নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবুই পাখির স্কুল

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

উৎসর্গ - আমার বাবুই_ পাখিকে



আজকাল ছেলে-মেয়েদের কাছে স্কুল কেমন লাগে, বন্ধু-বান্ধব বা স্কুলের শিক্ষকদের কেমন লাগে সেটা ব্যাপকভাবে জানার সুযোগ আমার নেই, নিজের ছেলের অনুভূতি জানা ছাড়া। আমার ছেলে বাবুই একটু অন্তর্মুখি স্বভাবের। নতুন ফ্রেন্ড পেতে বা অপরিচিত কারো সাথে পরিচিত হবার অদম্য ইচ্ছে থাকলেও নিজ থেকে এগিয়ে যেতে পারে না। লজ্জা, শংকা, অস্বস্তি সবই একসাথে কাজ করে। মারামারি বা ধাক্কাধাক্কি করে নিজের জিনিসটা আদায় করতে পারে না, ঘরে এসে তোড়জোড় আমার সাথেই দেখায়। সাধারণত এতোটা ব্যক্তিগত ব্যাপারে আমি লিখে ব্লগে কখনো দেইনি। আজ বাবুইয়ের একটা অনুভূতি জানানো এবং তার কাছাকাছি কী সমাধান পাওয়া যেতে পারে ভেবেই এই পোস্ট টা লিখলাম।



ও আগে একটা প্রাইভেট স্কুলে পড়তো। কিন্তু প্রতি বছর স্কুলের বেতন এবং রি-এডমিশন ফী বাড়ছে, যা আমার মতো চাকুরীজীবী অভিভাবকদের জন্য একটা পীড়া হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বাংলা মিডিয়াম স্কুলেই সে পড়েছে ক্লাস টু থেকে ফোর পর্যন্ত। ওদের সেই স্কুলে পড়াশোনার মান যথেষ্ট ভালো কিন্তু স্কুল ক্যাম্পাস আধুনিক ফ্ল্যাট বাসার মতোই। আমি চাইনি ছেলেকে ফার্মের মুরগীর মতো তুলুতুলু করে বড় করতে। অন্তত শিক্ষাজীবন যাতে আনন্দের হয় সেটা চেষ্টা ছিল। সে যাই হোক, ওকে এবার একটা সরকারী স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। ভর্তি পরীক্ষায় তার ভীষণ ভীতি। তবুও সে সব কিছুই উৎরে গিয়ে টিকেছে সে স্কুলে।





তার বন্ধু-বান্ধব কোনকালেই বেশি ছিল না। দুই থেকে তিনজন। তার প্রথম ভয় ছিল এতো বড় স্কুলে সে হারিয়ে যাবে, আমাকে খুঁজে পাবে না ছুটির সময় ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কিছু। কিন্তু এর পেছনে যে ব্যাপারটা ছিল সে আমাকে প্রথমে বলেনি। যেদিন সে প্রথম ক্লাস করে বাড়ি ফিরছিল আমার সাথে, আগের স্কুলটা পার হবার সময় দেখি সে চুপিচুপি তার চোখ মুছছে। ধরা গলায় আমাকে বলল --



আম্মু, স্কুল বদলানো কী এতোই জরুরী? আমার অভিজিতকে অনেক দেখতে ইচ্ছে করছে।



অভিজিত তার বন্ধু। ফোনে কথা বলতে বললে সে আবার রাজী হয় না।







যাই হোক, একে একে সে অনেক ত্রুটি খুঁজে পেলো নতুন স্কুলের। তার ক্লাসমেটরা সুন্দর করে কথা বলে না, স্কুলে টিফিন টাইম দেয় না ( অবশ্য এখন ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, তাই দিচ্ছে ) , স্যার/ ম্যাডামরা " তুই " করে বলে, স্যার পিটুনি দেয় হাতের তালুতে, স্কুলে এতো ছাত্রছাত্রী কেন ইত্যাদি। তাছাড়া বোর্ড বই গতকালই সে সম্পূর্ণ সেট পেয়েছে, এর আগে তার হতাশা ছিল এই স্কুলে সে আর কোনোদিন বই পাবে না পুরো সেট।







তবে রোজ সকালের এসেম্বলি, জাতীয় সঙ্গীত এসব তার পছন্দ। স্কুলে একটা ক্যান্টিন আছে, সেখানে নিজে গিয়ে খাবার কিনে আনার স্বাধীনতা তাকে মাঝে মাঝে দিয়েছি। এতে সে খুশী। নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে পারছে এটা তার কাছে বিশাল কিছু। স্কুলের পাঠাগারে টিনটিন সিরিজের অনেক বই দেখেছে সে, এটাও তার কাছে আনন্দের। কিন্তু বই নিতে হলে পাঠাগারের সদস্য হতে হবে। স্কুলের ভর্তি প্রক্রিয়া মাত্রই শেষ হয়েছে, তাই সদস্য হওয়া, কার্ড করা একটু সময়ের ব্যাপার, তাই আপাতত সে বই নিতে পারছে না। এটাও তাকে হতাশায় ফেলে দিচ্ছে।







স্কুলের বড় ক্লাসের ছাত্ররা ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট খেলে এসব দেখে তার খুব ইচ্ছে হয় খেলতে। কিন্তু তার ধারণা কেউ তাকে খেলতে নিবে না। আর বড়দের ধাক্কাধাক্কিতে সে ব্যথা পাবে, বল উড়ে এসে তার বুকে লাগবে, দৌড়াতে গেলে ওর পা ভেঙে যাবে ইত্যাদি নিয়েও শংকায় ভোগে। আমি চাই এসব ভয় গুলো ওর কেটে যাক। সাহস করে মাঠে নামুক, খেলুক, স্কুলের সময়টা ক্লাসের বাইরেও উপভোগ করুক। কিন্তু ঘুরে ফিরেই ওর পরিচিত চেহারার বাইরে কিছু ঘটলেই অস্থির হয়ে যায়, এই স্কুলে আর পড়বে না বলে কান্নাকাটি করে। ওর ছুটির টাইমটায় আমার লাঞ্চ আওয়ার থাকে, তাই মাঝে মাঝে ওকে আনতে যাই। আজকে ফেরার সময় আবার ফুলে ফুলে কান্না।



আম্মু এই স্কুলটা ভালো না। ম্যাডাম আজকে মেরেছে।



অপরাধ বিশাল কিছু না। আজ ওদের ইসলাম শিক্ষা ক্লাসের সময় ম্যাডাম এসে বলেছিল - যারা যারা ইসলাম ক্লাস করবি দুই তলায় ক শাখায় গিয়ে বস। আর হিন্দু ধর্মের যারা তারা এই ক্লাসেই থাক। বাচ্চারা ধাক্কাধাক্কি করে বের হচ্ছিলো ক্লাস থেকে, সে ভেবেছে ভিড় কমলে সে বের হবে। ক্লাস থেকে বের হতে দেরি হওয়ায় তাকে তার ক্লাসের ম্যাডাম মাথায় একটা গাট্টা মেরেছে। তারপর সে কাঁদতে কাঁদতে বাসায় ফিরল।







তাকে প্রায়ই শোনাতে হয় আমরা অনেক আনন্দ নিয়ে স্কুলে যেতাম। স্যারের মার যদি স্কুল লাইফে কেউ না খায় তাহ্লে সে তার ছেলেমেয়ে বা নাতি নাত্নির কাছে কী গল্প করবে? তার জীবন বৃথা ইত্যাদি বলে তাকে বুঝ দেই । আর এখানে অনেক ছাত্রছাত্রী, প্রতিযোগিতা বেশি। ১২০ জনের মাঝে ক্লাসে প্লেস করা অনেক সম্মানের যা ৪০ জনের মাঝে প্লেস করে সে পাবে না। নিজেকে শক্ত হতে হবে, নিজের প্লেস, নিজের বসার জায়গা এসব নিজেকেই দখল করে নিতে হবে নিজের যোগ্যতায় ইত্যাদি অনেক কিছুই তাকে বোঝাই রোজ। ক্লাসে ফার্স্ট, সেকেন্ড হতে হবে এমন কোনও প্রেসার আমার পক্ষ থেকে বা আমাদের পক্ষ থেকে কখনোই দেয়া হয়নি। শুধু যতটুকু পড়ে ততটুকুই যেন মন দিয়ে, আনন্দ নিয়ে পড়াশুনা করে।



কিন্তু তার মন এখানে কিছুতেই বসে না। স্কুল , কোচিং, বাসায় পড়া সব মিলিয়ে রেস্ট বলতে ঘুমের সময় আর শুক্রবার। ক্লাস ফাইভে সমাপনী পরীক্ষা, সৃজনশীল পদ্ধতির কারণে বছরের শুরুতেই পড়াশুনা করতে হচ্ছে। তার ব্যাগ টা তার পিঠ থেকে নিতে চাইলে তার পৌরষে লাগে বন্ধুদের সামনে - ক্যান আমি বড় হয়েছি না ?



