নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

টান

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪

সকালে ঘুম থেকে ওঠার কোনো বাধ্যবাধকতা রিয়াজের নেই বলেই ও বেশ বেলা পর্যন্তই ঘুমায়। অবশ্য সব দিন যে ও সকাল নয়টা দশটা পর্যন্ত ঘুমায় তা নয়। জাজিম তোষকের সাথে মাথার নিচে বালিশ হলে না হয় একটা কথা ছিলো,তাহলে ও সারাদিনই বিছানায় গড়াগড়ি করতো। তবে ওর ইচ্ছে আছে টাকা-পয়সা জমাতে পারলে আর নিয়মিত কাজের ব্যবস্থা করতে পারলে সবার আগে ও একটা ঘর ভাড়া নিবে,একটা চৌকি আর জাজিম- তোশক,ফুল-পাখি আঁকা বেডকভার আর মোটা দেখে দুটো কোলবালিশ বানাবে। বড়লোক মানুষ দুই পাশে দুটো কোলবালিশ নিয়ে ঘুমায় এই দৃশ্য কী করে রিয়াজের কিশোর মনে আঁকা হয়েছে তার সঠিক কোনো হিসেব নেই ওর কাছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের রাস্তা,কার্জন হলের দালানের বারান্দা,কখনোবা শহীদ মিনারের চত্বরেও দেয়াল ঘেঁষে,আড়াল খুঁজে নিয়ে রিয়াজ শুয়ে থাকে। রাতটা এভাবে পার করে দিতে খুব একটা সমস্যা হয় না ওর কিংবা ওর মতো অসংখ্য ভাসমান মানুষের যারা নাড়ির টান ছেড়ে ভাসতে ভাসতে ঢাকা শহরে এসে ভিড় করেছে। শিক্ষিত মানুষের কাছে রিয়াজরা অবশ্য ছিন্নমূল শিশু,পথশিশুর মতো আরও কী কী সব নাম আছে,ওসব নামেই পরিচিত। টিএসসি,চারুকলার সামনে,শাহবাগ আরও কতো কতো জায়গায় মিটিং এ এসব শুনেছে রিয়াজ,মাইক নিয়ে কতো মানুষই বিভিন্ন দাবী-দাওয়া পূরণের পাশাপাশি ছিন্নমূল শিশুদের পুনর্বাসন নিয়ে বক্তৃতাও দিয়েছে। এইসব দাবী- দাওয়া কার কাছে করা হয়েছে রিয়াজ এসব বোঝেনি। সরকারের কাছে নাকি যারা দামী দামী গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়ায় ঢাকা শহরে, আলিশান বাড়িতে যারা থাকে তাদের কাছে? এসব শুনে অবশ্য ওর বা ওদের মতো মানুষের জীবনযাত্রায় খুব একটা পরিবর্তন যে এসেছে তা বলা যাবে না। তাই এসব নিয়ে রিয়াজ মাথাও ঘামায় না এখন।



আজকে ঘুমের মাঝে রিয়াজ স্বপ্ন দেখছিলো বোধ হয়। চোখে সানগ্লাস পড়ে, দামী জুতো পায়ে মোটর সাইকেলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চুল গুলো ঘাড় পর্যন্ত নেমে এসে বাতাসে উড়তে উড়তে জানান দিচ্ছে শহরবাসীকে এটা রিয়াজ যাচ্ছে। বাংলা সিনেমার নায়ক রিয়াজকে ওর দারুন পছন্দ,ওর মায়েরও পছন্দ বলেই ওর নামটা জন্মের পর রিয়াজই রেখেছিলো। যদিও রিয়াজের চুল এমন ঘাড় পর্যন্ত না তবুও স্বপ্নে কী করে লম্বা চুলওয়ালা হয়ে গেলো সেটা বুঝতে পারছিলো না। রিয়াজ লম্বায় প্রায় সানি বসের সমান। সানি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র,কী যেন রাজনীতির বিষয় নিয়ে পড়ে। তার চেহারাটা নায়কের মতো, তাই রিয়াজ 'বস' বলে ডাকে। রিয়াজদের বয়সী অনেককেই সানি বসের দরকার হয় মিছিলে যাবার জন্য। মিছিল শেষে দশ বিশ টাকা করেও পায়। মিছিল কখনো ক্যাম্পাসের ভেতরেও হয় আবার 'রাজপথেও' হয়। ক্যাম্পাস, রাজপথ, গণতন্ত্র, অধিকার আরও অনেক শব্দই রিয়াজ এই ঢাকা এসেই শিখেছে। কিন্তু 'একশন,একশন,ডাইরেক্ট একশন' বলতে বলতে যখন ওরা মিছিল নিয়ে যায় রিয়াজের তখন খুব ভালো লাগে। শরীরের ভেতর কেমন যেন একটা ভাব হয়, মনে হতে থাকে রক্ত টগবগ করে ফুটছে। সানি বসকে রিয়াজ ওর এই ব্যাপারটা বলেছিলো, শুনে উনি বলেছিলেন - এটাই দেশপ্রেম বুঝলি? নিজেদের অধিকারটা এভাবেই আস্তে আস্তে বুঝে নিতে হবে। জবাবে রিয়াজ জিজ্ঞেস করেছিলো -



কার কাছে অধিকার বুইঝ্যা নিমু ? হাসিনার কাছে নাকি ম্যাডামের কাছে?



