নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী দিবস এবং প্রাসঙ্গিক ভাবনা

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

আমাদের মাকে আমরা বলতাম তুমি, বাবাকে আপনি।

আমাদের মা গরিব প্রজার মত দাঁড়াতো বাবার সামনে,

কথা বলতে গিয়ে কখনোই কথা শেষ ক’রে উঠতে পারতোনা।

আমাদের মাকে বাবার সামনে এমন তুচ্ছ দেখাতো যে

মাকে আপনি বলার কথা আমাদের কোনোদিন মনেই হয়নি।

আমাদের মা আমাদের থেকে বড় ছিলো, কিন্তু ছিলো আমাদের সমান।






… হুমায়ুন আজাদের লেখা “ আমাদের মা ” এটা আমার ভীষণ প্রিয় একটা কবিতা। মা তো শুধু মা নন, একজন নারীও। প্রাসঙ্গিক কারণেই এতো বড় কবিতাটা এখানে দেয়া সম্ভব হলো না কিন্তু কতটা গভীর এবং সূক্ষ্ম মানবিক বোধ থাকলে একজন মা’কে নিয়ে, একজন নারীকে নিয়ে এমন ভাবে ভাবা যায়, এমন ভাবে লেখা যায়! ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এ বিষয় নিয়ে সরাসরি না লিখে বরং কবিতা দিয়ে শুরু করলাম একজন নারীর অবস্থান নিয়ে। কতটা পরিবর্তন হয়েছে তার অবস্থানের; সেই আদি থেকে বর্তমান অবধি? জানি সেটা লিখে বা বলে ফুরোবার নয়।





১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে নিম্নতম মজুরি আর মানবেতর কর্মপরিবেশের বেড়াজাল থেকে নারীর উত্পাদনশীল কর্মক্ষমতাকে মুক্ত করতে এবং মজুরি বৈষম্যমুক্ত, নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও সুষ্ঠু কর্মপরিবেশের দাবিতে সেলাই কারখানার নারী শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করলেও ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নিজস্ব ইতিহাস এবং প্রথানুযায়ী ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে উদযাপনের ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশও এ দিবস উদযাপনে পিছিয়ে নেই।





আমার শুধু নিজেকে যাচাই করেই নয় সার্বিক ভাবে জানতে ইচ্ছে করে আমাদের দেশের নারীরা কতখানি ভালো আছেন, কতটা স্বস্তিতে আছেন? আমরা বাংলাদেশে শুধু নারী দিবসই নয়, বেগম রোকেয়া দিবস, শিশু কন্যাসন্তান দিবস ইত্যাদি অনেক দিবসই পালন করি। কিন্তু এসব দিবস পালনের প্রয়োজনীয়তা কেন এসেছে সেটা একটু ভাবলেই আমরা পেয়ে যাই। কোনো মানুষ তার প্রাপ্য সম্মান, অধিকার থেকে বঞ্চিত হলেই প্রতিবাদ করতে চায়, রুখে দাঁড়াতে চায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং সেখান থেকে কথা ওঠে ন্যায্য অধিকার এবং সম্মানের, প্রয়োজন দেখা দেয় আলাদা করে দিবস উদযাপনের।





আজকাল প্রায়ই লক্ষ্য করা যায় যে, অনেকেই নারী অধিকার নিয়ে, নারী পুরুষের পারস্পারিক সহাবস্থান নিয়ে লিখতে আগ্রহী হন, চান কথা বলতে। যারা লিখতে চান, তারা লিখে বোঝাতে চান তারা সহনশীল এবং সমস্যা সমাধানে আগ্রহী। কিন্তু আমি মনে করি আজকে নারীর অধিকার, দাবী, নারী নির্যাতন রোধ যা কিছু নিয়েই আমি লিখতে চাই বা বলতে চাই না কেন, হোক সে নারী গৃহিণী বা কর্মজীবি, সবার আগে দরকার উন্নত চেতনা। নারীর কাজ করা বা না করার সাথে এই চেতনা সম্পর্কযুক্ত নয়। কুসংস্কার, পুরাতন রীতিনীতি ও আচরণের পরিবর্তন দরকার, আরো দরকার মানবিক আবেগ ও মানবিকতার জয়। মানবতা হলো নিজের কথা চিন্তা করে অন্যের প্রতি উদার হবার ক্ষমতা। যে মানুষ অন্যের প্রতি উদার হতে পারে না, সে তার নিজের প্রতিও উদার না।