সে যাই হোক, পড়াশোনা অনেক নিরানন্দের ব্যাপার বোধ হয় - তাকে দেখলে মনে হয়। পড়তে হবে তাই পড়ে। পড়াশোনা না করলে রিকশা চালাতে হবে না হলে আচার বিক্রি করতে হবে, মানুষ মূর্খ বলবে এই ভয়েও সে পড়ে বোধ হয়। রেজাল্ট ভালো করলে মায়ের কাছ থেকে , কোচিং থেকে, বাবার বা নানীর কাছ থেকে পুরস্কার পাবে এই আশাতেও পড়ে। পড়াশুনায় টার অনীহা নাই কিন্তু আমি আনন্দের ছাপও দেখি না। আমি ছোট বেলায় কীভাবে পড়েছি, কী কী আনন্দ করেছি স্কুলে সে সব শুনেও তার আগ্রহ হয় না। স্কুল যে আনন্দের জায়গা হতে পারে এটা আমি আজকাল স্কুলের বাচ্চাদের চেহারায় দেখি না।



ক্রিকেট নিয়ে তার দারুন আগ্রহ। তাদের স্কুলে ক্রিকেট এর কোচিং হয়। এই কারণে কিছুটা আগ্রহ স্কুলের জন্য তার অবশিষ্ট আছে। আমি জানি না স্কুল নিয়ে ছেলেকে কী করে আগ্রহী করে তুলবো। শিক্ষক রা তুই করে সম্বোধন করেন, অকারণে আজকে তাকে মার খেতে হয়েছে, বা অন্য বাচ্চারা মার খায় ক্লাসে এটা তার কাছে এক বিরাট বিস্ময়।বারবার বলছিলো - বিনা দোষে কেন মারবে ! তবে ক্লাসে বা বিকালে কোচিং এ টার ক্লাসমেটরা মার খেলে, কানে ধরে দাঁড়ালে সে আবার খুশী হয়, সম্মানিত বোধ করে নিজের কথা ভেবে যে সে সবসময় টার পোড়া কমপ্লিট করে যায়, সব সময় ভালো ভালো রিমার্কস পায়। কিন্তু এই স্কুল কেন তাকে ভালো লাগাতে পারছি না আমি জানি না। আমি বলেছি - অপেক্ষা করো, আস্তে আস্তে ভালো লেগে যাবে। এই পোস্ট আমি বাবুইকে উৎসর্গ করলাম। আর এই পোস্টের কমেন্ট সে দেখবে আমি যখন ব্লগে বসবো।



স্কুলকে কী কী কারণে ভালোবাসা উচিত , কী করে ক্লাসের ফাঁকে টিফিনের সময়টায় খেলাধুলা করে কিছুটা আনন্দ হলেও পাওয়া যায় এই পরামর্শ ব্লগে বাবুইয়ের মামা-খালামনিরা আশা করি দেবেন।

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১

সকাল রয় বলেছেন:
আপনার বাবুই পাখির জন্য অনেক শুভকামনা।

আমার ছেলে-মেয়েগুলো অবশ্যি স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে গেছে সেই কবে। তখনকার সময় এত ভাবতে হতোনা। কিন্তু এখন শিশু জন্মাবার পর থেকেই ভাবনা ডালপালা মেলে।

বই মেলায় আপনার বই আসছে জেনে আনন্দিত হয়েছি। এটার ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। মেলায় দেখা হবে বইয়ের ভাজে ভাজে

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বাবুইকে জানিয়ে দিবো শুভকামনা।

বাবা-মা হয়ে গেলে সন্তানের পড়াশুনা, বড় হয়ে ওঠা, মানসিক -শারীরিক সব অবস্থার আপস এন্ড ডাউনে চিন্তিত হতে হয়।

ধন্যবাদ রয়।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


স্কুল পলাতক ছাত্র হিসেবে আমার বেশ নাম ডাক ছিলো। স্কুল পালিয়ে কত হলে গিয়ে সিনেমা দেখছি। স্যার একদিকে বোর্ডে ফিরতেন লেখার জন্য আর আমি ওমনি পেছনের দরজা দিয়ে পালাতাম। সব সময় পেছনের বেঞ্চে বসতাম। পড়াশোনার প্রতি অনীহা আমার সবসময়ের কিন্তু পাঠ্য পুস্তক ভালো না লাগলেও ভালো লাগত গল্পের বই পড়তে। গল্পের বইয়ের পোক ছিলাম এখনও তাই। আসলে জোড় করে আর যাই হোক পড়াশোনা হয় না। ওরে ওর মত ছেড়ে দেন শুধু খেয়াল রাখবেন অসৎ সঙ্গ যেন না পায়। এছাড়া যা করতে ভাল লাগে তাই করতে দেন না। শিক্ষিত হওয়া জরুরী ভালো রেজাল্ট না করে ভালো মানুষ হওয়া জরুরী।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ছেলে স্কুল পালালে তো ভাবতাম ছেলে বড় হয়েছে। স্কুল টা বাসা থেকে অনেক দূরে। রিকশায় ৩৫-৪০ টাকা ভাড়া আর এই পরিমান টাকা তার হাতে দেয়া হয় না। আর রিকশায় কমই যায়। আর অমন গোঁফওয়ালা বাহারি পিয়নকে টপকে গেট দিয়ে বের হবার সুযোগ নাই তার ! হাহাহহ

ও গল্পের বই পড়তে পছন্দ করে। অপেক্ষায় আছে সদস্য কার্ড পাবার। ফেব্রুয়ারিতে কার্ড পাবে। আর যাদের সাথে মিশে তারা ওর মতোই অনেকটা। হুম সে এখনো বলে সে ভালো মানুষ হতে চায়।

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: মিস্টার বাবুইকে আমি উপদেশ দিতে পারবো না , কারণ উপদেশ দেয় বড়রা । আমি তো বড় না । আমি ছোট । তাই আমি উপদেশের বদলে আমার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করি মিস্টার বাবুই এর সাথে ।

আমি ক্লাস থ্রিতে সরকারী স্কুলে ভর্তি হয় । স্কুলের নাম ময়মনসিংহ জিলা স্কুল । আমার জিলা স্কুল জীবনের প্রথম ক্লাস যেদিন সেদিন আমি খুব উত্তেজিত ছিলাম । খাকি প্যান্ট , আর সাদা শার্ট পড়ে আমি বারবার আয়নায় নিজেকে দেখছিলাম । আমার মনে হচ্ছিল আমি বড় হয়ে গেছি । আমি এখন জিলা স্কুলের ছাত্র । আমার ভাব সাব আলাদা ।
আমি একটু দেরীতে স্কুলে গিয়েছিলাম ( কারণ আমি ছোট থেকেই অলস )

সকাল ৭ টায় আমাদের এসেম্বলি ক্লাস হতো । আমি ২ মিনিট দেরীতে যাওয়ায় বাইরের গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল । ভিতরে হাজার ছাত্র পিটি করছে জাতীয় সংগীত গাইছে । জীবনের প্রথমবার সরকারী স্কুলে পিটি ক্লাস হচ্ছে আর আমি গেটের বাইরে হতাশ হয়ে দাড়িয়ে । কি কষ্ট ! কিন্তু আমার জন্য আরও বড় সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছিল । পিটি ক্লাস শেষ হলে আমরা যারা বাইরে ছিলাম ত্তাদের মাঠে ঢুকতে দেয়া হল । এবং একজন স্যার বিশাল বড় বেত হাতে আমাদের বললেন -- যা সারা মাঠ দুইবার চক্কর দিয়া আয় , এইটা তোদের শাস্তি !

