নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসংগ এস আলম, টাকা পাচার

০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৪২





পৃথিবীর কোন ব্যবসায়ীই ধোয়া তুলসী পাতা না।
চালাকি করেই ব্যবসা করতে হয়। তবে দেখতে হবে ওরা দেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করছে কিনা। আয়কর সঠিকভাবে দেয় কিনা।

একটা সামান্য বাস কন্ডাকটর থেকে একটি বাসের মালিক হওয়া এরপর শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়া এত সহজ নয়।
২০০৫ এবং ২০১৮ আন্তর্জাতিক মানিলন্ডারিং আইন অনুযায়ী বর্তমানে পৃথিবীতে কোথাও অবৈধ অর্থদিয়ে সম্পত্তি ক্রয় করা যায় না।


ডেইলি স্টার বলছে
এস আলম সিঙ্গাপুরে অন্তত দুইটি বা একটি হোটেল, একটি বাণিজ্যিক স্পেস ও আরো কিছু সম্পদ কিনে কাগজপত্র থেকে তার নাম সরিয়ে ফেলেছে। এস আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভিনও এর সঙ্গে যুক্ত।

ডেইলি স্টার এত সহজে বলে ফেললো।
২০০৫ এবং ২০১৮ আন্তর্জাতিক মানিলন্ডারিং আইন অনুযায়ী বর্তমানে পৃথিবীতে কোথাও অবৈধ অপ্রদর্শিত অর্থ দিয়ে অবৈধভাবে সম্পত্তি ক্রয় করা যায় না। কিছু কিছু দেশ মোটা বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেয়, সেখানেও অর্থে বৈধ উপার্জনের প্রমান দিতে হয়,

যেই লোক ৪০ বছর আগে কম্পানী প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ৬২টি টি কম্পানীর মাধ্যমে ২ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান করছে, পরক্ষভাবে ১০ লাখ মানুষের রুটিরুজি হচ্ছে সাপ্লাই সাবকন্ট্রাকটারি করে। যে গ্রুপের নেট মুনাফা বছরে ৪-৫ বিলিয়ন ডলার। তাকে পৃথিবীর যে কোন দেশ মাথায় তুলে রাখবে। টাকা পাচার করা লাগে নাকি? সামান্য হোটেল, একটি বাণিজ্যিক স্পেস কিনতে পৃথিবীর যে কোন ব্যাঙ্ক বিনা দ্বিধায় ঋন দিবে। আর রিয়েলস্টেট সেক্টরে খুব সহজেই লোন পাওয়া যায়। যেহেতু স্থাপনার ভ্যালু কখনো কমেনা আর ব্যাঙ্ক ঝুকিমুক্ত থাকে।
আমার পরিচিত গন্ডির ভেতরে বাংলাদেশে কপর্দকশুন্য অনেকে সুধু ট্যাক্সি চালিয়ে একাধিক বাড়ী গ্যাস স্টেষনের মালিক হয়েছে অনেকেই। এরা কেউ নিজের টাকায় কিনে নি। ব্যাঙ্ক ঋনে কিনেছে। ব্যাঙ্ক যদি নিশ্চিত হয় সে মাসে মাসে কিস্তি দিতে সক্ষম, ব্যাঙ্ক তো দিবেই, ব্যাঙ্কের মুল আয় তো এভাবেই।

