নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাহফুজ আনাম, এতক্ষনে অরিন্দম।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৬




ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম

অবশেষে নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির মারাত্মক ভুল বলে মনে করছেন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম।


তিনি বলেন, আলোচনার পথ রুদ্ধ করে দেওয়া বিএনপির আরেকটি বড় ভুল। কোনো রাজনৈতিক দল এক দশকের মধ্যে দুটি নির্বাচন বয়কট করে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারেনি, এবারের নির্বাচন বয়কটও বিএনপির অস্তিত্ব সংকট সৃষ্টি করতে পারে মনে করেন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক এই সাংবাদিক।


জনপ্রীয় ইংরেজি পত্রিকা দ্য ডেইলি স্টারে ‘বিএনপি কি তার কর্মী-সমর্থকদের প্রত্যাশার সম্মান রাখছে’ প্রকাশিত প্রবন্ধে মাহফুজ আনাম লিখেছেন -
এটা এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে- বিএনপি আন্দোলন শুরু করেছিল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য, অন্তত কিন্তু আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য তারা যথোপযুক্ত প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামেনি। গত বছর বিশাল জনসমর্থনের বীজ বপন করতে পারলেও এ বছর সেখান থেকে সাফল্যের কোনো ফসল ঘরে তুলতে পারেনি । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার দাবি জানানো হলে এর প্রতিক্রিয়া যে কঠোর কিছু হবে, তা অবধারিতই ছিল। কিন্তু কঠোর পরিস্থিতি এলে কীভাবে টিকে থাকা যাবে, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট পরিকল্পনা তাদের ছিল না।

মাহফুজ আনাম বলেন, ‘যদি বিএনপির উদ্দেশ্য এটাই হয়ে থাকে যে, তারা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের একচেটিয়া প্রভাব কমাবে, তাহলে নির্বাচনের সময় ক্ষমতা ভাগের প্রস্তাব দিতে পারত। সেক্ষেত্রে উভয়পক্ষের সম্মতিতে সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা মাথায় রেখে সরকারের কিছু পদ বিরোধী দল বা নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিতে পারত। যেহেতু নির্বাচনে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, সেক্ষেত্রে এই বাহিনীর ওপর ক্ষমতাসীন দলের নিয়ন্ত্রণ কমাতে বিশেষ কিছু প্রস্তাব দেওয়া যেত। এ ধরনের বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া হলে তা ভোটারদের এই বার্তা দিত যে, বিএনপি তাদের দাবিতে অনড়, কিন্তু তাদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার আগ্রহ রয়েছে।’


মাহফুজ আনাম লেখেন, ‘সব বিকল্প আলোচনার পথ রুদ্ধ করে দেওয়া ছিল বিএনপির আরেকটি বড় ভুল। বিএনপি যে ‘বাইরের চাপ’র ভরসায় ছিল, সেখান থেকেও তারা পুরোপুরি হতাশ হয়েছে। বিএনপি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে যখনই আলোচনায় বসেছে, তাদের কেউই একটি বারও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরিকল্পনাকে সমর্থন করেননি। বরং সবাই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ গড়ার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির কানে এই বার্তা পৌঁছায়নি।’

সম্পাদক মাহফুজ আরও বলেন, ‘তর্কের খাতিরে যদি বলাও হয় যে, আওয়ামী লীগ কখনোই চায়নি বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তাহলে একথাও বলতে হবে বিএনপিও কখনোই টের পায়নি যে, তাদের এই নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ক্ষমতাশীন সরকারকেই সহায়তা করছে।’