চিন্তা করো বাবুই , জীবনের প্রথম জিলা স্কুল ক্লাসে আমি ঢুকার সাথে সাথে শাস্তি খেলাম !! কি কষ্ট কি কষ্ট !!
ভাগ্য আমার এমন সেই যে শাস্তি খাওয়া শুরু ক্লাস টেন পর্যন্ত সেটা চালু থাকলো । আমি আমার স্কুল জীবনে এতবার শাস্তি খেয়েছি যা লিখলে একটা মহাভারত লিখা হয়ে যাবে ।

কিন্তু মজার বিষয় কি জানো -- আজকে এই বিশ্ববিদ্যালয়য় জীবনের প্রায় শেষ সময়ে এসে আমার জীবনের সেরা ঘটনা যদি কেউ জিজ্ঞাস করে আমি আমার জিলা স্কুল জীবনের শাস্তি খাওয়ার কথা গুলোই ঘুরে ফিরে বলি । সরকারী স্কুলের শত শত ছেলেদের সাথে আমার সেই বাল্যকাল আমার জীবনের সেরা মুহূর্তের একটি ।

নিশ্চিত থাকো , বড় হলে তুমিও আমার মতোই স্কুল জীবনের কথাই বারবার বলে উঠবে । আনন্দের সাথে । তাই উপভোগ করো । যা কিছু হয় , সব কিছু উপভোগ করো । ভবিষ্যতে এইসব ঘটনাই অনেক আনন্দ দিবে তোমাকে ।

:)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গতকাল তোমার কমেন্ট ও পড়ছে। পড়ে মিটিমিটি হাসছে। কিছু বলে নাই। আমার ব্লগের উত্তর দিতে দেরী হল কারণ ওকে সেগুলি ফাঁকে ফাঁকে পড়িয়েছি। ওর মতামত জানতে চেয়েছি।

স্কুলে কম বেশি শাস্তি আমিও পেয়েছি। বেতের বাড়ি , কানে ধরা ইত্যাদি , সে বিশ্বাস করতে চায় না ।

তবে আজ ছুটির সময় আনতে গিয়ে দেখি কাগজের বল আর কাঠের স্কেল দিয়ে ক্রিকেট খেলছে একজনের সাথে। আমাক এবল্ল -- দাঁড়াও একটু খেলি।
অনেক ছেলেরাই ব্যাট নিয়ে যায় , বলও। দেখি সে একটু অভ্যস্ত হোক, কী বলে। এখন পর্যন্ত এসে বলে নাই অমুক স্যার বা মিসের ক্লাস ভালো লাগছে। আমি বলেছি আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাবুইয়ের জন্য শুভ কামনা।

তবে এখনকার শিক্ষদেরও কেমন জানি রোবেটিক মনে হয়। গেল বছর হঠাৎ সিক্সে পড়ে মেয়ে ক্লাশে খারাপ লাগছে- তবু শিক্ষ বের হতে দেবেনা। তারপর বমিটিং হলে পড়ে ছুটি চাইল- বলে যাও এপ্লিকেশন নিয়ে আসো! পাগল না কি?

বলর আম্মুকে ফোন করেন।
না তুমি ডেকে নিয়ে আসো।
ওর মা গেল টিচার অন্য বিষয় নিয়ে ব্যস্ত! কথা বলতেই - আপনি ভিতের আসছেন কেন? আরে আর েবলে কি পাগল নাকি)

তারপর ওর মা রেগে মেগে দিল আমায় ফোন। ওখানকার সভাপতি আবার পরিচিত ছিল-
দিলাম ফোন। পরে সরাসরি ঐ টিচারকে ফোন দেই ধরে না। গিন্নির ফোনে কল দিয়ে তাকে ধরলাম- আচ্ছা মতো বাংলা ইংরেজী ;) ঝাড়লাম।

পরে এ শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এই টুকুই শান্তি। এবার স্কুল বদলে দিয়েছি।

এবার বাবুইয়ার প্রসংগ
আসলে বাবুইয়াদের দোষ কি? মনে করুন আপনার আমার শৈশব।

সেই খোলা মাঠ। সেই ভোদৌড়!!! মাঠ পেরিয়ে ধান ক্ষেত পেরিয়ে নদীর ধারে ক্লান্ত হযে ঘাসে শুয়ে পড়া।
সেই মানসিক বিকাশ

সেই মুক্ত প্রকৃতির জ্ঞানের পাঠ।

ওরা পাচ্ছে কৈ?
ফলে মানসিকতার আকাশ জমিন তফাৎ।

এর মাঝে মানিয়েই চলছি সবাই। সন্তানের মাঠ কিনে দাও আব্দারে যে সত্য লুকানো!


জানু বাবুইয়া.. ক্লাস সিক্সে শুধূ নামের বানানে বি কে ডি লিখেছিলাম বলে সেকি পিটুনি স্যারের। হাতটাকে কষে টেনে ধরে ঘন্টি বাজানের মতো করে মারল! কি হাসছো?
তখন আমার চোখ বেয়ে অঝোড় জল!!! ব্যাথার চেয়ে বেশি কষ্ট ছিল আব্বি ঐ স্কুলের শিক্ষক। আর নিজেও প্রথম দিকেরই রোল ছিল। তাই।
তবে সবচে আনন্দ হয়েছিল পরের বছর। প্রথম সাময়িকে পুরা ক্লাশে মাত্র দু'জন ইংরেজীতে পাশ করেছিলাম। আমি আর একটা মেয়ে।

তাই মারে কষ্ট হলেও শিক্ষা থাকে। টেক ইট ইজি!

তারে জামিন পর সিনেমাটা দেখেছো।

না দেখলে আম্মুকে বলে দেখে নিয়ো। মন ভাল হয়ে যাবে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তারে জামিন পার সিনেমাটা আগেও দেখেছিল। আপনার কমেন্ট পড়ে আজ রাতে আবার দেখেছে। ভাবুক হয়ে যাচ্ছিলো দেখতে দেখতে। এক সময় আর্টের প্রতি আগ্রহ ছিল এখন সেটা নেই অবশ্য। কিছুদিনের মধ্যে হকি টুর্নামেন্টে ওদের স্কুলও ঢাকার অন্যান্য স্কুলের সাথে অংশ নিবে। নারায়ণগঞ্জ থেকে মোট ৪ টা স্কুল। ছোটদের সুযোগ নেই, তাই ও বলছে -- হকি পচা খেলা !!!

আশা করছি মানিয়ে নেবে আস্তে আস্তে। ক্লাসে সব সময় পড়া পারলে শিক্ষকরা আলাদা চোখে দেখবে এটা ওকে বলেছি। সে এই বিষয় নিয়ে খুশী যে পড়ার জন্য বকা খেতে হয় না । তবে স্কুল জীবনে মাঝে মাঝে দুই একবার পিটুনি খাওয়া খারাপ না, এটাও বলেছি। সে ক্ষেপে যায় শুনলে ! হাহহা

নতুন স্কুলে আপনার মেয়ের কী অবস্থা ? ঠিক আছে তো স্কুলের সাথে ?

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বাবুই -
বন্ধু বানাও তারপর বন্ধুদের সাথে খেল । কেন এত ভয় করছ ?

তুমি খেলবে , ব্যথা পাবে , কিন্তু অনেক আনন্দ পাবে ।

তুমি কল্পনাও করতে পারবে না ।

দেখবে তখন সবকিছুই ভাল লাগবে ।

ভাল থেক তুমি , বাবুই :) অনেক শুভেচ্ছা তোমার জন্য ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তোমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে আর বলেছে স্কুল ভালো লাগাতে চেষ্টা করবে সে।

৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২০

না পারভীন বলেছেন: আহারে বাবুই এর মনের অবস্থা বুঝতে পারছি । দু একটা বন্ধু পেয়ে গেলে ভাল লাগবে । এত বড় স্কুলে চান্স পাওয়াই তো বিরাট ব্যাপার । ছোট স্কুলে থেকে গেলে জীবনের অনেক কিছুই মিস হয়ে যেতো ।
বাবুই কে কংগ্রাচুলেসন্স । :)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বাবুই দেখেছে আপনার কমেন্টস। বলেছে - আচ্ছা, বড় স্কুলে ভালো লাগাতে চেষ্টা করবে।

৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আমি জানতাম সব স্কুলেই শারিরীক শাস্তি বন্ধ হয়ে গেছে, এই ব্যাপারটা খারাপ! তুই করে বলাটাও! আমার ইউনিভার্সিটি শিক্ষকরাও আমাকে আপনি করে সম্বোধন করতেন!
তবে যেহেতু আপনি চান না বাবুই ফার্মের মুরগির মত বেড়ে উঠুক সেক্ষেত্রে তাকে টুকিটাকি স্বান্তনা দিন নিজেই চারপাশের সাথে এক সময় মানিয়ে নিবে আর ছোট মানুষ হিসেবে আমি মনে করি এখান থেকেই সে যে কোন পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়ার শিক্ষাটা প্রাকৃতিক ভাবে পাবে! বড় আর নতুন স্কুলে আমারও একই সমস্যা হয়েছিল, দুই এক বছরেই সম্ভবত শিখে গিয়েছিলাম কার সাথে মিশবো, কতটুকু মিশবোনা! এগুলো নিজ থেকেই শিখতে হয়।
বাবুই পাখির জন্য অনেক শুভকামনা!!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তুই তুই করে বলা আমার কাছে ব্যাপার না, তাই ওকেও বুঝিয়েছি। আর শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ সেটা জানি আমিও। তবে ও পরিচিত না এসব ব্যাপারে, অন্তত স্কুলে। সে যাই হোক, ছাত্রছাত্রীর ওজন বুঝে হাতে বেতের বাড়ি বিশেষ কিছু না। স্কুলে না খেলেও বাড়ির টিচারের কাছে ক্লাস থ্রী থেকে সিক্স পর্যন্ত ধুমাধুম মাইর খাইছি । এই মাইর আর নিয়ম শৃঙ্খলা নিয়া শিক্ষা না পাইলে পড়ালেখায় আর গর্ধভ হইতাম সেটা শিওর।

