে আমি মনে হয় পাগলই হয়ে যাবো। ইচ্ছে করে নিজের মাথা নিজেই বাড়ি মেরে গুড়িয়ে দেই। মাথার মাঝে বিজবিজ করে প্রতিনিয়তই কথার আওয়াজ আসা, কানে যখন তখন হাসির শব্দ ভেসে আসা - আমাকে স্বস্তি দিচ্ছে না মোটেই। কিসের যেন এক ঘূর্ণি চলছে মাথায়। এরকম ঘূর্ণি নিয়ে যেন কী একটা বই পড়েছিলাম, নামটা যেন কী ! উমমম সুচিত্রা ভট্টাচার্যের বই ! নামটা যেন কী ! উফফ সময়মত কিচ্ছু মনে পড়ে না। চোখ বন্ধ করে স্মৃতির অতলে ডুব দেই, খুঁজে আনতে হবে নামটা যে করেই হোক। ইয়েসসস মনে পড়েছে - বইয়ের নাম - নীল ঘূর্ণি। আমার তো একটু ঘুমানো দরকার। আল্লাহ আমার চোখে একটু ঘুম দাও, সারা শরীর কী এক অসহ্য ছটফটানিতে ছিঁড়ে পড়ছে কিন্তু ঘুম কেন আসছে না। আমি গড়িয়ে গড়িয়ে বিছানার মাঝ থেকে সাইড টেবিলের কাছে যাই, ওখানেই খাতা কলম রাখা আছে। বালিশটা বুকের নিচে রেখে উপুড় হয়ে শুই। কলমটা হাতে নিয়ে ভাবতে থাকি আমার যন্ত্রণার কোন রঙটা খাতায় আঁকবো, কোন রঙের সাথ একন রঙ মেশাবো। আমার ভাবনারা দেশ থেকে দেশান্তরে ছুটে যায়। আমি কোনও রঙ খুঁজে পাই না আঁকার মতো, আমার তুলিতে কিছু আসে না। মাথায় ঘুরছে বনবন করে একটাই গানের লাইন, আঙুরবালার গান -
" আমি আপন আর পর সবারে চিনেছি, হৃদয়ের বীণা ভাঙিয়া ফেলেছি "
আমি না দেখা সেই আঙুরবালার দুঃখবেদনায় আক্রান্ত হই, শূন্যের দিকে একটা হাত বাড়িয়ে তার চোখের কোলটা মুছে দিতে চাই। আহা আঙুরবালা !
চলবে
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দেরীতে হলেও দেখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
স্বপনচারিণী বলেছেন: নেহার লম্বা বিশ্রাম দরকার। ওর মাথা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে, তাই ভাবনাগুলোও এলোমেলো। অবশ্য আমাদের সবারই অনেকসময় এরকম ভাবতে ভালই লাগে। পর্ব ভাল লেগেছে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপনচারিণী
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গল্পে অনেক ইংরেজি টার্ম ব্যবহার করেছেন তাই এর সাথে মিল রেখে আপনি
চিংড়ি মাছের পিৎজার স্থলে এর ইংরেজি টার্মটা ব্যবহার করলে মনে হয় আরও ভালো হতো।
গল্পের কিছু স্থানে মনে হয়েছে অযথা লম্বা করেছেন আরেকটু টান টান হলে পড়তে আরও ভালো লাগত।
মাথার মাঝে বিজবিজ করে প্রতিনিয়তই কথার আওয়াজ আসা, কানে যখন তখন হাসির শব্দ ভেসে আসা - আমাকে স্বস্তি দিচ্ছে না মোটেই।
এই লাইনটা ভালো লাগেনি।
কিছু মনে করবেন না, আমি কখনও সমালোচনা মূলক মন্তব্য করিনা কিংবা করতে পারিনা কিন্তু আপনার অভিযোগ যে আমি শুধু ফাঁকিবাজি মন্তব্য করি তাই এবার আর ফাঁকি না দিয়ে একান্তই আমার কিছু ধারনার কথা লিখলাম।
তবে নুহায় +++++++++ রইল। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চিংরি মাছের ইতালিয়ান টার্ম মনে নাই। আর শ্রিম্প পিৎযা শুনতে আমার ভালো লাগে নাই তাই চিংড়ি পিৎজাই দিয়েছি।
কিছু অংশ আপনার মনে হচ্ছে অযথা টেনে লম্বা করছি, কিন্তু ট্যাগ দেখেন এটা উপন্যাস। তাই হয়তো কিছুটা বিস্তারিত ব্যাপার চলে আসে অনেক সময়।
ফাঁকিবাজি শুরু করছেন বলেই তো অভিযোগ করলাম, ভুয়া অভিযোগ তো আর করি নাই লাভ তো আমারই হইলো।
ভালো লাগলো কাণ্ডারি ভাই আপনার কমেন্ট পেয়ে। ধন্যবাদ
৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বেচারী নুহা।। কি পড়লাম এই পর্বে? পুরোটাতে নুহার এলোমেলো ভাবনা আর মানসিক অসস্তি শারিরীক অসুস্থতায় পরিণত হবার আভাস! কাহিনী আগায় নি, বেড়েছে নুহার মানসিক যাতনা!
