নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের অর্থনীতি কি ধ্বংশের পথে?

১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

বাংলাদেশের শুশীল সমাজ ক্রমাগত বলে যাচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংশের পথে।
কিন্তু বিশ্বব্যাঙ্ক আইএমএফ বলছে উল্টোটা।
আইএমএফ বলছে - সারা বিশ্বে জিডিপি কমে আসলেও বাংলাদেশে বাড়ছে।
আইএমএফের পূর্বাভাস, চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার ৩.৫০ থেকে কমে ৩ শতাংশে নেমে আসলেও বাংলাদেশে জিডিপি বাড়বে। আগে অনেক কম প্রবৃদ্ধির (৫)পুর্বাভাস থাকলেও এখন বলা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতিও কমছে।
প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়ার পাশাপাশি আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতিও কমছে। আরো কমবে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ শতাংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা ৭ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ২০২৮ সালে তা ৫ দশমিক ৫ শতাংশে নামবে।

সুত্র - প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: জ্বী না। আমাদের অর্থনীতি ধ্বস হয়ে যাবেনা। তার কারন আমাদের জনসংখ্যা। ইস্কুল জীবনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা করতাম। জনসংখ্যা আশীর্বাদ না অভিশাপ? ম্যাচিউর হবার পর থেকে বলে এসেছি অবশ্যই জনসংখ্যা আশীর্বাদ, ব্লেসিং। আমাদের দেশের সাধারন মানুষেরা আসলেই সাধারন এবং প্রোডাক্টিভ। সাধারন মানুষেরা রাজনীতির ধার ধারে না, নিজেরা নিজেদের মত এগিয়ে যায়।
একটু সমস্যা হবে কিন্তু আবার ঘুরে দাঁড়াবে দেশ। ইনশা আল্লাহ্‌।

১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

শুধু আইএমএফ না, ব্লুমবার্গ, ফরচুন ম্যাগাজিন, ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিনের ইকোনমিক্স ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদি যারা। বিশ্ব শেয়ার বাজারের প্রেডিকশন করে সবাই বলছে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ এ মাত্র ৬০ বিলিয়নের অর্থনীতি বর্তমানে ৫০০ বিলিয়ন অর্থাৎ হাফ ট্রিলিয়নের কাছাকাছি। ২০৪১ এর অনেক আগেই ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে ভর্তি হবে বাংলাদেশ।
এরা কখনোই ভুল উল্টাপাল্টা হিসেব দিবে না, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ শেয়ার বেঁচা কেনা করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে বিশ্ব শেয়ার বাজারে সামান্য হলেও একটি বড় ভূমিকা রাখে।

আপনি ঠিকই বলছেন, বিপুল জনসংখ্যাই পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে প্রোডাক্টিভ হয়ে উৎপাদন বাড়িয়ে বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। এই কারণে দ্রব্য মূল্য বেড়ে মধ্যবিত্তরা বিপাকে পড়লেও দরিদ্রশ্রেনিরা ভালো আছে। কারণ জিনিসের দাম বাড়লেও তার প্রোডাক্ট এর দামও বাড়ছে, দিনমজুরের মজুরি বাড়ছে রিক্সাওয়ালারা রিক্সাভাড়া বাড়ছে তাই দরিদ্রদের তেমন সমস্যা হচ্ছে না।
যত সমস্যা মধ্যবিত্তদের।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৯

শিশির খান ১৪ বলেছেন: যাক খুব ভালো খবর দিলেন তে হইলে তো অর্থমন্ত্রী লোটাস কামাল কে আবার অর্থ মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। ভাইজান শেষ কবে দেশে বাজার করছেন মনে হয় ব্যাস্ততার কারণে বাজারে যাওয়ার সময় পান না।