আমরা অনেক সময় ভুলে যাই বা মেনে নিতে পারি না আজ সামনের দিকে আগাতে চাইলে নারী-পুরুষকে একত্রে কাজ করতে হবে। তবে অনেকেই বলে থাকেন, নারী আর পুরুষ সমান হতে পারে না, কারণ নারী দুর্বল। ব্যাপারটা শুধু এই যুগে এসে কেন, অতীতের ক্ষেত্রেও একটা অগ্রহণযোগ্য যুক্তি হিসেব উপস্থাপিত হতে পারে। উর্দু সাহিত্যের লেখক সাদাত হোসেন মান্টোর “ লাইসেন্স” নামক গল্পে জনৈক নারীর স্বামী মারা যাবার পর তার ঘোড়ার গাড়ির লাইসেন্স কেড়ে নেয়া হয়। জীবিকার উপায় হিসেবে তাকে বলা হয় বাজারে বসতে। সভ্যতার মুখোশ পরা এই আমরাই যে বেশ্যাবৃত্তিকে সমর্থন করে ফেলি অজান্তেই এই বোধ কি আমাদের আছে?





একজন মেয়ে যখন বড় হতে শুরু করে, শিক্ষাজীবনে পদার্পন করে, সে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে পরবর্তী অধ্যায় কীভাবে শুরু করবে, তার লক্ষ্য ঠিক করে নেয়। আমি মনে করি এখানে তার চিন্তাচেতনায় শিক্ষার ভূমিকাই মুখ্য হওয়া উচিত। কিন্তু অনেক বাবা-মা’ই তাদের সে সন্তানটিকে চিন্তা করেন ভালো ছেলে দেখে বিয়ে দিয়ে দিবেন। এটা যে শুধু গ্রাম পর্যায়ের চিন্তা তা নয়, শহুরে তথাকথিত আধুনিক সমাজেও এ মনোভাব বিদ্যমান। কিন্তু ভালো ছেলে বলতে আমরা কি বুঝি, ভালো ছেলে বা ভালো পুরুষ বা ভালো স্বামীর সংজ্ঞা কি ? দেখতে ভালো, ভালো আয় এবং বাড়ি গাড়ি থাকলেই অনেক বাবা-মা তাকে ভালো ছেলে, ভালো পাত্র হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন। কিন্তু একবারও ভাবেন না যেখানে মেয়েটাকে তারা সংসার করতে পাঠিয়েছেন সেখানে তাদের মেয়েটি, তার সন্তানটি কেমন আছেন কিংবা ভাবলেও ‘ মেয়ে মানুষের বিয়ে কয়বার হয়। এক স্বামীর সংসারই করুক যত সেখানে কষ্টে থাকুক। ’ যেখানে পরিবারেই একজন নারীর সময়ে অসময়ে অবমূল্যায়ন হচ্ছে, সে হিসেবে আমি মনে করি পরিবার থেকেই প্রথমে নারীর অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে এবং অবশ্যই সবার আগে মা’কে শিক্ষিত হতে হবে। অন্তত ন্যূনতম শিক্ষাটা তার থাকা দরকার। তবে নারীর প্রতি নির্যাতন শুধু শারীরিকই নয়, মানসিকও। এই মানসিক নির্যাতন নিজের পরিবার এবং শ্বশুর বাড়ি থেকেও একজন নারীকে মুখোমুখি হতে হয় মাঝে মাঝে।





