নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ দির্ঘতম রাত অয়নকাল

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৩



উত্তর গোলার্ধে আজ ২১ ডিসেম্বর রাতটা সবচেয়ে দীর্ঘ। (বাংলাদেশে অবস্য টাইম জোন ভিত্তিতে গত কাল ২১ তারিখ হয়ে গেছে।) এর পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ পৃথিবী খানিকটা হেলে আছে।

বিষয়টা বুঝতে প্রথমে সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী পৃথিবী ঘুরছে। আসলে পৃথিবী খানিকটা হেলে ২৩.৫ ডিগ্রিতে ২৪ ঘন্টায় আহ্নিক গতিতে প্রদক্ষিন করছে।

পৃথিবী এক জায়গায় স্থির নেই। নিজের কক্ষপথে সূর্যের চারপাশে ঘুরছে বছরে এক পাক। ২১ ডিসেম্বর উত্তর মেরু সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে থাকে, হেলানো অবস্থায়।

গ্রীষ্মকালে উত্তর মেরু সূর্যের দিকে মুখ করে হেলে থাকে। ফলে আমাদের দিন দীর্ঘ এবং রাত ছোট হয়। আর শীতকালে ঘটে উল্টোটা। ফলে রাত দীর্ঘ হয়। ২১ ডিসেম্বর উত্তর গোলার্ধ সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে থাকে। আবার গোলার্ধে হয় উল্টোটা অষ্ট্রলিয়া আর্জেন্টিনা সাউত আফ্রিকা সবচেয়ে বড় দিন আর ছোট রাত।
একই কারনে আবার আগামী ২১ সে জুন আমাদের সবচেয়ে বড় দিন এবং সবচেয়ে ছোট রাত।
আর ২২ সেপ্টেম্বরে ইকুয়েনক্স মানে দিন রাত সমান উভয় গোলার্ধেই।

তবে সংক্ষেপে লিখলাম। বিষয়টা অনেক জটিল। সবটা লিখলে অনেক লম্বা হয়ে যাবে।
ছবি উইকিপিডিয়া।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১২

শেরজা তপন বলেছেন: জটিল বিষয় কি বোঝার মানুষ ব্লগে নেই? আপনি লিখতেন জটিল অংশটুকু- আমরা পড়ে অজানা অনেক কিছু জানতাম।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ তপন দা।
কাজে কর্মে হাতে সময় থাকে কম।
তবে আপনি যখন বলছেন সময় পেলে এটাকেই এডিট করে বিস্তারিত বুঝিয়ে লিখবো।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অপেক্ষায় রইলাম ...

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৮

বিজন রয় বলেছেন: তারমানে কি, সূর্য উত্তর গোলার্ধ হয়ে পূর্ব দিকে সরে গিয়ে দক্ষিণ বিষূবরেখা বরাবর প্রলম্বিত হয়ে পশ্চিম গোলার্ধে ৩৩.০ ডিগ্রী অক্ষরেখায় হেলে গিয়ে স্থিতিস্থাপক মাত্রায় আলো বিকিরণ করে সবচেয়ে দির্ঘ/দীর্ঘ রাত উপহার দিল?

হঅয় হায়, তাহলে তো বিরাট ব্যাপার!!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
না। সেই রকমটা না।
সুর্য মুলত সরে না, স্থির। যদিও স্থির নয় মোটেই। গ্যালাক্সিকে অরবিট করছে সৌরজগত সহ ৮ লাখ কিলোমিটার গতিতে। তবে সুর্য পৃথিবীর তুলনায় স্থির। পৃথিবী শীতকালে হ্যালে না। পৃথিবীর দুই মেরু অক্ষ ধরে ২৩.৫ ডিগ্রিতে সবসময়ই হেলে থাকে। পোষ্টে উপরের ছবিটি দেখলে বুঝবেন।
শুধু এই বছরটাই লম্বা রাত না, প্রতি বছরই ২০, ২১, ২২ যেকোন একদিন লংগেষ্ট নাইট।
ধন্যবাদ বিজন দাদা। সংক্ষেপে বললাম। পরে আরো বিস্তারিত ভাবে বলবো