ওয়াশিংটন ভিত্তিক গ্লোবাল ফাইনানসিয়াল ইন্টিগ্রিটি' একটি জেনুইন পেশাদার সংস্থা।
সংস্থাটি রিসার্চ করে কর্পোরেট ট্রান্সপারেন্সি, মানি লন্ডারিং, কর ফাকি, ইত্যাদি নিয়ে গবেষনা করে। বিশ্বের কেনাকাটা এলসি, ওভার আন্ডার ইনভয়েসিং ইত্যাদি সংগ্রহ করে পর্যালচনা করে কম্পিউটার এনালাইসিস করে,। এদের সহযোগিতায় পানাম ও প্যারাডাইস পেপারে ইমরান খানের নামও উঠে এসেছে সেক্রেটারি কাম বান্ধবীর নামে টাকা রেখে। সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ বিন আবদুল রহমান আল সৌদ, মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের এক ছেলে এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। নেওয়াজের ভাই শাহাবাজও আছে। আরো কিছু পাকিস্তানি রাজনীতিবিদের নামও। নামে বেনামে আছে এরদোয়ান পুটিনের নামও। খুব সৎ বলে পরিচিত কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর নামও ছিল।
তবে এসব সংস্থা দেশের কাছে ব্যাঙ্কের কাছে তথ্য চায় না, সফটওয়ার বা অন্য এজেন্সির সহায়তা নেয়। এদের রিপোর্ট বেশিরভাগই সঠিক।

এরা এর আগে শতাধিক বাংলাদেশী টাকা পাচারকারিদের প্রমান সহ নামধাম ঠিকানা সহ প্রকাশ করেছিল। পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারিতে পাচারকারিদের নাম পাওয়া গেছে বাংলাদেশের ৯০ ব্যক্তি ও ৭ প্রতিষ্ঠানের।
এর মধ্যে পানামা পেপারসে নাম আসে ৬১ ব্যক্তি ও ৭ প্রতিষ্ঠানের। প্যারাডাইস পেপারসে নাম আসে ২৯ ব্যক্তির।
প্যান্ডোরা পেপারসেও প্রায় অনুরুপ সংখক।
রিসেন্ট কেউ অনিয়ম করলে তার নাম প্রকাশিত হবেই।

২০১৪ সালের পর বিভিন্ন মানি লন্ডারিং আইন সন্ত্রস দমন আইন কার্জকর ভাবে চালু হওয়ার পর থেকে সে কোনো দেশের নাগরিকদের কত অর্থ আছে, তার পরিমাণ প্রকাশ করছে। মানি লন্ডারিং আইন স্বাক্ষরকারি দেশগুলো। ব্যাঙ্কগুলোকে মামলাও মোববেলা করতে হচ্ছে৷ সুইস ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন এখনো গ্রাহকের গোপনীয়তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিলেও বর্তমানে অপরাধে জড়িত গ্রাহকের তথ্য দিচ্ছে৷ ২০১৪ সালে কমন রিপোর্টিং ষ্ট্যান্ডার্ড (সিআরএস) গড়ে তোলে ১০০টি দেশ৷ তার আওতায় সদস্য দেশগুলো তার নাগরিকদের সব তথ্য সুইস ব্যাংক থেকে পায়।
বাংলাদেশও একটু আলাদাভাবে ২০১৪ সালে একটি উদ্যোগ নেয়৷ ওই বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সুইজারল্যান্ডের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে সমঝোতা চুক্তি করার জন্য চিঠি দেয়।পরবর্তিতে বিএফআইইউ এডমন্ট গ্রুপের সদস্যপদ পায়৷ এডমন্ট গ্রুপ হলো সব দেশের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটগুলোর একটি জোট৷ যেই ফোরাম মানি লন্ডারিং অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ইনটেলিজেন্স নিয়ে কাজ করে৷ বাংলাদেশ সুনির্দিষ্ট ভাবে কারো একাউন্ট তথ্য চাইলে যে কোন ব্যাঙ্ক দিতে বাধ্য।
কয়েক বছর আগে হংকং এর একটি ব্যাঙ্ক থেকে গ্রেফতারকৃত এক ব্যাক্তির একাউন্ট ডিটেইল স্টেটমেন্ট মামলার এভিডেন্স হিসেবে এনে একজন বাংলাদেশী এর ব্যাবসায়ীকে দন্ড দেয়া সম্ভব হয়েছিল।
এর আগে সিঙ্গাপুর থেকে চোরাই টাকা ফেরত আনার উদাহরণও আছে৷
এস আলম বা রিসেন্ট কেউ অনিয়ম করলে তার নাম প্রকাশিত হবেই।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: যতটুকু জানি,কয়েকটা পরিবহন স্বর্ণের চোরা চালানির সাথে জড়িত ছিলো।এতেই তারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়।

