নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

নুহা-২২

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

নুহা -২১



( প্রচণ্ড ব্যস্ততার কারণে আমার সাহিত্য চর্চা, ব্লগিং সব প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কিছুদিন। আমি নিজে যেহেতু সহব্লগারদের লেখার প্রতি সময় দেই না, আমার লেখা পড়ার জন্য তাই সময় প্রত্যাশা করাও বোকামি। অনেকদিন নুহা সিরিজ বন্ধ ছিল, তাই আবার লিখলাম। ব্লগার নওরীন ইশাকে ধন্যবাদ, নুহা পড়ার জন্য প্রায়ই এসে আমার ব্লগ ঘুরে যাবার জন্য এবং নুহা পড়তে চাওয়ার জন্য। )



মাথার মাঝে আঙুরবালা দাসীর গান নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম একটা সময়ে। ঘুম ভাঙার পর পরই আমি বিছানা ছেড়ে উঠি না। একটু সময় নেই। চোখ খুলে দেখি পুরো ঘর জুড়ে অন্ধকার।চোখটা অন্ধকার সয়ে এলে পর বিছানায় উঠে বসি।উপুড় হয়ে শোবার কারণেই বোধ হয় বুকের কাছটায় কেমন ব্যথা ব্যথা করছে। বাইরে সন্ধ্যা হয়ে গেছে, ঘড়ির কাঁটা সাড়ে সাতটার ঘর পেরিয়েছে ইতিমধ্যে। শীতের দিন এগিয়ে আসছে দ্রুতই।আচ্ছা এই যে আমার রোজ রোজ এক রুটিন অসময়ে ঘুমিয়ে পড়া এটা কী বাদ দেয়া উচিত না ? এতে শরীর আর মন কিছুই তো ভালো লাগে না, ভালো থাকেও না। রোজই ভাবি এই বাজে অভ্যাসটা বাদ দিবো কিন্তু একটা না একটা অঘটন ঘটবেই, পরে সেই যেই কী সেই , আমি আমার বদভ্যাসের চরকিতেই ঘুরপাক খেতে থাকি। নাহ এভাবে নিজেকে বেহাল অবস্থার কাছে ছেড়ে দিলে হবে না, মনস্থির করি আমি। যদিও ভেবেছিলাম আজ রান্না করবো না কিন্তু সিদ্ধান্ত বদলাই। নিজের জন্য হলেও খেতে হবে। ফ্রিজ থেকে একটা মুরগী নামাই বরফ গলাবার জন্য। সেই সাথে চুলায় ভাত আর ডাল বসাই। টম্যাটোর চাটনি করবো বলে রসুন, পেঁয়াজ আর কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা কুঁচি কুঁচি করে কাটি , মুরগীটা গরম পানিতে ভিজালে ভালো হবে মনে হয়, বরফটা তাড়াতাড়ি কাটবে তাহলে। মনে নানা ধরণের অলস চিন্তারা উঁকিঝুঁকি দিয়ে যায় নিয়ম করে কিন্তু আজ ঠিক করেছি কোনও কিছুই পাত্তা দিবো না। মন শক্ত করতে হবে আগামী দিনের সিদ্ধান্তের জন্য। ভাত,ডাল হয়ে আসলে আমি মুরগী আর চাটনিটাও বসিয়ে দেই চুলায়। ফ্ল্যাটের মেইন গেট খোলার আওয়াজ পেলাম মনে হয়।রেজা এসেছে মনে হতেই চেহারাটা আমার শক্ত হয়ে যায়।রান্না ঘরের দরজাটা খুলে রেজা একবার উঁকি দেয়।



কী ব্যাপার তোমার মোবাইল বন্ধ কেন ? ফোন দিলাম কয়েকবার, রিং হলো, ধরলা না যে? দাঁড়াও জামাকাপড় বদলাইয়া আসতাছি, কথা আছে তোমার সাথে।