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এসব তথ্যগত বিষয়ে আমার অল্প কথায় ভালো লাগে। লম্বা করলে পড়তে আলসেমি লাগে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
লেখা লম্বা করলে পড়তে আলসেমি লাগে।
লম্বা লেখা লিখতেও আলসেমি।

৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পৃথিবীর কক্ষপথ বৃত্তাকার না কেন?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শুধু পৃথিবীর কক্ষপথ উপবৃত্তাকার না এই জগতে সকল গ্রহ উপগ্রহের কক্ষপথ কমবেশি লম্বাটে উপবৃত্তাকার। উল্কার কক্ষপথ যেমন অনেক বেশি লম্বাটে। সেন্ট্রিপিটাল ফোর্স কাজ করছে।

সেন্ট্রিপিটাল ফোর্স। যেমন পার্কে একটি বৃত্যাকৃতি পথে সাইকেল বা মটরসাইকেল নিয়ে একটু দ্রুতগতিতে প্রদক্ষীন করতে থাকলে দেখবেন আপনার কল্লাটা কেন্দ্রের দিকে হেলে যাবে সাইকেলটাও কিছুটা কাত অবস্থায় ঘুরবে। এটাই সেন্ট্রিপিটাল ফোর্স।

আর একটি ইলাষ্টিকের রশিতে একটি পাথর বেধে চারিদিকে ঘুরালে দেখবেন প্রথমে বৃত্যাকার ঘুরলেও সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্সে একপর্যায়ে কিছুটা বেশী টান খেয়ে পাথরটি বেশী টান খেয়ে ইলাষ্টিক লম্বা হয়ে চলে যেতে চায়।
গ্রহ উপগ্রহের কক্ষপথ লম্বাটে উপবৃত্তাকার হওয়ার কারনটা যদিও আরো জটিল। অবস্য স্যাটেলাইটের মাধমে তোলা সামুদ্রিক সাইক্লোনের (হ্যারিকেন) ভাল মানের একটি ভিডিও একটু মনযোগ দিয়ে দেখলে অবস্য কিছুটা বুঝতে পারবেন। মিনি গ্যালাক্সির আচরন অনেকটা।

বাস্তবে দৈনন্দিন কাজেও সেন্ট্রিপিটাল ও সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্সের ব্যাবহার প্রচুর।
যেমন বোইং বিমানের জেট ইঞ্জিন ও বড় বিদ্যুতকেন্দ্রের 'স্টিম টারবাইন'। এছাড়া দ্রুতগামী স্পোর্টস কারের স্পিড বাড়ানোর জন্য 'টারবো চার্জার' ইত্যাদি সেন্ট্রিপিটাল ফোর্স।
আবার কৃষকের ইরিগেশন পাম্প, বাসাবাড়ীর পেড্রলো পাম্প সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্স। বাসার ওয়াসিং মেশিনের কাপড় চিপার কাজটা করা হয়, ধোয়া শেষ হলে দ্রুতগতিতে ঘুরিয়ে পানি ঝড়ায়, সেটাও সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্স।

অনেক কথা বলে ফেললাম, তবে বুঝাতে পেরেছি কি না সন্দেহ।

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ... আপনাকে রাগাতে পারলাম না!!

যে উল্টা-পাল্টা মন্তব্য করেছিলাম ভেবেছিলাম রেগে যাবেন।

অবশ্য আপনি এই ব্লগে বহু যুদ্ধের যোদ্ধা।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
না ভাই।
আপনে কবি মানুষ, রাগ করি কেমনে।

৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২১

প্রামানিক বলেছেন: এক ঘুমেই ভোরের আযান বড় ছোট টের পাই নাই। ধন্যবাদ তথ্যমূলক পোষ্ট দেয়ার জন্য।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় প্রামানিক ভাই ভাল থাকবেন। কতদিন আজানের শব্দ শুনিনা।
বিশ্বাস করেন, ঢাকায় এসে আজানের ধ্বনি শুনে প্রচন্ড আবেগে আপ্লুত হয়ে যাই, চোখ ভিজে যায়।

৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: রাতটা ঘুমিয়েই পার করে দিলুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.