নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিবৃতিদানকারি একজন আমেরিকান সিনেটর ঘুষ গ্রহণের দায়ে ধরা পড়ে গেলো

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫১



বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী বিবৃতিদানকারি একজন আমেরিকান সিনেটর ধরা পড়েছে।
সিনেটর বব মেন্ডেজ এফবিআইএর হাতে হাতেনাতে ধরা পড়েছে। ঘুষগ্রহন! । তার ঘর থেকে ৬ লাখ ডলার ক্যাশ, বেআইনি কিছু স্বর্নের বার ও বিলাশবহুল মার্সিডিস গাড়ী মার্সিডিস গাড়ী উদ্ধার করা হয়েছে । তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। মিশরের কাছ থেকে ঘুশ খেয়েছে মোটামোটি প্রমান পাওয়া গেছে। ঘুষদাতা ৩জনও গ্রেফতার।
আশাকরি জামাত বিনপির কাছ থেকে কত ডলার খেয়েছে এসবও প্রমানিত হবে ইনশাল্লাহ।
তাকে এখুনি পদত্যাগ করতে বলা হচ্ছে না। এখানেও রাজনীতি কারন সিনেটে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান সদস্য সমান সমান, একজন পদত্যাগ করলেই সিনেটে সংখাগরিষ্টতা হারাবে ডেমোক্রেট বাইডেন সরকার।
আমিরিকার আইনে বিচার শেষ নাহওয়া পর্যন্ত কাউকে দোষি বলা যায় না। এই অযুহাতে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: কারও হাতই দেখি পরিস্কার না!

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আমেরিকায় রাজনীতিবিদদের ঘুষ খাওয়া দুর্নীতি করা নতুন কিছু নয়।
এর আগেও একাধিকবার সিনেটর বা কংগ্রেসমেনদের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার প্রমাণ পাওয়া গেছিল।
এই লোক অবশ্য জনপ্রিয় হলেও দন্ডপ্রাপ্ত চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ। এর আগে ২০১৫ এর দিকে এক মোটা অংকের ঘুষ খেয়ে ধরা পড়ে জেল দন্ড হয়ে গেছিল, আদালতে অপরাধ নিরঙ্কুশ ভাবে প্রমাণিত হয়েছিল। জজ সাহেব রায় দিয়ে দিয়েছিলেন। জুরি বোর্ডে একজন বাদে সবাই তাকে অপরাধী বলেছিল। জেলেই ছিল।
কিন্তু কয়েক বছর জেলখাটার পর জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হিসাবে আদালত তাকে ছেড়ে দেয়। জজ সাহেব অজুহাত দিয়েছিল যেহেতু ৭ জনের একজন জুরি বোর্ডের সদস্য তাকে নট গিল্টি বলেছিল তাই সে নির্দোষ হতেও পারে। হাস্যকর অজুহাত। তবে জজের উপর কেউ কথা বলে না। আমেরিকান জজ সাহেবরা কিন্তু দলীয় লোক। নির্বাচিত হয় দলীয়ভাবে। তবে আইন মেনে চলে যা করে আইনের ভিতরে ই। তবে আমেরিকায় অপরাধী ধরতে পুলিশ এফবিআই ও আয়কর বিভাগ IRS খুবই একটিভ।

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩

নতুন বলেছেন: তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। মিশরের কাছ থেকে ঘুশ খেয়েছে মোটামোটি প্রমান পাওয়া গেছে। ঘুষদাতা ৩জনও গ্রেফতার।

তিনি ঘুষ খেয়েছেন ধরা পরেছেন তাকে কি হইছে?