আবার ওর কোন বানানো কথা শুনবো কে জানে। আমি রান্নায় মনোযোগ দেই। দরকার নেই তাও চামচ দিয়ে তরকারি নাড়াচাড়া করি, লবণ চেখে দেখি। পরনের এপ্রনটা ধোয়া দরকার, অনেকদিন হয়েছে পরিষ্কার করা হয় না। রেজা জামাকাপড় ছেড়ে রান্নাঘরে এসে চেয়ারে বসে। পরনে লুঙ্গি, বার বার বলেছি লুঙ্গি না পরতে তবুও সুযোগ পেলেই ট্রাউজার ফেলে লুঙ্গিই পরে। কিন্তু আজ দেখেও না দেখার মতো করে থাকি। রেজা আমার মনোযোগ আকর্ষণের জন্য গলা খাঁকারি দেয়, বলে এক কাপ চা দাও দেখি।



- চুলা ব্যস্ত , এখন পারবো না।

- তাহলে এক কাপ দুধ ওভেনে রাখো, গরম হলে কফি মিশিয়ে খাবো। মাথাটা ধরেছে।



রেজা ওর লোকাল ভাষা রেখে শুদ্ধ ভাবে কথা বলছে, ব্যাপারটা চমকপ্রদ। ওর আইছি, খাইছি, গেছিতেই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওর কথা শুনেও আমি না শোনার ভান করি। দেখা যাক ওর ধৈর্য কেমন।



- কী হইলো বললা না মোবাইল বন্ধ করে রাখছ কেন ? এর মাঝেই ও নিজেই ওভেনে দুধ গরম করতে দেয়। আমাকেও জিজ্ঞেস করে, খাবে নাকি তুমিও এক কাপ ? কী ব্যাপার কথা বলছো না কেন ?



আমি রেজার হাবে-ভাবে বেশ অবাক হই, চমৎকার তো ! মানুষ এরকম নির্লজ্জ হয়, আবার চার্জ করে বাসায় এসে যে ফোন কেন বন্ধ? আমার তো ইচ্ছে করছে ওর গালে সজোরে একটা চড় লাগাই। লাগিয়ে দাও না একটা চড়, মজাই হবে। চুপ করো নুহা। জোরেই ধমকে উঠি - চুপপপপ ! রেজা অবাক হয়ে তাকায়। বলে - আচ্ছা আমি স্যরি। কাল তোমার সাথে ওভাবে কথা বলা উচিত হয়নি। ওর কথা শুনে আমিও অবাক হয়ে তাকাই ওর দিকে। বলে কী ! কতটা চালাক মানুষ হলে এ কথা বলতে পারে যে গতকাল ও খারাপ ভাবে কথা বলার জন্য আমি ওর সাথে রাগ করেছি। এটুকু যত্ন নিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছে যে লিয়ানার সাথে একটা ইন্টিম্যাসি করে ও কাল বাসায় ফিরেছে, আমার কাছে ধরাও খেয়েছে ! আর এখন এমন ভাব করছে যে কিছুই হয়নি, পাস্ট ইজ পাস্ট !



কি ব্যাপার তোমার চোখ এমন লাল কেন? কি হইছে? জ্বর নাকি ? দেখি দেখি বলে ও আমার কাছে এসে কপালে হাত রাখে। ধ্যাত - বলে আমি হাতটা সরিয়েও দেই।



হায় হায় তোমার দেখি অনেক জ্বর। এতো জ্বর নিয়া আসছ রান্না করতে ! সরো দেখি, বাকীটা আমি দেখতাছি।

আমার রান্না প্রায় শেষ আর ও আসছে বাকীটা দেখতে। বদমায়েশ লোক একটা। তোমার জ্বর আসলো কেমনে নুহা ?



ওর দিকে তাকিয়ে খুব ঠাণ্ডা গলায় বললাম, আমি তোমার সাথে কথা বলতে আপাতত আগ্রহী না। প্লিজ ইনসিস্ট করবে না আমাকে। আমাকে শেষ পর্যন্ত ওর সাথে কথা বলাতে পেরে ওকে যথেষ্ট প্রসন্ন মনে হলো। কফির শেষ চুমুকটা শব্দ করে দিয়ে টেবিলে রেখে বললো,



- তাইলে পরে হইলেও কথা বলবা, এইটাই তো বুঝাইলা ? ব্যাপার না। আইচ্ছা একটা জরুরী কথা আছিলো। রাত দশটার দিকে বাসায় একজন মেহমান আসবো। আমি ওর দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালে ও জানালো –