লেখায় মাহফুজ আনাম পরিষ্কার লেখেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ফল কী হয়েছিল, সেটা কখনোই পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্লেষণ করেনি বিএনপি। কোন স্টাডিও ছিলনা তারা যদি ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন না করত, তাহলে খালেদা জিয়া বিরোধী দলের নেত্রী হিসেবে তার অবস্থান হারাতেন না। বিএনপি ক্ষমতায় যেতে না পারলেও, সংসদে বিরোধী দল হিসেবে থাকতে পারত। বিরোধী দলীয় নেত্রী ও সংসদের একজন সদস্য হিসেবে প্রটেকশন নিয়ে খালেদা জিয়াও তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়ার মামলাগুলো লড়তে বাড়তি সুবিধা পেতেন। এবার ধরে বিএনপির দ্বিতীয় বারের মত নির্বাচন বয়কট করলো। এই অঞ্চলে তো বটেই, সম্ভবত কোনো গণতান্ত্রিক দেশেই কোনো রাজনৈতিক দল এক দশকের মধ্যে দুটি নির্বাচন বয়কট করে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারেনি।’


বিএনপির নির্বাচনী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মাহফুজ আনাম লেখায় মন্তব্য করেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে যে, বিএনপি মনে করে, নির্বাচনে জয়ের নিশ্চয়তা না পেলে সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো কারণই নেই। এমন চিন্তা একটি মারাত্মক ভুল। শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকার প্রয়োজনগুলো তাদের কাছে যৌক্তিক মনে হয়নি। বিএনপি এটা বিবেচনা করলো না যে তাদের নিজস্ব নীতি ও ভিশন প্রচারে শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে সংসদ এবং আগামীতে তারা সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে নিজেদের গ্রহণযোগ্য ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে পারতো।’

তিনি লিখেন, ‘বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নিত, তাহলে তাদের একক বা জোটগত ৩০০ মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী দেশের আনাচে-কানাচে নিজেদের পক্ষে প্রচারণা চালাতে পারতেন এবং কর্মিরা উদ্দিপনা পেত আওয়ামী লীগের ক্ষমতার অপব্যবহার, অপকর্ম ও দুর্নীতির চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারতেন। এই প্রচারণায় ক্ষমতাসীন দল খানিকটা হলেও জবাবদিহির আওতায় আসত এবং বিএনপির প্রতি জনগণের সমর্থন জোরালো হতো। আর কিছু না হলেও বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণার কারণে ক্ষমতাসীন দল কিছুটা হলেও সংযত হতো। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও আসার আগ্রহ পেতেন, যা নিঃসন্দেহে আমাদের নির্বাচনের মানোন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারত। আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের অংশগ্রহণে গ্রাম পর্যায়েও নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিএনপির সমর্থকরা সেগুলো কেবল দেখছেন, তাদের করার আর কিছুই নেই।’

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহফুজ আনাম স্বীকার করে স্পষ্ট ভাবেই বললেন, "বিএনপি শুধু হরতাল ও অবরোধের ডাক দিচ্ছে, যা কেউ মানছে না"। গণবিক্ষোভের ডাক দিচ্ছে, যা কেবলই ফাঁকা বুলি।

তিনি বলেন, ‘কী এক নিদারুণ করুণ দশায় রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি।’

সুত্র -
মাহফুজ আনামের লেখা: বিএনপি কি তার কর্মী-সমর্থকদের প্রত্যাশার সম্মান রাখছে?

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আফসোস!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেক বিলম্বিত উপলব্ধি। মাহফুজ আনামের।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রাজনীতি বিশ্লেষক ও বিএনপি পন্থি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদা রওনক খান মনে করেন, আন্দোলনের কর্মকৌশলেই ঘাটতি আছে বিএনপি’র। বিবিসির কাছে তিনি বলছিলেন,

“বিএনপি’র পলিটিক্যাল স্ট্রাটেজিতে তারা শুধু প্ল্যান এ নিয়েই এগিয়েছে। সেটা হচ্ছে, হরতাল-অবরোধ। কিন্তু এরপর কী? বিএনপি তো এর আগেও এরকম কর্মসূচি করেছে, যেটা কাজে আসেনি। আমার ‘প্ল্যান এ’ কাজ না করলে ‘প্ল্যান বি’ ফলো করবো। ‘বি’ না হলে ‘প্ল্যান সি’। কৌশলে তো একটা সময় পরিবর্তন আনতে হবে। কিন্তু বিএনপি যেন কোথায় আন্দোলন এবং নির্বাচন দুটোতেই কৌশলের খেলায় হেরে গেলো।”