এখানে আমি আরও কিছু কথা বলতে চাই। নারী কি শুধু পুরুষ দ্বারাই অধিকার বঞ্চিত বা নির্যাতিত হয়? নারী নিজেই কি মাঝে মাঝে আরেক নারীর সাফল্যের পেছনে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করছে না? আমি নিজে নারী হয়ে সফলতা পাইনি বলে আরেক নারীর সফলতা দেখে কেন আমি ঈর্ষাপরায়ণ হবো? কেন আমার মাঝে এই চিন্তা কাজ করবে না যে আমিও সফল হবো, আমিও স্বপ্ন দেখবো এবং সেটা বাস্তবায়নও করবো? তাই আমাদের নারীদেরও দৃষ্টি ভঙ্গীর পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি। হয়তো বাস্তবতার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের প্রতিটা মেয়ে কর্মক্ষেত্রে জড়াতে পারে না বা সুযোগ হয়ে ওঠে না। দৃষ্টিভঙ্গি, পারিবারিক কাঠামো ইত্যাদি নানা কারণই এর পেছনে কাজ করতে পারে।আবার দেখা যায় অনেক শিক্ষিত নারীও আছেন যারা গৃহিণী হয়েই থাকতে পছন্দ করেন, ঘর দেখাশুনা এবং সন্তানের লালন পালন করেন। আমি বলছি না এটা খারাপ কিন্তু ঘরে থাকবে বলেই কেন তাদের চিন্তাভাবনা টিভি সিরিয়াল, শাড়ি গয়নায় আবদ্ধ হয়ে যাবে! চিন্তার সংকীর্ণতা থেকে বের হতে হবে, নিজের সচেতনতা বাড়াতে হবে যাতে নিজের করণীয় কাজ গুলো বুঝে নিতে পারে, দৃষ্টির প্রসারতা বাড়াতে হবে।





নারী জীবনে কতখানি সফল সেটা নিরূপণের মাপকাঠি সময়ই বলে দিবে, বলে দিবে তার কর্ম। যে নারী আজ সংগ্রামী, পরিবারের অন্য উপার্জনক্ষম সদস্য থাকতেও যাকে তার কাঁধে তুলে নিতে হয়েছে পরিবারের দায়িত্ব, তাকেই জীবিকার প্রয়োজনে অনেকের সাথে চলতে হয়, অফিস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সামলাতে হয় বা নিজের কাজের জায়গাটিকে নিজের সুবিধা মতোই চলতে দিতে হয়। এ চিত্র আধুনিক শিক্ষিত সমাজে যেমন আছে, তেমনি আছে খেটে খাওয়া তৃণমূল নারীর সমাজেও। সারাদিন কাজ শেষে তাকে যখন সন্ধ্যায় বা একটু রাত করে বাড়ি ফিরতে হয় তখন আশেপাশের আমরাই হয়তো তার নামে কানাঘুষা করি। কিন্তু একবারও কি আমরা তার বেদনার তীব্রতা অনুভব করি, তার শ্রমের ঠিক ভাবে মূল্যায়ন করছি?





আসলে একজন নারীকে সবার আগে নিজের অধিকারবোধ বুঝে নিতে হলেও শিক্ষিত হতে হবে। সাথে সাথে শিক্ষিত হতে হবে পুরুষকেও। সন্তানদের মাঝে ভেদাভেদের বীজ রোপণ পরিবার থেকেই বন্ধ করতে হবে। তাদের অনুভব দিতে হবে যে সে একজন ছেলে/ মেয়ে শিশু না। সে একজন মানুষ। ইউনিসেফের সহায়তায় নির্মিত শিক্ষামূলক “মিনা”কার্টুনে যে মেসেজটি জনসাধারণের মাঝে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিলো সেটা বোঝার মানসিকতা আমাদের পুরোপুরি থাকাটা জরুরী মনে করছি।





আমার নিজের জীবনের একটা উদারহণ দেই আমার মা’কে নিয়ে। আমিও মা দিবস, নারী দিবস এলে আমার মা’কে ছোটখাটো কিছু উপহার দিয়ে থাকি। তখন মা খুব অবাক হয়ে উপহারের উপলক্ষ জানতে চান এবং উপলক্ষটা শুনে মাঝে মাঝে বলেন – “তোদের যে এখন কতো কতো দিবস পালন করতে হয়, এই দিবস উদযাপন করে আমরা সবাই কি ভালো থাকতে পারছি কিংবা কী দরকার ছিলো আবার এই উপহার দেবার!” এই কথার পেছনে হয়তো আমার মায়ের মতো অন্যান্য নারীরও অনেক দীর্ঘশ্বাস লুকোনো ছিলো বলে মনে করি।