- ঐ যে আমাদের কোণার দিকে যে রুমটা, ওইটা তো খালিই পইড়া থাকে। ভাবতাছি ওইটা ভাড়া দিয়া দিবো সাবলেট। এক মহিলার সাথে কথা বলছি, ঐ মহিলা আর তার চৌদ্দ বছরের মেয়ে মারিয়া থাকবে, নির্ঝঞ্ঝাট ফ্যামিলি। যেহেতু এক সাথেই থাকবো, তুমিও কথা বইলা দেখো কেমন ভাড়াটিয়া। হাহাহহাহা



রসিকতা করার মতো অবস্থায় আমি আসলে ছিলাম না। ভাড়া দিবে যেখানে ও বলেই ফেলেছে, কনফার্মও করেছে সেখানে ঐ মহিলাকে আমি দেখলেই বা কী আর না দেখলেই বা কী ! আর আমার সাথে কথা বলে নেয়ার প্রয়োজনও এই লোকটা মনে করলো না ! যদিও ওর এই ধরণের আচরণে আমার অভিমান করার কিছু নেই কিন্তু একই সাথে প্রথমে অভিমান এবং পরে রাগে আমি ফুঁসে উঠলাম। বলা যায় অন্য অনেক বাঙালি বাসার চেয়ে এই কয় বছর আমি আরামেই ছিলাম। ছিমছাম ঝামেলাহীন ভাবে। অন্যব্য বেশ কিছু বাসায় দেখেছি এবং শুনেছিও, ইতালিতে বাসা ভাড়াটা তুলনামূলক বেশিই এবং সে কারণে তিন রুমের একটা ফ্ল্যাট কেউ ভাড়া নিলে সেখানে প্রতি রুমে কমপক্ষে চার/ পাঁচ জন করে থাকে সিঙ্গেল খাট বিছিয়ে কিংবা ফ্লোরিং করে, কেউ কেউ আবার অতিরিক্ত লোক ভাড়া দেয় তখন দুই তলা খাটের ব্যবস্থাও থাকে। রেজার কলিগ হান্নান ভাইদের বাসাতেই তো দেখেছি, তিন রুমের বাসার দু রুমই ভাড়া দেয়া এবং দুই রুমে মোট ষোল জন থাকে। কী যে মানবেতর জীবন। তাদের বাসা ভর্তি ছোট ছোট তেলাপোকা , ছারপোকা ! রান্নাঘরে তরকারির পাতিলের উপর দিয়েও হাঁটতে দেখেছি। সে হিসাবে আমি সাবলেট দেয়া নিয়ে রাগ দেখালে সেটা অযৌক্তিক হয়ে গেলেও মাথায় প্রশ্ন ঘুরতে থাকে এতো দিন পর রেজা কেন বাসায় বাইরের লোক ওঠাচ্ছে, আগে তো প্রয়োজন পড়েনি। সে উত্তর জানার জন্য আমার বেশি সময় অপেক্ষা করতে হলো না অবশ্য। রেজাই বলতে লাগলো –



- তোমার না বাসায় একা একা সময় কাটাতে খারাপ লাগে, ভাবলাম একটা ভাড়াটিয়া হলে তোমার সময়টা সুন্দর কাটবে। কী ভালো বুদ্ধি না !



- বাহ্ ভালোই যুক্তি দাঁড় করিয়েছ। আমার সময় কাটাবার জন্য ভাড়াটিয়া এনে হাজির করেছ তাও আমাকে না জিজ্ঞেস করে। আর আমি যে জব করতে চাইলাম সেটা কী এর চেয়ে সম্মানের ছিলো না? বাইরের মানুষের কারণে ঘরের প্রাইভেসি নষ্ট হবে না ?



- এতো জব জব কইরা পাগল হইলা ক্যান ? আর মানুষের বৌ'রা কি ঘরে থাকে না ?