ওর মুখে ম্যাডাম শব্দটা শুনে সানি সহ ওদের অন্যান্য বন্ধুরা সবাই হেসে উঠলে রিয়াজ বুঝে নেয় ও খুব দামী একটা কথা বলেছে। তা না হলে পার্থ ভাই কেন বলবেন -



রিয়াজ, তুই আবার বল তো এই কথা গুলি,আমি ভিডিও করে রাখি।

এরপর উনি তার মোবাইল বের করে রিয়াজের মুখ থেকে এসব কথা আবার বলিয়ে নেন। মাঝে মাঝেই পার্থর সাথে দেখা হয়ে গেলে রিয়াজ ওর সেইদিনের ভিডিওটা দেখতে চায়।



সকাল সকাল এই বিল্লালটা আজ ডাকাডাকি করে রিয়াজের ঘুমটা ভাঙ্গিয়ে দেয়। সকালের দিকে ঘুমটা অনেক গাঢ় থাকে রিয়াজের। বিল্লালও রিয়াজের মতোই এক ভাসমান মানুষ। বয়স চৌদ্দ পনেরো হতে পারে। একবার নিজের বয়সের সাথে তুলনা দিতে ওকে জিজ্ঞেস করেছিলো -

তোর বয়স কতো রে?



রিয়াজের কথা শুনে বিল্লালের সে কী হাসি! আমার মায় কইতে পারবো, আমি কী জানি? আমাগো আবার বয়স আছে নি? কী অদ্ভুত কথা যে ও বলতে পারে। রিয়াজের বয়স এখন তেরো বছর চলছে।



ঐ রিয়াইজ্যা,উডস না? আইজকা বাপী ভাই গো মিছিল আছে, যাবি নি? দুফুরে বিরানি খাওয়াইবো,একটা মজো দিবো আর বিশ টেকা কইরা দিবো। ল যাই।



পাতলা একটা চাদর দিয়ে রিয়াজের মাথা ঢাকা। সকালে রোদ এসে চোখে পড়ে ঘুমাতে সমস্যা হয় বলে ও পুরো মাথা চাদরে ঢেকে ঘুমায়। বিল্লাল চাদরটা সরিয়ে দিলে রিয়াজ চোখের উপর হাত ঢেকে শোয়। বিরক্ত হয়ে বলে -



- না যামু না। তুই যা।



- আরে ল যাই। খবর পাইছি আইজ বাপ্পী ভাইরা মিছিলে গণ্ডগোল করবো। বোমা-বুমা আনাইছে শুনছি। অনেক মজা হইবো ল যাই।



- আরে না। হেরা হুজুর গো লগে তাল দেয় ভিত্রে ভিত্রে। আর উপরে দিয়া বিএনপি করে



- এহ বালের কথা মারাইস না। হেরা যা খুশী করুক গা। আমাগো আম্লীগ,বিম্পি-জামাত বুইঝ্যা এতো কাম নাই।

দুফুরে খামু,টেকা পামু! জুইত পাস না তো ,একটা ভালো খবর দিলাম তোর ভাল্লাগে না



- বেশি প্যাচাল পারিস না তো। ঘুমাইতে দে। বলে রিয়াজ ফের চাদরটা দিয়ে মাথা ঢেকে ফেলে



- চুদির ভাই পিনিকে আছস মনে হয়? ড্যান্ডি খাইছস লাগে ! বলে হে হে হে করে বিল্লাল হাসে।



অন্য সময় হলে রিয়াজও ওর হাসির সাথে তাল মিলাতো। আজকে ওর ঘুমে বারবার চোখে জড়িয়ে আসছে। একটু পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আপু-ভাইদের ক্লাস শুরু হয়ে যাবে। বেশিক্ষণ অবশ্য এখানে শুয়ে থাকাও যাবে না। আজকে রিয়াজ শুয়েছিলো কার্জনের গেটের পাশে যে সিমেন্টের বেঞ্চি আছে, সেখানে। একপাশে দেয়াল থাকায় ঘুমের তালে নিচে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর ঠিক পাশেই কয়েকটা গাছ থাকায় জায়গাটা মোটামুটি ঠাণ্ডাই। ঘুমটা ভেঙে যাওয়ায় মাথা ঝিমঝিমের সাথে কেমন মাতাল মাতাল একটা অনুভব ওর শরীর জুড়ে। যদিও শরীর জুড়ে না ওর মগজের ভেতর জুড়ে ও বুঝে উঠতে পারে না। ড্যান্ডি খেলেই ওর এমন হয়। কেমন ঝিম মেরে থাকতেই ভালো লাগে। হাঁটতে গেলে মনে হয় হাঁটছে না, উড়ছে। রাজশাহী থেকে ঢাকা শহরে রিয়াজ এসেছে দুই বছর আগে। বলা যায় ঘরে খাবার অভাব, এতোগুলো ভাইবোন, বাবার স্বল্প আয় - সব মিলিয়েই একদিন স্টেশনে গিয়ে ট্রেনে চড়ে বসে ঢাকার উদ্দেশ্যে। ঢাকায় এসে পথ-ঘাট চেনা হয়ে যায় অল্প দিনেই। পথ-ঘাট মানে এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিল্লালের সাথে পরিচয় এখানে এসেই। ডাস্টবিনের ময়লার ফাঁকে ফাঁকে বিক্রয়যোগ্য কোনো জিনিস খুঁজতে গেলে সেসবের গন্ধও নাকে আসে না। বিল্লালই একদিন দুপুরে বাদশাহ মামার হার্ডওয়্যারের দোকানে নিয়ে যায় ওকে । সেসময় পেটে ওর সে কী ক্ষুধা। সেদিনই ও জেনেছিলো ড্যান্ডি খেলে ক্ষুধা লাগে না, রোজ রোজ ভাত খেতে হয় না। শহরের অজস্র টোকাই ছেলে-মেয়েরা এসব খেয়েই নাকি থাকে। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিত আপু- ভাইয়ারাও খায়। দামেও সস্তা। কলা ভবনের সানাম আপুরে কতদিন পলিব্যাগে মুখ ডুবিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে নিতে ও বলতে শুনেছে তার বন্ধুকে -



