নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদিলুরের কঠিন শাস্তির দরকার ছিল।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:২৯

আদিলুর প্রথমে মৃতের সংখা ২৫০০ বলে দাবি করেছিল।
আদিলুরের ভুয়া গালগল্পকে প্রতিষ্ঠিত করছিল দিগন্ত আলু-স্টার-জাজিরা মিলে।
সেই সুত্রে এমনেষ্টি ও হিউমেন রাইট ওয়াচও মৃতের সংখা ২৫০০ বলে এই হত্যাকান্ডের নিন্দা করেছিল।
পরে মিডিয়া ও সরকার চেপে ধরলে আদিলুর নিহতের সংখা ১২০ এর মত বলে, কিন্তু কোন নাম দেয় নি।
এরপর প্রবল চাপাচাপির পর ৬১ জনের নাম দেয়, যার প্রায় সবই ভুয়া নাম ঠিকানা, পুর্বেই ইন্তেকাল করেছেন, এবং অনেকেই বেচে আছে।
আদিলুরের মিথ্যা রিপোর্ট সেই সময়ে একটা মারাত্বক উষ্কানি।

আমেরিকার মতো দেশে ক্যাপিটল হামলায় দাঙ্গা হাঙ্গামা উসকে দেওয়ার জন্য দীর্ঘমেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আদালত ঝামেলার ভয়ে শাস্তি কম দিল।
আদিলুর এর মিথ্যা রিপোর্টে দেশে পুনরায় দাঙ্গা হাঙ্গামা শুরু হতে পারতো, প্রাণহানি হতে পারত। তার কঠিনতম শাস্তি হওয়া উচিত ছিল।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৫৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই লোকটার কম করে হলেও ১০ বছরের শাস্তি হওয়া উচিৎ ছিলো। ২৫ হাজার লোক হত্যা করা হয়েছে, গণহত্যা চালানো হয়েছে, সব লাশ রাতের আধারে পেট ফেরে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে, চারিদিক লাশের ছড়াছড়ি ইত্যাদি এইসব গুজব আমি তখন থেকেই শুনে আসতেছি কিন্তু প্রকৃত আর্থে ১০ জনের লাশেরও কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায় নি।

বিম্পি জামাতের রাজনীতির মূল ভিত্তিই হচ্ছে গুজব, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হাউকাউয়ে শেখ হাসিনার দমে যাওয়া চলবে না, শেখ হাসিনা দমে যাওয়ার পাত্র নন, যে সকল দেশি, বিদেশী প্রতিষ্ঠান এই গুজব ছাড়াতে সহয়তা করেছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হোক।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


ধন্যবাদ জ্যাক স্মিথ
মতিঝিলে সে রাতে কেউ নিহত হয় নি।
গুলির শব্দ রবারের বুলেট আর সাউন্ড গ্রেনেড।

বাংলাদেশে পুলিশী ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে সার্থক সফল অপারেশন,
বিশ্ব 'মব কন্ট্রল' ইতিহাসেও এটি সফল মাইল ফলক হিসাবে থাকবে,
দু লক্ষ মারমুখি অবরোধকারিদের প্রায় বিনা রক্তপাতে, সাঊন্ড গ্রেনেড, রাবার গুলি প্রভৃতি নন লেদাল ওয়েপন ইউজ করে মাত্র ১০ মিনিটে সরিয়ে দিয়ে .. সবকিছুর নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি সম্পর্ন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।

যেটা মিশরও পারেনি, মিশরে এরচেয়ে কমসংখক ব্রাদারহুড সমর্থকদের তাড়াতে পুলিশ ও আর্মি প্রায় একহাজার মানুষ হত্যা করে, এরপরেও দমন করতে পারেনি। আর গাদ্দাফি তো জনসভায় বিমান হামলা চালিয়েছিল।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:০৪

কামাল১৮ বলেছেন:
আমি নতুন করে আর কিছু লিখছি না।জ্যাকের সথে এক মত।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল ভাই।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: জ্যাক স্মিথ সঠীক মন্তব্যে করেছেন।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২৮

শার্দূল ২২ বলেছেন: এই বিষয়ে নিজের মজার অভিজ্ঞতা শেয়্যার না করে পারছিনা।
কিভাবে আজব কথা গুজব হয়ে মানুষের জন্য আজাব বয়ে আনে তার একটা নমুনা।