১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আওয়ামী লীগের ভালো অর্থনীতিবিদ যারা ছিল সবাইকে মেরে ফেলা হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী অর্থনীতিবিদ ও বিপ্লবী অর্থমন্ত্রীকে মেরে ফেলা হয়েছে জেলের ভিতর। জেল হত্যা।
এরপর দ্বিতীয় অর্থ মন্ত্রীকে ও গ্রেনেড হামলা করে হত্যা করা হয়।

পরে বাংলাদেশ রাষ্ট্র জাতীয় পার্টি থেকে ধার করে অর্থমন্ত্রী বানায় একটা গাধাকে।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

বিষাদ সময় বলেছেন: অন্ধ বিদ্বেষে কিছু ব্যাক্তি অনেক কথা বলে। তাদের অভ্যাসই তাই। তাদের কথা না আমি নিজের বিবেক দিয়ে সব বোঝার চেষ্টা করি।

আপনার পোস্ট পড়ে আশা জাগে। তবে আপনি মনে হয়ে দীর্ঘ দিন দেশে আসেননি, তাইি বাস্তবতার অনেক কিছুই বুঝতে পারছেন না। সব জাগায় কেমন এক বিশৃঙ্খল অবস্থা। কারও কোন দায়িত্ব আছে বলে মনে হয়না, জবাবদিহি করার কেউ নেই।

ফার্মগেট এর প্রধান ফুটওভার ব্রিজটি ভেঙ্গে নতুন করে করা হচ্ছে । আজ মনে হয় প্রায় দুই বছর হল নতুন ফুটওভার ব্রিজ এর কাজ চলছে তো চলছেই কবে শেষ হবে জানা নাই। আগে ছিল জানজট এখন তৈরী হয়েছে প্রাণজট। ফুটপাতে লক্ষ লক্ষ অবৈধ হকার পা ফেলার জাগা নাই। প্রায়ই কোন কোন এলাকায় মানুষে মানুষে ঠাসঠাসি হয়ে এমন প্রানজট লাগে যে দমবন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।
সর্বত্রই এক পরিকল্পনাহীন উন্নয়নের মহাযঞ্জ। এভাবে চলতে থাকলে উন্নয়ন টেকসই হবে বলে মনে হয় না। বিদ্বেষ থেকে নয় হতাশা থেকে কথাগুলো বললাম। আশা করি কিছু মনে করবেন না।

১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
না ভাই। আমি বছরে একবার হলেও দেশে আসি, করোনার সময় ফ্লাইট বন্ধ থাকায় ২ বছর পর এসেছিলাম।


দ্রব্য মূল্য বেড়ে মধ্যবিত্তরা বিপাকে পড়লেও দরিদ্রশ্রেনিরা ভালো আছে। কারণ দেশের বিশাল ক্রেতা সংখা।
কারন জিনিসের দাম বাড়লেও তার প্রোডাক্ট এর দামও বাড়ছে, দিনমজুরের মজুরি বাড়ছে রিক্সাওয়ালারা রিক্সাভাড়া বাড়ছে তাই দরিদ্রদের তেমন সমস্যা হচ্ছে না।
যত সমস্যা ৪-৫ কোটি মধ্যবিত্তদের।

জিডিপির অর্থ দেশের মোট উৎপাদন ও সেবা।
বিপুল জনসংখ্যাই পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে প্রোডাক্টিভ হয়ে উৎপাদন বাড়িয়ে বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। এই কারণে দ্রব্য মূল্য বেড়ে মধ্যবিত্তরা বিপাকে পড়লেও বৃহৎতর দরিদ্রশ্রেনিরা ভালো আছে। বিদ্যুৎ রাস্তাঘাট বিপুল সক্ষম ক্রেতাসংখা সহ বিপুল জনসংখ্যাই দেশের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনছে।

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:


মুদ্রাস্ফীতি কমা ভালো, উহা কমতে থাকুক! কিন্তু:

২০২২ সালের অক্টোবরে ১ ডলার = ৯৫ টাকা ছিলো; গতকাল সোনালী একচেন্জের হার হচ্ছে: ১ ডলার = ১১০ টাকা; ইহা কোনদিকে কি স্ফীতি কমছে?