রাশেদা রওনক খান মনে করেন দীর্ঘদিন নির্বাচন না করায় দলটির সামনে ভোটারদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে।

“নির্বাচনে না আসা মানে অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে যাওয়া। একটা হচ্ছে ভোট ব্যাংককে হারিয়ে ফেলা। এটা অনেকভাবেই হতে পারে। ভোটারদের স্মৃতি থেকে হারিয়ে যাওয়া, প্রজন্ম থেকে হারিয়ে যাওয়া।

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বিএনপি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা তারেক জিয়ার কারণে। যে সিদ্ধান্তের কারণে তারেক জিয়া রাজনীতির বাইরে চলে যাবে সে সিদ্ধান্ত সে নিতে দেবে না। যদি সেটা দলের জন্য সঠিক সিদ্ধান্তও হয়।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিএনপি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা তারেক জিয়ার কারণে।

এই ধারনা সবটা সঠিক নয়।
দেশের অনেক হেবিওয়েট বুদ্ধিজীবি বলে পরিচিত ব্রিগেডিয়ার/নির্বাচন কমিশনার, সুজন কুজন বদিরা কন্টিনিউয়াস বিএনপিকে ভুল পরামর্শ দিয়ে গেছে।

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫১

কামাল১৮ বলেছেন: তারেক জিয়ার একাটাই সম্বল সেটা হলো ধানের শীষ।সেটা হারাতে সে রাজি না।জয় নিশ্চিত না হলে সে ইলেকশনে আসবে না।সে জানে দল বিরোধী দলে গেলে সে বিরোধীদলের প্রধান হতে পারবে না, এমনকি ভোটে দাঁড়াতেও পারবে না ,তাহলে ভোটে গিয়ে লাভ কি।মাঝ খান থেকে বিরোধী দলের প্রধান যে হবে সে ধানের শীষ নিয়ে তারেক জিয়াকে দলথেকে বের করে দিবে।
মাহফুজ আনামরা প্রথম থেকেই একটা মিশন নিয়ে সাংবাদিতকতা করে এটা সবাই জানে।কখনো সফল হয় কখনো হয় না।এবার ব্যর্থ হয়েছে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

বিএনপির ফিরে আসার সুযোগ ছিল
নির্বাচন কমিশন অবশ্য একাধিকবার বলেছে বিএনপি আসলে প্রয়োজনে সিডিউল পেছানো হবে।
কিন্তু কিছুই বলেনি রিজভির প্রতিদিন বকবক করলেও এ বিষয়ে কোন কিছু স্পষ্ট করেনি।
এর আগে বিএনপি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনার চিঠি পেয়েছিল শর্তবীহিন আলোচনার জন্য।
কিন্তু বিএনপির সব নেতা বোবার মত নিশ্চুপ ছিল কিছুই বলেনি।
অথচ আলোচনার চিঠি বিএনপির সবচেয়ে আগে পেয়েছিলাম আওয়ামী লীগের একদিন আগে। হাস ধরে নিয়েছিলেন বিএনপি ঢিলা পার্টি সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করবে তাই একদিন আগেই চিঠিটা দিয়েছিলেন। কিন্তু রিজভি সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি।
লন্ডনের জামাত নেতার সাথে বসে থাকা তারেক ও নিশ্চু প।
আশায় বসে আছে তবে আমেরিকা তাকে কোলে করে নিয়ে সিংহাসনে বসায়।

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বিএনপি ভেবেছিল আমেরিকার কাঁধে সওয়ার হয়ে ক্ষমতায় আসবে। সেটা না হওয়ায় এখন হতাশ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মাহফুজ আনামও স্পষ্ট ভাবে খোলাখুলি বলেছেন

বিএনপি যে 'বাইরের চাপে'র ভরসায় ছিল, সেখান থেকে তারা পুরোপুরি হতাশ হয়েছে।
বিএনপি বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও দূতদের সঙ্গে যখনই আলোচনায় বসেছে, তাদের একটি প্রানীও তত্ত্বাবধায়ক বা জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরিকল্পনাকে সমর্থন করেননি। বরং সবাই প্রচলিত ব্যাবস্থায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ গড়ার প্রতি মত দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির একটি নেতাও এই কথাটি কানে নেয় নি, কারো কানে এই বার্তা পৌঁছেনি।

৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৩

বাকপ্রবাস বলেছেন: ইহাকে বলা হয় শকুনি কান্না। জাতিয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে করতে তারা এখান হাসিনার সাথে পরমর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয় কী করবে না করবে। এনাম সাহেব চাইছেন বিএনপিও তেমনটা করুক

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অংশ না নিয়ে কি লাভ হইলো?
আজকের বহুল প্রত্যাসিত মানববন্ধনে বেলা ১১টায় মানববন্ধন শুরু হয়। ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে মানববন্ধন শেষ হয়ে যায়।

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: একজন অপদার্থ স্বার্থপর নেতা বিশাল একটা দলকে এভাবেই ডোবাবে তা আগেই আশঙ্কা করেছিলাম!

নিজের যোগ্যতা ছাড়া আসমানী দায়িত্ব পেলে যা হয়।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একজন নেতা হয়েছে কিন্তু কর্মীদের সাথে কোন ইন্টারেকশন নাই কর্মীদের উদ্দেশ্যে কোন বক্তব্য নেই।
চরম মিডিয়া বিমুখ। বিবিসি ও আলজাজিরা বহুবার তার সাক্ষাৎকার নিতে চেয়েছে, মোটা অংকের সম্মানিও দিতে চেয়েছিল। কিন্তু একটি বারও সে রাজি হয়নি। ২০০৮ - ৯ এ বিবিসির ফোন ইন অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের প্রশ্ন উত্তর পর্বে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, কিন্তু সেখানেও সে রাজি হয়নি।
একজন নেতা কিন্তু সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে চায় না। সে কি ধরনের নেতা কিভাবে উজ্জীবিত করবে এত বড় বিএনপির সমর্থক গোষ্ঠীদের?

৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩২

ঢাবিয়ান বলেছেন: বিএনপি যেমন দলই হোক , এই সরকারের আমলে নির্বাচনে যাওয়ার বোকামি না করে ভাল করেছে। হালুয়া রুটি ভাগাভাগির নির্বাচনে গেলে জনগনের সাথে বেইমানি করা হত।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

নির্বাচন বর্জন করা গণতান্ত্রিক বিশ্বে এটা খুবই রেয়ার ঘটনা।
বরং সারা পৃথিবীতে উল্টাটাই ঘটে। বিরোধীদলকে আইন করে নির্বাচনের বাইরে রাখা হয়। যেমন একসময় থাইল্যান্ডে বর্তমানে ক্যাম্বোডিয়াতে ও পাকিস্তানের বিরোধী একটি দলকে জোরপূর্বক আইন করে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কোথাও নির্বাচন বর্জনের উদাহরণ নেই।

নির্বাচনে না আসা মানে অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে যাওয়া। একটা হচ্ছে ভোট ব্যাংককে হারিয়ে ফেলা। এটা অনেকভাবেই হতে পারে। ভোটারদের স্মৃতি থেকে হারিয়ে যাওয়া, প্রজন্ম থেকে হারিয়ে যাওয়া।

৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

প্রামানিক বলেছেন: যা হয় হোক কিছু বলব না

৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৪

বিজন রয় বলেছেন: মগজ থাকা লাগবে তো।
কোন মগজ নিয়ে আমরা চলি।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বোকা ও অযোগ্যরা বিদেশী শক্তি ও তাদের দালালদের উপর নির্ভরশীল হয়।
জ্ঞনিপপ বদ বদিউর জিল্লুররা বুঝিয়েছে ডিসেম্বরের ১০ তারিখের ভেতর শত শত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর নিশ্চিত নিশেধাজ্ঞা দিচ্ছে। কিন্তু তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে কিছুটা ভুল তথ্য দিয়েছিল। বা সবটা জানতো না।