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সেটা এস আলম বাসের কতিপয় যাত্রী এ কাজ মানে পকেটে স্বর্ণের বার নিয়ে করে ধরা পড়ে সংবাদ হয়েছিল।
এত নিম্নমানের চোর চট্টামি করে এত বড় এন্টারপেনর হওয়া যায় না।

উনি ছয় সাতটা শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের বেশিরভাগ শেয়ার নিয়ে মালিকানা পরিষদে আছেন। দেশের সর্ববৃহৎ ইস্পাত শিল্প সিমেন্ট শিল্প ইত্যাদি বড় বড় ম্যানুফ্যাকচারিং ইত্যাদি মোট ৬৩ টি কোম্পানির মালিক উনি

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:২৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পৃথিবীর কোন ব্যবসায়ীই ধোয়া তুলসী পাতা না। চালাকি করেই ব্যবসা করতে হয়।

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হ্যা সেটাই। চালাকি তো আছেই। এস আলমের ব্যাবসায়িক বুদ্ধিও ভাল।
বর্তমানে নিউজ মিডিয়াতে সত্য খুজে বের করা রীতিমত দুরুহ কাজ।
একটি সঠিক সংবাদকেও ওরা এমনভাবে আকাবাঁকা লিখে যাতে একটি সন্দেহের ধোয়াশা শৃষ্টি হয়। মুল নিউজটি আড়াল করে করে রাখে যাতে সঠিক সংবাদটিকে সন্দেহজনক ভাবে উপস্থাপন করার কারনে একটা ভাল কাজও মিথ্যা গুজবকারিদের পক্ষে যায়।
ইসলামী ব্যাঙ্ক সরকার দখল করেছে বলে গুজব চারিদিকে।
অতচ কেউ কাউকে দখল করেনি। সরকারও মালিকানা নিয়মে হস্তক্ষেপ করে নি। বহু আগে থকে এস আলমের শেয়ারছিল ইসলামীব্যাঙ্কে। দখল কিভাবে?
ইহা ব্রিটিষ আমলের কোম্পানী আইন। কম্পানীতে যার বিনিয়োগ বেশি মালিকানায় তার বেশি প্রাধান্য হবে। সারা বিশ্বেই এই আইন।
ইসলামী ব্যাঙ্কের এককালিন মালিক যদি এতই ইসলামি হয়ে থাকে তাহলে তার ব্যাঙ্কটিকে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্তি ছাড়লো কেন, দিনের পর দিন অতি লাভে শেয়ার গুলো বেঁচলো কেন? না বেচলেই তো হত।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও কোম্পানী আইনে কোম্পানিতে পরিচালক হতে হলে ওই পরিচালকের হাতে কোম্পানিটির ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকতে হয়, কিন্তু অতিলাভে শেয়ার বেচতে বেচতে জামায়াতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া আধিপত্যে অনেকটা ভাটা পড়ে। কিন্তু জামাতের ভারাটে মিডিয়া প্রথমআলো-ডেইলিস্টার বলে যাচ্ছিল। জামাতের উপর জুলুম হচ্ছে। দখল হচ্ছে। ইসলাম ধ্বংশ হচ্ছে। বাস্তবে জামাতিরা তাদের শেয়ার ধিরে ধিরে বিক্রি করে
২০১৭ এনুয়াল মিটিংএ জামাতিরা ব্যাঙ্কটিতে কতৃত্ব হারায় অতি লোভের কারনে। কিন্তু ব্যাঙ্কের কিছু হয় নি।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:০৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: মাসুদ সাহেবের শুরুটা হয়েছিল তাঁর মামা সাবেক এমপি আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু সাহেবের হাত ধরে ।
দেশের বড় দুইটি শিল্প গ্রুপ ইসলামি ব্যাংক আর খাতুনগঞ্জ এর ভোগ্য পণ্য কেন্দ্রিক বিশাল বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে গত এক বছর ধরে ।

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ এত কিছু জানতাম না।
আপন মামা নাকি?