মাম্মা কঠিন জিনিস! গাজার চেয়েও সেরা!



- পকেটে টেকা আছিলো না। খামু কী! চাংখারপুলে কালকা বাদশা মামার লগে দেহা হইছিলো। একলগেই বইয়া বইয়া ড্যান্ডি টানছি। ঘুম ঘুম স্বরে রিয়াজ বলতে থাকে বিল্লালকে



- হালার পুত তুমি থাকো ভাবের জগতে। কামের খোঁজ আইন্যা দিলে তোমার বিচি বিষ করে। ক্যা আমাগো লগে ভাঙ্গারি টোকাইতে যাইতে পারো না ? তাও তো খাওনের টেকাটা হইয়া যায়। আরও দু'চারটা গালি খুব নির্বিকার মুখেই বিল্লাল চালিয়ে যেতে থাকে রিয়াজের মাথার পাশে বসে। এবার শোয়া থেকে ও উঠে বসে বিল্লালকে বলে -



- ড্যান্ডি তোর বাপের পয়সায় খাই রে হমুন্দির পুত? রিয়াজ ওর গায়ের কোঁচকানো শার্ট হাত দিয়ে টেনে সোজা করতে করতে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়। বিল্লালের পেছন দিকে ফিরে জলবিয়োগ করে। বিল্লালের বাবা নেই। এই সকাল বেলা ওকে বাপ নিয়ে গালি দেয়াটা ঠিক হয়নি বোধ হয়। বিল্লাল কেমন উদাস চোখে আকাশ দেখে জারুল গাছের ফাঁক দিয়ে। রিয়াজ ওর একমাথা রুক্ষ উশকুখুশকু চুল নিয়ে এসে দেয়ালে হেলান দিয়ে বিল্লালের পাশে বসে বলে



- এক কাপ চা পাইতাম যুদি !



- এহ জমিদারের পুত আইছে! বিল্লালের কথায় এবার আর রিয়াজের রাগ হয় না। ওর দিকে তাকিয়ে বলে -



- কী বইয়া রইছস ক্যান ? আইজ কামে যাবি না ?



- নাহ ! হোটেলের কাম শেষ! কাস্টমাররে স্যুপের বাটি দিতে গিয়ে দুই তিন চামচ চুরি কইরা খাইছিলাম। বদমাইশ পলাইশ্যা মালিকের কাছে কইয়া দিছে। ওরে পাইয়া লই খাড়া ওর গোয়া দিয়া রড হান্দামু বলে একটা অশ্লীল ভঙ্গী করে ও।



খসখস করে ঝাড়ুদার খালাটা ঝাড়ু দিচ্ছে রাস্তাটা। সকালবেলা ঝাড়ু দেয়া শেষে অনেক পাতা জড়ো করে নিয়ে যায় সে। কী করে এতো পাতা দিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলো রিয়াজ।



- কী করুম আবার ? মাডির চুলায় রানতে গেলে এডিও লাগে!



খালার সাথে তার চার বছরের ছোট মেয়েটাও থাকে। ফুটপাতে বসে থাকে। কখনো মেয়েটাও ঝাড়ু দেয়ার ভঙ্গী করে তার মায়ের মতো। মেয়েটার নাম মায়া। ঘাড় ঘুরিয়ে রিয়াজ তাদের দেখতে থাকে দেয়ালের গায়ের নকশাদার ফুলের ফাঁক দিয়ে। ওর প্যান্টের গোপন পকেটে তিনশো পঁচাত্তর টাকা আছে,সেখানে হাত পড়তেই হঠাৎ করেই বিল্লালকে বলে -



ল কমলাপুর যাই।



বিল্লাল জিজ্ঞাসু চোখে রিয়াজের দিকে তাকালে ও বলে -



রাজশাহী যামু। আমাগো বাইত্তে ...