রেজা তোর রেহাই নাই ......
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম রেজাকে রেহাই দেয়া হবে না। রেজাকে নিয়ে তোমার এই ধরণের কমেন্ট গুলো পড়ে মজা পাই
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫
ভিয়েনাস বলেছেন: দু´পর্ব এক সাথে পড়লাম দি
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভিয়েনাস তোমাকে তো খুঁজে পেয়েছি ফেবুতে
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
গোর্কি বলেছেন:
নিজের সাথে নিজের বোঝাপড়া হওয়াটা ভাল। এতে আত্মশুদ্ধির পথ বিস্তৃত হয়। কথাগুলো আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে বললাম।
অফ টপিক: স্পেনে দেখেছি ফ্ল্যাটের বাহিরে লবিতে বা লিফটে কারো সাথে দেখা হয়ে গেলে চেনা বা অচেনা হলেও একে অপরকে 'অলা' (Hola) বা হ্যালো বলে। ইটালীতেও কী এরূপ রীতি চালু আছে? কৌতূহলবশত জানতে চাইলাম। আশা করি মনে কিছু নেবেন না। খুব ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ইতালিতেও এরকম সম্ভাষণ এর রীতি আছে। " চাও ( ciao )" এটা দেখা হলেও বলে, বিদায় নেবার সময়ও বলে।
নিজের সাথে নিজের বোঝাপড়া টা বিশাল কিছু। ভালো, মন্দ সবই টের পাওয়া যায় !
৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
মামুন রশিদ বলেছেন: মাঝ খানে একটা বিরতি চলায় আগের পর্বগুলোর সাথে লিংক করতে কষ্ট হয়েছে । তবে এই পর্বে শুধুই নুহার নিজের কথা থাকায় পার পেয়ে গেছি ।
অপূর্ব ডিটেইলিং! সে চারিপাশের পরিবেশ আর নুহার নিজের কথা সব কিছুতেই ।
ভালোলাগা ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মাঝখান নুহা দিতে দিতে তো আমি নিজেও পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম, এই বৃত্ত থেকেই বের হতে পারছিলাম না । অনেকদিন পর দিলাম একটু বোরিংনেস কাটাবার জন্য।
ধন্যবাদ মামুন ভাই
৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নুহার দেখা পেয়ে ভালো লাগছে।
এই পর্বটার প্রয়োজন ছিল। আগের পর্বগুলো থেকে এই ধারণা পাচ্ছিলাম যে নুহা রেজাকে অন্ততঃ অপছন্দ করত না। সুতরাং রেজার বিশ্বস্ততার অভাব নুহাকে বিধ্বস্ত করবে এটাই স্বাভাবিক। এখানে সেই অংশটা পুরোপুরি পূর্ণতা পেয়েছে। পাশাপাশি নিনোর সাথে কথা হবার পরেই কুটিল নুহা আমাদের নুহার সাথে ঝগড়া করা শুরু করে, অর্থাৎ ইংগিতটা স্পষ্ট।
আর ডিটেলস নিয়ে বরাবরই মুগ্ধ হই, উপন্যাসের অন্যতম প্লাসপয়েন্ট হিসেবে ধরা যায় বিষয়টাকে। সবমিলিয়ে, যথাযথ।
শুভরাত্রি।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নুহার আরেকটা সত্ত্বা ভীষণ রহস্যময়, যা এক সাথে ভালো - খারাপ দুই দিকের পালেই হাওয়া দেয়। আর আমাদের মনেও তো ভালোর পাশাপাশি খারাপের প্রবণতা টা থাকে যা আমরা নিয়ন্ত্রণ করে রাখি ।
আপনার কমেন্ট পড়ে ভালো লাগলো শঙ্কু।
ভালো থাকবেন।
৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৭
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
নুহা দেখে মনে পড়ল অনেক গুলা পর্ব পড়া বাকি আছে! আমি তো ভুলেই গেছিলাম! কাল সারাদিন ম্যারাথন রেস দিয়ে সবগুলো শেষ করব।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঠিক আছে। সমস্যা নাই, আস্তে আস্তেই পড়
১০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৫০
মোঃ নুর রায়হান বলেছেন: আমি তো সবগুলোই মিস করেছি।
এটা আগে চোখে পড়ে নাই কেন?