ও বুঝে শুনেই মিশে বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে। অপেক্ষা আছি কোন দিন বলবে , আমার স্কুল ভালো লাগে আম্মু

৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪১

সায়েম মুন বলেছেন: নতুন স্কুলটা অনেক বড়। এখানে খোলা মাঠ আছে। খেলাধূলা করলে শরীর ভাল থাকবে। বাবুই সম বয়সীদের সাথে খেলতে পারে। স্কুলে লাইব্রেরী আছে। লাইব্রেরীর বিভিন্ন বই নিয়ে সে পড়তে পারবে। আগের স্কুলটার বর্ণনা শুনে মনে হলো ফার্ম টাইপের। মনকে বড় করার জন্য বড় জায়গায় পড়ালেখা করা উচিত। কোচিং আর প্রাইভেট একই দিনে রাখলে মানসিক এবং শারীরিক চাপ বাড়বে। পুরানো বন্ধুর কথা আপাতত কিছু দিন মনে পরবে। ব্যতিক্রম কোন কিছুকে হুট করে মেনে নেয়া কষ্টকর। তাই আপাতত পুরানো পরিবেশ বা বন্ধুদের কথা মনে হতেই পারে। কয়েক দিন পর নতুন স্কুলে বন্ধু জুটে গেলে আর খারাপ লাগবে না। বাবুইয়ের জন্য অনেক শুভকামনা।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার কমেন্ট ও পড়েছে। বলেছে -- আগের স্কুলে হইচই কম হতো। টিচার রা সময় মতো ক্লাসে আসতো। এই নতুন স্কুলে হইচই বেশি। গ্যাদারিং। হইচই এর শব্দে ওর কান ব্যথা করে ।

শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ সায়েম ভাই

৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

আরজু পনি বলেছেন:

বাবুই বাবার জন্যে অনেক আদর রইল ।

পুরো পোস্টটা শেষ করতে পারিনি ।
সাথে করে নিয়ে গেলাম শেষ করতে ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ পনি

১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০২

মামুন রশিদ বলেছেন: সব ঠিক হয়ে যাবে । সরকারী স্কুলে ছাত্র বেশি, তাই বন্ধুও হবে বেশি । সেই সাথে মজাও হবে বেশি বেশি । বাবুই@, তুমি ক্রিকেট খেলা শুরু করে দাও । আমার ধারণা তুমি খুব ভাল ক্রিকেটার হতে পারবে ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ক্রিকেট নিয়ে তো তার দারুন আগ্রহ। সকালে স্কুলের জন্য রেডি হতে হতে বলছিলো টেস্ট খেলা টা দেখা হবে না ! রিক্যাপ দেখতে হবে।

চেষ্টা করছি তাকে ভালো রাখতে ।

সুপ্রভাত মামুন ভাই

১১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৩

আরজু পনি বলেছেন:

একটু ফ্রি হয়ে আমার কিছু কথা শেয়ার করার আশা রাখি ।।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ পনি

১২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৫

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
বাবুইর জন্য শুভকামনা।

কিন্তু কিভাবে ভালোলাগার কথা বলি, স্কুল তো আমাকেও টানতো না :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠও তো শেষ করে ফেললে । হহাহাহহা

শুভকামনা পেয়ে গেছে বাবুই

১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৫

ইখতামিন বলেছেন:
প্রিয় বাবুই পাখি,
জীবনে এমন অনেক সময় আসে, যখন পরিবেশ-পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকে না। পরিস্থিতিকে সাহসের সঙ্গে জয় করে নিতে চেষ্টা করবে। লজ্জা, শংকা, অস্বস্তি থাকা ভালো। কিন্তু সব সময় তা পুষে রাখলে চলবে না। মারামারি, ধাক্কাধাক্কি খুবই খারাপ। কিন্তু যখন তুমি সবার আগে থাকবে, তখন আর ধাক্কাধাক্কি করা লাগবে না। তোমার পুরানো বন্ধুকে খুব মনে পড়ে? মাঝে মাঝে ফোনে কথা বলবে। এখন যেই স্কুলে আছো, সেখান থেকে অল্প যে কয়জনকে তোমার পছন্দ হয় তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতো পারো। অবশ্য তোমার কয়েকটা বন্ধু জুটে গেলে দেখবে সব ঠিক হয়ে গেছে। তোমাকে তারা "তুই" করে কথা বলে? ব্যাপার না। তুমি কি জানো? "তুই" শব্দের ভালো একটা অর্থ আছে... আপন বা কাছের কাউকে "তুই" বলেও ডাকা যায়। তোমার স্কুলের ম্যাডামরা ছাত্রদের ভালো চায়। তারা তোমার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চায়। তাই তাঁরা আপন মনে করে শাসন করে। হয়তো তোমার অপরাধ ছিলো না। তোমার কোনও ভুল ছিলো না। তবুও আজ ম্যাডাম তোমাকে মেরেছে। ম্যাডাম তোমাকে ভুল বুঝে মেরেছে। ইচ্ছে করে মারেনি। ম্যাডাম বুঝতে পারেনি যে, তুমি ধাক্কাধাক্কি এড়াতে দেরি করছিলে। এর জন্য তুমি ম্যাডামকে দুষবেনা। ম্যাডামরা খুব ভালো। তাদের মন ভালো। তারা না থাকলে তুমি কার কাছে পড়বে বলো?

আর তোমার ক্লাসের কেউ ম্যাডামের হাতে মার খেলে তুমি খুশি হলেও তা প্রকাশ করবেনা। তাহলে যে মার খেয়েছে, সে তোমার উপর রাগ করতে পারে। এমন কিছু করবে না, যাতে তোমার উপর কেউ রেগে যায়।

যারা ভালো পড়ে,ব্যবহার ভালো, এমন কয়েকজনের সাথে বন্ধুত্ব করে নাও। তাদের সাথে চলবে। দেখবে- খারাপ লাগবে না আর।

তুমি না ভর্তির সময় খুব ভয় পেয়েছিলে? অথচ দেখেছো? তুমি ঠিকই ভর্তি হতে পেরেছো। তারমানে তুমি শুধু শুধু ভয় পেয়েছো।

খেলতে ভয় পাও? দৌড়ালে পায়ে ব্যাথা করবে? একটুও না। তুমি ছুটির দিনে বাসায় খেলবে। দেখবে খেলা কতো সহজ... এর পর থেকে স্কুলেও খেলতে পারবে।

স্কুলের পাঠাগার থেকে বই নিতে পারছো না? ব্যাপার না... আপাতত তোমার আম্মুকে বলে পছন্দের কয়েকটা বই কিনে পড়ো। কিছুদিন পর তো এমনিতেই পাঠাগার থেকে বই আনতে পারবে...