সমাপ্ত













মন্তব্য ৯২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৯২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮

ডরোথী সুমী বলেছেন: ইস! হঠাৎ করে শেষ করে দিলেন। তবে ওরা মিছিলে যায়নি এটা জেনে স্বস্তি পেলাম। শুভ কামনা।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এই গল্পে মিছিলটা যদিও মুখ্য ছিল না।

আপনার জন্য শুভকামনা

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬

লেখোয়াড় বলেছেন:
টান গল্পটা টান টান শেষ হলো।

আচ্ছা গালির ভাষাও একটা শিল্প, তাই না?
কোন বিতর্ক ছাড়াই।

ধন্যবাদ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লেখার প্রয়োজনে গালি আসতে পারে, শিল্প কিনা জানি না।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেকদিন পর লিখলেন। চমৎকার লেগেছে গল্পটা । আপনার অন্যান্য গল্পগুলোর চাইতে কিছুটা ভিন্ন। গল্পের শেষটাই হয়ত শুরু।
মিথ্যে মেকি কথার শহর থেকে প্রানের টানে পালিয়ে যাওয়া। নিজের আসল জগতে প্রত্যাবর্তন কয়জনই বা পারে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মাঝে মাঝে লেখার মুড, ব্লগিং এর মুড কোনটাই থাকে না, এমনকি পড়ার মুডও না। অথচ আমি ব্যস্তও যে ছিলাম তাও না।

তোমার মূল্যায়ন ভালো লাগলো। নেশার টান, নাড়ির টান দুটোই চেয়েছিলাম তুলে ধরতে।

ভালো থেকো

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

না প্রেমিক না বিপ্লবী বলেছেন: ভাল লাগছে॥ মনে হয় বাস্তবের কারও ঘটনা আপনি বর্ণনা করছেন সুনিপণ লেখনীতে॥

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

বাস্তবে তো এমন হচ্ছেই বিশেষ করে ড্যান্ডির ব্যাপারটা কয়েকদিন আগে রেল স্টেশনে দেখেছিলাম কয়েকটা পিচ্চি মিলে ধোঁয়া নিচ্ছিল। তাছাড়া পত্রিকাতেও এসব রিপোর্ট আসে।

শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ছোটবেলায় পড়েছিলাম মিছিলে যেত দেশকে ভালোবেসে , আর পরবর্তী প্রজন্ম কি পড়বে !! মিথ্যাচার !!
অনেক দিন পর এদিকে আসলেন !

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শুভ চেতনার ভরাডুবি !!!

আলসেমিটা জেঁকে ধরেছে যে তাই !

৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২১

সকাল রয় বলেছেন:
গল্প শিল্পময়! ভাষাময়! বর্ণনাময়!

সমসাময়িক বিষয় ভিত্তিক গল্পগুলোই একসময় বেচে থাকবে বাঙলা সাহিত্যের পাতায়। আপনার সমসায়িক গল্পটা কিন্তু সেরকম কথাই বলে। অনেকদিন পরপর লেখা পড়ি।
ভালো থাকবেন লেখিকা।

আমি জানি আপনি কমেন্টের উত্তরে দেবেন অনেক শুভকামনা... ;)
তাই অগ্রীম আমিই বলে দিলাম।

অনেক অনেক শুভকামনা।
আরো লিখুন আরো পড়বার আশা রাখি

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম লেখালেখি একটু কমে গিয়েছে বৈকি!
তোমার কী খবর ? খুব লিখছ নাকি ?

তোমার ভবিষ্যৎবাণী কমেন্ট নিয়ে মিলেনি। হাহহাহাহা

তোমার জন্য রইলো নতুন বছরের শুভেচ্ছা

৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সমসাময়িক এবং আপনার অন্যান্য গল্প থেকে ভিন্নতর।
ভালো লাগলো।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চেষ্টা করছি লেখালেখির ট্র্যাকে পরিবর্তন আনতে। কারণ শখের লেখক হলে চেষ্টাটা জোরেশোরে জারি রাখা দরকার !

ধন্যবাদ তোমাকে

৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪

আকিব আরিয়ান বলেছেন: ভালো লাগলো

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আকিব

১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

ইখতামিন বলেছেন:
এইরকম গল্প অনেক দিন পর পড়লাম। আঞ্চলিকতার ব্যবহার দারুণ। সমসাময়িক।

অনেক ভালো লাগলো :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম সমসাময়িক হলেও নাড়ির টান চিরন্তন।

ধন্যবাদ ইখতামিন

১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

নাছির84 বলেছেন: সমসাময়িক গল্প। টান টান ভাষায় ভেতরের বক্তব্যটা দারুনভাবে ফুটে উঠেছে। ভাল লাগা....

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ নাছির ভাই

১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


:) :) :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ইমোটিকনের চেতনাধারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করছি

১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮

মামুন রশিদ বলেছেন: টান বা ফেরার আকুতি যাই বলেন, ফেরা কি যায়? এই নিঃস্ব টোকাই ছেলেদের জীবন একমুখী । সারাদিন দিনান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে দুবেলার অন্ন, কেউবা সমাজবিরোধীদের ফাঁদে পা দিয়ে ককটেল ফোটায় । আর অল্প বয়সেই জড়িয়ে পড়ে নেশা নামক সর্বনাশার খপ্পড়ে । তবুও ঝাড়ুদার পাতাকুড়ানীর মেয়েটাকে দেখে তার হয়ত নিজের ছোট বোনের কথা মনে পড়ে যায় । এই দুষ্টচক্র থেকে পালিয়ে চলে যেতে যায় ।

ফেরার এই আকুতি চিরকালীন ।

ভিন্ন প্রেক্ষাপট ভিন্ন সমাজের দারুণ ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন গল্পে । গালিটালি শুনতে ভালো লাগেনি, যদিও এগুলো নিম্নবিত্তের চিরায়ত অংশ ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও মুক্ত নয়। ডান, বাম, অনতন্ত্র, গণতন্ত্র আর চেতনার ছড়াছড়ি !!! আপনার মন্তব্যে গল্পের ভাবটা সুন্দর তুলে ধরেছেন মামুন ভাই।

গালাগালি প্রাসঙ্গিক ভাবেই এসেছে যা বরাবর এড়িয়ে যাই কিন্তু ঐ যে বললেন
নিম্নবিত্তের চিরায়ত অংশ !!! অনেকটা সেরকমই !!