প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কল্যাণে অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও অনেক আয়োজন করে নারী দিবস পালিত হবে। কিন্তু নারী দিবস পালনের পেছনে যে সত্যিকারের আন্তরিক অনুভূতি তা যেন শুধু মুখের বুলিতেই সীমাবদ্ধ না থাকে, তা যেন সত্যিই কার্যকর হয় এ চাওয়া অন্যান্য সচেতন মানুষের মতো আমারও চাওয়া। গত বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ছিল— Time for action to end violence against women অর্থাৎ ‘নারীর প্রতি সব ধরণের সহিংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের এখনই সময়।’ উন্নয়নমূলক সব ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ এবং অনুপ্রেরণা প্রদানে এ বছর নারী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে— ‘Inspiring change’ অর্থাৎ ‘পরিবর্তনকে অনুপ্রাণিত করা’। এ পরিবর্তন আমাদের চেতনায়ও ধারণ করতে হবে, বাস্তবায়নের ইচ্ছেও থাকতে হবে।





একজন নারীকে মা, বোন, স্ত্রী এই পরিচয়ের বাইরেও আমাদের আসলে ভাবতে শেখা উচিত সেও একজন মানুষ। তারও আছে নিজের মতো করে বাঁচার অধিকার। নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের অধিকার। কেননা নারী ঘরে বা বাইরে যা করছে তার পরিবারের জন্য তা কোনো অংশেই একজন পুরুষের চেয়ে কম নয়। বরং আমরাই নারীকে দুর্বল করে রেখেছি। আমরাই আনতে পারি সে সমাজ যেখানে আমরা নারী-পুরুষ সকলে সকলকে মানুষ বলে ভাবতে শিখবো, আনন্দ বেদনায় থাকতে পারবো একে অন্যের পাশে।



শুধু নারী দিবস বলেই একটি নির্দিষ্ট দিনে আমরা নারীদের নিয়ে ভাববো, তাকে সম্মান দিবো তা নয়। আসুন আমরা নারীকে তার যথাযথ সম্মান দেই, তাকে দেই তার সদিচ্ছা পূরণের অধিকার, তাকে ভাবতে শিখি স্বতন্ত্র একজন মানুষ হিসেবে ।





মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০

ডানাভাঙ্গা চিল বলেছেন: নারী দিবসের শুভেচ্ছা।

১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

নারী দিবসের শুভেচ্ছা।

১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। নারীদের যথাযথ মূল্যায়ন হওয়া আবশ্যক। নারী পুরুষ ভেদাভেদ করা উচিৎ নয়। আপনাকে নারীদিবসের শুভেচ্ছা আর চমৎকার করে দারুণ একটা বিষয় তুলে ধরার জন্য অভিনন্দন আর শুভকামনা ।

১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:২৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই

৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: নারী সম্মানিত হোক সকল ক্ষেত্রে। নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রয়াসে চিরতরে বন্ধ হোক যত্রতত্র নারীকে সেক্সুয়াল অবজেক্ট হিসেবে উপস্থাপন। এমন একদিন আসুক যেদিন নারীর জন্য আলাদা কোন দিবসের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে।

নারী দিবসের আগাম শুভেচ্ছা

১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পরিবারের সুশিক্ষা প্রতিটা মানুষের জীবনে চলার পাথেয়।

ভালো থেকো

৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৮

মামুন রশিদ বলেছেন: বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।


নারী দিবসের শুভেচ্ছা!