আমাদের দেশের আপনার পূজ্য দলের নেতারা তো সবাই দূনিতিবাজ। তাতে তো আপনি দলের সমর্থন বন্ধ করবেন না।

এই খবরে কি কারনে খুশি হইতেছেন বুঝতে পারলাম না।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আমাদের দেশের নেতারা তো সবাই দূনিতিবাজ। এটা ফালতু অতিকথন।
পৃথিবীর সব দেশেই দুর্নিতি আছে বাংলাদেশেও আছে, অনেক। তবে বিম্পি আমলের মত সেই মাত্রায় রাজনৈতিক প্রধানদের দুর্নিতি নেই, সামান্য থাকলেও সেই মাত্রায় নেই।
বাংলাদেশে দুর্নিতী করছে মুলত সরকারি আমলারা। তবে তাদেরকে ধরার ব্যাবস্থা হচ্ছে। সময় লাগবে।

বাংলাদেশে ও সারা পৃথিবীতে আগামী পাচ-সাত বা দশ বছরের ভেতর দুর্নিতি অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। সেটা টেকনলজির সার্বিক ব্যাবহারেই দুর্নিতী বিলুপ্ত হবে।

আগামী পাচ-সাত বছরের ভেতর পৃথিবীর সব দেশেই ক্যাশ টাকা বিলুপ্ত হবে, (ছোট ছোট কিছু নোট থাকতে পারে) সব টাকা হবে ইলেক্ট্রনিক মানি। আমেরিকার মত প্রত্যেককেই ট্যাক্স রিটার্ন + সম্পদের বিবরন দিতে হবে( জিরো ইনকাম জিরো সম্পদ থাকলেও।
ট্রাঞ্জেকশান হবে সব হাওয়ার উপর। ক্রেডিট, ডেবিট, ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং মোবাইল ব্যাঙ্কিং ইত্যাদি, বা আরো সহজ পদ্ধতি বের হবে।
কোন কারন ছাড়া ভাউচার, স্লিপ বা রিসিট ছাড়া বড় লেনদেন করলেই ধরা, তখন হয় তো গহনা বা ফার্নিচার দিয়ে ঘুষ দিবে। তবে ইতিমধ্যেই স্বর্নালঙ্কার দিয়েও ঘুষ দেয়াও বন্ধ হচ্ছে। ভারতে ইতিমধ্যেই স্বর্নালঙ্কার বিক্রিতে মালিকানার নন ভিজিবল ইলেক্ট্রনিক সিল বাধতামুলক করেছে। যেটা আমেরিকাতেও নেই। তবে হবেই। বাংলাদেশেও হবে।
তখন সারা প্ররতিবীতেই ঘুষ দুর্নিতী অনেক কমে শুন্যের কাছাকাছি আসবে।

সর্বশেষে একটি কথা।
বাংলাদেশী দুর্নিতী এবং দুর্নিতির টাকা পাচারের জন্য আমেরিকা-কানাডার মত উন্নত দেশরা ৯৯% দায়ী।
তারা টাকা চোরদের টাকার বস্তা সহ স্বাগতম জানিয়ে আশ্রয় না দিলে এদেশে এত দুর্নিতী হইতো না।
চোরাই টাকা বালিশের নীচে কয়দিন রাখতো?

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

সোনাগাজী বলেছেন:




ভিসানীতি তো আমেরিকার ফরেন ডেস্ক থেকে আসছে।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি ঠিকই বলেছেন।
ভিসানীতি তো আমেরিকার ফরেন ডেস্ক থেকে এসেছে। এই হারামজাদাও সিনেটের ফরেন রিলেশনস কমিটির প্রধান ছিলেন।
তবে উনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বড় কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি, হয়তো পর্যাপ্ত টাকা দেয়নি।
নাম মাত্র একটা ভিসা নীতি জারি হয়েছিল। যা ভিন্নভাবে পূর্বেই জারি ছিল।
নির্বাচনে বাধা দিলে তাকে ভিসা দেওয়া হবে না। আমেরিকার ভিসা আইনে কোন অপরাধীকে ভিসা দেওয়া হয় না। নির্বাচনে বাধা দেওয়া একটা ফৌজদারি অপরাধ, অপরাধ জানাজানি হলে ভিসা দিবে না এম্বাসি, খুবই স্বাভাবিক। ভিসা দেওয়ার এখতিয়ার একমাত্র এমবাসির।
এজন্য আলাদা নীতি করা হাস্যকর। এরপরে হাস্যকর কর্মটি হয়েছে টাকা খেয়ে নামমাত্র কিছু একটা করেছে পররাষ্ট্র দপ্তর।

৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

বাকপ্রবাস বলেছেন: আমিরিকা কেন লীগ সরকারকে ছাই দিয়ে ধরছে বলে আপনি মনে করেন? বিএনপি জামাত টাকা খাইয়েছে তায়? এগুলোতো লোকাল চা দোকানের কথাবার্তা। আপাতত মিশর এর জায়গায় বাংলাদেশ পড়ে সুখ লাভ করেন, আর সেলফি তুলে গলায় ঝুলিয়ে রাখতে বলেছে ফখরুল সাহেব।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

এগুলো লোকাল চা দোকানের কথাবার্তা নয়
তার বিরুদ্ধে চার্জ শিট দাখিল করা হয়েছে। দেখুন

U.S. Senator Robert Menendez, His Wife, And Three New Jersey Businessmen Charged With Bribery Offenses


৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

কামাল১৮ বলেছেন: শুনেছি আমেরিকায় ঘুষ জায়েজ।ঘুষ দিয়ে কাউকে দিয়ে কোন কিছু বলানো অন্যায় না।তাই ইউরোপিয়ানারী তাদের জংলী বলে।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


আমেরিকায় ঘুষ দেওয়া ঘুষ খাওয়া জায়েজ নয়। এত সহজ ও নয়।
তবে বৈধভাবে ডোনেশন দেওয়া যায়। তবে বছর শেষে উভয় পক্ষের আয়কর ফাইলে উল্লেখ করতে হবে। তবে আমেরিকার রাজনীতিবিদরা এলাকার ভোটারদের কাছে খুবই ফ্রেন্ডলি। বিপদে পড়লে ওদের অফিসে গেলে বা ফোন করলে ছোটখাটো কাজ বিনামূল্যেই করে দেয়। তবে কাজ শেষে বলে পারলে কিছু ভিক্ষা (ডোনেশন) দিয়া যান।
আর ঘুষ খাওয়াটা এত সহজ না। আইআরএস এর চোখ এড়িয়ে লেনদেন করা অনেক কঠিন। কোটি কোটি টাকা ক্যাশ লুকিয়ে রাখাও কঠিন। তাই এই হালার পুতেরে মিশরীয় ঘুষ দাতারা স্বর্ণের বার তৈরি করে ঘুষ দিয়েছিল।

৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: এইসব পয়সা দিয়ে তো কাজ কাম হয় ওখানে - ওপেন সিক্রেট ব্যাপার স্যাপার।
তাহলে এত সিরিয়াস হবার কি আছে হাসান ভাই?

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
না সিরিয়াস হই নি।
আমাদের প্রথমআলো-স্টার প্রধান মিডিয়া গুলো এতবড় খবরটা এড়িয়ে গেল, এজন্যই দিলাম।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২০ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম আর নির্যাতনের অভিযোগে র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসনকে মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির যে ১০ সদস্য চিঠি দিয়েছিলেন সিনেটর বব মেনেনডেজ ছিলেন তাদের অন্যতম। এর মাত্র বছরখানেক পর বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় এসে সাতজন কর্মকর্তার উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এসেছিল। চিহ্নিত দুর্নিতিবাজ অবস্যই ঘুষ খাইছিলো। এর আগেও ঘুষের দায়ে ২০ বছর জেলের ৭ বছর খেটে ট্রাম্পের আমলে এক অদ্ভুত উছিলায় ছাড়া পায়।
মুলত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যত চাপ হয়েছিল সবকিছুর সাথেই এই হালার পুত অর্থের বিনিময়ে করেছিল।

৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২০

কাঁউটাল বলেছেন: হালার পুত কত্ত খারাপ, ছি ছি, ঘুষও খাইছে।

৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৩

কাঁউটাল বলেছেন: তবে আপনে একটু সাবধানে লেখা লেখি এবং কথা বার্তা কইয়েন। হেরা যদি টের পায় আপনে হেরার বিরুদ্ধে ব্লগে কথা কইতেছেন, তাইলে আপনেরে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় দিতে পারে। অবস্থা কিন্ত সেই দিকে যাইতে পারে, কাজেই সাবধানের মাইর নাই।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকা আমারে ক্ষতি করার টাইম নাই।
আমেরিকা নিজেই চরম বিপদে, কংগ্রেসম্যানরা বাইডেন সরকারকে, বিপদে ফেলে দিছে, গভার্মেন্ট সাটডাউন এর মত অবস্থা হতে পারে। অবস্য স্পিকার ম্যাকার্থি আজ সন্ধায় একটা আপোষ প্রস্থাব দিছে।

৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৯

জুন বলেছেন: আমাদের দেশের মত পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে গ্রেফতার করার অবস্থা মনে হয় :(

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমাদের দেশের মত পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে ভ্যাজাল করার অবস্থা মনে হয় না।

এই লোক একজন দন্ডপ্রাপ্ত চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ।
এর আগে ২০১৫ এর দিকে এক মোটা অংকের ঘুষ খেয়ে ধরা পড়ে জেল দন্ড হয়ে গেছিল, আদালতে অপরাধ নিরঙ্কুশ ভাবে প্রমাণিত হয়েছিল। জজ সাহেব ২০ বছর জেল দন্ড রায় দিয়ে দিয়েছিলেন। জুরি বোর্ডে একজন বাদে সবাই তাকে অপরাধী সাব্যস্ত করে। ৭ বছর জেলেই ছিল।
কিন্তু ৭ বছর জেলখাটার পর জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হিসাবে আদালত তাকে ছেড়ে দেয়। জজ সাহেব অজুহাত দিয়েছিল যেহেতু ৭ জনের একজন জুরি বোর্ডের সদস্য তাকে নট গিল্টি বলেছিল তাই সে হয়তো নির্দোষ হতেও পারে। হাস্যকর অজুহাত।

১০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আরো একজন ধরা পড়লো

অনিয়ম করে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যপদ হারালেন জর্জ সান্তোস
সিএনএন
প্রথম আলো আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩: ৪৩

জর্জ সান্তোস ছবি রয়টার্স
নৈতিকতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত রিপাবলিকান জর্জ সান্তোসের কংগ্রেস সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ভোটে সদস্যপদ হারিয়েছেন তিনি।

নিউইয়র্কের রিপাবলিকান নেতা সান্তোসকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩১১ জন সদস্য। আর প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১১৪ জন। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ষষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হলেন সান্তোস।

এর আগেও একবার সান্তোসকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাবের ওপর প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটি হয়েছিল। তবে সেবার ডেমোক্রেটিক পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতারা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়ায় রক্ষা পেয়েছিলেন তিনি।

সম্প্রতি প্রতিনিধি পরিষদের নৈতিকতাবিষয়ক কমিটির এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, সান্তোস নির্বাচনী প্রচারের জন্য সংগৃহীত তহবিলের অর্থ নিজের জন্য ব্যবহার করেছিলেন। সান্তোস কীভাবে ভ্রমণ, সৌন্দর্য বৃদ্ধির চিকিৎসা ও বিলাসী পণ্য কেনায় এসব অর্থ ব্যয় করেছিলেন, সেগুলো বিস্তারিত উঠে আসে এই প্রতিবেদনে।

এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সান্তোষের সংকট বাড়ে। চাপের মুখে তিনি আর পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না বলে ঘোষণা দেন। তবে তাতে সন্তুষ্ট হননি কংগ্রেস সদস্যরা।

শুক্রবারের ভোটাভুটিতে হাউসে সান্তোসের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ চার নেতাসহ ১১২ জন সদস্য তাঁকে রাখার পক্ষে ভোট দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সান্তোসকে বহিষ্কারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির ১০৫ জন সদস্য। এর সঙ্গে ডেমোক্রেটিক পার্টির ২০৬ ভোট মিলিয়ে প্রস্তাবের পক্ষে দুই–তৃতীয়াংশ ভোট পড়েছে।

গত মে মাসে প্রতারণা, সরকারি তহবিল তছরুপ, মুদ্রা পাচার এবং কংগ্রেসে মিথ্যা বক্তব্য দেওয়াসহ ১৩টি অভিযোগে সান্তোসকে অভিযুক্ত করেন আদালত। এরপর অক্টোবরে তাঁর বিরুদ্ধে আরও ১০টি অভিযোগ তোলা হয় আদালতে। এসব অভিযোগে আগামী বছর তাঁর বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.