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৫৯

ধুলো মেঘ বলেছেন: নামে বেনামে হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে নিয়ে ব্যাংকগুলোকে যে হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিচ্ছে - সেটা চোখে পড়ছেনা আপনার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসলামী ব্যাংক কখনও লিকুইডিটি ক্রাইসিসে ভোগেনি - সেই ব্যাংক এখন চড়া সুদে অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে, স্বর্ণের দামের জমি পানির দরে বিক্রি করে দিচ্ছে তারল্য যোগান দিতে। এস এলমের মালিকানাধীন অন্য ব্যাংকগুলোকেও ঘুঘু চড়ানোর সভ আয়োজন সমাপ্ত। এই গ্রুপ কি আসলে মাল বিক্রি করেই ধনী হয়েছে, নাকি ব্যাংক লুট করে - সেটাই মানুষ জানতে চায় - অন্য কিছু নয়।

সৎভাবে ব্যবসা করে ৪০ বছরে এত কিছু করা সম্ভব নয়।

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ইসলামী ব্যাংক কখনও লিকুইডিটি ক্রাইসিসে ভোগেনি - সেই ব্যাংক চড়া সুদে অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিল,

হ্যা সেটা সত্য।

৫,৫০০ কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে কলমানি হিসেবে নেয়া হচ্ছিল। এরপরেও সংকুলান হয়নি বাকিটা BB থেকে নেয়া হয়েছিল। সত্য।
সেটা কলমানি হিসেবে সর্ট লোন। কল মানি মানে (সর্ট লোন) উচ্চ সুদে ১ থেকে ১৫ দিনের জন্য লোন।
প্রথম আলো/ডেইলি স্টার পিনাকি জিল্লুর সহ একটি সংগবদ্ধ শুশীল কুশীল, ডিসেম্বর ১০এ সরকার পতন টার্গেট করে গুজব ছড়াচ্ছিল যে ইসলামি ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। ধর্মপ্রাণ গ্রাহকরা তখন পাগলের মত সেভিংস, এফডিআর ভেংগে টাকা উত্তলন শুরু করে।
ব্যাঙ্কটির টাকার কোন অভাব ছিল না, কিন্তু ছিল ক্যাশটাকার অভাব, তাৎখনিক হাজার হাজার কোটি টাকা পৃথিবীর কোন ব্যাঙ্কের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়।

২০০৮ এ আমেরিকায়ও দেখা গেছে একটি ব্যাঙ্ক আস্থা হারালে সব ব্যাঙ্কেই প্রভাব পরে। তাই এবার আমেরিকায় ২টি ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হলে সরকার ও দুটি বড় ব্যাঙ্ক ওয়েলফারগো ও জেপিমরগান-চেস সমঝোতা করে বকেয়া ঋন পরিশধের গ্যারান্টার হলে ব্যাঙ্কদুটিকে তথা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে রক্ষা করে।

অনুরুপ ভাবে ডিসেম্বর জানুয়ারিতে আমাদের রাষ্ট্র ৫,৫০০ কোটি টাকা কল মানি বা সর্ট লোন দিয়ে ব্যাঙ্কটিকে তথা দেশের অর্থনীতিকে রক্ষা করে।
আর বেকুব গ্রাহকরা ভেজা বেড়ালের মত এফডিয়ারের সুদ হারিয়ে আবার সেই ব্যাঙ্কেই ফিরে এসেছে। আসতেই হবে টাকা আর কয়দিন বালিশের নীচে রাখবে?
কিন্তু ব্যাঙ্কের কোন সমস্যা ছিল না, কারন ব্যাঙ্কের মুলধন কমেনি, শেয়ার মুল্যেও বড় প্রভাব দেখা যায় নি।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:২৯

আল ইফরান বলেছেন: ইসলামি ব্যাংকের মত লাভজনক প্রতিষ্ঠানকে পথে বসিয়েছে কে?