১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

করোনা ও ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার মান বিপুলভাবে কমে যায়।
পাকিস্তান তুরস্ক ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া এমনকি ইউরোর মানও কমে যায়।
বাংলাদেশের টাকা আরো কমতো কিন্তু সরকার বল প্রয়োগ করে মূল্য কমিয়ে রেখেছে এটা ১২৫ হলে একটা সমতা হতো।

৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনি মুখ খুললে ভুল কথা বের হয়, ব্যাপার কি? মুখ বন্ধ রেখে দেখেন তো, কি হয়!

৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:২০

মিরোরডডল বলেছেন:




সারা বিশ্বে জিডিপি কমে আসলেও বাংলাদেশে বাড়ছে।

হা হা হা ........ তাই !!!

হাসান, এভাবে বললে বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়।

সারা বিশ্বে যেখানে কমে কিন্তু শুধু বাংলাদেশে বাড়ছে???

why Bangladesh so special?
কারণ আমাদের একজন কালবৈশাখি আছে :)

হাসানের লেখা পড়ে সত্যি মজা পাই।


১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

হাসার কিছু নেই এটাই সত্য।
আই এম এফ বা বিশ্ব ব্যাংকের ওয়েবসাইট খুলে দেখুন। প্রথম আলো তো এসেছে।
আমি লিংক দিয়েছি। পড়ে দেখুন।
কিন্তু প্রথম আলো একটা চালাকি করেছে। নিউজটি দিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সরিয়ে ফেলেছে। এমনকি অর্থনীতি পাতাতেও খুঁজে পাবেন না। তালেবানি অর্থ পেলে যা হয়।
প্রথম আলোর অর্থনীতি পাতাতে দেখবেন যে ব্যাংক ধ্বংস দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের পথে।

৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: @মিরোরডডল, এইটা পড়েন।

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

আমি নই বলেছেন: শ্রীলংকা দেউলিয়ার মুখে পরেও ১ বছরের মাথায় মুদ্রাস্ফীতি ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ৬ দশমিক ৩ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। সমস্যা হল আমরা এত উন্নত হওয়ার পরেও আমাদের সামনে ২০২৮ সালের মুলা ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে।

৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৪৭

কামাল১৮ বলেছেন: রিজার্ভ কমাতে এই আসংকা করছে অনেকে।দুই বছরের মাথায় কোথাকার রিজার্ভ কোথায় নেমে আসছে।বিএনপির আন্দোলন এখনো শুরুই হয়নি।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

কোন দেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অর্থনীতির খুব গুরুত্বপুর্ন অংশ নয়।

রির্জাভ মানে বৈদেশিক আমদানী রফতানী মুল্যের ব্যালেন্স।
এটা জিরো থাকলেও থিউরিটিক্যালি অর্থনীতিতে কোন সমস্যা হয় না। ব্যালেন্স এখনো মোটামুটি সন্তোষজনকই আছে। বোনাস হিসেবে আছে মাসে কমবেশী ২ বিলিয়ন রেমিটেন্স।

আমদানী রফতানী এটা প্রকৃতিক ভাবেই ব্যালেন্স হবে।
কারন তহবিল কম থাকলে সংগত কারনে বিলাস দ্রব্য বিদেশী ফলমুল আমদানি কম হবে। তাই রিজার্ভ ব্যালেন্স নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। যেখানে অতিরিক্ত ৩ মাসের ব্যালেন্স হাতে আছে।

১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৩৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংসের পথে না হলেও খুব খারাপের পথে। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা যখন ভালো থাকে তখন সরকারী দলের ডাকাতি, দূর্নীতি, অর্থ-পাচারের চাপ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়। বৈশ্বিক অর্থনীতির এই দুঃসময়ের দূর্নীতিগুলো বড় বড় ছিদ্র তৈরি করে ফেলেছে।

