নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কোথাও একটি ছাপ রেখে যেতে চাই

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময়

চিত্রদীপ জ্বেলে রেখো ময়ূখ পিদিম; রাত্রি-কথায় বেঁধে নেবো ভোরের খোঁপা।

অপর্ণা মম্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডুব

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯



আজকা মনটা খুব ফুরফুরা লাগতেছে। নতুন শার্ট গায়ে দিছি, সাথে ডার্ক ডেনিম প্যান্ট। মার্কেট থেইকা কিনতে গেলে চোখ বন্ধ কইরা এইটার দাম নিতো ৩২০০ থেইকা ৩৩০০ টাকা। ওই প্যান্ট সাতশো টাকায় কিনছি ভাবা যায়! কামরুলরে একটা চুম্মা দিতে মন চাইতাছে। কামরুল আমাগো অফিস পিয়ন আর কী! শুচিস্মিতা কইছে -

তোমার প্যান্টের রঙটা অনেক সুন্দর!

তখনই মনে মনে ভাবছি পরেরবার কামরুল যখন স্টকের জিনিসপত্র আবার আইন্যা দিবো কম দামে, ওরে একশো টাকা আলাদা ভাবে দিমু। অবশ্য কামরুল অফিসের পিয়নগিরি করা ছাড়াও আলাদা কইরা যে সাইড বিজনেসের কাজ করে এইসব ব্র্যান্ডের শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জির স্টকের, রিভারভিউতে দোকানও কিনছে। ওরই টাকার অভাব নাই, সেই হিসাবে একশো টাকা তো হাতের ময়লা। এমনও হইতে পারে, কইবো -

আরে স্যার বাদ দেন তো, ট্যাকা টুকা লাগবো না।

আমিও ভাবছি দুই একবার সাধনের পর কামরুল টাকা নিতে না চাইলে আমিও আর জোরাজুরি করুম না। একশো টাকায় জিপিতে এক সপ্তাহের প্যাকেজ নিলে তিনশো মিনিট বোনাস নেওন যাইব। শুচিস্মিতার লগে কথা কইতে গেলে মাইয়াটা ফোন রাখতে চায় না। কিন্তু আমারতো খালি শুচিস্মিতারে সময় দিলেই হয় না, আরো কয়েক জায়গায় সময় দেওন লাগে। মাইয়া মানুষের পেটের ভিত্রে যে কত কথা থাকে আল্লাহরে আল্লাহ!

যাই হউক, কইতাছিলাম আজকা আমার মনটা ফুরফুরা। কোন কথা থেইকা কই গেসিগা। আমিও আসলে একটু বেশি কথা কই। একটু বেশি না, অনেক বেশিই কথা কই। এই লিগ্যা অবশ্য তানিয়া আপা আমারে অনেক কটু কথা শোনায় অফিসে। তার কটু কথা আমি গায়ে মাখি না। সুন্দরীগো সব কথা গায়ে মাখাইলে মার্কেট পইরা যাইতে পারে আমার। হে হে হে! ভাবখানা এমন যে আমি কোন হনুরে! আমার নতুন শার্টটা এর আগে অফিসে চাইরদিন পইরা আসছি। সেইদিন দেখি তানিয়া আপা আমারে দেইখা একটু পর পর খালি হাসে। আমিও চান্সে মিটি মিটি হাসি আর কোণা কাঞ্চি দিয়া তার দিকে তাকাইয়া তাকাইয়া দেখি। আমার আবার অস্থিরতা বেশি। না পাইরা জিগাইয়াই ফালাইলাম-

- এই তুমি আমারে দেইখা হাসতাছো ক্যান?
- আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে সাগর পাড়ে যাবেন ছুটি কাটাতে। কোনো অফিসে কেউ এমন ধরণের শার্ট তাও আবার হাফ শার্ট পরে আসতে পারে ধারণায় ছিল না! অদ্ভোত!

তানিয়া আপা এমন আজব ভাবে গলার আওয়াজ বদলাইয়া আর কাঁধ ঝাঁকাইয়া কইছিল যে আমি প্রথমে ধরতে পারি নাই এই অদ্ভোত জিনিসটা কী! জিগাইতেই কয় -

স্ট্র্যাঞ্জ তো!!