- তুমি আমার সাথে কথার প্যাঁচ খেলবে না রেজা। আমি আর মানুষদের বৌয়ের খবর জানি না, নিজের খবর জানি। আর তুমি অন্য মানুষদের বৌয়ের কথা তুললে আমিও অন্য মানুষদের স্বামীদের কথা বলবো, তাড়া ঘরে বৌ রেখে বাইরে কলিগদের সাথে ফুর্তি করে না। আমি জব করবো, প্রয়োজনে না পাওয়া পর্যন্ত খুঁজতেই থাকবো, তুমি আমার জন্য ট্রাই করো না করো।



আমার এমন সত্য ভাষণে রেজা বিন্দুমাত্র বিচলিত হয় না। বরং শ্লেষ নিয়ে প্রশ্ন করে, এইটাই তোমার শেষ কথা ? তুমি কিন্তু আমার উপরে হুদাই দোষ চাপাইতাছো লিয়ানারে নিয়া। আসল ব্যাপারটা কিন্তু এরকম না। ওর কথা শুনে আমিও বিদ্রুপের ভঙ্গীতে হেসে উঠি, বলি -

- ও তাই নাকি ? আসল ব্যাপারটা কেমন শুনি, আমি তো সেটাই জানতে চাচ্ছি।



রেজা উত্তর দেবার আগেই ইন্টারকম বেজে ওঠে। রেজা কথা শেষ করে এসে জানায় এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে করতে রান্না ঘরে, ফ্ল্যাটে ঢোকার প্যাসেজে। রান্নার গন্ধ ছড়িয়ে আছে, একটু কম লাগবে গন্ধটা তাহলে। হাহ্ ভাড়াটিয়ার জন্য না নিজেদেরই খাওয়াদাওয়া, রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে যায় ! বলি আমি। ওকে চড় লাগাবার ইচ্ছে এখনো আমার ভেতরে ঘোরাঘুরি করছে। আমি এয়ার ফ্রেশনার দিয়ে যথাসম্ভব মশলার ঘ্রাণ ঢাকতে চেষ্টা করি। স্টাডি রুমের দরজাটা খুলে দেই, সাথে সাথে রান্না ঘরের বারান্দার দরজাটাও খুলে দেই। একটু পর রেজা এসে আমাকে ডেকে নিয়ে যায় সে মহিলার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে।

এমনিতেও মানুষের বয়স আন্দাজের ক্ষেত্রে আমি অতটা পারদর্শী না তবুও মহিলা পরিচয় দেয় –



- হ্যালো নুহা। কেমন আছো ? আমি আইরিন, ফিফটি টু ইয়ারস ওল্ড ফ্রম রাশিয়া



মহিলার কথা শুনে ভালো লাগলো আমার, ইতালিয়ান না বলে ইংরেজি বলেছে এবং বেশ স্মার্ট এই মহিলা। নামটাও সুন্দর। মহিলার মেয়ে কোথায় জিজ্ঞেস করাতে জানালো –



- আমার বান্ধবীর বাসায় রেখে এসেছি। কী আমাকে পছন্দ হয় ? পছন্দ না হবারই কথা, তোমার মতো তো আমি এতো ইয়াং না । হাহহাহাহা , আমার মেয়েকে তোমার ভালো লাগবে। ওর নাম মারিয়া। তোমার কোনও প্রশ্ন থাকলে করতে পারো, আই ডোন্ট মাইন্ড।



- থ্যাংকস আইরিন। তোমার কাছে তোমার কোনও ফ্রেন্ড জাতীয় কেউ আসবে কী মাঝে সাঝে ?



- আমার মতো বৃদ্ধ মহিলার কী ফ্রেন্ড আছে বলে তোমার মনে হয় ? হাহাহহা । না কোনও ছেলে বন্ধু আসবে না কখনো, ঘরে আমার মেয়ে আছে, বোঝো না ! বলে মহিলা চোখ টিপে আমার দিকে তাকিয়ে। তবে এলিজাবেথ বলে আমার এক ফ্রেন্ড আছে, ও মাঝে মাঝে আসতে পারে। আর তুমি ওকে চেনো তো , ঐ যে হামাদীর গ্যারাজে ও মাঝে মাঝে আসে ! কথাটা শুনেই আমার বিরক্তিতে কপাল সামান্য কুঁচকে গেলে আইরিন সেটা খেয়াল করে জানায় -



- ও খুব ঘন ঘন আসবে না এ বাসায়, নিশ্চিন্ত থাকো। আর আমার কিন্তু ফ্রিজ নেই, আমি তোমার ফ্রিজ ইউস করবো রেজাকে আগেই বলেছি। রেজাও সাথে সাথে বলে –