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


ইসলামি ব্যাংকের মত লাভজনক প্রতিষ্ঠানকে কেউ পথে বসায়নি। লাভজনকই আছে।
বিদায়ী বছরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের নিট মুনাফা হয়েছে ৬১৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে এ ব্যাংকের নিট মুনাফা ছিল ৪৮০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
নিট মুনাফা বেড়েছে ২৮ দশমিক ২৮ শতাংশ।
২০২২ সালের জন্য শেয়ারধারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের (ডিভিডেন্ট) সুপারিশ করেছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

শুধু শেয়ার বিনিয়োগ না, ব্যাঙ্কটি গ্রাহকদের জমা (ডিপোজিট)ও বেড়েছে যদিও প্রথম আলো-ডেইলিস্টার কোন প্রমান ছাড়াই বলছে দিন দিন কমছে।
২০০৮ সালে ইসলামী ব্যাংকের মোট ডিপোজিট ছিল ২৫,০০০/- কোটি টাকা, ২০১৭ তে এস আলমের শেয়ার প্রাধান্যে আসে।
আর করোনার আগে ২০১৯ সালে মোট ডিপোজিট ৮২, ০০০/- কোটি টাকা প্রায়
বর্তমানে কথিত ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ প্রভাবে এত টাকা সরিয়ে নেয়ার পরও ব্যাংকের মোট ডিপোজিট ১,৪৭,০০০/ কোটি টাকা প্রায় ।
এভাবে করে শাখা,উপশাখা,এজেন্ট সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সেবার মাধ্যমে মানুষের তথা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

জ্যাকেল বলেছেন: ইসলামি ব্যাংকের আজকের এই অবস্থার পেছনে এসআলমের কারসাজিই কাজ করেছে। যাহা আসলে সেইখ হাসিনার বুদ্ধি ছিল। আসলে শেইখ হাসিনা সার্বিকভাবে বাংলাদেশের জন্য অশুভ এক শক্তির প্রতিনিধিত্ব করেন।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসলামি ব্যাংকের আজকের এই অবস্থা! - এই সব গুজব। বাস্তবতা ভিন্ন।


দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ইসলামী ব্যাংকের বড় অঙ্কের শেয়ারের হাতবদলে শেয়ার বাজার চাংগা।
অতচ গত বছর থেকে গুজব ছড়ানো হচ্ছিল যে ইসলামী ব্যাংক দেউলিয়া হচ্ছে। অতচ বছশেষে ইসলামীব্যাঙ্ক সহ অধিকাংশ ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে। ইভেন সরকারি ব্যাঙ্কেরও। বিকাশ নগদ সব আর্থিক সব।

ব্যাঙ্কগুলোর স্টাফদের বেতন ২-৩ বৃদ্ধি পেয়ে লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশী বেতন দেয়া ব্যাঙ্ক এর ভেতর ইসলামী ব্যাংক একটি। প্রতিটি ব্যাঙ্ক নতুন অফিসার নিয়োগ দিচ্ছে। পত্রিকা খুললেই পাবেন।
ব্যাঙ্ক খাত রুগ্ন হলে এসব কি সম্ভব হত?

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:১০

রাজীব নুর বলেছেন: আমার বাবা শেখ মুজিব এবং আওয়ামীলীগের অনেক বড় ভক্ত ছিলেন।
প্রতি বছর শেখ মুজিবের নামে কোরবানী দিতেন। ১৫ আগস্ট দুই ডেক তেহারি রান্না করে গরীব দুঃখীদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। আমাদের বসার ঘরে শেখ মুজিবের বড় একটা বাঁধাই করা ছবি ছিলো। কেউ শেখ মুজিব বা আওয়ামীলীগের বদনাম করলে আব্বা রেলে বেগুনে জ্বলে উঠতো।

আমার মনে হয় আপনি আমার বাপের চেয়ে আওয়ামীলীগের বড় ভক্ত।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই সামু ব্লগে হাজার হাজার ব্লগারের ভেতর মাত্র ২ জন আওয়ামী সমর্থক।
আরোও অনেক আছে কিন্তু শ্বীকার করতে চায় না একবার জানাজানি হলেই তো তার কবিগিড়ি শেষ। জনপ্রীয়তা শেষ।

৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:০০

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনি বিদেশে বিনিয়োগ করতে চান? তাহলে শুধু বিদেশে কোন স্থানীয় বাংলাদেশীর সাথে যৌথভাবে একটা কোম্পানি খুলুন । এরপর বাকি বৈধ কাগজ পত্র বানানো , বিনিয়োগ করা সব সেই করে দিবে। সিঙ্গাপুরে বহু বালাদেশি এইভাবে টাকা কামিয়ে এখানে বেগম পাড়া গড়েছে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশে অতিরক্ষণশীল অর্থনীতি এর কারণ।

একজন ব্যবসায়ী যে দেশে লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান করছে। যার বিলিয়ন ডলার এর উপরে বৈধ আয়।
সেই ব্যক্তি বিদেশে গাড়ি বাড়ি করা আমি অতটা খারাপ চোখে দেখি না।

কিন্তু একজন রাজনীতিবিদ বা সরকারি আমলা যার পর্যাপ্ত অর্থ নাই বিদেশে এত সম্পদ করা। এটাকে আমি গুরুতর অপরাধ হিসেবে দেখি।

৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:১৮

কামাল১৮ বলেছেন: প্রায় সবাইকেই ৭২ থেকে চিনি।এবং সচেতন নাগরিক হিসাবে সবার খবরই রাখা ছিলো।সেসব কথা বললে এখন আর কেউ বিশ্বাস করবে না।কে কি করেছে সব আমার দেখা।আটরশি অনেক কে বাচিয়েছে।
তবে এটা ঠিক যে চালাকিতে সবাই সমান পারদর্শী ছিলো না।কেউ কেউ মারা পরে গেছে তাঁদেরই পিস্তলের গুলিতে।এই দুর্বিত্ত অর্থনীতিই দেশকে ডুবিয়েছে।বাংলায় একটা কথা আছে,দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ইসলামি ব্যাংকের মত বেশিরভাগ ব্যাঙ্কই এখনো লাভজনকই আছে।
বিদায়ী বছরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের নিট মুনাফা হয়েছে ৬১৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে এ ব্যাংকের নিট মুনাফা ছিল ৪৮০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
নিট মুনাফা বেড়েছে ২৮ দশমিক ২৮ শতাংশ।
২০২২ সালের জন্য শেয়ারধারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের (ডিভিডেন্ট) সুপারিশ করেছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ।
ব্যাঙ্কগুলোর স্টাফদের বেতন ২-৩ বৃদ্ধি পেয়ে লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশী বেতন দেয়া ব্যাঙ্ক এর ভেতর ইসলামী ব্যাংক একটি। প্রতিটি ব্যাঙ্ক নতুন অফিসার নিয়োগ দিচ্ছে। পত্রিকা খুললেই পাবেন।
ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হলে এসব কি সম্ভব হত?

১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৪৬

আমি নই বলেছেন: ২০০৫ এবং ২০১৮ আন্তর্জাতিক মানিলন্ডারিং আইন অনুযায়ী বর্তমানে পৃথিবীতে কোথাও অবৈধ অর্থদিয়ে সম্পত্তি ক্রয় করা যায় না

এই লাইনটা কি আপনি নিজে বিলিভ করেন?

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আমি নিজেই ভুক্তভোগী।
আমি বাড়ি কেনার সময় বাংলাদেশ থেকে আনা 7000 ডলারের একটি ডলারও ব্যবহার করতে পারেনি।
এমনকি কেনার আগে প্রাথমিক আর্নাস্ট মানিও দিতে পারিনি বাংলাদেশ থেকে আনা টাকা থেকে।
বলা হয়েছিল এই টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে চেক দিলেও হবে না।

ব্যাংকে ক্যাশ জমা দিলেও আইআরএস বাংলাদেশের ট্যাক্সের ডকুমেন্ট চাইতো। আর বাংলাদেশ থেকে সন্তোষজনক জবাব না পাওয়া গেলে ৩০ থেকে ৪৫% ট্যাক্স দেওয়ার পরে বাকিটা দিতে পারতাম।