ভালো থাকবেন

১৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
টাস করে শেষ করে দিলেন!

ম্যাডাম আর হাসিনা যদি কাম দিতো!

শুভেচ্ছা আপু।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লেখার আকার নাকি আমার বড় হয়ে যায়, এরকম প্রায়ই শুনতে হয়। তাই এটা ছোট আকারে লেখার প্রয়াস।

তোমারেও শুভেচ্ছা

১৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০

সুমন কর বলেছেন: ভাল লাগল। দেশের রাজনৈতিক ঘটনার সাথে গল্পে কিছুটা মিল এবং নিজ দেশের প্রতি টানের দূর্বলতা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই

১৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভাল লাগল লেখাটা। ছেলেগুলোর জন্য মায়া লাগল!


অনেক দিন পর একটা লেখা দিলেন আপু। আর লেখাটাও আপনার অন্য লেখাগুলোর থেকে আলাদা হয়েছে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার অন্য লেখা গুলো থেকে এটা একটু আলাদা সেটা অন্যদের পাঠ প্রতিক্রিয়া থেকে বুঝতে পারছি :)

ভালো থেকো !

১৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: জব্বর মজা পাইলাম। প্রবাসে থেকে এতো খবর কীভাবে পান, আর এতো ‘সোন্দর গালিগুলো’ কীভাবে রপ্ত করলেন, ভাবছি B-) ;) :P

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি তো ভাইয়া বাংলাদেশেই আছি।

আপনার কমেন্টেও মজা পাইলাম

১৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭

দি সুফি বলেছেন: শিরোনাম দেখে ভাবছিলাম এই ধরনের কিছু একটা হবে মনে হয়ঃ

B-)) B-))

অনেক বড় লেখা! পরে সময় করে পড়ে নেব!

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হায় হায় বলেন কী , এই লেখা বড় ! এটা আমার তুলনামূলক ছোট একটা লেখা !

১৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপ মোটামোটি লাগছে।

মনে হচ্ছিল তারা মিছিলে যাবে, সেখানে বোমার আঘাতে রিয়াজ রাস্তায় মরে পড়ে থাকবে। এর আগেই দেখি গপ শেষ! :)

স্ল্যাং লেংগুয়েজটা কেন জানি ভালা লাগেনি

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গপ মোটামুটি লাগছে জেনে ধন্যবাদ।

স্ল্যাং এর জন্য ২৫ নাম্বার কমেন্ট দেখতে বলি।

২০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

ভিয়েনাস বলেছেন: রিয়াজ যেহেতু রাজশাহীর সেহেতু কয়েকটি রাজশাহীর গালি ইউজ করতে পারতেন আপু।

নাড়ির টান,ঘরে ফেরার টান খুব কঠিন টান।এই টানে টান খায় সবাই।

শুভ কামনা রইলো।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: রাজশাহীর ব্যাপার নিয়ে মানে গালি নিয়ে আইডিয়া নেই আসলে।

অনেকদিন পর দেখলাম তোমাকে।

টান একটা জটিল ব্যাপার; হোক সেটা নাড়ির টান বা নেশা

শুভকামনা ভিয়েনাস

২১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৬

এম মশিউর বলেছেন: গল্পের আসল রুপটা দিয়েছেন। ঠিক এই ভাষাগুলো গল্পের জন্য দরকার ছিল।
টান টা কোথায়- বাড়ির প্রতি?

গল্প ভালো লেগেছে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তোমার কী মনে হয় টান টা কোথায় ?

ভালো থেকো মশিউর

২২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গল্পে ভালো লাগা। বিশেষ করে ভালো লেগেছে হঠাৎ করে ইতি টানা।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ বোকা মানুষ

২৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৪

এহসান সাবির বলেছেন: গল্পে ভালো লাগা।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান

২৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৬

বটবৃক্ষ~ বলেছেন:



গল্পের মত করে সব রিয়াজরা সত্যি সত্যি ফিরতে পারলে ভালৈ হত!!

:(

অনেক ভালোলাগলো!! আপি!!!

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম ঘরে ফিরতে পারলে, অভাব দূর হলে, শিক্ষার আলো যদি ওরাও পেতো, নেশার কবল থেকে মুক্ত হতে পারতো, আসলেও ভালো হতো।

" অতঃপর তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল ---

এটা যদি রূপকথার লাইন না হয়ে সত্যিই হতো বাস্তবে তাহলে আমরা কতই না ভালো থাকতে পারতাম ! :(

২৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: অনেকদিন হলো আপনার গল্পে কোনো মন্তব্য করা হয় না। কিন্তু এ গল্পে মন্তব্য করতে বেশ উৎসাহ পাচ্ছি। তার প্রথম কারণ, একজন লেখককে তার পরিচিত গণ্ডি থেকে বের হয়ে আসা খুব জরুরি।