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মিস হয়েছিলো, এখন তো আর মিস হয়নি। পড়েছেন তো একটা হলেও। ধন্যবাদ
১১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: নুহার এই পর্বেও ভালোলাগা। চলতে থাকুক। বর্ণনাভঙ্গী অত্যন্ত পরিণত এবং সাবলীল। সেই সাথে পরিমিতিবোধসম্পন্ন এবং বলিষ্ঠ।
শুভেচ্ছা।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩
অদৃশ্য বলেছেন:
নুহার এমনতর মানসিক যন্ত্রণা আমার এখন অসহ্য লাগছে... নুহাকে মুক্ত করুন... এতোটা পেইনের মধ্যে নুহাকে রাখাটা ঠিক হচ্ছেনা... নুহার জন্য কিছুটা প্রশান্তির ব্যবস্থা করুন... তা ঘরে হোক বা ঘরের বাইরে...
ভালো লাগছে...
শুভকামনা...
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আচ্ছা প্রশান্তি আনবো কিছুটা। দেখা যাক কি করা যায় নুহার জন্য।
১৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
হাসানসরদার বলেছেন: লেখাটা একটু বড় হয়ে গেল
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ছোট হয়ে গেলে পড়তে আবার ভালো লাগবে না।
১৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: নিনোর প্রতি চোখ রাখলাম। বাঁক দরকার বাঁক!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নিনো পরবর্তীতে ব্যাপক রূপেই আসবে
১৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৫
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
একটু লম্বা, কিন্তু বেশ চলছে!!!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
১৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৫৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আর সব যেমন তেমন, নুহার খাওয়া ঠিক আছে।
এ পর্যন্ত যতটা মনে করতে পারি যে, রাগারাগি বা অন্য কোনো কারণে না খেয়ে থাকে নাই নুহা। এই একটা দিক দিয়ে সে বাঙ্গাল ললনাদের মতন না। বাঙ্গাল মেয়েরা রাগারাগির ব্যাপার ঘটলেই খামুনা টাইপের পণ করে ফেলেন। সেই সঙ্গে এক দুই বেলা না খেয়েই কাটিয়ে দেন বিনা ঝামেলায়।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো জিনিস আপনার চোখে পড়ছে তো !
রাগারাগি করে খাওয়া বন্ধ করে দেবার ব্যাপারে যে জিনিসটা কাজ করে মেয়েদের মাঝে সেটা হচ্ছে, না খেয়ে থাকলে ধীরে ধীরে রাগটা কমে যায় আর খাওয়া নিয়ে সে অবস্থায় সাধাসাধি করলে জেদটা বাড়ে।
আমার ভাইয়া তো আমাকে ক্ষেপাতো এই বলে যে তুই তো আসলে রাগ করে খাওয়া বন্ধ করিস নাই, এই ফাঁকে একটু ডায়েট করে নিচ্ছিস এই আর কি !
১৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২০
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
মোবাইল থেকে কাল পড়ছিলাম।
মন্তব্য দিতে পারিনি।
ভালো লাগছে উপন্যাসের এগিয়ে যাওয়া।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ দূর্জয় । ভালো থেকো
১৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২২
শায়মা বলেছেন: এত জল ও কাজল চোখে পাষানী
আনলে বলো কে?
টলোমল জলমোতির মালা দুলিছে ঝালর পলকে
গানটা মনে পড়লো আপুনি।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কার গাওয়া গান এটা ? শুনিনি বোধ হয়
১৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩
মেইই বলেছেন: বার বার গুলিয়ে ফেলছি এটা উপন্যাস নাকি আপনার জীবন কাহিনী। এতোটাই বাস্তব লাগছে। ক্রেডিট টা কী আপনার নাকি আমার?