ফার্স্ট, সেকেন্ড বা থার্ড হওয়ার প্রয়োজন নেই। হলে ভালো। নাহলে সমস্যা নেই।
ভালো করে পড়ালেখা করলে তুমি অনেক বড় হতে পারবে। অনেক ভালো হতে পারবে। তোমার মনটা আসলে অনেক ভালো। অনেক সরল। তাই অনেক কিছুকে সহজে মেনে নিতে পারো না। কিন্তু চেষ্টা করো। দেখবে। সব ঠিক হয়ে যাবে।

জানো? স্কুল সবচেয়ে আনন্দের জায়গা। হাসি.. মজা.. আনন্দতো সেখানেই। স্কুলকে নিজের বাসার চেয়েও আপন মনে করবে। এখন বুঝবে না। একটা সময় আসবে যখন স্কুলকে খুব মিস করবে। তখন হয়তো বুঝবে।

-------------------------------------------------------
আর আপনি বাবুইয়ের ম্যাডামের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চেষ্টা করুন। তাদের বুঝাতে চেষ্টা করুন, বাবুই অন্যদের মতো নয়। একটু লাজুক ও সরল।
সব অভিভাবকদেরই উচিৎ স্যার/ম্যাডামের সঙ্গে বাচ্চার ভালোমন্দ শেয়ার করা। তাহলে স্যার/ম্যাডামগণ উক্ত ছাত্রের প্রতি আলাদা একটা নজর দেন। যা অন্যদের প্রতি দেন না।

ভালো থাকুন।
ভালো থেকো বাবুই।
আমাদের শুভকামনা রইলো।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এতো বড় কমেন্ট দেখে বাবুই বলেছে - আম্মু এতো বড় লেখার আমি উত্তর দিবো কীভাবে। তুমি বলে দিও আমি এখন স্কুলে একটু একটু খেলি। কিন্তু ক- শাখার ক্যাপ্টেন আর ওদের ক্লাসের দুইটা ছেলে আমাকে বকেছে, আমাদের খ- শাখা দেখতে পারে না।

---
বাবুইয়ের স্কুলের অভিজ্ঞতা গুলো শুনি আর আমি নস্টালজিক হই। এর মাঝে ওর দুইটা ক্লাস টেস্ট হয়েছে ক্লাসে। আগের স্কুলে প্রতি সাবজেক্টের জন্য আলাদা আলাদা ক্লাস টেস্ট খাতা দিয়ে দিতো হতো স্কুলে। এখানে ও বলল -- ওর ক্লাসের খাতা থেকে পাতা ছিঁড়ে তারপর পরীক্ষা নিয়েছে মিস। তারপর সেই লুজ শিট মিস নিয়ে গেছে। আমিও ওভাবে পরীক্ষা দিতাম স্কুলে , মজা লেগেছে শুনে এই কারণে যে ধারাবাহকতা আজো বিদ্যমান।

স্কুলে একটু অভ্যস্ত হলেই টিচারদের সাথে যোগাযোগ করবো। এতদিন টিচারদের নাম জানতাম না, ফোন নাম্বার জানতাম না। এখন জেনেছি। তবে আমার ফ্রেন্ডের ছেলেও সে স্কুলে পড়ে। ওর সাথেও কথা বলে দেখি ওর কেমন লাগে, কী কী প্রব্লেম ফিল করে ও। তারপর কথা বলবো।

বাবুই যদিও নাখোশ আমার ফ্রেন্ডের ছেলে নাকি ক্লাস ক্যাপ্টেন। ওর বক্তব্য আমি রোজ পড়া পারি আমি কেন হলাম না। হাহাহহা

অনেক ধন্যবাদ ইখতামিন সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

১৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪১

অপু তানভীর বলেছেন: আন্টি, আমি জীবনে খুব কম স্কুল পালিয়েছি ! কিন্তু যে কয়বার পালিয়েছি হেব্বী মজা পাইছি !

আমার খালাতো ভাইটারে এই পরামর্শ দেব যেন দুএকবার স্কুল পালিয়ে দেখে ! ;);)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: স্কুল পালালে তো বুঝতাম তোমার খালাতো ভাই ব্যাটা হইছে !!! হাহাহহা ! ঐ সাহস তার হবে না কারণ সে ফাঁকি দেয় না। বাসাটা স্কুল থেকে দূরে আর ঐ দারোয়ানের চোখ এড়িয়ে সে বের হতে পারবে না !!

সে এই কমেন্ট দেখে বলেছিল -- আম্মু স্কুল পালানো ভালো না । :)

১৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: স্কুল খুব বাজে জায়গা বাবুই। তাই তাড়াতাড়ি বেশিবেশি পড়াশোনা করে এখান থেকে বের হয়ে কলেজে চলে যাও। সেখানে স্বাধীনতা আছে। ইচ্ছের ডানায় বেচে থাকো।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম ইচ্ছেরা ডানা মেলতে শিখুক।

শুভকামনা রইলো

১৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫২

ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: স্কুল পালানোতে বেশ নামডাক ছিল ! প্রথম প্রিয়ডের অ্যাটেনডেন্স নেয়া হলেই টয়লেট যাবার নাম করে ছু-মন্তর হয়ে যেতাম :)

বাবুইয়ের জন্য শুভকামনা !!

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তোমার জন্যও শুভকামনা। কিন্তু তোমরা আমার ছেলেটারে স্কুল পালানের কু-বুদ্ধি দিতাছ। ভেরি ব্যাড !!!! :P

১৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২০

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আররে স্কুলের গল্প। মজার তো। বাবুই পাখির জন্য অনেক শুভকামনা।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া

১৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৬

অচিন্ত্য বলেছেন: আমার মুখে পরামর্শ মানাবে না। কারণ নবীজি আগে নিজে মিষ্টি খাওয়া ছেড়ে তারপর তা করতে মানা করেছিলেন। তাই আমি শুধু বিনোদনের কথাটাই বলব। আমার মনে হয় টিফিনের ফাঁকে দাবা খেলা যেতে পারে। অত্যন্ত আনন্দময় একটি খেলা। আমার জোর বিশ্বাস এই খেলা মানুষকে যুক্তিসঙ্গতভাবে চিন্তা করতে শেখায়। ছোট বোর্ড পাওয়া যায়। সহজেই বহনযোগ্য।
বাবুই একজন সত্যিকার ভাল মানুষ হতে চায়। এরকম চাওয়া সবাই চাইতে পারে না। সৃষ্টিকর্তা তার মনের আশা পূর্ণ করুন।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ওরা টিফিনের জন্য বেশি সময় পায় না। তাই সেই ফাঁকে মাঠে একটু হাঁটাহাঁটি করে। ওকে একটা ছোট দাবার সেট কিনে দেয়ার ইচ্ছা আছে যদিও আমি নিজেই ভুলে গেছি দাবা খেলতে যে ওকে শিখাব। তবে ওর ইচ্ছে আরেক টু সময় গেলে ও ক্রিকেটের ব্যাট নিয়ে যাবে। আপাতত কাগজ দিয়ে বল বানিয়ে স্কেল দিয়ে ডামি ক্রিকেট খেলে।

আসলেই ও ভালো মানুষ হতে চায় , সাথে এটাও বলে আম্মু ভালো মানুষ হতে গেলে অনেক কষ্ট করতে হয় ।

ধন্যবাদ অচিন্ত্য

১৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: প্রিয় বাবুই মামা,

তোমার স্কুলের ছবিগুলো দেখলাম। তোমার স্কুল তো অনেক সুন্দর আর ছেলেগুলোও অনেক স্মার্ট। বুঝতে পারছি খুব চমৎকার একটা স্কুলে ভর্তি হয়েছ তুমি। এতজনের সাথে প্রতিযোগিতা করে ভর্তি হওয়া তো চাট্টিখানিক কথা নয়। এরকম স্কুল গুলোতে ভর্তি হবার মজা কি জানো?? এখানে অনেকদিন পড়ালেখা করা যায়। যেমনঃ রংপুর জিলা স্কুলে আমি ক্লাস থ্রি থেকে প্রায় আট বছর পড়েছি। তুমি নিশ্চিত থাকো, ভবিষ্যতে যদি তোমাকে কখনো তোমার জীবনের সেরা সময়গুলোর কথা জিজ্ঞেস করা হয় তবে তুমি তোমার স্কুল জীবনের কথাই বলবে।

এবার আমার কথা বলি, আমি স্কুলে যেতাম, ভীষণরকম নিয়মিতভাবে স্কুলে যেতাম!! এমন কি হরতাল আর বৃষ্টির দিনগুলোতেও বাদ দিতে চাইতাম না পারত পক্ষে। আমাদের স্কুলে পড়াশোনাটা কখনই খুব প্রেশার ছিল না!! যতটুকু পড়লে ব্যাপারগুলো জানা যায়, শেখা যায় ঠিক ততটুকুই পড়তাম আমরা। আর যদি স্কুল বাদ দিয়ে বাসায় থাকতাম তাহলে ভোর ছ'টা থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত টানা লেখাপড়া করতে হত, তাও খুব মনযোগ দিয়ে :(
এর চেয়ে স্কুলে সবার সাথে মজা করে পড়াই কি ভাল না?? :)

তারপর স্কুলে হাজারটা দিবসে হাজার রকমের প্রতিযোগিতা লেগে থাকত!! সুন্দর হাতের লেখা থেকে শুরু করে, উপস্থিত বক্তৃতা, আবৃত্তি, রচনা লেখা ইত্যাদি ইত্যাদি। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা তো ছিলই সেই সাথে প্রতি বেলায় বেলায় আমরা খেলতাম। এছাড়া আন্তঃস্কুল ক্রিকেট তো প্রতিবছর ছিলই।

তারপর একটু বড় হয়ে, মনে কর ক্লাস সেভেনে উঠে আবিষ্কার করলাম আমাদের স্কুলে খুব ভাল একটা লাইব্রেরি আছে আর সেখানে প্রচুর বই। সপ্তাহে একদিন একটা ক্লাসে (এখনও মনে আছে প্রতি রবিবার টিফিনের পরের ক্লাসটায়) আমরা লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে আসতাম আর সেই বই পুরো এক সপ্তাহ জুড়ে বাসায় নিয়ে পড়া যেত। :) এখন লিখতে যেয়ে মনে পড়ছে আমার পড়া চমৎকার সব বইগুলোর শুরুও ঠিক সেখানেই। সেরা সন্দেশ, ছেলেদের রামায়ণ থেকে শুরু করে দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য পপার, টম সয়ারের দূঃসাহসিক অভিযান, হাকল বেরি ফিন, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রহস্য গল্প, বিখ্যাত মনীষিদের জীবনী আরো সব মজার বইয়ের সন্ধান পাই আমি ঐখানে :) এত মজা যেখানে, সেখানে কার না যেতে ইচ্ছে করে বল??