১১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশে ব্যাংকগুলির ভিত্তি বাইরের দেশগুলির চেয়েও অনেক শক্ত। এই কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসে ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার ঘটনা খুব কম। ইসলামী ব্যাংক এখনও অনেক শক্তিশালী একটা ব্যাংক। প্রাইভেট সেক্টরে এতো শক্তিশালী দেশীয় ব্যাংক আর নাই। তবে এগুলি নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। শুধু ইসলামী ব্যাংক না প্রাইভেট ব্যাংকগুলিতে ঋণ নিয়ে সমস্যা আছে এবং দুর্নীতি আছে। যদিও এগুলি তেমন বড় কোন সমস্যা না প্রাইভেট ব্যাংকগুলির জন্য। নতুন প্রজন্মের কয়েকটা ব্যাংক ছাড়া সব প্রাইভেট ব্যাংক ভালোই চলছে। সরকারী ব্যাংকে খেলাপি ঋণ অত্যধিক। এটার পিছনে রাজনীতি এবং দুর্নীতি আছে। তারপরও সরকারী ব্যাংকগুলি আর্থিক ভিত্তি খারাপ না।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হ্যা সেটাই।
বিসিসিআই ও আলবারাকা ব্যাঙ্ক দেইলিয়া হয়েছিল সামরিক সরকারের আমলে।
কিন্তু গ্রাহকরা টাকা ফেরত পেয়েছে হাসিনার আমলে। আলবারাকা পরে ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক হলে কয়েক বছর পর ওরিয়েন্টালও দেউলিয়া হয়েছিল, রিসেন্ট বেসিক ব্যাঙ্ক ফারমারস ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হলেও সরকার সামাল দিয়েছে।

খেলাপি ঋন নিয়ে খুব বেশী উদবেগ দেখা যায়।
বাংলাদেশে সরকারি ব্যাঙ্কের খেলাপি ঋন ২০-২২% মত যা উদ্বেগজনক। এটা একদিনে হয় নি, সাইফুর রহমানের আমলের ঋনের বোঝা বর্তমানের সাথে যুক্ত হয়ে এখনো ঘানি টানতে হচ্ছে রাষ্ট্রকে। তবে বিভিন্ন কারনে বর্তমানে কয়েক বছর ধরে সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে বেসরকারি খাতে ঋন প্রদান প্রায় সম্পুর্ন বন্ধ আছে।
বর্তমানে ব্যাঙ্কিং খাতের সব ঋনই বেসরকারি খাতের। বেসরকারি খাতের খেলাপি ঋন খুবই কম। ৫.৫% মাত্র। (আইএমেফের বিপদ সীমা ১০%) বিদেশী ব্যাঙ্কে ৪%

১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:২৮

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ইসলামী ব্যাংক যেভাবে এস আলম গ্রুপের পকেটস্থ[link||view this link]

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

(ডিজিএফআই) সদর দপ্তর থেকে ফোন করা হয় ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও একজন ভাইস চেয়ারম্যানকে। এরপর তাদেরকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত গোয়েন্দা সংস্থাটির দপ্তরে। সেখানে আগে থেকেই প্রস্তুত করা ছিল তাদের পদত্যাগপত্র।

নেত্র নিউজের এসব আজগুবি কথা পাগলেও বিশ্বাস করবে না।
১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করা ইসলামী ব্যাংক শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৮৫ সালে।

বিসেন্টলি ইসলামী ব্যাঙ্ক সরকার দখল করেছে বলে গুজব চারিদিকে।
অতচ কেউ কাউকে দখল করেনি। সরকারও মালিকানা নিয়মে হস্তক্ষেপ করে নি। বহু আগে থকে এস আলমের শেয়ারছিল ইসলামীব্যাঙ্কে। দখল কিভাবে?
ইহা ব্রিটিষ আমলের কোম্পানী আইন। কম্পানীতে যার বিনিয়োগ বেশি মালিকানায় তার বেশি প্রাধান্য হবে। সারা বিশ্বেই এই আইন।
ইসলামী ব্যাঙ্কের এককালিন মালিক যদি এতই ইসলামি হয়ে থাকে তাহলে তার ব্যাঙ্কটিকে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্তি করলো কেন, আদর্শ ভদ্র ব্যাঙ্ক হিসেবে থাকতো। কে মানা করেছে।
আর শেয়ার বাজারে না হয় ভুলে ঢুকলো কিন্তু দিনের পর দিন অতি লাভে শেয়ার গুলো বেঁচলো কেন? না বেচলেই তো হত।