আমার বাসা তখন পল্টন কালভার্ট রোডে ১৫ তলা বিল্ডিংএর ১১ তলায়, সে রাতে ঘটনা আমি বসে বসে ১৫ তলা ছাদ থেকে দেখেছি, দিনের বেলায় মহাবীর দুর্বলসিংরা যখন সারা ঢাকা শহর তোলপাড় করে দিলো। পল্টন এরিয়া ভাংচুর জ্বালাও করে তারা যখন রাতেও পীর বাবার মঞ্চ ঘিরে বসে শুয়ে কাটাচ্ছিলো ঠিক তখন পুলিশ লাইট অফ করে মতিঝিল এলাকা অন্ধকার করে তিন দিন থেকে শব্দ গুলি করতে করতে এগুচ্ছে তখন তারা সাংঘাতিক ভয় পেয়ে যায়, সম্পুর্ন মানসিক ভাবে তাদের দুর্বলে করে দিয়েছে, শব্দ গুলি এবং অন্ধকার এই দুটো বিষয় যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে সেদিন যারা সেখানে ছিলো তারাই জানে সেই সাথে আমিও, দিকবেদিক হারিয়ে মহাবীর রা ইদুর বনে গিয়েছিলো সেদিন।
যেই এই পরিকল্পনা করেছে সে মেডেল পাওয়ার যোগ্য। যাইহোক মতিঝিল মুক্ত। পরদিন সকালে ঐ এলাকা মোটামুটি থমথমে শান্ত, আমি নিচে নেমে কালভার্ট রোডে একটা চায়ের দোকানের সামনে বসা। ওর পাশেই একটা ম্যনহোলের ডাকনা খোলা, সেখানে কিছু মানুষ গোল হয়ে আফ্রিকান মাগুর মাছের ঢু মারা দেখেছে, পাশে একজন রিক্সা দিয়ে যাচ্ছে সে জানতে চাইলে গোল হয়ে কি দেখেছে, একজন বললো মাছ, রিক্সায় বসা লোকটি আমার দিকে লক্ষ্য করে বললো, দেখেন লাশ কাল রাতের, আমি তাকে থামিয়ে বললাম ভালো করে শুনে বুঝে দেখে যান, এখানে লাশ না , মাছ।

এভাবেই সব কিছু ছড়ায় আর আমরা যারা বিরোধিতা করি তারাই মাছ কে লাশ বানাই সরকারকে বিপদে ফেলতে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

তবে আমি সে সময়ে ঢাকায় ছিলাম।
সেদিন ভোরে টিভিতে খবর দেখলা রাস্তায় দুএকটা রিক্সা চলছে। আমি সাহস করে ঘটনার পর সকাল ৭ টার দিকে জিগাতলা থেকে রিক্সায় সেখানে যাই। তখনো ফুটপাতে আগুন ও সিপিবি অফিসের নিচতালা থেকে গতকালের আগুনের ধোয়া বেরচ্ছিল, রাস্তায় অনেক জুতা সেন্ডেল দেখেছি অস্ত্র হাতে বিপুল সংখক পুলিশ ছিল। সবার মত আমিও নিশ্চিত ছিলাম অনেকে নিহত হয়েছে। কিন্তু রাস্তা ফুটপাতের কিছু লোককে জিজ্ঞেস করে কিছু বলতে পারে নাই। বুঝলাম তারা খুবই উল্লোসিত! বলছিল "বানাইছে হালাগো ... সরকারের লগে লাগতে আইসে .. পুলিশ ভালা মত শিক্ষা দিছে"!
সিটি কর্পোরেশনের কর্মিরা ততক্ষনে আবর্জনা, ইটের টুকরা পরিষ্কার করে রাস্তার একপাশ চালু করে দিয়েছে, রিক্সাও চলছে দুএকটা।
আমি মুলত খুজছিলাম রক্ত বা গুলির দাগ, থাকবে দেয়ালে, আইল্যান্ডের প্রান্তে, দোকানের শাটারে, বৈদুতিক খুটিতে। কোথাও পাইনি। কোথাও একফোঁটা রক্তও দেখিনি।
এটিএম বক্সের সিকুরিটিরাও তেমন কিছু জানে না। বলল, গুলির শব্দে কানে আঙ্গুল দিয়া ভেতরে বসে ছিলাম। তবে পুলিশ সাক্সেস্ফুল হওয়াতে তারাও খুব সন্তুষ্ট বোঝা যাচ্ছিল।