ওহো !! আমার স্কাউটিং জীবনের কথা তো বলাই হল না। বাসার সবাইকে রেখে শুধু বন্ধু আর একজন স্যার কে নিয়ে বাসা থেকে অনেক দূরে যেয়ে ক্যাম্প করে থাকা, রাতে তাবুতে ঘুমানো, নিজেরা রান্না করা, সারাদিন একটা কম্পাস হাতে অজানা জায়গায় ঘুরে বেড়ানো, সাথে হাজারটা চ্যালেঞ্জ আর প্রতিটা অতিক্রম করার সাথে অনেক স্বীকৃতি, ব্যাজ, সার্টিফিকেট, স্টিকার আরো কত কি !! এগুলো ঐ সরকারি স্কুল ছাড়া তুমি কোথায় পাবে বলতো ??

অনেক তো বললাম তারপরও মনে হচ্ছে কিছুই বলতে পারিনি। আর বন্ধুদের সাথে কত মজা করেছি সেগুলো নাই বা বললাম!!

হ্যাঁ, স্কুলে কিছু ব্যাপার থাকবে যেগুলো হয়তো তোমার ভাল লাগবে না। কিন্তু এত এত মজার জন্য কি একটু ছাড় দেয়া যায় না??

তোমার আর তোমার নতুন স্কুলের জন্য অনেক শুভ কামনা রইল :)

ভাল থেকো।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ওর কিছু কিছু আচরণ ঠিক বিপরীত ধর্মী। মনে কর স্কুল সকাল ১০ টায়। পৌনে দশটায় গেট বন্ধ করে দেয় স্কুলের, সাড়ে নয়টার ভিতর সেখানে তাই থাকতে হয়। আর ও সকাল ৯ টা থেকে প্যানপ্যান করে এখনো সে কেন স্কুলে যেতে পারছে না, দেরী হলে লাস্ট বেঞ্চে বসতে হবে। স্কুল পছন্দ হয় না কিন্তু স্কুলে আগে আগে যাইতে চায়! হাহাহাহাহা

কয়েকদিন আগে ক শাখার ছেলেদের সাথে তার একটু বচসা হইছে । পরে ক শাখার ক্যাপ্টেন আইসা সর্দারি করছে। ওরে বলছে স্যরি বলতে। বাবুই স্যরি বলে নাই তারপর বাবুইয়ের খ শাখার ছাত্র আইসা হাত নাক গলাইছে। ইত্যাদি সব ব্যাপার।

তোর ভাইগ্না তো সব বলতে চায় না বাসায় এসে। বলে -- আম্মু এতো কথা জানতে চাইও না তো ! খালি বেশি বেশি জানতে চাও তুমি ! :(

আমি ভাবছি লাইব্রেরীর কার্ড টা ওকে নিজে করে নিতে বলবো ওর ফ্রেন্ড দের সাথে গিয়ে। তাহলে একটু আত্মতৃপ্তি কাজ করবে ওর মাঝে।

কদিন আগে স্কুলে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হইছে। মোরগ লড়াই খেলায় চতুর্থ হইয়া সে বাদ পইড়া গেছে। আর ক্বেরাত প্রতিযোগিতায় নাম দেয় নাই ও ! কারণ হিসাবে - বলছে - আম্মু আমার গলায় সুর নাই ! হাহাহাহ

তোর কমেন্ট পইড়া ও কি বলছে শুনবি ? বলছে -- আম্মু আমাকে তোমরা সবাই মিলে উল্টাপাল্টা বুঝাচ্ছ না তো ! বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের মাঝামাঝি আছে।

কাল ওদের নবীন বরণ গেলো। ফুল , গিফট এসব পেয়েছে। মোটামুটি খুশিই।

ভালো থাকিস

২০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাচ্চাকে ধীরে ধীরে ‘তুই’ বলা শুরু করে দিন, একটা ভালো ফল পাবেন আশা করি। ওকে বাসায় সময় দেয়া খুব জরুরি। সে যখন পড়তে বসবে, ওর সাথে আপনিও ওর বইগুলো পড়ুন। নতুন স্কুলে ওর নতুন বন্ধু কেউ হলো কিনা, হয়ে থাকলে সেই বন্ধুকে(দেরকে) নিয়ে মাঝে মাঝে ক্যান্টিনে বসে টিফিন খান। মাঝে মাঝে কিছু চকোলেট বা বাচ্চাদের প্রিয় খাবার যেমন চিপস, ইত্যাদি দিয়ে বলুন- এটা তোমার, এটা তোমার অমুক বন্ধুর জন্য। বাচ্চা তার বন্ধুকে খুঁজে নেবে।

ভালো কাজ যেটা করেছেন তা হলো সে এখন প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতা অর্জন করতে থাকবে। অন্তর্মুখিতা থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার জন্য এমন স্কুলও ওর দরকার। ওর বন্ধুদেরকে, সম্ভব হলে, মাঝে মাঝে নিজের বাসায় আসতে বলুন- ওদেরকে একান্তে গল্প করতে দিন।

টিচারদের বেত মারা বা শাস্তি দেয়ার অভ্যাস আন্দোলন করে থামানো যাবে না। আর এটাকে আমি অপছন্দও করি না- সামান্য শাসন করা যেতে পারে। সব শিক্ষক শাসনের কৌশল সমানভাবে প্রয়োগ করতে জানেন না তা মানতে হবে।

অনেক বেশি ছাত্রছাত্রীঅলা স্কুলকলেজে পড়েছি বলে এর মজাটা আমি আজও ভুলতে পারি না। বাবুইও অতি শীঘ্র এ স্কুলের আনন্দে ডুবে যাবে বলে মনে করি।

মাঝে মাঝে অভিজিতের সাথে বাবুইয়ের সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থাও করে দেয়া ভালো হবে।

শুভ কামনা মাস্টার বাবুইয়ের জন্য।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দুঃখিত ভাইয়া উত্তর দিতে দেরী হল। জীবন জীবিকার ব্যস্ততায় সময় করে উঠতে পারছি না।

ইদানীং ব্লগে সময় কম দেবার পেছনে বাবুই একটা বড় কারণ। তার স্কুলের আর কোচিং এর পড়া গুলো তাকে পড়াতে হেল্প করা, সেগুলি নিজে পড়া এই কাজটা করছি। কারণ ও সবসময়ই বলে -- আমি পড়া বুঝিয়ে দিলে নাকি ওর সেটা বেশি মনে থাকে।

তার বন্ধুদের জন্য চকলেট দিলে বা স্কুলের ক্যান্টিন থেক এখাবার কেনার টাকা দিলে সে নিজেই সেটা খেয়ে ফেলে। আর লজ্জা লজ্জা মুখে - ওদের পরে খাওয়াবো নে। অবশ্য সবদিন এটা করে না ।

শিক্ষকের মার খাওয়া খুব বড় সমস্যা না যদি শিক্ষক ওজন বুঝে মারেন। শাসনের মাঝে আমিও বড় হয়েছি । আমার টিচারের কাছে ক্লাস সিক্স পর্যন্ত মাড় খেয়েছি ম্যাথের জন্য, উনাকে এতো ভয় পেতাম। উনি খুব ভালো ভাবে আমার বেইজটা গড়ে দিয়েছিলেন। তাই আজকেও বলত এপারি আমার বেস্ট শিক্ষক উনি ।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া ।

২১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বাবুইয়ের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা সময় যাচ্ছে এখন। স্কুলে সাধারনতঃ একটু অন্তর্মুখী ছেলেমেয়েরা অস্বস্তিবোধ করে, তাছাড়া নতুন জায়গা, নতুন পরিবেশ, ছাত্রছাত্রী অনেক বেশি- নিজেকে নিয়ে সামান্য হীনমন্যতা দেখা দিতেই পারে। সময়ের সাথে এটা কেটে যাবে আশা করি।