সেই স্ট্র্যাঞ্জটাও কইছিল ধমকের সুরে। আমি ভয় পাইয়া চুপ হইয়া গেছিলাম। তারে সত্যি বলতে কি আমি অনেক ভয় পাই। একটু হাসিমুখে সে কথা কইলে আমার ভিতরটা যেমন ফুইলাফাইপা ওঠে আমি আমার নিজেরে সামলাইতে পারি না। তানিয়া আপার ভাষায় আমি নাকি তখন ছাগলামি করতে থাকি। সো হোয়াট! তারে আমার খুব ভাল্লাগে। মাঝে মাঝেই তারে শুধু তানিয়া ডাকি। বহুত খাচ্চর টাইপের মহিলা। শুধু তানিয়া ডাকলে সে উত্তর দেয় না। চাবাইয়া চাবাইয়া কয় -

- আমি তানিয়া আপা। আপা বলে ডাকেন।

সাগর, মাহতাব, অর্ণব এরা যখন তানিয়া বইলা ডাকে তখন হের গায়ে লাগে না। আমি কইলেই যত দোষ আর নিয়ম কানুন বাইর করে। আমারে তানিয়া আপা আসলে বুঝতেই চাইলো না। না বুঝুকগা, আমি আশা ছাড়ি নাই তার লিগা। লাইগা থাকলে একদিন না একদিন তানিয়া আপার বরফ গলবই!

ফুরফুরা থাকার কারণেই আজকা আরো একটা জিনিস চোখে পড়লো। ইয়ার্ন কন্ট্রোলারের চর্বিযুক্ত হাসি। এগাল ওগাল জোড়া বিস্তৃত হাসি। রিকশা ভাড়া দিতে গিয়া দেখি দশ টাকা শর্ট পড়ছে। রিকশা থেইকা নাইমা ব্যস্ত পায়ে হাফিজের রুমে ঢুইকা বলি -

মাম্মা দশটা টাকা দাও তো, ঝটপট

রিকশাওয়ালারে ভাড়া দিয়া আইসা অফিসে নিজেদের রুমে ঢোকার আগে আবার আইসা নিচতলায় হাফিজের লগে দেখা কইরা যাই থ্যাংক ইউ কইতে। ওহ হাফিজ হইল আমাগো অফিসের ইয়ার্ন কন্ট্রোলার। তখনই বিষয়টা আমার নজরে পড়ে যে হাফিজ কেমন চর্বিযুক্ত হাসি দিতাছে। ওর হাসিটা কেমন জানি উদ্দেশ্যমূলক এমন ধরণের লাগতাছে। একটা চোখ টিপ দিয়া জিগাই -

- কী সব মনে হয় ঠিকঠাক চলতাছে! যে ভুড়িটা বানাইছ দেইখা বুঝা যায় তোমার জীবন অনেক সুখের। তা কয় হাজার কেজি সুতা পাচার করলা! বিশাল ধরণের জোকস করছি এমন ভাব নিয়া আমিই হে হে কইরা হাইসা উঠি

- হ, আমার জীবন অনেক রঙিন। আফসোস তোমার মত রিতা, সীতা, ফিতা থাকলে তোমার চেয়ে আমার জীবন আরো রঙিন হইত!

ব্যাপারটা ফান মনে কইরাই আমিও এক ধাপ আগাইয়া কই -

- জীবনের আসল রঙ হইলো মাম্মা ট্যাকা। এইটা আছে তো রঙও আছে, বউ এর ভালোবাসাও আছে। তোমার আছে সুতা বেচার চোরাই ট্যাকা আর আমাগো মামীর অজস্র ভালোবাসা

- আমার কথা বাদ দ্যাও রোমিও। আমার জীবন তো এক নারীতেই গেলো গা কিন্তু তুমি এই বয়সে আইসাও এক লগে এতডির লগে খেলতাছ, প্রশংসা করতেই হয়। কিন্তু ফয়সাল মাম্মা একটু ধীরে চলো, ধীরে

- ধুর কী সব কওনা! কাম কাইজ নাই তো খালি আজাইরা প্যাচাল

- চুল তো আর বাতাসে পাকে নাই। তা অফিস টাইমের দুই ঘণ্টা পর ঢুকলা, জায়গামত পাখি পৌঁছায় দিয়া পাখির বাসা চিন্যা আইলা নাকি?