তবুও আশা করি বর্তমান সরকার এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবে। ধ্বংসের শেষ মাথায় তালেবান জঙ্গিরা তলোয়ার নিয়ে দাড়িয়ে আছে, ততদূর যাবার আগেই আমরা ঘুড়ে দাড়াবো এটাই আশা করি।

১১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বিশ্বের সকল দেশসহ বাংলাদেশ নিয়ে IFM প্রনীত ২০২৩ সালের জন্য Real GDP growth
পুর্বাভাসের চিত্রটি নীচের লিংক ফলো করে দেখা যায় বাংলাদেশের জন্য তা ৬ শতাংশই দেখিয়েছে ।
অনেক দেশের বেলায় দেখা যায় তা মাইনাসের ঘরে বিরাজ করছে
যাহোক পৃথিবীর সকল দেশের হিসাবকে গড় হিসাবে দেখালে তা ২০২৩ সালে সারা বিশ্বের জন্য ৩.৫
শতাংশের মতই হবে।তালিকা হতে দেখা যায় মাত্র ৪/৫ টি দেশের Real GDP growth ৬ শতাংশের ঘরে আছে ।
https://www.imf.org/external/datamapper/NGDP_RPCH@WEO/OEMDC/ADVEC/WEOWORLD

পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে এই প্রবৃদ্ধির হার অবশ্য অনেক কম । তবে তারা এখন যে অবস্থাতে আছে তাতে
করেতারা যদি আর প্রবৃদ্ধি না করে শুন্যতেও ধরে রাখে তবে সেটাই তাদের জন্য যথেষ্ট। কারণ তারা এমনিতে
বর্তমান পর্যায়ে সমৃদ্ধশালী আছে ।

যাহোক, সকলে মিলে সন্মিলিতভাবে দলমত নির্বিশেষে দেশের অর্থনৈতিক আগ্রগতির চাকাকে
প্রবৃদ্ধির দিকে চালু রেখে দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে হবে । দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেসরকারী
খাতই চালিকা শক্তি । দেশের জনগন সকলেই উন্নয়নয়ের গতিকে সচল রাখতে চাইলে পৃথিবীর
কোন শক্তি নাই বাংলাদেশের আগ্রগতিকে রোখে দিতে পারে ।
ক্ষুদ্র পরিসরের একটি ভুখন্ড বাংলাদেশের ১৭ কোটি জনতাই এ দেশের বিশাল সম্পদ। এত বিশাল
সম্পদের অধিকারী একটি দেশ তার আপন বলেই বলিয়ান হয়ে এগিয়ে যাবে । শুধু অত্মবিশ্বাসে
বলিয়ান হয়ে নীজেদের অমুল্য বিশাল জনবল কে কাজে লাগিয়ে দেশের অগ্রগতি আর্জন কোন
দুরাশা নয় , অতি বাস্তবসম্মত একটি আশার কথা ।

১২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশ দিন দিন ভালো পথে যাচ্ছে। ইহা সত্য।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: সেটাই।
প্রথম আলোর আজকের রিপোর্ট। দেখুন।
https://www.prothomalo.com/business/economics/zumov3tzr2
২০২২ সালে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়প্রাপ্তিতে নেতিবাচক ধারা থাকলেও এ বছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনের পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির মতে, দেশের প্রবাসী আয়ে এখন ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এ বছরের শেষে আনুষ্ঠানিক তথা বৈধ চ্যানেলে বাংলাদেশের মোট প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।

বিশ্বব্যাংক ও নোমাডের মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্রিফ ৩৯-এ বলা হয়েছে, নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে প্রবাসী আয়প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ ২০২৩ সালের শেষেও সপ্তম স্থানে থাকবে। এই তালিকায় যথারীতি সবার ওপরে থাকবে ভারত। চলতি বছর দেশটির প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১২৫ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।

নোমাড ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর বাংলাদেশের মতো শ্রীলঙ্কারও প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্তাবলি পালনের কারণে দেশীয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে এবং আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের আস্থা ফেরায় প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে।