- কোনও সমস্যা নেই আইরিন, অবশ্যই ইউস করবে। আমার রাগে গা জ্বলতে থাকে রেজার মাতবরির কারণে। তাই আমি বললাম - আইরিন, তুমি শূকরের মাংসও খাও না তো ? আর যদি খাও ও , দয়া করে সেসব বাসায় রান্না করা চলবে না, আমার ফ্রিজেও রাখতে পারবে না। আর খাওয়া দাওয়া নিয়ে এই রেস্ট্রিকশন তোমার পছন্দ না তুমি অন্য বাসা দেখতে পারো।



- দুশ্চিন্তা করো না নুহা, আমি এসব তোমার বাসায় আনবো না। তবে আমার মেয়ে এই মাংস খুব পছন্দ করে। তাহলে ঐ কথাই রইলো, আমি আগামীকাল সন্ধ্যায় চলে আসবো আমার জিনিসপত্র নিয়ে আর মাস শেষে ভাড়া বাবদ পাঁচশো ইউরো দেবো।



আইরিনের পাঁচশো ইউরোর কথা শুনে রেজা খুব ক্রেডিট নিয়ে আমার দিকে তাকলো, ভাবখানা এমন খুব মহৎ একটা কাজ সে এই মাত্র করেছে। কিন্তু কেন হঠাৎ করে রুম সাবলেট দেবার প্রয়োজন হলো আমার মাথায় সেই প্রশ্নই বারেবারে ঘুরতে থাকে।



চলবে…

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩

বোকামানুষ বলেছেন: অবশেষে নুহাকে আবার পাওয়া গেলো :)

গল্পের প্যাচতো কমে না দিন দিন আরও বেড়েই যাচ্ছে

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জীবনটাই প্যাঁচময় !

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

ইখতামিন বলেছেন:
অনেকদিন পর আবার নুহার গল্প পড়তে পারলাম
অনেক ভালো লাগলো

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমিও নুহার পর্ব পোস্ট করতে পেরে আনন্দিত কিছুটা

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

নওরীন ইশা বলেছেন: ধন্নবাদ আপু,আবার নুহা শুরু করার জন্ন।।।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। তাগাদা না পেলে হয়তো নুহাকে আনতে আরও দেরি হতো।

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
অপর্ণা,
এইটা কেমন কথা হইলো- সময় দিতে না পারলে প্রত্যাশা করাও বোকামি !

পাঠক-লেখক-সহব্লগারদের মধ্যকার সম্পর্ক এভাবে মূল্যায়ন করা অনুচিত।
ধন্যবাদ।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ। বিনিময় প্রথা ছাড়াও ক্ষেত্রবিশেষে অনুভবের জায়গা গুলো বেঁচে থাকলে খুশি আমিও হবো।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩

সবুজ সাথী বলেছেন: অনেক দিন পর, ভুলেই গেছিলাম। ধন্যবাদ আবার শুরু করার জন্য।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আসলেই অনেকদিন পর!
ভালো থাকবেন

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমাকে কথা বলতে পেরে তাকে যথেষ্ট প্রসন্ন মনে হলো

অনেক দিন পর নুহার সাথে দেখা হল। এখনও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে, নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে ঘরোয়া কাজে, রেজাকে ঝেড়ে ফেলতে পারছে না, বিষণ্ণ। নুহা পালটায়নি, রেজাও তাই। নিনোর দেখা পেলাম না, আশা করছিলাম।

নিয়মিত নুহা লিখুন- এই দাবি জানাচ্ছি। আর অন্ধবিন্দুর সাথে সহমত।

শুভেচ্ছা রইল।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নুহা প্রতিটা মুহূর্তে যুদ্ধ করে যাচ্ছে, মানসিক অন্তর্দ্বন্দ্ব তো আছেই!
ধন্যবাদ মনোযোগী পাঠের জন্য। নেক্সট দুইটা পর্ব পার হলে আবার নিনো আসবে।
আপনার ব্যস্ততা কমলে আপনার কাছ থেকেও গল্প বা লেখা আশা করছি।

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১২

অদৃশ্য বলেছেন:




বাহ্‌ কি আনন্দের খবর এটা... দীর্ঘ ৪মাস ২৫দিন পর নূহার ঘুম ভাংলো... এতোদিন নূহা ঘুমের ভেতরেই কোমাতে চলে গেছিলো... এই প্রত্যবর্তনে আমরা নূহার পাঠকরা যার পর নাই খুশি হইছি...