বইলা হাফিজ কেমন জানি রহস্যজনক হাসি হাসতে থাকে। ওর হাসি আর কথার ধরণ শুইন্যা আমার পেট মোচোড়াইলেও ওরে খারাপ একটা গালি দিয়া কই -

- শালারপুত কাম কর। বইয়া বইয়া খালি আচোদা প্যাঁচাল পারোস। এই বালটার কাছে ট্যাকা ধার নিতে আওনটাই আমার ভুল হইছিল।

আমার কথা শুইনা হাফিজের কোনো উত্তেজনা লক্ষ্য করা যায় না অবশ্য। ও আগের মতোই পূর্ণ নির্লিপ্ততা নিয়া গা দুলাইয়া দুলাইয়া হাসে। ইচ্ছা করে ঘুসি মাইরা ওর চাপাচুপা ভচকাইয়া দেই। শালা বাইঞ্চোত!

কিন্তু আমার কথা হইলো হাফিজ্যা আমারে এই কথা কইলো ক্যান? তাইলে কী আজকা আমারে কোনো জায়গায় দেখলো! কিন্তু ও দেখবো কই ত্থেইকা! আমার মাথাডা আউলাইয়া যাইতাছে। বিড়ি টানতে পারলে ভালো হইতো। গলাডা শুকনা শুকনা লাগে। এখন আবার ফিরোইজ্যার দোকানে গেলেই ধরবো ভাই পাঁচ মাস হইয়া গেলো এখনো আগের দেনা শোধান নাই! বিড়ি একটা খাইলে ফ্রেশ গাম নাইলে সেন্টার ফ্রুট কিনন লাগে দুই তিনটা কমসে কম। নাইলে আবার তানিয়ার আশপাশ দিয়া হাঁটন যায় না। খ্যাচখ্যাচ করে এই মহিলা আর ভ্রু কুচকাইয়া থাকে। তারপর নিজের ব্যাগের ত্থেইকা পারফিউম বাইর কইরা নিজের গায়ে আর আশেপাশে স্প্রে করে। মুখে কিছু কইলেও এত গায়ে লাগতো না কিন্তু এই বেটি হাতে না মাইরা ভাতে মারে। মাইয়া গো মাথায় যে এত হিটলারি বুদ্ধি কই থিকা আহে!

একটু আগের ফুরফুরা ভাবটা আমার গেছে গা। ভুল কইলাম, ফুরফুরা ভাব গেছে গা না, ফুরফুরা ভাবটা হাফিজ্যা শালারপুত নষ্ট কইরা দিছে। কিন্তু আমারে দেখলোটা কোন জায়গায়! অস্বীকার করুম না আইজকা একটা নতুন এডভেঞ্চার করছি। বিষয়টা নিয়া এখনো রোমন্থন করনের সুযোগই পাইলাম না। কই একটু পর পর ভাইবা ভাইবা শিহরিত হমু, তা না কইরা কামলা খাটনের লিগ্যা এখন ঢুকতাছি খোয়ারে।

আমার আর চাকরি বাকরি করতে ভাল্লাগে না। বহুত তো করলাম চাকরি। এই কোম্পানি ঐ কোম্পানি করতে করতে বয়স এখন প্রায় চল্লিশ ছুঁই ছুঁই। কিন্তু টাকা পয়সাও তেমন জমাইতে পারলাম না। যাই হোক আমার এত সিরিয়াস চিন্তা করলে বিপি হাই হইয়া যায়। এইসব আমার পোষায় না। পিসি অন করতে করতে মনে পড়ে আজকা না আমার সামারের কস্টিং শীট আর মিটিং রিক্যাপ সাবমিট করন লাগব! ধুর একটু পরেই তো আমার ইমিডিয়েট বসের রুমে ডাক পড়বো । ধুর এখন কি আমার এইগুলি করনের কথা! চোখের সামনে কম্পিউটারের স্ক্রিনে যা যা দেখতাছি সব কেমন হিজিবিজি লাগতাছে। এক কাপ চা খাওন দরকার। পিয়নগুলিও একেকটা জমিদার। ওগো ডাইকা আইনা কওন লাগে এক কাপ চা'য়ের কথা। এখন এই চা আইতেও মিনিমাম পাঁচ মিনিট বইয়া থাকন লাগবো! মাথা পুরা হ্যাং হইয়া রইছে। কেমন ঘুম ঘুমও লাগতাছে। রাইতে ঘুম ভাল হয় নাই। এত টেনশন মাথার বিভিন্ন খোপে খোপে লইয়া ঘুমান যায় নাকি! ইদানিং দেখতাছি রাইতের বেলা মাইয়াটা বহুত জ্বালায়। বয়স চার পাঁচ হইলে কী হইবো কথা কয় মুরুব্বীগো মতো আর ওর মায়েরে আমার কাছে ঘেঁষতে দেয় না। কালকা রাইতে যখন আমি আর শিউলি চিন্তাভাবনা করতাছি একটু ইন্টিমেট হমু ,ঐ সময় মাইয়া ঘুমের থিকা উইঠ্যা চিল্লান শুরু করছে ও বিছানার সাইডে আইছে ক্যামনে, ও তো মাঝখানে শুইছিল। এরপর যতই বুঝাই মাইয়া ততই কান্দে আর ঘুমানের আগ পর্যন্ত আমার হাতে চিমটাইতে চিমটাইতে হাত পুরা ব্যথা বানায় ফেলাইছে। পুরা মায়ের স্বভাব পাইছে। শিউলিও বিয়ার পর পর মনমতো কিছু না হইলে হাতে চিমটাইতো আমারে।