সচরাচর ্মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপারগুলোতে আপনার সাবলীলতা দেখে ধরেই নিয়েছিলাম যে আপনি টাইপড হয়ে যাচ্ছেন হয়তো। যদিও এখানেও মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপারটাই মূল সুর বলে মনে হয়েছে আমার কাছে, তবু কোনো একটা দৃশ্য আঁকতে গেলে তার কুটোটার প্রতিও দৃষ্টি দিতে হয়, যেটা এ গল্পে দেখা যায় খানিকটা।

রাস্তায় বা স্টেশনে বড় হওয়া বাচ্চাদের মুখে স্ল্যাং শব্দগুলো বেশ সহজ আর স্বাভাবিক ভাষার স্রোতেই বেরিয়ে আসে, যা থেকে তাদের পরিচয় অবস্থান আর পরিবেশটাও বুঝে নিতে সমস্যা হয় না পাঠকের। নিম্নবিত্ত বলতে যেমন অভাব আর খানিকটা অনৈতিকতার ছোঁয়া মিশে থাকে, তেমনই এসমস্ত পথশিশু বা পরিত্যাক্ত শিশু বা সমাজের একেবারে বাইরের মানুষ বলতে স্ল্যাং ছাড়া তাদের কল্পনা করা যায় না। তাদের মুখের ভাষাটাই যেন তাদের বিশেষত্ব ফুটিয়ে তোলে। রিয়াজ বা বিল্লালরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র বা স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের মতো পরিশীলিত ভাষায় কথা বলতে থাকে তাহলে যেন বাস্তবতা ব্যাপারটা অনেক বেশি দূরের হয়ে যায়। তাদের যে জীবন যাপনের পদ্ধতি তার সঙ্গে পরিশীলিত ভাষার যে বৈরীতা তা দূর হওয়া আরো একটি অসম্ভব কল্পনার মতোই। সব দেশে সব সমাজে তারা যেমন অভাব, নিরাশ্রয়, নেশা আর অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে নানাভাবে তাদের দৈনন্দিন ভাষা ব্যবহারের দিক দিয়েও বেশ কিছুটা স্ল্যাং বলেন আর অশ্লীল বা অশিষ্ট ভাষা বলেন ওতপ্রোতভাবেই জড়িয়ে যায়। আপনার গল্পে এ দিকটি এড়িয়ে গেলেই গল্পটা হয়ে উঠতো সুশীলের ভড়ং বা ভণ্ডামীর মতো। সে দিক দিয়ে লেখকের দায় মিটিয়েছেন। দেখিয়েছেন খানিকটা সাহসও।

অনেক কথা বলে ফেললাম। তবে এভাবেই যদি গল্পে গল্পে নিজের লেখক স্বত্ত্বাকে ভাঙতে পারেন, তাহলে সত্যিই লেখক হিসেবে আপনাকে এক সময় মেনে নিতে বাধ্য হবো আমরা। সেই সঙ্গে রইলো অনেক শুভ কামনা। ভালো থাকুন। নুহাটার শীত কেটে যাক।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ পছন্দ হয়েছে জুলিয়ান দা।

আসলেই অনেকদিন পর আসলেন এদিকে। হুম টাইপড লেখা লিখছিলাম তো বটেই। বৃত্ত ভাঙা, লেখা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা উচিত সবার জন্যই যারা লিখতে ভালবাসে।

স্ল্যাং নিয়ে অনেকেই তাদের মতামত জানিয়েছেন। স্ল্যাং টাই তো গল্পের মুখ্য বিষয় না। আর এ শব্দ তো অপরিচিত কিছু না।

নুহার শীত কেটে যাবে আশা করছি। শুভকামনা আপনার জন্যও।

২৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


:|| :|| :||

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ

২৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

আবুল তাবুল বলেছেন: লেখা টা যখন পড়া শুরু করলাম মনে হল অনেক বড় গল্প ..
ওমা হটাত দেখালাম নিছে লেখা সমাপ্ত..... :P :P
পড়ে মজা পেলাম।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার কমেন্টেও মজা পেলাম ভাইয়া

২৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২১

বৃতি বলেছেন: জুলিয়ান সিদ্দিকী ভাইয়ের সাথে সম্পূর্ণ একমত, একজন লেখককে তার পরিচিত গণ্ডি থেকে বের হয়ে আসা খুব জরুরি।

সুন্দর একটা গল্প আপু। ভাল লেগেছে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি।

জুলিয়ান দা বরাবরই পরামর্শমূলক মন্তব্য করেন যা অনেক অনুপ্রাণিত করে।

শুভকামনা রইলো।

২৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৪

লাবনী আক্তার বলেছেন: বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে। ভালো লাগল আপু।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ লাবনী।

৩০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৩

শীলা শিপা বলেছেন: নিজেকে দিয়েই বুঝতে পারলাম আমরা নেগেটিভ টা ভাবি বেশি... মিছিল এর কথা শুনে, গণ্ডগোল এর কথা দেখে ভেবেছিলাম হবে কিছু একটা... কি হবে? কি হবে?? কিন্তু শেষ টা দেখে হাসি পেল... নিজের উপর... :)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নেগেটিভ ব্যাপার নিয়ে ভয় কাজ করে বলেই মনের মাঝে আগে সেরকম আসে।

ভালো থেকো শীলা শিপা

৩১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটা খুব ভালো লেগেছে তা বলবো না, তবে ভালো লেগেছে আপনার নিজেকে ভাঙার প্রচেষ্টা। আবার এও বলি, এই গল্পে অপর্ণাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমার মতে অন্য ট্র‌্যাকের লেখা লিখতে গেলেও নিজের স্বকীয়তা বহাল রাখার প্রয়োজন আছে। স্ল্যাং এর ব্যবহার দেখে ভালো লাগলো।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নিজের স্বকীয়তা বজায় রাখতে গেলে নিজেকে ভাঙা টা কষ্টকর হয়ে যাবে মনে হয়।

দেখা যাক নেক্সট কী হয় !