১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই

৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০৬

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
লিঙ্গান্তর ভাবনাটা আসলেই অশ্রদ্ধাও চলে আসে।
ভাবতে হবে মানুষ। ভাবতে হবে মা। যে মামা অভিভাবকত্বে বাবাও।

১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সুন্দর বহিঃপ্রকাশ করেছো দূর্জয়।

ভালো থেকো

৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
নারী নির্যাতন প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক সরকারি জরিপটি বোধ হয় চোখে পড়েছে। বিষয়টি মোটেই আমাকে স্তম্ভিত করে নি। জরিপের ফলের চেয়েও আর বেশি নির্যাতন হয়। তবে সরকারি জরিপ এমন সময়ে শুরু হয়েছে, যখন নারী নির্যাতন অন্য সময়ের চেয়ে নিম্নমুখী।

নারী পুরুষ উভয়ের শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়টি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক বলে মনে হয়। এবিষয়ে আপনিও আলোকপাত করেছেন।


লাইসেন্স নামক গল্পের কাহিনিটি দুঃখজনক।
নারীকে মা, বোন ছাড়াও প্রোজ্জ্বল আর্থসামাজিক ভূমিকায় দেখার সময় এসেছে।
এখনই সেই সময়!


শুভেচ্ছা অপর্না মম্ময়! অনেক দিন পর ফিরলেন :)

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক দেরি হলো ভাইয়া উত্তর দিতে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা

৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৭

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: পোস্টের পয়েন্ট সমূহের সাথে সহমত ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ সিফাত

৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

সুমন কর বলেছেন: কজন নারীকে মা, বোন, স্ত্রী এই পরিচয়ের বাইরেও আমাদের আসলে ভাবতে শেখা উচিত সেও একজন মানুষ। তারও আছে নিজের মতো করে বাঁচার অধিকার। নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের অধিকার। কেননা নারী ঘরে বা বাইরে যা করছে তার পরিবারের জন্য তা কোনো অংশেই একজন পুরুষের চেয়ে কম নয়।

নারী দিবসের আগাম শুভেচ্ছা রইলো।

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। কথা গুলো লেখার জন্য লেখা নয় , আমাদের সবার ভেতরে ধারণ করা উচিত এর অনুভব ।
ভালো থাকবেন

১০| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

সায়েম মুন বলেছেন: সুন্দর ভাবনার বহি:প্রকাশ। কবিতাটা খুব প্রিয়। :)

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কবিতাটা আমারও খুব প্রিয়।

১১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৯

টানিম বলেছেন: হুম । গভীর

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ

১২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব ভালো বলেছেন আপু। বিশেষ করে নারীর দ্বারা নারীর অধিকার বঞ্চিত হবার বিষয়টি আমরা অনেকেই এড়িয়ে যাই। যাইহোক, আপনি এবং সকল নারীদের প্রতি রইল এই দিবসটি উপলক্ষে অনেক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা। তবে আমি চাই নারীরা নিজেদেরকে নারী হিসেবে উপলব্ধি না করে বরং মানুষ হিসেবেই উপলব্ধি করুক। নিজেদের প্রজ্ঞা, মেধায় আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হয়ে তারা জয় করুক সকল বাধা। তখন হয়ত কোন বিশেষ দিবসে নারীদের কথা আলাদা করে আমাদের ভাবতে হবে না।

পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তোমার জন্যও রইলো বিশেষ পুরস্কার। জানো তো কি সেটা ? হাহহাহা

১৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৫৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: নারী - পুরুষ সবাই মানুষ !
সবাই এই দেশের নাগরিক !

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাইজান

১৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: সন্তানদের মাঝে ভেদাভেদের বীজ রোপণ পরিবার থেকেই বন্ধ করতে হবে। তাদের অনুভব দিতে হবে যে সে একজন ছেলে/ মেয়ে শিশু না।- এইটা খুব শক্ত পয়েন্ট। নারী বা পুরুষ নয়, আমরা সবাইব সমানভাবে শুধুই মানুষ, এই বোধটা তৈরী হওয়ার জন্য পরিবারের শিক্ষাটাই মৌলিক, শুরু হতে হবে এখান থেকেই!

শুভকামনা!