চায়ে চুমুক দিতে নিমু আর এই সময় দেখি বউ এর ফোন৷ ওর ফোন ধরতে মন চাইতাছে না। সকালে বাসা থেইকা বাইর হওনের একটু পরেই ফোন কইরা শুরু করছে প্যান প্যান। অপরাধ তেমন কিছুই না। গেট থেইকা বাইর হইয়া ঘাড় ফিরাইয়া বারান্দার দিকে তাকাই নাই ক্যান, ও বারান্দায় খাড়াইয়া আছিল। আমি ফোন কানে লাগাইয়া কথা কইতে কইতে গলি ধইরা সামনে আগায় গেছি আর ও যতক্ষণ আমারে দেখা গেছে দাঁড়ায় আছিল যদি আমি একবার পিছন ফিরা দেখি। যখন বয়স কম আছিল এইসব করছি। এখন আর ভাল্লাগে না। দশ বছর ধইরা একই কাম আর কয়দিন ভাল্লাগে বাল! শিউলি আমার সবকিছুতে এত ল্যাপটায় থাকতে চায়,মাঝে মাঝে আমার দম বন্ধ হইয়া আসে। কিন্তু এইসব প্রকাশ করলে ঝামেলা, ঘরে অশান্তি শুরু হইয়া যায়। চা শেষ করতে করতে দেখি টুং কইরা এস এম এস আসনের শব্দ। কার নাম্বার দেইখা বুঝি না আসলে।

" অফিসে পৌঁছে গেছেন? থ্যাংকস আমাকে বাড়ি পর্যন্ত দিয়ে গিয়েছেন বলে..."

ফিরতি মেসেজে আমিও লিখি -

" আপনি চাইলে মাঝে মাঝে পৌঁছে দিতে পারি! কখন ফ্রি থাকবেন? এখন একটু ব্যস্ততায় আছি।"


----- চলবে ----

( বাকি লেখাটা গুছাতে পারলে আবার দিবো এর শেষ পর্ব । )

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: সুমার সঙ্গে তোমার বিয়ে কি ভেঙে গেছে ?
: হ্যাঁ
: কেন?
: ও আর আমাকে বিয়ে করতে চায় নি। কারন আমার কাছে টাকাপয়সা তেমন নেই।
: কেন তুমি তোমার ধনী চাচার কথা তাকে বলো নি?
: হুম, বলেছি । বলার পরেই সে এখন আমার চাচী হয়েছে।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আহারে কষ্ট! হা হা

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ব্লগ এখন বেশ চাঙ্গা। নিয়মত হলে ভালো লাগবে।

'ডুব' পড়া শুরু করছি। পড়ে মন্তব্য দেব।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পুরনো অনেক ব্লগাররা ফিরে আসছে নাকি নতুন বোতলে সেই পুরনো মদ ?

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার জন্য নতুন এলাকা, নতুন পরিবেশ; নায়কের ভুবন রচনায় অনেক বাক্য ব্যয় হয়েছে, মনে হচ্ছে! শেষাংশ কিভাবে সিনথেসাইস করবেন সেটার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে!

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শেষটা আশা করি পরশুদিন দিবো যদি না ব্যস্ত থাকি। খসড়া হয়ে গেছে।

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চল্লিশের পরে ডুবে ডুবে জল খাওয়া! ইন্টারেস্টিং!!!
গল্পটা দারুন আগাচ্ছে। শেষপর্ব তাড়াতাড়ি দিয়েন।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আশেপাশের ব্যাটাগুলিরে দেইখা আর কারো কারো কাছে শুইনা মনে হয় ৪০-৫০ এর পর তারা বাইরের সম্পর্কে জড়ায় বেশি! অথচ বউকে ভালোবেসেই বিয়ে করছিল কিন্তু তবুও এডভেঞ্চার ফিল করে নতুন নতুন সম্পর্কে!