সত্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ও দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে ৩০-৩৫ টা দেশে বিভিন্ন দুর্নিতিবাজ অসৎ ৩৫০ জনের মত রাজনীতিবিদ ও ব্যাবসায়ীদের উপর নিশেধাজ্ঞা জারি হয়েছে ৮ থেকে ১১ই ডিসেম্বরের ভেতর।
বিভিন্ন দেশের ৪৪টি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া একটি নেটওয়ার্ক চীন, রাশিয়া, হংকং ও পাকিস্তানভিত্তিক।
এই নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা চীনের তৈরি অস্ত্র ও প্রযুক্তি ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী রুশ প্রতিষ্ঠান ভাগনার গ্রুপকে দিয়েছে ও উচ্চমানের স্যাটেলাইট ছবি সরবরাহ করেছে। নেটওয়ার্কটির আওতায় রয়েছেন চীনের নাগরিক হু জিয়াওজান ও চীনভিত্তিক বেসরকারি প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘জার্ভিস এইটকে কোম্পানি’। এছাড়া চীন, তুরস্ক, আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশের শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা হয়েছে।

দুর্নিতির অভিযোগে তুরস্ক ও আরব আমিরাতের একাধিক প্রতিষ্ঠানও নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এ ছাড়া সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ইলেকট্রনিক পণ্য রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান ‘থামেস্টোন’ ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক ‘মাইক্রো ইলেকট্রনিকস টেকনোলজিসের’ ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সাবেক সরকারি কৌঁসুলি এবং গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক পরিচালকের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। ডোমিনিকান রিপাবলিকের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, হাইতির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দুজন সাবেক সিনেটর, লাইবেরিয়ার সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধেও ভিসা বিধিনিষেধ দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর।

এছাড়া গুয়েতেমালার সেনাবাহিনীর সমর্থনপুষ্ট দলের বিরুদ্ধে বিপুল ভোটে জয় পাওয়া বামপন্থি আরেভালো সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে খারাপ ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে।
গুয়েতেমালার এটর্নি জেনারেল, নির্বাচন কমিশন কংগ্রেস-সংসদ সদস্য ১০০ সদস্যসহ প্রায় ৩০০ সরকারি ও বেসরকারি নাগরিকের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

১০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


বিএনপি এই ভুল করবে এটা আমি ভাবিনি। গত নির্বাচন বর্জন করলেও আমি ভেবেছিলাম তারা এবার যাবে। শক্তিশালী একটা বিরোধীদল হিসেবে তাদের উত্থান দেখব ভেবেছিলাম। কিন্তু তারা চিন্তাশক্তি খুবই দুর্বল। তাছাড়া তাদের কোন থিংক ট্যাঙ্ক নেই। যারা দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে। তারা ভাবে যে আমরা যেভাবে করব কর্মীরা সেভাবেই চলবে। হিসেবটা আসলে আওয়ামী লীগ বদলে দিয়েছে। তারা তাদের কর্মী ও নেতাদের পারলে সব রকম সুবিধা দিয়ে দিত।

এতে করে জনগণের কি হবে না হবে তা ভাবার দরকার নেই। ক্ষমতায় থাকতে যা যা করা দরকার তারা তা করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখানেই বিএনপি তাদের মাত করতে পারত। কারণ জনগণ দ্রব্যমুল্য নিয়ে যেই অস্থিরতায় দিন কাটাচ্ছে তাতে বিএনপি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। এটা তাদের চরম পর্যায়ের ব্যর্থতা।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
৩০-৩৫ টা দেশের বিভিন্ন দুর্নিতিবাজ অসৎ ৩৫০ জনের মত রাজনীতিবিদ ও ব্যাবসায়ীদের উপর নিশেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
এটর্নি জেনারেল, নির্বাচন কমিশন কংগ্রেস-সংসদ সদস্যসহ প্রায় ৩০০ সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা সরকারি কৌঁসুলি এবং গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক পরিচালক সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দুজন সাবেক সিনেটর, সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধেও ভিসা বিধিনিষেধ দিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

জিল্লুর কলিমুল্লারা হয়তো চোখ ব্যাথা করে ফেলেছে তালিকায় বাংলাদেশের কারো নাম না পেয়ে।

১১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: বিএনপি গর্ত খুড়তে গিয়ে। নিজেরাই গর্তে পড়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.