দেশে তো আইন আছে, আইন মানবেন না?

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও কোম্পানী আইনে কোম্পানিতে পরিচালক হতে হলে ওই পরিচালকের হাতে কোম্পানিটির ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকতে হয়,
কিন্তু অতিলাভে শেয়ার বেচতে বেচতে জামাতিদের একচেটিয়া আধিপত্যে যখন শেষ হয়ে যায়। তখন জামাতের ভারাটে মিডিয়া প্রথমআলো-ডেইলিস্টার দিয়ে বলানো হচ্ছিল। জামাতের উপর জুলুম হচ্ছে। দখল হচ্ছে। ইসলাম ধ্বংশ হচ্ছে।
বাস্তবে জামাতিরা তাদের শেয়ার ধিরে ধিরে বিক্রি করে। ২% শেয়ারও যদি হাতে না থাকে তাহলে কি ভাবে ৯ পরিচালকের একজন পরিচালক হবে?
২০১৭ এনুয়াল মিটিংএ জামাতিরা ব্যাঙ্কটিতে কতৃত্ব হারায় অতি লোভের কারনে। কিন্তু ব্যাঙ্কের কোন ক্ষতি হয় নি।
২০১৭র জামাতি ব্যাথা নির্বাচনের আগে হাজির করছে প্রথম আলো ডেইলি স্টার মিডিয়া । টাকা খেয়ে যা করছে, সেটা অপসাংবাদিকতা।

১৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অর্থ পাচার প্রতিরোধ সূচকে বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি
নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৩, ০১: ০১


অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে। বাসেল অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) সূচক-২০২৩ এ বাংলাদেশ পাঁচটি দেশকে পেছনে ফেলে র‌্যাঙ্কিংয়ে ৪১ থেকে ৪৬ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। এই সূচকে ২০২২ সালেও আট ধাপ উন্নতি হয়েছিল বাংলাদেশের।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক দ্য বাসেল ইনস্টিটিউট অন গভর্ন্যান্স ১৫২ দেশের অর্থ পাচার (মানি লন্ডারিং) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঝুঁকি নিরূপণ করে ২০২২ সালের এএমএল সূচক তৈরি করেছে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাসেল এএমএল সূচক অনুযায়ী, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিশ্বে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে রয়েছে হাইতি (১), চাদ (২), মিয়ানমার (৩) ও কঙ্গো (৪)। আর সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে রয়েছে আইসল্যান্ড (১৫২), চীন (২৭), যুক্তরাষ্ট্র (১১৯) ও যুক্তরাজ্য (১৪০)। এ সূচকে যে দেশের যত বেশি নম্বরে অবস্থান, সে দেশ তত বেশি কম ঝুঁকিপূর্ণ।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে উন্নয়নের কারণ হিসেবে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কাঠামোর মানোন্নয়নের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গীকার, আন্তসংস্থার কাজের সমন্বয়, আর্থিক খাতে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে সরকারের পর্যাপ্ত লোকবল ও অর্থের সংস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

উল্লেখ্য, দ্য বাসেল ইনস্টিটিউট অন গভর্ন্যান্স গত ১২ বছর ধরে পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বাসেল এএমএল সূচক প্রকাশ করছে। সেগুলো হচ্ছে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার পরিপালন, ঘুষ ও দুর্নীতি, আর্থিক স্বচ্ছতা ও মানদণ্ড, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি এবং আইনগত ও রাজনৈতিক ঝুঁকি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.