লিখাটিতে অবশেষে কিছু একটা পরিবর্তন আনছেন দেখে ভালো লাগলো... আগের পর্বের শেষের গুলো বোর করা শুরু করেছিলো...

এই পর্বে সেই বোরিংটা মোটেও ছিলোনা... বরং নতুন কিছুর স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে... আশাকরছি সামনের পর্বগুলোও সাবধানে ও রসালো করে লিখবেন আমাদের মতো পাঠকদের কথা ভেবে... নূহার বাজার আর রান্না করতেই যেন সারাদিন না যায়...

শুভেচ্ছা... ব্যস্ততার ফাঁকেই লিখুন আর আমাদের সাথে থাকুন... ইদানিং খেয়াল করছি সবাই কেমন গাছাড়া ভাব নিয়ে বসে আছে... এটা মোটেও ঠিক না... নতুনরা আগ্রহ হারাচ্ছে...

নূহার জন্য আর আপনার জন্য
শুভকামনা...

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার বিস্তারিত মন্তব্য পেয়ে। ব্যস্ততার জন্য সংক্ষেপেই জবাব দিতে হলো।
এটা ঠিক পরিচিত অনেকেই গা ছাড়া ভাব নিয়ে ব্লগিং করে। হয়তো নতুন উদ্যমে ব্যস্ততা কমলে সহব্লগাররা ব্লগ আবার আগের মতো মাতিয়ে রাখবেন।

আপনার জন্যও ভাইয়া শুভকামনা রইলো।

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

মামুন রশিদ বলেছেন: আগের পর্বের ঘটনাগুলো রিকল করতে কষ্ট হচ্ছে । তবু ফিরে এসেছেন এতেই খুশি । চলতে থাকুক নুহার নতুন জীবন, নতুন পর্ব ।


শুভ কামনা ।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আচ্ছা আবার নুহা চলবে।

৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আবার যখন শুরু করছেন আর থাইমেন না। এবারের পর্বটা বেশ ভালো লাগলো। লাস্টে একটা কৌতুহল রাইখা দিসেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মাঝে মাঝে রিমাইন্ডার দিলে খুশী হবো !

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এ আমি কি দেখলাম !
যাক খুব ভালো লাগলো নুহারে আবার নিয়া আসছেন ! আমি তো ভাবছিলাম রেজা মিয়া মনে হয় বেঁচেই গেল(আমার হাত থেকে ) আপনি নুহা লিখা ছেড়ে দেয়ায় !

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ওকে রেজাকে মাইর দেয়া হবে। রেডি থাকো।

১১| ১০ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭

নীল কথন বলেছেন: নূহা! অনেকদিন পর! চলুক সিরিজ। দ্রুত হাত লাগাও.... আগের দু একটা পড়া হয়নি। জমিয়ে পড়বো। তবে উপন্যাসের স্বাদ পাওয়া যাবে। আগে ১৭ টা একটানা পড়ছিলাম।

১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:২১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আচ্ছা আরও কিছু জমুক, পরে পড়িস ।

১২| ২৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫

ডরোথী সুমী বলেছেন: ওয়াও! দারুন লাগছে নুহাকে পেয়ে। সাথেই আছি। ভাল থাকুন

২৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ সুমী

১৩| ১৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:৩২

ইমতিয়াজ নিঠু বলেছেন: আপু নুহার পরবর্তী পর্ব কবে পাচ্ছি আবার? অপেক্ষায় থাকি নুহার কথা জানার জন্য।

২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ট্রাই করছি বৃহস্পতিবার যাতে দিতে পারি। ভালো থাকবেন

১৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
নুহা তবে সঙ্গী পেলো!
রেজার ভণ্ডামিতে আমারও কিন্তু একটু গা জ্বলে ;)



... আবার পড়তে শুরু করলাম ‘নুহা’
সবগুলো চরিত্র মনে করার চেষ্টা করছি।

শুভেচ্ছা জানবেন, অপর্ন মম্ময় :)

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আবার নুহা লেখায় গ্যাপ পড়ে গেছে! কবে যে আবার রেগুলার হবো কে জানে ! লিখতে নিদারুণ আলসেমি, সেই সাথে পড়তেও !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.