সোনাবীজের সাথে একমত- মাস্টার বাবুই যেন পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পান সেজন্য সাহায্য করতে হবে। স্কুলে একটা ক্যান্টিন আছে, সেখানে নিজে গিয়ে খাবার কিনে আনার স্বাধীনতা তাকে মাঝে মাঝে দিয়েছি। এতে সে খুশী। এই অংশটুকু পড়ে মনে হচ্ছে ছোট ছোট কিছু দায়িত্ব তাকে দেওয়া যেতে পারে, নিজের কাজ নিজে করতে পেরে তার মাঝে আত্মবিশ্বাস জন্মাবে, এতে আড়ষ্টতা কেটে যাবে অনেকটাই।

শুভকামনা রইল বাবুইয়ের জন্য।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমিও আশা করছি সময়ের সাথে সাথে বাবুই নতুন স্কুলে খাপ খাইয়ে নিবে।

ঘরে আর ঘরের বাইরে বাবুই/ বাবুইদের কার্যকলাপের পরিবর্তন আছে। সে তার জায়গাটা করে নিতে শিখুক ঘরের বাইরেও, একটু শক্ত হতে শিখুক। ভয় পেয়ে পেয়ে ও চলে এটা কাটিয়ে ওঠা দরকার।

২২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: বাবুই পাখির জন্য অনেক শুভকামনা।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ইসহাক ভাই

২৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: বাবুই পাখির জন্য অনেক স্নেহাশীষ।

সরকারি স্কুল আর বেসরকারি স্কুলে আচরণগত কিছু পার্থক্য থাকলেও বিশেষ কোন পার্থক্য আমার চোখে পড়ে না। আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সাধারণ স্কুল থেকেই দেশের অসাধারণেরা বের হয়ে এসেছেন। আমার ধারণা, এক সময় সে বর্তমান স্কুলের মজার বিষয়গুলো খুঁজে বের করতে পারবে। এখন মা-বাবার সাহচর্য্যটা পেলেই হয়। আমিও একজন বাবা। আমি চাই আমার সন্তানেরা স্কুলে নিয়মিত হোক, মজা পাক, বন্ধুত্ব করুক, খেলার সুযোগ নিক - সর্বোচ্চ ফলাফল করানোর চাপ আমি কখনও দেবো না। দেশকে ভালোবাসতে শিখুক, একজন সহযোগী মানুষ হোক - এই আমার চাওয়া। আপনার সাথে অনেকটাই মিলে গেছে।

শিক্ষকের ‘তুই’ বলা বা প্রহার করা - এসব আপাত দৃষ্টিতে অগ্রহণযোগ্য হলেও এটিই দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সত্যিকার চিত্র। প্রাইভেট স্কুলে দেশ ও সমাজের সত্যিকার চিত্রটি নেই। শিশুরা সত্য থেকে বঞ্চিত হয়, স্বদেশ মাতার স্পর্শ থেকে বঞ্চিত হয়। আমি বিশ্বাস করি এই ‘সত্য’ থেকেই বেড়ে উঠবে আমাদের শিশুরা। আমরা যেভাবে এসবের মধ্যেও ভালো মন্দ পার্থক্য করতে শিখেছি, তারাও পারবে...হয়তো আরও ভালোভাবে পারবে।

বলা বাহুল্য, দেশের সাধারণ স্কুলগুলো, তা যত নিম্নমানেরই হোক, শিশুকে ধ্বংস হবার পথ দেখায় না। শিক্ষকেরা তুই বললেও সেখানে স্নেহ থাকতে পারে। বাবুই পাখি, সেখান থেকেই প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠবে। আপনি তাকে ‘স্বাধীন’ হবার স্তরগুলোও দেখিয়ে দিচ্ছেন একে একে।

লেখাটি পড়ে অপর্ণা মম্ময়কে আরও বুঝতে পারলাম। ভালো লেগেছে :)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার মতামত পরে ভালো লেগেছে। সব বাবা-মাই চান তার সন্তান টা ভালো থাকুক, ভালো পরিবেশ পাক। বেসরকারী স্কুলের রেজাল্ট ভালো হয় বেশি মনোযোগ দিয়ে তাদের পড়ানো হয় । আর সব কিছু চাওয়ার আগেই তারা পেয়ে যায়। নোটিশ বোর্ড পড়তে হয় না, কাগজে প্রিন্ট করেই নোটিশ ডায়েরিতে দিয়ে দেয়া হয় , শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ রুম ইত্যাদি অনেক সুবিধা হাতের কাছে পেয়ে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তাই একটু ছুটোছুটি করে নিজের কাজ গুলো করে নেয়া, গুছিয়ে নেয়া , খোলামেলা একটা পরিবেশ পাওয়া এসব যাতে পায়, সাহস টা বাড়ে, প্রতিযোগিতা যেন পড়াশুনাতেও বাড়ে তাই স্কুল বদল করালাম। এতো এতো ছাত্র ছাত্রীর ভিড়ে ভালো মন্দের তফাৎ করতে শিখুক কার সাথে মিশবে কার সাথে বন্ধুত্ব করবে।

ভালো থাকবেন ভাইয়া

২৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি জীবনে ছয়টা স্কুলে পড়েছি। প্রতিবারই নতুন স্কুলে গিয়ে অস্বস্তি লাগতো। এবং প্রতিবারই কয়েকমাসের মধ্যেই স্কুলকে আপন করে নিতে পেরেছি। বাবুই এর মতো অবস্থা হয়েছিলো আমার দিনাজপুরের সেন্ট ফিলিপসে গিয়ে। অনেক বড় স্কুল যদিও, কিন্তু সৈয়দপুর ক্যান্টপাবলিকের মত সুন্দর পরিবেশ আর সমমনা সঙ্গী নেই, বড্ড বিশৃঙ্খলা আর অযত্নের ছাপ। সেই স্কুলে এক বছর ছিলাম। মানিয়ে নিতে পারি নি। তবে শেষদিকে একজনের সাথে বন্ধুত্ব হতে শুরু করেছিলো। দ্বিতীয় বছরে তা নিশ্চয়ই পূর্ণতা পেতো, এবং আরো বন্ধু হতো বাবুই তার সমমনা ছেলেদের খুঁজে নিক, যারা টিনটিন পড়ে, ক্রিকেট ভালোবাসে, আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এমন বন্ধু এক দুইজন থাকলেই স্কুলের যন্ত্রণা সহনীয় হয়ে ওঠে। সময় দরকার একটু। শুভকামনা বাবুইয়ের জন্যে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার বাবার সরকারী চাকরীর সুবাদে আমিও চারটা স্কুল বদল করেছি। স্কুল নিয়ে ভয় ভীতি ছিল না তবে আমার বন্ধু বান্ধবও ছিল না। সারা স্কুল লাইফে দুইটা ফ্রেন্ড ছিল দুই স্কুলে। কলেজ লাইফে একটা !!!

মূলত টিনটিনের কথা ভেবেই সে অপেক্ষা করছে কবে সেগুলো পড়তে পারবে। বলেছে লাইব্রীর কার্ড টা হয়ে গেলে সে ফ্রী টাইমে সেগুলো পড়ে ফেলবে ।

ধন্যবাদ শুভকামনার জন্য

২৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৭

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: নতুন স্কুলে অস্বস্তি লাগা স্বাভাবিক। কিন্তু উপদেশ কি দিব আমার নিজেরো স্কুল ভালো লাগতো না। স্কুল ভালো লাগা শুরু হয়েছিল ক্লাশ টেনে উঠার পর! :|| আমি ও কারো সাথে মিশতে পারতাম না এবং অনেকটা গুটিয়ে থাকতাম। বন্ধুরা এ ক্ষেত্রে খুব সাহায্য করতে পারে। বাবুই এর বন্ধুবান্ধব হয়ে গেলেই অস্বস্তি কাটিয়ে উঠবে আশা করি।
শুভকামনা। :)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি তো ক্লাস টেনে ওঠার পর নিয়মিত ফাঁকিবাজি করতাম। বেছে বেছে লাস্ট বেঞ্চ গুলোতে বসতাম যাতে বান্ধবীর সাথে গল্প করতে পারি। হাহহাআআ।