৩২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ২৫ নম্বর কমেন্টটা দারুণ একটা কমেন্ট! এখন নিজের অবস্হানটা একটু ক্লিয়ার করি। ২৫ নম্বর কমেন্ট যিনি করেছেন আমার জানা মতে উনি একজন অভিজ্ঞ এবং ভালো লেখক। আর আর আমি হলাম একজন আম-পাঠক। একজন অভিজ্ঞ লেখক আর একজন আম পাঠকের দৃষ্টিভংগি, বোঝ আলাদা হবে এটাই স্বাভাবিক। আপনে আপনার গপের কমেন্টগুলা খেয়াল করলে দেখবেন অনেকেরই আপনার স্ল্যাং টা ভালা লাগছে, এবং এদের প্রায় সবাই ভাল লেখক। সুতারাং বোঝতেই পারছেন কোন লেখার গুনগত মান বোঝার ক্ষমতা এই অধমের কতটুকু!

তাছাড়া আপনে তো আমার কমেন্টের সাথে কিছুটা না হলেও আগ থেকে পরিচিত আছেন, সো আপনার জানার কথা যে আমার কমেন্টে ডিপ কোন কিছু থাকেনা, থাকে তাৎক্ষৎণিক শুধু ভালা লাগা, মন্দ লাগা।

আশা করি বোঝতে পারছেন :)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সবই বুঝতে পারছি। কিন্তু আপনে ইরাম সিরিয়াস হইয়া উত্তর দিলেন ক্যান !!! :|| একেক জনের দৃষ্টিভঙ্গী একেক রকম হবে সেটাই তো স্বাভাবিক মাসুম ভাই কিন্তু আমার ভিউ থেকে আমি পাঠকের মন্তব্যের জবাব দিয়েছি মাত্র।

ভালো থাইকেন, শীতে নিরাপদে থাইকেন।

৩৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১২

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
হুম্..
দারূন একটা,
সমকালীন বাস্তবতা..

আমি ২০১১ সাল না:গন্জে ছিলাম,
লক্ষী নারায়ন,আইটি স্কুল,পাঠানটুলি
আর শহীদ মিনারের মসলাদার দারূন চা..।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লক্ষী নারায়ন,আইটি স্কুল,পাঠানটুলি -- ঐখানে আমার যাওয়াই হয়নি তেমন একটা। আর শহীদ মিনারের ওখানে এতো আড্ডা বাজি হয় , আয়েশ করে চা খাওয়া হয়নি। দৌড়ের উপরে চা খেয়েছি।

ভালো আছেন আশা করছি

৩৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: এ টান বড় অদ্ভুত টান গো আপা !! এড়ানো বড় দায় !! গল্পটা অনেক ভালো লাগল। তুমি সচরাচর যেমন লেখো সেগুলো থেকে আলাদা।


কার কাছে অধিকার বুইঝ্যা নিমু ? হাসিনার কাছে নাকি ম্যাডামের কাছে?

এই প্রশ্নের উত্তর জানা খুব দরকার :( :( :(

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম চেষ্টা করেছিলাম গল্পটি নামপুরুষে লেখার জন্য। আর নারী - পুরুষ টাইপ গল্প না লিখে কারেন্ট ব্যাপার নিয়ে লিখতে।

অধিকার কেউ দিবে না, আর আদায় করতে গেলে জেলে যাইতে হইতে পারে :|

৩৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩৩

দি সুফি বলেছেন: অবশেষে পড়লাম পুরোটা। কিন্তু হঠাৎ করে গল্প শেষ :| :|

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পুরোটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার নতুন প্রোপিক টা ভালো হইছে

৩৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১২

দি সুফি বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার নতুন প্রোপিক টা ভালো হইছে

ধন্যবাদ। নতুন বছরে প্রোপিকের মানুষটাকেও পরিবর্তন করে দিলাম। :)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো করছেন

৩৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮

আমি ইহতিব বলেছেন: কি লিখলেন আপু? B:-)

অসাধারণ। স্ল্যাংগুলো এতো চমৎকার মানিয়ে গিয়েছে চরিত্র দুটোর সাথে যে পড়তে অস্বস্তি হয়নি এতোটুকুও। শেষটা পড়ে মনে হল যেন হঠাৎই শেষ হয়ে গেলো। তবুও শেষটা ভালো লেগেছে। নামকরণ স্বার্থক।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার লেখা গল্প নাকি বেশ বড় হয়ে ধৈর্য বিচ্যুতি ঘটায়, তাই ছোটর মাঝে শেষ করলাম।