প্রতিবেদন মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের শ্রমবাজারের চাঙাভাব, উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি কমার কারণে প্রবাসী আয়প্রবাহ বাড়বে। তবে সৌদি আরব ও কুয়েতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে রীতিমতো ধস নামার কারণে বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, দেশে গত নভেম্বর মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯৩ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি।

চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯ দশমিক ৯২ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৯৯২ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। ফলে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৩ সালের শেষে প্রবাসী আয় ২৩ বিলিয়ন থেকে ৩০৭ কোটি ডলার আরও প্রয়োজন, যেটাকে কঠিন বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রবাসী আয়ে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়ার ফলে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর সময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের আয় পাঠানো বেড়েছে।

কোন দেশ কোন অবস্থানে
বিশ্বব্যাংক–নোমাডের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর শেষে বিশ্বব্যাপী মোট প্রবাসী আয় বেড়ে দাঁড়াবে ৮৬০ বিলিয়ন বা ৮৬ হাজার কোটি ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি। তবে দেশভিত্তিতে প্রবাসী আয়প্রাপ্তিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে মেক্সিকো, সে দেশ মোট ৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় পেতে পারে। ৫ হাজার কোটি ডলারের প্রবাসী আয় নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকবে চীন। চতুর্থ স্থানে থাকবে ফিলিপাইনস, তারা পাবে ৪ হাজার কোটি ডলার।

মিসর ও পাকিস্তান উভয় দেশই ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার যথাক্রমে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে থাকবে। সপ্তম স্থানে থাকবে বাংলাদেশ। নাইজেরিয়া, গুয়েতেমালা ও উজবেকিস্তান যথাক্রমে ২ হাজার ১০০ কোটি, ২ হাজার কোটি ও ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় নিয়ে অষ্টম, নবম ও দশম স্থানে থাকবে।

মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় পাবে নেপাল। দেশটির এ বছরের শেষে দেশটির প্রবাসী আয় দাঁড়াবে জিডিপির ২৭ শতাংশ। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে এই অনুপাত হবে ৭ শতাংশ, যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। প্রবাসী আয়প্রাপ্তিতে ভারত সবার ওপরে থাকলেও জিডিপির অনুপাতে তা হবে মাত্র ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন ব্যবস্থার কারণে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় বাড়লেও এই বৃদ্ধির হার একই থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মূলত ব্যালেন্স অব পেমেন্ট বা বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে সংকটের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করায় অনানুষ্ঠানিক বাজার তৈরি হয়েছে।

অনানুষ্ঠানিক বাজারে ডলারের দর বেশি থাকায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশের প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলের পরিবর্তে অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে আয় বেশি পাঠান বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ভালো হলেও তেলের দাম কমে যাওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার অভিবাসীদের নতুন কর্মসংস্থান খুব বেশি হবে না।

সে কারণে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি হবে না। ২০২৪ সালেও বাংলাদেশে প্রবাসী আয় ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার, অর্থাৎ সমানই থাকবে।

বৈশ্বিক সংস্থাটির মতে, শ্রীলঙ্কার প্রবাসী আয়ে দুই বছর বড় পতন হলেও চলতি বছর ও ২০২৪ সালে তা বাড়বে।

কোন দেশ থেকে বেশি আসে
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৩ সালের শেষেও বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের উৎস হিসেবে যথারীতি যুক্তরাষ্ট্রই শীর্ষে থাকবে। দ্বিতীয় স্থানে থাকবে সৌদি আরব। এ ছাড়া গালফ কো অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) বেশ কয়েকটি দেশ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্রবাসী আসছে।

২০২৩ সালের শেষে বিশ্বের নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬৬৯ বিলিয়ন বা ৬৬ হাজার ৯০০ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ৭ শতাংশ। মূলত দক্ষিণ এশিয়া ও লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হবে।

অন্যদিকে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ২০২১ সালের পর থেকে তেমন একটা বাড়েনি।

১৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:৫৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আসলে বাংলাদেশের মানুষ মনের দিক দিয়ে গরীব টাকার দিক দিয়ে নয়। আজ থেকে ১০ বছর আগেও মানুষ যে পরিমাণ কষ্ট করতো এখন তার অর্ধেক কষ্টও করে না। সাধারণ খেঁটে খাওয়া মানুষও এখন মাসে ৪০/৫০ হাজার টাকা আয় করে, একজন ভিক্ষুকের ইনকামও মাসে লাখ টাকার উপরে। আসলে কিছু মানুষ আছে সারাজীবন অভিযোগ করেই যাবে।

তবে আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ঘুষ, দূর্ণীতি আর কূ-শিক্ষা।

১৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:০২

ক্লোন রাফা বলেছেন: সত্য হলো পৃথিবির কোন দেশেরই শতভাগ মানুষ ভালো থাকেনা। বাংলাদেশ শত প্রতিকুলতার মধ্যেও এগিয়ে যাবে ইংশা আল্লাহ।
কেমন আছেন কা.বৈশাখী ?

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভালই আছি,

বাংলাদেশের শুশীল সমাজ ক্রমাগত বলে যাচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংশের পথে।
কিন্তু বিশ্বব্যাঙ্ক আইএমএফ বলছে উল্টোটা।
আইএমএফ বলছে - সারা বিশ্বে জিডিপি কমে আসলেও বাংলাদেশে বাড়ছে।
আইএমএফের বলছে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার ৩.৫০ থেকে কমে ৩ শতাংশে নেমে আসলেও বাংলাদেশে জিডিপি বাড়বে। আগে অনেক কম প্রবৃদ্ধির (৫)পুর্বাভাস থাকলেও এখন বলা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতিও কমছে।
প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়ার পাশাপাশি আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতিও কমছে। আরো কমবে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ শতাংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা ৭ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ২০২৮ সালে তা ৫ দশমিক ৫ শতাংশে নামবে।

শুধু আইএমএফ না, ব্লুমবার্গ, ফরচুন ম্যাগাজিন, ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিনের ইকোনমিক্স ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদি যারা। বিশ্ব শেয়ার বাজারের প্রেডিকশন করে সবাই বলছে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ এ মাত্র ৬০ বিলিয়নের অর্থনীতি বর্তমানে ৫০০ বিলিয়ন অর্থাৎ হাফ ট্রিলিয়নের কাছাকাছি। ২০৪১ এর অনেক আগেই ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে ভর্তি হবে বাংলাদেশ।

১৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:০৪

ক্লোন রাফা বলেছেন: Click This Link

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
"বাংলাদেশের অর্থনীতি খারাপ"
এই সব কথা কারা বলছে? দেশের কিছু ধান্দাবাজ সুশীল আর কতিপয় পত্রিকা।

কিন্তু বিশ্বের টপ পেশাদার অর্থনীতি বিশারদ ফোরকাস্টার যারা বিশ্ব অর্থনীতির গতিপথ পর্যবেক্ষণ করে শেয়ার বাজারে তথ্য দেয় সেইসব সংস্থা যেমন ব্লুম্বার্গ ফরচুন ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদি সবাই বলছে বাংলাদেশ ভারত ও ইন্দোনেশিয়া এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। বাংলাদেশের অর্থনীতি আগামী ৫-৭ বৎসর একই মাত্রায় দ্রুত গতিতে অব্যাহত থাকবে। এবং ২০৩৫ এর কাছাকাছি ভিতরে এক ট্রিলিয়নের অর্থনীতিতে পরিণত হবে।
এদের ফোরকাস্ট প্রায় শতভাগ সঠিক হয়।

এ সরকার ক্ষমতায় এসে মাত্র ৬০ বিলিয়নের অর্থনীতিকে হাফ ট্রিলিয়নের অর্থনীতিতে পরিণত করেছে ১৫ বছরের ভিতরেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.