বাবুইও স্কুল উপভোগ করতে শিখুক এই কামনাই করি

২৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১২

খাটাস বলেছেন: শুধু স্কুল পরিবর্তন ছাড়া বাবুই এর সাথে আমার ছোট বেলার অনেক স্বভাব মিলে যায়।
আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বলি, প্রাইভেট থেকে সরকারী তে স্টুডেন্টদের মানসিকতার খোলা মেলার পার্থক্য টা খুব বেশি প্রভাব ফেলে। সম্ভবত প্রাইভেট স্কুলে কিছুটা সচ্ছল পরিবারের স্টুডেন্ট রা পড়ে, যারা চান্স না পাওয়া বা যে কারনেই হোক, সরকারীতে পড়ে না। শিশু মনে এই ব্যবহারের পার্থক্য টা অনেক প্রভাব ফেলে। সরকারী তে গেলে মনে হয় নিম্ন পৃথিবী। আর প্রাইভেট এ গেলে মনে হয় অনেক উচু পৃথিবী। একজন ছোট্ট শিশুর জন্য এই পরিবর্তন টা কে সহজে বুঝিয়ে বলা উচিত। সে মিশতে চায়, কিন্তু মনের অজান্তেই অন্য শিশুদের মানসিকতা কে তার পছন্দ হয় না। তাদের উচু মনে হলে নিজে থেকে কথা বলতে হীনমন্যতা আসে, নিচু মনে হলে আত্মগর্ব কাজ করে। আমার ধারণা বাবুই এর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ব্যাপারটা হয়েছে। সে মিশতে চেয়ে ও পারছে না, কারন তাদের ব্যাবহার ভাল লাগছে না। নিজে থেকে মিশতে যেয়ে যদি তারা খোঁচা দেয়, সেই অপমানের ভয় নিতে চায় না।
বাবুই কে বুঝাতে হবে সবাই বিভিন্ন পরিবার থেকে আসে। সবার মানসিকতা ভিন্ন হয় ভিন্ন পরিবেশ থেকে আশার কারনে। এই ব্যাপার গুলো বুঝতে পারলেই সে আত্মবিশ্বাসী হয়ে বন্ধু সৃষ্টিতে আর পিছপা হবে না।
বাবুই এর জন্য অনেক দোয়া ও শুভ কামনা।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: একেক জন একেক ধরণের পরিবারথেকে আসে এটা ওকে বোঝানো হচ্ছে। নিজ থেকে মিশতে চায় ও কিন্তু তাদের কাছ থেকে বাজে শব্দ , গালি খাওয়া খেলার জায়গা নিয়ে ঝগড়া হওয়া / ঝগড়া হবার ভয় ইত্যাদি কারণে ওর একটু খারাপ লাগে।

ভালো থেকো তুমি

২৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১

ডরোথী সুমী বলেছেন: আমার ছেলেরও যেহেতু একই অবস্থা তাই সমস্যাটা অনুভব করতে পারছি। ওদেরকে মনে হয় সময়ের সাথে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে আর ওদের সাহস দিয়ে যেতে হবে। আচ্ছা, টিচারদের একটু বলে দেখা যায়না ওরা যেন অযথা না মারে আর তুইতুকারি না করে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আসলে সম্বোধন নিয়ে টিচারদের বলার কিছু নাই। সময়ের হাতেই ছেড়ে দিতে হবে। আর তার পাশে আছি এটাই বোঝাতে হচ্ছে যে , ভয়ের কিছু নেই

২৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:১৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বাবুই পাখির প্রতি সমবেদনা জানিয়েই বলছি , ছোটবেলা থেকেই খুবই অন্তর্মুখী আমারও সরকারী স্কুলে মোটামুটি বন্ধুবিহীন কেটেছে। স্কুল ভালো লাগতো না, ক্লাসে শুরুর সময় থেকেই খালি থাকতো বাড়ি ফেরার চিন্তা। তাও ওরই স্কুলের মত বিশাল প্রাঙ্গন, সহপাঠীদের সাথে খেলা, লাইব্রেরী, খোলা উদার মাঠ, সবকিছু মিলিয়েই ঐ বোরিং লাইফটা এখন ভীষন ঈর্ষনীয় মনে হয়। আশা করি ধীরে ধীরে বাবুই পাখি তার নতুন নীড়ে মানিয়ে নেবে, ডানা মেলে উড়তে শিখবে। কে জানে পরে হয়ত কোন একদিন এই শিক্ষকের হাতে মার খাওয়ার ঘটনা ওকে কৌতুকবহ আনন্দ দেবে!

ওর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমিও চাই ও মানিয়ে নিতে শিখুক। তবে সমস্যায় পড়লে মা ছাড়াও যে নিজে নিজে সমাধান করা যায় পাশাপাশি এটাও ও শিখুক যেটা ওর জন্য বেশি জরুরী ।

ভালো থাকবেন তনিমা

২৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৫৫

হামিম কামাল বলেছেন: বাবুই’র জন্য ভালোবাসা।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কই থেকে যে মাঝে মাঝে ভেসে উঠিস তুই !!!

ভেবেছিলাম বইমেলায় তোর সাথে দেখা হবে, এখনো হলো না !!

৩০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

গোর্কি বলেছেন:
আমিও অনেকটা একই অবস্থার সন্মুখীন হয়েছিলাম। ক্লাস ওয়ান থেকে সিক্স অব্দি পাবলিক স্কুলে। তারপর সরকারি স্কুলে। সময়ের সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে। ছোট্ট বাবুই'র জন্য অনেক আদর ও শুভকামনা রইল।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমিও তাই ভাবছি, সময়ের সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে।

আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো ভাইয়া

৩১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:

বাবুই'র জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

সে কি এখন সহজ হতে পারছে ...?

অনেক দিন কথা হয়না আপনার সাথে !

নতুন একটা পোষ্ট দিয়েছি...।
(আমার প্রথম গল্প..)

আপনার সমালোচনা/সংশোধনী আশা করি ।

অনেক ভালো থাকুন ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নাহ, ও এখনো সহজ হতে পারে নি। তবে কয়েকজনের সাথে পরিচয় হয়েছে। মাঝে মাঝে তাদের সাথে খেলে মানে হাঁটাহাঁটি করে স্কুলের এ মাথা থেকে ও মাথা, এটাই নাকি ওর ভাষায় খেলা। মাঝে মাজেহ টিফিন শেয়ার করে। ওর ভাষায় -- ও দেয় , তাই আমিও দেই। এর মানে কি বন্ধুত্ব হলো নাকি ? হাহহাহা!

আমি নিজেই প্রচণ্ড ব্যস্ত, তাই ব্লগে সময় নিয়ে কারো লেখা পড়া হচ্ছে না ।

আপনিও ভালো থাকুন

৩২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৬

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: বাবুইয়ের সাথে নিজের মিল খুঁজে পেলাম ।স্কুল জীবনে বেস কয়েকবার স্কুল চেইঞ্জ করেছি । তাই এমন সমস্যা আমার খুব পরিচিত ।

নতুন স্কুলে যেয়ে ভয়ানক খারাপ লাগত, নিজেকে এতিমের মত মনে হয় যতক্ষণ কোন ফ্রেন্ড না হয় । আমি খুব চুপচাপ ধরণের ছিলাম , আর জীবনেও কথা বলতাম না , যতক্ষণ না কেউ সেধে কথা বলতে আসত ।

তারপরও অনেক ফ্রেন্ড হয়ে যেত , একটু সময় লাগত । বাবুইয়ের ও আশা করি অনেক ফ্রেন্ড হয়ে যাবে । ওর উচিত সবার সাথে একটু মিশে বোঝার চেষ্টা করা , যার সাথে অ্যাডজাস্ট হবে তার সাথে পড়াশোনা , হোম ওয়ার্ক শেয়ার করা , তাহলেই স্কুল ভাল লাগবে ।

অনেক শুভকামনা বাবুইয়ের জন্য ।

০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পারতপক্ষে স্কুল বারবার চেঞ্জের পক্ষপাতি না আমিও। কিন্তু ইংলিশ মিডিয়াম থেকে বাংলায় আনার কারণে ওকে স্কুল বদলাতে হয়েছে। কিন্তু দিন দিন বাংলা মিডিয়াম স্কুলের ( প্রাইভেট ) বেতন বাড়ছে বলেই স্কুল বদলালাম।

আজকে স্কুলে যাওয়ার সময় বলছিল - আমি আজ বাসায় গিয়ে একটা চিঠি লিখবো আমার পুরান স্কুলের উদ্দেশ্যে, আমার ডায়েরিতে। সে এখনো খুব মিস করে আগের স্কুল, বন্ধুদের( যদিও হাতে গুনে বন্ধু দুই তিনজন ছিল )। চোখ ছল ছল করে কথা বলছিল স্কুল টা পার হবার সময়।

আমিও আশা করছি তার নতুন স্কুল ভালো লেগে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.