ভালো থাকবেন আপু

৩৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৫

নীল কথন বলেছেন: ধুম করে গল্প ব্রেক। আরও কিছুদূর টানা যেত।
গল্পে গালিগুলো উপভোগ্য, ওদের কাছাকাছি গিয়ে দেখেছি, ওরা আরও অডলি গালি বিনিময় করে। অনেক লেখক গালি লেখাকে বাজে ভাবে, আমার কাছে মনে হয় এটা সক্রীয়তা লেখকের।
-
অনেকদিন পর লিখছ, তো সাধুবাদ।
-
নূহার দুটা পর্ব বাকি, ভাবছি পড়ব এখন। এটা দেখে এটাই পড়ে নিলাম। ফেবুতে না পড়েই লাইক মারছি। এখন পড়ে ফেলছি। :) মঙ্গলবার অফ। ওদিন এসে কি কি বাকি আছে পড়ে যাব।
ভালো থেকো সবসময়।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার কাছে হঠাৎ শেষ মনে হয়নি। আরও টানলে বিরক্তি আসতো। মূল যে ব্যাপার নাড়ির টান সেটা যে অবস্থায়ই মানুষ থাকুক না কেন, যত নেশাতেই মানুষ বাঁধা পড়ুক না কেন , ঘরের টান মানুষকে টানবেই।

নুহা !!! অনেকদিন লিখি না। লিখবো লিখবো করেও লেখা হচ্ছে না । ধারাবাহিক লেখাটা বিরক্তিকর লাগে যদিও শুরু করেছিলাম খেয়ালের বশে।

তুইও ভালো থাকিস

৩৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: অনেক দূর টেনে নিয়ে যাবার ক্ষমতা আপনার আছে। সাধুবাদ জানবেন।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ইসহাক ভাই

৪০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৯

সোমহেপি বলেছেন: আপুদের সাহসী কাজ দেখলাম।

সুন্দর লেখা।

আমি অনেক গালি জানাতে গালিময় লেখা আমার ভালো লাগে। বিদ্রোহ বলতেই আমার কাছে মনে হত গালি।


++++

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সাহসী কাজ কোনটা ভাইয়া ?

হুম গালি যদিও সব সময় বিদ্রোহের ভাষা না, আমার মতে। উপেক্ষা বা বর্জন, মৌনতাও ক্ষেত্রেবিশেষে বিদ্রোহের প্রকাশ হতে পারে।

ধন্যবাদ আপনাকে

৪১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৪

মশিকুর বলেছেন:
গল্পের সবই পারফেক্ট লেগেছে। তবে খুবই ছোট লাগলো :( মনেহল যেন হুট করেই শেষ হয়ে গেল.. তবে গল্পটি অসমাপ্ত না, গল্প শেষ করার পর পাঠকের ভাবনার স্পেস রয়েছে।

শুভকামনা।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভাবনার স্পেস তো আছে বটেই, তবে চেষ্টা ছিল ছোট করে লিখতে। অনলাইনে মানুষ খুব বেশি সময় অন্যের জন্য ব্যয় করতে চায় না, তাই লেখা ছোট রাখার দিকে ইদানীং মনোযোগ দিচ্ছি। কিন্তু আমি আবার অল্প কথায় মনের ভাব তেমন প্রকাশ করতে পারি না।

আপনার জন্যও শুভকামনা ভাইয়া

৪২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

তাসজিদ বলেছেন: বাকি অংশ কবে আসবে?
আসলে সামুতে জীবন ভিত্তিক গল্প কম লেখা হচ্ছে। যা অনুচিত।
অপেক্ষায়

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বাকি অংশ কবে আসবে মানে আমি ঠিক বুঝলাম না , এটা তো কোনও ধারাবাহিক গল্প না ভাইয়া। :|

নিচে সমাপ্ত লেখা ছিল।

৪৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:২৭

তাসজিদ বলেছেন: সরি, আমি ভেবেছিলাম এটি প্রথম পার্ট।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ইটস ওকে

৪৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে।






শুভকামনা।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া

৪৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সকালবেলা ঝাড়ু দেয়া শেষে অনেক পাতা ঝরো করে নিয়ে যায় সে

গল্পটায় সত্যি বলতে আর কিছু চাইছিলাম। রিয়াজের চিন্তাভাবনা সাবলীলভাবে তুলে এনেছেন, আশেপাশের পরিবেশ-পরিস্থিতিও চমৎকার বর্ণনা দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে খুব যেন তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল।

শুভেচ্ছা।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঠিক করেছি -- জড়ো।

তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলো কিনা বুঝতে পারছি না এখনো। আমার কাছে মনে হচ্ছিলো আরও বাড়ালে বোরিং লাগতে পারে।

আপনি এমন উধাউ হয়ে গেলেন ! আপনার সাথে যোগাযোগের অন্য মাধ্যম থাকলে জানাবেন। আপনার উপস্থিতি মিস করি ভাইয়া

৪৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন: শেষেটা এসে খুব দ্রুত টেনেছেন ৷ তাদের জীবন-যাপনের চাক্ষুষ অভিজ্ঞতা আপনার কিরূপ জানি না তবে আরো গভীরে যেতে পারত গল্পটির বাক্যবিন্যাস ৷ ভাল থাকবেন ৷

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চাক্ষুস অভিজ্ঞতা তেমন নাই বললেই চলে, তাই হয়তো গভীরে যেতে পারিনি। আপনার মূল্যায়নের জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.