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'ডুব' মনে হচ্ছে একটা বিরাট গল্প হয়ে যাচ্ছে। এখানে যেভাবে লিখছেন, মনে হয় না আর অল্প কথায় শেষ করলে তা সফল ভাবে শেষ হবে।

'ডুব'-এর অর্থ আপাতত মনে হচ্ছে মামা ফয়সাইল্ল্যা ডুবে ডুবে জল খাচ্ছে। অথবা, সে জনে জনে ডুব দিচ্ছে। কিংবা, সে সংসার থেকে 'ডুব' দিতে চাইছে, অনেকটা সংসার থেকে দূরে/পালিয়ে থাকার মতো।

গল্পের শুরুতে ভেবেছিলাম নায়ক হয়ত অল্পবয়স্ক ফোর টুয়েন্টি ধরনের মাল। পরে দেখা গেলো তার বয়স ৪০ বা এর বেশি।

ফয়সালের ৫ বছর বয়সী মেয়ে আছে। গল্পে কোনো ইঙ্গিত নাই, তবু মনে হয় মেয়েটা বাবা-মায়ের ইন্টিমেসি সহ্য করতে পারে না (হয়ত হিংসায়)। এজন্য সে মা-বাবার মাঝখানে শুয়ে বাধা দিতে চায়। মেয়েটা ঘুম ভেঙে দেখে সে এক পাশে শুয়ে আছে। এ ব্যাপারটা এবং তার রিএকশন আমার ভালো লেগেছে খুব।

ফয়সালের বউয়ের যে অভিমান বা অভিযোগ, আজ অফিসে বেরোনোর সময় ফয়সাল ফিরে তাকায় নি (বা কম তাকিয়েছে), সেটা যে-কাউকে যৌবনে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। নতুন বউয়ের সাথে এমন আবেগময় সময় কাটায়নি, এমন পুরুষ খুঁজে পাওয়া ভার। লেপ্টালেপ্টির কথাগুলোও একদম জীবন থেকে নেয়া।

গল্পের প্রতিটা কথা আমার ভালো লেগেছে এবং কোথাও বাহুল্য মনে হয় নি।

যেহেতু এটা এখনো শেষ হয় নি, সামনে লিখবেনও, একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- পর্বাকারে আপনার লেখা পড়ে দেখেছি, কোথাও কোথাও আপনার লেখা গতি হারিয়ে ফেলে, সাসপেন্স নেই, উত্তেজনা নেই। এ লেখাটা ধৈর্য নিয়ে শেষ করুন। একটা দারুণ গল্প হবে বলে প্রচণ্ড বিশ্বাস।

মনে হচ্ছে 'ফয়সাল' (নায়কের নাম ঠিক আছে তো?) বহুগামী। তার চরিত্রটা বাস্তব। এটাকে কীভাবে শেষ করেন বা কোথায় নিয়ে যান, তা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

আপনার লেখার ধার ক্রমশ বাড়ছে।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পটা আসলেই বিরাট হয়ে গেছে। এত বড় লেখা পড়ার মত ব্লগার/ পাঠক এখন কী পরিমাণে আছে জানি না!

পর্বাকারে আর কিছু লেখার ইচ্ছা নাই আসলেই। খেই হারায় যায় নাইলে আমার আগ্রহ থাকে না লেখার! ফইসাইল্যা বহু ঘাটের পানি খাওয়া পাব্লিক। আশেপাশে এরা ভুরিভুরি!

আমি তো লেখালেখিই করি না, ধার বাড়ার প্রশ্নই আসে না ধুলোবালি ভাই!

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০

ইসমাইলহোসেন০০৭ বলেছেন: ++++++++++++++

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:১১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ফাঁকিবাজি কমেন্ট লাগে এসব প্লাস সাইন বা ফুল লতাপাতা। ভালো থাকবেন ভাই।

৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ!

দারুন ঝরঝরে গল্প! একটানেই পড়ে ফেললাম!
খুব সূক্ষ্ণ অনুভব গুলো সাবলীলতায় তুলে এনেছেন।
জীবনের ছায়া জীবনকেইতো ধারন করে! নায়কের ডুব দেখি কোথায় গিয়ে শেষ হয়?