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭

ধুলো মেঘ বলেছেন: কোন লোকই তো মরেনি আসলে। মুখে জিহাদ জিহাদ বলে চিৎকার করলেও অন্ধকার আর গুলির শব্দে সব পালিয়ে গিয়েছিল।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হ্যা সেটাই।
প্রথম দিনই ৩০০০ নিহতের দাবি করেছিল বিএনপি।
২ দিন পর বিএনপি একটি গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত করেছিল সেখানে সাদেক হোসেন খোকা জোড় গলায় ৩০০০ নিহতের দাবি করেছিল।
এরপর আদিলুরের ওয়েবসাইট অধিকার নিহতের সংখ্যা ২৫০০-এর বেশি হবে দাবি করা হয়েছিল।
আলজাজিরা ক্রমাগত ভাবে ২৫০০-এর বেশি নিহতের সচিত্র খবর দিয়ে যাচ্ছিল।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এশিয়ান হিউম্যান রাইটস নিহতের সংখ্যা ২৫০০-এর বেশি হতে পারে বলে দাবি করেছিল। সুত্র হিসেবে বাংলাদেশের মানববাধিকার সংস্থা গুলো থেকে, তথা আদিলুরের অধিকার এর মত তথাকথিত দানবাধিকারের সংস্থাগুলো থেকে।
তবে এইসব গুজব হালে পানি পায় নি।
আদিলুর পরে নিহতের সংখা কমিয়ে ১২০ এর মত বলে, কিন্তু কোন নাম দেয় নি।
এরপর প্রবল চাপাচাপির পর ৬১ জনের নাম দেয়, যার প্রায় সবই ভুয়া

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৩

কিরকুট বলেছেন: অবশ্যই। আমি একমত।! এই লোক একটা দেশে দাংগা বাধানোর পায়তারা করছিলেন। ওর শাস্তি অনেক অনেক কম হয়ে গছে। একে আজীবন সশ্রম কারাবাস সেই সাথ প্রতি শুক্রবার ঢাকার সকল নর্দমা সাফ (একদম ঝকঝকা সাফ) করার শাস্তি দেয়া উচিৎ ছিলো।

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আদিলুর এর মিথ্যা রিপোর্টে দেশে পুনরায় দাঙ্গা হাঙ্গামা শুরু হতে পারতো, প্রাণহানি হতে পারত। তার কঠিনতম শাস্তি হওয়া উচিত ছিল।

ফিতনা ফাসাদ সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও গুরুতর অপরাধ।
সূরা আল বাকারা আয়াত নম্বর ১৯১, ২১৭।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ গেঁয়ো ভূত ভাই।

"ফিতনা ফাসাদ সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও গুরুতর অপরাধ"।
পবিত্র কোরানের মোক্ষম একটি আয়াত।
কিন্তু চোরে শুনে না ধর্মের কাহিনী।

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: সেদিনের কথা আমার মনে আছে।
সেদিন পুলিশ ওদের খুব সুন্দর ভাবে সরিয়ে দিয়েছে। নইলে ওরা সাংঘাতিক কিছু করে ফেলতো। হ্যাঁ সেদিন কেউ মারা যায়নি। সেদিন ওদের ইচ্ছা ছিলো মতিঝিলের সব ব্যাংকে ডাকাতি করা।

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: সেদিনের এমন মিথ্যা রটনার জন্য অবশ্যই এ লোকটার শাস্তি হওয়া উচিৎ। দেশ বেঁচে গেছে ভয়ঙ্কর এক দাঙ্গার হাত থেকে। রাজনৈতিক কিছু ব্যাপারে আপনার সাথে একেবারেই ভিন্নমত পোষন করলেও এব্যাপারে সহমত পোষন করছি।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

শেরজা তপন ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ।
অনেক সাহস করে কিছু বলতে পারলেন।

১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:




মিসইনফর্মেশন স্প্রেড করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ২ বছর জেইল আর মাত্র ১০ হাজার টাকা জরিমানা খুব সামান্য পানিশমেন্ট। রায় হবার পর ক্যামেরার সামনে যেভাবে হাসিমুখে দেখা গেছে, মনে হচ্ছিলো উনি নিজেও বুঝতে পারছেন এটা কোন সাজাই না।

কিন্তু কেনো এমন হলো, এতো অল্পের ওপর দিয়ে পার পেলো কিভাবে?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ধন্যবাদ মিরোরডডল, সুন্দর মন্তব্যের

আদিলুরের টিম 'অধিকার' এর আগে পরেও মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে গেছে। গুমের অভিযগে, বিশাল গুমের তালিকা।
কিন্তু সবই ভুয়া