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার জন্যও শুভকামনা কবি সাহেব

১৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:২৬

সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: প্রবন্ধ আমার কাছে মাঝে মাঝে বিরক্তিকর, একঘেয়ে, মাঝে মাঝে ন্যাকামি। হয়তো তোমার লেখা বলেই মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। সময়টা নষ্ট হয়নি। কোথায় গেলে?

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তোমাদের মাঝেই তো আছি

১৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩

খাটাস বলেছেন: সন্তানদের মাঝে ভেদাভেদের বীজ রোপণ পরিবার থেকেই বন্ধ করতে অসাধারণ লেখনি অ চিন্তার বহিঃ প্রকাশ। প্রায় সব পয়েন্ট এই সহমত।
সচেতনতার চর্চা হোক প্রতিদিনের অভ্যাস।
শুভ কামনা।

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শুভ কামনা তোমার জন্যও ভাইয়া

১৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

ইখতামিন বলেছেন:
অনেক সুন্দর লিখেছেন

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ইখতামিন

১৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লিঙ্গভেদে না ভেবে আমাদের প্রজন্ম মানুষ দেখুক, প্রকৃত শিক্ষায় প্রত্যেক নারী আত্মপলব্ধি এবং উন্নত চেতনায় বলীয়ান হয়ে এগিয়ে চলুক- এই কামনা রইল।

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সুচিন্তিত মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা

১৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৪০

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: সব নারীর নাম "আ" দিয়ে শেষ হয়।ডাকনাম যদি "আ"-দিয়ে শেষ না হয় তবে পুরো নাম ঘাটলেই এমন কোন নাম বেড়িয়ে পড়বে যা "আ" দিয়ে শেষ হয়।এর ব্যতিক্রম খুবই কম।

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার বক্তব্য পরিষ্কার না।

২০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:৩৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: শুধু নারী দিবস বলেই একটি নির্দিষ্ট দিনে আমরা নারীদের নিয়ে ভাববো, তাকে সম্মান দিবো তা নয়। আসুন আমরা নারীকে তার যথাযথ সম্মান দেই, তাকে দেই তার সদিচ্ছা পূরণের অধিকার, তাকে ভাবতে শিখি স্বতন্ত্র একজন মানুষ হিসেবে ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা

২১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:০৮

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: সুন্দর লেখা। নারী হোক আর পুরুষই হোক - সবাই আমরা মানুষ। এটাই হোক আমাদের ব্রত।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ সীমানা ছাড়িয়ে।

২২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০০

অদৃশ্য বলেছেন:





আমাদের দৃষ্টি ও ভাবনা সুন্দর হোক... তাহলেই যথাযথ সম্মান আমরা সবাইকে দিতে পারবো... অন্যথায় সম্ভব না...


আমার মা এই পৃথিবীতে আমার কাছে শ্রেষ্ঠ...


শুভকামনা...

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্যও রইলো শুভকামনা।

২৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩০

এহসান সাবির বলেছেন: শুভ হোক নববর্ষ ১৪২১।

সুন্দর পোস্ট।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া

২৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
ভালো ছেলে বলতে আমরা কি বুঝি, ভালো ছেলে বা ভালো পুরুষ বা ভালো স্বামীর সংজ্ঞা কি ? দেখতে ভালো, ভালো আয় এবং বাড়ি গাড়ি থাকলেই অনেক বাবা-মা তাকে ভালো ছেলে, ভালো পাত্র হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন।

আমরাই আনতে পারি সে সমাজ যেখানে আমরা নারী-পুরুষ সকলে সকলকে মানুষ বলে ভাবতে শিখবো, আনন্দ বেদনায় থাকতে পারবো একে অন্যের পাশে।

সহমত আর অনেক ভালোলাগা !

আপনাকে ইদানিং পাওয়া যাচ্ছে না আপু,
ব্যাস্ত খুব ? ভালো থাকুন সব সময় ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হুম ব্যস্ততা এতো বেড়েছে লেখালেখি দূরের কথা ব্লগে লগিন বা সহব্লগারদের লেখা পড়বো সে সময়টুকু হচ্ছে না।

ভালো থাকবেন আপনি। আবার কথা হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.