++++

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:১২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কেউ কেউ আছে জীবনে ডুবে ডুবেই বেঁচে থাকতে আর সময় পার করে সুখী থাকতে চায় বা শান্তি খোঁজে

৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার গল্পের ভাব, প্লটের ভাবের সাথে মিল রেখে ছবি যোগ করবেন।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ছবি যে কই পাই!

৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আঞ্চলিক কেন?

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লেইখা আর বইলা আরাম, এজন্য!

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪২

চাঙ্কু বলেছেন: গল্পটা ভাল্লগাছে। নায়কের চরিত্রটা ভালো তবে শিউলির এই রকম নিষ্পাপ ভালোবাসার জন্য খারাপ লাগছে।
কোন প্লে-বয়কে এখন পর্যন্ত সফল হতে দেখি নাই, তবে সফল লোকদের সফল হওয়ার পরে প্লে-বয় হতে দেখেছি।
পরের পর্ব কবে দিতাছেন? ;)

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পরের পর্ব আজকাই দিমু।

কোন প্লে-বয়কে এখন পর্যন্ত সফল হতে দেখি নাই, তবে সফল লোকদের সফল হওয়ার পরে প্লে-বয় হতে দেখেছি।
--- এই লাইনটা জোশ লাগলো ;)

১১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: প্রথমপর্ব পুরোটা গেল ফয়সাল এর চরিত্র রূপায়নে। দেখি পরের পর্বে কি অপেক্ষা করছে।

আঞ্চলিক ভাষায় লেখাটা লিখায় ভাল হয়েছে। আপনি যেমনটা লিখে আরাম পাচ্ছেন, আমরা পড়েও আরাম পাচ্ছি।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ

১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আজকে পড়া শুরু করলাম ডুব ;
ভালো লাগছে :)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ওকে। সময় থাকলে পরের পর্বটাও পড়তে পারেন।

১৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: এই পর্যন্ত ভালো লেগেছে----
কয়েকদিন আগেই অফালাইনে পড়েছিলাম। তারপর আর অনলাইন হয়ে মনে ছিল না। আজ সাম্প্রতিক মন্তব্যের ঘরে দেখে আসলাম।

শেষ পর্বও ইতোমধ্যে দিয়েছেন। পড়ে নিতে হচ্ছে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ জাহিদ

১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: হা হা হা, বুঝতে পারছি। ভালো হইছে। লেখার স্টাইলটা পছন্দ হইছে, একেবারে আমরা যেভাবে কথা বল। ঘুম থেকে উঠে মেয়ের কান্না অংশটা পড়ে হাসলাম আপন মনে কিছুক্ষণ। কিছু গালিগালাজ লিখছ, ন্যাচারাল মনে হইছে। পরের পর্বে যাই।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আচ্ছা

১৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: চরিত্রগুলোর কথোপকথনে কথা যেভাবে মুখে আসে, সেভাবেই লিখেছেন, এবং বেশ দক্ষতার সাথেই, এটা ভাল লেগেছে।
অনেক পুরুষেরই স্খলন শুরু হয় মধ্যবয়স পার হবার পর থেকে। ফয়সইল্লারও বোধহয় তাই হয়েছে/হবে।
চাঙ্কু'র ১০ নম্বর মন্তব্যটা ভাল লেগেছে, বিশেষ করে প্রতিমন্তব্যে আপনি যে লাইনটার কথা উল্লেখ করেছেন, সেটা আমারও প্রথম পাঠেই দৃষ্টি কেড়েছিল।
আমার স্কুল-কলেজ জীবনের বাংলা শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল আমিন স্যার সম্পর্কে আপনি আমার আমার কথা -২৩ পোস্টে মন্তব্যে করেছিলেনঃ আপনার বাংলা শিক্ষকের শিক্ষাদান পদ্ধতি ভালো লেগেছে। এরকমই হওয়া উচিত। গতানুগতিক শিক্ষার বাইরেও কিছু থাকা উচিত
অত্যন্ত দুঃখ-ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি যে জনাব আব্দুল্লাহ আল আমিন স্যার আজ সকালে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। কিছুদিন আগে তিনি একটি ম্যাসিভ হার্ট এটাক এ আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ আল আরিফ রানা বাংলাদেশ সরকারের একজন উপসচিব হিসেবে কর্মরত আছেন, তিনি একসময় সিলেট ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলেন।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তর দেয়া হয়নি। অনেকদিন পর আসলাম। আশা করছি কিছুদিন আবার ব্লগে থাকব। মোটামুটি ভাবে ওণেকেড় লেখা পড়বো। আপনার স্যারের কথা জেনে খারাপ লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.