চমৎকার।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সব গল্পই সত্য নয় যেমন খুব একটা মিথ্যাও নয়। সবটাই লেখকের জীবন হওয়া সম্ভব নয়। কোনো একজন মানুষের জীবন গল্পের মতো হয় না। কিন্তু কয়েকজনেরটা মিলিয়ে একটি গল্প হয়। আর লেখকের জীবন বা আশেপাশের সব কিছু মিলিয়েই হয়তো একটা উপন্যাস কিংবা গল্পের আংশিক কিছু হয়।
ভালো লেগেছে আপনার কাছে এটাই বড় ব্যাপার। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো
২০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
শায়মা বলেছেন: আপু এটা নজরুল গীতি।
আঙ্গুরবালার কন্ঠেও এই গান আছে।
২১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
শায়মা বলেছেন: http://www.youtube.com/watch?v=dwogXLcvWNY
এই যে গানটা তবে এই গান গাইবার সময় তার বয়স ছিলো আশীর্ধ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু, বাসায় গিয়ে শুনে নিবো
২২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২
আমি ইহতিব বলেছেন: আজ নিয়ে ৩দিন হলো সকালে নূহা - ২১ ওপেন করি আর দিন শেষে এটা সেটা করার পর দেখি আর পড়া হয়ে উঠেনি। আজ প্রিন্ট করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছি আপু। কাল আবার আসবো।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সময় করে এক সময় পড়লেই হবে। সমস্যা নেই
২৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১১
মশিকুর বলেছেন:
নুহা অনেক বড় হয়ে গেল দেখতে দেখতে। ২১ পর্ব চলছে!!! কি যে করি? পড়ার আয়োজন সম্পন্ন, সময় কেবল বাঁধা হয়ে দাড়ায়। শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এক সাথে পড়লে হয়তো বোরিং কম লাগবে। ভালো থাকুন ভাইয়া
২৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নুহার ২য় সত্তার সাথে একটা অস্থির দ্বন্দ্ব চলছে এ পর্বে। সচরাচর ২য় সত্তাটি বিবেকের কাজ করে, এখানে মনে হচ্ছে এর উলটো। তবে, ২য় নুহার প্ররোচনাকেও কেউ কেউ বিবেকসম্মত হয়তো বলবেন, ঔচিত্যের বিবেচনায়।
ভালো লেগেছে।
আপনার লেখার উপর কিছু আলোকপাত করি।
অনেক বাঙালি লোকের মুখোমুখি হতে হবে কথাটাকে বাঙালিদের মুখোমুখি হতে হবে লিখলেই বেশি ভালো লাগে মনে হয়। এখানে ‘বাঙালিদের’ বলতে অনেক বাঙালিকেই বোঝায়
‘এসব ভারী ভারী জিনিসগুলো টেনে নিয়ে বাসায় যাওয়াটাও মুশকিল’ কথাটাকে ‘এসব ভারী জিনিস টেনে নিয়ে বাসায় যাওয়াটাও মুশকিল’ লিখলে কেমন হয়?
নিচের অংশে কতগুলো 'টা' আছে গুনে দেখুন তো
বৃষ্টি শেষে আবার গা চিড়চিড়ে ধরণের একটা রোদ উঠেছে। চোখ ব্যথা করছে। সানগ্লাসটা ব্যাগে আছে কিনা মনে করতে পারছি না। ছাতাটা খুলে হাঁটতে থাকি ধীরে ধীরে বাসার দিকে। কোলাহলের জায়গাটা যেখানে বাঙালিদের সমাগমটা বেশি, ঐ জায়গাটা এড়িয়ে একটা নিরিবিলি বিকল্প পথ ধরি বাসায় ফেরার জন্য। ঐ রাস্তাটা আমার খুব ভালো লাগে।
ঘরে ঢুকেই ফ্ল্যাটে ঢুকে আয়নার সামনে দাঁড়াই নিজেকে দেখার জন্য। একটা ‘ঢুকে’ বদলানো উচিত।
অন্ধকার অন্ধকার হয়ে এলে চোখে একটু আরাম লাগতে থাক। এখানেও একটা ‘অন্ধকার’ কেটে দিলে ‘কিছুটা অন্ধকার’ই বোঝায়
‘সুতরাং আমার খাওয়া পড়ার দায়িত্বও ওকে নিতে হবে।’ বলছি কী, পড়ালেখা কি শেষ হয় নি এখনো? তাহলে ‘পরা’ হলেই তো হয়
আপনি কোথাও ‘কোনও’, কোথাও ‘কোনো’ লিখেছেন। যে-কোনো একটা বেছে নেয়া ভালো মনে করি। তেমনি ‘আরো’ বা ‘আরও’-এর বেলায়ও
আরো কিছু বানান দেখে নিতে পারেনঃ
সত্ত্বা> সত্তা
ইদানিং> ইদানীং
ধরণ>ধরন
নিঃশ্বাস> নিশ্বাস
কাহিনী> কাহিনি
কোণায় > কোনায়
গুড়িয়ে দেয়া > গুঁড়িয়ে দেয়া
সংশোধনঃ
কোন রঙের সাথ একন রঙ মেশাবো > কোন রঙের সাথ কোন রঙ মেশাবো
- চাও নিনো। > - যাও নিনো। (??)