অনেক পরে জানা যায় বেশীরভাগ গুমি গুম হয় নি। সুস্থ ও মুক্ত ভাবে বেচে আছে।
সব গুমের অভিযোগের ক্ষেত্রে পরিবারের কাছে ফিরে এসেছেন অনেকেই। ৯০-৯৯%
পত্রিকা থেকে সংগ্রহ করে দিলাম।

প্রতিটি ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রে কিছু অভিন্ন ছক বা মিল লক্ষ করা যায়। অপহৃত ব্যক্তিদের প্রায় সবাই মাইক্রবাসে উঠিয়ে কথিত অপহরণের দু তিন দিন পর ‘উদ্‌ভ্রান্ত’ অবস্থায় কোনো সড়কে হাটতে দেখা যায়। বা গোপনে বাসায় ফিরে আসে, জানাজানি হলে বিভিন্ন অযুহাত কিন্তু ফিরে আসার পর অনেকে কোনো কথা মনে করতে পারেন না। বাকিরা ফিরে এসে মুখে কুলুপ আঁটেন। আবার অনেকে গোপনে বাসায় ফিরে আসেন। বাসায়ও তারা পরে আর কোনো কথা বলেন না। সরকার মনে হয় প্রত্যেকের বাকযন্ত্র অপসারন করে ছেড়ে দেয়।
আসলে এরা পাওনাদারের ভয়ে পালিয়ে ছিল বা গোপনে টার্কি হয়ে সিরিয়া তে জঙ্গি দলে যোগ দিতে গেছিল। ফিরে আসার পর তো কিছু বলা যায় না।

কথিত গুম বা নিখোঁজ চট্টগ্রামের সাংবাদিক গোলাম সরোয়ার। বেশ সোরগোল ফেলেছিল।
২০১৯ এ নভেম্বরের ঘটনা এটা। কিছুদিনের মধ্যেই গোপনে ফিরে আসেন কিন্তু সেদিন এক টকশো তে বলে কিভাবে কবে ফিরিলাম কিছুই মনে নেই, - ফাজলামির সীমা থাকা দরকার।


সাবেক কূটনীতিক মারফ জামান নিখোঁজ হন ২০১৭র দিকে।
ফিরে আসার পর তিনিও এ নিয়ে কিছু বলেননি। কারা তুলে নিয়েছেন, বা কোথায় ছিলেন কিছুই বলেননি তিনি। পরে বিদেশ থেকেও ঘুরে এসেছেন, কিছুই বলেন নি।

২০১৬, ১৫ অক্টোবর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ইকবাল মাহমুদ রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে,
৩০ নভেম্বর পাবনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী তানভির আহমেদ রংপুর থেকে পাবনা আসার পথে,
১ ডিসেম্বর তানভিরের বন্ধু ও একই মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী জাকির হোসেন পাবনার কলেজ ক্যাম্পাস থেকে
এবং একই দিনে বরিশালের চাকরিপ্রার্থী তরুণ মেহেদী হাসান হাওলাদার বনানী থেকে,
৬ ডিসেম্বর ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় রাকিবুল ইসলাম রকি লক্ষ্মীপুর থেকে নিখোঁজ হন।
এরা কেউ গুম হন নি, পুলিশও ধরেনি, ছেলেধরার হাতেও পড়েন নি। নিজেরাই ফোন বন্ধ রেখে ২-৩ দিনের ভেতর তাঁরা সবাই পরে ফিরে আসেন।
কিন্তু ব্যাপক গুমের গুজব ছিল, মিডিয়াতে।

চিকিৎসক ইকবাল মাহমুদের বাবা নুরুল আলম, পাবনা মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর বাবা সুরুজ্জামান ও নুরুল আলম সরকার মিডিয়াতে বলেন, সন্তান ফিরে আসাতেই তাঁরা সন্তুষ্ট। তাঁরা এ নিয়ে আর কিছু বলতে চান না।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান,
পুস্তক প্রকাশক তানভীর ইয়াসিন করিম,
সাংবাদিক উৎপল দাস,
কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আমিনুর রহমান,
আইএফআইসি ব্যাংকের কর্মকর্তা শামীম আহমেদ,
ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ রায়ও নিখোঁজ হয়েছিলেন।
পরে ফিরে আসেন। কিন্তু ব্যাপক গুমের গুজব ছিল
এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মোবাশ্বার ফিরে আসার পর অনেককিছুই বললেও নিখোঁজের দিনগুলো নিয়ে কিছুই বলেন না।
এই শিক্ষক এখন বিদেশে শিক্ষকতা করছেন।

রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ বা অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনেরা প্রত্যেকে গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তাঁদের মাইক্রবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফিরে আসার পর নিখোঁজ ব্যক্তিরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বলেছেন, কিছু মনে নেই। এর বাইরে তাঁরা কেউ আর বিস্তারিত কিছু বলেননি।

সরকারের উচিত ছিল আরো শক্তভাবে তদন্ত করে এসবের বিচারের আওতায় আনা।

ধন্যবাদ।

১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলাম কাদের প্ররোচনায় ও মদদে মাদ্রাসার দরিদ্র ছাত্রদের নিয়ে অবস্থান নিয়েছিল, তা নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে। কিন্ত রাতে মতিঝিল এলাকায় লাইট বন্ধ করে যেভাবে মাদ্রাসার ছাত্রদের পুলিশ খুন করেছে , সেটা নিয়ে আসলে বিতর্কের অবকাশ নাই। শাপলা চত্বরে নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি জামাত মিথ্যাচার করলেও মানবাধিকার সংগঠন অধিকার করেনি। তারা নিহতদের তালিকা পর্যাপ্ত প্রমান সাপেক্ষেই প্রকাশ করেছে। আর তাই আদিলুর রহমানের রিপোর্টেই বহির্বিশ্ব বিশাষ স্থাপন করছে । আমাদের দেশের রাজিনীতিবিদদের কথা বা রিপোর্টকে বহির্বিশ্ব এক ফোটাও বিশ্বাষ করে না।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক টুইটে বলেছে, ‘ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনাল নিপীড়নমূলক আইসিটি আইনের অধীনে মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রধান আদিলুর রহমান খান এবং এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে। এক দশক ধরে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও অভিযুক্ত করার পর তাদের এই সাজা দেয়া হলো’।
এতে বলা হয়, “২০১৩ সালে একটি বিক্ষোভে রাষ্ট্রের পরিচালিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নথিভুক্ত একটি তথ্য-অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অধিকার ও তার প্রধানদের উপর রাষ্ট্রের এ ধরণের দমন-নিপীড়ন ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে সত্য বলার অধিকারের উপর হামলা।”
অধিকার-এর সম্পাদক ও পরিচালকের কারাদণ্ডের রায়ের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকায় থাকা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। এতে বলা হয়েছে, “ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস মানবাধিকার সংগঠন অধিকার’ এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে আজকের রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং মনে করছে এটি মানবাধিকারকর্মী এবং সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক ভূমিকা পালনের সক্ষমতাকে আরও দুর্বল করে দিতে পারে।”

এই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ হিসেবে আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজকে অব্যাহতভাবে সমর্থন করি এবং মৌলিক অধিকার নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টার বিরোধিতা করি।” সুত্র ঃ বিবিসি বাংলা

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


অ্যামনেস্টি ও হিউমেন রাইট ওয়াচ পৃথিবীর যে কোন স্থানে ফাঁসি জেল হলে গতানুগতিক প্রতিবাদ জানায়।
এইসব মেশিন জেনারেটেড রোবোটিক প্রতিবাদ। হাস্যকর।
এরা তোহা ফরহাদ মাজাহার ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন গুম হওয়ার প্রতিবাদ করেছিল, পরে এইসব গুম মিথ্যা প্রমানিত হয়েছিল।
কিন্তু মেশিন দুঃখ্য প্রকাশ করে কোনকিছু জেনারেট করে নি।

আমাদের হলুদ মিডিয়াগুলির কারবার দেখেন!
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল। ফালতু প্রস্তাব দেখে সদস্য দেশগুলো হলে উপস্থিতও ছিল না। ২৭ টি দেশের মাত্র ৮ সদস্য উপস্থিত ছিল। (অনলাইনে না ফিজিক্যাল জানা যায় নি) সভায় উপস্থিত ৮ জনের ৭ জন বক্তা বক্তব্য রাখেন।
নিয়মমাফিক ভোটাভুটি হলে ৬-২ ভোটে প্রস্তাবটি নাকচ হয়। কোরাম বিহীন সভায় এমনিতেই নাকচ হইতো।
মানে ২৭ দেশের মাত্র ২ ছোট দেশ ফালতু প্রস্তাবটি এনেছিল। (হয়ত কোন লবিং এর মাধ্যমে)
অতচ আমাদের সব বড় মিডিয়াতে ফলাও করে - ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ
কিন্তু ২৭ দেশের মাত্র ২ ছোট দেশের উদ্বেগ। নিশ্চিত ভাবেই লবিং এর মাধ্যমে।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.