শুভ কামনা আপু।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক ভুল করেছি দেখা যাচ্ছে। অবসরে এগুলো ঠিক করে নেবো।
আর চাও নিনো ( caio Nino ) এটা ঠিকই আছে। কারো সাথে দেখা হলে বা বিদায় নেবার সময়েও caio ব্যবহৃত হয়।
ভালো থাকবেন ভাইয়া।
২৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩২
শ্যামল জাহির বলেছেন: দেরী হলেও দেখে গেলাম নুহাকে।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম মাঝে কিছুদিন দেখি আপনাকে । ভালো থাকুন
২৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১০
ধূর্ত উঁই বলেছেন: নুহা সম্পর্কে জানা গেল। চমৎকার লিখনিতে দারুণ সুপাঠ্য ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ উঁই
২৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৪
বোকামানুষ বলেছেন: আপু নুহার কি খবর?
নতুন পর্ব কবে পাবো? অনেকদিনতো হয়ে গেলো
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আলসেমিতে পেয়েছে। তাই লেখা হচ্ছে না । লিখবো আশা করছি
২৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৩
অলিক স্বপ্ন বলেছেন: October er por etodin opekkha.... r porbo aschena keno? Lekhika valo achen to..... next gulo taratari likhe felen please.......
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধারাবাহিক লেখাটা আলসেমি লাগে। আমি অল্প কথায় লিখতে পারি না বলেই গল্পটা বড় হয়ে যাচ্ছিলো। তাই ভাবলাম উপন্যাসই হোক, কিন্তু আলসেমিতে ধরেছে বল লেখা হচ্ছে না। দেখি আবার কবে শুরু করতে পারি।
শুভকামনা আপনার জন্য।
২৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২২
ডরোথী সুমী বলেছেন: নুহা এখন কী করছে? ওর কি উইন্টার ভেকেসন চলছে? এসেছিলাম নুহার কোন খোঁজ আছে কিনা জানতে, অবাক হলামএই ভেবে যে আপনার নাম না দেখেই এই ব্লগের টান পোস্টে মন্তব্য করে গেছি। নাম না দেখে ব্লগে ঢোকা আমার স্বভাবে পরিণত হয়েছে। আমি খুশি এতে। অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভ্যাকেশন শেষে তাকে ফিরিয়ে আনা উচিত কিন্তু নুহাকে নিয়ে বসাই হচ্ছে না কাজের চাপে। লেখকের নাম না দেখে যদি গল্প পড়ে বা লেখা পড়ে মজা পান নিঃসন্দেহে সেটা লেখকের জন্যই ভালো লাগার ব্যাপার।
ভালো থাকুন আপনিও
৩০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
নওরীন ইশা বলেছেন: নুহার নেক্সট পর্ব কবে পাব?
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সত্যিই দিবো তাড়াতাড়ি।
নুহা লিখতেই বসি কিন্তু মাঝে অন্য লেখার থীম ঢুকে যায় তাই আর নুহা লেখা হয়ে ওঠে না। ভালো লাগলো নুহা সিরিজের প্রতি আপনার আগ্রহ দেখে।
৩১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩৬
নওরীন ইশা বলেছেন: আপু,অনেকদিন তো হয়ে গেল।নুহার কি হল আর তো কিছু জানলাম না।।।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আজকেই পোস্ট দিবো
৩২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩৬
নওরীন ইশা বলেছেন: আপু,অনেকদিন তো হয়ে গেল।নুহার কি হল আর তো কিছু জানলাম না।।।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন! এত সিরিজ চলছে!!!!
আগে কি পড়েছি? মনে করতে পারছি না। না পড়লে কেন? কিভাবে চোখ এড়িয়ৈ গেল!!!!
এখন আবার ব্যাকফুটে হাটতে হবে।
++